মঙ্গলবার, ১৬ অক্টোবর, ২০১২

লুক্স লিখিত সুসমাচার - ০৪

লিখেছেন লুক্স

২৬.
স্কুলে এখন ধরতে গেলে ক্লাস ওয়ান থেকেই ধর্ম পড়ানো হয়। আর ধর্ম মানেই বিভাজনের শিক্ষা দেয়া। মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ বা খ্রিষ্টান এই আলাদা পরিচয় ঢুকিয়ে দেয়া হয় শিশুদের মনে। যে দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় স্কুল পর্যায়ে ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক, সে দেশে ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতার চর্চা হবে, এটাই স্বাভাবিক।

২৭.
সারা পৃথিবীতে ঈদ যখন একই দিনে হয় না, কেয়ামতও একই দিনে হবে বলে মনে হচ্ছে না।

২৮.
আমি যদি আমার নিজের টাকায় ভুলে ভরা, হিংসায় ভরা, অবৈজ্ঞানিক ও মধ্যযুগীয় ধর্মগ্রন্থ কিনে পোড়াই, পাড়াই, মাড়াই বা ছিঁড়ে ফেলি, পৃথিবীর যে কোনো সভ্য দেশের মানুষেরা আমাকে পাগল বলবে, আমাকে নিয়ে হাসাহাসি করবে, কিন্তু আমাকে মারবে না। শুধু মুসলমানরাই আমার এ পাগলামির জন্য আমার ১৪ গুষ্টিকে পুড়িয়ে মারবে। কারণ তারা এখনো সভ্য হতে পারেনি।

২৯.
মুসলমানরা কোরানের ভালো আয়াত গুলো প্রচার করে, আর খারাপ আয়াতগুলো অনুসরণ করে।

৩০.
ইসলামের সমালোচনা করলেই কিছু ধর্মপ্রাণ মুসলমান বন্ধু রেগে যান। অভিযোগ করে বলেন, পৃথিবীতে কি আর কোনো ধর্ম নেই? শুধু ইসলামেরই সমালোচনা করতে হবে কেন? তাঁদের কাছে প্রশ্ন: বলুন তো, এ বছর পৃথিবীর সবচেয়ে আলোচিত বা সমালোচিত ধর্ম কোনটি? ২০১২ সালে কোন ধর্মটি সবচেয়ে বেশি অশান্তি সৃষ্টি করেছে?

৩১.
কোরান-হাদিসে প্রস্রাব-পায়খানা করার দোয়া আছে, শিশু বিবাহ করার দোয়া আছে, শিরশ্ছেদ, অমুসলমান বা ইসলাম ত্যাগীদের হত্যা করার দোয়া আছে, পাথর মেরে হত্যা করার দোয়া আছে, যুদ্ধাপরাধী নারীদের ধর্ষণ ইত্যাদি গুরুতর অপরাধ করার দোয়া আছে। আসলেই সব আছে কোরানে। শুধু নেই জ্ঞান অর্জনের জন্য উৎসাহ। 

৩২.
মানুষকে ভালবাসি বলেই ধর্মকে ঘৃণা করি।

৩৩.
ঈশ্বর যদি একজনই হবেন, তবে কোন যুক্তিতে সেই সর্বজ্ঞানী পরম দয়াশীল ঈশ্বর একটার পর একটা ধর্ম সৃষ্টি করে তাঁরই সৃষ্ট প্রাণীকে দ্বিধাগ্রস্ত করবেন? কোন যুক্তিতে তাঁরই সৃষ্ট বিভিন্ন ধর্মে তিনি তাঁর অস্তিত্ব আর স্বরূপ সন্বন্ধে এক এক রকম ব্যাখ্যা দেবেন? যুক্তিগ্রাহ্য মন বলে, ঈশ্বর থাকলে এটা কখনই হত না। মানুষই ঈশ্বর সৃষ্টি করেছে বলে ঈশ্বর এত রকম আর তার এত হেনস্থা। প্রবল ধর্মানুভূতিশীল মুসলমানরা বলে থাকেন, ইসলামের সমালোচনা করে নাস্তিকরা নাকি ফায়দা লুটছে। আপনাদের বলছি, ফায়দা আসছে, আরো আসবে। বাংলাদেশ থেকে ধর্মান্ধতা দূর হলে আপনার-আমার ইহকাল ও পরকালে বহুত ফায়দা হবে, ইনশাল্লাহ।

৩৪.
আল্লাহ সারাদিন গাছের পাতা নাড়ায়, অন্য কাজের সময় কই?

৩৫.
যারা বিবর্তনবাদে বিশ্বাস করেন না, তাঁরা নিশ্চয়ই আদমে বিশ্বাস করেন। আর আপনি যদি আদমে বিশ্বাস করেন, তাহলে আপনাকে এটাও বিশ্বাস করতে হবে যে, আদম ছিল ৯০ ফুট লম্বা আর দেখতে আল্লাহর মতো। কারণ আল্লাহ আদমকে নিজের আদলে সৃষ্টি করেছিলেন। আর আদম যেহেতু মানুষ, সে হিসাবে আল্লাহও দেখতে মানুষের মতো। অতএব আল্লাহ নিরাকার - এ কথাটা ডাহা মিথ্যা। আল্লাহ দেখতে আমারই মতো।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন