সোমবার, ৮ আগস্ট, ২০১১

মুহম্মদের অপ্রকাশিত জীবনী ও আমার কিছু কথা


লিখেছেন চল যাব তোকে নিয়ে

জন্মের ছ’মাস আগেই বাবাকে হারিয়েছেন। মায়ের অসুস্থতার জন্য জন্মের পর থেকে বড় হয়েছেন দাইমার কাছে, জীর্ণ কুটিরে। একটু বড় হয়ে মা’র কাছে ফিরলেন, কিন্তু কিছুদিন পর মা’ও চলে গেলেন পরপারে। এরপর দাদার কাছে বড় হচ্ছিলেন।তিনিও মারা গেলে এবার চাচার সংসারে তাঁর ঠাঁই হল।

ছোটবেলা থেকে রাস্তার নেড়ি কুকুরের মত চরম অযত্ন আর নির্মমতার মাঝে বড় হতে হতে সমাজের প্রতি এই শিশুর মনে জন্ম নেয় প্রচণ্ড ঘৃণা আর আক্রোশ, প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে ওঠেন মুহম্মদ। এই গ্লানিকর জীবন থেকে মুক্তি চান তিনি। 

এভাবেই কেটে যায় পঁচিশ বছর। কিন্তু অর্থের অভাবে বিয়ে করার সামর্থ্য ছিল না মুহম্মদের। সেকালের সকল ধনাঢ্য নারীর মত খাদিজাও বিয়ে করতে চান কোনো সুদর্শন পুরুষকে। মুহম্মদের রূপ তাঁর জন্য আশীর্বাদ হয়ে আসে। চরম গ্লানিকর হতদরিদ্রের জীবন থেকে মুক্তি পাবার সুযোগটি লুফে নেন তিনি। কিন্তু চরম কামুক মুহম্মদ, হাদীস অনুযায়ী যিনি কিনা এক রাতে ত্রিশজন নারীকে ভোগ করার ক্ষমতা রাখেন, যাঁর প্রিয় ভোগ্যপন্য ছিল নারী-খাবার-সুগন্ধি, চল্লিশ বছরের খাদিজায় তৃপ্ত হতে পারছিলেন না। কিন্তু যৌনতৃপ্তি ছাড়া প্রাচুর্য্য, প্রতিপত্তি-খাদিজা তাকে সবই দিয়েছেন। তাই অতৃপ্ত যৌনাকাঙ্ক্ষার যাতনা থেকে বাঁচতেই হয়তো হেরা গুহায় গিয়ে একা একা বসে থাকেন তিনি। 

একা একা ভাবতে ভাবতে তাঁর মাথায় নানারকম উদ্ভট চিন্তা খেলা করে। নির্মম সমাজকে শাসন করার জেদ চেপে যায় মনে। সূচনা ঘটায় ইসলাম নামক হাতিয়ারের। আর সহজাতভাবেই মধ্যযুগের অনগ্রসর সমাজে তার কিছু অনুসারী জুটে যায়, যেমন এ যুগে জুটে যায় টাইগার বাবাদের। নিজেকে খোদার বন্ধু দাবী করেন, অথচ অনেক চেয়েও খোদার কাছে বংশরক্ষার জন্য কোন পুত্র সন্তান পান না, খোদা তাঁকে শোনায় সান্ত্বনার বাণী। 

জায়েদ নামে তাঁর এক দাস ছিল, তাকে তিনি পালক সন্তান হিসেবে গ্রহণ করেন। খাদিজার মৃত্যু হয়। নিজের যৌবনকে বল্গাহীনভাবে উপভোগের সুযোগ পান মুহম্মদ। নয় বছরের আয়েশাকেও ভোগ করতে ছাড়েন না তিনি। ছাপ্পান বছর বয়সে তাঁর চোখ পড়ে ওমর ফারুকের কুড়ি বছরের তরুণী কন্যা হাফসার দিকে। এতদিন কুরাইশ নারীদের ভোগের মাঝের সীমাবদ্ধ ছিলেন মুহম্মদ। এখন তাঁর প্রভাব-প্রতিপত্তি বেড়েছে, বিয়ে করেন ভিন্ন গোত্রের জয়নবকে। পালক সন্তানের (আরবে তখন পালক সন্তানের মর্যাদা ঔরসজাত সন্তানের সমান ছিল) স্ত্রী জয়নবকে মনে ধরে যায় তাঁর। কিন্তু জয়নবের ভাইরা বিয়েতে রাজি হয় না, কারণ তাঁরা মুহম্মদের থেকে উচ্চ বংশের। তাছাড়া নিজের সন্তানের প্রাক্তন বউকে বিয়ে করতে চাওয়ায় অনুসারীরাও তীব্র আপত্তি করে বসে। মুহম্মদের কথা এরা কিছুতেই মানছে না। কিন্তু জয়নবকে তাঁর চাইই চাই। তাই এল গায়েবি ঈশ্বরের বাণী। পালক পুত্রের প্রথাকে নিষিদ্ধ করা হল। সকল পুরুষকে দেয়া হল দাসী ভোগের অধিকার, এতে করে তাঁদের ক্ষোভ প্রশমিত হল। আর যে কোনো নারীকে ভোগের এবং দাসী ও স্ত্রীদের প্রতি সকল বৈষম্যমূলক আচরণের ম্যান্ডেট দেয়া হল মুহম্মদকে, কারণ সে নানা কাজে ব্যস্ত থাকবে (ভাবখানা এমন যেন বারাক ওবামাদের কোন ব্যস্ততা নেই!)। দারিদ্র্য তাঁর প্রথম জীবন কেড়ে নিয়েছে। এখন প্রার্থিত নারীকে পেতে গেলেও সেই বংশীয় আভিজাত্যের বাধা। তাই তিনি সব মুসলমানকে সমান বলে ঘোষণা দিলেন। কিন্তু তাঁর কন্যা ও নাতিদের জন্য তিনি জন্মসুত্রে বিশেষ মর্যাদা ঘোষণা করেছিলেন। 

মদীনায় মুহম্মদকে আশ্রয় দেয়া একটি জাতি ছিল বনু কুরাইযা। বিরোধীপক্ষ যখন মদীনায় মুহম্মদদের ঘিরে ফেলে তখন পরিখা খনন করে বনু কুরাইযার লোকেরা তাদের রক্ষা করে। কিন্তু আশ্রয়দাতা বনু কুরাইযার বংশের লোকেদের অনেক আচরণ মুহম্মদের পছন্দ হচ্ছিল না। তাই সে এদের শায়েস্তা করার ফন্দি আঁটে। কিন্তু সাহাবাদের বিবেকে বাধে। মুহম্মদ তাদের জানায় আল্লাহ তাকে জানিয়েছে, বনু কুরাইযার লোকেরা তাদের ক্ষতি করার চেষ্টা করেছে তাই তাদের হত্যা করতে আল্লাহ নির্দেশ দিয়েছেন! বনু কুরাইযার সকল লোককে ধরে আনা হয়। মুহম্মদ তাঁদের পিউবিক হেয়ার (আমরা যাকে ‘বাল’ বলি) উঠেছে কি না, পরীক্ষা করে দেখতে বলেন। যাদের বাল উঠেছে তাদের সবাইকে (১২০০ জন) জবাই করা হয় বিনা বিচারে। 

ফটোমাস্তানি সহযোগিতা: কৌস্তুভ

সুন্দরী রাইয়ানা হারায় তাঁর স্বামীকে। এই সদ্য বিধবার প্রতি চোখ পড়ে মুহম্মদের। যুদ্ধবন্দী নারীদের ভোগ করা মুহম্মদ ও তাঁর সাহাবীদের জন্য স্বাভাবিক (মুহম্মদ একে ইসলাম অনুযায়ী বৈধ করে নিয়েছিলেন) ঘটনা ছিলো। কিন্তু মুহম্মদ তাকে এই বৃদ্ধ বয়সে বিবি হিসেবে পেতে চান। কিন্তু স্বামীর হত্যাকারীকে স্বামী হিসেবে মেনে নেয়া রাইয়ানার পক্ষে সম্ভব হয় নি। তাই মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তাকে মুহম্মদের দাসী হয়ে তাঁর যৌনক্ষুধা নিবারণ করে যেতে হয়েছে। 

খাইবার যুদ্ধে যুদ্ধবন্দী নারীদের মুহম্মদ ও তাঁর সঙ্গীরা ভাগ করে নেয়। জনৈক সাহাবীর ভাগে পড়ে বনু কুরাইযার সবচেয়ে সুন্দরী মেয়ে সতের বছরের কিশোরী সাফিয়া। যুদ্ধে মুহম্মদ তাঁর বাবা ও ভাইকে হত্যা করেছে। এই শোকস্তব্ধ নারীকে ভালো লেগে যায় মুহম্মদের। সাতজন যুদ্ধবন্দিনী নারীর বিনিয়মে মুহম্মদ সাফিয়াকে নিয়ে নেন। প্রথম রাতেই মুহম্মদ তাকে ভোগ করেন। মুহম্মদ যখন সাফিয়াকে ভোগ করছেন, তখন বাইরে পাহারারত সাহাবীরা ভয় পাচ্ছিল যদি না বাবা ও ভাইকে হারানো সাফিয়া কোন অঘটন ঘটিয়ে বসে। কিন্তু তেমন কিছু হয় নি। মুহম্মদ তাকে বিয়ে করতে চাইলেও সাফিয়া তাকে বিয়ে করেন নি। পিতা ও ভাইয়ের হত্যাকারীর শয্যাসঙ্গিনী হতে বাধ্য হবার বাস্তবতা তিনি মেনে নিয়েছিলেন। তাঁর প্রতি মুহম্মদের ছিল বিশেষ দুর্বলতা। তাই এই ইহুদী নারী তাঁদের ক্ষতি করতে পারে বলে সাহাবীরা সাফিয়াকে অবিশ্বাস ও মুহম্মদের বিবিরা সাফিয়াকে হিংসা করলেও মুহম্মদ সবসময় তাকে আগলে রাখতেন। 

জীবনের শেষদিকে আর সবার মতই তাঁকেও মৃত্যুভয় আঁকড়ে ধরে। তাই সারাজীবন দাসদের সেবা নিয়ে, দাসীদের ভোগ করে বিদায় হজ্বের সময় তিনি দাসদের মুক্ত করে দিলেন, তখন অবশ্য এমনিতেও তাঁর সেবকের অভাব ছিল না। 

মুহম্মদ কখনো বিরুদ্ধ মত সহ্য করতে পারতেন না। যারা দলত্যাগ করেছে তিনি তাঁদের মৃত্যু পরোয়ানা ঘোষণা করলেন। মুহম্মদ লক্ষ্য করেছিলেন যারা দাবা (কিংবা পাশা) খেলে তাঁদের বুদ্ধি অনেক প্রখর হয়, তাই তারাই তাকে সবসময় চ্যালেঞ্জ করছে। তাই চরম ক্রুদ্ধ হয়ে মুহম্মদ বলেছিলেন, যারা দাবা খেলে তাঁদের হাত শুয়োরের রক্তে মাখানো। একবার তিনি তাঁর বন্ধু আল্লাহর হয়ে বলেছিলেন, সকল প্রাণী নাকি মানুষের প্রয়োজনে সৃষ্টি করা হয়েছে, অথচ আল্লাহ যে শুয়োরকে মানুষের সেবার উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করলেন তাকেই তিনি প্রচণ্ড ঘৃণা করতেন। 

মুহম্মদের মত আরবের ধুধু মরুভুমিতে আমার জন্ম হয় নি, আমি জন্মেছি ছায়াশীতল, শস্যশ্যামল বাংলার গ্রামে - আমার নানাবাড়িতে। তাই আমার হৃদয়ে বাংলার কোমলতার পরশ আছে, মুহম্মদের মত আমার হৃদয় এত শুকনো-খটখটে নয়। আমি মুহম্মদের মত দাই মায়ের দুধ খেয়ে বড় হইনি, আমি নাকি স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি বয়স পর্যন্ত মায়ের দুধ খেয়েছি। তাই মুহম্মদের মত আমি কখনো কোনো শিশুকে তাঁর মায়ের দুধ থেকে বঞ্চিত করার কথা ভাবতে পারি না।

আমার শৈশব মুহম্মদের মত মায়ের ভালবাসা বিবর্জিত নয়, মায়ের সাথে সাথে পেয়েছি পরম মমতাময়ী ছোট খালাকে, ক্লাস সিক্সে পড়ার সময়ও যিনি আমাকে কোলে নিয়েছেন (এখন ভাবি, কী করে তিনি এত বড় ছেলেকে কোলে নিতে পেরেছেন, ভালবাসার কি এতই জোর?), যাঁর সাথে মায়ের তফাত করা আজো কঠিন। কলেজ জীবনেও যখন জ্বরে পড়েছি, তখন আমার মা তাঁর ফিজিওথ্যারাপি বন্ধ করে ছেলের শুশ্রূষা করেছেন, আমি জানতেও পারিনি। ছয় বছর বয়সে মাকে হারানো মুহম্মদের মত আমি অভাগা নই, তাই আড়াই বছরের শিশুকে আমি তাঁর মায়ের বিছানা থেকে আলাদা করতে ফরমান দিতে পারি না।মুহম্মদের মত নিজের শৈশবের না পাওয়ার কথা ভেবে সব শিশুকে আমি বঞ্চিত করতে চাই না। 

ছোটবেলায় বাবার হাত ধরে ভোরবেলায় হেঁটে বেড়িয়েছি, বাবার সাথে বাজারে গেছি, বাবার দেখাদেখি সবজিওয়ালার দেখানো লাউটি কচি কি না, তা নখ বসিয়ে পরখ করেছি। বাবাই শিখিয়েছেন ‘৯ বাদ প্রনালী’, গণিতের প্রতি আজো যে অমোঘ আকর্ষণ, তার কারণও বাবা। বাবার হাত ধরে পুকুরে গোসল করতে গেছি। বাবাই শিখিয়েছেন অ্যালুমিনিয়ামের কলসি দিয়ে সাঁতার কাটতে। কখনো জ্বর হলে রাত জেগে মাথায় ফোঁটাফোঁটা পানি ঢালতেন বাবা। অথচ জন্মের আগেই বাবাকে হারিয়েছেন মুহম্মদ। তাই সুযোগ পেলেই নিমিষেই কেড়ে নিয়েছেন তারই জ্ঞাতি আরব ভাইদের, তারই নিকটাত্নীয় পরবর্তী প্রজন্মকে পিতৃহারা করে নিজের পিতাকে না পাবার ক্ষততে প্রলেপ দিয়েছেন।

মুহম্মদের মত নির্মম শৈশব আমার নয়, পেটের তাগিতে মুহম্মদকে যখন ভেড়ার পালের সাথে তপ্ত মরুভূমিতে যেতে হয়েছে, তখন আমি একবিংশ শতাব্দীর উন্নত শিক্ষা গ্রহণের জন্য স্কুলে যাবার সুযোগ পেয়েছি। আশপাশের শিশুকিশোররা যখন খেলাধুলা করে জীবন কাটাচ্ছিল, মুহম্মদকে তখন খাবারের কথা ভাবতে হয়েছে। তাই সকল খেলাধুলা নিষিদ্ধ করেছেন মুহম্মদ।খোলা মাঠে খেলাধুলা করার স্বাদ আমি জানি, তাই খেলাধুলাকে নিষিদ্ধ করার কথা আমি ভাবতেই পারি না। মুহম্মদের কাছে নারীর শরীরকে উপভোগ করাই খেলা, তলোয়ারের উন্মত্ততাকেও তাঁর কাছে খেলা মনে হয়, তাই এই খেলাগুলোকে (!) বৈধ করেছেন।

উন্নত বিশ্বের মত সুস্থ সমাজে আমি বেড়ে উঠিনি ঠিক, আর সবার মত সমাজের নির্মমতা আমিও দেখেছি, কিন্তু মুহম্মদের মত আইয়্যামে জাহিলিয়াতের যুগে (মুসলমানদের ভাষ্য অনুযায়ী) আমি বেড়ে উঠিনি, আমাকে জীবন্ত কন্যা সন্তানকে পুঁতে ফেলার দৃশ্য দেখতে হয় নি। তাই বিচারের অজুহাতে কোনো নারীকে জীবন্ত মাটিতে পুঁতে শাস্তি দেবার কথা মুহম্মদ ভাবতে পারেন, আমি পারি না।

জানি, আমার এই লেখা পড়ে অনেকেই আমাকে হত্যা করতে চাইবেন, জানি, হাতের কাছে পেলে আমার নিস্তার নেই, তবু বলি আমি মুহম্মদের চেয়ে অনেক উঁচু স্তরের মানুষ। যাঁরা তাঁদের দিকনির্দেশনার জন্য হাদীস-কুরআন চষে বেড়ান তাঁরা আমার সাথে যোগাযোগ করুন, আমি আপনাদের ভালো দিকনির্দেশনা দেব।

বি.দ্র. আল্লাহ আমাকেই মুহম্মদের জীবনী লেখা ও প্রচার করার দায়িত্ব দিয়েছেন। আল্লাহ আরো বলে দিয়েছেন, তোমাদের অনেকে তা বিশ্বাস করবে না, কারণ তিনি তোমাদের অন্তরে মোহর মেরে দিয়েছেন। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন