মঙ্গলবার, ১৩ নভেম্বর, ২০১২

সওয়াববান্ধব বাল্যবিবাহ


লিখেছেন কজমিক ডাস্ট

অনেককেই দেখি, তারা ভাবে, বাল্যবিবাহের সূচনা মুসলমানদের নবী মুহাম্মাদকে দিয়ে শুরু হয়েছে। এটা ঠিক নয়। বাল্যবিবাহের ঐতিহ্য মুহাম্মাদ আসার হাজার হাজার বছর আগে থেকে আছে। মুহাম্মাদের 'কল্যাণে' যেটা হচ্ছে, সেটা হল - বাল্যবিবাহ প্রথাটি আমাদের সমাজে জিইয়ে থাকছে। বাকি দুনিয়া যেখানে সভ্য হয়ে বাল্যবিবাহ পরিত্যাগ করছে, সেখানে মুসলমানেরা এটা ছাড়তে পারছে না। কারণ এটা এখন তাদের জন্যে সুন্নত হয়ে গেছে, আর সুন্নত পালন করা মানে সওয়াব কামানো। 


মুসলমানদের যুক্তি যেহেতু নবী 'সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব' হয়ে এই কাজ করতে পেরেছেন, তো আমরা কেন পারবো না? মুমিনরা এটা মানতে চায় না যে, একটি শিশুর সাথে সহবাস করলে সেটা তার ওপর মানসিক চাপ ফেলে তাকে সুস্থভাবে বেড়ে উঠতে বাধাপ্রদান করবে এবং তার সারাজীবনের উপর প্রভাব ফেলবে। এইক্ষেত্রে তারা মুহাম্মাদের শিশুস্ত্রী আয়েশার বড় হয়ে জ্ঞানী ও সকলের মাঝে সম্মানিত হয়ে বেড়ে ওঠার উদাহরণ দেয়। এখন আমাদের দেখতে হবে: আয়েশার জ্ঞান কী ছিল আসলে ও তার সম্মানিত হওয়ার কারণ কী?

আয়েশার জ্ঞান কি বিজ্ঞান, দর্শন বা সাহিত্যের কোনও কাজে লেগেছিল? তার জ্ঞান ছিল তার বলা হাদিসগুলি। হাদিস হল মুহাম্মাদের বাণী ও তার জীবন যাপন। যেহেতু সে ছোটবেলা থেকে মুহাম্মাদকে দেখে আসছিল, তাই সে মুহাম্মাদ সম্পর্কে অন্য যে কারও থেকে বেশি বলতে পারবে এটাই স্বাভাবিক। আয়েশার জ্ঞানের ভাণ্ডার থেকে আমরা জানতে পারি, মুহাম্মাদ কীভাবে তার জিহ্বা চুষত অথবা মুহাম্মাদের জামাকাপড় কাচার পরে তাতে কয় ফোঁটা শুক্রাণু লেগে থাকতো ইত্যাদি। আয়েশার সম্মানিত হওয়ার রহস্য আর কিছুই নয়, বরং তার নবীপত্নী হওয়া। স্বামীর মৃত্যুর পরে স্ত্রীদের লিডার হয়ে যেতে আমরা সকলেই দেখেছি।

ইসলাম আসলে একটি টাইম ক্যাপসুলের মতো। এটা একবিংশ শতাব্দীর মানুষদের সাথে ১৪০০ বছর আগেকার বর্বর মধ্যযুগীয় সমাজব্যবস্থার পরিচয় করিয়ে দেয়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন