শুক্রবার, ৩১ আগস্ট, ২০১২

মানুষ হয়ে ওঠা

ক্রমবিবর্তনের পথ ধরে আমাদের মানুষ হয়ে ওঠার বিজ্ঞানসম্মত সহজ ও অনবদ্য বিশ্লেষণ দেয়া হয়েছে আড়াই ঘণ্টার এই ডকুমেন্টারিতে। এতে আছে তিনটি পর্ব: 
১. First Steps,
২. Birth of Humanity
৩. Last Human Standing

যারা বিশ্বাস করে, মানবজাতির বংশবৃদ্ধি হয়েছে আদম-হাওয়া ও তাদের পরিবারের অজাচারের (incest) ফল হিসেবে, তারা দূরে গিয়া মুড়ি খাইতে পারে। 


এক জোড়া পোস্টার

পাঠিয়েছেন দিগম্বর পয়গম্বর



নিজের দুটি চরণ ঢাকো, তবে > ধরণী আর ঢাকিতে নাহি হবে

লিখেছেন আরিফুর রহমান

মেয়ের অনাবৃত কাঁধ বা বাহু দেখলে পুরুষের ভেতরে যৌনতা চাগা দিয়ে উঠতেই পারে।

মমতাময়ী প্রকৃতি মাতা তা-ই চান। পুরুষ-নারীর এই যৌনআকর্ষণ না থাকলে লক্ষ বছর ধরে মানুষের প্রজনন ও বংশ-পরম্পরা টিকতে পারতো না। কাজেই যেসব 'জুবক' বাজারের হুজুর বা পাদ্রী বা পুরুতের কথায় নারী বিষয়ে হৃদয়ের গহীনে নিষিদ্ধতা পোষণ করেন, তাদের জন্য একটাই পরামর্শ: 'স্বাভাবিকভাবে নিতে শেখো'।

নারী তোমার মতোই মানুষ। তার দেহের অধিকার সমাজের নয়, তার বাবার নয়, তার স্বামীর নয়। এমনকি ভগবানেশ্বরাল্লাহ নামের কল্পিত সত্ত্বারও নয়। শুধুই তার! 

মেয়ের অস্তিত্বের মালিকানা তার নিজের। সে নিজের বাহু খুলে রাখবে, নাকি ঢেকে, সেটা নিয়ে ইভটিজিং মারানো তোমার কর্ম নয়।



সোজা কথায় - এটা তোমার চিন্তার বিষয় না। যদি দেখে এতোই পছন্দ হয়, তাকে প্রেম করার প্রস্তাব দিতে পারো, ভদ্রতা বজায় রেখে। যদি মিলে যায়, গুড লাক! আমাদের চকলেট পাঠাতে পারো... :)

যদি মেয়েটা 'না' বলে, তাহলে ঠোঁট উল্টে অভিমান ভরে সোজা হাঁটা ধরো, তোমাকে মেয়েটার হয়তো পছন্দ হয়নি। কিন্তু খবরদার, ভদ্রতা ও আইনের গণ্ডির বাইরে যেয়ো না কোনোভাবেই।

ওই মেয়েকে ইভটিজিং করা মাত্রই তুমি ক্রিমিনালে পরিণত হবে, খুব খেয়াল করে। আইনে তার কঠিন শাস্তি আছে। সভ্য সমাজে মেয়েদের রক্ষার জন্য আইন আছে, তার প্রয়োগও আছে।


তাই মেয়েদের নিয়ে বাজে কথা বলতে শুনলে বাজারের হুজুর, পুরুত, পাদ্রীদের মুখ লক্ষ্য করে কষে লাথি মারো।

এটাই তোমার নাগরিক দায়িত্ব। 

ইসলামে কাম ও কামকেলি - ৩২

মূল রচনা: আবুল কাশেম (সেক্স এন্ড সেক্সুয়ালিটি ইন ইসলাম)
অনুবাদ: খেলারাম পাঠক

(সতর্কতা: নরনারীর যৌনাচার নিয়ে এই প্রবন্ধ। স্বাভাবিকভাবেই কামসম্পর্কিত নানাবিধ টার্ম ব্যবহার করতে হয়েছে প্রবন্ধে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যবহৃত ভাষার মধ্যেও তাই অশালীনতার গন্ধ পাওয়া যেতে পারে। কাম সম্পর্কে যাদের শুচিবাই আছে, এই প্রবন্ধ পাঠে আহত হতে পারেন তারা। এই শ্রেনীর পাঠকদের তাই প্রবন্ধটি পাঠ করা থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করা যাচ্ছে। পূর্ব সতর্কতা সত্বেও যদি কেউ এটি পাঠ করে আহত বোধ করেন, সেজন্যে কোনভাবেই লেখককে দায়ী করা চলবে না।)

পর্ব ০১ > পর্ব ০২ > পর্ব ০৩ > পর্ব ০৪ > পর্ব ০৫ > পর্ব ০৬ > পর্ব ০৭ > পর্ব ০৮ > পর্ব ০৯ > পর্ব ১০ > পর্ব ১১ > পর্ব ১২ > পর্ব ১৩ > পর্ব ১৪ > পর্ব ১৫ > পর্ব ১৬ > পর্ব ১৭ > পর্ব ১৮ > পর্ব ১৯ > পর্ব ২০ > পর্ব ২১ > পর্ব ২২ > পর্ব ২৩ > পর্ব ২৪ > পর্ব ২৫ > পর্ব ২৬ > পর্ব ২৭ > পর্ব ২৮ > পর্ব ২৯ > পর্ব ৩০ > পর্ব ৩১

জাওজ হচ্ছে পত্নী, আজওয়াজ পত্নীগণ। বাংলা তরজমাকারীরা কেন পবিত্র গ্রন্থের তরজমায় এরূপ করেছেন, তা তারাই ভাল বলতে পারবেন। তবে ইংরেজী অনুবাদকারীরা তা করেননি, স্পষ্টভাবে ওয়াইভস (wives) বলে অনুবাদ করেছেন। পাঠকরা যাতে বাজারে প্রচলিত বাংলা অনুবাদ গ্রন্থগুলি পড়ে কোনোপ্রকার ধন্দে না পড়েন, তাই এত কথা বলা। 

সে যাহোক, বর্তমান জমানায় যুদ্ধবন্দী কারা? এই প্রশ্নের জবাব খুঁজতে বেশিদূর যাওয়ার প্রয়োজন নেই। যেহেতু কাফেরদের সাথে চিরস্থায়ী যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হবে বলে ইসলাম প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, সুতরাং কাফেরদের দেশের সমস্ত রমণীই অন্ততঃ তাত্ত্বিকভাবে এই ক্যাটাগরিতে পড়ে। এর অর্থ এই দাঁড়ায় যে, কাফেরদের দেশে বসবাসরত একজন মুসলমান (তা সে বিবাহিত বা অবিবাহিত যাই হোক না কেন) যে কোনোসংখ্যক কাফের রমণীর সাথে ঘুমাতে পারে (অর্থাৎ সেক্স করতে পারে)। 

এই কাজের জন্যে জিনা বা ব্যভিচারের দায়ে লজ্জিত বা দণ্ডিত হওয়ার বিন্দুমাত্রও শঙ্কার কারণ নেই তার। অনেক ইসলামপন্থী হয়তো গর্ব করে বলেই বসবেন যে, এইসব কাফের নারীরা মুসলমান পুরুষের স্বাদ গ্রহণ করতে পারছে - এটা তাদের চোদ্দ পুরুষের ভাগ্য। 

একবার থাইল্যান্ডের এক মেসাজ পার্লারে কয়েকজন পাক্কা মুসলমানের সাথে দেখা হয় আমার। থাই যৌনকর্মীদের সাথে তারা কী করছে - আমার এই প্রশ্নের জবাবে তারা অম্লানবদনে বলল যে, থাই রমণীদের সাথে সেক্স করা দোষের কিছু না। কারণ থাইল্যান্ড কাফেরদের দেশ আর কাফের রমনীদের সাথে সেক্স করা পুরোপুরি ইসলামসম্মত। বর্তমানে পৃথিবী জুড়ে মুসলমানরা কাফেরদের হাতে নির্যাতিত হচ্ছে, বিশ্বের সমস্ত অমুসলিমদের সাথে যুদ্ধাবস্থায় আছে মুসলমানরা। যুদ্ধাবস্থায় সমস্ত কাফের রমণীই গনীমতের মাল হিসেবে বিবেচিত হওয়ার যোগ্য, তা সে যেখানেই থাকুক না কেন। তারা আমাকে আরও বলে যে, কোনো মুসলমান যদি অমুসলিম দেশে ভ্রমণ করতে যায়, সেখানে অমুসলিম রমণী ভোগ করায় কোন দোষ নেই, এ কাজ পুরোপুরি শরীয়তসম্মত। 

তাদের কথাকে তখন মোটেও আমলে নেইনি আমি। ভেবেছিলাম, এইসব মোল্লারা ইসলামের কিছুই জানে না, নিজেদের ভোগবাসনা চরিতার্থ করতে যা-তা বানিয়ে বলছে। এর কয়েক বছর পর আমি ইসলাম সম্পর্কে অধ্যয়ন করতে মনস্থ করি। গভীরভাবে অধ্যয়নের পর বিস্ময়ে যেন বোবা হয়ে গেলাম আমি। বুঝতে পারলাম, থাইল্যান্ডে যাদেরকে আমি কাঠমোল্লা ভেবে মনে মনে গালি দিয়েছিলাম, তারা ঠিক কথাটিই বলেছিল সেদিন। জীবন্ত ইসলাম হিসেবে মুসলমানরা যা মান্য করে থাকে, সেই শারিয়ার বাইরে কিছুই করেনি তারা! বিশ্বাস হচ্ছেনা তো? তা’হলে শারিয়া বর্ণিত নিচের আইনটি পড়ে দেখুন।
বিদেশের মাটিতে জিনা বা ব্যভিচার করলে কোনো শাস্তি নাই (রেফারেন্স-১১, পৃ-১৮৫)
বিদেশের মাটিতে বেশ্যাবৃত্তি সংঘটন (Committing whoredom) শাস্তিযোগ্য নয়:
যদি কোন মুসলমান বিদেশের মাটিতে কিংবা বিদ্রোহী অধ্যুষিত অঞ্চলে বেশ্যাবৃত্তি সংঘটনের কারণে দোষী সাব্যস্ত হয়, এবং অতঃপর মুসলিম রাষ্ট্রে প্রত্যাবর্তন করে, তার উপর শাস্তি প্রয়োগযোগ্য হবে না এই কারণে যে, একজন ব্যক্তি, সে যেখানেই থাকুক না কেন, মুসলিম ধর্মবিশ্বাস গ্রহণ করার কারণে, সেখানকার (অর্থাৎ মুসলিম রাষ্ট্রের) সমস্ত বাধ্যবাধকতা পালন করে চলতে নিজেকে দায়বদ্ধ করেছে। এর পক্ষে আমাদের পণ্ডিতজনদের (Doctors) দ্বিবিধ যুক্তি রয়েছে:

প্রথমত: নবী বলেছেন যে- “বিদেশের মাটিতে শাস্তি প্রদান করা যায় না”;
এবং দ্বিতীয়ত: শাস্তি প্রদানের বিধানগুলির অভিপ্রায় হচ্ছে (অপরাধ) রোধ করা কিংবা সতর্ক করা;
এক্ষেত্রে বিদেশের মাটিতে একজন মুসলমান ম্যাজিষ্ট্রেটের কোনো কর্তৃত্ব নেই, সুতরাং বিদেশের মাটিতে বেশ্যবৃত্তি সংঘটনের দায়ে যদি কোন ব্যক্তির উপর শাস্তির বিধান প্রয়োগ করা হয়, তা’হলে উক্ত বিধান অর্থহীন, কারণ বিধানের উদ্দেশ্যই হচ্ছে যেন শাস্তি কার্যকরী হতে পারে; এবং যেহেতু বিদেশের মাটিতে ম্যাজিষ্ট্রেটের কর্তৃত্ব নেই, শাস্তি কার্যকর করা অসম্ভব; যা থেকে প্রতীয়মান হয় যে, বিদেশের মাটিতে বেশ্যাবৃত্তি সংঘটনের দায়ে সেখানে শাস্তি প্রয়োগযোগ্য নয়; এবং উক্ত ব্যক্তি যদি পরবর্তীতে বিদেশের মাটি হতে মুসলমান রাষ্ট্রে আগমন করে, তার উপর শাস্তি প্রয়োগ করা যাবে না; কারণ বেশ্যাবৃত্তি সংঘটনের সময় যেহেতু শাস্তি প্রদান করা হয়নি, পরবর্তীতে তা প্রদান করা যাবে না।
(চলবে)

বৃহস্পতিবার, ৩০ আগস্ট, ২০১২

প্যাট্রিক কন্ডেল: আমাদের লোক – ৪৫

অনেকেরই ধারণা, সেক্যুলারিজম অর্থ ধর্মহীনতা। কোনওভাবেই সেটা সত্য নয়। পশ্চিমা কিছু সেক্যুলার দেশগুলোর দিকে তাকালে সেটা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। অথচ জ্ঞানপাপী ধর্মবাজেরা সেক্যুলারিজমের জুজুর ভয় দেখিয়ে মিথ্যে প্রচার ছড়ায় নিরন্তর। 

ঘোরতম স্পষ্টবাদী প্যাট্রিক কন্ডেল তাঁর সাম্প্রতিকতম ভিডিওতে তাঁর স্বভাবসুলভ তীব্র ব্যঙ্গাত্মক ভাষায় তুলোধুনো করেছেন এদের। 

ছয় মিনিটের ভিডিও। সাবটাইটেলসহ দেখতে cc বাটনে ক্লিক করুন। 


ছাগুর বাংলা, পাঁঠার বাংলা

অনেকেই লক্ষ্য করে থাকবেন: ব্লগে-ফেসবুকে ধর্মগর্দভেরা সচরাচর বাংলায় টাইপ করে না। কুৎসিতদর্শন বাংলিশ তাদের প্রিয় ভাষা। আর আরও মজার ব্যাপার হলো, এই বাংলিশটাও তারা ঠিকমতো লিখতে পারে না। তারা না পারে বাংলা, না পারে ইংরেজি, না পারে বাংলিশ। তবে আরবি বা উর্দু হলে তারা নিশ্চয়ই স্বচ্ছন্দে লিখতে পারতো!

নিরলস ছাগুপোন্দক দিগম্বর পয়গম্বর ধর্মগর্দভদের রচিত দু'টি বাংলিশ বাণী অনুবাদ করেছেন বাংলায়। পড়ে আমি দম ফাটিয়ে হেসেছি। নেংটু নবী বেজায় খ্রাপ লুক! 



আরও কিছু মণি-মুক্তা শুভজিৎ ভৌমিক-এর সৌজন্যে:

১। "ওয়াও সো সুইট আগ পোথোম গানলাম ওদের খাড়ায় না ওরা হিগরা, কারা ওরা তারায় গারা বলে গার্লস দের হিগাব পরার দরকার নেয় হিগাব পরি এ মান ইগগত নষ্ট করা হয়।"

২। "আমার লেখা গাদের ভালো/খারাপ লাঘলে গোঘাগোঘ করুন। আমাক ব্যান করা হতে পারে।"

৩। "গারা এয়খানে নাস্তিকে দের পক্ষ লয় আ কাগ করিতেসে তাদের কাস আ পোশ্ন তারা নাস্তিক হয় আ রাস্তায় খুন দর্শন পাবলিক বস আ বুবপ্রেস কয়রা কেমনে নারির ইগগত রক্ষা করেন।"

৪। "আমার মনে হয় এয়খানের গারা নাস্তিক দের পক্ষে তাঘো মা নায় কারণ তারা বিবর্তনে বিশ্বাসী, তাঘো বাবারা রাস্তায় কুত্তা সুদিসে আর কুত্তার পেটে তাঘো গন্ম যদি এয়টা ঠিক না হয় তাহয়লে বিবর্তনবাদ ও ঠিক নয়।"

৫। "গারা নেট সেক্স স্টোরি লিখ আ ওরা শবায় নাস্তিক আর তাদের স্টোরি টা পোমান করে তারা তাদের স্টোরি আন্টি, সিস্টার, মৌমি কে সুদে থাক আ। হয়তো এরা ও গারা এই ইয়ে টা খুলসো। হয়তো মায়ের পেট আ কয়টা বাসসা ও গন্ম দিসে। নাস্তিকরা আর কি করবে নিগের মা কেয় দোরে সুদবে।"

৬। "ওয়াট কি বলতে সান ঘুড়ি এ না বলে সোগা বলুন।"

৭। "ওরা তো তারায় গারা ফ্রি মিক্সিং এর নামে বডি টাচ বুব প্রেস হয়তোবা সবায় একসাথ আ গ্রুপ সেক্স নামে দি আ দর্শন করে কি করে তারা নারির ইজ্জত ভিড্ডি করে। তারা তো নারিকে ভোঘের পণ্যে পরিণত করে। আর ওপর দিকে ইসলাম নারীকে সর্ভাঙ্গীন সুন্দর করে তুলে। অ্যাম আই রাইট ইয়েস/নো গারা নো তারা সেক্স স্টোরি রাইটার দের কাহিনীর মত মা কে ও দর্শন করতে দিধা করে না। পিরে আসো সময় আস আ। পরে সময় না ও পাইতে পারো।"

৮। "না ভুগিলে ভাই আমার কিসসু করার নায়। শুদু এয় টুকু ভোলে গাই এয় ফান ওয়ার্ল্ড এ গা কিছু গানভে আপন বলেইয় মানবে অন্যের মা বোনের অটো ফিল দেখ আ ওয়াও বলে সিৎকার দিভেন নাহ। শভায় সুপ উত্তর নেয় কারো মুখ আ। আমি কাউকে কষ্ট দিতে সাই না।"


নূরানী চাপা শরীফ - ১১

লিখেছেন থাবা বাবা

চাপা - ০১৭

"বাবা মোহাম্মক তোমাকে যুদ্ধে যাইতে হইপে।"
"কেনু কাক্কু?"
"যুদ্ধে না যাইলে যে আমাগের না খাইয়ে মরিতে হইপে, বাবা!"
"আচ্ছা, তবে যাইব। কিন্তুক আমাকে কোথায় খাড়াইয়া যুদ্ধ করিতে হইপে? সামনে খাড়ায় নাকি পিছনে?"
"মনে করো, সামনেই খাড়াইতে হইপে।"
"আমারে কি উষ্ট্রী দেওয়া হইপে নাকি খাড়ার ওপরে পলাইতে হইপে? উষ্ট্রী দিলে কোন কথা নাই, কিন্তু খাড়ার ওপরে পলাইতে হইলে দুইখান কথা আছে।"
"তোমাকে খাড়ার ওপরেই পলাইতে হইপে।"
"আমি যদি পলাইয়া মক্কা চলিয়া আসিতে পারি, তাহা হইলে কুনু কতা নাই, কিন্তু কাফেররা ধরিয়া ফেলিলে দুইখান কতা আছে।"
"মনে করো, তাহারা তোমাকে ধরিয়া ফেলাইপে।"
"কাফের রমণীগণ আমাকে তাহাদের গনিমতের মাল বলিয়া ব্যবহার করিপে নাকি আমার কল্লা কাটিয়া ফেলাইপে?"
"কল্লাই কাটিল না হয়, তুমার যা সাইজ... ইউজ কেউ করিপে না"!
"আমাকে কাটিয়া শকুন দিয়া খাওয়াইপে নাকি কব্বর দিপে?"
"তোকে কব্বরেই পাঠাবে রে বাবা!"
"আমার কবর কি মরূদ্যানে দেবে নাকি মরুতে? মরুতে দিলে কতা নাই, কিন্তু মরূদ্যানে দিলে দুইখান কতা আছে!"
"দরকার হইলে আমি তুমাকে মরুত্থে তুলে নিয়ে মরুদ্যানে লইয়া আসিপ!"
"কাক্কু, কব্বরে কি খাইজুর গাছ লাগাইপে নাকি বাবলা বেরেক্ষ?"
"বাবলা বেরেক্ষ হইপে, বাবা!"
"সেই বাবলা গাছে কি জ্বালানী কাষ্ঠ হইপে নাকি কাগজ?"
"কাগজই হইপে।"
"কী কাগজ, কাক্কু? লিখিপার জইন্য বেদাতী কাগজ নাকি টিস্যু?"
"টিস্যুই না হয় হইপে!"
"সুরত মুছিপার টিস্যু কাক্কু, নাকি এস্তেঞ্জা করিপার?"
প্রশ্নবানে জর্জরিত কাক্কু আপদুল্লা বুঝিয়াছে বাস্তে মোহাম্মক ভাগার তাল করিতেছে, তাই ক্ষেপেছে বে, "এস্তেঞ্জা করিপারই হইপে... তোর মতো চুরাকে কি কেউ মাথায় করিয়া রাখিপে?"
"তাহা হইলে কাক্কু সে টিস্যু কি পুরুষে ব্যাবহার করিপে নাকি নারীতে?"
"তুই কি তছলিমা নাছরীন যে নারী পুরুষে ভেদাভেদ করিয়া দিলি?"

তরুণ মোহাম্মক তাহার প্রশ্নবাণ শেষ করিবার আগেই কাক্কু তাহাকে চাক্কু দেখাইয়া যুদ্ধে পাঠাইয়া দিলো। কেই বা এমন প্যাচাল শুনিতে চায়! মোহাম্মকের সম্যক প্রশ্ন সত্ত্বেও তাহাকে যুদ্ধে যাইতে হইলো... জীবনের শেষ পর্যন্ত তাহার যুদ্ধে মরিয়া নারীকূলের ব্যবহার্য টিস্যু হইবার ভয়ে কাটিয়াছে। তাই শেষ পর্যন্ত টিস্যু, মায় জলগ্রহণ পর্যন্ত নিষিদ্ধ করিয়া ঢিলা-কুলুখ ও পাত্থর ব্যবহারের রীতি প্রদান করিয়া তবে শান্তি পাইলো! সেই থেকে লিকুইড এস্তেঞ্জার পরে ঢিলা-কুলুখ (ক্ষেত্রে নারীকূলের কথা ভাবা হয় নাই) ও সলিড এস্তেঞ্জার পরে ৫,৭,৯,১১,১৩ ইত্যাদি সংখ্যক পাত্থর ব্যবহার মুসলমানদিগের জন্য ফরজ হইয়া গেল!

আকাশের সীমা ছাড়িয়ে

আমরা কি কখনও ভেবে দেখি, কতোটা সৌভাগ্যবান আমরা, যারা যাপন করছি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির পরম উৎকর্ষের যুগ? সাড়ে পাঁচ মিনিটের অসামান্য বক্তব্যের এই ভিডিও আপনাকে নিশ্চিতভাবে আবেগাপ্লুত করবে, ভাবাবে। অবশ্যদ্রষ্টব্য।


ধর্মকারীতে 'বিজ্ঞান'-কে যখন 'বিগ্যান' লেখা হয়

ধর্মকারীতে মাঝেমাঝেই 'বিজ্ঞান' শব্দটিকে 'বিগ্যান' লেখা হয়ে থাকে। বিজ্ঞানের কাতারে আসার জন্য লালায়িত ধর্মগুলোর নানাবিধ উদ্যোগকে আমরা 'বিগ্যান' বলে থাকি।

নবারুণ-এর পাঠানো একটি লিংকে গিয়ে দেখলাম, হেঁটমুণ্ডু ঊর্ধ্বপোঁদ হয়ে সেজদা দেয়ার পরম উপকারিতার বৈজ্ঞানিক ভিত্তির সচিত্র বর্ণনা দেয়া হয়েছে সেখানে। সবিস্ময়ে লক্ষ্য করলাম: বর্তমান পোস্ট রচনার মুহূর্তে এই ছবিতে লাইক দিয়েছে ২১৩৭ জন মমিন বান্দা এবং ১৫৭৯ জন ছওয়াবলোভী সেটা শেয়ার করেছে। 

একটি কথাই আমার মাথায় এলো: আবালআকীর্ণ এ ধরাধাম!

প্রসঙ্গত:
'হ্রস্বরসবাক্যবাণ' সিরিজের জন্য Suirauqa একটি দুর্ধর্ষ বাক্য লিখে পাঠিয়েছেন, যেটা যথাস্থানে প্রকাশের আগেই ব্যবহার না করে পারছি না: 
ধর্ম বা ধর্মীয় ভাবাবেগ কি মানুষকে নির্বোধ, বুদ্ধিহীন বানায়, নাকি নির্বোধ, বুদ্ধিহীন মানুষই ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে থাকে?
আমার মতে, দুটোই সত্য। এবং ধর্মকে বিজ্ঞানসম্মত হিসেবে প্রমাণ করতে এদের ব্যাকুলতা তাদেরকে কতোটা নির্ঘিলু হিসেবে প্রতিপন্ন করে কতোটা হাস্যস্পদ করে তোলে, সেই বোধটি যদি তাদের আল্যা তাদেরকে দিতো! 

বুধবার, ২৯ আগস্ট, ২০১২

কেছাছের বিধান এবং কিছু প্রশ্ন

লিখেছেন কাফের

ইসলাম নামক পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধানে ‘কেছাছ’ নামক একটি বিষয় আছে। এর মূল কথা হলো - কোনো মুসলমান যদি কোনো মুসলমানকে অন্যায়ভাবে হত্যা করে, তাহলে সেই হত্যাকারী মুসলমানকেও রাষ্ট্রীয়ভাবে বিচার করে হত্যা করা হবে। এটি মূল বিধান। এই মূল বিধানের শাখা-বিধান অনুসারে চোখের বদলে চোখ, দাঁতের বদলে দাঁত তুলে নেওয়া যাবে। অর্থাৎ ক্ষতির বদলে সমপরিমান ক্ষতি। 

এতটুকু জানার পর মনে হবে, আহা! ইসলাম বড়ই ন্যায়বিচারক। দীর্ঘসূত্রিতার কারণে সাধারন নিয়মে যখন বিচারই পাওয়া যায় না, তখন ইসলামের এ বিধান তো আকাশের চাঁদ। এই নিয়ম এখন চালু আছে পাকিস্তান, সৌদি আরবসহ অন্যান্য শরিয়া শাসিত দেশে। 

এই বিধান পালন করা হয় দু'জন মুসলমানের মধ্যে সংঘঠিত অপরাধের ক্ষেত্রে। কিন্তু এর ব্যতিক্রম হলে? অর্থাৎ কোনো অমুসলিম যদি কোনো মুসলিমকে হত্যা করে বা কোনো মুসলিম যদি অমুসলিমকে হত্যা করে তাহলে? 

প্রথমটির ক্ষেত্রে, অর্থাৎ “কোনো অমুসলিম যদি কোনো মুসলিমকে হত্যা করে”- এরূপ ক্ষেত্রে ইসলামে কোনো বিধানই নেই। মুহম্মদ হয়তো ভাবতেই পারে নি যে, একটি ইসলামিক দেশে কোনো অমুসলিম এ ধরনের সাহস দেখাতে যাবে। তাই হয়তো এরকম বিধান দেওয়ারই প্রয়োজন বোধ করেনি। কিন্তু দ্বিতীয়টির ক্ষেত্রে অর্থাৎ, “কোনো মুসলিম যদি অমুসলিমকে হত্যা করে” - এ ক্ষেত্রে মুহম্মদের অত্যন্ত সহজ এবং স্পষ্ট বিধান হলো, এ ধরনের হত্যাকাণ্ডের ফলে কেছাছের বিধান অনুযায়ী কোনো মুসলমানের প্রাণ নেওয়া যাবে না। এই হাদিসটি পাওয়া যাবে ‘বাংলাদেশ তাজ কোম্পানি লি.’ প্রকাশিত ‘সহীহ বোখারী শরিফ’ এর ১০৩৪ পৃষ্ঠার ৬৪৩৮ নং হাদিসে। শুধু তাই নয়, এর পরের হাদিসেই বলা আছে: ‘কোনো মুসলমান কোনো ইহুদিকে চড় মারলেও তার জন্য ঐ মুসলমানকে কোনো ক্ষতিপূরণ দিতে হবে না।’ এখানে বলা হচ্ছে ইহুদি; কিন্তু এই বিধান যে কোনো অমুসলিমের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। 

বাহ রে ইসলাম! এই না হলে শান্তির ধর্ম! ইসলাম নাকি আবার মানবতারও ধর্ম! 

এবার সম্প্রতি বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনার দিকে নজর দেওয়া যাক। 

সংবাদপত্রে প্রকাশ: 
৪ খুনি গ্রেফতার চুরিতে বাধা দেওয়ায় ডা. নিতাই খুন 
চুরি করার সময় বাধা দেওয়ায় চিকিৎসক নেতা ও জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. নারায়ণ চন্দ্র দত্ত নিতাইকে খুন করা হয়। ওই কিলিং মিশনে অংশ নেয় সাতজন।নেতৃত্বে ছিল মহাখালী সাততলা বস্তি এলাকার সন্ত্রাসী মিন্টু। তারই নির্দেশনায় সংঘবদ্ধ দুর্বৃত্তরা ডা. নিতাইয়ের বাসায় চুরি করতে যায়। নিতাই ঘুম থেকে জেগে চিৎকার দিলে দুর্বৃত্তরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করে। ডা. নিতাই হত্যাকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে গ্রেফতারকৃত চার সন্ত্রাসী গতকাল বিকালে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানায়। গ্রেফতারকৃতরা হলো পেদা মাসুম (২৫), সাইদুল (৩৭), পিচ্ছি কালাম (২৬) ও ফয়সাল (৩০)। 
এখানে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, যাকে খুন করা হয়েছে, সে একজন অমুসলিম এবং যারা খুন করেছে তারা সবাই মুসলমান। ইসলামের বিধান অনুযায়ী যদি বিচার করা হয়, তাহলে ঐ চার খুনির কোনো সাজাই হবে না। যদিও তারা চুরি করতে গিয়েছিলো, অর্থাৎ তারা চোর, এবং খুন করেছে। এরপরও ইসলামিক বিধানে তারা নির্দোষ। কারণ তারা মুসলমান। আল্লা আর মুহম্মদের কাছে মুসলমানদের জন্য ১ টা কেনো ৭ টা খুন বা তার বেশি হলেও মাফ, যদি তারা কাফের মারে। আর কাফের মারা আল্লার কাছে কোনো অন্যায় নয়, বরং ছোয়াবের কাজ। এমনই অমানবিক - মুসলমানদের কাছে দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ মানব - মুহম্মদ। মুসলমান ছাড়া আর কেউ তার কাছে কোনো মানুষ হিসেবেই গণ্য নয়। কিন্তু মুসলমান হলেই তার সব অপরাধ মাফ এবং সে তাকে গ্যারান্টি দেয় বেহেশতে যাওয়ার। এমনই একটি ঘটনার প্রমান পাওয়া যাবে নিচের হাদিসে: 
আবু দার বর্ণিত- আমি নবীর নিকট যখন আসলাম তখন তিনি সাদা কাপড় পরে ঘুমাচ্ছিলেন। অত:পর তিনি যখন ঘুম থেকে উঠলেন তখন আমি তার কাছে গেলাম। তিনি বললেন- আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই এ বিশ্বাস নিয়ে যে মারা যাবে সে বেহেস্তে যাবে।আমি বললাম- যদি সে ব্যভিচার ও চুরি করে? তিনি বললেন- যদিও সে ব্যভিচার ও চুরি করে। আমি আবার বললাম- যদি সে আবারও ব্যভিচার ও চুরি করে ? তিনি আবার বললেন- যদিও আবার সে ব্যভিচার ও চুরি করে। আমি আবারও বললাম – এর পরেও যদি সে ব্যভিচার ও চুরি করে? তিনি বললেন- এর পরেও যদি সে ব্যভিচার ও চুরি করে। সহি বুখারি, ভলিউম-৭, বই-৭২, হাদিস-৭১৭। 
পুনশ্চ: মুসলমানদের বর্তমান অবস্থা কি এমনি এমনি? এমনিই কি মুসলিম দেশগুলো ঘুষ, দুর্নীতি আর দারিদ্র্যে ভরা? এর মূল কারণ হলো মুহম্মদ আর তার বিধান। 

নিত্য নবীরে স্মরি – ৮১

পাঠিয়েছেন কজমিক ডাস্ট 


পাঠিয়েছেন দিগম্বর পয়গম্বর


ধর্মবিশ্বাসীরা Nerd

ধর্মবিশ্বাসীরা Nerd (জুতসই বাংলা খুঁজে পেলাম না) এবং অন্য যে কোনও ধরনের Nerd-এর চেয়ে এরা অনেক বেশি হানিকর, বিপজ্জনক।

তিন মিনিটের মজাদার ভিডিও।


ঝালমরিচের গুঁড়ো - ০১

লিখেছেন শিশির

মহাম্মক যদি মেয়ে হতো

২১০০ সালের কথা। পৃথিবীর নানা জায়গায় নারীরা গুরুত্বপূর্ণ সব পদে আসীন। নারীদের দাপটে পুরুষগুলান গাছের মগডালে। আল্লার রাজত্বও যায়-যায় অবস্থা। মহাম্মকের বাণী আর কেউ মানে না, পাত্তাও দেয় না। তো আল্লাফাক চিন্তা করলেন, মহাম্মকরে ক্লোন কইরা একজন নারী নবী পাঠাইবেন। 

এক শুভ লগ্নে মহামাদীর জন্ম হইলো বিখ্যাত কুরাইশিনী বংশে। মহামাদী যথাসময়ে বোরাকিনীতে চইড়া সপ্ত আসমান চক্কর দিয়া ইসলাম প্রচারের নামে বিবাহ করা শুরু করলো। কাফের পোলাগুলান এমনিতেই বহুত বজ্জাত। তারা মহামাদীর কথা শুনে না। খালি জাইঙ্গা পইরা ঘুরাঘুরি করে আর সুন্দরী পরনারীর দিকে তাকাইয়া থাকে। তো মহামাদী গিব্রীলের কাছে গিয়া নালিশ কইরা আসল। এইবার দুনিয়ার ইতিহাসে প্রথমবারের মতো পুরুষের সম্মান রক্ষার জন্যে নারীদের উদ্দেশ্যে আসমান থাইকা ওহী নাযিল হইল:
পুরুষেরা তোমাদের শস্যক্ষেত্র, তোমরা সেখানে যেভাবে ইচ্ছা প্রবেশ করতে পার 
এবং
আজ থেকে পর্দা করা প্রতিটি মুসলিম পুরুষের উপর ফরজ
অর্থাৎ তারা আর জাইঙ্গা পইরা ঘুরতে পারবে না। তো মহামাদী তার আল্লাফাকের রাজত্ব আরব জাহানে ছড়াইয়া দেওয়ার পরে তার শখ হইল - শিশু বিবাহ করবে। তো খাস বান্ধবী আবু বকরীর ৬ বছরের বাইচ্চা পোলাটা দেইখা মহামাদীর ভিতরে কুছ কুছ হোতা হ্যায়। পোলাটা খাসা মাল। এদিকে বিবাহ প্রস্তাব দেওয়ার সাথে সাথে আবু বকরী রাইগা ভুত। তার দুধের পোলাটারে ৫৩ বছর বয়সী বুড়ির হাতে তুইলা সে কিছুতেই দিবে না। শেষে বহুত দেনদরবার কইরা ব্যর্থ হইয়া নাছোড় প্রেমিকা আল্লারে ডাকা শুরু করল। 

সাথে সাথে ওহী নাযিল হইল আবু বকরীর পোলা আর মহামাদীর বিয়ার পয়গামসহ। আর আবু বকরী বেহেস্তে ৭২ খান গেলমানের লোভে বগল বাজাইতে বাজাইতে ৬ বছরের পোলারে বুড়ি মহামাদীর হাতে তুইলা দিল। এইভাবে আবু বকরী ও তার পুত্রের কাহিনী ইতিহাসের পাতায় সম্মানের সাথে স্থান লাভ করল। নিশ্চয়ই আল্লাফাক তাদের বেহেস্তবাসী করবেন। তিনি মহান এবং দয়ালু। সকলে বলেন, আমিন।


সুরা আত তীন নাযিলের ইতিহাস

একদিন মহাম্মক, আবু বকরী আর উসমান হিজরত করার পথে জয়তুনের বাড়ি থেকে একটা দুম্বা চুরি করে নিয়ে যাচ্ছিল পথে খাওয়ার জন্য। এমন সময় গিব্রীল হাজির। তাকে দেখে তিনজন ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে বলল, 'হুজুর, চুরি তো কইরা ফালাইছি, অহন কিছু করেন।' 

এবার গিব্রীল বলে উঠলো, 'আত তীনে - তোরা তিনজন আছিলি?'

মহাম্মক, 'জী হুজুর।'

গিব্রীল, 'ওঁইয়া জয়তুনে - জয়তুন গো বাড়ী থাইকা চুরি করছস?' 

মহাম্মক, 'জী হুজুর।' 

গিব্রল, 'ওঁয়া তুরে ছিনি না - তোগো কেউ চিনেনি তো?' 

মহাম্মক, 'না, হুজুর।'

গিব্রিল, 'অহাজাল বালাদিল আমিন - অহন বালছাল না ভাইবা খাইয়া ফালা।'

চিত্রপঞ্চক - ১৩

মেয়ে সিন্দুকবন্দী হলেও ঈমানদাঁড় মমিন অদম্য 

রুশ পোপের বপু। পাঠিয়েছেন মোকাম্মেল
এক্কেরে হাঁচা কথা

 ১৯৭৮ সালের ইরানী এক মেয়েদের পত্রিকার প্রচ্ছদ

ক্যান, তুষারপাত বন্ধ করার দোয়া নাই? 

মঙ্গলবার, ২৮ আগস্ট, ২০১২

মিতকথন

লিখেছেন Myforbidden Kingdom

মুমিনরা নাস্তিকদের নিয়ে সবচাইতে বড় যে অপপ্রচারটা চালায়, তা হল - নাস্তিকরা মা-বোনের সাথে অবাধে সেক্স করার জন্য ঈশ্বর বা আল্লায় অবিশ্বাস করে ।

নাস্তিকের উত্তর: প্রথমত যাদের মাথায় এ ধরনের কুচিন্তা আসে, তাদেরকে মুমিন বলা হয়। এ ধরনের মুমিনরা কামুক প্রকৃতির হয় এবং তাদের মাথায় সবসময় বিকৃত যৌনাচার ঘোরপাক খায়।

প্রশ্ন হল - কেন মুমিনরা এ জঘন্য অপপ্রচারটি চালায়?

উত্তর: সাধারণত মুমিনরা বিবর্তনে বিশ্বাস করে না। তারা বিশ্বাস করে, আদম-হাওয়া তাদের পূর্বপুরুষ এবং তাদের বংশবৃদ্ধি ঘটেছে অশালীন অজাচার (incest) পদ্ধতিতে। তাই ঐ ধরনের কুচিন্তা তাদের মাথাতেও ঘোরপাক খায়। নাস্তিকদের ওপর অপবাদ দিয়ে তাদের বংশবৃদ্ধি পদ্ধতির লজ্জাটা ঘোচাতে চায়। আর যে-ব্যক্তি তার পূত্রবধুর সৌন্দর্য দেখে কাম সংবরণ করতে পারে না, তার অনুসারীদের কাছে থেকে ভাল ব্যবহার আশা করাটাই অন্যায় ।


লিখেছেন Al Hadis (এটা কিন্তু নিক! খিয়াল কৈরা!)

আল্লাহর ঘর ‘কাবা’ (Quran 3:90) মুহাম্মদের মৃত্যুর পর কয়েকবার ধ্বংস হয়! কাবার কালো পাথর (Black stone) বিদীর্ণ হয় বহু খন্ডে, Qarmatians -রা সেটা চুরি করে এবং কয়েক বছর পর তার বিনিময়ে মুক্তিপণ আদায় করে!

সর্বশক্তিমান আল্লাহ কেন সমগ্র মুসলিম জাহানের এই পবিত্র ঘর এবং কাবা শরীফের পাথর বাঁচাতে কোনো ধরনের পদক্ষেপ নিলেন না?


লিখেছেন জোবাইর ইসলাম

কল্পনা করুন: 

এক ভণ্ড পাগল স্কিৎজোফ্রেনিয়া রোগী দাবি করছে: সে রাসুল; তাকে ঈশ্বর পাঠিয়েছে। সে ইহুদিদের তাওরাত, খ্রিষ্টানদের বাইবেল ইত্যাদি থেকে কপি-পেস্ট করে একটা ধর্মগ্রন্থ বানিয়ে ফেলল আর বলল এটা ঈশ্বর তার ওপর নাজিল করেছে। গ্রন্থটির নাম দিল, ধরুন, বুরান। সেখানকার স্থানীয় পৌত্তলিকদের দলে টানার জন্য তাদের দেবতা বাল্-লাহ-এর নামে তার বানানো ঈশ্বরের নাম রাখল বাল্লাহ। মনে করুন, সেই পাগলটির নাম তালাব। যার বাংলা অর্থ হল পাতিশিয়াল।

এরপর দিন গেল, বছর গেল, তালাবের উম্মতের সংখ্যা বাড়তে লাগল। একদিন তিনি পটল তুললেন।

এরপর আরো হাজার বছর কেটে গেল, কিন্তু তালাবের উম্মতরা তাকে ভুলল না। তারা পৃথিবীর যাবতীয় বই, ছেঁড়া কাগজ, চটি বই, সেক্স ম্যাগাজিন যা-ই দেখুক না কেন, সেখানে যদি "পাতিশিয়াল" লেখাটা দেখে, তাহলে তারা ধরে নেয় ওটা তালাবের নাম। হাজার বোঝালেও তারা বোঝে না যে, প্রপার নাউনের ভাষান্তর হয় না। যদি তালাবের নাম লেখা থাকত, তাহলে তালাবই লেখা থাকত, পাতিশিয়াল লেখা থাকত না।

(জীবিত বা মৃত বা সামনে জন্মাবেন এমন কারো সাথে এই ঘটনাটি মিলে গেলে শুধু আমি কেন দুনিয়ার কেউ দায়ী থাকবেনা)

ফাকিস্তান বর্বরস্তান

এগারো বছর বয়সী মানসিক প্রতিবন্ধী এক বালিকার বিরুদ্ধে কোরানোর পাতা পোড়ানোর প্রমাণহীন অভিযোগ আনা হয়েছে পাকিস্তানে এবং বিচারে তার মৃত্যুদণ্ড হতে পারে, সে খবর অনেকেরই জানা। শত শত বেহুদা তৌহিদী জনতা সেই বালিকার বাসভবনের সামনে গিয়ে তার মৃত্যুদণ্ড দাবি করে স্লোগান দিয়েছে। 

নিজের সম্মান রক্ষার সামর্থ্য পর্যন্ত নেই সর্বশক্তিমান আল্যাফাকের। তাই এগিয়ে আসতে হয় তার বর্বর অনুসারীদের। 

আমেরিকাভিত্তিক অনলাইন নিউজ অ্যান্ড পলিটিক্যাল কমেন্ট্রি প্রোগ্রাম The Young Turks-এর অতি চমৎকার পর্যালোচনা শুনুন। মাত্র পাঁচ মিনিট দীর্ঘ। 


আমাদের আত্মীয়েরা – ৫০

পাঠিয়েছেন শয়তানের চ্যালা

বনোবো গোত্রের খর্বাকৃতির শিম্পাঞ্জির (বয়স একত্রিশ বছর) রন্ধনকার্যের এগোরোটি ছবি।


লিংকিন পার্ক - ৫৫

১. 
ইছলামের নবী ছিলো ঘোর ইহুদিবিদ্বেষী। সে কারণে কোরানও ইহুদিবিদ্বেষআকীর্ণ। তাই ইহুদিদের প্রতি কোনও ধরনের সহানুভূতি পোষণ বা সুসম্পর্ক রক্ষা করা যে কোনও ছহীহ মুছলিমের জন্য নিশ্চিতভাবেই গুনাহর সামিল। আর তাই ইহুদিদের উপাসনালয় সিনাগগে মুছলিমরা শুক্রবারের নামাজ আদায় করছে - কারুর কল্পনায় এমন দৃশ্য আসা সম্ভব নয়। অথচ তেমনটিই ঘটছে আমেরিকার ভার্জিনিয়া প্রদেশে। উভয়পক্ষের বক্তব্য শুনে মনে হলো, এদের বন্ধুত্ব চিরকালীন। সীমাহীন কপটতা আর ভণ্ডামির উৎকৃষ্ট নমুনা যাকে বলে! অবশ্য স্বার্থ উদ্ধারের প্রয়োজনে মিথ্যে বলার অনুমতি কোরানে আছে। এই ধূর্ত ভণ্ডামিকে তাকিয়া (Taqiyya) বলা হয়ে থাকে। 

২. 
ঘূর্ণিঝড়, ভূমিকম্প, সুনামি জাতীয় যে কোনও প্রাকৃতিক বিপর্যয়েও নাকি আল্লাহর ঘর মসজিদ নাকি বুক-টান দাঁড়িয়ে থাকে। কারণ একটাই - রক্ষাকর্তা আল্লাহ। কিন্তু লিবিয়ায় মসজিদ ভাঙার সময় সর্বক্ষমতাময় আল্লাহপাক নির্বিকার কেন? 

৩. 
ব্ল্যাসফেমি কোনও অর্থেই শাস্তিযোগ্য অপরাধ পদবাচ্য নয়। তবু সেটাকে অপরাধ বানানো হয়েছে গায়ের জোরে। আরও সঠিকভাবে বলতে গেলে - ধর্মবিশ্বাসীদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে। সে কারণেই 'অপরাধীদের' বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো প্রায় ক্ষেত্রেই হয় অবাস্তব, উৎকট, এমনকি হাস্যেদ্রেককারীও। পাঁচটি উদ্ভট ব্ল্যাসফেমি মামলার বর্ণনা। 
(লিংক: কৌস্তুভ)

৪.
মুছলমানদের ওপরে আছর করে জ্বিন, আর ভূত ভর করে হিন্দুদের ওপরে। বড়োই মজাদার ব্যাপার। তো এক হিন্দু যুবকের ওপরে আছর করা ভূত তাড়াতে তাকে ৪০১ বার পানিতে চোবাতে হবে বলে জানিয়েছিল তান্ত্রিক। ২২৪ বার চোবানোর পর যুবকের মৃত্যু হয়। 

৫. 
বিবর্তনবাদে আস্থা আনলে ধর্মবিশ্বাসের ভিত্তি হুড়মুড় করে ধ্বসে পড়ে বলে মমিনেরা যে-কোনও মূল্যে বিবর্তনবাদ বিরোধিতা বজায় রাখতে ব্যতিব্যস্ত। আর তাই আধুনিক মানুষের শরীরে বিবর্তনবাদের দশটি প্রমাণ দেখে বিশ্বাসের বালুতে মুখ গুঁজে থাকা ধর্মাক্রান্ত ব্যক্তিদের কোনও প্রতিক্রিয়া হবে বলে মনে হয় না।
(লিংক: বোকা কাক) 

৬.
কোরান, হাদিস ও ইমাম গাজ্জালীর বিশদ বর্ণনায় ইছলামী দোজখ সম্পর্কে ধারণা নিন এবং নূরের পথে আসুন। নইলে পরকালে রোস্ট হওয়াই আপনার নিয়তি। 

৭. 
বারো বছরের বালক ঊর্ধ্বশ্বাসে দৌড়ে পালোচ্ছে, আর তার পেছনে ছুটছে শুধু আন্ডারওয়্যার পরা এক ক্যাথলিক ধর্মযাজক... না, কোনও কমেডি ছবির দৃশ্য নয়, বাস্তব ঘটনা।

৮.
বেলজিয়ামের খ্রিষ্টান ধর্মযাজকদের জন্য একটি প্রশিক্ষণ কোর্সের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে তাদের শিশুকামী প্রবণতা দূর করতে সহায়তা করবে সাইকায়াট্রিস্টরা। খবরটা পড়ে আমার মনে হলো, ধুলো এড়াতে পৃথিবী চামড়ায় না ঢেকে পদযুগল চামড়াচ্ছাদিত করলেই তো ল্যাঠা চুকে যেতো। ধর্মযাজকদের ঐতিহ্যবাহী মহামারী-গোত্রীয় শিশুকামিতার কথা জেনেও যে-সব পিতা-মাতা তাদের শিশুদেরকে পাঠান চার্চে - যাজকদের সান্নিধ্যে, তাদের প্রয়োজন সাইকায়াট্রিস্টের। 

৯. 
ইছলাম সঙ্গত কারণেই জ্ঞানবিদ্বেষী। জ্ঞানের আলোয় ইছলামী নূর বিলুপ্ত হয়ে যায় যে! আর সে কারণেই প্রাচীন বিশ্বের সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থসংগ্রহের অধিকারী Library of Alexandria পুড়িয়ে ফেলা হয়েছিল ইছলামের অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তি, নবীজির অতি নিকটজন খলিফা ওমরের নির্দেশে।

আল্লাহর নেয়ামত

পাঠিয়েছেন দিগম্বর পয়গম্বর



এবং আরও কিছু...


বাম হাতের কাজ

নবীজি বলেছে, খাদ্যগ্রহণ বা পানীয় পানের সময়ে বাম হাত ব্যবহার করো না, কারণ এসব কাজ শয়তান করে বাম হাত দিয়ে। এমনকি ন্যাটা হলেও নিস্তার নেই। নবীজি বলেছে, কথা শেষ! 

এক মিসরীয় ইছলামবাজের সাড়ে তিন মিনিটের স-ট্র্যান্সক্রিপ্ট ভিডিও। 


Following are excerpts from a lecture by Egyptian Islamist Wagdi Ghneim, which aired on Al-Nas TV on September 6, 2008.

Wagdi Ghneim: Some people eat with their left hand. What's this supposed to be? They say: When you eat, the fork goes in the left hand. Do you eat with your left hand? You do, and then you take a drink. What's this supposed to be? You use your left hand, and yet you claim to hate Satan?! You dare to tell me that you sense the enmity of Satan?! Allah give me the strength to resist Satan... Hold on a sec. The Prophet Muhammad said: "When you eat or drink, do not use your left hand, because Satan eats and drinks with his left hand." Whoever eats and drinks with his left hand follows Satan, and whoever loves the Prophet Muhammad must eat with his right hand.

But when you tell people this, they say: But Sheik Wagdi, the rules of délicat and étiquette require the knife to be in the right hand, and the fork in the left. You should cut the food with your right hand, and eat with your left. If you dare to switch – the fork in your right hand and the knife in your left – they say: "Oh, how sauvage! This is unheard of." Brother, what délicat? You are a Muslim.

When I was secretary-general of the commerce trade union, a large Iraqi delegation came, and we took them to a very big, five-star hotel in Cairo. We sat down to eat, and as I always do, I took the knife in my left hand and the fork in my right. Along comes the chef in his hat, taps me on the shoulder, and whispers: "Pardon me...” I said to him: "I am a Muslim!" So he said: "I'm sorry, I apologize." I take pride in my Islam – or is Islam something disgusting, which I should be ashamed of? No.

[...]

Ghneim: Some people say: "I am left-handed. I use my left hand for everything." I was like you. I used to eat, drink, dress, and write with my left hand. That's how Allah created me. The moment I became religious in 1969, Allah be praised, this came to an end. There were times when Satan tempted me to use my left hand, so in order to put an end to this altogether... What do I eat? Rice? I eat rice with a spoon. Bread? I need to cut it first. Fine, I'll cut the bread in advance. I prepare the water and everything. That's it. I've already cut the bread... Then I take my left hand and place it under my left leg. That's it, it's stuck. It won't come out. I take the spoon in my right hand, and the same goes for the fork... The hadith says that when you are done eating, you should lick your fingers clean, because you don't know where exactly the blessing lies. You say this is disgusting because it was the Prophet Muhammad who said it, but if Michael Jackson or some nobody told you to lick your feet, you would. We are Muslims, and we follow the path of the Prophet.

নূরের পথ ছেড়ে আলোর পথে – ২৩

১.
আমেরিকার দক্ষিণ-পূর্ব ও দক্ষিণ-মধ্য এলাকার অত্যধিক ধর্মকবলিত প্রদেশগুলোকে বাইবেল বেল্ট বলা হয়ে থাকে। তো সেই বাইবেল বেল্টের এক প্রাক্তন ধর্মযাজক কীভাবে বনে গেলেন সক্রিয় নাস্তিক, সেই কাহিনী নিউ ইয়র্ক টাইমসের নিবন্ধে।

২. 
ইন্টারনেট ও নানাবিধ আধুনিক প্রযুক্তি ক্রমশই ধর্মগুলোর হত্যাকারীতে পরিণত হচ্ছে বলে ধারণা করা যায়। দেখা যাচ্ছে, পাঁড় গোঁড়া হাসিডিক ইহুদিরাও ত্যাগ করতে শুরু করেছে তাদের সম্প্রদায়। যতো দোষ স্মার্টফোন তথা ইন্টারনেটের। গুগলের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় ঈশ্বর পেরে উঠছে না। 

৩. 
মাদার তেরেসার বহুল-প্রচারিত ও প্রচলিত পুণ্যাত্মা-ভাবমূর্তির অন্তরালে রয়ে গেছে অনেক অপ্রিয় বাস্তবতা। কিয়দংশ উইকি থেকে জেনে নেয়া যেতে পারে। অথবা দেখে নেয়া যেতে পারে ক্রিস্টোফার হিচেন্স নির্মিত পঁচিশ মিনিটের ডকুমেন্টারি, বা পড়ে নেয়া যেতে পারে তাঁরই লেখা বই Missionary Position (২.৬ মেগাবাইট). মাদার তেরেসার সঙ্গে কাজ করতেন এক যাজিকা, যিনি পরবর্তীতে ধর্মবিশ্বাস ত্যাগ করে নাস্তিক হয়েছেন, তাঁর এক সাক্ষাৎকার থেকেও কিছু অপরিচিত ধারণা পাওয়া যাবে মাদার তেরেসা সম্পর্কে। 

৪. 

৫. 
ক্যাথলিক চার্চে বিয়ের চর্চা দ্রুত গতিতে হ্রাস পাচ্ছে স্কটল্যান্ডে। ক্যাথলিক রীতির বিয়ের চেয়ে হিউম্যানিস্ট রীতির বিয়ে এখন বেশি জনপ্রিয়। 

৬. 
গত চল্লিশ বছর ধরে অস্ট্রেলীয় গার্ল গাইডস-এর শপথবাণীতে একটি অংশ ছিলো To do my duty to God. সম্প্রতি এই অংশটি ছেঁটে ফেলে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে To be true to myself দিয়ে।

কবরের আজাব প্রসঙ্গে

লিখেছেন সৈকত চৌধুরী


প্রিয় ইমানদার বন্ধুগণ এই ছবি প্রচার করে পাপীদের স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন কবরে আজাব কতটা ভয়াবহ হবে, সেখানে কোন ধরণের সাপ থাকবে ইত্যাদি। ইসলামী অপবিশ্বাসগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে কবরে আজাবে বিশ্বাস। আমাদের মৃত্যুর পর যেহেতু মস্তিষ্কের কোষগুলো মৃত হয়ে যায়, তাই তখন এর পক্ষে কোনো ধরনের অনুভূতির প্রতিই সাড়া দেয়া অসম্ভব। আমরা অজ্ঞান হলেই যেখানে অনুভূতিশূন্য হয়ে পড়ি, সেখানে মৃত্যুর পর কী হবে, তা অনুমান কঠিন কিছু নয়। অর্থাৎ মৃত্যুর পর আজাব হবে - এ ধরনের বিশ্বাস মূর্খতা ছাড়া কিছুই নয়। আর আমরা যারা মানুষের কল্যাণার্থে দেহদান করে যাবো, তাদেরকে এই সাপগুলো পাবে কীভাবে?  

আত্মা বা রুহ অতিকল্পনা ছাড়া কিছুই নয়। এছাড়া যে কোনো ধরনের আজাব গ্রহণ করতে হলে মস্তিষ্ককে কর্মক্ষম থাকতে হবে। সত্যি সত্যি যদি রুহ নামক কিছু থাকত আর সেগুলো অনুভূতিতে সাড়া দিত, তবে আমরা অজ্ঞান হলেও সবকিছু বুঝতে পারতাম। অর্থাৎ দেহবিহীন আধ্যাত্মিক শান্তি বা আজাবের ধারণাও হাস্যকর রকম অবান্তর।

মৃত্যর সময় আজরাইল নামক ফেরেসতা রুহ কবজ করবেন, তারপর কবরে রাখার পর তিনটি প্রশ্ন করা হবে, পাপীদের আজাব দেয়া হবে, এর পর কিয়ামত হবে, জামাতের নির্বাচনী প্রতীক পাল্লা হাতে আল্লা এসে নামবেন সবার পাপ-পুণ্যের হিসাব নিতে, এরপর কাওসারের পানি, আরশের ছায়া, সূর্য মাথার এক হাত ওপরে আসবে আর যারা ফারাবির মত খাঁটি ইমানদার তারা আরশের নিচের ছায়ায় স্থান পাবে, এরপর আপনার পুলসিরাত - ওটা দিয়ে হেঁটে যেতেই হবে, নিস্তার নেই, তারপর জান্নাত-জাহান্নাম তো আছেই। একজন প্রাপ্তবয়স্ক লোক এসবে বিশ্বাস করেন কিভাবে?

* ধর্মকারীতে আগে প্রকাশিত ঘোর ভীতিকর গোর আজাব নামের পোস্টের তিনটি ভিডিওর অন্তত প্রথম ও তৃতীয়টি যারা দেখেননি, মৃত্যুর পরে তাহাদিগের জন্য রহিয়াছে ভয়াবহ গোর আজাব

রবিবার, ২৬ আগস্ট, ২০১২

ঈশ্বর অপেক্ষা শয়তান অধিক শক্তিধর

ঈশ্বর নাকি সর্বশক্তিমান ও সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। কিন্তু বিশ্বাসীদের মুখেই শয়তানের দোর্দণ্ড দাপটের কথা শোনা যায়। ব্যাটা তো সৃষ্টির আদিকাল থেকে ঈশ্বরের পোঁদে আঙুল ঢুকিয়ে চলেছে! ঈশ্বর কি তাহলে অসহায়? শয়তান কি তার চেয়ে শক্তিশালী? 

The Atheist Experience নামের টিভি শো থেকে নেয়া চোদ্দ মিনিটের (প্রথম ৪.৫০ মিনিট দেখার কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই) একটি এপিসোড। 


ঈশ্বরের অস্তিত্বহীনতার অকাট্য প্রমাণ

মাত্র আটত্রিশ সেকেন্ডে জেনে নিন, ঈশ্বর বলে কিছু নেই কেন। Penn and Teller পারেও বটে


শনিবার, ২৫ আগস্ট, ২০১২

নিঃসীম নূরানী অন্ধকারে - ২৯

লিখেছেন কবীর উদ্দীন

১৪১.
আল্লাহ বলেছেন, তিনি এক ও অদ্বিতীয়। সবাই তো এক ও অদ্বিতীয়। কেউ কি একাধিক হয় বা কারোর দ্বিতীয়-তৃতীয় আছে নাকি? আল্লাহ মানুশের সাথে শিরক করলেন যে!

১৪২.
হযরত ইবনে ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ ছ বলেছেন, লোকেদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে আমাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে; যে পর্যন্ত তারা না সাক্ষ্য দেয় আল্লা ছাড়া কোনো ইলাহ নেই ও আমি তাঁর রাসুল, আর নামায কায়েম করে ও যাকাত দেয়। যখন লোকেরা এগুলি করবে তখন তারা আমা হতে ইসলামের হক ছাড়া নিজেদের রক্ত ও মাল বাঁচাতে পারবে। আর তাদের হিসাব আল্লার নিকট থাকবে। - বুখারি হাদিস নাম্বার ২৪
মানে হচ্ছে - ইসলাম ধর্মে বাধ্যতামূলকভাবে ধর্মান্তরিত না হলে কেউই রক্ষা পাবে না আল্লা ও রাসুলের তরবারি থেকে! কারুরই সাধ্য নেই জানমাল ও রক্ত বাঁচানোর! তবে সব অমুছলমানের রক্তপান, মাংস, নলা, মগজ ও মুড়ো ভক্ষণ শেষ করার আগে আল্লা তার প্রেরিত মহাসন্ত্রাসীটিকে তুলে নিলেন কেন? 

১৪৩.
নবীজীর জন্য আলিফ-অক্ষর শূকরের মাংস।

১৪৪. 
আল্লা "হও" বললেই যে কোনো কিছু সাথে সাথে হয়ে যায়। তাহলে মহাবিশ্ব তৈরি করতে তার ছয়দিন লাগল কেন? ছয়দিনে তিনি কতবার হও-হও বলেছেন? আহারে! ছয়টি দিবস, ছয়টি রজনী হও-হও করতে করতে বেচারার কণ্ঠ শুকিয়ে কাঠ হয়ে গিয়েছিল রে!

১৪৫.
চার বিবাহ করা ফরজ। চৌদ্দ বিবাহ করা সুন্নত। নবীজীর সুন্নত যে-ব্যক্তি মুছলমান হওয়া সত্ত্বেও পালন করবে না, সে বড়ই কম-বখত। তার জন্য জান্নাত কবীরা হারাম।

মুসলিমদের পশ্চাদপদতার কারণ

সৌদি শুরা কাউন্সিলের সদস্য গত মাসে এক টিভি-সাক্ষাৎকারে তাক-লাগানো কিছু স্বীকারোক্তি প্রকাশ করেছেন। তাঁর বক্তব্যের সারাংশ মোটামুটি এরকম:
অধিকাংশ মুসলিমের ধারণাও নেই, মুসলিমরা আজ কতোটা পশ্চাদপদ। অথচ তারা নিজেদেরকে বিজ্ঞান, চিন্তা ও সংস্কৃতির আকর বলে মনে করে।
কিন্তু বাস্তবিক অর্থে পশ্চিমা বিশ্ব ছাড়া তাদের গতি নেই। মাথাব্যথা করলে যে-অ্যাসপিরিন তারা গ্রহণ করে, সেটি পশ্চিমের তৈরি। কোথাও যেতে চাইলে পশ্চিম-নির্মিত গাড়ি বা বিমান করতে হয় তাদের। শান্তিমতো ঘুমোতে চাইলে পশ্চিমাদের বানানো এয়ার-কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হয়। পশ্চিমাদের প্রযুক্তি ও প্রকৌশল ছাড়া আল্লাহর দান তেল উত্তোলন করাও সম্ভব হতো না।
বদলে যাবার সামর্থ্যের ভেতরে সভ্যতার চাবিকাঠি নিহিত। অথচ মুসলিমরা অপরিবর্তনশীলতার মাধ্যমে সাফল্য নির্ণয় করে। 
পোনে পাঁচ মিনিটের ভিডিও। ট্র্যান্সক্রিপ্টসহ।


Following are excerpts from an interview with Saudi Shura Council member Ibrahim Al-Buleihi, which aired on Rotana Khalijiya TV and was posted on the Internet on July 23, 2012.

Interviewer: We Arabs are a consumer society, even though there has been some change. But to what extent? Are we about to leave our backwardness?

Ibrahim Al-Buleihi: Oh no, we haven't even begun, because we have yet to acknowledge that we are backward. Perhaps 10-20% of the people are aware of this backwardness, but the majority do not even realize it.

Interviewer: So our problem is that we are backward and don't know it...

Ibrahim Al-Buleihi: Exactly, we don't know that we are backward. On the contrary, we treat [Western] people are if they were carpenters or blacksmiths. We treat the people who created this great and lofty civilization as if they were carpenters and blacksmiths. We view them as mere laborers, while we consider ourselves to be men of thought, science, and culture, who embody everything you aspire to in life. This is the exact opposite of how things should be.

Interviewer: Why are you so pessimistic?

Ibrahim Al-Buleihi: That's the reality. If we were to send back to the prosperous [West] everything we got from it, what would be left? Even the 'Aqqal headband you are wearing was made in Britain. We are incapable of producing anything.

We can't do without [the West]. If you have a headache, you need to swallow the aspirin that they made. If you want to travel, you must take a plane or a car, if you want to get some sleep, you must turn on the airconditioning, and the same is true of all the implements of civilization.

Interviewer: Civilizations complement one another...

Ibrahim Al-Buleihi: Complement?! What have we given them?

Interviewer: Oil, the religion of Islam...

Ibrahim Al-Buleihi: The oil came from Allah, and on top of that, we need the West to extract it. If not for their industry, our oil would be worthless. It had been in this land for centuries, yet we did not benefit from it in any way. Oil became valuable only when others came up with inventions, and later came here to extract it from our land.

[...]

Civilizations are measured by their ability to change. We are exactly the other way around. We believe that the measure of success is unchangeability, and this is a great problem.

If societies remained static, civilization would not develop. Their development is dependent upon their willingness to change.

[...]

The reason that the West developed is that it stemmed from Greek culture, which was founded on the objective use of reason. When this great beacon of light was extinguished in the Middle Ages... The great mathematics [of the Arabs] had a role in the development of the West, but I still believe that the Anglo-Saxon culture is the source of modern culture.

[...]

The problems of the Arabs in societies that were occupied, like Egypt or Iraq, was that the colonialists left too early, before they had established [democracy]. As a result of the British occupation or colonialization, Egypt was preparing to become a democratic country. There was cultural and political pluralism. Egypt was on its way to become a democratic country, if not for the [1952] coup, which was dubbed a "revolution."

[...]

Are we enslaved by our identity, or should it serve for our development? History, identity, and culture should belong to society, and not vice versa. Otherwise, it is as if you are locking yourself in a cage.

People are not unchanging, like rocks or trees. A person needs to change. One should choose one's own identity, rather than have it imposed upon him.

Interviewer: Let's talk in practical terms. You say that we suffer from backwardness, while culture and prosperity are limited to the West...

Ibrahim Al-Buleihi: ...and to people who borrowed them from the West. When I talk about the development of the West, some people say to me: What about Japan and China? If these countries had not emulated the West, they would not have progressed. Their progress was determined by the extent to which they borrowed from the West.

Interviewer: So our opening up to the West will determine our development?

Ibrahim Al-Buleihi: Absolutely.

[...]

নূরানী চাপা শরীফ - ১০

লিখেছেন থাবা বাবা

চাপা - ০১৫
উম্ম-হানীর যোনী গহ্বরের ঐতিহাসিক নাম হেরা গুহা!!!


চাপা - ০১৬
মোহাম্মক তাহার ইয়ার দোস্ত লইয়া প্রায়শঃই কাবা প্রাঙ্গণে আরবি (মদ্য বিশেষ) খাইয়া পড়িয়া থাকিত। মোহাম্মদ যখন বেহুঁশ হইয়া পড়িয়া রহিত, তখন তাহার ইয়ার দোস্তরা এই গোল্ডেন অপরচুনিটি মিস করিবে কেন? সবার তো আর উম্ম-হানী নাই।

ইয়ার-দোস্তদিগের গোল্ডেন অপরচুনিটির শিকার হইয়া সুবে-সাদিকের সময় ঘুম ভাঙ্গিলে রেকটাম-প্রদাহের ঠ্যালায় মোহাম্মকের পক্ষে চিত-কাইত হইয়া শয়ন করা বাস্তবিক অসম্ভব হইয়া দাঁড়াইতো। তাই পশ্চাদ্দেশের আরামের নিমিত্তে সে উর্ধপোঁদে রেকটামের স্ফিংকস্টার পেশী চেগাইয়া পড়িয়া থাকিত। এমতাবস্তায় কেউ দেখিয়া ফেলিলে চাপা মারিত যে সালাত আদায় করিতেছে আর এই ভঙ্গিটির নাম সিজদা।

সেই হইতে মুসলমানের জন্য ঊর্ধ্বপোঁদে সিজদার প্রচলন শুরু হইয়াছে!

শুক্রবার, ২৪ আগস্ট, ২০১২

নুহ নবীর ননসেন্স উপাখ্যান


নিচের কার্টুন পাঠিয়েছেন শয়তানের চ্যালা