ইদানীং ইচলাম, নবী, মুচলিম এই তিন বস্তু এমন হার্ডকোর টপিক, কিছু বললে, লিখলে কিংবা মুভি, থ্রি এক্স, কার্টুন যা-ই বানানো হোক না কেন, মুমিনানুভুতি চাগিয়ে উঠে। মুমিনদের গায়ের চামড়া আল্লাহ কনডমের মত পাতলা করলো কেন?
ইচলামে বলা আছে, কাফের দেখা মাত্র চ্যাংদোলা করতে। সেখানে তারা ইচলামিক চেতনাতে মন্দির কিংবা অন্য ধর্মাবলম্বীর উপাসনালয় ভেঙে গুঁড়িয়ে দিলে তাতে মানবতার গুষ্টি কিলানো হয় বৈকি, কিন্তু সমুন্নত থাকে ইচলামিক শান্তির পতাকা। ইচলাম একমুখে বলে মানবতার কথা, নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব এবং উদারতার কথা (ছহীহ বিষ্ঠাকে আতর মাখিয়ে উপস্থাপনের আপ্রাণ চেষ্টা), অপরদিকে বলে কাফেরদের হত্যা করার কথা, যুদ্ধের কথা, জিহাদের কথা। (ওরা এতো কতা বলে কেনু?)
ইচলামিক ধর্মনিরপেক্ষতা ততক্ষণ কায়েম থাকে, যতক্ষণ মুহাম্মদ-এর পুটুতে আঘাত না হয়। মুহাম্মদ কিংবা তার নাজিল করা চটি কুরান কিংবা তার পত্নীদের নিয়ে কিছু বললেই ধর্মনিরপেক্ষতা বেশ ভালোই বোঝা যায়! ইচলামে কাফেরদের প্রতি সামান্যতম দয়া দেখানোর কথা নেই কিংবা ক্ষমা তখনই করতে বলা হয়েছে, যখন তারা আল্লাহ্র উপর ইমান আনবে। একজন নিরাকার যার নিজেরই ঠিক নেই, তার ওপর কিসের ভিত্তিতে ইমান আনবে মানুষ? যে স্রষ্টা, ভগবান কিংবা খোদা বা আল্লাহ যাকে আমরা দেখতেই পাই না চর্মচক্ষুতে, তার আরাধনা-সাধনা-পূজা-অর্চনাতে জীবনের অনেকটা সময় ব্যয় করি বোকার মতন। অথচ আবার সেই চেতনায় আমরা আগুন জ্বালাই অন্য ধর্মাবলম্বীর ঘরে - উপাসনালয়ে।
মডারেট মুচলিম বলে কিছু নেই। কারণ তারা ততক্ষণই মডারেট, যতক্ষণ ভিন্ন ধর্মাবলম্বীরা মেনে নেবে ইচলাম সেরা, নবী সেরা মানুষ, আল্লাহই দুনিয়ার মালিক! আল্লাহ কাফের সৃষ্টি করেছে দুনিয়াতে মুমিনদের টাইম পাসের জন্য। (কিছু তো করতে হবে!) যুদ্ধ-যুদ্ধ গেইম খেলার জন্য, গনিমতের মাল ভোগের জন্য, আর বুদ্ধিতে না পেরে গায়ের জোরে সন্ত্রাস কিংবা জ্বালাও পোড়াও টাইপ কর্মকাণ্ড করার জন্য। বর্তমান বিশ্বে মুচলিমদের গৌরব যে হারে বেড়ে চলেছে, তাতে জাকির নায়েক নবী হিসেবে নতুন কোরান নাজিল করলে অবাক হওয়ার কিছু নেই! সারা দুনিয়াতে আজ ইচলাম এবং এর অনুসারীদের জন্য তীব্র ঘৃণা-বিদ্বেষ-ক্ষোভ। কোন কাফের-এর ষড়যন্ত্র এটা? ইচলামের এই অধঃপতনের দায় একমাত্র মুমিন মুচলিমদের। আল্লাহর কথা তথা কুরানের বাণী লাইন বাই লাইন মস্তিষ্কে নিয়ে দিনরাত মৈথুন করলে এসব অসুস্থ কাজকর্ম একেবারেই অস্বাভাবিক না।
ধর্মগ্রন্থ হাজার বছর আগে লিখিত, যার ভিত্তি হচ্ছে মানুষের বিশ্বাস এবং পরকালের দুশ্চিন্তা। স্বর্গের লোভ এবং নরকের ভীতি! ইহকাল যে দেখতে পায় না, সে-ই পরকালের চিন্তায় মন্দিরের ঘণ্টা ভাঙ্গে, মালাউন কাফেরদের ছহীহ উপায়ে লাইনে আনে, এবং সিজদা দিয়ে কপালে দাগ ফেলে পাঁচ বেলা আল্লাহ্র ঘরে! মানবতার ধারে কাছে থাকে না যাদের চিন্তা, তাদের অধিপতি কি আল্লাহ? পরম করুণাময়? তার করুণার রূপ বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষ দেখছে, প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে শান্তি। মাধ্যম - বোমাবাজি, সন্ত্রাস আর উগ্র ধর্মান্ধতা। ধিক্কার তাদের, যারা মানুষ বোঝে না, বোঝে মনগড়া ব্যাখ্যার চটি বই কিংবা হাজার বছর আগে মহাপুরুষ নামধারী মানুষের আজাইরা কথা।
সকল ধর্ম ধুয়ে যাক অবিশ্বাসীর ইয়ে বর্ষণে। শান্তি আল্লাহ একাই বর্ষণ করলে ক্যামনে হবে?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন