আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

বৃহস্পতিবার, ১৭ আগস্ট, ২০১৭

“সংক্ষিপ্ত কুরআন”-০১ (ইবুকের ভূমিকা ও শুরুর চার কারণ)

লিখেছেন নরসুন্দর মানুষ
ভূমিকা

“শোনো এভাবে তুমি সত্যটা বুঝতে পারবে না!
সত্যিকারের ইসলামকে জানতে হলে কোরআন বুঝে পড়তে হবে!”

এমনটাই বলেন মডারেট মুমিন ও মুক্তচিন্তার মানুষেরা! কিন্তু কোরআন কি ধারাবাহিকভাবে পড়লেই বোঝা সম্ভব? এমনকি আট/দশ'টি তাফসীর (ব্যাখ্যা) গ্রন্থ বগলে নিয়ে ‘সূরা ফাতেহা’ থেকে ‘সূরা নাস’ পর্যন্ত পড়লেই কোরআন তার সকল রহস্য উন্মোচিত করে সহজবোধ্য হয়ে যাবে! এমনটা যারা ভাবেন, তারা নিজেরা কখনই বিষয়টি চেষ্টা করে দেখেননি! তাই এই লাইনটি শুনে কারও মেজাজের বিচি যদি সপ্তমে উঠে যায়, তবে কী করার থাকতে পারে!

২০০৮ সাল থেকে কোরআনের সহজবোধ্যতা নিয়ে মাথা ঘামানো শুরু করি, প্রথমেই চেষ্টা করতে শুরু করি কোরআনকে অবতীর্ণ হবার ধারাবাহিকতা অনুসারে সাজাতে; মোটামুটি ২০১৬-এর শুরুতে কাজটি শেষের দিকে আনতে পারি! ‘ধর্মকারী’-তে ১৮ জুন, ২০১৬ থেকে ‘কোরআন যেভাবে অবতীর্ণ’ শিরনামে সিরিজ আকারে প্রকাশ শুরু হয় তার। সিরিজের ২০ তম পর্বে এসে উপলব্ধি হয়, কোরআন অবতীর্ণ হবার ক্রমাণুসারে পড়াটাও বিরক্তিকর এবং একঘেয়ে; একান্ত কোরআন গবেষক ছাড়া এভাবে কোরআন পড়া ও বোঝা, মুখে শুকনো আটা চিবানোর মত ক্লান্তিদায়ক!

প্রবল ভাবনা চেপে ধরে মাথার ভেতর; কিভাবে পুরো কোরআন’কে একটি উপন্যাস পাঠের আনন্দে বোঝা ও পাঠ করে শেষ করা সম্ভব, তার হদিস খুঁজতে শুরু করি; সংগ্রহে থাকা প্রায় ২ টেরাবাইট ইসলামী ইবুক, গবেষণাপত্র, ভিডিও ডকুমেন্টারি এবং ব্যাক্তিগত বইপত্র ঘাঁটতে ঘাঁটতে এক চমৎকার আইডিয়া খেলে যায় মস্তিস্কে! মাত্র ৪৮ ঘন্টায় ৩৫০০ পৃষ্ঠা ‍প্রিন্ট করি প্রিন্টারে; লিখতে শুরু করি কোরআন নিয়ে এক সহজবোধ্য উপন্যাস “সহজ কুরআন”

“সহজ কুরআন” ২০০ পৃষ্ঠা লেখার পর পূণরায় উপলব্ধি হয় (উপলব্ধির পর উপলব্ধি! উপলব্ধির জাহাজ!) পুরো কোরআন উপন্যাস আকারে শেষ করতে প্রায় ৭০০ পৃষ্ঠার মত লিখতে হবে! যা লম্বা সময় না নিয়ে শেষ করা আমার জন্য কিছুটা কঠিন (পেশা জনিত কারণে প্রতিদিন ১২ ঘন্টা ব্যস্ত থাকে নাপিত!); তাই সেটিকে ২০১৮ সালের প্রকাশ তালিকায় পাঠিয়ে দিয়ে নতুন করে শুরু করলাম “সংক্ষিপ্ত কুরআন’’ এটিকে পুরো কোরআনের একটি মিনিপ্যাক সংস্করণ বলা চলে, আপনি ইবুকটি পাঠ শেষ করার পর কোরআনের আলোকে মুহাম্মদের মনোজগতের একটি রূপরেখা পেয়ে যাবেন; কোরআনের মূল বিন্যাস, বক্তব্য ও অবিন্যস্ততা অনেকটাই সহজবোধ্য হয়ে যাবে এবং আপনি যদি কোরআন নিয়ে বেশী সচেতন/জটিল/গবেষক পাঠক হয়ে থাকেন, তবে পুরো কোরআনের উপন্যাস “সহজ কুরআন” পাঠের আশায় অপেক্ষা করতে থাকবেন!

শুভেচ্ছা;
নরসুন্দর মানুষ



 শুরুর চার কারণ

এক: কুরআন কেনো জটিল?         পৃথিবী বিখ্যাত ৫০০ পৃষ্ঠার একটি উপন্যাস পড়তে দেওয়া হলো আপনাকে, তবে পড়ার আগে বইটির প্রতিটি পাতা ‘তাস (প্লেয়িং কার্ড) খেলার মত এলোমেলো মিশিয়ে দেওয়া হলো! কতটুকু আগ্রহ নিয়ে পড়তে পারবেন আপনি?

আপনার কাছে কুরআনের যে অনুবাদ আছে, তার অবস্থা এর থেকেও জটিল! উপন্যাসটি যদি আপনি আগে দু-একবার পড়ে থাকেন, তবে এলোমেলো পাতা থেকেও বুঝে নিতে পারবেন কোন পৃষ্ঠায় কীভাবে এগুচ্ছে ঘটনাক্রম; ‍কিন্তু কুরআনের ক্ষেত্রে সেটা শতবার পড়া থাকলেও সম্ভব নয়; কারণ, কুরআন কোনো সময়ক্রম বা ঘটনাক্রম অনুসারে ধারাবাহিক সংকলিত হয়নি!

কুরআনের প্রতিটি সূরাকে এক একটি অধ্যায় না বলে, বাজারের একটি ব্যাগ বলা চলে; যাতে বাজার শেষের পর আলু-পটল-মরিচ-আদা-টমেটো-পিয়াজ-মাছ-শাক একসাথে থাকে! আপনি যদি চোখ বন্ধ করে একের পর এক তুলতে থাকেন; বুঝতে পারবেন না পরের বার ঠিক কী উঠে আসবে! কুরআনের প্রতিটি সূরা’র আয়াত গুলোর অবস্থা ঠিক এমনটাই!

দুই: কুরআন একঘেয়ে কেনো?                মনে করুন আপনি একজন সাংবাদিক, একজন ‘নির্বাচন প্রার্থী’র সমাবেশের বিষয় লিখে রাখা আপনার দায়িত্ব; লিখতে গিয়ে বুঝতে পারছেন, নির্বাচন প্রার্থী বিভিন্ন সমাবেশে একই বিষয়ে কথা বলছেন; তবে সময়, পরিবেশ, স্থান ও শ্রোতার পরিবর্তনে তার বর্ণনা কিছুটা করে বদলে যাচ্ছে; তিনি একই বিষয়ে কখনো বিস্তারিত, কখনো সংক্ষিপ্ত আকারে বলছেন। এবার আপনি যদি নির্বাচনের পর আপনার নোটবুকটি কাউকে পড়তে দেন, তবে পাঠক একই বিষয়বস্তুর পূনরাবৃত্তিতে যেভাবে বিরক্ত হবে; কুরআন ঠিক তেমনটাই বিরক্তি দেয় পাঠককে! ভেবে দেখুন মুহাম্মদ ২৩ বছর সময়কালে কুরআনে ৩৯ বার ‘মুসা নবী’র বিষয়ে কথা বলেছেন, ২৯০ টি আয়াতে বলেছেন নরক/দোযখের কথা; এসব যদি আপনি একটানা পড়তে বসেন, বিরক্তিতে নিজের চুল ছিড়ে ফেলাটাও কি স্বাভাবিক নয়? একটি উপন্যাস যত বিরক্তিকর হোক, ধারাবাহিকভাবে বুঝে পড়া সম্ভব; কিন্তু কুরআন নয়!

তিন: আরবী কুরআন-বাংলা অনুবাদ!           ‘রবীন্দ্রনাথ’ তার লেখা ‘গীতাঞ্জলী’ ইংরেজীতে অনুবাদ করার সময় ‘অভিসার’ শব্দের অনুবাদ করেছিলেন ‘Night of Love-নাইট অফ লাভ’! বাংলাভাষী হিসাবে বুঝতে পারি, Night of Love অভিসার শব্দের দশ ভাগও প্রকাশ করে না! অভিসার শব্দের অনুভূতি ইংরেজীতে অনুবাদ করতে কমপক্ষে ২০ থেকে ৩০ শব্দের প্রয়োজন। কুরআনের ক্ষেত্রে অবস্থা আরও জটিল; কারণ, কোনো অনুবাদেই আরবী ভাষার শ্রুতিময়তা আর কুরআনের কাব্যসূর তুলে আনা সম্ভব নয়। আরবী ভাষা না জানার পরেও, সূর করে না বুঝে আরবী কুরআন পুরোটা একটানা পড়া সম্ভব, কিন্তু কোনো ভাষার অনুবাদেই সেটা সম্ভব নয় একেবারেই। কাব্য-সাহিত্যের অনুবাদ মানে, আদর-যত্ন করে ধর্ষণ করা! এটি অবশ্য যেকোনো সাহিত্য-কর্মের ক্ষেত্রেই সত্য। অনুবাদে কেবল অর্থ প্রকাশ করা সম্ভব, সূর-ছন্দ-মাধুর্য্য নয়।

চার: কুরআনের ইত্যাদি সমস্যা!                মুহাম্মদ তার নবী জীবনের ২৩ বছর সময়কালে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন অবস্থা উপলক্ষে যেসব কুরআনের আয়াত প্রকাশ করেছেন তার সিরিয়াল নম্বর (আয়াত নম্বর) কুরআন পাঠের সাবলীল গতিকে খর্ব করে, আর এক প্রসঙ্গ থেকে অন্য প্রসঙ্গে হঠাৎ চলে আসাটাও আগ্রহহীন করে তোলে পাঠককে।

আর, “এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম!” যদি এটি কুরআনের আয়াত হয়, তবে বাংলাদেশী হিসাবে আপনি যা বুঝবেন; একজন চায়না-কোরিয়া-মিশরের নাগরিক তা বুঝে উঠবেন না; কারণ, আপনি এটির প্রেক্ষাপট জানেন, অন্যরা এটা জানে না। কুরআন প্রকাশ থেকে সংকলনের সময়কালীন মুহাম্মদের সাহাবী’সহ প্রায় সবাই প্রতিটি আয়াতের প্রেক্ষাপট জানতেন; আর তাই, কুরআনে বিছিন্নভাবে থাকা আয়াত বুঝতে তাদের কোনো সমস্যা হতো না; যেমন, “এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম!”, বুঝতে বাংলাদেশীদের হয় না।

৪ টি সমস্যার সমাধান কী?            শতভাগ না হলেও, সমস্যাগুলোর ৮০ ভাগ সমাধান করা সম্ভব; এই গ্রন্থটির লক্ষ্য সেটাই। আমি এমন একটি উপায় খুঁজে পেয়েছি, যাতে কুরআনকে এমন সজ্জায় সজ্জিত করা সম্ভব, যা এটিকে সহজ পাঠ্য উপন্যাসের রূপ দেবে; যেকোনো পাঠক বিনা বিরক্তিতে পুরোটা পাঠ করে শেষ করতে পারবেন এবং সহজ ভাবে প্রতিটি বিষয় বুঝে নিতে পারবেন! আর এই ‘সহজ কুরআন’ উপন্যাসটি পাঠের পর, বাজারে উপলব্ধ কুরআনের যেকোনো অনুবাদের পাতাকে তাসের মতো এলোমেলো মিশিয়ে দিলেও, তা আপনার বোধগম্যতার সীমা অতিক্রম করার যোগ্যতা লাভ করবে না।

আমি নিশ্চিত; এই গ্রন্থটি পাঠের পর থেকে আপনি নিজেই হয়ে উঠবেন একজন কুরআন ব্যাখ্যাকারী (তাফসীর কারক), একজন গবেষক; এবং মুহাম্মদের জীবন ও কুরআন নিয়ে পরিষ্কার ধারণার মুক্ত মানুষ!

বিঃ দ্রঃ- এ অধ্যায়টি “সহজ কুরআন” উপন্যাসের জন্য লেখা, কিন্তু বিষয়বস্তুর অভিন্নতার জন্য এখানেও সংযুক্ত করা হলো, এই ইবুকটিকে সহজ কুরআনের সংক্ষিপ্ত রূপ বলা চলে অবশ্যই।

৬টি মন্তব্য:

  1. আগে কমেন্ট করলাম, পরে পড়ব।
    অনেক দিন পর আপনার লেখা পেয়ে ভাল লাগল।
    TruthToSaveGeneration

    উত্তরমুছুন
  2. ভাল বুদ্ধি। সংক্ষিপ্ত কোরানের অপেক্ষায় রইলাম। তয়, মনে হয়:
    ১) "কোরানে কোন ভুল নাই", এইটা এই সংক্ষিপ্ত কোরানেই সিদ্ধ হবে;
    ২) মুল কোরানে কখনোে বলছে আল্লার ১ দিন মানুষের ১০০০ দিন, আবার কখনো ৫০০০০ দিন। আবার কোরান বিরোধীদের চ্যালেঞ্জ করে আল্লা মিয়া কখনো ১টা সুরা, কখনো ১০ সুরা। আবার কখনো পুরা কোরানের মত বই লিখে আনতে বলে। এমন বিনোদন থেকে কি আপনার সংক্ষিপ্ত কোরাণ আমাদের বঞ্চিত করবে? আপনার উপর ভরসা করে বলছি, 'না'।
    শুভ কামনা রইল আপনার ও নতুন সিরিজের জন্য।
    -TTSG

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. পুরো কোরঅানের উপন্যাস সংস্করণ অাশাকরি ২০১৮ তে অানতে পারবো..!
      বাদবাকী সময়ের অপেক্ষায় ছেড়ে রেখেছি অাপাতত!
      সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ অাপনাকে!

      মুছুন
  3. ভাইরে:

    যা প্রকাশ করছি, সবই পচারকের দেখে যাওয়া!
    পুরাতন ৩টা সহ মোট ৭ টা সিরিজ অামি লিখতে শুরু করেছিলাম, সবগুলোর যতটুক করে পচারক দেখে গেছেন! সেগুলোই দিচ্ছি!

    পচারকের মৃত্যুর পর অামি অার নতুন করে ১ লাইনও লিখিনি!…

    জীবনে একটা পুরুষ পোলার প্রেম পরে এমন দাগা খামু ভাবিনি কখনও!……

    অামার জন্য হুবালের দরবারে একটা খাসি বলি দিয়েন, তাতে যদি অামার লেখার গতি অাসে..!

    অার অামৃত্যু অামি পচারককে ক্ষমা করুম না!……

    তবে শোক কাটলে দারুন কিছু জিনিষ পাবেন! যা যা পচারক দেখে গেছেন তা অামি শেষ না করে মরবো না ভাই……!

    কিন্তু অামার সময় লাগবে; কতদিন অামি জানিনা সেটা..!!!

    উত্তরমুছুন
  4. অ মমিমন এইডা কি শুরু করলি? থামলি ক্যান????

    উত্তরমুছুন