মসজিদ নির্মাণের ছুতোয় সমগ্র দেশব্যাপী ইছলামী ভিক্ষাবৃত্তির (ইছলামী চাঁদাবাজিও বলা যেতে পারে) যে প্রচলন আছে, তা নির্মূল করা যেতে পারে খুব সহজেই। সারা দেশজুড়ে নারীধর্ষণের ব্যবস্থা করে অভিযুক্ত ধর্ষকদের কাছ থেকে জরিমানা আদায় করে তা ব্যয় করতে হবে মসজিদ নির্মাণের কাজে।
এই অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হয়েছে নোয়াখালীতে। সেখানে স্থানীয় সমাজপতিরা ধর্ষকের কাছ থেকে তিরিশ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে দু'টি মসজিদের টয়লেট তৈরি খাতে দান করেছে। এছাড়া ধর্ষককে কুড়িবার বেত্রাঘাতের রায়ও দেয়া হয়। এবং যেহেতু ইছলামী বিচারে ধর্ষিতাকেও (কখনও কখনও শুধু ধর্ষিতাকেই) অপরাধী হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে, তাই বর্তমান ঘটনায় ধর্ষিতা গৃহবধূর শাস্তি হিসেবে তিরস্কার ও দশ বেত্রাঘাত ধার্য করা হয়।
লিংক পাঠিয়েছেন শুভ চৌধুরী।
মুহম্মদ রহমত উল্যাহ, জেলা প্রতিনিধি
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
নোয়াখালী: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের বটতলী গ্রামে রোববার দিনগত রাতে ধর্ষণের শিকার এক গৃহবধূর সম্ভ্রমের মূল্য ৩০ হাজার টাকা নির্ধারণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এছাড়া ধর্ষকের মাত্র ২০ বেত্রাঘাত ও ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূকেও ১০ বেত্রাঘাত করার আদেশ দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। শুধু তাই নয়, গৃহবধূর সম্ভ্রমের লুণ্ঠনের অপরাধে আদায় ৩০ হাজার টাকা সমাজপতিরা (!)ওই এলাকার দুটি মসজিদের টয়লেট নির্মাণের জন্য দান করেছেন!
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চরফকিরা ইউনিয়নের কলাবাগান এলাকার নুরজাহান বেগমের স্বামী গত কয়েক বছর আগে তাকে ছেড়ে চলে যান। এরপর থেকে নুরজাহান বেগম কয়েক বছর ধরে কলাবাগান এলাকায় রাস্তার পাশে একটি ঘর বানিয়ে অন্যের বাড়িতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন।
এরই সুযোগ নিয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরফকরা ইউনিয়নের আবদুর রব মাস্টার বাড়ির ছেলে এবং ৫ সন্তানের জনক জিএম শাহাদাত হোসেন জাহাঙ্গীর (৫০) রোববার দিনগত রাত ১১টার দিকে নুরজাহান বেগমের ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করেন।
এসময় নুরজাহানের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে আসলে ধর্ষক জাহাঙ্গীর পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে লোকজন তাকে ধরে ফেলেন। রাতেই এ ঘটনা জানাজানি হয়ে গেলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
এরপর এলাকার সমাজপতি ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য শফিকুর রহমান, কামাল উদ্দিন, নুর নবী মানিক, সমাজ কমিটির সাধারণ সম্পাদক হক সাব, নুরুল আমিন ভাসানীসহ ৭/৮শ লোকের উপস্থিতিতে বটতলী এলাকায় রোববার দিনগত রাত ২টায় সালিশ বসে।
সালিশে সমাজপতিরা নুরজাহানকে ধর্ষণের অপরাধে ধর্ষক জাহাঙ্গীরের ৩০ হাজার টাকা জরিমানা ও ২০ বেত্রাঘাত এবং ধর্ষিত নুরজাহান বেগমকে সালিশের সময় তিরস্কার ও ১০ বেত্রাঘাত ধার্য করা হয়।...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন