আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

শনিবার, ৩ জুন, ২০১৭

ধর্মপচারক কথা ২

আরিফুর রহমান



ধর্ম-পচারক এমনই একটি প্রতিষ্ঠান, যার প্রভাবে বাংলার বুক গিজগিজ করতে থাকা প্রতিটি মোল্লার রাতের ঘুম দিনের পেটুক আল্লাহুয়াক্কার হারাম হয়ে গিয়েছিলো। ধর্ম নামের কল্পনার প্রাসাদ ভেঙ্গে পড়েছে ছোট ছোট ঢিলের পাহাড়সমষ্টি ধর্মকারীর দাপটে।

এক ধর্মপচারক নেই তো কি হয়েছে, লক্ষ ধর্মপচারকের বাহিনী বাংলাকে এই ধর্মীয় ইঁদুর হুগুর মোল্লা মুক্ত করবে, ইনশাহুবাল!!


আক্কাস আলী


বাংলা সিনেমার কিছু কমন কাহিনী আছে। একটা কাহিনী এরকম যে, ছবির শুরুর দিকেই নায়ক দুর্ঘটনায় মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলে; তবে, শেষ পর্যায়ে গিয়ে মাথায় গুন্ডাদের লাঠির বাড়ি খেয়ে নায়কের স্মৃতিশক্তি ফিরে আসে। এই কাহিনীর সাথে নিজের জীবনের কিছুটা মিল আমি খুঁজে পাই। যখন আমি এই পৃথিবীতে আসি, যখন ছোট্ট শিশু ছিলাম, তখন স্বাভাবিক মগজ নিয়েই বেড়ে উঠছিলাম। কিন্তু ধীরে ধীরে আমার পরিবার, সমাজ, পরিবেশ-পরিস্থিতি দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে আমার মগজ গেলো বিগড়ে, হয়ে গেলাম ধর্মান্ধ। আমি ভুলেই গেলাম যে, জন্মের সময় আমার গায়ে কোন ধর্মের সীলমোহর ছিলো না, আমি ছিলাম স্রেফ একজন মানুষ। তবে, কয়েকবছর আগে, গুন্ডা হয়ে আমার মাথায় বাড়িটা দিয়েছিলেন মাহমুদুন নবী ওরফে ধর্মপচারক ভাই। ধর্মকারীতে যখন প্রথম ঢুকলাম, আমার চোখ ছানাবড়া! ওরে আল্লারে! এইসব কি?? আল্লাহ রাসূলকে নিয়ে এতো বাজে বাজে কথা! এই ওয়েবসাইটের সার্ভার তো আল্লাহর গজবে ধ্বংস হয়ে যাওয়ার কথা, কিন্তু হচ্ছে না কেনো?
আল্লাহর গজবের ভয়ে ভয়ে হলেও নিয়মিত ধর্মকারীতে ঢু মারতাম। কারন, ব্যাঙ্গ করা হলেও কথাগুলো ছিলো যুক্তিপূর্ণ, রেফারেন্সসহ। সেই যে মাথায় বাড়ি খেলাম, এরপর থেকে ধীরে ধীরে আমার স্মৃতিশক্তি ফিরে এলো, আমার মনে পড়ে গেলো আমি স্রেফ একজন মানুষ। বুঝতে পারলাম ধর্মগুলোর ভন্ডামি।
এভাবেই শত সহস্র অন্ধদের চোখে আলো ফিরিয়ে দিয়েছেন উনি।



ওনার কাছ থেকে অনুপ্রেরণা পেয়ে টুকটাক লেখালেখি করা শুরু করেছি। কোন লেখা ভালো হলে, ইনবক্স করে সেটার প্রশংসা করতে উনি ভুলতেন না; তবে, আগে ভুলত্রুটিগুলো ধরিয়ে দিয়ে। পচারক ভাই চলে গেলেন, এখন আমার লেখার ভুলগুলো ধরিয়ে দিবে কে, সেটা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।

কিছুদিন আগে ভন্ডনবীর ভন্ডামী নিয়ে একটা ভিডিও তৈরি করেছিলাম। পচারক ভাইকে ইমেইল করে ভিডিও লিঙ্কটা দিয়ে বলেছিলাম, ভাই, ভিডিওটা ধর্মকারীতে প্রকাশ হোক বা না হোক, এই ভিডিওটা দেখে একটা ফিডব্যাক অবশ্যই দিবেন, কি কি ভুল করলাম, পরবর্তী পর্বটা কিভাবে আরও ভালো করা যায়, সে পরামর্শ অবশ্যই দিতে হবে। কিন্তু আফসোস, সবসময় যেমন সাথে সাথে রেসপন্স পেতাম, এবার আর তেমনটা হলো না। কয়েকদিন পর ধর্মকারীতে ঢুকে লক্ষ্য করলাম পোস্ট আপডেট হচ্ছে না! চিন্তা হলো... গত ২০ মে বিপদের আশঙ্কা করে উনাকে ইনবক্স করলামঃ

“ভাই...আপনার কোন বিপদ হলো নাতো? ধর্মকারী আপডেট হচ্ছে না ৪/৫ দিন হয়ে গেলো... এমন তো আগে হতে দেখিনি...!”

কেটে গেলো বেশ কিছুদিন। কোন রেসপন্স নেই। এরপর এই কয়েকদিন আগে জানতে পারলাম ১৯ মে উনি আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। বুক ভেঙ্গে গেলো...

একদমই বিশ্বাস করতে পারছিলাম না খবরটা। দাঁড়িপাল্লা ভাইসহ বেশ কয়েকজন প্রথম সারির মুক্তমনা বন্ধুকে ইনবক্স করে খবরের সত্যতা জানলাম। জানার পরও বার বার নিজের অজান্তেই মাহমুদুন নবী ভাইয়ের আইডি আর ধর্মকারী.কম ভিজিট করছিলাম... এই বুঝি মৃত্যুসংবাদটা মিথ্যা প্রমাণ করে দিয়ে তিনি নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হবেন... কিন্তু না, তা আর হলো না...

ভাবতেই কষ্ট লাগে, পচারক ভাইকে দেয়া মেসেজটা আর কোনদিনই seen হবে না... যেই মানুষটা ভিলেন হয়ে এসেছিলেন, তিনি মহানায়ক হয়ে বিদায় নিলেন।

আমরা তাঁর স্মৃতিকে ধরে রেখে তার কাজকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই dhormockery.org এর মধ্য দিয়ে। ধর্মকারীর ওয়েব এড্রেস কিংবা এডমিন চেঞ্জ হতে পারে কিন্তু ধর্মকারী কখনও থেমে যাবে না। মাহমুদুন নবী ওরফে ধর্মপচারক ভাই আমাদের ধর্মপঁচানীর যে অভিনব কৌশল শিখিয়ে গেছেন, তা ভুলি কি করে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন