মঙ্গলবার, ১১ অক্টোবর, ২০১১

খোমাখাতার কাবজাব - ০৩


লিখেছেন আসিফ মহিউদ্দীন

৭.
একলক্ষ ছিয়াশি হাজার, মতান্তরে দুইলক্ষ ছিয়াশি হাজার নবী রাসুলসহ হাজার হাজার ওলী আউলিয়া বর্বর আরবদের সভ্য করতে পারে নাই। আল্লাপাকও এত টানাটানির পরেও তাদের মানুষ করতে পারলেন না। শেষমেষ ত্যাক্ত হয়ে আখেরী নবীকে পাঠিয়ে বুঝলেন, এদের মানুষ হওয়া সম্ভব না।
বর্বর আরবগন আল্লার পাঠানো নবী রাসুলকে পর্যন্ত বর্বর আরবে পরিণত করেছিল। তাই এদের দিয়ে কখনও ভাল কিছু হবে না।

৮.
আরব জাতীয়তাবাদী নেতা মুহাম্মদ সেই ১৪০০ বছর আগেই অনন্তকালের জন্য তার মাতৃভূমিরে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী করার জন্য জেরুজালেম থেকে কেবলা কাবায় স্থাপিত করেছিলেন। দুনিয়ার সব প্রান্ত থেকে যেন লোক এই অঞ্চলে তাদের সঞ্চিত অর্থ সম্পদ নিয়ে যায়, এবং খরচ করে, অর্থনীতি মজবুত করে।
আর আমরা বোকচোদ বাঙালী, সারাজীবন বলদের খাটনি খাইট্যা, চুরি বাটপারি কইরা সব টাকা ঢাইল্যা আসি কাবায়।

৯.
হাদিসে মুহাম্মদ সাহেব এক গোত্ররে এক ধরনের চর্মরোগ থেকে বাঁচার জন্য উটের দুধ এবং মুত্র খাইতে পরামর্শ দিছিল। সেই হাদিস পইড়া আমাদের দেশের লোকজন প্রথম যেইবার উট এইদেশে আসে, ইসলামী ভাবগাম্ভীর্য সহকারে উটের মুত খাইছিল। আরব দেশের উট বইলা কথা, পুরাই ইসলামী মুত্র। এরাই আবার জমজমের পানি (সেইটা দুর্গন্ধযুক্ত দুষিত হইলেও) বছরের পর বছর রাইখা পান করে। সেই আবালগুলাই এখন নিজের দেশের মানুষের কল্লাকাটায় ইসলাম এবং শরীয়া আইন অক্ষুন্ন থাকছে বইলা আনন্দিত, এবং বর্বর শরীয়া আইনের পক্ষে কথা বলতেছে। এতই যদি আরব, ইসলাম এবং শরীয়াপ্রেম থাকে, এরা এই দেশে কেন থাকে? এইটা লালনের, রবীন্দ্রনাথের আর নজরুলের দেশ, শরীয়া আইনের সমর্থকের কোনো স্থান এই দেশে নাই।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন