শনিবার, ৩১ মার্চ, ২০১২

ছহীহ ইছলামী বিজ্ঞাপন - ০৮

আইডিয়া, নির্মাণ ও ভূমিকা: Mohammad Mockerof Islam 

বর্তমান যুগে ইছলাম জ্ঞানে-বিজ্ঞানে অনেক পিছিয়ে আছে। ইহুদি ভাইদের দেখুন, তারা সাবাথ-এর দিনে কোনো প্রকার যন্ত্র চালানো নিষেধ বলে মুখে নির্দেশ দিয়ে গাড়ি চালানোর মেশিন বের করেছে, সুইচবিহীন লিফট, টেলিফোন, টিভি রিমোট কন্ট্রোল ইত্যাদি আবিষ্কার করে ধর্মের কঠিন নিয়ম কানুনকে সুকৌশলে পাশ কাটিয়ে দিব্যি জিহোভার নেক নজরে আছে, আবার আধুনিক জীবনের সাথেও তাল মিলিয়ে চলছে! ইদানীং ফেসবুকে, নেটে নাস্তিকেরা যেভাবে ইসলামের গোঁজামিল গুলো ফাঁস করে দিচ্ছে এবং মুমিনেরা ভুল বুঝতে পেরে দলে দলে গোপনে ইসলাম ত্যাগ করছে, তাতে করে অচিরেই মডারেট মুমিনদের 'গাছেরও খাব তলেরও খাব' নীতির সাথে তাল মিলিয়ে ইসলামকে 'আধুনিক' করা না গেলে এর বিলুপ্তি অনিবার্য। আসন্ন বিপদ সম্পর্কে জ্বীনের মাধ্যমে ইশারা পেয়ে আমাদের ডিজিটাল নবী জোকার নায়েক গত ২ বছর ধরে কোরান রিসার্চ করে ইসলাম আধুনিকায়নের লক্ষ্যে একগুচ্ছ নতুন বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তি ও বিজনেস মডেল আবিষ্কার করেছেন যা ইসলামিক রিসার্চ ফাঊন্ডেশন খুব শিগগিরই বাস্তবে রূপ দিতে যাচ্ছে! এই গোপন প্রজেক্টের মার্কেটিং-এর অংশ হিসাবে কিছু বিজ্ঞাপন তৈরি করা হয়েছিল, যা ঊইকিলিক্‌সের জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ সম্প্রতি ইন্টারনেটে লিক করে দেন। আমরা সেই ছহীহ ইসলামী বিজ্ঞাপন গুলোকে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি মডারেট মুমিনদের মনোবল চাঙ্গা করার জন্যে।

ছবিতে ক্লিক করে পূর্ণাকারে দেখুন

ইছলামী বিগ্যান

সৌজন্য: লাদেন ভূত

চারটি জিনিস আপনার দৃষ্টিশক্তি কমিয়ে দিতে পারে, যেগুলো পুরাই বিজ্ঞানসম্মত অথাত্‍ ইসলামসম্মত

এক. অপরিষ্কার এবং ভেজাল কিছুর দিকে তাকালে।

দুই. ফাঁসি দেওয়া লোকের দিকে তাকিয়ে থাকলে। 

তিন. মক্কা পিছনে করে বসলে।

এবং 

চার (চার নাম্বার কিন্তু হেব্বি). মেয়েদের গোপন অঙ্গের দিকে তাকালে।


আচ্ছা, এখানে একটা কথা: মেয়েরা ছেলেদের গোপন অঙ্গের দিকে তাকালে কিছু হবে কি না, তা তো বললো না! 

এগুলো ইসলামিক পণ্ডিত ইমাম গাজ্জালীর বই থেকে নেওয়া হয়েছে (Gazzali p 2:19) 

গান গায় যে-ধূলিকণা

যে-ক'জন ইউটিউবারের নতুন ভিডিওর জন্য মুখিয়ে থাকি, philhellenes তাঁদের মধ্যে অন্যতম। খুব নিয়মিত ভিডিও তিনি প্রকাশ করেন না বটে, তবে তাঁর প্রতিটি পরবর্তী ভিডিও দেখে আমি আচ্ছন্ন হয়ে থাকি কয়েকটা দিন।



ইসলামী ইতরামি: ষোলোকলা

১. 
নিদ্রা অপেক্ষা নামাজ উত্তম তো বটেই, এমনকি নামাজ উত্তম মানুষের জীবনের চেয়েও। বিপন্ন বৃদ্ধার মৃত্যু হলো, কারণ দায়িত্বরত মুসলিম সেবক ব্যস্ত ছিলো ফরজ আদায়ে।

২. 
নরওয়ে যে অংশগুলো শান্তিকামী মুসলিম অধ্যুষিত, সেসব এলাকায় অপরাধের হার পার্শ্ববর্তী এলাকার চেয়ে মাত্র নয় গুণ বেশি। এবং এই অপরাধগুলোর শিকার হয় মূলত নরওয়েজিয়ান ও অমুসলিমরা। নরওয়েবাসী আরেক মুসলিম তো হল্যান্ডের চিত্রনির্মাতার (ইসলামের সমালোচনামূলক 'ফিতনা' ছবির পরিচালক) মুসলিম হত্যাকারীর গুণগান গাইলো প্রকাশ্যে।

৩. 
মাদ্রাসা ছাত্র-শিক্ষকরা হামলা চালিয়ে বাউলদের মঞ্চ ভাংচুর করে এবং অন্তত ১০ বাউল সাধককে মারধর করে। 

৪. 
ইছলামের শান্তির আদর্শে উজ্জীবিতদের কবল থেকে একচল্লিশজন শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। ছয় থেকে এগারো বছর বয়সী এই শিশুদেরকে আত্মঘাতী বোমারু বানানোর প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছিল। ভাবছেন, বিচ্ছিন্ন ঘটনা? একেবারেই নয়। আরও দু'টি নমুনা: দশ বছর বয়সী দুই আত্মঘাতী বোমারু গ্রেপ্তার, আত্মঘাতী বোমারু বানাতে শিশুদের ক্রয় করছে তালিবান। 

৫. 
প্রবাসে মুসলিম মেয়েরা অনৈসলামিক পোশাক পরে, অমুসলিম প্রেমিক জোটায়, এবং এতে নাকি পরিবারের সম্মানহানি হয়! আর তাই সেই 'সম্মান' রক্ষার্থে সহিংসতার প্রয়োগ গ্রহণযোগ্য বলে মনে করে অধিকাংশ ব্রিটিশ মুসলিমরা। কারণ সহিংসতায় অসম্মানের কিছু নেই তো! এদিকে পাকিস্তানে গত বছরে মাত্র ৯৪৩ জন মেয়ে অনার কিলিং-এ তাদের প্রাণ দিয়েছে এবং এভাবে রক্ষা পেয়েছে ও উন্নীত হয়েছে তাদের পরিবারের সম্মান।  

৬. 
ইহুদিদের উপাসনালয় সিনাগগে হামলা চালিয়ে ছওয়াব কামানোর পরিকল্পনা বৃথা গেল এক মমিনের। ইউরোনিউজ চ্যানেলের কুড়ি সেকেন্ডের ভিডিও। 

৭. 
কাফেরদের দেশে গিয়ে মসজিদ বানাতে মুসলিমরা সদাই তৎপর। তাতে সামান্য বাধা পড়লেও ইছলামের প্রকৃত রূপ প্রকাশ পেয়ে যায়। কিন্তু আরব অঞ্চলের সমস্ত চার্চ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে চৌদি আজবের প্রধান মুফতি। অর্থাৎ 'বিশ্বে শুধু নড়িবেক তারই লেজটুকু'। 

৮. 
পুরুষদের খতনা দেয়ার প্রথাটিই বর্বর। আর নারী-খতনা তো অকল্পনীয় রকমের ভয়াবহ। অথচ এই ভয়াবহ প্রথার চর্চা বেড়ে চলেছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড়ো মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়ায়। 

৯. 
কোনও মমিন যদি এক অমুসলিমকে ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে (মরুভূমি সুশীতল? তাতে ছায়াও আছে?) আনতে পারলে সেই মমিনের বেহেশতবাস নিশ্চিত বলে জানা যায়। পাকিস্তানে প্রতি বছর ১৫ থেকে ২০ জন তাদের বেহেশতগমন পোক্ত করতে সক্ষম হচ্ছে: তারা হিন্দু মেয়েদেরকে অপহরণ করে বলপূর্বক আনছে নূরের পথে

১০. 

১১. 
সব ধর্মই ভয় পায় শিক্ষাকে। তবে ইসলাম এই ভীতিকে সাফল্যের সঙ্গে ক্রোধে রূপান্তর করতে পারে। উত্তর নাইজেরিয়ায় ইসলামীরা একের পর এক স্কুল ধ্বংস করে পাঁচ হাজার স্কুলবালকের শিক্ষাগ্রহণপ্রক্রিয়া রোধ করেছে। 

১২. 
স্ত্রী-প্রহার ইসলামে হালাল। কোরানেই এর স্পষ্ট উল্লেখ আছে। তবে প্রহারপদ্ধতি বিষয়ে নানা মোল্লার নানা মত - এ বিষয়ে স্ত্রী-প্রহারের ইসলামী তরিকাগুচ্ছ নামে খুবই কৌতূহলোদ্দীপক একটি পোস্ট প্রকাশিত হয়েছিল ধর্মকারীতে। তো কানাডায় এখন একটি ইছলামী বই পাওয়া যাচ্ছে: A Gift For Muslim Couple. বইয়ের শুরুতেই স্ত্রী সম্পর্কে বলা আছে: তাকে নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে বলপ্রয়োগ করার বা হুমকি দেয়ার প্রয়োজন হতে পারে। এছাড়া বইয়ে "চাহিবামাত্র স্বামীর চাহিদা মেটাতে স্ত্রী বাধ্য থাকবে", "স্বামীর অনুমতি ছাড়া বাড়ি ছেড়ে বেরোতে পারবে না" ইত্যাকার স্ত্রী-অধিকারের পাশাআশি উল্লেখ আছে স্ত্রীর প্রহৃত হবার অধিকারের কথা। স্ত্রীকে পেটানো যাবে হাত দিয়ে বা লাঠি ব্যবহার করে। সন্দেহ নেই, মুসলিম স্ত্রীদের জন্য চমৎকার 'গিফট'।

১৩. 
মুসলিমদেরকে বসতে দিলে নামাজ পড়তে চায়। অর্থাৎ একটু প্রশ্রয় পেলেই এরা ইছলামী কার্যকলাপ প্রচারে ও প্রসারে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। কাফেরদের দেশে বাস করে সেখানকার সমস্ত অনৈসলামিক সুযোগ-সুবিধে নির্লজ্জের মতো ভোগ করে বেহায়ার মতো ইছলামী রীতি-ঐতিহ্য চাপিয়ে দেয়ার প্রয়াস মুসলিমদের সহজাত। দুই ঈদের দিনে স্কুল ছুটির দাবি করেছে এক মমিন। আরেক আবাল শিশুকামী, যুদ্ধবাজ নবীর জন্মদিনে জাতীয় ছুটির দাবি জানিয়েছে। 

১৪. 
ইউরোপীয় মুক্ত জীবনধারায় অভ্যস্ত হওয়ায় মেয়ের মৃত্যু কামনা করে মা। অনুমান করুন, মা কোন ধর্মের অনুসারী। 

১৫. 
এক ইসলামবাজ বলছে, সন্তানকে আমেরিকান পাবলিক স্কুলে পাঠানোর চেয়ে টয়লেটে পাঠানো ভালো। ওদিকে আরেকটা খবরে দেখা যাচ্ছে, চৌদিরা তাদের সন্তানদেরকে ইন্টারন্যাশনাল স্কুলগুলোতে ভর্তি করাতে উদগ্রীব। লক্ষ্য - ভালো ইংরেজি শেখানো। আল্লাহপাক আর নবীজির ভাষা আরবিরে কেউ পুছেও না! 

১৬.
মুসলিমরা বড়োই শব্দদুষণপটু। মাইক-সংস্কৃতির প্রধান ধারক ও বাহক এরা। ভিডিওতে দেখুন, সংকীর্ণ এক সড়কের এক পাশে খ্রিষ্টানদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলছে এবং ঠিক তার উল্টোপাশেই এক গণ্ডা মাইকে উচ্চৈঃস্বরে ইছলামী সঙ্গীত বাজিয়ে কাফেরদের কাজে বাধা দিয়ে অশেষ ছওয়াব হাছিল করছে শান্তিকামীরা।

শুক্রবার, ৩০ মার্চ, ২০১২

ধর্মাতুল কৌতুকিম – ৩৮

১০৫.
তর্ক করে বিখ্যাত এক আস্তিক ঢুকলো এক বারে, বারম্যানকে অর্ডার দিলো: 
- এক পেগ হুইস্কি। 
বারম্যানের ভেতরে কোনও প্রতিক্রিয়া দেখা গেল না। আস্তিক গলা উঁচিয়ে বললো:
- আমার হুইস্কি কই? 
বারম্যান উত্তর দিলো: 
- হুইস্কি আপনার সামনেই আছে। আপনি দেখতে পাচ্ছেন না বলেই সেটা নেই, তা কিন্তু নয়।

১০৬.
- আত্মঘাতী হামলা করতে ব্যর্থ হয়ে কোনও মুসলিম মারা গেলে সে কি বাহাত্তরটা হুর পাবে? 
- না, সে পাবে বাহাত্তরটা শাশুড়ি।

১০৭.
এক যাজিকা (nun) মদের দোকানে গিয়ে বললো: 
- আমাকে এক বোতল ভোদকা দিন। 
মদ-বিক্রেতা চোখ কপালে তুলে জিজ্ঞেস করলো:
- আপনার ভোদকার প্রয়োজন কেন?
- চিকিৎসার জন্যে - জানালো যাজিকা। - আমাদের মাদার সুপিরিয়রের কোষ্ঠকাঠিন্য হয়েছে। আমি এই এক বোতল ভোদকা খেয়ে মাতাল অবস্থায় তাঁর সামনে গেলে তিনি নির্ঘাত হেগে ফেলবেন।

ইসলাম ধর্ম বড়ো ধর্ম - চুরি করে ধরা পড়েও

নামাজ, রোজা, হজ্ব থেকে শুরু করে ইসলামে প্রচলিত অধিকাংশ প্রথা ও রিচ্যুয়াল কিন্তু ইসলামের মৌলিক উদ্ভাবন নয়। সেসব প্রাক-ইসলাম পৌত্তলিকতার অনুসারীদের কাছ থেকে চোথা মারা, ক্ষেত্রবিশেষে কিঞ্চিৎ পরিবর্তিত। আট মিনিটের তথ্যবহুল ভিডিও দেখে নিশ্চিত হোন।


যুক্তিকে ধর্মের নিরন্তর আঘাত

অনুবাদ ও ফটোমাস্তানি: ছাগলনাইয়ার বনলতা সেন


হা-হা-হাদিস – ৩৫

হে ঈমান্দার বান্দাসকল, তোমাদের জন্য অজস্র রসময় কথা গুপ্ত রহিয়াছে হাদিস শরিফে।
- সহীহ আল-ধর্মকারী
মমিনদের দাবি, আল্যাফাক সবকিছু সৃষ্টি করসে। কিন্তু এই দাবির উত্তরে বেতমিজ নাস্তিকেরা উল্টা জিগায়, আল্যারে কে সৃষ্টি করসে। এর উত্তর তো নাই! অতএব ধরা খাইয়া নূরানী ভাব নিয়া তসবিহ জপাই বেটার। নবীজিও সেইরম সমাধানই দিসে। সে বলসে এইরম কুফরী প্রশ্নের জবাব না দিয়া এইসব কুচিন্তা মাথা থিকা ঝাইড়া ফেইলা আল্যার শরণ নিতে।
Narrated Abu Huraira:
Allah's Apostle said, "Satan comes to one of you and says, 'Who created so-and-so? 'till he says, 'Who has created your Lord?' So, when he inspires such a question, one should seek refuge with Allah and give up such thoughts."
Volume 4, Book 54, Number 496

বৃহস্পতিবার, ২৯ মার্চ, ২০১২

সুখী হবার বাইবেলীয় পদ্ধতি

অস্ট্রেলিয়ার এক খ্যাপা নাস্তিকের রিভার্স খেলা। সুখী হবার বাইবেলীয় পদ্ধতির চর্চা করছে সে। দুর্দান্ত মজা পেলাম সাড়ে তিন মিনিটের ভিডিও থেকে।

নিঃসীম নূরানী অন্ধকারে - ০৫

লিখেছেন কবীর উদ্দীন

২১.
ধর্মগুরুদের কেউ কেউ মৃগী ও হিস্টিরিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে আল্লার সাথে কথা কন, কেউ কেউ ভাব সমাধি প্রাপ্ত হয়ে মৃতবৎ প'ড়ে থাকেন ধ্যানের রাজ্যে। 

২২.
আল্লাকে দেখে মুসা নবী কেন হয়েছিল অজ্ঞান? তিনি কি এতই কুৎসিত কুদর্শন? 

২৩.
ধর্মগ্রন্থগুলো আসলেই অলৌকিক। কারণ এত এত মারাত্মক ও ধ্বংসাত্মক কথা কোনো লোকের পক্ষে লেখা আদৌ সম্ভব নয়।

২৪. 
মানুষ কি মৃত্যুর পরও বেঁচে থাকে? যদি তাই হয়, তাহলে নিষ্ঠুর মৃত্যুর কী দরকার ছিল? 

২৫. 
মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন পর্বতগুহায় বিনামূল্যে ওহী পাওয়া যায়। গায়েবী আওয়াজ শোনা যায়।

অনার কিলিং: ধর্মীয় বর্বরতার আরেকটি রূপ

পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ব্রিটেনে প্রতিদিন গড়ে আটটি 'অনার' অপরাধ (ধর্মীয় সংস্কৃতি-বহির্ভুত আচরণ করে পরিবারে কলঙ্ক আনা) সংঘটিত হয়। পলিটিক্যাল কারেক্টনেস দেখিয়ে উল্লেখ করা হয়নি যে, ৯০ শতাংশেরও বেশি অনার অপরাধ ঘটে মুসলিম পরিবারে। এবং বাকি অংশটুকু - ভিন্ন ধর্মানুসারীদের পরিবারে। ধর্মহীনদের পরিবারে অনার কিলিং/অপরাধ বলে কিছু নেই। অবশ্য এমন পরিবারের 'সম্মান' বলে কিছু থাকলে তো! 

মুসলিম পরিবারের সম্মানহানি হয় শুধুমাত্র মেয়েদের কারণে। এরা বোরখা-হিজাব পরতে চায় না, বেশরিয়তী পোশাক পরে, বিয়ের আগেই প্রেম-ট্রেম করে, অমুসলিম বয়ফ্রেন্ড বানায়, পিতা-মাতার নির্বাচিত পাত্রের সঙ্গে বিয়েতে অস্বীকৃতি জানায়... ইত্যাদি। তবে ছেলেরা যা-ই করুক না কেন, তাতে মুসলিম পরিবারের সম্মানে আঁচড় লাগে না কিন্তু। অনার কিলিং-এর শিকার হয়েছে কোনও ছেলে, এমন সংবাদ আমার চোখে অন্তত পড়েনি। 
বিবিসি-র তৈরি ২৯ মিনিটের ডকুমেন্টারি: Britain´s Crimes of 'Honour'. বিবিসি এ অন্যান্য সংবাদমাধ্যমের পলিটিক্যাল কারেক্টনেস-এর সমালোচনা করে ইউটিউবে একজন মন্তব্য করেছে: Stop being politically confused. Stop calling these savage fuckers Asian, they're muslim, you are insulting other Asians by afilliating them with these sub-humans.


বেহেশতী শপ উইন্ডো

সংলাপ ও ফটোমাস্তানি: হিমালয় গাঙ্গুলী। তিনি উল্লেখ করেছেন: "পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহের নামে প্রথম ফটোমাস্তানির সাহস করে ফেলেছি।" 


বুধবার, ২৮ মার্চ, ২০১২

মহা-ম্যাডের গাধা

রিপোস্ট: মাস দুয়েক আগে অবশ্য স্বেচ্ছাঅনুবাদক আহ্বান করে ব্যাপক সাড়া পেয়েছিলাম বেশ। যদিও দায়িত্ব পাবার পরে গা ঢাকা দিয়েছেন তাঁদের অধিকাংশেই। এবং ক্রমশ উপলব্ধি হচ্ছে, বন্য মহিষ বিতাড়নে সহযোগী খুব বেশি পাওয়া যাবে না। চির-আশাবাদী আমি আশা হারাই না তবু।

আমাদের পেয়ারে নবীর মহান চরিত্রের নানান দিক উঘাটনকারী কিছু স্লাইড শো ইতোমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে ধর্মকারীতে। সবগুলোই ইংরেজিতে। একটি অবশ্য অনূদিও হয়েছিল প্রায় বছরখানিক আগে। সেটিকেই টেনে তুলে আনলাম এই আশায়, যদি কেউ স্লাইড শো-গুলোর অনুবাদকর্মে উদ্বুদ্ধ হন! 

গাধা-নবীজির কথোপকথন নামের পোস্টে এমবেড করা মজাদার তবে ইংরেজি স্লাইড-শো এখন সম্পূর্ণ বাংলায়। এর পেছনে সমস্ত (উদ্যোগ, অনুবাদ ও ফটোমাস্তানি) কৃতিত্ব ধর্মকারীর অতীব সক্রিয় ও বুদ্ধিদীপ্ত কমেন্টক দাঁড়িপাল্লা (গুমর ফাঁক)

নির্বীর্য বিধাতা

ঈশ্বর কেন অশুভ কাজ রোধ করে না?

নয় মিনিটের ভিডিও-কার্টুনে ঈশ্বরের সঙ্গে সংলাপ থেকে জেনে নিন।

ছহীহ ইছলামী বিজ্ঞাপন - ০৭

আইডিয়া, নির্মাণ ও ভূমিকা: Mohammad Mockerof Islam 

বর্তমান যুগে ইছলাম জ্ঞানে-বিজ্ঞানে অনেক পিছিয়ে আছে। ইহুদি ভাইদের দেখুন, তারা সাবাথ-এর দিনে কোনো প্রকার যন্ত্র চালানো নিষেধ বলে মুখে নির্দেশ দিয়ে গাড়ি চালানোর মেশিন বের করেছে, সুইচবিহীন লিফট, টেলিফোন, টিভি রিমোট কন্ট্রোল ইত্যাদি আবিষ্কার করে ধর্মের কঠিন নিয়ম কানুনকে সুকৌশলে পাশ কাটিয়ে দিব্যি জিহোভার নেক নজরে আছে, আবার আধুনিক জীবনের সাথেও তাল মিলিয়ে চলছে! ইদানীং ফেসবুকে, নেটে নাস্তিকেরা যেভাবে ইসলামের গোঁজামিল গুলো ফাঁস করে দিচ্ছে এবং মুমিনেরা ভুল বুঝতে পেরে দলে দলে গোপনে ইসলাম ত্যাগ করছে, তাতে করে অচিরেই মডারেট মুমিনদের 'গাছেরও খাব তলেরও খাব' নীতির সাথে তাল মিলিয়ে ইসলামকে 'আধুনিক' করা না গেলে এর বিলুপ্তি অনিবার্য। আসন্ন বিপদ সম্পর্কে জ্বীনের মাধ্যমে ইশারা পেয়ে আমাদের ডিজিটাল নবী জোকার নায়েক গত ২ বছর ধরে কোরান রিসার্চ করে ইসলাম আধুনিকায়নের লক্ষ্যে একগুচ্ছ নতুন বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তি ও বিজনেস মডেল আবিষ্কার করেছেন যা ইসলামিক রিসার্চ ফাঊন্ডেশন খুব শিগগিরই বাস্তবে রূপ দিতে যাচ্ছে! এই গোপন প্রজেক্টের মার্কেটিং-এর অংশ হিসাবে কিছু বিজ্ঞাপন তৈরি করা হয়েছিল, যা ঊইকিলিক্‌সের জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ সম্প্রতি ইন্টারনেটে লিক করে দেন। আমরা সেই ছহীহ ইসলামী বিজ্ঞাপন গুলোকে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি মডারেট মুমিনদের মনোবল চাঙ্গা করার জন্যে।

ছবিতে ক্লিক করে পূর্ণাকারে দেখুন

হ্রস্বরসবাক্যবাণ – ৩৬

১.
রহস্যের মধ্যে ঈশ্বর লুক্কায়িত থাকেন, রহস্যের খোলস উন্মোচিত হলে ঈশ্বর মৃত।

২.
হিন্দু ধর্মের দেবদেবি কত নিষ্ঠুর, তাদের তুষ্ট রাখতে তাদের উচ্ছিষ্ট খেতে হবে; যে যত ভক্তি করে খাবে সে ততো বড় ভক্ত... এটা কোন ধরনের ধর্ম?? 
(Barun Das)

৩. 
ধর্মবিশ্বাসের জন্ম ও বৃদ্ধি হয় কল্পনার কাছে বুদ্ধিমত্তার আত্মসমর্পণে।
(সংগৃহীত)

ছহীহ matryoshka

রাশিয়ার খুব বিখ্যাত একটি স্যুভেনির-পণ্যের নাম matryoshka - নানান আকৃতির বেশ কয়েকটি কাঠের পুতুলের সেট, যেটাতে ছোট পুতুলকে ঢুকিয়ে ফেলা যায় মেজো পুতুলের পেটে, সেজো পুতুলের পেটে এঁটে যায় মেজো পুতুল... ইত্যাদি। ছবি দেখুন। 


নিচের কার্টুনটি বোঝার জন্যে এই ভুমিকাটুকুর প্রয়োজন ছিলো। 


মঙ্গলবার, ২৭ মার্চ, ২০১২

হাঁটে যিশু জল 'পরে

পানির ওপর দিয়ে হাঁটতে পারতো যিশু। কীভাবে? যিশু নিজেই তা ফাঁস করছে ৩০ সেকেন্ডের ভিডিও-কার্টুনে।

'প্রক্সি' শেখার লগ্ন এলো

অতীতকালে আল্যাফাক তাহার অপছন্দের কর্ম রোধ করিতে সরাসরি হস্তক্ষেপ করিতেন। তবে বর্তমানে, হয়তো বার্ধক্যজনিত কারণে, তাঁহার কর্মক্ষমতা সম্পূর্ণরূপে লোপ পাইয়াছে। তিনি কার্যত নির্বীর্য ও অক্ষম। ফলে তাঁহার মহিমা সুরক্ষার দায়িত্ব অর্পিত হইয়াছে তাঁহার অনুসারীদের উপর। এখনও নিশ্চিত করা যায় নাই, উক্ত সংবাদে উল্লেখিত সাইটটি "ধর্মকারী" কি না, তবে সম্ভাবনা রহিয়াছে যথেষ্ট পরিমাণেই।

অতএব হে বাংলাদেশবাসী বেঈমান্দার, বেদ্বীন বান্দাসকল, তোমাদিগের ভিতরে যাহারা অদ্যাবধি ইন্টারনেটে প্রক্সি ব্যবহারবিধি বিষয়ে অবহিত নহো, তাহারা অচিরকালে উহা রপ্ত করিয়া রাখো। ভবিষ্যতে কাজে লাগিতে পারে।

* প্রক্সি-সাইট, তার কার্যকারিতা ও ব্যবহার-নির্দেশিকা সম্পর্কে বিজ্ঞ পাঠকদের কেউ সহজ ভাষায় দু'কলম লিখে দিলে খুব খুশি হতাম। 

সুড়সুড়িময় ধর্মানুভূতি

স-ভূমিকা স্ক্রিনশট পাঠিয়েছেন রাশান ফুলকি

আমাদের দেশের মানুষের একটা বিশেষ অনুভূতির নাম ধর্মানুভূতি। যুগ যুগ ধরে এই বিশেষ অনুভূতিটির সদ্ব্যবহার করে এসেছে শাসকশ্রেণী ও তাদের মনোনীত ব্যক্তিবর্গ। বর্তমান আধুনিক যুগের সাথে এই অনুভূতি ব্যবহার করে মানুষের সমর্থন আদায় করার প্রচেষ্টাও আধুনিক রূপ লাভ করেছে। তারই সবচেয়ে হাল ফলাফল হলো ফেসবুক পেজে ভণ্ডামির এইসব নমুনা। ফেসবুকের এই পেজগুলোর মুখ্য উদ্দেশ্য কী, তা খুবই রহস্যময়। এরা নামে কৌতুক, ব্যঙ্গাত্মক, সাহিত্য, শিক্ষা, খেলাধুলা ইত্যাদির কথা বললেও কাজের বেলায় দেখা যায়, একটি বিশেষ ধর্মের ধর্মানুভূতিকে সুড়সুড়ি দেওয়ার চেষ্টা করে। আবার, সমানতালে প্রাপ্তবয়স্কদের কৌতুক, রসালো গল্পও প্রকাশ করে। ধর্মের শিক্ষা সবসময়ই যৌনতা, অশ্লীলতাকে নিরুৎসাহিত করে। কাজেই, একই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান একই সাথে দুই ভিন্ন মেরুর কাজ করলে তাকে ভণ্ডামি বলাটা বোধহয় ভুল হবে না। তবে, "আধুনিক" পাঠকেরা তাদের এই প্রচেষ্টাকে ধর্মপ্রচারের "কর্পোরেট সিস্টেম" বলবেন নাকি "ধর্মানুভূতিতে আঘাত" বলবেন তা তাদের হাতেই ছেড়ে দিলাম।

পূর্ণাকারে (প্রায় ২ মেগাবাইট) দেখতে ছবির ওপরে ক্লিক করুন
আরও কিছু স্ক্রিনশট এক প্যাকেটে। ১.৩ মেগাবাইট।

অগণিত দোয়া > সবই যায় খোয়া

আল্লাহর কাছে দোয়া করার অর্থ - আল্লাহকে তার পূর্বনির্ধারিত পরিকল্পনা পরিবর্তনের আবেদন করা। কিন্তু সে কি সর্বজ্ঞ নয়? তার তো জানার কথা, তাকে কোন বান্দা কী অনুরোধ করবে। তাহলে তার পরিকল্পনায় সেই অনুরোধের ফলাফল নির্ধারণ করা আছে নিশ্চয়ই। সেক্ষেত্রে দোয়া একেবারেই বাহুল্য নয় কি? 

দোয়ায় কাজ হলে ঈমানদাঁড় ভাইদেরকে হাইকোর্টের শরণ নিতে হতো না। আসলে দোয়া করে কারও একটি যৌনকেশও উৎপাটন করা যায় না। তারপরেও লোকে কারোর জন্যে দোয়া স্রেফ একটা কারণেই: একেবারেই কিছু না করেও সাহায্য করার ভান করা এবং সেটা ভেবে আত্মতৃপ্তি পাওয়া যায়। 

দু'মিনিটের ভিডিও-সংবাদ। 


নারী অন্তর্বাসে > দেখে অন্তর হাসে

সংলাপ বসানো খেলার জন্য উপযুক্ত ছবি বলেই মনে হচ্ছে। হবে নাকি কয়েক দান, ফটোমাস্তান ভাইয়েরা?


সোমবার, ২৬ মার্চ, ২০১২

হা-হা-হাদিস – ৩৪

হে ঈমান্দার বান্দাসকল, তোমাদের জন্য অজস্র রসময় কথা গুপ্ত রহিয়াছে হাদিস শরিফে।
- সহীহ আল-ধর্মকারী
হে ঈমান্দার মমিন ভাই, আপনে কি খাড়ায়া খাড়ায়া পানি খান? নাউজুবিল্লাহ! আস্তাগফিরুল্লাহ! আর কখনও এই কুফরী কাজ কইরেন না! নবীজি স্পষ্ট ভাষায় বইলা দিসে বসা অবস্থায় পানি খাইতে। ভুইলা গেলে কিন্তু আপনের বমি হইয়া যাবে!   
Abu Huraira reported Allah's Messenger (may peace be upon him) as saying: None of you should drink while standing; and if anyone forgets, he must vomit.
Sahih Muslim, Book 023, Number 5022

সাই-ফাই সেরিমনি

ভিডিওর বর্ণনায় বলা আছে: COVERAGE OF A SCI-FI CEREMONY IN A GALAXY FAR, FAR AWAY. 

পচানি যাকে বলে! ক্যাথলিকদের উৎকট রিচ্যুয়ালগুলোকে বিদ্রূপ করে বানানো প্রায় তিন মিনিটের হাহাপগে ভিডিও। 

পীর-মাজার রেলিজিয়াস বিজনেস আনলিমিটেড

এই অতিকায় মাংসপিণ্ড নাকি দেওয়ানবাগী পীর। আর পীর মানেই ভণ্ড, এই সরল সত্যটি কেন যে আস্তিক-মস্তিষ্কে সেঁধোয় না!

পঙ্কজ শরণ মাজারের শরণ নিলেন

দে মা আমায় তবিলদারি – ০২

লিখেছেন অশোভন

এই সিরিজের প্রথম পর্বে যারা বাবা রামদেবের সম্পত্তির পরিমাণ দেখে আশ্চর্য হযেছিলেন, তাঁদের বলে রাখি, আজ যার কথা বলবো, তার কাছে রামদেব নস্যি। আজ বলছি সত্য সাইবাবার কথা। যারা এইসব বাবাগিরির খবর খুব একটা রাখেন না, তাঁদের প্রথমে একটু বুঝিয়ে দেওয়া দরকার - সাইবাবা কাহাকে বলে, ইহা কয় প্রকার ও কী কী ইত্যাদি। 

সাইবাবা আছেন দু'জন। একজন হচ্ছেন সির্দি সাইবাবা যিনি মহারাষ্ট্রের সির্দি তে বাস করতেন এবং ১৯১৮ সালে মারা যান। এই ব্যক্তি মূলত একজন সুফি বা ফকির ধরনের লোক ছিলেন এবং হিন্দু-মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের লোকই এর শিষ্য ছিল। আমাদের ইনি হলেন সত্য সাইবাবা, যিনি তাঁর “ক্যারিয়ারের” শুরুতে নিজেকে সির্দি সাইবাবার অবতার বলে দাবি করেন। যথাসময়ে বাবার পসার জমে যায়, দেশ-বিদেশের সকল সম্প্রদায়ের মানুষ বাবার শিষ্য হতে শুরু করে ও তাদের দাক্ষিণ্যে বাবার বিশাল সাম্রাজ্য গড়ে ওঠে।

গোপিনিবেশী “বয়ফ্রেন্ড”দের সাথে সাইবাবা

ভারতে বাবার কতটা প্রভাব ছিল, সেটা বোঝানোর জন্য দু'টি উদাহরণই যথেষ্ট।

এক. ২০০১ সালে কিছু পত্র-পত্রিকায় বাবার কুকীর্তির ব্যাপারে লেখালিখি শুরু হলে বাবার সমর্থনে ভারতের গণমান্য লোকেরা একটা প্রতিবাদপত্র প্রকাশ করে। তাতে স্বাক্ষরকারীদের কযেকজন হলেন অটলবিহারী বাজপেয়ী (তখন তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদে), পি. এন. ভগবতী (সুপ্রিমকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি), রঙ্গনাথ মিশ্র (সুপ্রিমকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি ও মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান), নাজমা হেপতুল্লা (কংগ্রেসের প্রবীণ রাজনীতিবিদ), শিবরাজ পাতিলের (প্রবীণ রাজনীতিবিদ, বহুবারের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী) মতো লোকেরা। ওই চিঠিতে আর কার-কার নাম ছিল, জানি না, তবে দিল্লির রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে বলিউডের অভিনেতা পর্যন্ত সবাই সাইবাবার শিষ্যের তালিকায় আছে।

দুই. সাইবাবা গতবছর মারা গেলে তার শেষকৃত্যে যোগ দেন মনমোহন সিং, সোনিয়া গান্ধী, নরেন্দ্র মোদী, অম্বিকা সনি সহ পাঁচ লক্ষ লোক। শচীন তেন্ডুলকর তার জন্মদিনের উত্সব বাতিল করে দেন। 

এবার আসল কথায ফিরি। এহেন সাইবাবার সম্পত্তির পরিমাণ কত? সরকারী হিসেবে ৪০,০০০ কোটি (ভারতীয়) টাকা। বেসরকারী হিসেবে সেটা ১,৪০,০০০ কোটি টাকা। না, ভুল পড়েননি। ওটা এক লক্ষ চল্লিশ হাজার কোটিই বটে। একটু দম নিয়ে নিন...। 

পৃথিবীজুড়ে ১৮৬ টি দেশে সাই-সাম্রাজ্য বিস্তৃত। তারা ১২০০-এরও বেশি বিভিন্ন সংস্থা চালায়। এই সাম্রাজ্যের রাজধানী ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের পুত্তাপার্থী নামের একটি ছোট শহর। এই শহরটির অর্থনীতি পুরোপুরি সাইবাবা ভিত্তিক। সেখানে আছে সত্য সাই বিশ্ববিদ্যালয়, মিউজিয়াম, প্ল্যানেটোরিযাম, ইনডোর ও আউটডোর স্টেডিয়াম, একটি সাধারণ হাসপাতাল, একটি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, মিউজিক কলেজ, একটি রেল স্টেশন ও একটি বিমান বন্দর। এ সবই সাই-সাম্রাজ্যর অধীন।

৫০০ কোটি টাকা খরচ করে ১০০ একর জমিতে যে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালটি বানানো হয় তার মধ্যে ৩০০ কোটি টাকা দেন হার্ড রক কাফের মালিক আইজাক টিগ্রেট। জি. ভি. শেট্টি নামে একজন প্রবাসী ভারতীয় ইনডোর স্টেডিয়ামটির জন্য ২৫ কোটি টাকা দেন। একজন ইন্দোনেশিয়ার ভক্ত মিউজিক কলেজটির জন্য দেন ৫০ কোটি টাকা।

বিভিন্ন জায়গায় পানীয় জলের যেসব প্রকল্প তার সংস্থা বানিয়েছে তার মোট খরচ ২৫০০ টাকার ওপর।

এসব তথ্য থেকে অনেকেরই মনে হতেই পারে যে, বাবা তো সবই সমাজ সেবার কাজ করেছেন। তাহলে সমস্যাটা কোথায়? সেটা বুঝতে গেলে একটু অঙ্ক করতে হবে। হরি সম্পথ নামে একজন পুরো বিষয়টা এখানে বেশ বিশদে হিসেব করে দেখিয়েছেন। আমি ছোট করে বলি। 

বাবার বিদেশী শিষ্যদের একটা বড় অংশ মাসে ৫০ ডলারের মতো প্রণামী দেন। অনেকে দেন বছরে ১০০০ ডলার। যদি ধরা যায়, ৪০ লক্ষ শিষ্য ১০ বছর ধরে গড়ে বছরে ৪০০ ডলার করে দান করেন তাহলে মোট অর্থের পরিমান দাড়ায় ১৬০০ কোটি ডলার| কাজেই গত ২০ থেকে ৩০ বছর ধরে বাবার মোট রোজগারের পরিমাণ ২৫০০ থেকে ৩০০০ কোটি ডলার হবেই। এছাড়া বাবার ৩০০ একরের ওপর জমি রয়েছে নানা জায়গায়। সব মিলিয়ে ৪০০০ কোটি ডলারের মতো। অন্যদিকে গত ২০ বছর ধরে বাবার সমস্ত জনহিতকর কাজের জন্য খরচ ২০ থেকে ২৫ কোটি ডলারের বেশি নয়। হরি যুক্তি দিয়েছেন তার হিসেব যদি খুব সঠিক নাও হয় এবং তা যদি সঠিক টাকার দ্বিগুণও হয় তা হলেও সাইবাবা ট্রাস্টের কাছে ২০০০ কোটি ডলার থাকার কথা।

যে বাড়িতে সাইবাবা থাকতেন, তার একটা অংশে বাইরের কারো প্রবেশাধিকার ছিল না। তার মৃত্যুর পর সেই বাড়ি থেকে ১১ কোটির ওপর নগদ টাকা, ৯৮ কিলো সোনা ও ৩০৭ কিলো রুপা পাওয়া যায়। কাজেই হরি সম্পথের হিসেব খুব ভুল নয় বলেই মনে হয়।

সাইবাবার অলৌকিক শক্তির ব্যাপারে তার শিষ্যদের বিশ্বাস ও সেই সম্পর্কিত ঘটনাবলী খুবই ইন্টারেস্টিং। সে নিয়ে পরে কখনো কথা বলা যাবে। 

তথ্যসূত্র: 



রবিবার, ২৫ মার্চ, ২০১২

যিশুর অলৌকিক জলপাত

ঝাড়-ফুঁক, তন্ত্র-মন্ত্র, প্রার্থনা, রিচুয়াল – সব ভুয়া! এবং একইভাবে ধর্মীয় গুরু, বাবা বা তান্ত্রিক গোছের সকলেই শঠ ও ভণ্ড। তবে তাদের দোর্দণ্ড প্রতাপ। বিশেষ করে ভারতে। কিছু ভোজবাজি দেখিয়ে বিশ্বাসোন্মুখ জনগণের চোখে তারা অতীন্দ্রিয় শক্তির অধিকারী বনে যায়। 

এদের জারিজুরি ফাঁস করে দিতে যে ব্যক্তিটি নিরলরস, তাঁর নাম Sanal Edamaruku - ভারতের Rationalist International-এর প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি। Indian Rationalist Association-এর সভাপতিও তিনি। সবচেয়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী ঘটনার জন্ম তিনি দিয়েছিলেন ২০০৮ সালে। লাইভ টিভি শোতে এক তান্ত্রিককে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন তিনি। চুক্তি হয়েছিল, তন্ত্র-মন্ত্রের জোরে তন্ত্র-গুরু Sanal Edamaruku-কে মেরে ফেলবেন। ফলাফল কী, তা তো সহজেই অনুমেয়। ব্যর্থ হয়ে তান্ত্রিক ঘোষণা দিয়েছিলেন, কোনও অতীব ক্ষমতাধর ভগবান Sanal Edamaruku-এর নিরাপত্তা বিধান করছে  

এবারে ভারতের কোন এক ক্যাথলিক চার্চের যিশুর মূর্তি থেকে টপটপ করে পানি পড়ার 'অলৌকিক' ঘটনার রহস্যভেদ করলেন তিনি। ভিডিওটা হিন্দিতে, যে-ভাষা আমি খুবই কম বুঝি। তারপরেও ঘটনা বুঝতে বেগ পেতে হয়নি। 

নবী হওয়ার গল্প


লিখেছেন হযরত নালায়েক

উইকিলিক্সের ফাঁস করা জিব্রাইলের গোপন বার্তা থেকে জানা গেছে যে, আধুনিক যুগের মুমিনদের পাঞ্জেরী ডাঃ যাকির নায়েককে ডিজিটাল নবী হিসেবে মহান আল্লাহ তা’আলা মনোনীত করেছেন। তাঁকে নবী করার জন্য দিকে দিকে বিশেষ মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হচ্ছে, বাদ জুম্মা আল্লাহের কাছে বিশেষ মোনাজাতও করা হবে বলে জানা যায়। যাকির নায়েক এ খবর শুনে আনন্দে আপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, “আমি নবী হলে আমার উম্মতদের জন্য ৭২টি নয়, তার চেয়ে কয়েকগুন বেশি হুরপরী থাকবে, ডিজিটাল যুগের মুমিনদের চাহিদার কথা বিচার করে হুরপরীদেরকে আরো যৌন আবেদনময়ী করার জন্য আল্লাহের কাছে ফরিয়াদ জানাব।” তিনি নবী হওয়ার পরে মুমিনদের জন্য আরো কিছু থাকবে বলে রহস্যময় ইঙ্গিত করেন। তবে গোপন সূত্রে জানা গেছে, তিনি তার উম্মতদের জান্নাতে আরো বেশি গেলমানের ব্যবস্থা করবেন। 

তবে এ ঘটনায় আরব বিশ্বে বয়ে যাচ্ছে সমালোচনার ঝড়। পবিত্র কাবা শরীফের প্রধান ইমাম বলেন, “নবী হওয়ার অধিকার শুধু আরব পুরুষদেরই রয়েছে। অনারব পুরুষরা যতোই বর্বর, অশিক্ষিত, ভণ্ড হোক না কেন, তারা কখনোই নবী হতে পারে না” । আল্লাহ যদি এ সিদ্ধান্ত বাতিল না করেন, তাহলে আরবরা কঠোর আন্দোলনের হুমকি দেন। আপাতত তারা কাবা শরীফের সামনে অবস্থান ধর্মঘট পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। 

এদিকে মুফতি আমিনী এ খবর শুনে হতাশায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন, “নায়েক সাহেব খ্রিষ্টানদের স্যুট-টাই পরে এসির বাতাসে বয়ান করেন, আর এদিকে আমি কোরানে বর্ণিত স্বামীদের স্ত্রী পেটানোর অধিকার রক্ষায় রাজপথে আন্দোলন করছি। অথচ আল্লাহ তাকেই বেছে নিলেন!” এক বেরসিক সাংবাদিক তাঁকে প্রশ্ন করে বসেন, “আপনি তো রাজপথে নামেননি, আপনিও তো বাসায় বসে এসির বাতাস খেয়েছেন”; তার উত্তরে আমিনী রাগান্বিত হয়ে বলেন “আম্নে আমাত্তে বেশি বুঝেন!” 

বিশিষ্ট মাওলানা দেলোওয়ার হোসেন সাঈদী এ ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করেন। আল্লাহর এই বিমাতাসুলভ আচরণে তিনি যারপরনাই ব্যথিত। “ডিজিটাল যুগের ইহুদী নাসারাদের তৈরী ইউটিউব আর টেলিভিশন দিয়ে মুমিনদের কাছ পৌঁছানো যায় না।” তবে তিনি ওয়াজ করার সময় যে-মাইক ব্যবহার করেন, সেটাও যে ইহুদী নাসারারদের তৈরী জিজ্ঞাসা করার পরে তিনি উত্তর দেওয়া থেকে বিরত থাকেন। 

সাঈদীর নিজেকে নবী করার দাবি তোলার কথা শুনে ক্ষোভে ফেটে পড়েন অধ্যাপক গোলাম আযম। “সাঈদী নিজের কথা বললেও সে কেন আমার কথা বলল না, সেটা বুঝতে পারলাম না। ৭১ সালে ইসলামের সেবায় নিজের জীবন উৎসর্গ করেছি। কোরান অনুযায়ী যুদ্ধবন্দী নারীদের সাথে সহবত করা, কাফেরদের কতল করা - সবকিছুই করেছি। এমনকি সহীহ ইসলামী শান্তি কমিটির চেয়ারম্যানও ছিলাম আমি। অথচ সাঈদী কিনা আমার কথা না বলে নিজের কথা বলল!” 

এদিকে ছয় বছরের শিশু মেয়েদের পিতামাতার মধ্যে বয়ে যাচ্ছে আনন্দের ঢেউ। কিন্তু নবীজির পক্ষে এতোগুলো বাচ্চাকে বধূ হিসেবে গ্রহণ করা সম্ভবপর নয় বলে শিশুদের জন্য আয়োজন করা হয়েছে বিশেষ প্রতিযোগিতার। তারা নিজেকে হযরত আয়েশার জায়গায় দেখতে পারবে, এ কথা ভেবে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার কষ্টটুকু শিশুদের পিতামাতা অবলীলায় সহ্য করে যাচ্ছে। এক শিশুর অনুভূতির কথা জানতে চাইলে সে বলে, “আম্মু, আমি স্কুলে যাব!” শিশুর মা তার মুখ চেপে ধরে আমাদেরকে জানান, “আসলে আর তিন বছর পরে নবীজি ওর সাথে সহবত করবেন, একথা ভেবেই আমরা উচ্ছসিত।” তবে এই প্রতিযোগিতা নবীজির বন্ধুদেরকে খেপিয়ে তুলেছে। একজন সাহাবী জানান, “নবীজির বধূ হবার অধিকার শুধু আমাদের মেয়েদেরই রয়েছে। সেখানে এ ধরনের প্রতিযোগিতা কোরান ও সুন্নাহ পরিপন্থী।” 

তবে প্রতিযোগিতা যে শুধু শিশুদের মধ্যে তা কিন্তু নয়। যৌন আবেদনময়ী সুন্দরীরা নবীজির পালক ছেলের বধূ হবার জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন। কিন্তু পূত্রবধূ কেন, এ প্রশ্নের জবাবে এক সুন্দরী বলেন, “আসলে প্রতিযোগিতা অনেক বেশি তো, তাই অন্য পথে ট্রাই করছি। পূত্রবধূ থেকে নবীজির নিজের বধূ হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। এরকম সুযোগ হেলায় হারাতে চাই না।”

ভগবানেশ্বরাল্লাহর অস্তিত্ব: প্রমাণ


মাত্র আড়াই মিনিটের ভিডিও দেখে ভগবানেশ্বরাল্লাহর অস্তিত্ব সম্পর্কে নিশ্চিত হোন।


নবী বলছে, ছবি এঁকো না


ভূমিকা ও পোস্টার: ফেসবুক মুমিন

শিল্পাচার্য জয়নুলের একটি স্কেচ ও প্রাসঙ্গিক সহিহ হাদিস।


ধর্মের এ রকম গাঁজাখুরি নিষেধাজ্ঞায় শিল্পানুভূতিতে আঘাত তো পাওয়া যাবেই না, বরং শিল্পীরা এ ধরনের ধর্মীয় বাণীর বিরুদ্ধে কিছু বললে উহা "ধর্মানুভূতিতে আঘাত" নামক এক গুরুতর অপরাধের শামিল হবে।

শনিবার, ২৪ মার্চ, ২০১২

লিংকিন পার্ক - ৪৩


১.
ঈমানদাঁড়দের ধর্মানুনুভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হইসে। এবং আল্যাফাক যেহেতু হুদাই সর্বশক্তিমান (বলা চলে - সর্বshowক্তিমান), তাই তাদের ঈমানদণ্ড আঘাতমুক্ত রাখার দায়িত্ব নিসে হাইকোর্ট। এ বিষয়ে একটি প্রতিক্রিয়া-রচনা। 

২. 

৩. 
চৌদি আজবে কোনও চলচ্চিত্র নিষিদ্ধ ঘোষিত হলে চৌদিরা সেই নিষিদ্ধ চলচ্চিত্র থেকে জ্ঞানার্জনের জন্যে সুদূর চীন দুবাই পর্যন্ত ভ্রমণ করে। 

৪. 
প্রবল আস্তিক-পরিবেষ্টিত পরিবেশে বাস করে সমস্ত প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে নাস্তিক্যবাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় নিরলস এক নির্ভীক নাস্তিকের গল্প।

৫, 
কদর্য হিন্দুধর্মের কুৎসিত বর্ণপ্রথার করুণ শিকার দুই বালিকা। 

৬. 
নিসফুস সাক্ব ক্বমীছ খাছ ইসলামী ও সুন্নতী পোশাক। কিছু বুঝলেন? সম্পূর্ণ বাংলা ভাষায় রচিত বিশুদ্ধ ইছলামী বিনোদনপাঠ। 
(লিংকম্যান: দুষ্ট বালিকা) 

৭. 
যে অপকর্মগুলো শুধু আস্তিকদের পক্ষেই করা সম্ভব। অভিনব একটি সাইট।

৮. 
বিবর্তন বিষয়ক ভিডিওর অকল্পনীয় বিশাল সংগ্রহ! আগে একবার লিংকটা দিয়েছিলাম কি? মনে পড়ছে না। 

৯. 
বুঝে কোরান পড়লে সুস্থবুদ্ধির মানুষের নাস্তিকই হবার কথা। 

Reason Rally-র উদ্দেশ্য ও বিধেয়


আজ আমেরিকার ওয়াশিংটন ডিসি-তে স্থানীয় সময় সকাল দশটা থেকে ছয়টা পর্যন্ত চলবে Reason Rally - নিরীশ্বরবাদী, নির্ধার্মিকদের সম্মেলন/সম্মিলন। এতে বিপুল জনসমাগম আশা করা যাচ্ছে।

এই অনুষ্ঠানের প্রাক্কালে রিচার্ড ডকিন্স Reason Rally-র উদ্দেশ্য ও বিধেয় বিষয়ে বড়োই মনোগ্রাহী একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন।


নিঃসীম নূরানী অন্ধকারে - ০৪

লিখেছেন কবীর উদ্দীন

১৬.
মহানবী মহাম্মদ,
ছিলেন না মহা-উন্মাদ।
ছিলেন তিনি ধূর্তের ধূর্ত,
ছিলেন তিনি মহা মহা বদ।

১৭.
বিশ্বাসের মহিমা ও রহমত; অথৈ অপার।
অবিশ্বাসীদের উপর
ফতোয়া জারি ও হত্যার হুমকি প্রদান
বিশ্বাসের জগতে মহান ব্যাপার।

১৮.
আমি শান্তিপূর্ণভাবে ব'লে যাবোই
আমার অবিশ্বাসের কথা।
তাতে বিশ্বাসীরা যতোই পান না কেন
তাদের অন্ধ-অনুভূতিতে ব্যথা।

১৯. 
বিশ্বাসীদের অনুভুতি বড়োই ব্যথার স্থান।
কেউ অবিশ্বাসের কথা বললেই
তারা সেই স্থানে যার পর নাই ব্যথা পান।
প্রচণ্ড ব্যথা ও ঈমানী জোশে
তারা প্রলয়ংকরী হয়ে যান।
তখন তারা পবিত্র নির্দেশ
ও পবিত্র কর্তব্য অনুযায়ী
নিরীহ অবিশ্বাসীদের চাপাতি দিয়ে কোপান;
এবং অবিশ্বাসীদের সমাবেশে
পবিত্র বোমা ফোটান।

২০. 
ইয়া আল্লা সোবহান, সর্বশক্তিমান;
তুমি বিশ্বাসীদের হৃদয়ের সীলমোহর
করো উন্মোচন।
তাদেরকে মুক্তচিন্তার ক্ষমতা কর দান।
আমীন।

শুক্রবার, ২৩ মার্চ, ২০১২

ইছলামী শান্তিকামীরা (peace-fuckers)


ফ্রান্সের একটি বাসের ভেতরে শান্তিকামী (peace-fucker) মুসলিমদের ছহীহ ইছলামী আচরণ দেখুন ৪৬ সেকেন্ডের ভিডিওতে। 


ছহীহ ইছলামী বিজ্ঞাপন - ০৬


আইডিয়া, নির্মাণ ও ভূমিকা: Mohammad Mockerof Islam 

বর্তমান যুগে ইছলাম জ্ঞানে-বিজ্ঞানে অনেক পিছিয়ে আছে। ইহুদি ভাইদের দেখুন, তারা সাবাথ-এর দিনে কোনো প্রকার যন্ত্র চালানো নিষেধ বলে মুখে নির্দেশ দিয়ে গাড়ি চালানোর মেশিন বের করেছে, সুইচবিহীন লিফট, টেলিফোন, টিভি রিমোট কন্ট্রোল ইত্যাদি আবিষ্কার করে ধর্মের কঠিন নিয়ম কানুনকে সুকৌশলে পাশ কাটিয়ে দিব্যি জিহোভার নেক নজরে আছে, আবার আধুনিক জীবনের সাথেও তাল মিলিয়ে চলছে! ইদানীং ফেসবুকে, নেটে নাস্তিকেরা যেভাবে ইসলামের গোঁজামিল গুলো ফাঁস করে দিচ্ছে এবং মুমিনেরা ভুল বুঝতে পেরে দলে দলে গোপনে ইসলাম ত্যাগ করছে, তাতে করে অচিরেই মডারেট মুমিনদের 'গাছেরও খাব তলেরও খাব' নীতির সাথে তাল মিলিয়ে ইসলামকে 'আধুনিক' করা না গেলে এর বিলুপ্তি অনিবার্য। আসন্ন বিপদ সম্পর্কে জ্বীনের মাধ্যমে ইশারা পেয়ে আমাদের ডিজিটাল নবী জোকার নায়েক গত ২ বছর ধরে কোরান রিসার্চ করে ইসলাম আধুনিকায়নের লক্ষ্যে একগুচ্ছ নতুন বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তি ও বিজনেস মডেল আবিষ্কার করেছেন যা ইসলামিক রিসার্চ ফাঊন্ডেশন খুব শিগগিরই বাস্তবে রূপ দিতে যাচ্ছে! এই গোপন প্রজেক্টের মার্কেটিং-এর অংশ হিসাবে কিছু বিজ্ঞাপন তৈরি করা হয়েছিল, যা ঊইকিলিক্‌সের জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ সম্প্রতি ইন্টারনেটে লিক করে দেন। আমরা সেই ছহীহ ইসলামী বিজ্ঞাপন গুলোকে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি মডারেট মুমিনদের মনোবল চাঙ্গা করার জন্যে।

ছবিতে ক্লিক করে পূর্ণাকারে দেখুন

ধর্মাতুল কৌতুকিম – ৩৭


১০২. 
এক ক্যাথলিক ধর্মযাজকের পারিবারিক মুর্গি-খামার থেকে একটি তাগড়া মোরগ খোয়া গেল। কোথাও খুঁজে পাওয়া গেল না তাকে। 
চার্চে পরবর্তী রবিবাসরীয় সমাবেশে ধর্মযাজকের উপস্থিতির অপেক্ষায় বসে আছে সবাই। এক সময় সে এলো এবং বললো: 
- আজ উপাসনা শুরু করবার আগে আমি উপাসনা-বহির্ভুত একটি প্রশ্ন করতে চাই - Has anybody seen my cock? 
উঠে দাঁড়ালো উপস্থিত সকল বালক।

১০৩. 
ডাক্তারের কেবিন থেকে ঝড়ের বেগে বের হয়ে এক যাজিকা (nun) কোনওদিকে না তাকিয়ে ছুটতে থাকলো সামনের দিকে। দেখে নার্স জানতে চাইলো ডাক্তারের কাছে: 
- ব্যাপার কী? 
- আমি তাকে পরীক্ষা করে বলেছি, সে অন্তঃসত্ত্বা, - বললো ডাক্তার।
- এটা তো অসম্ভব ব্যাপার!
- জানি, কিন্তু তার হেঁচকি দূর হয়ে গেছে এক নিমেষেই। 

১০৪. 
এক পুলিশ আর এক মোল্লা গল্প করতে করতে হাঁটছে একসঙ্গে। হঠাৎ তাদের চোখে পড়লো, দু'জন মারামারি করছে পথের পাশে। পুলিশ সেদিকে এগিয়ে যাবার উপক্রম করতেই মোল্লা তাকে নিরস্ত করে বললো: 
- এখনও সময় হয়নি। 
ওদিকে মারামারি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। মোল্লা তবু পুলিশকে যেতে দিলো না সেদিকে। বললো: 
- এখনও সময় হয়নি। 
এক সময় একজন প্রাণ হারালো প্রচণ্ড মার খেয়ে। তখন সেদিকে তাকিয়ে মোল্লা বললো: 
- এখন যাওয়া যায়। একজন তোমার, একজন আমার। দেখলে তো, একটু অপেক্ষা করে দু'জনেই আয়ের ব্যবস্থা হয়ে গেল। 

ধর্ম ও বিশ্বাসকে পুছেও দেখে না বিজ্ঞান



নিচের পোস্টারটি পাঠিয়েছেন স্বস্তিক কুমার 


পুনর্জন্ম নামের কু-রূপকথা


ধর্মগুলোর কাজই হচ্ছে অলীক স্বর্গের স্বপ্ন দেখানো অথবা অসম্ভব রকমের অবাস্তব পুনর্জন্ম-তত্ত্ব প্রচার করা। মোদ্দা কথা, তারা বলতে চায়: এই জীবন জীবন নয়, আরও জীবন আছে...

পুনর্জন্ম বিষয়ে The Atheist Experience-কে একজন প্রশ্ন করেছিল। কী চমৎকার, down-to-earth উত্তর পাওয়া গেল তাতে!

আরেকটি ভিডিওতে পুনর্জন্মের "প্রমাণ"-এর কথা জানালো আরেকজন। প্রমাণ পাবার পরেও কী উত্তর দিলো The Atheist Experience?



বৃহস্পতিবার, ২২ মার্চ, ২০১২

ব্ল্যাসফিমেরিক ১১


(ব্ল্যাসফিমাস লিমেরিক - এই দুই শব্দ থেকে বানানো একটি নতুন শব্দ ব্ল্যাসফিমেরিক)

লিখেছেন আশেকে রাসূল 

মসজিদে কাল শিরনি আছিল অঢেল গোস্ত রুটি
বাচিয়া গিয়াছে, মোল্লা সাহেব হেসে তাই কুটিকুটি
কহেন মোল্লা, যদি না খোদায়
শিরনি সাপোর্ট করিতেন হায়
মসজিদে তালা মেরে কবে শালা নিতাম গ্রীষ্ম ছুটি

প্যাট্রিক কন্ডেল: আমাদের লোক – ৪৪


একটা 'যুক্তি' শোনা যায় প্রায়ই: ইসলামীদের কুকীর্তিতে ধর্মের ভূমিকা নেই, আছে ঐতিহ্যের। নির্ভীক স্পষ্টবাদী প্যাট কন্ডেল এই যুক্তির অসারতা প্রমাণ করে বুঝিয়ে দিচ্ছেন: The religion is the problem, not the culture. The culture isn't great by any means, but without the religion it would be a damn sight better. বিশদ দেখুন ভিডিওতে। 

তবে তাঁর বিশেষ একটি বক্তব্য আলাদা করে উদ্ধৃত না করে পারছি না। মাদ্রাসার সংজ্ঞা তিনি দিয়েছেন এভাবে: A madrassa, in case you didn't know, is an Islamic school. In other words, it's the kind of place where you're likely to come out even more ignorant than when you went in. 

ভিডিওতে সাবটাইটেল দেখা না গেলে প্লেয়ারের cc বাটন ক্লিক করুন।


বেতমিজ বরাহ


পাঠিয়েছেন কণাদ

পূর্ণাকারে দেখতে ছবির ওপরে ক্লিক করুন

হ্রস্বরসবাক্যবাণ – ৩৫


১.
মানুষ কয়েক মিনিট বেঁচে থাকতে পারে বাতাস ছাড়া, কয়েক দিন - পানি ছাড়া, কয়েক সপ্তাহ - খাদ্য ছাড়া এবং সারা জীবন - ঈশ্বর ছাড়া।

২.
GOD.SYS not found, switching default to REALITY.SYS

৩. 
নিজের বিশ্বাস প্রমাণ করতে গিয়ে মিথ্যে বলতে হলে বুঝতে হবে, বিশ্বাসটিই মিথ্যে।

(সংগৃহীত) 

বুধবার, ২১ মার্চ, ২০১২

শরিয়ারে করিয়াছি জীবনের ধ্রুবতারা


বোরখাবদ্ধ নারী যখন বোরখামুক্তির বিপক্ষে উচ্চকণ্ঠ হয়, সোচ্চার হয় শরিয়া আইনে নারীর অধিকারহীনতার 'মাহাত্য' বর্ণনায়, জানায় - শরিয়া আইন বস্তুত সম্মান ও মর্যাদা দেয় নারীকে, তখন আমার মতো ঘোর আশাবাদীও হতোদ্যম হয়ে পড়ে। 

'শরিয়া কি নারীদমন আইন নয়' - এ বিষয়ক একটি প্রশ্নে এক প্রাক্তন মুসলিম মহিলা ও দুই মুসলিমা অংশ নিয়েছিলেন খ্রিষ্টানদের আয়োজিত টিভি-অনুষ্ঠানে। দেড় ঘণ্টার বিতর্ক। উৎসাহীরা দেখতে পারেন। 


কার্ল সেগান কহেন


কার্ল সেগানের একটি বাণীর চিত্ররূপ। ছবিতে ক্লিক করে পূর্ণাকারে দেখা না গেলে এই লিংকে গিয়ে দেখে আসা যাবে। ছবির সাইজ প্রায় এক মেগাবাইট। 



নবী মোর বেজায় ভীতু

ইসলামের ইতিহাসে নবীজিকে প্রবল দুঃসাহসী হিসেবে দেখানো হয়। কিছু ইসলামী তথ্যসূত্র থেকে পাওয়া বর্ণনা অবশ্য প্রমাণ করে তার উল্টোটা। সে নিজে যুদ্ধবাজ ছিলো, তাতে কোনওই সন্দেহ নেই। তবে তার ব্যক্তিগত সাহসিকতার গালগল্প প্রশ্নবিদ্ধ।
কোনও ব্যক্তি ভীতু হলেই তা দুর্নামযোগ্য, তা মনে করি না। তবে ভীতুকে বীরপুরুষ হিসেবে দেখানোর প্রয়াস পরিহাসযোগ্য। 
স্লাইড শো দেখুন অথবা পিডিএফ ডাউনলোড (১০ মেগাবাইট) করে নিন। 


যৌনইঙ্গিতবাহী চার্চ সাইন - ০৬


না, উদ্দেশ্যমূলকভাবে যৌনইঙ্গিত এসবে দেয়া হয়নি। তবে তা খুঁজে পাওয়া দুঃসাধ্য নয় একেবারেই। সর্বমোট চারখানা ছবি।

১.

২.

৩.

৪.

কুফরী কমিক: কামুক

এক টিকেটে তিন ছবি! থুক্কু... এক বইয়ে তিনটি কমিক! 

'কামুক' নামের কমিক সিরিজটি সম্পূর্ণভাবেই কোরান ও হাদিসনির্ভর। কাল্পনিক বা মনগড়া তথ্য তাতে নেই। ফলে কমিকগুলোকে অবলীলায় ছহীহ বলা যেতে পারতো। কিন্তু যেহেতু এসবে ইসলামের নবীর বদন মোবারক দেখানো হয়েছে, তাই কমিকগুলো স্পষ্টতই কুফরী। 



এই সিরিজের তিনটি পর্ব অনূবাদ ও ফটোমাস্তানি করেছেন মুহম্মদ জোঁকছাগলনাইয়ার বনলতা সেন ও শয়তানের চ্যালা। ধর্মকারীতে প্রকাশিত হবার পর তিনটি পর্বই বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করে। সেগুলো সংকলন করে ই-বুক বানিয়ে দিয়েছেন কৌস্তুভSuirauqa

এই ই-বুক দলে দলে ডাউনলোড ও বিতরণ করিয়া অশেষ কুফরী ছওয়াব হাছিল করুন। 

ফরম্যাট: পিডিএফ
সাইজ: ৭ মেগাবাইট
ডাউনলোড লিংক (গুগল ড্রাইভ)
ডাউনলোড লিংক (ড্রপবক্স)

নিচে অনলাইনে পাঠযোগ্য ভার্শন:

উত্তর দেয়া উচিত এভাবে!


বায়োনিকড্যান্স খুব স্পষ্ট ও দৃঢ়ভাবে নিজের ভাব ও যুক্তি প্রকাশ করতে পারেন। তাঁর এই গুণের আমি ভক্ত, সেটা আগেও বলেছি। তাঁর আরও একটি ভিডিও, এতে তাঁকে করা টিপিক্যাল কিছু আস্তিকীয় প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন তিনি। খুবই সরল ও প্রচলিত যুক্তি, কিন্তু ওই যে বললাম, কী বলিষ্ঠ প্রকাশ! 


মঙ্গলবার, ২০ মার্চ, ২০১২

হা-হা-হাদিস – ৩৩

হে ঈমান্দার বান্দাসকল, তোমাদের জন্য অজস্র রসময় কথা গুপ্ত রহিয়াছে হাদিস শরিফে।
- সহীহ আল-ধর্মকারী
দিগম্বর পয়গম্বর পাঠিয়েছেন নিচের হাদিস, যেটাতে পয়গম্বরের দিগম্বর হবার কাহিনী বর্ণিত আছে।