শুক্রবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১০

কাবিলের কাণ্ড

লিখেছেন মুখফোড়

হাবিল আর কাবিল দুই ভাই। হাবিল ভেড়া চরায়, কাবিল চাষবাস করে। ফসল উঠলে কাবিলের বউ পায়েস রাঁধে, পোলাও করে, আর হাবিলের বউ ভেড়ার মাংস কাঠিতে গেঁথে পোড়ায়। তারপর দুই ভাই বউপোলাপান নিয়ে বসে খায় গপাগপ।

এভাবেই চলছিলো দিন, হঠাৎ একদিন এক স্বর্গদূত এসে হাজির।

হাবিল কাবিল স্বর্গদূতদের খুব একটা পছন্দ করে না, ঈশ্বরের বার্তা নিয়ে আসে এরা, সে-ই ঈশ্বর যে তাদের বাবাকে পাছায় লাথি মেরে নন্দন কানন থেকে বার করে দিয়েছিলো, কী না কী একটা ফালতু ফল খাওয়ার সামান্য অপরাধে। ঐরকম বদমেজাজী ঈশ্বরদের কাছ থেকে শতহস্ত দূরে থাকাই শ্রেয়, ভাবে হাবিলকাবিল।

স্বর্গদূত এসে শোঁ শোঁ করে শ্বাস টানে নাক দিয়ে। "আরেব্বাহ, কী বাস ছাইড়েছে!" উৎফুল্ল গলায় বলে সে। "অ হাবিলদা, অ কাবিলদা, ভাবীছাবেরা পোলাও রাইনছে নি?"

হাবিল বলে, "হুঁ, কিন্তু তোমারে দিমু না।"

স্বর্গদূত হাসে গ্যালগ্যাল করে। "আরে তুমাদের এই পোলাও কি আমার প্যাটে সইবে গো? কিন্তু আমারে না দিলে, ঈশ্বরকে তো ভেট দিতে হবে দাদারা!"

কাবিল বলে, "ক্যান ক্যান ক্যান?"

স্বর্গদূত খিলখিল করে হাসে, "কী বোকাচো-- তুমি! ঈশ্বরের দুনিয়াতে থাইকতেছো খাইতেছো, আর তারে ভেট দিবা না? কাইলকে বেহানবেলা বড় মাঠে গিয়ে যার যার ভেট রাইখে আইসতে হবে, বুইলে পাঠিয়েছেন ঈশ্বর!"

হাবিল বলে, "ভেট না দিলে?"

স্বর্গদূত গম্ভীর হয়ে যায়। "ভেট না দিলে কী হবে তা তুমাদের বাপ আদমরে গিয়ে জিগাইস করো!" এই বলে ডানা মেলে উড়ে যায় সে।

হাবিল কাবিল নিজেদের মধ্যে গুজগুজ করে শলা করে। এরকম মস্তান ঈশ্বরের সাথে ঝামেলায় না গিয়ে ভেট দেয়াই মনস্থির করে তারা।

পরদিন কাকভোরে হাবিল নিয়ে যায় কাঠিতে গাঁথা এক কুড়ি মাংসের কাবাব, আর কাবিল নিয়ে যায় এক হাঁড়ি পোলাও। মাঠে সেগুলি রেখে তারা চুপিচুপি চলে আসে।

সকালে গিয়ে হাবিল দ্যাখে, তার কাঠিগুলোই পড়ে আছে, কাবাব উধাও। আর কাবিল গিয়ে দ্যাখে, তার হাঁড়ির পোলাও যেমনি ছিলো তেমনি আছে। 

বাড়ি ফিরে হাবিলকাবিল যার যার বউকে খবর দ্যায়। হাবিল বলে, "ও হাবলুর মা, শুনছনি, আমার কাবাব তো ঈশ্বর কবুল করছেন।"

কাবিল বলে, "কাবলুর মা, কী বালের পোলাও রানছিলা, ঈশ্বর কবুল করলো না?"

হাবিলের বউ বেরিয়ে এসে এক চক্কর নেচে বলে, "দ্যাখতে হবে না, কে কাবাব পোড়াইছে? ঈশ্বর কবুল না কইরা যাইবো কই?"

কাবিলের বউ চটেমটে বেরিয়ে এসে বলে, "বলি ও আদমের পো, রোজ রোজ তো এই পোলাও পাতিল চাইছা খাও, তোমার তো মুখে ঠিকই রোচে, ঈশ্বর ক্যান কবুল করলো না তার আমি কী জানি?"

হাবিলের বউ কটাক্ষ করে, "আমার কাবাবের কাছে কি অর পোলাও ঠ্যাকে নাকি? কিয়ের লগে কিয়ের তুলনা, চান্দে আর বান্দরের পোন্দে!"

কাবিলের বউ তেড়ে যায়, "অই আবাগীর বেটি, মুখ সামলাইয়া কথা কবি! ম্যাড়ার মাংস সবাই পোড়াইতে পারে, পারলে পোলাও রাইন্ধা দ্যাখা!"

এভাবে প্রবল এক কাজিয়া শুরু হয়ে যায়, হাবিলের বউ কাবিলের বউ চুলাচুলি শুরু করে, ক্রমে হাবিল আর কাবিলও ট্যাগ টীম পার্টনার হিসেবে তাতে যোগ দ্যায়, আর চাষবাস করে পোক্ত কাবিল অলস ভেড়াচারক হাবিলকে পর্যুদস্ত করে ফেলে, এবং টাঙ্গির কোপে তাকে হত্যা করে। হাবিল কাবিলের যৌথ পরিবারে নেমে আসে এক কালো ছায়া।

কাবিল হাবিলের লাশটা নিয়ে কী করবে বুঝে পায় না। শেষে তার মনে পড়ে, হাবিল ছোটবেলায় মারপিটের সময় হাঁক ছাড়তো, "একদম গাইড়া ফালামু তরে, খানকির পুলা, একদম গাইড়া ফালামু!" সে দাঁতে দাঁত পিষে একটা কোদাল নিয়ে রওনা হয় বড় মাঠের দিকে, হাবিলের লাশটাকে সে একেবারে আলুর বীজের মতো পুঁতে ফেলবে।

মাঠে গিয়ে কয়েক কোপ কোদাল হাঁকাতেই হঠাৎ চারিদিক প্রকম্পিত করে এক কনঠস্বর বলে ওঠে, "আদমপুত্র কাবিল, এ তুমি কী করেছো?"

কাবিল ভয়ে কেঁপে ওঠে, এই রে, ঈশ্বর ব্যাটা এসে হাজির। মুসিবৎ! সে কোদাল নামিয়ে রেখে বলে, "প্রভু, গর্ত করি!"

ঈশ্বর বলেন, "আবঝাব কথা রাখো কাবিল। হাবিলকে হত্যা করলে কেন?"

কাবিল বলে, "না না প্রভু, হাবিলকে আমি হত্যা করি নাই। আমি ওকে নিয়ে বউদের ঝগড়া থামাতে গিয়েছিলাম, কিন্তু আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা আমাদের উপর এলোপাথাড়ি হামলা করে, এক পর্যায়ে পালাতে গিয়ে ক্রসকোপে হাবিল নিহত হয়!"

ঈশ্বর কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে বলেন, "ক্রসকোপ?"

কাবিল ঢোঁক গিলে বলে, "হাঁ প্রভু!"

ঈশ্বর এবার রাগে ফেটে পড়েন, "তুমি কি আমাকে বেকুব পেয়েছো নাকি কাবিল? পৃথিবীতে তুমি প্রথম নরহত্যা শুরু করেছো হে ভাতৃঘাতী কাবিল, আবার খোঁড়া অজুহাত দিয়ে ঈশ্বরের চোখে ধূলো দিতে চাও? রোসো, দেখাচ্ছি মজা! শুনে রাখো কাবিল, আজ থেকে তুমি হবে যাযাবর। তোমার পাপ তোমাকে তাড়া করে ফিরবে। তুমি হাবিলের লাশ লুকিয়ে রাখতে পারবে না, আমৃত্যু এই লাশ তোমাকে তাড়া করে ফিরবে! তোমার জীবন হবে অভিশপ্ত শৃগালের! ... আর আমার সাথে এই ক্রসকোপের গপপো ফাঁদার শাস্তি তুমি পাবে ইহকাল শেষ হলে, ব্যাটা ফাজিল!"

কাবিল বিমর্ষ মুখে মাথা চুলকাতে চুলকাতে বাড়ি ফিরে যায়, আর ভাবে, এই মেয়েমানুষ সব নষ্টের গোড়া! কী একটা মুসিবতে পড়া গেলো! রাগে তার শিরোভাগ তপ্ত হয়ে ওঠে, বউ আর ভাবীকে পিটানোর জন্য সে বাঁশঝাড় থেকে কয়েকটা কঞ্চি ভেঙে নেয়।

বিষয় – বিশ্বাস ও বিজ্ঞান

চিরন্তন দ্বন্দ্ব: বিশ্বাস ও বিজ্ঞান। বিজ্ঞানের ভিত্তি - পর্যবেক্ষণ, পরীক্ষা, প্রমাণ। পক্ষান্তরে, বিশ্বাস সম্পূর্ণতই প্রমাণহীন। পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষার প্রশ্নই নেই। তারপরেও বিশ্বাসের দাবি, সে সব জানে। বিজ্ঞান কক্ষনও তা বলে না। There is no shame in admitting you don't know something. On the contrary, the only shame is in claiming "you know" when you don't and can't possibly know.

ভিডিওটি অতীব চমৎকার। বানিয়েছেন QualiaSoup। তাঁরই বানানো আরও একটি অসাধারণ ভিডিও আগে পোস্টিত হয়েছিল ধর্মকারীতে।


বৃহস্পতিবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১০

ছাগুশ্রেষ্ঠ নির্বাচন


একদমই রসিকতা নয়। বুধবারে সৌদি বারবারিয়ায় শুরু হয়েছে "সবচেয়ে সৈন্দয্যবান ছাগু" প্রতিযোগিতা। একেবারে পবিত্র নগরী মক্কায়।


চতুষ্পদী প্রতিযোগীদের প্রত্যেকটিই বিশুদ্ধ "হিজাজি" প্রজাতির। শ্রেষ্ঠতম ছাগুটি আঠারো হাজার ডলারে বিক্রি হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। 

তবে বঙ্গদেশীয় ছাগুদের এই প্রতিযোগিতায় আমন্ত্রণ না জানানোর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

প্রাসঙ্গিক একটা ভিডিওও পেয়ে গেলাম।






অভ্রান্ত ডারউইন


২০০৪ সালের নভেম্বর মাসে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক পত্রিকার প্রচ্ছদটি ছিলো এরকম:


প্রচ্ছদপ্রশ্নের সংক্ষিপ্ত উত্তর ছিলো: No. The evidence for evolution is overwhelming.

সেই প্রচ্ছদকাহিনী পড়তে কেউ উৎসাহী হলে বা সংগ্রহে রাখতে চাইলে তার জন্যে লিংক

ঐশী পুরীষ


বিশ্বাস নিয়ে হাসাহাসি করবো না কেন, বলুন তো! বিশ্বাসের প্রভাবে মানুষ কতোটা নির্ঘিলু ও নির্মগজ হয়ে যেতে পারে, তার আরও একটি উদাহরণ দেখুন। খবরটি অবশ্য বছর দেড়েক আগের। তবে এর রস চির-টাটকা 

টোস্টে, ফ্রাইং প্যানে, দরজার কাঠে, ফলের ভেতরে এবং ইত্যাকার নানান স্থানে-অস্থানে যিশু বা মেরির প্রতিকৃতি বা আল্লাহর নাম খুঁজে পায় বিশ্বাসীরা, এমন খবর তো আমরা অহরহই পড়ি। কিন্তু তাই বলে পাখির গুয়ে যিশুর প্রতিকৃতি! এবং বলা হচ্ছে, স্বর্গ থেকে প্রেরিত! 

এবিসি নিউজ চ্যানেলের ভিডিও-রিপোর্টে বিস্তারিত দেখার পরে ইউটিউব থেকে উদ্ধৃত করা কিছু খাসা মন্তব্য পড়ে ফেলুন।


# holy shit

# It looks like a vagina

# Religion is full of shit. Now shit is full of religion, too.

# Holy shit! no really, it's? holy shit. What the hell's wrong with this world? I wanna punch that woman and the people who reported on it.

# just one more reason religion is shit

চার্চের পছন্দের আসন



এ কথার অর্থ কি এরকম? নিচে দু'টি ছবি ও একটি কার্টুন দেখুন। (ইমো খিয়াল কৈরা )



অর্থাৎ


নাকি চার্চের লোগো এমনটি বানিয়ে ফেলা উচিত?


শয়তানের ইতিহাস


শয়তান, ডেভিল, সেইটান, ডিমন ইত্যাকার নানান নামে তাকে ডাকা হয়ে থাকে। ফেরেশতাদের মতো সে-ও ধর্মগুলোর অনিবার্য চরিত্র। তাকে নিয়ে বানানো ডকুমেন্টারি।



বুধবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১০

স্বেচ্ছাসেবক চাই


হে পাপিষ্ঠ পাঠকেরা,

ধর্মকারীতে প্রকাশিতব্য প্রচুর মালমশলা (ক্রমবর্ধমান) আর আইডিয়া (নিত্যনবায়িত) মাথায় নিয়ে বসে আছি। কিন্তু বাস্তবায়নের জন্য যথেষ্ট সময় পাচ্ছি না। তাই প্রয়োজন হয়ে পড়েছে কিছু সাহায্যকারী হাতের - খণ্ডকালীন বা নিয়মিত। খুব শ্রমসাধ্য ও সময়সাপেক্ষ নয়, এমন কিছু অনুবাদকর্মের জন্যে সপ্তাহে অন্তত দু'-এক ঘণ্টা ব্যয়ে আপত্তি না থাকলে সক্ষম ও আগ্রহীরা dhormockery অ্যাট gmail.com ঠিকানায় যোগাযোগ করুন। 

ধর্মকারীর জন্যে স্বেচ্ছাসেবকদের (বলা উচিত - স্বেচ্ছাঅনুবাদকদের) সম্পূর্ণ অবৈতনিক ও নিঃস্বার্থ এই অবদান আল্লাহতায়ালা নিশ্চয়ই অপুরস্কৃত রাখিবেন না।

ভবদীয়,
ধর্মপচারক

মঙ্গলবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১০

নামাজরঙ্গ – ০৩


হেঁটমুণ্ডু ঊর্ধ্বপোঁদীদের নিয়ে করা হাহাপগে রঙ্গ 

ধর্মাতুল কৌতুকিম – ১৮

৪৬.
মা হাতে তুলে নিলেন পুরনো এক বাইবেল। খোলার সময় সেটির ভেতর থেকে পড়ে গেল গাছের একটি পাতা - বুকমার্ক হিসেবে রাখা ছিলো। তাঁর শিশুপুত্র পাতাটি তুলে নিয়ে জিজ্ঞেস করলো:
– এটা কী, মা? আদমের আন্ডারওয়্যার?


৪৭.
– ক্রিসমাস ট্রি এবং ক্যাথলিক ধর্মযাজকদের মধ্যে সাদৃশ্য কোথায়?
– They both have balls just for decoration!


৪৮.
ধর্মগুলো আধুনিক নয় বলে করা অভিযোগটি যে ভিত্তিহীন, তার একটি প্রমাণ দেয়া যায়। এই যেমন, নুহ নবী দীর্ঘ চল্লিশটি দিন তন্ন-তন্ন করে খুঁজেছেন পার্কিং স্পেস।

ক্রিসমাসোত্তর পোস্ট: ফাক ক্রিসমাস


কিংবন্তীর কমিক গ্রুপ মন্টি পাইথনের গাওয়া চূড়ান্ত মজাদার গান: ফাক ক্রিসমাস। লিরিকস দেয়া আছে।


লিরিকস:

Fuck Christmas!
It's a waste of fucking time
Fuck Santa
He's just out to get your dime,
Fuck Holly and Fuck Ivy
Fuck Christmas!
It's a waste of fucking time
Fuck Santa
He's just out to get your dime,
Fuck Holly and Fuck Ivy
And fuck all that mistletoe
White-bearded big fat bastards
Ringing bells where e'er you go
And bloated men in shopping malls
All going Ho-Ho-Ho
It's fucking Christmas time again!

Fuck Christmas
It's a fucking Disney show
Fuck reindeer
And all that fucking snow
Fuck carols
And fuck Rudolph
And his stupid fucking nose
And fucking sleigh bells tinkling
Everywhere you fucking goes
Fuck stockings and fuck shopping
It just drives us all insane.
Go tell the elves
To fuck themselves
It's Christmas time again!

ক্রিসমাসোত্তর পোস্ট: যিশুর পিতা কে


বাস্তবে যেমনটি হবার কথা ছিলো। ছোট্ট ভিডিওতে দেখাচ্ছে অস্ট্রেলীয় কমিক গ্রুপ দ্য চেসার।


ব্রিটেনে এখন নির্ধার্মিকেরা সংখ্যাগরিষ্ঠ


বিশ্বে অবিশ্বাসীরা বিস্ময়কর হারে সরব হতে শুরু করেছে, বেরিয়ে আসছে "আলমারি" থেকে, বাড়ছে তাদের সংখ্যা। আমার ধারণা, অবাধ তথ্যপ্রবাহ এর পেছনে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। 

অত্যন্ত প্রীতিকর একটি সংবাদ পড়লাম। মানুষের ধর্মস‌ংশ্লিষ্টতা বিষয়ে প্রতি বছর একটি জরিপ চালায় British Social Attitudes। ১৯৮৫ সালে তাদের প্রথম জরিপের ফলাফল ছিলো এরকম: ব্রিটেনের শতকরা ৬৩ জন নিজেদের খ্রিষ্টান বলে দাবি করেছিল এবং ধর্মহীনদের সংখ্যা ছিলো শতকরা ৩৪ ভাগ। এ বছর চালানোর জরিপের ফলাফল: ৪২ শতাংশ উত্তরদাতারা নিজেদের খ্রিষ্টান মনে করে এবং নির্ধার্মিকদের সংখ্যা ৫১ শতাংশ!

অর্থাৎ খ্রিষ্টান ছাড়াও ব্রিটেনে বসবাসরত মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, ইহুদিসহ সমস্ত ধর্মের অনুসারীদের সংখ্যা ধর্মহীনদের চেয়ে কম! আর এই পরিবর্তন ঘটেছে মাত্র ২৫ বছরের ব্যবধানে! পত্রিকার রিপোর্টে বিস্ময় প্রকাশ করে বলা হয়েছে: What is more striking about the survey is how quickly the change has come – just a generation. 

সবই আল্লাহর মেহেরবানি। তার ইচ্ছা ছাড়া গাছের একটা পাতাও নড়ে না।

ফেরেশতা, দেবদূত, অবতার ও ইত্যাকার অ্যাঞ্জেলসমূহ


ফেরেশতা টাইপের কিছু চরিত্র প্রত্যেক ধর্মের অনিবার্য উপকরণ। একেক ধর্মে একেক নামে ডাকা হলেও তাদের ভূমিকা ও কর্তব্য বহুলাংশেই সদৃশ। তাদের ইতিহাস নিয়ে হিসট্রি চ্যানেলের ডকুমেন্টারি। 


অ্যাঞ্জেল বিষয়ে আমার ব্যক্তিগত মতামতটি নিম্নরূপ :



রবিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১০

প্রিয় পুরনো পোস্টগুলো – ২৪


ধর্মকারীতে পোস্টের সংখ্যা ষোলোশো ছাড়িয়ে গেছে। এই সাইটের খোঁজ যেসব পাঠক সম্প্রতি পেয়েছেন বা ভবিষ্যতে পাবেন, তাঁদের পক্ষে আগে প্রকাশিত মজাদার পোস্টগুলো খুঁজে নেয়া ব্যাপক শ্রম- ও সময়সাধ্য ব্যাপার হবে ভেবেই হারানো-দিনের-পোস্ট ধরনের এই সিরিজের অবতারণা। পুরনো পাপীরাও এই সুযোগে স্মৃতিচারণ করে নিতে পারেন 

প্রতি পর্বে আমার বিশেষ প্রিয় পাঁচটি পোস্টের লিংক দেবো সংক্ষিপ্ত বর্ণনাসহ। শুরু করেছি ধর্মকারীর আদিকাল থেকে।

১. নাস্তিক্যবাদের কাব্য (অসাধারণ কবিতা, ভিডিও)
২. ইসরাইল আর প্যালেস্টাইনের জন্য শান্তিসঙ্গীত (অনন্য টিম মিনচিনের অপূর্ব আইডিয়া, গান, ভিডিও)
৩. স্বনির্মিত ফাঁদে (পরম বিনোদনী ভিডিও) 
৪. ধর্মের বংশলতিকা (ধর্মগুলোর উৎপত্তি বিষয়ক ভিডিও) 
৫. সচিত্র হা-হা-হাদিস – ০৪ (স-হাদিস কার্টুন)

আগের পর্বগুলো দেখতে নিচের "কাসুন্দি" ট্যাগে ক্লিক করুন।

আমার বোরখা-ফেটিশ – ১৮


রয় অরবিসনের প্রিটি উয়োম্যান-এর আদলে বুরকা উয়োম্যান। লিরিকস বেশ মজাদার।
কয়েকটি উদাহরণ:

Burka woman, in your black sheet,
Burka woman, with your sexy feet
Burka woman my love for you it grows, every time I see your toes.
...
I'll go home and practise flirting with my living room curtain

গেয়েছেন, অবিশ্বাস্য ব্যাপার, পাকিস্তানী কমেডিয়ান সাদ হারুন! তবে যা অনিবার্য, সেটাই হয়েছে - হত্যার হুমকি পাচ্ছেন তিনি

ভিডিও দেখার আগে পড়ে নিতে পারেন পাকিস্তানে ঘটা বোরখা-সংক্রান্ত একটি ভয়াবহ ঘটনার সংবাদ (সূত্র: প্রথম আলো)।


বরফ-বরাহ


প্রতি বছর শীতকালে সুইডেনের প্রত্যেক শহরে বরফের ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়ে থাকে। সেটাই ঐতিহ্য। তো এবারে অতিকায় একটি ভাস্কর্য বানানো হয়েছে। শুয়োরের। চার গজেরও বেশি উঁচু। ওজন কয়েক টন। 

এখন নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন, এই ভাস্কর্য কাদের ধর্মানুনুভূতিতে আঘাত হেনেছে! শুধু আঘাত নয়, সব মুসলিমকে নাকি অপমানিত করা হয়েছে এই ভাস্কর্যের মাধ্যমে! 

শুয়োরের মাংস তারা খাবে না, সেটা তাদের ব্যাপার। কিন্তু আল্লাহর তৈরি জীবকে এতো ঘৃণা করার কারণটা একেবারেই বোধগম্য নয়। আর তার চেয়ে বড়ো কথা, নেহাত নির্দোষ একটি ভাস্কর্যে গায়ে পড়ে অপমানকর উপাদান আবিষ্কার করার মতো গাধামি তারা কি কখনও ত্যাগ করতে পারবে না?


আরও একটি বিলবোর্ড


আমেরিরকার নাস্তিকেরা ১ জানুয়ারি থেকে আরেকটি বিলবোর্ড ঝোলাতে যাচ্ছে। এবারের বক্তব্য একেবারেই সরাসরি এবং এবারে ধর্মব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে সবচেয়ে সক্রিয় প্রতিক্রিয়া আসবে বলে আশা করা যাচ্ছে।


টপলেস স্ট্রিপটিজ অ্যাক্রোব্যাট ও পোপের বিরল হাসি


সচরাচর খাইশটার মতো মুখ করে রাখেন ভ্যাটিকানপ্রধান। কিন্তু তাঁর মুখেও স্মিত হাসি ফুটে উঠলো কেন? স্মৃতিময় কোনও ঘটনার কথা মনে পড়ে গেল কি? নাকি সুপ্ত কোনও অপূর্ণ বাসনা বাস্তবায়নের কল্পনা করছিলেন তিনি সেই সময়? 

পোনে দুই মিনিটের ভিডিও দেখে নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিন। চাইলে পত্রিকার রিপোর্ট পড়ে নিতে পারেন শুধু, তবে পোপের মুখের রহস্যময় এবং বিরল হাসি দেখতে চাইলে ভিডিওর বিকল্প নেই।


ক্রিসমাসের বিরুদ্ধে নাস্তিকদের যুদ্ধ?


খ্রিষ্টানদের পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয়, নাস্তিকেরা নাকি ক্রিসমাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। কেমন সে যুদ্ধ? নিরীহ নিরীশ্বরীয় বাণীর বিলবোর্ড টাঙানো, টিভি চ্যানেলে গিয়ে বিতর্কে অংশ নেয়া... এসবই তো! কিন্তু প্রকৃত যুদ্ধ কেমন হওয়া উচিত, তা দেখিয়ে দিচ্ছে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীরা। 

ভারতে হিন্দু জঙ্গিরা ক্রিসমাস ক্যারল গায়ক-গায়িকাদের পিটিয়েছে। কারণ খ্রিষ্টানদের গাওয়া ভক্তিগীতি হিন্দুদের ধর্মাননুভূতিকে আহত করেছে!

ওদিকে ব্রিটেনে এক নিষিদ্ধ ইসলামী দল বের করেছে ক্রিসমাস-বিরোধী পোস্টার। সেটির ভাষা দেখুন শুধু!


অথচ দোষ হয় কি না নাস্তিকদের!

বিজ্ঞান যেভাবে বদলে দিয়েছে আমাদের পৃথিবী


গত পঞ্চাশ বছরের শ্রেষ্ঠ দশটি বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের কথা বলা হয়েছে ২৩ ডিসেম্বরে  বিবিসি-তে প্রচারিত এই ডকুমেন্টারিতে। এইসব আবিষ্কার বদলে দিয়েছে আমাদের পৃথিবী, আমাদের জীবনযাপনপদ্ধতি, আমাদের অভ্যেস, আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি। 

আমরা কিন্তু এসব নিয়ে একেবারেই ভেবে দেখি না গভীরভাবে। আমরা এসবে এতোটাই অভ্যস্ত যে, অতীব বিস্ময়কর আবিষ্কারও আমাদের বিস্ময়বোধকে নাড়া দেয় না। 

শ্রেষ্ঠ দশ নির্বাচন বিষয়ে ভিন্নমত থাকতে পারে, বিতর্কও হতে পারে, তবে একটি কথা শতভাগ সত্য, এই আবিষ্কারগুলোর পেছনে পৃথিবীর সহস্র ধর্ম, তথাকথিত ঐশীগ্রন্থগুচ্ছ, স্বঘোষিত সব নবী-রসুল ও তাদের পিতাকুল বা পিতামহমণ্ডলীর কোনও ভূমিকা একেবারেই নেই (ভুল বললাম, মনে হয়। কারণ কোরানে নাকি পৃথিবীর সমস্ত আবিষ্কারের কথা নাকি লেখা আছে!)। উল্লেখিত এই উপকরণগুলো বরং বরাবরই বিজ্ঞানবিরোধিতার জন্যে বিখ্যাত। কারণটিও সর্বজনবিদিত: বিজ্ঞান দূর করে অজ্ঞানতার অন্ধকার, আর "সব ধর্মই জোনাকি পোকার মতো। ঔজ্জ্বল্য প্রদর্শনের জন্য তাদের প্রয়োজন অন্ধকার" (Arthur Schopenhauer)।

এক ঘণ্টার ভিডিও দেখুন।


ডাইনলোড লিংক:

অথবা

সাইজ: ৫৪৮ মেগাবাইট

শুক্রবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১০

রক্তাক্ষরে লেখা কোরান


কী একটা গানে আছে না "আঙ্গুল কাটিয়া কলম বানাইয়া নয়নের জল করলাম কালি রে..."? এই লাইনটা কখনও বুঝিনি আমি। সব সময় প্রশ্ন জেগেছে মনে: আঙুল কেটে ফেললে রক্ত দিয়েই তো লেখা যায়। অনেক বেশি কার্যকরও হয় সেটা। নয়নের জলকে তাহলে কালি বানানো কেন? তাছাড়া চোখের পানি দিয়ে কিছু লিখলে তা তো দৃশ্যমান হবার কথা নয়! আর কালি হিসেবে নয়নের জলই যদি ব্যবহার করতে হয়, তাহলে আঙুল কাটার যৌক্তিকতা কী? 

কথাগুলো বললাম সাদ্দাম হোসেন সংক্রান্ত একটি খবর পড়ে। ব্যাটায় নিজের রক্ত দিয়ে কোরান শরীফ কপি করেছে! ৬০৫ পৃষ্ঠা লিখতে ব্যয় হয়েছে মাত্র ২৭ লিটার রক্ত! সেটি রাখা আছে বাগদাদের এক মসজিদের পাতালকুঠরিতে, যার কথা অধিকাংশেরই অজানা ছিলো।


এখন প্রশ্ন হচ্ছে, আল্লাহ তুষ্ট করতে সাধিত এই বেসাধারণ কাজটির পুরস্কার হিসেবে সাদ্দামের বেহেশতবাস নিশ্চিত হবে কি?

ব্ল্যাসফিমেরিক ০২

(ব্ল্যাসফিমাস লিমেরিক - এই দুই শব্দ থেকে বানানো একটি নতুন শব্দ "ব্ল্যাসফিমেরিক", এবং এই নাম দিয়ে শুরু করা হলো ছড়া সিরিজ। বলে রাখা প্রয়োজন, সব ছড়া লিমেরিক না-ও হতে পারে। আর আল্লাহ চাহে তো সিরিজটি নিয়মিত ও দীর্ঘ হবে। 
অপ্রাপ্তমনস্কদের দূরে গিয়ে কোরান পড়ার আহ্বান জানাচ্ছে ধর্মপচারক। কারণ এখানে আছে )

লিখেছেন আশেকে রাসূল

দুইখানা গদি জুড়ে শুয়ে থাকে মেজদা
আনমনে সারাদিন করে যায় সেজদা
যদি দেখে কোনো ফাঁকে পড়শিনী খুকুরে
একটানে দেয় দাদা সরাসরি রুকু রে
এরপর করতেই হয় মোরে মোনাজাত
রহমত বর্ষিত হয় সবই সোনাজাত

ইসলামী মৌলবাদ নিয়ে মূল সমস্যা

স্যাম হ্যারিস তাঁর স্বভাবসুলভ ধীর, স্থির ভঙ্গিতে বললেন, ইসলামী মৌলবাদ নিয়ে মূল সমস্যা ইসলামী মৌলবাদীরা। দারুণ উপভোগ্য। তাঁর বুদ্ধিদীপ্ত  বক্তব্য থেকে একটি বাক্য উদ্ধৃত করি: Religion is nearly a useless term. It's a term like sports. Now, there're sports like badminton, and there're sports like Thai boxing...

মাত্র সাড়ে সাত মিনিটের ভিডিও।


বড়দিনে বড়ো "দ্বীনবানের" বড়ো দীন ভাবনা


ভাবনা এক.
সব মেয়ের সতীচ্ছদ পর্দা ছিদ্র হয় বাইরের দিক থেকে, তবে মেরির হয়েছিল ভেতরের দিক থেকে।

ভাবনা দুই.
আজব এক পরিবার! মা কুমারী, মায়ের পথ অনুসরণ করে পুত্রও কুমার! ৩৩ বছর বয়স পর্যন্ত! যৌনসুখবঞ্চিতদের জন্যে করুণাই হয়।

ভাবনা তিন.
পরিবার পরিকল্পনার ছেলে-হোক-মেয়ে-হোক-একটি-সন্তানই-যথেষ্ট নীতিতে ঈশ্বরও আস্থাবান।

(রিপোস্ট: গত বছর ক্রিসমাসে প্রকাশিত)

শ্রেষ্ঠতম ক্রিসমাস সঙ্গীত


জন লেননের প্রতি আমার স্পষ্ট পক্ষপাতিত্ব আছে, এব্ং সেটি একটি কারণ হলেও হতে পারে, তবে আমি মনে করি, তাঁর গাওয়া Happy Xmas (War Is Over) গানটিই ক্রিসমাস সঙ্গীত হিসেবে শ্রেষ্ঠতম। "জিঙ্গল বেল" ধাঁচের জনপ্রিয় গানগুলো হয়তো উৎসবের আমেজ নিয়ে আসে, তবে সেগুলোয় নেই সর্বজনীনতা। 

ভিয়েতনাম যুদ্ধের প্রতিবাদ করতে গিয়ে তিনি এই গান লিখেছিলেন। প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখা উচিত হবে, ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় সাধারণ আমেরিকানদের মধ্যে তীব্র যুদ্ধবিরোধী মনোভাব জাগিয়ে তোলানোর পেছনে জন লেননের অপরিসীম ভুমিকা ছিলো। আর সেই জনমত শেষ পর্যন্ত উপেক্ষা করতে সক্ষম হয়নি তৎকালীন আমেরিকান সরকার।

১৯৬৯ সালে ক্রিসমাসের প্রাক্কালে পৃথিবীর প্রধান বারোটি শহর ছেয়ে গিয়েছিল বিলবোর্ড এবং পোস্টারে। সেগুলোয় লেখা ছিলো: WAR IS OVER! (If You Want It). Happy Christmas from John and Yoko. এর পরে ১৯৭১ সালে প্রকাশিত এই গানটির লিরিকসে জন লেনন ব্যবহার করেন বিলবোর্ড-পোস্টারে উল্লেখিত বাক্য War is over, if you want it.

ভিডিওটি দেখার আগে মন শক্ত করে নিন। অজস্র মর্মবিদারী দৃশ্য আছে এতে।




ভিডিও-র আদি ভার্সন:


ক্রিসমাসের সারকথা


পূর্ণ আকারে দেখতে ছবির ওপরে ক্লিক করুন।


প্যাট্রিক কন্ডেল: আমাদের লোক – ২৯


গডলেস ক্রিসমাস উদযাপন প্রসঙ্গে প্যাট কন্ডেলের বক্তব্য। যথারীতি অনবদ্য, ধারালো ও ব্যঙ্গাত্মক।

লক্ষ্য করুন, ভিডিওটি সাবটাইটেলসহ দেখার ব্যবস্থা আছে।

ডাউনলোড লিংক (১৬ মেগাবাইট)

বৃহস্পতিবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১০

সচিত্র হা-হা-হাদিস – ২২


উম্মতদের বেহেশতবাসের নিশ্চয়তা নবীজি দিয়েছেন বটে, তবে আল্লাহর পেয়ারে বান্দা হলেও কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাঁকে নিয়ে কী করবেন, সে বিষয়ে নিশ্চিত নন তিনি নিজেই! আজিব না ব্যাপারটা? নাকি নিজের অজস্র কুকীর্তির হিসেব কষে তিনি বেহেশতগমন প্রশ্নে দ্বিধান্বিত? 


শান্তিকামী ইসলাম


শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে শান্তির ধর্ম ইসলাম সব অমুসলিমকে হত্যা করতে প্রস্তুত।




কেষ্ট ব্যাটাই চোর


ধর্ম সংকটে পড়লে বা তার ভিত নড়বড়ে হয়ে গেলে দোষটা কার হয়, বলুন তো? অবশ্যই নাস্তিকদের! যেমন, শিশুধর্ষণের অবিরল অভিযোগ জর্জরিত ক্যাথলিক চার্চগুলোর প্রধান তো তাই ব্রিটেন ভ্রমণের শুরুতেই আক্রমণাত্মক বক্তব্য রেখেছিলেন নাস্তিকদের বিরুদ্ধে। স্পেন ভ্রমণের সময় নাস্তিক্যবাদের প্রসারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। ক্যাথলিক চার্চের ঐতিহ্যবাহী ও ক্রমবর্ধমান শিশুধর্ষণচর্চায় তাঁর উদ্বেগ কিন্তু লক্ষ্য করা যায় না। তবে আজকে খবরে পড়লাম: তিনি ক্যাথলিক ধর্মযাজকদের শিশুকামিতাকে অনিচ্ছা সত্ত্বেও কিছুটা বাধ্য হয়েই যেন লোক-দেখানো হালকা দোষারোপ করেছেন বটে, তবে মূল দোষটা চাপিয়েছেন সেক্যুলার সমাজের ওপরে! কার ভিত্রে কী! শালার ভণ্ডামি দেখে ক্রোধ সম্বরণ করা দুষ্কর হয়ে পড়ে। সে চেষ্টা অবশ্য করেননি এক সময়ের খ্যাতনামা আইরিশ গায়িকা Sinéad O'Connor। ক্ষুব্ধ, প্রতিবাদী প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছেন তাৎক্ষণিকভাবে। পোপের ভণ্ডামিময় বক্তব্যের দাঁতভাঙা জবাব পড়ুন।


এই পোপ শিশুধর্ষকদের আশ্রয় দেন, রক্ষা করেন। তিনি এই কাজ করে আসছেন বহুদিন ধরে, সে-কথাও মিডিয়ায় উঠে এসেছে বহুবার। সাম্প্রতিকতম খবর এখানে। 

শিশুধর্ষকদের রক্ষাকারী ও আশ্রয়দাতা সম্পর্কে টিম মিনচিন বলেছিলেন তাঁর পোপ-সঙ্গীতে:
But the fact remains that if you protect a single kiddy fucker
Then Pope or prince or plumber, you're a fucking motherfucker!

ভ্যাটিক্যানের আরেকটি সাম্প্রতিক স্ক্যান্ডাল। অর্থকড়ি বিষয়ে। ভ্যাটিক্যানের নিজস্ব ব্যাংকের (যা বাকি ব্যাংকগুলোর মতো নয়) মাফিয়া কানেকশন সম্পর্কে পড়ুন। এর পেছনেও নিশ্চয়ই নাস্তিকদের হাত আছে!

ক্রিসমাসের আগে খ্রিষ্টধর্মবিশ্বাসীদের আরেকটি প্রিয় বুলি শোনা যাচ্ছে: the war on Christmas। শুনে অবাক হই - কীসের যুদ্ধ? বিশ্বাসীদের বিশাল বাহিনীর বিরুদ্ধে গুটিকয়েক নাস্তিক দাঁড়াতে পারবে?

ধর্মগুলোর ব্যর্থতার দায় নাস্তিকদের ঘাড়ে চাপানোর প্রবণতা প্রসঙ্গে একটি চমৎকার নিবন্ধ পড়লাম। এক কথায় বলতে গেলে: All in all it seems to me that this meaningless mantra "aggressive atheism" is simply a handy excuse for the churches’ own failures.

ইসলামের ক্ষিপ্ত বালক


Islamic Rage Boy নামে সে পরিচিত ইন্টারনেট জগতে। ওই নামে গুগলিয়ে দেখতে পারেন, শয়ে-শয়ে ছবি আছে তার। অধিকাংশই ফটোশপিত। নিচের ছবির মাধ্যমে প্রথমে সে পরিচিতি ও প্রচার পায়। 


পরে পাওয়া যায় আরও একটি হিট ছবি, যেটির নাম দেয়া যেতে পারে: Return of The Islamic Rage Boy.


শুধু ফটোশপের মাধ্যমে তাকে পচিয়েই ক্ষান্ত হয়নি উৎসাহীরা, দু'টি মিউজিক ভিডিও-ও বানিয়েছে। ক্রিসমাসের খুব জনপ্রিয় দুই গানের সুরে: জিঙ্গল বেল এবং সাইলেন্ট নাইট 

The Pagan Christ


পৃথিবীর প্রায় এক-তৃতীয়াংশ লোক যিশুর অনুসারী। তাদের বিশ্বাস নিউ টেস্টামেন্টের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত। সেই গ্রন্থে উল্লেখ আছে যিশুর জন্ম, জীবন, মৃত্যু ও পুনর্জন্মের বিশদ বর্ণনা। সেই কথাগুলোকে নির্ভুল সত্য বলে জ্ঞান করে খ্রিষ্টানেরা। কিন্তু যিশু বলে কি সত্যিই কেউ ছিলেন? তাঁর অস্তিত্বের সপক্ষে কোনও প্রমাণ কিন্তু পাওয়া যায়নি। আর সবচেয়ে বড়ো কথা হচ্ছে, নিউ টেস্টামেন্টের অধিকাংশ গল্পই চোথামারা বা রূপান্তরিত (adapted)। একটু ঘাঁটাঘাঁটি করলেই "যিশু" নামের চরিত্রকে কাল্পনিক বলে মনে হতে থাকে।

এ বিষয়ে দেখুন আরও একটি ডকুমেন্টারি।

সাইজ: ৫৫৪ মেগাবাইট
ডাউনলোড লিংক: 
অথবা

মঙ্গলবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১০

ইসলামী ইতরামি: পুরো এক ডজন


১.
মুসলিম সমাজে পর্নো-আসক্তির প্রাবল্য অত্যধিক, এ তথ্য সর্বজনবিদিত ("সবচেয়ে যৌনবঞ্চিত, এবং সে-কারণেই সবচেয়ে যৌনক্ষুধার্ত, জাতির নাম - মুসলমান" নামের পোস্ট দ্রষ্টব্য)। আমেরিকার মেরিল্যান্ডের ইমাম এবং পর্নোমুক্তি প্রকল্পের প্রতিষ্ঠাতারা মনে করেন, পর্নো-আসক্তির মতো বিশাল সমস্যা নিয়ে আলোচনায় মুসলমানেরা অনীহ। তাই? শুধু এটাই বিশাল সমস্যা? শরিয়া, শিশুবিবাহ, জিহাদ - এসব কোনও সমস্যা নয়? এসব নিয়ে গঠনমূলক আলোচনায় মুলমানেরা উৎসাহী?

২. 
সুইডেনে আত্মঘাতী হামলা ব্যর্থ হবার পর আল-কায়েদা এবার হুমকি দিচ্ছে বিশ্ববিখ্যাত দুই সুইডিশ প্রতিষ্ঠান IKEA ও VOLVO-র ওপরে হামলা চালানোর। এক জঙ্গি তো ঘোষণাই দিয়ে বসলো: the battle of Stockholm isn't but the start of a new era in our Jihad; through which Europe will become the field for our battles. তা দিতেই পারে! স্থানীয় গোয়েন্দা বিভাগের রিপোর্ট অনুযায়ী, সুইডেনে এখন কমপক্ষে দু'শো ইসলামী জঙ্গি রয়েছে। প্রকৃত সংখ্যা নিশ্চয়ই আরও বেশি। কারণ হামলাকারী মৃত জঙ্গি ছিলো না সেই দু'শোজনের তালিকায়

৩. 
ইরানের মসজিদে হামলা করে ৩৯ জনকে হত্যা করা দুই আত্মঘাতী জঙ্গির হাস্যমুখ ছবি দেখুন। ছবিগুলো তোলা হামলার প্রস্তুতি নেয়ার সময়। আর কিছুক্ষণ পরেই তাদের প্রত্যেকের এখতিয়ারে চলে আসবে বাহাত্তরটি করে কুমারী হুর! মুখে হাসি তো ফুটবেই! আর তারা তো জানেই: নিশ্চয়ই আল্লাহ ভঙ্গ করে না অঙ্গিকার। 
৪.  
আরব দেশের  আরও আজব আইন। জনসমক্ষে মেয়েদের শরীর তো আমুণ্ডনখাগ্র পোশাকাবৃত থাকেই, তবে চোখ আনাবৃত রাখা জায়েজ ছিলো। তবে এখন ঘোষণা দেয়া হয়েছে, মেয়েদের চোখ প্রলুব্ধকর হলে তা ঢেকে রাখতে হবে! 

৫. 
পাকিস্তানে বাল্মিকী হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রেম কিষণের বালিকা কন্যা সুমনের মৃত্যুর পর সেই সম্প্রদায়ের প্রথা অনুযায়ী তাকে কবর দেওয়া হয়। সম্প্রদায়ের নিজস্ব কবরস্থান না থাকায় তারা খ্রিষ্টান কবরস্থানে তাকে কবর দিতে নিয়ে যায়। খ্রিষ্টান ও মুসলমানের কবরখানা পাশাপাশি। তাই ভুল করে সুমনকে কবর দেওয়া হয় মুসলমান এলাকায়। পরে সুমনের কবরে স্মৃতিফলক লাগানো হলে মুসলমানদের নজরে পড়ে এবং স্থানীয় মুসলমানরা কবরখানা অপবিত্র হয়েছে দাবী করে সুমনের মৃতদেহকে তুলে খ্রিষ্টান এলাকায় কবর দিতে বাধ্য করে। কোনো নেক মুসলমান এজন্য লজ্জিত হয়েছে বলে শোনা যায়নি।
(লিংকসহ লিখে পাঠিয়েছেন মিয়াসাহেব)

৬.
একেবারে ওপরের ঘটনার মতোই আরেকটি ঘটনা। তুরষ্কে। 

৭. 
কোনও মুসলমানের ভিজিটিং কার্ড অবহেলা করে ফেলে দেয়ার আগে দেখে নেবেন, কার্ডে উল্লেখিত নামে "মুহম্মদ" লেখা আছে কি না। নইলে নবীজির নামকে অপমান করার দায়ে আপনার শাস্তি হয়ে যেতে পারে! ঘটনা পাকিস্তানে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, মুহম্মদ নামধারী সব ব্যক্তিকে নবীজির প্রাপ্য সম্মান দিতে হবে!

৮.
সুদানে শরিয়া আইনের আওতায় প্রতি বছর গড়ে চল্লিশ হাজার মেয়েকে সর্বমোট ছয় লক্ষবার বেত্রাঘাত করা হয়ে থাকে শাস্তি হিসেবে। অভিযোগ - মূলত "নৈতিক স্খলন" (যেমন প্যান্ট পরার অভিযোগে এক মেয়েকে পেটানো হয়েছিল) ।

৯. 
নবীজি যা করে গেছেন, সাচ্চা মুসলমান তা বাতিল বা নিষিদ্ধ করতে পারে না। যেমন, মালয়েশীয় মন্ত্রী শিশুবিবাহ নিষিদ্ধ করার আহ্বান পরিহার্য বলে গণ্য করেন। 

১০. 
ইসলামী ইতরামি অব্যাহত জেলখানাতেও। নামাজ পড়ার পরে আল্লাহু আকবার ধ্বনি তুলে বিধর্র্মীদের মৃত্যু কামনার জিকির করতে করতে কারাগার অফিসারকে পিটিয়েছে ইসলামের চার বীর যোদ্ধা।

১১.
শিক্ষাবিরোধ ধর্মের জন্য অপরিহার্য। ইসলামের শাসন কায়েম করতে চাইলে একমাত্র মাদ্রাসাশিক্ষা ছাড়া যাবতীয় শিক্ষা বর্জনীয়। আর তাই ইসলামীরা বেলুচিস্তানে শিক্ষকহত্যা প্রকট হয়ে উঠেছে।

১২.
মুসলিমদের হ্যাম-ও-ফোবিয়া আছে, তা তো সবারই জানা। তাই বলে এই পর্যায়ের? স্পেনের এক শিক্ষক ক্লাসে পড়ানোর সময় শুয়োরের মাসের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছিলেন। এবং অপ্রাসঙ্গিকভাবে নয় একেবারেই। তাতে কী! সেই ক্লাসের এক মুসলিম ছাত্রের পিতামাতা মামলা ঠুকে দিয়েছে শিক্ষকের বিরুদ্ধে (গুগলের অনুবাদ)। এরা কি উন্মাদ? নাকি অন্যকিছু? হ্যামখোরদের দেশে পড়ে না থেকে হ্যামহীন হালাল দেশে চলে যায় না কেন তারা?

নবীজির ছবি এবং বোরখা


নবীজির ছবি এবং মুসলিম মেয়েদের বোরখা বিষয়ে একটি মতামত। বেজায় উপভোগ্য।

যিশুর জন্মের আগে ও পরে


যিশুর জন্মপূর্ব জোসেফ আর মেরি...


এবং যিশুর জন্মের পরে...


একটা কৌতুক আছে এরকম:

নেকড়ের বাচ্চা হয়েছে। তাকে কোলে নিয়ে দোলাচ্ছে আর আদর করে বলছে পিতা-নেকড়ে:
- ঘুমো, বাছা, ঘুমো। কী সুন্দর চোখ তোর! ঠিক মায়ের চোখ পেয়েছিস। দাঁতগুলোও মায়ের। আর কানদুটো? কানদুটো পেয়েছিস... খরগোশ, দাঁড়া দেখাচ্ছি!

যিশুর জন্মবিষয়ক এই কার্টুনটি দেখে মনে পড়লো।

Ricky Gervais-এর কিছু কথা ও তাঁর বাইবেলপাঠ


প্রিয় ব্রিটিশ কমেডিয়ান Ricky Gervais-এর একটা লেখা পড়ে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। লেকাটির নাম: "আমি কেন নাস্তিক"। কখনও কৈফিয়ত দিতে গিয়ে, কখনও নিজের অবস্থান বিশ্লেষণ করতে গিয়ে, কখনও "কারণ দর্শাও" জাতীয় প্রশ্নের উত্তরে লেখা এই জাতীয় অনেক রচনাই পড়েছি। Ricky Gervais খুব নতুন কিছু বলেছেন, তা নয়। তবে যা বলেছেন, বলেছেন খুব সরল ভাষায়, সহজ যুক্তিতে। যুক্তির পাশাপাশি বলেছেন তাঁর ওয়ার্কিং-ক্লাস পিতা-মাতার কথা, একরোখা বড়ো ভাইয়ের কথা, শৈশবে তাঁর ঈশ্বর-বিশ্বাসের কথা। বলেছেন বিশ্বাসমুক্তির আনন্দের কথা, তাঁর জীবনযাপন পদ্ধতির কথা, জীবনদর্শনের কথা। বড়ো অনাড়ম্বর, এবং সে-কারণেই আকর্ষণীয়, ভঙ্গিতে। 

লেখাটি তিনি শেষ করেছেন এভাবে: I’m good. I just don’t believe I’ll be rewarded for it in heaven. My reward is here and now. It’s knowing that I try to do the right thing. That I lived a good life. And that’s where spirituality really lost its way. When it became a stick to beat people with. “Do this or you’ll burn in hell.”

You won’t burn in hell. But be nice anyway.

লেখাটি পড়ার পরামর্শ রইলো। 

এর মধ্যে ধর্মকারীর পাঠক একলা চলো একটি ভিডিওর লিংক পাঠিয়েছেন, যেটির নাম দেয়া যেতে পারে: "Ricky Gervais-এর বাইবেলপাঠ"। ঈর্ষণীয়ভাবে ঈশ্বরপোন্দনের কারণে অতীব উপভোগ্য

  

ছুপা ও সরবেরা


বিশ্বের সর্ববৃহৎ ইসলামী দেশ ইন্দোনেশিয়ার ছুপা নাস্তিকদের নিয়ে একটি পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটিতে বলা হয়েছিল তাদের ভার্চুয়াল তৎপরতার কথা। 

ইন্দোনেশিয়ারই আরেকটি পত্রিকার রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, জাকার্তায় সরব ও সক্রিয় নির্ধার্মিকেরাও আছে, যারা ভীতি ও হুমকির মুখেও মত প্রকাশে দ্বিধান্বিত নয়। মূলত তরুণেরা, যারা অনুসন্ধিৎসু, পাঠ্যপুস্তকবহির্ভূত পড়াশোনাও যাদের যথেষ্ট, ধর্মবিশ্বাসের অন্ধকার থেকে বেরিয়ে আসছে। 

পুরো লেখাটিই পড়ে দেখা যেতে পারে। সেখান থেকে একটি উদ্ধৃতি দিই শুধু। টিটো ত্রিপুত্র নামের একজন প্রশ্ন করছে, “If God does exist and there are six legitimate religions in Indonesia, then can I say there are six Gods in this country?”

এই প্রশ্নের উত্তর কী?

ক্রিসমাসের অনাবৃত পশ্চাদ্দেশ


ক্রিসমাস নামের চোরাই উৎসবটির মূল উৎস ও ইতিহাস সম্পর্কে হিসট্রি চ্যানেলের বানানো পঁয়তাল্লিশ মিনিটের ডকুমেন্টারি। 


ফরম্যাট: avi 
সাইজ: ৩৫৬ মেগাবাইট
ডাউনলোড লিংক: 

রবিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১০

হ্রস্বরসবাক্যবান – ০৪


(নিশ্চয়ই নির্ধর্মীগণের মস্তিস্কে প্রায়শই ছোটোখাটো দু'একটি ধর্মধোলাই-বাক্য বা আইডিয়া ঝিলিক দিয়া ওঠে। তোমরা তাহা তৎক্ষণাৎ লিপিবদ্ধ করিয়া ধর্মকারীতে প্রেরণ করিয়া অশেষ ছওয়াব হাছিল করো। অন্যথায়, হে নির্ধর্মীসকল, ইহ- ও পরকালে তোমাদিগের জন্য অপেক্ষা করিতেছে অনন্ত নরকভোগ।) 

লিখেছেন টোস্টার

১.
স্বয়ং নবীই যেখানে চীনমুখী, মুসলমানেরা সেখানে কেবলামুখী।

২.

হিন্দু ধর্মে আছে "হেঁটমুণ্ডু ঊর্ধ্বপদ"। ইসলামে পদের স্থান পোঁদ নিয়ে ফেলায় সেটি হয়েছে "হেঁটমুণ্ডু ঊর্ধ্বপোঁদ"। 

ইসলামে সমকামিতার শাস্তি


ইসলামে সমকামিতার শাস্তি কতোটা ভয়াবহ, তার বিশদ বর্ণনা করতে গিয়ে রীতিমতো উৎফুল্ল হয়ে উঠলো এক ইসলামবিদ! স্পষ্টতই ধর্ষকামী সে!

  

প্রিয় পুরনো পোস্টগুলো – ২৩


ধর্মকারীতে পোস্টের সংখ্যা পনেরোশো ছাড়িয়ে গেছে। এই সাইটের খোঁজ যেসব পাঠক সম্প্রতি পেয়েছেন বা ভবিষ্যতে পাবেন, তাঁদের পক্ষে আগে প্রকাশিত মজাদার পোস্টগুলো খুঁজে নেয়া ব্যাপক শ্রম- ও সময়সাধ্য ব্যাপার হবে ভেবেই হারানো-দিনের-পোস্ট ধরনের এই সিরিজের অবতারণা। পুরনো পাপীরাও এই সুযোগে স্মৃতিচারণ করে নিতে পারেন 

প্রতি পর্বে আমার বিশেষ প্রিয় পাঁচটি পোস্টের লিংক দেবো সংক্ষিপ্ত বর্ণনাসহ। শুরু করেছি ধর্মকারীর আদিকাল থেকে।

২. আল্লাহ অপেক্ষা সেক্স উত্তম (কৌতুক, ধর্মকারীর অন্যতম জনপ্রিয় পোস্ট)
৩. দুষ্টচক্র – ০২ (সার্কুলার লজিক বিষয়ক দু'টি পোস্টার) 
৫. আল্লাহর অস্তিত্বের প্রশ্নাতীত প্রমাণ (কৌতুক, অসাধারণ এক ই-বুকের লিংক)

আগের পর্বগুলো দেখতে নিচের "কাসুন্দি" ট্যাগে ক্লিক করুন।

আস্তিক-আবাল আকীর্ণ আমেরিকার নাস্তিকেরা


আমেরিকা আস্তিক-আবাল আকীর্ণ হলেও এমন কিছু নাস্তিক আছেন সে-দেশে, যাদের দেখে ও নাম শুনে মন খুশি হয়ে ওঠে। আসুন, তাদের কয়েকজনের সঙ্গে পরিচিত হওয়া যাক।


   

ফতোয়ার শিকার


ইছলামী ফতোয়ার (Fatwa, মতভেদে FARTwa) বলি ("বলি" শব্দটি হিন্দুয়ানি, তবে কি "কোরবানি" বলবো?) আরও এক মেয়ে। ঘটনা বাংলাদেশেই।


রাজশাহীর তানোর উপজেলায় ফতোয়াবাজদের দোররার আঘাতে আহত সুফিয়া বেগম দেড় মাস মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে অবশেষে বিনা চিকিৎসায় মারা গেছেন। মঙ্গলবার সকালে তার মৃত্যু হয়েছে। এ ব্যাপারে নিহত সুফিয়ার ভাই তৈমুর রহমান বাদী হয়ে গতকাল শনিবার তানোর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

নিহত সুফিয়ার ভাই তৈমুর রহমান জানান, প্রায় ১৫ বছর আগে তানোর উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের সুফিয়ার বিয়ে হয় কচুয়া গ্রামের ভিক্ষুক ওমর আলীর সঙ্গে। ওমর আলীর প্রথম স্ত্রীর পুত্র আবদুল হান্নানের সঙ্গে সুফিয়ার অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে দাবি করে গ্রাম্য মাতব্বর সাজ্জাত, এনায়েত, আফসার, জেহের, বাক্কার ও ইমাম আলী গত ১২ নভেম্বর সালিশ বসায়। ওই সালিশে গ্রাম্য মসজিদের ইমাম আফসার আলী ফতোয়া জারি করে সুফিয়া ও হান্নানকে ৪০টি করে দোররা মেরে তওবা করানোর ঘোষণা দেন। মাতব্বররা উভয়কে ৪০টি করে বেত্রাঘাত করে। এ সময় সুফিয়া জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে পড়ে যান। দোররার আঘাতে সুফিয়া অসুস্থ হয়ে পড়লে ভাই তৈমুর রহমানকে খবর দেন চিকিৎসা করানোর জন্য। তৈমুর তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে ১২ দিন চিকিৎসার পর চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেন। কিন্তু টাকার অভাবে সুফিয়াকে ঢাকায় নিয়ে যেতে পারেননি তার ভাই তৈমুর। তৈমুর জানান, সালিশে মাতব্বরদের বেত্রাঘাতের কারণে সুফিয়ার কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে বলে তাকে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ আজিজুল হক জানান, নিহত সুফিয়ার ভাই তৈমুর রহমান ফতোয়াবাজদের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।