আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

মঙ্গলবার, ৬ জুন, ২০১৭

হাদীসের প্রথম পাঠ - ০৯



লিখেছেন নরসুন্দর মানুষ


ধর্মত্যাগী-নাস্তিক-ধর্মদ্রোহী

বাংলাদেশে এইযে ব্লগার হত্যা, নাস্তিক নিধন, চাপাতীর নিচে কল্লা কর্তন চলে, তার শিক্ষা এসেছে মুহাম্মদের হাদীস থেকেই! একবার ইসলাম ত্যাগ করলে আপনাকে হত্যা না করা মহাপাপ, আপনার রক্তেই ঠান্ডা হয় মুহাম্মদ ও তার আল্লাহ নামের কাঠপুতুলের কলিজা! মুহাম্মদের পরিস্কার নির্দেশ: যে কেউ তার দ্বীন (ইসলাম) বদলে ফেলে তাকে তোমরা হত্যা কর।

বুখারী-২-২৩-৪৮৩:   মুহাম্মদ-এর ওফাতের পর আবু বকর-এর খিলাফতকালে আরবের কিছু সংখ্যক লোক মুরতাদ হয়ে যায়। তখন ‘উমর (আবু বকর-কে লক্ষ্য করে) বললেন: আপনি (সে সব) লোকদের বিরূদ্ধে কীভাবে যুদ্ধ করবেন (যারা সম্পূর্ণ ধর্ম ত্যাগ করেনি বরং যাকাত দিতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করেছে মাত্র)? অথচ রাসুলাল্লাহ ইরশাদ করেছেন: লা ইলাহা ইলল্লাহু বলার পূর্ব পর্যন্ত মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার আদেশ আমাকে দেয়া হয়েছে, যে কেউ তা বলল, সে তার সম্পদ ও জীবন আমার পক্ষ থেকে নিরাপদ করে নিল। তবে ইসলামের বিধান লংঘন করলে (শাস্তি দেওয়া যাবে), আর অন্তরের গভীরে (হৃদয়াভ্যন্তরে কুফরী বা পাপ লুকানো থাকলে এর) হিসাব-নিকাশ আল্লাহর যিম্মায়। আবু বকর বললেন: আল্লাহর কসম, তাদের বিরুদ্ধে নিশ্চয় আমি যুদ্ধ করবো যারা সালাত ও যাকাতের মধ্যে পার্থক্য করবে, কেননা যাকাত হল সম্পদের উপর আরোপিত হক। আল্লাহর কসম, যদি তারা একটি মেষ শাবক যাকাত দিতেও অস্বীকার করে যা রাসূলাল্লাহ-এর কাছে তারা দিত, তাহলে যাকাত না দেওয়ার কারণে তাদের বিরুদ্ধে আমি অবশ্যই যুদ্ধ করবো। ‘উমর বলেন: আল্লাহর কসম, আল্লাহ আবু বকর-এর হৃদয় বিশেষ জ্ঞানালোকে উদ্ভাসিত করেছেন বিধায় তাঁর এই দৃঢ়তা, এতে আমি বুঝতে পারলাম তাঁর সিদ্ধান্তই যথার্থ।

বুখারী-৯-৮৩-১৭:             মুহাম্মদ বলেছেন: কোনো মুসলিম ব্যক্তি যিনি সাক্ষ্য দেন যে আল্লাহ ছাড়া আর কোন উপাস্য নেই এবং আমি আল্লাহর রাসুল। তিন-তিনটি কারণ ব্যতীত তাকে হত্যা করা বৈধ নয়। (যথা) প্রাণের বদলে প্রাণ। বিবাহিত ব্যভিচারী। আর আপন দ্বীন পরিত্যাগকারী মুসলিম জামাআত থেকে বিচ্ছিন্ন ব্যক্তি।

বুখারী-৯-৮৪-৫৭:            আলী-এর নিকট একদল যিন্দীককে (নাস্তিক ও ধর্মদ্রোহী) আনা হল। তিনি তাদেরকে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিলেন। এ ঘটনা ইবনে আব্বাস- এর কাছে পৌঁছলে তিনি বললেন, আমি হলে কিন্তু তাদেরকে পুড়িয়ে ফেলতাম না। কেননা, রাসুলুল্লাহ–এর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে যে, তোমরা আল্লাহর শাস্তি দ্বারা শাস্তি দিও না। বরং আমি তাদেকে হত্যা করতাম। কেননা, রাসুলুল্লাহ–এর নির্দেশ রয়েছে, যে কেউ তার দ্বীন বদলে ফেলে তাকে তোমরা হত্যা কর।


বুখারী-৯-৮৪-৬৪:            আলী বলেছেন: আমি যখন তোমাদেরকে রাসুলুল্লাহ–এর কোন হাদীস বর্ণনা করি ‘আল্লাহর কসম’! তখন তাঁর উপর মিথ্যা কথা আরোপ করার চেয়ে আকাশ থেকে নিচে পড়ে যাওয়াটা আমার কাছে শ্রেয়। কিন্তু আমি যদি আমার ও তোমাদের মধ্যকার বিষয় সম্পর্কে কিছু বলি, তাহলে মনে রাখাতে হবে যে, যুদ্ধ একটি কৌশল। আমি রাসুলুল্লাহ কে বলতে শুনেছি, শেষ যুগে এমন এক সম্প্রদায়ের আবির্ভাব হবে যারা হবে অল্পবয়স্ক যুবক, নির্বোধ। তারা সৃষ্টির সবচাইতে শ্রেষ্ঠতম কথা থেকে আবৃত্তি করবে। অথচ ঈমান তাদের গলদেশ অতিক্রম করবে না। তারা দ্বীন থেকে এমনভাবে বের হয়ে যাবে যেমন তীর শিকার ভেদ করে বের হয়ে যায়। তাদেরকে যেখানেই তোমরা পাবে হত্যা করবে। কেননা তাদেরকে হত্যা করলে হত্যাকারীর জন্য কিয়ামত দিবসে প্রতিদান রয়েছে।

বুখারী-৮-৮২-৭৯৭:   উকল গোত্রের একদল (অথবা উরাইনা গোত্রের;  আমার জানামতে তিনি উকলা গোত্রেরই বলেছেন) মদীনায় এলো, তখন নবী তাদেরকে দুগ্ধবতী উটের কাছে যাওয়ার নির্দেশ করলেন। তাদেরকে আরো নির্দেশ করলেন যেন তারা সেসব উটের কাছে গিয়ে সেগুলোর দুধ ও পেশাব পান করে। তারা তা পান করল। অবশেষে যখন তারা সুস্থ হয়ে গেল, তখন রাখালকে হত্যা করে উটগুলো হাঁকিয়ে নিয়ে চলল। ভোরে নবী-এর কাছে এ সংবাদ পৌছাল। তিনি তাদের খোঁজে লোক পাঠালেন। রৌদ্র চড়ার আগেই তাদেরকে নিয়ে আসা হল। তাদের সম্পর্কে তিনি নির্দেশ করলেন, তাদের হাত-পা কাটা হল। তারা পানি পান করতে চাইল। কিন্তু পান করানো হলোনা। আবু কিলাবা বলেন: ঐ লোকগুলো এমন একটি দল যারা চুরি করেছিল, হত্যাও করেছিল, ঈমান আনার পর কুফরী করেছিল আর আল্লাহ্ ও তাঁর রাসুলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিলো।

বুখারী-৯-৮৯-২৭১:   এক ব্যক্তি ইসলাম গ্রহন করার পর পূনরায় ঈহুদী ধর্ম অবলম্বন করে। তার কাছে হযরত মুআয ইবন যাবাল এলেন। তখন সে লোকটি আবু মুসা-এর কাছে ছিল। তিনি (মুআয) জিজ্ঞাসা করলেন, এর কি হয়েছে? তিনি বললেন: ইসলাম গ্রহন করেছিল। অতঃপর ঈহুদী হয়ে গেছে। হযরত মুআয বললেন: একে হত্যা না করে আমি বসবো না। মহান আল্লাহ্ ও তাঁর রাসুলের বিধান (এটাই)।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন