শনিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

(ছবি দেখা না গেলে বিকল্প লিংক)

বানিয়েছেন: কৌস্তুভ

শুক্রবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

ব্লগার থাবা বাবা নিহত

ব্লগার থাবা বাবা ওরফে রাজীব হায়দারকে নৃশংসভাবে হত্যা করল জামাত-শিবির। আজ রাত্রে তাঁর মিরপুরের বাড়ির সামনে তাঁর গলাকাটা লাশ ফেলে রেখে যায় তারা। 

এর কিছুদিন আগেই জামাতি ব্লগ সোনারবাংলাদেশে শাহবাগ আন্দোলনের পিছনের মানুষদের চিনে নিন (পুরো পাতার স্ক্রিনশট এখানেবলে থাবা বাবার পরিচয় এবং ধর্মকারীতে তিনি কেমন ঘৃণ্য নাস্তিকীয় কাজকর্ম করে বেড়ান তা স্ক্রিনশটসহ পোস্ট দেওয়া হয়েছিল। আর এখন নানা টিভিতে ব্রেকিং নিউজ হিসেবে উঠে আসছে তাঁর মৃত্যুর খবর।

আর পিছু হটার সুযোগ নেই। যুদ্ধ চলবে। 

বৃহস্পতিবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

মুখে আমাদের হাসি নাই > রাজাকারদের ফাঁসি চাই

দেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় ধর্মকারীর কাজ আপাতত কয়েকদিনের জন্য স্থগিত রাখা হলো। ধর্মকারীর পক্ষ থেকে আমরা সকল রাজাকারের ফাঁসির সোচ্চার দাবি করছি।

* নতুন পোস্ট দেয়া আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে বটে, তবে ধর্মকারীতে ইতোমধ্যে প্রকাশিত প্রায় সাড়ে ছয় হাজার পোস্টের সবগুলো আপনি নিশ্চয়ই দেখেননি। ব্লগের ডানদিকের কলামে 'গুদামঘর' বা 'ট্যাগ' নামের মডিউল ব্যবহার করে পুরনো ও সুস্বাদু কাসুন্দি ঘেঁটে দেখতে পারেন কিন্তু।

মঙ্গলবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

ইসলামী ইতরামি: এক কম কুড়ি

১.
ইছলাম ক্রমশ মানবিক হয়ে উঠছে। যে কোনও ধরনের চুরির অভিযোগে চোরের হাত কব্জি থেকে কেটে ফেলার বিধান কোরানেই আছে। তবে ইরানে চোরের হাত না কেটে আঙুল কাটা হবে। মানবিকতার পথে এক কদম। তারপর দেখুন দ্বিতীয় কদম: এই আঙুল কাটার কাজ কোনও জল্লাদকে দিয়ে করানোর মতো বর্বরতা থেকেও সরে এসেছে ইরান। এই কাজটি করার জন্য ইছলামী বিগ্যানীরা আবিষ্কার করেছে অঙ্গুলিকর্তক যন্ত্র। এই যন্ত্র দিয়ে আঙুল কাটার উদাহরণসহ ছবিও প্রকাশ করেছে ইরানের অফিসিয়াল প্রেস এজেন্সি।

২.
মালিতে একটি অমূল্য পাঠাগার ধ্বংস করেছে ইছলামীরা। রিচার্ড ডকিন্স টুইটারে এই ঘটনাকে ইছলামী বর্বরদের কাজ বলায় মুছলিমদের ধর্মানুনুভূতি বেতা পেয়েছে। 

৩.
অনেক ইছলামী দেশে প্রচলিত নারী-খতনা প্রথা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা নিয়েছে জাতিসংঘ। কিন্তু নারীরা স্বস্তিতে থাকবে, পূর্ণাঙ্গ যৌনতৃপ্তি পাবে, ইছলামী পুরুষেরা তা মেনে নেবে কেন! বৃহত্তম মুছলিম দেশ ইন্দোনেশিয়ার ইছলামীরা সম্ভাব্য এই নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করেছে। আরেক দল ইছলামবাজ বলছে, নারী-খতনা নাকি মানবাধিকার!

৪.
'আল্লাহ' বা অন্য কোনও আরবি শব্দয়ুক্ত যতো বাইবেল আছে, সব জব্দ করে পুড়িয়ে ফেলার দাবি তোলা হয়েছে মালয়েশিয়ায়।

৫.
তার নবী নয় বছর বয়সী মেয়েকে শয্যাসঙ্গী করেছে, তাই সে ভাবতেই পারেনি তেরো বছরের মেয়ের সঙ্গে যৌনসম্পর্ক স্থাপন করা আইনবিরুদ্ধ। আসামী নিজেই বলেছে, ইছলামী কায়দায় পাওয়া শিক্ষার কারণে সে জানতো না, তেরো বছর বয়সী মেয়ের সঙ্গে যৌনসঙ্গম আইনত দণ্ডনীয়।
(লিংক: ধ্রুবনীল)

৬.
খ্যাতনামা চৌদি ধর্মপ্রচারক নিজের পাঁচ বছর বয়সী কন্যাকে ধর্ষণ করার পরে হত্যা করেছিল। তার বিচারের ফল: অল্প কিছুদিন কারাবাসের পর মেয়ের মাকে 'ব্লাড মানি' দিতে হবে। ইছলামী আইন অনুসারে, সন্তান হত্যার কারণে পিতার এবং স্ত্রী হত্যার কারণে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড হতে পারে না। ছহীহ ইছলামী বিচার!

৭.
কাতারের বালক বিদ্যালয়গুলো শিক্ষিকাহীন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নিশ্চিতভাবেই কামমত্ত ইছলামী মস্তিষ্কপ্রসূত একটি সিদ্ধান্ত।

৮.
নিজ গৃহে পরবাসী। মুছলিম অভিবাসীদের আলাদা হয়ে গোষ্ঠীবদ্ধ থাকার প্রবণতায় অদি বাসিন্দাদের কেমন অনুভূতি হয়, সে বিষয়ে এক লন্ডনবাসীর লেখা নিবন্ধ।
(লিংক: ধ্রুবনীল)

৯.
ইছলাম যাদেরকে শস্যক্ষেত্র বলে মনে করে, সেই নারীরা সমঅধিকার চাইলে ইছলামীরা মানবে কেন? শস্যক্ষেত্র আর পুরুষের অধিকার কি সমান হতে পারে কখনও? পারে না। সে কথাই বলেছে এক ইছলামবাজ। তার ভাষায়, নারী-পুরুষের সমতা প্রকৃতিবিরুদ্ধ।

১০.
ফেসবুকে ইছলামকে অপমান করার অভিযোগে একজনের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড।

১১.
মুছলিম-মুছলিম ভাই-ভাই। ইরাকে শিয়া মসজিদে আত্মঘাতী হামলা। বিয়াল্লিশজন নিহত।

১২.
ভারতের কাশ্মীরে মেয়েদের একটি সঙ্গীতদল ভেঙে গেছে, কারণ শীর্ষস্থানীয় এক ইছলামবাজ তাদের আচরণকে অনৈসলামিক আখ্যা দিয়েছে। নবীজি নিজে গান-বাজনা ও বাদ্যযন্ত্র পছন্দ করতো না - অনেক হাদিস থেকেই এ কথা জানা যায়। এই ইছলামবাজ তাই ছহীহ কাজটিই করেছে।

১৩.
মমিনদের ঈমানদণ্ড এতো স্পর্শকাতর (বা 'স্পর্শের জন্য কাতর'-ও বলা চলে) যে, একেবারে খুদে, শিশুবালিকাদর্শনেও তাদের কামভাব জাগ্রত হয় বলে বোধ হয়। তাই এক চৌদি ইছলামবাজ (এবং নির্ঘাত কামাতুর) ফতোয়া দিয়েছে শিশুবালিকাদেরও ঢাকতে হবে বোরখা নামের বস্তা দিয়ে।

১৪.
ইছলামী দেশগুলোয় বসবাসকারী ইয়োরোপীয় বা আমেরিকান মেয়েরা যদি মিনি-স্কার্ট পরে অফিস করার অধিকার দাবি করে, সেটা কি মঞ্জুর হবে? তা হবে না বটে, তবে মুছলিমরা কিন্তু ভিনদেশে গিয়ে কর্মস্থলে হিজাব পরার অধিকার দাবি জানাতে কুণ্ঠিত হয় না।

১৫.
গত জানয়ারি মাসে বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ইছলামের অবদান:
আক্রমণ: ১৯৩ বার
নিহত: ৯৩১ জন
গুরুতরভাবে আহত: ১৪৮০ জন।

১৬.
ইছলামে সমকামিতা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ হলেও আরব দেশগুলোর ধনবান সমকামী বা উভকামী পুরুষেরা অর্থের বিনিময়ে কেনীয় পুরুষদের ব্যবহার করছে 'রক্ষিত' হিসেবে।

১৭.
সিরিয়ায় যুদ্ধের সুযোগে মুতাহ্ বিবাহের (ইছলামী মোড়কে ছহীহ দেহব্যবসা) বাজার জমে উঠেছে। বাদ পড়ছে না অপ্রাপ্তবয়স্কা বালিকারাও।

১৮.
ফ্লোরিডার এক মসজিদের যুবক দলের নেতা চাইল্ড পর্নোগ্রাফি ধারণ ও সংরক্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত। চোদ্দ বছর বয়সী এক বালকের স্বমেহন করার দৃশ্য সে নিজে ভিডিও করেছে।

১৯.
মুছলিমরা তাদের যাবতীয় অপকর্ম ও ব্যর্থতার দায় ইহুদিদের ওপরে চাপাতে বড়োই পারদর্শী। মুছলিমদের কলুষিত রেপুটেশনের জন্য দায়ী ইহুদি-নিয়ন্ত্রিত প্রচারমাধ্যম, বলেছে দুই ইছলামবাজ। তা তো বটেই! মুছলিমদের ইতরামির সমস্ত খবরই ইহুদিদের মস্তিষ্কজাত। ওপরের কোনও খবরই সত্য নয়, সব ইহুদিদের ষড়যন্ত্র।

চিত্রপঞ্চক - ৪৫

শেষের ছবিটা একটু ইয়ে-টাইপ। অতএব ইমোটা খিয়াল কৈরা! 
(ছবি দেখা না গেলে বিকল্প লিংক) 

(ছবি দেখা না গেলে বিকল্প লিংক) 
(ছবি দেখা না গেলে বিকল্প লিংক) 

আমেরিকান স্যাটায়ারিস্ট, কমেডিয়ান, কমেডি সেন্ট্রাল নামের টিভি চ্যানেলের উপস্থাপক স্টিফেন কোলবার্ট ১৭০০ বাইবেল দিয়ে তৈরি বিছানায় 
(পূর্ণাকারে দেখতে বা ছবি দেখা না গেলে বিকল্প লিংক)

(ছবি দেখা না গেলে বিকল্প লিংক)

নিঃসীম নূরানী অন্ধকারে - ৬০

লিখেছেন কবীর উদ্দীন

২৯৬.
জেনানা যদি বেপর্দা হইয়া মহানবীর সামনে দিয়া
রঙ্গ কইরা হাঁইট্টা যায়;
নবীর ঈমান জাইগ্যা যায়।
জাগনা ঈমানরে ঘুম পাড়াইতে নবী তাই যয়নাবের কাছে ছুইট্টা যায়।

২৯৭.
- 'আল্লাহর কোনও আকার নাই' - এই বাক্যটি ছহী বানানে লিখো।
- ছহীহ বানান এইরূপ: 'অল্লহর কেনও অকর নই।'

২৯৮.
হে আল্লাপাক, আপনি কোরানপাকে বারবার বলেছেন যে, আপনি একটি লিঙ্গহীন ক্লীব। কিন্তু যে সকল পথভ্রষ্ট আপনার বাণীর ইংরেজী অনুবাদ করেছে, তারা আপনার অনুমতি ছাড়াই নিজেদের বুদ্ধি ও ইচ্ছানুযায়ী সার্জারি করিয়ে আপনাকে পুরুষ বানিয়ে ছেড়েছে। আপনার লিঙ্গহীনতার সাথে এত্ত বড় বিদ্রূপ! আর আপনি কোনোই প্রতিশোধ নিলেন না তাদের ওপর! আপনি লিঙ্গহীন, তাই ইংরেজী গ্রামার অনুযায়ী আপনার সর্বনাম হওয়া উচিত It. আর ওরা আপনার লিঙ্গহীনতার সুযোগ নিয়ে চরম ঠাট্টা করল আপনার সাথে! He বানিয়ে দিলো আপনাকে! এ কেমন প্রহসন! হে প্রতিশোধ গ্রহণকারী, আপনি প্রতিশোধ নিন। সেই সব ভ্রষ্টদের উদ্দেশ্যে শুধু একটিবার "হও" বলুন। লানত পড়ুক তাদের উপর।

২৯৯.
আল্লাহ নিজেকে নিজে সর্বশক্তিমান পালোয়ান ঘোষণা দিয়েছেন কেন? তিনি কি কুস্তি খেলতে ইচ্ছুক?

৩০০.
দয়াময়ে কয়, পালিতপুত্র পুত্র নয়।
শান্তিময় বিধানে পালকপিতা ও পালিতপুত্র পরস্পরের পুংসতীন হয়।
(এ ক্ষেত্রে নবীজি ও যায়েদের পুংসতীন সম্পর্কের উদাহরণ দেয়া যায়)

থাবার থাবড়া - ০১

লিখেছেন থাবা বাবা 

১. 
মাছের তেলে মাছ ভাজা...
মাদ্রাসাগুলো চলে ভিক্ষের দানে, তার ছাত্ররা সেখানে ভিক্ষে করা শেখে। আর তারপর তারাই আবার ভিক্ষে করে মাদ্রাসার জন্য টাকা তোলে, আর সেই সব মাদ্রাসায় আবারও ভিক্ষুক তৈরী হয়! সেই ভিক্ষুক ছাত্রেরা আবার ভিক্ষে করে নতুন মাদ্রাসা বানায় নতুন নতুন ভিক্ষুক উৎপাদনের জন্য... এই চক্র চলতেই থাকে!

২.
সিনেমা আর টিভির মতো আধুনিক মিডিয়া যখন ধর্মের মতো পচে-গলে দুর্গন্ধ ছড়ানো একটা বিষয়কে সযত্নে লালন করে, তখন মনে হয় প্রযুক্তির চাট্টিবাট্টি গোল করে ফেলে দিয়ে প্রস্তর যুগে ফিরে যাই!

৩.
আল্লা নাকি জোড়া মিলায় নারী-পুরুষ পৃথিবীতে পাঠাইছে... কারণ স্বামীর পাঁজরের হাড় দিয়েই স্ত্রীকে বানানো হয়েছে। একজনের পাঁজরের হাড়ে তৈরি স্ত্রী যাতে অন্যের হাতে না যায়, তাই আল্লা জোড়া মিলিয়েই পাঠায়। কিন্তু একসাথে ৪ খানা স্ত্রী রাখার মানে কী তাহলে? পুরুষের পাঁজরে হাড্ডি ৪ খানা কম, নাকি জোর-যার-মুল্লুক-তার নিয়মে অন্যের হাড় দখল করে খাবার ভেস্তী পারমিশান?

সোমবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

কুরানে বিগ্যান (পর্ব-২৫): মুহাম্মদের মোজেজা তত্ত্ব - তিন

লিখেছেন গোলাপ

পর্ব ১ > পর্ব ২ > পর্ব ৩ > পর্ব ৪ > পর্ব ৫ > পর্ব ৬ > পর্ব ৭ > পর্ব ৮ > পর্ব ৯ > পর্ব ১০ > পর্ব ১১ > পর্ব ১২ > পর্ব ১৩ > পর্ব ১৪ > পর্ব ১৫ > পর্ব ১৬ > পর্ব ১৭ > পর্ব ১৮ > পর্ব ১৯ > পর্ব ২০ > পর্ব ২১ > পর্ব ২২ > পর্ব ২৩ > পর্ব ২৪

প্রতিটি ইসলাম বিশ্বাসী দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন যে, স্বঘোষিত আখেরি নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ছিলেন অভূতপূর্ব অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী। এ বিশ্বাস যে শুধুই এক ভিত্তিহীন অসত্য অতিকথন (Only a Myth), তা অতি সহজেই প্রমাণিত হয় মুহাম্মদের ব্যক্তি-মানস-জীবনী (Psycho-biography) গ্রন্থের পর্যালোচনায়। ইসলামের ইতিহাসের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য দলিল হলো এই গ্রন্থটি (কুরান); এই সেই গ্রন্থ যে গ্রন্থের প্রণেতা ও প্রবক্তা স্বয়ং মুহাম্মদ (আল্লাহ) এবং সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য এই দলিলেরই আলোকে কুরাইশ/অবিশ্বাসীদের সম্পূর্ণ যৌক্তিক দাবি ও চ্যালেঞ্জের মোকাবেলায় মুহাম্মদের অপ্রাসঙ্গিক জবাব, হুমকি, শাসানী, তাচ্ছিল্য ও ভীতি প্রদর্শনের আংশিক আলোচনা গত পর্বে করা হয়েছে। কুরাইশ/অবিশ্বাসীরা মুহাম্মদের কাছে তার নবুয়তের সাক্ষ্য রূপে আরও যে সমস্ত প্রমাণ হাজির করার আহ্বান জানিয়েছিলেন তা ছিল নিম্নরূপ: 

(৪) আযাব ত্বরান্বিত করার আহ্বান 

২২:৪৭-৪৮ 
অবিশ্বাসীদের দাবী: 
“তারা আপনাকে আযাব ত্বরান্বিত করতে বলে।”

অপ্রাসঙ্গিক জবাব ও হুমকি/ভীতি প্রদর্শন: 
“অথচ আল্লাহ কখনও তাঁর ওয়াদা ভঙ্গ করেন না। আপনার পালনকর্তার কাছে একদিন তোমাদের গণনার এক হাজার বছরের সমান। -এবং আমি কত জনপদকে অবকাশ দিয়েছি এমতাবস্থায় যে, তারা গোনাহগার ছিল। এরপর তাদেরকে পাকড়াও করেছি এবং আমার কাছেই প্রত্যাবর্তন করতে হবে।” 

>>> আল্লাহ কখনও তাঁর ওয়াদা ভঙ্গ করেন কি করেন না, সে প্রশ্ন তো কুরাইশরা এখানে করেননি বা জানতেও চাননি। কুরাইশরা মুহাম্মদের নবুয়তের প্রমাণস্বরূপ তাঁর আল্লাহর "আযাব ত্বরান্বিত করতে" আহ্বান করেছিলেন। 

২৯:৫৪-৫৫ 
অবিশ্বাসীদের দাবী ও মুহাম্মদের অপ্রাসঙ্গিক জবাব ও হুমকি: 
“তারা আপনাকে আযাব ত্বরান্বিত করতে বলে; অথচ জাহান্নাম কাফেরদেরকে ঘেরাও করছে। যেদিন আযাব তাদেরকে ঘেরাও করবে মাথার উপর থেকে এবং পায়ের নীচ থেকে। আল্লাহ বললেন, তোমরা যা করতে, তার স্বাদ গ্রহণ কর।”

৮:৩১-৩৪ 
অবিশ্বাসীদের দাবী: 
“আর কেউ যখন তাদের নিকট আমার আয়াতসমূহ পাঠ করে তবে বলে, আমরা শুনেছি, ইচ্ছা করলে আমরাও এমন বলতে পারি; এ তো পূর্ববর্তী ইতিকথা ছাড়া আর কিছুই -- তাছাড়া তারা যখন বলতে আরম্ভ করে যে, ইয়া আল্লাহ, এই যদি তোমার পক্ষ থেকে (আগত) সত্য দ্বীন হয়ে থাকে, তবে আমাদের উপর আকাশ থেকে প্রস্তর বর্ষণ কর কিংবা আমাদের উপর বেদনাদায়ক আযাব নাযিল কর।”

মুহাম্মদের জবাব ও হুমকি: 
“অথচ আল্লাহ কখনই তাদের উপর আযাব নাযিল করবেন না যতক্ষণ আপনি তাদের মাঝে অবস্থান করবেন। তাছাড়া তারা যতক্ষণ ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকবে আল্লাহ কখনও তাদের উপর আযাব দেবেন না। আর তাদের মধ্যে এমন কি বিষয় রয়েছে, যার ফলে আল্লাহ তাদের উপর আযাব দান করবেন না। অথচ তারা মসজিদে-হারামে যেতে বাধাদান করে, অথচ তাদের সে অধিকার নেই। এর অধিকার তো তাদেরই রয়েছে যারা পরহেযগার। কিন্তু তাদের অধিকাংশই সে বিষয়ে অবহিত নয়।”

>>> "আল্লাহ কখনই তাদের উপর আযাব নাযিল করবেন না যতক্ষণ আপনি তাদের মাঝে অবস্থান করবেন" - যদি তাইই হয়, তবে কেন মুহাম্মদ অবিশ্বাসীদেরকে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস ও বছরের পর বছর ধরে অভিশাপ, হুমকি ও ভীতি প্রদর্শন করে চলেছেন? ইমাম বুখারীর ভাষ্য মতে উক্ত আয়াতের শানে নজুল হলো আবু জেহেলের এক উক্তি! (৬:৬০:১৭১) 
“আনাস বিন মালিক হতে উদ্ধৃত
আবু জেহেল বলেছিলেন, ‘হায় আল্লাহ! এই (কুরান) যদি তোমার সত্য ভাষণের নমুনা হয় তবে আকাশ থেকে আমাদের উপর পাথর-বৃষ্টি বর্ষণ কর অথবা পাঠাও কোন কঠিন যন্ত্রণাদায়ক আযাব।’ তাই আল্লাহ নাযিল করলেন’, --কিন্তু আল্লাহ কখনই তাদের উপর আযাব নাযিল করবেন না যতক্ষণ আপনি তাদের মাঝে অবস্থান করবেন, -- (৮:৩৩-৩৪) "
- অনুবাদ লেখক 
“Narrated Anas bin Malik: -- Abu Jahl said, "O Allah! If this (Quran) is indeed the Truth from You, then rain down on us a shower of stones from the sky or bring on us a painful torment." So Allah revealed:-- "But Allah would not punish them while you were amongst them --”. 
আল্লাহর নামে মুহাম্মদের উল্টা-পাল্টা, অবান্তর, উদ্ভট ও হাস্যকর বাণী যে কোনোভাবেই স্রষ্টাপ্রদত্ত হতে পারে না, এ ব্যাপারে আবু জেহেল ছিলেন একেবারেই নিশ্চিত। তাই তিনি মুহাম্মদের উদ্দেশে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছিলেন! এর পরের অংশটি, "যতক্ষণ তারা ক্ষমা প্রার্থনা করবে--" একেবারেই অপ্রাসঙ্গিক! প্রশ্নকারী মুহাম্মদের (আল্লাহ) কাছে ক্ষমা প্রার্থনা চাচ্ছেন, এমন আলামত কি কোথাও ব্যক্ত করেছেন? অবশ্যই নয়! তাহলে? এহেন উদ্ভট ও অপ্রাসঙ্গিক জবাবের হেতু যে অপারগতা ও অক্ষমতা, তা বোঝা যায় অতি সহজেই! 

“অথচ তারা মসজিদে-হারামে যেতে বাধাদান করে, অথচ তাদের সে অধিকার নেই" - মুহাম্মদ কুরাইশদের বিরুদ্ধে এ সমস্ত মিথ্যা অভিযোগ, বিষোদগার ও জ্বালাময়ী বক্তব্য শুরু করেছিলেন মদিনায় এসে। কীসের প্রয়োজনে? 
১) রাতের অন্ধকারে বাণিজ্যফেরত নিরীহ কুরাইশ কাফেলার ওপর মুহাম্মদ ও তার সন্ত্রাসী/ডাকাত বাহিনীর চোরাগুপ্তা হামলার মাধ্যমে কুরাইশদের সর্বস্ব লুট (ডাকাতি), আরোহীকে খুন অথবা বন্দী করে নিয়ে এসে তাদের আত্মীয়-পরিজনের কাছ থেকে মুক্তিপণের মাধ্যমে ছেড়ে দেয়ার যে লাভজনক “অনৈতিক জীবিকাবৃত্তি” মুহাম্মদ ও তাঁর সহচররা শুরু করেছিলেন, তারই "বৈধতা" দেয়ার প্রয়োজনে! 
২) তার সন্ত্রাসী/ডাকাত বাহিনীর এহেন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ কুরাইশদের সর্বপ্রথম প্রতিরক্ষা যুদ্ধে (বদর যুদ্ধ) মুহাম্মদ ও তাঁর বাহিনী তাদেরই একান্ত নিকটাত্মীয়, পরিবার-পরিজন, পাড়া-প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে যে বর্বর-অমানুষিক-নৃশংসতার চূড়ান্ত উদাহরণ রেখেছিলেন, তারই বৈধতা দেয়ার প্রয়োজনে! 
৩) তার মক্কাবাসী সহচরদের (মুহাজির) তাদেরই আত্মীয়স্বজনদের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তোলার প্রয়োজনে! 
৪) কুরাইশ/অবিশ্বাসীদের বিরুদ্ধে মুহাম্মদের যাবতীয় সন্ত্রাসী হামলা-খুন ও রাহাজানিকে বৈধতা দেয়ার প্রয়োজনে! 
এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো আইয়ামে জাহিলিয়াত ও হিজরত তত্ত্বে। 

(৫) ফেরেশতাদেরকে দেখানোর দাবী 

৬: ৮-৯ 
অবিশ্বাসীদের দাবী: 
‘তারা আরও বলে যে, তাঁর কাছে কোন ফেরেশতা কেন প্রেরণ করা হল না?’ 

মুহাম্মদের হুমকি/ভীতি প্রদর্শন: 
‘যদি আমি কোন ফেরেশতা প্রেরণ করতাম, তবে গোটা ব্যাপারটাই শেষ হয়ে যেত। অতঃপর তাদেরকে সামান্যও অবকাশ দেওয়া হত না। যদি আমি কোন ফেরেশতাকে রসূল করে পাঠাতাম, তবে সে মানুষের আকারেই হত| এতেও ঐ সন্দেহই করত, যা এখন করছে।’ 


৬:১৫৮
অবিশ্বাসীদের দাবী:
‘তারা শুধু এ বিষয়ের দিকে চেয়ে আছে যে, তাদের কাছে ফেরেশতা আগমন করবে কিংবা আপনার পালনকর্তা আগমন করবেন অথবা আপনার পালনকর্তার কোন নির্দেশ আসবে।’ 

মুহাম্মদের ভীতি প্রদর্শন: 
“যেদিন আপনার পালনকর্তার কোন নিদর্শন আসবে, সেদিন এমন কোন ব্যক্তির বিশ্বাস স্খাপন তার জন্যে ফলপ্রসূ হবে না, যে পূর্ব থেকে বিশ্বাস স্খাপন করেনি কিংবা স্বীয় বিশ্বাস অনুযায়ী কোনরূপ সৎকর্ম করেনি। আপনি বলে দিন: তোমরা পথের দিকে চেয়ে থাক, আমরাও পথে দিকে তাকিয়ে রইলাম।” 

১৫:৭-৮ 
অবিশ্বাসীদের প্রশ্ন: 
“--যদি আপনি সত্যবাদী হন, তবে আমাদের কাছে ফেরেশতাদেরকে আনেন না কেন?” 

জবাবে ভীতি প্রদর্শন: 
“-– আমি ফেরেশতাদেরকে একমাত্র ফায়সালার জন্যেই নাযিল করি। তখন তাদেরকে অবকাশ দেয়া হবে না।’

অবিশ্বাসীদের দাবী: 
‘যারা আমার সাক্ষাৎ আশা করে না, তারা বলে, আমাদের কাছে ফেরেশতা অবতীর্ণ করা হল না কেন? অথবা আমরা আমাদের পালনকর্তাকে দেখি না কেন? 

মুহাম্মদের অপ্রাসঙ্গিক জবাব: 
“তারা নিজেদের অন্তরে অহংকার পোষণ করে এবং গুরুতর অবাধ্যতায় মেতে উঠেছে।” 

>>> অবিশ্বাসীদের দাবি ও প্রশ্ন ছিল সুনির্দিষ্ট। কিন্তু প্রবক্তা মুহাম্মদের সমস্ত জবাবই অপ্রাসঙ্গিক। এ সমস্ত উদ্ভট পাল্টা দাবি/জবাবের মাধ্যমে মুহাম্মদ যে তাঁর অপারগতা ও অক্ষমতাই প্রমাণ করেছিলেন, তা বোঝা যায় অতি সহজেই। 

(৬) আল্লাহ্ কোনো মানুষের প্রতি কোনো কিছু অবতীর্ণ করেননি

৬:৯১ 
অবিশ্বাসীদের বিশ্বাস: 
“তারা আল্লাহ্কে যথার্থ মূল্যায়ন করতে পারেনি, যখন তারা বলল: আল্লাহ্ কোন মানুষের প্রতি কোন কিছু অবতীর্ণ করেননি।” 

অপ্রাসঙ্গিক জবাব: 
“আপনি জিজ্ঞেস করুন: ঐ গ্রন্থ কে নাযিল করেছে, যা মূসা নিয়ে এসেছিল? যা জ্যোতিবিশেষ এবং মানব মন্ডলীর জন্যে হোদায়েতস্বরূপ, যা তোমরা বিক্ষিপ্তপত্রে রেখে লোকদের জন্যে প্রকাশ করছ এবং বহুলাংশকে গোপন করছ। তোমাদেরকে এমন অনেক বিষয় শিক্ষা দেয়া হয়েছে, যা তোমরা এবং তোমাদের পূর্বপুরুষরা জানতো না। আপনি বলে দিন: আল্লাহ্ নাযিল করেছেন। অত:পর তাদেরকে তাদের ক্রীড়ামূলক বৃত্তিতে ব্যাপৃত থাকতে দিন।” 

>>> মুসা মানুষ ছিলেন এবং কুরাইশরা (আয়াতটি মক্কায়) মুসার অনুসারী ছিলেন না। অবিশ্বাসীরা যেখানে সুনির্দিষ্ট ভাবে বলছেন যে,  “আল্লাহ মানুষের প্রতি কোনো কিছু অবতীর্ণ করেননি।” তার জবাবে, "ঐ গ্রন্থ কে নাযিল করেছে, যা মুসা নিয়ে এসেছিল" প্রশ্নটি একেবারেই অবান্তর। 

(৭) "প্রমাণ চাই, প্রমাণ!" 

৪৫:২৫-২৬ 
অবিশ্বাসীদের দাবী: 
“তাদের কাছে যখন আমার সুস্পষ্ট আয়াতসমূহ পাঠ করা হয়, তখন একথা বলা ছাড়া তাদের কোন মুক্তিই থাকে না যে, তোমরা সত্যবাদী হলে আমাদের পূর্বপুরুষদেরকে নিয়ে আস।” 

অপ্রাসঙ্গিক জবাব: 
“আপনি বলুন, আল্লাহই তোমাদেরকে জীবন দান করেন, অতঃপর মৃত্যু দেন, অতঃপর তোমাদেরকে কেয়ামতের দিন একত্রিত করবেন, যাতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ বোঝে না।” 

অবশেষে মুহাম্মদের স্বীকারোক্তি: 

৭:১৮৮
“আপনি বলে দিন, আমি আমার নিজের কল্যাণ সাধনের এবং অকল্যাণ সাধনের মালিক নই, কিন্তু যা আল্লাহ চান। আর আমি যদি গায়বের কথা জেনে নিতে পারতাম, তাহলে বহু মঙ্গল অর্জন করে নিতে পারতাম, ফলে আমার কোন অমঙ্গল কখনও হতে পারত না। আমি তো শুধুমাত্র একজন ভীতি প্রদর্শক ও সুসংবাদদাতা ঈমানদারদের জন্য।”

৬:৫৭
“আপনি বলে দিন: আমার কাছে প্রতিপালকের পক্ষ থেকে একটি প্রমাণ আছে এবং তোমরা তার প্রতি মিথ্যারোপ করেছ। তোমরা যে বস্তু শীঘ্র দাবী করছ, তা আমার কাছে নেই। আল্লাহ্ ছাড়া কারো নির্দেশ চলে না।”

এবং, "আঙুর ফল টক" ও আরও গালি/তাচ্ছিল্য! 

৬:১১১ 
“আমি যদি তাদের কাছে ফেরেশতাদেরকে অবতারণ করতাম এবং তাদের সাথে মৃতরা কথাবার্তা বলত এবং আমি সব বস্তুকে তাদের সামনে জীবিত করে দিতাম, তথাপি তারা কখনও বিশ্বাস স্খাপনকারী নয়; কিন্তু যদি আল্লাহ্ চান। কিন্তু তাদের অধিকাংশই মুর্খ।” 

>>> ওপরোক্ত আলোচনা ও পর্যালোচনায় যে বিষয়টি স্পষ্ট, তা হলো অবিশ্বাসীরা বহুবার বিভিন্নভাবে মুহাম্মদকে তার নবুয়তের প্রমাণ হাজির করতে আহ্বান জানিয়েছিলেন। আর মুহাম্মদ প্রতিবারেই প্রমাণ হাজির করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। আশ্চর্যজনক হলেও কুরানের আলোকে নিরপেক্ষ বিচারে এ সত্যটাই স্পষ্ট। কিন্তু সমস্ত মুসলিম সমাজ এ সত্য মানতে নারাজ। তারা মনে-প্রাণে বিশ্বাস করেন যে, মুহাম্মদ ছিলেন "সুপার-হিউম্যান।" যে কোনো মসজিদ এবং মুসলিম সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে “মুহাম্মদের অলৌকিকত্বের" উদাহরণ হিসাবে যে বয়ানগুলো বারংবার শোনানো হয়, তা হলো নিম্নরূপ: 

মক্কায় মুহাম্মদ (৫৭০-৬২২ সাল) 

মুহাম্মদের সশরীরে মুহূর্তে আকাশভ্রমণ (মেরাজ) আর চন্দ্র দ্বিখণ্ডিতকরণ! 

মেরাজ! 

১৭:১ – “পরম পবিত্র ও মহিমাময় সত্তা তিনি, যিনি স্বীয় বান্দাকে রাত্রি বেলায় ভ্রমণ করিয়েছিলেন মসজিদে হারাম থেকে মসজিদে আকসা পর্যন্ত - যার চার দিকে আমি পর্যাপ্ত বরকত দান করেছি যাতে আমি তাঁকে কুদরতের কিছু নিদর্শন দেখিয়ে দেই। নিশ্চয়ই তিনি পরম শ্রবণকারী ও দর্শনশীল।”

১৭:৬০ – “--স্মরণ করুন, আমি আপনাকে বলে দিয়েছিলাম যে, আপনার পালনকর্তা মানুষকে পরিবেষ্টন করে রেখেছেন এবং যে দৃশ্য আমি আপনাকে দেখিয়েছি তাও কোরআনে উল্লেখিত অভিশপ্ত বৃক্ষ কেবল মানুষের পরীক্ষার জন্যে। আমি তাদেরকে ভয় প্রদর্শন করি। কিন্তু এতে তাদের অবাধ্যতাই আরও বৃদ্ধি পায়।”

৫৩:১৩-১৮ – “নিশ্চয় সে তাকে আরেকবার দেখেছিল, সিদরাতুলমুন্তাহার নিকটে, যার কাছে অবস্থিত বসবাসের জান্নাত। যখন বৃক্ষটি দ্বারা আচ্ছন্ন হওয়ার, তদ্দ্বারা আচ্ছন্ন ছিল।তাঁর দৃষ্টিবিভ্রম হয় নি এবং সীমালংঘনও করেনি। নিশ্চয় সে তার পালনকর্তার মহান নিদর্শনাবলী অবলোকন করেছে।”

>>> একবিংশ শতাব্দীর বিজ্ঞানের (Evidenced based knowledge) এই স্বর্ণযুগে, যখন মানুষ ১৪ কোটি মাইল দূরবর্তী মঙ্গল গ্রহে মহাকাশযান পাঠাচ্ছেন; কোটি কোটি আলোকবর্ষ দূরবর্তী গ্রহ/নক্ষত্র/গ্যালাক্সির খুঁটিনাটির কিনারা করছেন; এই চমকপ্রদ (magnificent) মহাবিশ্ব উৎপত্তির একদম আদিতে কী ঘটেছিল এবং পরবর্তী ১৩৫০ কোটি বছরে কী রূপে তার বিকাশ ঘটেছে - ইত্যাদি বিষয়ের চুলচেরা বিচার-বিশ্লেষণ করছেন; সেই একই যুগে অবস্থান করে যখন একদল মানুষের সাথে “১৪০০ বছর আগের এক আরব বেদুইন আলোর ধ্রুব গতিকে (speed of light is constant = 1,86,000 miles/second) কাঁচকলা দেখিয়ে স্ব-শরীরে কোটি কোটি আলোকবর্ষ দূরবর্তী স্থানে ‘মুহূর্তের মধ্যে’ পরিভ্রমণ শেষে আবার সশরীরে পৃথিবীতে ফিরে এসেছিলেন কি না, কিংবা সেই একই ব্যক্তির অঙ্গুলি হেলনে চন্দ্র বিদীর্ণ হয়েছিল কি না - তা নিয়ে বিতর্কে নামতে হয়, তখন তা হয় অতীব লজ্জাকর এক পরিস্থিতি! বিশ্বাস (perception with no evidence) মানব মস্তিষ্কের স্বাভাবিক বিচার-বিবেচনা ও বিশ্লেষণ শক্তিকে যে কী পরিমাণ "ভোঁতা" করতে পারে, তা অতি সহজেই উপলব্ধি করা যায়! 

একবিংশ শতাব্দীর এই যুগে, মস্তকের চুল থকে শুরু করে পায়ের তালু এবং শৌচাগার থেকে শুরু করে মহাশূন্য পর্যন্ত বিজ্ঞানের যাবতীয় সুবিধা ভোগ করেও যে সকল সুবিধাবাদী ধর্মবাজরা বিজ্ঞানের অবমাননা ও শ্লীলতাহানি করে কুযুক্তির মাধ্যমে ৭ম শতাব্দীর এক মানব সন্তানের যাবতীয় বাণী ও উদ্ভট দাবীর "বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা" হাজির করে প্রতিনিয়ত সাধারণ ধর্মপ্রাণ অজ্ঞ লোকদের বিভ্রান্ত করে চলেছেন; তাদের এই কুৎসিত কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানাবার ভাষা আমার জানা নেই। ধর্ম বিষয় বিতর্কে এই অধ্যায়টিতে আমি চরম বিরক্তি বোধ করি। হতাশা বোধ করি। সপ্তম শতাব্দীর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাবঞ্চিত এক আরব বেদুইনের উদ্ভট দাবিকে একবিংশ শতাব্দীর বিজ্ঞানের আলোকে যাচাই না করে আমি তাঁর দাবিকে তাঁরই সময় ও পরিবেশের আলোকে বিচার করাকেই শ্রেয় ও যথার্থ মনে করি। 

কুরানের আলোকে যে বিষয়টি অত্যন্ত স্পষ্ট, তা হলো প্রবক্তা মুহাম্মদের ঘোষণা অনুযায়ী এই অলৌকিক ঘটনাটি ঘটেছিল "রাত্রি বেলায়।" অবিশ্বাসীরা তো নয়ই, কোনো প্রত্যক্ষদর্শী মুহাম্মদ অনুসারীও সেখানে ছিলেন না। মুহাম্মদের এই অলৌকিকত্বের দাবিদার মুহাম্মদ, সাক্ষীও সেই একই ব্যক্তি মুহাম্মদ বিন আবদ-আল্লাহ! ঘটনাটি ৬২১ সালের। হিজরতের অল্প কিছু দিন আগে। প্রশ্ন হলো, যে মুহাম্মদ সুদীর্ঘ ১২ বছরে (৬১০-৬২১) কুরাইশ/অবিশ্বাসীদের বারংবার তাগাদা সত্বেও একটি প্রমাণও (মোজেজা) হাজির করতে পারেননি; যে মুহাম্মদ দিনের পরে দিন, মাসের পরে মাস, বছরের পরে বছর যাবত প্রমাণের পরিবর্তে যাদেরকে শুনিয়েছেন অপ্রাসঙ্গিক জবাব;  যে মুহাম্মদ সুদীর্ঘ এক যুগ অবধি কুরাইশ ও তাদের পূর্বপুরুষ/পূজনীয় দেবদেবীকে করেছেন উপহাস ও তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য, দিয়েছেন হুমকি, করেছেন ভীতি প্রদর্শন (বিস্তারিত পরবর্তী পর্বে); যে জনগোষ্ঠী মুহাম্মদ ইবনে আবদ-আল্লাহকে (আবদুল্লাহ) চিনে এসেছেন এক মিথ্যাবাদী, প্রতারক ও জালিয়াত হিসাবে; সেই একই জনগোষ্ঠী কোনো প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য ছাড়া রাতের অন্ধকারে চুপি চুপি মুহাম্মদের আকাশ ভ্রমণ (মেরাজ)-এর এহেন উদ্ভট ও হাস্যকর দাবিকে কী কারণে বিশ্বাস করবেন? এহেন সর্বজনবিদিত মিথ্যাবাদী-ভণ্ড-প্রতারকের দাবি তো নয়ই, কোনো চরম সত্যবাদী মানুষেরও এহেন উদ্ভট দাবিকে কি কোনো সুস্থ-বিবেকবান মুক্তচিন্তার মানুষ বিশ্বাস করতে পারেন? এহেন উদ্ভট 'কিসসা কাহিনীর' অবতারণা করে কুরাইশ/অবিশ্বাসীদেরকে তা বিশ্বাস করার আহ্বান জানানোকে  "সীমাহীন তামাসা” বলে আখ্যায়িত করা কি আদৌ অযৌক্তিক? মুহাম্মদের কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ কুরাইশরা কেন তাঁকে "উন্মাদ" রূপে আখ্যায়িত করেছিলেন, তা অতি সহজেই উপলব্ধি করা যায় এহেন উদ্ভট, অবাস্তব, বাস্তবতাবর্জিত কর্মকাণ্ডের মাধ্যমেই! 

"মেরাজ" নিয়ে মুক্তমনায় বেশ কিছু সমৃদ্ধ লেখা আছে। উৎসাহী পাঠকরা সে সমস্ত লেখা থেকে মেরাজের দাবির অসারতার অনেক প্রমাণ অনায়াসেই জানতে পারবেন। 

চন্দ্র দ্বিখণ্ডিতকরণ! 

৫৪:১ - কেয়ামত আসন্ন, চন্দ্র বিদীর্ণ হয়েছে। 

ব্যস! কুরানের এই "একটি মাত্র আয়াত।” এই একটি মাত্র বাক্যকে মনের মাধুরী মিশিয়ে ইসলামী চিন্তাবিদরা গত ১৪০০ বছর ধরে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে এমন উচ্চ স্তরে পৌঁছিয়েছেন যে, পৃথিবীতে এমন একজন মুসলমানও বোধ করি পাওয়া যাবে না (ও ছিল না), যে মুহাম্মদের এই 'অলৌকিক ঘটনার' কথা শোনেনি। কিন্তু বর্তমান বৈজ্ঞানিক জ্ঞানের মানদণ্ডে চন্দ্র দ্বিখণ্ডিতের ঘটনাটি এতই অবাস্তব যে “বুদ্ধিমান” তাফসীরকারদের অনেকেই এ ঘটনাটি আদৌ বাস্তবে কখনো ঘটেছিল বলে মনে করেন না। তারা মনে করেন কেয়ামতের আগে এ ঘটনাটি ঘটবে!

মদীনায় (৬২২-৬৩২ সাল) 

স্বচক্ষে ‘তাদেরকে’ দ্বিগুন দেখছিল! আসমান থেকে ঘোড়ার পিঠে ফেরেশতা বাহিনী প্রেরণ! 

৩:১৩ – “নিশ্চয়ই দুটো দলের মোকাবিলার মধ্যে তোমাদের জন্য নিদর্শন ছিল। একটি দল আল্লাহর রাহে যুদ্ধ করে। আর অপর দল ছিল কাফেরদের এরা স্বচক্ষে তাদেরকে দ্বিগুণ দেখছিল। আর আল্লাহ যাকে নিজের সাহায্যের মাধ্যমে শক্তি দান করেন। এরই মধ্যে শিক্ষনীয় রয়েছে দৃষ্টি সম্পন্নদের জন্য।” 

৮:৪৩-৮:৪৪ – “ আল্লাহ্ যখন তোমাকে স্বপ্নে সেসব কাফেরের পরিমাণ অল্প করে দেখালেন; বেশী করে দেখালে তোমরা কাপুরুষতা অবলম্বন করতে এবং কাজের বেলায় বিপদ সৃষ্টি করতে। কিন্তু আল্লাহ্ বাঁচিয়ে দিয়েছেন। তিনি অতি উত্তমভাবেই জানেন; যা কিছু অন্তরে রয়েছে। আর যখন তোমাদেরকে দেখালেন সে সৈন্যদল মোকাবেলার সময় তোমাদের চোখে অল্প এবং তোমাদেরকে দেখালেন তাদের চোখে বেশী, যাতে আল্লাহ্ সে কাজ করে নিতে পারেন যা ছিল নির্ধারিত। আর সব কাজই আল্লাহর নিকট গিয়ে পৌঁছায়।” 

>>> সাক্ষী কে? আবার সেই একই কিচ্ছা! দাবিদার ও সাক্ষী একই ব্যক্তি! মুহাম্মদের এহেন দাবিকে অবিশ্বাসীদের বিশ্বাস করার কোনোই হেতু নেই! 

৩:১২৪-৩:১২৫ - “আপনি যখন বলতে লাগলেন মুমিনগণকে-তোমাদের জন্য কি যথেষ্ট নয় যে, তোমাদের সাহায্যার্থে তোমাদের পালনকর্তা আসমান থেকে অবতীর্ণ তিন হাজার ফেরেশ্তা পাঠাবেন। -অবশ্য তোমরা যদি সবর কর এবং বিরত থাক আর তারা যদি তখনই তোমাদের উপর চড়াও হয়, তাহলে তোমাদের পালনকর্তা চিহ্নিত ঘোড়ার উপর পাঁচ হাজার ফেরেশতা তোমাদের সাহায্যে পাঠাতে পারেন।

৯:২৬ – “ তারপর আল্লাহ নাযিল করেন নিজের পক্ষ থেকে সান্ত্বনা, তাঁর রসূল ও মুমিনদের প্রতি এবং অবতীর্ণ করেন এমন সেনাবাহিনী যাদের তোমরা দেখতে পাওনি। আর শাস্তি প্রদান করেন কাফেরদের এবং এটি হল কাফেরদের কর্মফল।” 

>>> এক দিকে মুহাম্মদের দাবি: আল্লাহ “হও বললেই তৎক্ষণাৎ তা হয়ে যায়![‘কুন ফা ইয়া কুন’(৩৬:৮২)], অন্য দিকে তাঁর আরেক দাবী: আল্লাহ আকাশ থেকে কাফের নিধনের জন্য "খুনি ক্যাডার বাহিনী" প্রেরণ করেন! কেন? "হও" তে কি আর কাজ হয় না! এই খুনি ক্যাডার বাহিনী ছাড়া কি আজরাইল (যমদূত) কাফেরদের জান কবজ করতে বিফলকাম হয়েছিলেন? সে কারণেই কি যমদূতকে সাহায্যের জন্য একটি বা দু'টি নয়, ৩০০০-৫০০০ ফেরেশতাকে মাঠে নামাতে হয়েছিল? তামাসার শেষ সীমা! আগের মতই মদিনার এসব অলৌকিকত্বের দাবীদার স্বয়ং মুহাম্মদ। সাক্ষীও তিনি। কোনো অবিশ্বাসী ও সাধারণ জনগণ এ ঘটনাগুলোর প্রত্যক্ষদর্শী কখনোই ছিলেন না। 

মুহাম্মদের সমসাময়িক মানুষগুলো মুহাম্মদকে নবী হিসাবে গ্রহণ না করার সপক্ষে আরও যে সমস্ত যুক্তির অবতারণা করেছিলেন তা ছিল নিম্নরূপ: 

৪৫:৩২ – “- যখন বলা হত, আল্লাহর ওয়াদা সত্য এবং কেয়ামতে কোন সন্দেহ নেই, তখন তোমরা বলতে আমরা জানি না কেয়ামত কি? আমরা কেবল ধারণাই করি এবং এ বিষয়ে আমরা নিশ্চিত নই।”

>>> “আমরা কেবল ধারণাই করি, এ বিষয়ে আমরা নিশ্চিত নই”- এর চেয়ে বড় সত্য আর কি কিছু হতে পারে? 

৪৫:২৪ - “তারা বলে, আমাদের পার্থিব জীবনই তো শেষ; আমরা মরি ও বাঁচি মহাকালই আমাদেরকে ধ্বংস করে। তাদের কাছে এ ব্যাপারে কোন জ্ঞান নেই। তারা কেবল অনুমান করে কথা বলে।” 

>>> এতে কী কোনো সন্দেহ আছে? অমোঘ মহাকালকে কে অতিক্রম করতে পারে? 

৪৩:২০ - “তারা বলে, রহমান আল্লাহ ইচছা না করলে আমরা ওদের পূজা করতাম না।” 

>>> মুহাম্মদ অসংখ্যবার দাবি করেছেন যে, তাঁর আল্লাহর ইচ্ছা ছাড়া কোনো কিছুই সাধিত হয় না (পর্ব-২০)! তাঁর আল্লাহ যা ইচ্ছা তা-ই করেন! তাঁর সে দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে কুরাইশদের জবাব কি আদৌ অযৌক্তিক? 

৪৩:২২ - “বরং তারা বলে, আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদেরকে পেয়েছি এক পথের পথিক এবং আমরা তাদেরই পদাংক অনুসরণ করে পথপ্রাপ্ত।”

>>> পৃথিবীর প্রায় সকল মানুষই তার পৈতৃক ধর্মকেই অকাট্য জ্ঞান করে! কুরাইশরাও তাই করেছিলেন। 

স্বাভাবিক পরিবেশ ও পরিস্থিতিতে ধর্মান্তরিতের সংখ্যা অত্যন্ত নগণ্য। 

মুহাম্মদের মোজেজা তত্বের সংক্ষিপ্তসার: 

১) অবিশ্বাসীরা বহুবার বিভিন্নভাবে মুহাম্মদকে তাঁর নবুয়তের প্রমাণ হাজির করতে বলেছিলেন। তাঁদের প্রশ্ন ও দাবি ছিল সম্পূর্ণ যৌক্তিক। বিনা প্রমাণে কেন তাঁরা মুহাম্মদকে নবী হিসাবে মেনে নেবেন? বিশেষ করে যখন মুহাম্মদের প্রচারে তাঁরা কোনো নতুনত্বই খুঁজে পাননি ('পুরাকালের উপকথা'!)? 

২) প্রবক্তা মুহাম্মদের সমস্ত জবাবই ছিল অপ্রাসঙ্গিক বাক্য বিনিময়। মুহাম্মদ তাঁর নবুয়তের সপক্ষে শুধু যে কোনো প্রমাণই হাজির করতে পারেননি, তাইই নয়, তাঁর জবাবে ছিল তাচ্ছিল্য, হুমকি ও ভীতি প্রদর্শন। ফলস্বরূপ মক্কার সুদীর্ঘ ১২-১৩ বছরের নবী জীবনে ১২০-১৩০ জনের বেশি মানুষকে তাঁর অনুসারী করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। আর সেই অনুসারীদের প্রায় সবাই ছিলেন সমাজের নিম্নশ্রেণীর। কিছু ছিল তার পরিবার সদস্য। কিছু তার আত্মীয়-স্বজন। আবু বকর ও ওমর ছাড়া আর কোনো বিশিষ্ট কুরাইশই সে তালিকায় ছিলেন না। একমাত্র খাদিজা বিনতে খুয়ালিদ (স্ত্রী) এবং হামজা ইবনে আবদ-আল মুত্তালিব (চাচা, মুহাম্মদের সমবয়েসী) ছাড়া তাঁর পরিবারের কোনো ঘনিষ্ঠ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ তাঁকে নবী হিসাবে স্বীকার করার কোনো কারণই খুঁজে পাননি। ইসলাম গ্রহণকালে আলী ছিলেন মুহাম্মদেরই পোষ্য, নয় বছর বয়েসী অপ্রাপ্ত বয়ষ্ক বালক! 

৩) ইসলামী এমন একটি মাধ্যমও খুঁজে পাওয়া যাবে না, যেখানে অবিশ্বাসীদের জনজীবন, শিক্ষা-সংস্কৃতি, আচার-ব্যবহার ইত্যাদি বিষয়কে অত্যন্ত অশ্রদ্ধায় হেয় প্রতিপন্ন করা না হয়। বিশেষ করে মুহাম্মদের সমকালীন সমাজের লোকদের। তাচ্ছিল্যভরে তাদেরকে বলা হয় 'আইয়ামে জাহেলিয়্যাত' (অন্ধকারের যুগ)। 'আইয়্যামে জাহেলিয়্যাত' অপবাদ দিয়ে মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীরা তাঁদের যতই হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করুন না কেন, সত্য হচ্ছে কুরাইশ/অবিশ্বাসীদের প্রশ্ন, দাবি ও যুক্তিগুলো ছিল সম্পূর্ণ যৌক্তিক। তাঁরা নির্বোধ ছিলেন না। 

৪) মুহাম্মদ পূর্ববর্তী নবীদের অনুরূপ [যা সকলেই দেখতে পায় যেমন মুসার লাঠি সাপ হয়ে বিচরণ বা পাথরের থেকে বারটি প্রস্রবণ অথবা ঈসার কাদামাটি দিয়ে তৈরি পাখিকে জীবন দান ও জন্মান্ধ/কুষ্টরোগী নিরাময়! যা সকলেই শুনতে পায় যেমন মাটির বাছুরের হাম্বা-হাম্বা শব্দ! যা সকলেই খেতে পায় (মান্না-সালওয়া) - ইত্যাদি (পর্ব -২৩)] "অলৌকিকত্ব" কখনোই হাজির করতে পারেননি। 

মুহাম্মদের যাবতীয় "মোজেজার কিসসা" ইসলামের হাজারো মিথ্যাচারের একটি। সত্য হলো, কুরাইশ/অবিশ্বাসীদের বারংবার আহ্বান সত্বেও মুহাম্মদ তাঁর নবুয়তের সপক্ষে একটি প্রমাণও হাজির করতে পারেননি! Not a single one! 

[কুরানের উদ্ধৃতিগুলো সৌদি আরবের বাদশাহ ফাহাদ বিন আবদুল আজিজ (হেরেম শরীফের খাদেম) কর্তৃক বিতরণকৃত বাংলা তরজমা থেকে নেয়া; অনুবাদে ত্রুটি-বিচ্যুতির দায় অনুবাদকারীর। কুরানের ছয়জন বিশিষ্ট অনুবাদকারীর পাশাপাশি অনুবাদ এখানে।]

(চলবে)

বিপন্ন স্বজনেরা

(পূর্ণাকারে দেখতে বা ছবি দেখা না গেলে বিকল্প লিংক)

ইসলামোরফোসিস - ০৭

লিখেছেন কৌশিক

৮.
আল্লাহর রহমতে দিনের শুরুতে জিহাদী জোশ ভর করে এখন। আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করি, তিনি আমাকে মনুষ্যজাতির মধ্যে শ্রেষ্ঠ উম্মতের ঘরে পয়দা করেছেন। কারণ নবীয়ে করিমের উম্মত ছাড়া আর পৃথিবীর সব মানুষ কুকুরের চেয়েও অধম। নবীয়ে করিমের উম্মত হিশেবে আমি অভিজাত, পৃথিবীর সমস্ত মানুষের শান্তি কেবল আমিই এনে দিতে পারি। এজন্য আল্লাহর রাস্তায় কোশেষ করা আবশ্যক। আমাদের মাদ্রাসার জিহাদী হুজুর বলেন, ধর্মযুদ্ধে কাফেরের গলা কাটা তরবারি কাল কেয়ামতের ময়দানে ফকর করবে। হুজুরে পাকের উম্মত ছাড়া সমস্ত মানুষ পশুর জীবন যাপন করে। এদের হেদায়েতের জন্য আল্লাহ জিহাদ করার জন্য বলেছেন। 

সবচেয়ে বড় জেহাদ হচ্ছে নফসের সাথে। জেহাদে আকবর। নিজের নফসের বিরুদ্ধাচারণ করতে হবে। নফস তো সবসময় চাইবেই জেনা করতে, মদ খেতে। কিন্তু এগুলা না করা মানে হচ্ছে জেহাদ। এই জেহাদে কাবেল হবার পরে অস্ত্র ধরতে হবে। সমস্ত বিশ্বের মানুষ তো আসলে অজ্ঞ। তাদেরকে বোঝাতে হবে - যতক্ষণ পর্যন্ত তারা না বোঝে। মানে তাদের অন্য কোন মত থাকলে চলবে না। কারণ সেটা তো ধ্বংষের। সেজন্য যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা বোঝে ততক্ষণ পর্যন্ত এই অভিযান চলবে। না বুঝে যাবে কোথায়! একদিন তারা ঠিকই বুঝবে, ইসলাম কত শান্তি নিয়ে এসেছে তাদের জন্য - হায়, আর তারা এই শান্তি থেকে এতদিন দূরে ছিল! 

আমি সারাদিন কত অন্যায় দেখি। কিন্তু এরা তো আমার দ্বীনি ভাই। এদের সাথে জেহাদ করা যাবে না। জেহাদ করতে হবে বেদ্বীনের সাথে। আমি সেজন্য কোনো অমুসলমানের খারাপ কাজ খুঁজতে থাকি। কিন্তু তাদের দেখলে তো বোঝা যায় না। কেবর হিন্দু নারীদের সিঁদুর দেখলে বোঝা যায় তারা কাফের। আমি সেজন্য এমন এক নারীর কোনো অন্যায় কাজ দেখলেই এরপরে প্রতিবাদ করবো। প্রয়োজন শক্তি প্রয়োগ করবো। না হলে মনে মনে ঘৃণা করবো। 

আল্লাহ আমাদের জিহাদ করার তৌফিক দান করুন। সমস্ত কাফেরদের বুঝিয়ে শুনিয়ে হেদায়েত দেবার ব্যবস্থা করে দিক, নইলে সবার গর্দানে আমার তরবারি মোবারক প্রয়োগ করার তৌফিক দান করুন।

ইছলামী সৈনিকের বাংলা বর্ণমালা

লিখেছেন হিমালয় গাঙ্গুলী

ক - কামের জ্বরে ভোগা ছহিহ
খ - খেজুর গাছে ধরে ওহী
গ - গাঁজাখুরি লিমিট ছাড়া
ঘ - ঘোমটা খোলো মেশিন খাড়া
ঙ - বাঙলা ভাইয়ের লম্বা দাড়ি, আসুন সবাই সাঁটাই তাড়ি।


চ - চান্সে পুটু মারাবি?
ছ - ছাগু সম্রাট ফারাবি?
জ - জেনা কর ছহিহ মতে
ঝ - ঝামেলা নেই গনিমতে
ঞ - মিঞা বাড়ির আইন, ধর্ষিতারে চড়াও শুলে, একশ দোররা ফাইন।


ট - টাকনুর উপর প্যান্ট উঠায়
ঠ - ঠেকাও মেশিন সব ফু্টায়
ড - ডিম থেরাপির শক্ত ডিম
ঢ - ঢাকনা দেওয়া চৌদি টিম।
ণ - (এই অক্ষর দিয়ে অর্থবহ কিছু হল না। এটি একটি মালাউন অক্ষর, সংস্কৃততে এই অক্ষরের ব্যবহার বেশি।)



(চলবে)

রবিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

লিংকিন পার্ক - ৬৮

১.
সরকারী অর্থে পরিচালিত 'সামাজিক জীবনে ধর্মের ভূমিকা' নামক গবেষণায় দেখা গেছে, ধর্মবিশ্বাসীরা একই ধর্মানুসারীদের প্রতি সাহায্যপরায়ণ বা নিঃস্বার্থ হয়তো হতে পারে, তবে ধর্ম সামগ্রিকভাবে সমস্ত মানুষের প্রতি সদয় ও সহানুভূতিশীল হতে সহায়তা করে না। আরেকটি গবেষণার ফলাফল: নাস্তিক ও অজ্ঞেয়বাদীদের চেয়ে ধার্মিকেরা কম সহানুভূতিশীল। 

২.
গর্ভধারণের সম্ভাবনা আছে বলে ধর্ষণের শিকার এক মেয়েকে ক্যাথলিকদের পরিচালিত দু'টি হাসপাতাল সাহায্য  করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

৩. 
এই ধরনের খবর পড়লে মনটা ভালো হয় যায়। ধর্মের গোঁড়ামি ত্যাগ করে ইসরায়েলে এক মুসলিম আর এক ইহুদির 'সুমিষ্ট ও সুস্বাদু' যৌথ ব্যবসাপ্রকল্প সফলভাবে সমৃদ্ধি লাভ করে চলেছে। আইসক্রিম পার্লার খুলেছে তারা।

৪. 
ডানপন্থী খ্রিষ্টান সংগঠনের সমকামবিরোধী মহিলা আইনজীবী শিশু পর্নোগ্রাফির অভিযোগে ধরা পড়েছে। এমনকি সে তার নিজের চোদ্দ বছর বয়সী কন্যার সঙ্গে দুই পুরুষের যৌনসঙ্গমের দৃশ্যের ভিডিও করেছে একাধিকবার। এবং মোবাইলের ভিডিওতে ধারণ করেছে নিজের কন্যার সঙ্গে যৌনসম্পর্ক স্থাপনের দৃশ্য। 

৫.
ধর্মমনাদের বড়ো একটি অংশ নিজেদের ঈমানদণ্ড নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ এবং তারা মনে করে, ধর্ষণের পেছনে সব সময়ই মেয়েদের উস্কানি, ইঙ্গিত বা পরোক্ষ আমন্ত্রণ থাকে। যেভাবেই হোক, ধর্ষণের দায়ভার তারা মেয়েদের ওপরে চাপিয়ে দিতে ব্যগ্র। মেয়েদের পোশাক, আচরণ ইত্যাদি কারণে ধর্ষণ ঘটে বলে যারা দাবি করে, তাদের উদ্দেশে বাংলায় লেখা একটি বিধ্বংসী পোস্ট। 

৬. 
(লিংক: সুনন্দ পাত্র)

৭.
ধর্মযাজকদের দ্বারা ধর্ষিত শিশুদের পক্ষ চার্চ কখনওই নেয় না। বরং চার্চের সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখতে যে কোনও অপকর্ম সাধনে দ্বিধা করে না ধর্মবাজেরা। এই ঘটনাগুলো সযত্নে গোপন রাখা হয়, ধর্ষকদের সার্বিক নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করা হয়। লস এঞ্জেলেসের চার্চও সেটার ব্যতিক্রম নয়। 

৮.
আমেরিকার অ্যারিজোনায় রিপাবলিকান দলের ধর্মপীড়িত মস্তিষ্কজাত প্রস্তাবটি বাস্তবায়িত হলে সেখানে নাস্তিকদের উচ্চশিক্ষা লাভের পথ রুদ্ধ হয়ে যাবে। 

৯.
ক্যাথলিক চার্চ গর্ভপাতের বিরোধী, কারণ তারা মনে করে প্রতিটি বীর্যকণাই পবিত্র। তবে ঠ্যালায় পড়লে তারা সাত মাসের ভ্রূণকেও জীবন বলে মানতে রাজি হয় না। সংবাদের বিশদ বিশ্লেষণ।
(লিংক: Turna Ember Bornofhatred Exitium)

১০.
পঙ্গু মহিলাকে ধর্ষণ করে জেল খাটা ধর্মযাজক আবার ফিরে গিছে চার্চে। তার আগের দায়িত্বে। 

১১.
শ্রদ্ধাভাজন এক ইহুদি ধর্মবাজের ১০৩ বছরের জেল হয়েছে। কারণটা বৈচিত্র্যহীন - ধর্মবাজদের চিরাচরিত শিশুকামিতা। 

১২.
ভ্যাটিকান শিশুকামীদের সবচেয়ে বড়ো সংগঠনই শুধু নয়, বিপুল সম্পত্তির অধিকারী একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানও। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের খলনায়ক মুসোলিনির লক্ষ-কোটি ডলার ব্যবহার করে বিশাল প্রতিপত্তির মালিক হয়েছে ভ্যাটিকান। আবারও নিশ্চিত হোন, ধর্মব্যবসার চেয়ে লাভজনক ও ঝুঁকিহীন কোনও ব্যবসা নেই।

১৩.
ঊনিশ বছর বয়সী এক তরুণ আমেরিকার লুজিয়ানার সৃষ্টিতত্ত্ববাদীদের জীবন নরকে পরিণত করে দিচ্ছেন। 

১৪.

ইসলামে বর্বরতা: নারী-অধ্যায় - ২১

লিখেছেন আবুল কাশেম

পর্ব ১ > পর্ব ২ > পর্ব ৩ > পর্ব ৪ > পর্ব ৫ > পর্ব ৬ > পর্ব ৭ > পর্ব ৮ > পর্ব ৯ > পর্ব ১০ > পর্ব ১১ > পর্ব ১২ > পর্ব ১৩ > পর্ব ১৪ > পর্ব ১৫ > পর্ব ১৬ > পর্ব ১৭ > পর্ব ১৮ > পর্ব ১৯ > পর্ব ২০

ক্রীতদাসীদের সাথে সহবাস

এই বিষয়টাও আলোচনা করা দরকার। এর আগে আমরা দেখেছি, মুসলিমরা কেমন স্বাচ্ছন্দ্যে যুদ্ধে লব্ধ বন্দিনীদের সাথে যৌনসম্পর্ক স্থাপন করতে পারে। এই ‘হালাল’ পদ্ধতিতে মুসলিমদের অগাধ যৌনক্ষুধার নিবৃত্তি না হলে তার ব্যবস্থাও ইসলামে আছে। দাসপ্রথা ইসলামে সর্বদাই আছে এবং থাকবে। আপনি গুগল ঘেঁটে দেখবেন যে, অনেক বিশাল বিশাল ইসলামী আলেমরা পরিষ্কার বলে দিয়েছেন যে, আজও ইসলামে দাস-দাসীর বেচাকেনা চলতে পারে। এইভাবে কোনো ক্রীতদাসী কিনে তার সাথে সহবাস করা একেবারে ‘হালাল’।

আসুন, এবার আমরা ইসলামী বই ঘেঁটে কিছু মজার ব্যাপার জেনে নেই।
মালিকের মুয়াত্তা হাদিস ২.২৩.৯০:
ইয়াহিয়া—মালিক—নাফি থেকে। ইয়াহিয়া বললেন যে আবদুল্লাহ ইবনে উমরের ক্রীতদাসীরা তাঁর পা ধৌত করতো এবং তাঁর কাছে খেজুর পাতার তৈরি এক মাদুর নিয়ে আসত। সে সময় তারা ঋতুমতী ছিল।
মালিককে জিজ্ঞাসা করা হল কোন এক ব্যক্তি গোসল করার আগেই কি তার সব ক্রীতদাসীদের সাথে যুগপৎ সহবাস করতে পারবে? তিনি (অর্থাৎ মালিক) উত্তর দিলেন যে গোসল ছাড়াই পরপর দুইজন ক্রীতদাসীর সাথে সহবাসে কোন অসুবিধা নাই। কিন্তু যখন কোন স্বাধীন স্ত্রীর সাথে সহবাসের দিন থাকবে সেদিন অন্য আর এক স্বাধীন স্ত্রীর সাথে যৌন সঙ্গম করা যাবে না। কিন্তু এক ক্রীতদাসীর সাথে যৌন সঙ্গমের পর সাথে সাথে অন্য ক্রীতদাসীর সাথে সহবাস করা আপত্তিকর নয়—যদিও তখন লোকটি জুনুব (সহবাসের পর তার কাপড়ে অথবা দেহে বীর্য ও অন্যান্য কিছু লেগে থাকা)।
এরপর মালিককে জিজ্ঞাসা করা হল। এক ব্যক্তি সঙ্গম করল এবং জুনুব হয়ে গেল। তার কাছে পানি আনা হল গোসলের জন্য। সে ভুলে গেল গোসল করতে। পানি উত্তপ্ত না শীতল তা জনার জন্যে সে তার আঙ্গুল ডুবিয়ে দিল পানির মাঝে।” মালিক উত্তর দিলেন: “তার আঙ্গুলে যদি কোন ময়লা না থাকে তবে আমার মনে হয় না ঐ পানিকে দুষিত বলা যাবে।”
নিচের হাদিসে আমরা জানব যে, খলীফা উমর দ্বারা নিষিদ্ধ করার আগে কী জঘন্য কায়দায় এক ক্রীতদাসী ও তার কন্যার সাথে যুগপৎ সহবাস করা হত। ঐ ধরনের সহবাস করা যায় দুই ক্রীতদাসীর সাথে, যারা সহোদরা ভগ্নী।
মালিকের মুয়াত্তা হাদিস ২৮.১৪.৩৩:
ইয়াহিয়া—মালিক—ইবনে শিহাব—ওবায়দুল্লাহ ইবনে আবদুল্লাহ—ইবনে উতবা ইবনে মাসুদ—তাঁর পিতা থেকে। ইয়াহিয়া বর্ণনা করলেন: উমর আল খাত্তাবকে জিজ্ঞাসা করা হল: এক ব্যক্তির কাছে এক ক্রীতদাসী ও ক্রীতদাসীর কন্যা আছে। এখন ঐ ব্যক্তি কি পারবে ক্রীতদাসী ও তার তার কন্যার সাথে পরপর সহবাস করতে? উমর বললেন: “আমি এ রকম করা পছন্দ করি না।” এর পরে উমর এই প্রথা নিষিদ্ধ করে দিলেন।
মালিকের মুয়াত্তা হাদিস ২৮.১৪.৩৪:
ইয়াহিয়া—মালিক—ইবনে শিহাব—কাবিসা ইবনে দুবায়েব থেকে।
ইয়াহিয়া বর্ণনা করলেন:
এক ব্যক্তি উসমানকে জিজ্ঞাসা করল: এক ব্যক্তির কাছে দুই সহোদরা বোন আছে ক্রীতদাসী হিসাবে। ঐ ব্যক্তি কি এই দুই ভগিনীদের সাথে যুগপৎ সহবাস করতে পারবে? উসমান উত্তর দিলেন: “এক আয়াতে বলা হয়েছে এই প্রথা হালাল; অন্য আয়াতে বলা হয়েছে হারাম। আমি ব্যক্তিগতভাবে এই ভাবে সহবাসের পক্ষপাতী নই।” ব্যক্তিটি উসমান থেকে বিদায় নিলো। তার পর সে রসুলুল্লাহর এক সাহাবির সাথে দেখা করল এবং ঐ একই প্রশ্ন রাখল। সাহাবি উত্তর দিলেন: “ আমার জানা মতে কেউ যদি এমন সহবাস করে তবে তাকে আমি দৃষ্টান্তমূলক সাজা দিব।”
ইবনে শিহাব বললেন: “আমার মনে হয় উনি (সাহাবি) ছিলেন আলী ইবনে আবু তালিব।”
মালিকের মুয়াত্তা হাদিস ২৮.১৫.৩৮:
ইয়াহিয়া—মালিক—ইবরাহিম ইবনে আবি আবলা—আবদ আল মালিক ইবনে মারোয়ান থেকে।
ইয়াহিয়া বর্ণনা করলেন:
ইবনে মারোয়ান তাঁর এক বন্ধুকে এক ক্রীতদাসী দিলেন। পরে ইবনে মারোয়ান বন্ধুকে ক্রীতদাসী সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করলেন। বন্ধু উত্তর দিলেন: আমি চাচ্ছিলাম ক্রীত দাসীকে আমার ছেলের হাতে দিবো যাতে ছেলেটি তার সাথে যেমন খুশী তাই করতে পারে।” আবদ আল মালিক বললেন: “মারোয়ান আপনার চাইতে অনেক বিবেকবান ছিলেন। তিনি তাঁর এক ক্রীতদাসী তাঁর ছেলেকে দিলেন এবং বললেন: “তুমি এই দাসীর ধারে কাছে যাবে না, কেননা আমি তার উন্মুক্ত পা দেখেছি।”
মালিকের মুয়াত্তা হাদিস ২৯.১৭.৫১:
ইয়াহিয়া—মালিক—নাফি থেকে।
আবদুল্লাহ ইবনে উমর বললেন:
কোন ব্যক্তি যদি তার ক্রীতদাসকে বিবাহ করার অনুমতি দেয়, তবে তালাকের ভার থাকে ক্রীতদাসের হাতে। এ ব্যাপারে কারো কোন কিছু বলার অধিকার থাকবে না। এক ব্যক্তি যদি তার ক্রীতদাসের কন্যা অথবা তার ক্রীতদাসীর কন্যা নিয়ে নেয় তবে সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে কিছু বলা যাবে না।
মালিকের মুয়াত্তা হাদিস ২৯.৩২.৯৯:
ইয়াহিয়া—মালিক—দামরা ইবনে সাইদ আল মাজনি—আল হাজ্জাজ ইবনে আমর ইবনে গাজিয়া থেকে:
উনি (অর্থাৎ আল হাজ্জাজ) জায়েদ ইবনে সাবিতের সাথে বসে ছিলেন। এই সময় ইয়ামান থেকে ইবনে ফাহদ আসলেন। ইবনে ফাহদ বললেন: “আবু সাইদ! আমার কাছে ক্রীতদাসী আছে। আমার কোন স্ত্রীই এই ক্রীতদাসীদের মত উপভোগ্য নয়। আমার স্ত্রীর কেউই এমন তৃপ্তিদায়ক নয় যে আমি তাদের সাথে সন্তান উৎপাদন করতে চাই। তা হলে কি আমি আমার স্ত্রীদের সাথে আজল করতে পারি?” জায়েদ ইবনে সাবিত উত্তর দিলেন: “হে হাজ্জাজ, আপনি আপনার অভিমত জানান।” আমি (অর্থাৎ হাজ্জাজ) বললাম: “আল্লাহ্‌ আপনাকে ক্ষমা করুন। আমরা আপনার সাথে বসি আপনার কাছে কিছু শিক্ষার জন্যে।” তিনি (অর্থাৎ জায়েদ) বললেন: “আপনার মতামত জানান।” আমি বললাম: “ঐ ক্রীতদাসী হচ্ছে তোমার ময়দান। তুমি চাইলে সেখানে পানি ঢাল অথবা তৃষ্ণার্ত রাখ। আমি এইই শুনেছি জায়েদের কাছ থেকে।” জায়েদ বললেন; “উনি সত্যি বলেছেন।”
(চলবে)

হা-হা-হাদিস – ৮০

হে ঈমান্দার বান্দাসকল, তোমাদের জন্য অজস্র রসময় কথা গুপ্ত রহিয়াছে হাদিস শরিফে।
- সহীহ আল-ধর্মকারী
ইছলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান বিধায় যৌনাঙ্গও তার এখতিয়ারভুক্ত। ফলে মুছলিমদের শয্যায় ও বাথরুমেও ইছলাম অনিবার্যভাবে উপস্থিত। যেমন, ইছলামী আইন অনুসারে - দণ্ডায়মান অবস্থায় এস্তেনজা এস্তেমাল করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ, সে কথা সকলেই জানে। কিন্তু ইছলামের নবী কি এই প্রথা মেনে চলতো? না, দুটো হাদিস থেকে স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে, নবীজি খাড়ায়া খাড়ায়াও মুততো। 

Narated By Hudhaifa:
I saw Allah's Apostle coming (or the Prophet came) to the dumps of some people and urinated there while standing.
Narated By Abu Wail:
Abu Musa Al-Ash'ari used to lay great stress on the question of urination and he used to say, "If anyone from Bani Israel happened to soil his clothes with urine, he used to cut that portion away." Hearing that, Hudhaifa said to Abu Wail, "I wish he (Abu Musa) didn't (lay great stress on that matter)." Hudhaifa added, "Allah's Apostle went to the dumps of some people and urinated while standing."

নবীজির পরে বানরের মেরাজ

নবীজি যেমন মেরাজে গিয়ে নিরাপদে ও সশরীরে পৃথিবীতে প্রত্যাবর্তন করেছিল, ঠিক সেই ধাঁচেই যেন ইছলামী বিগ্যানীরা এক বানরকে মহাশূন্যে পাঠায় এবং আবার তাকে ফেরতও নিয়ে আসে। কিন্তু এই ছহীহ ইছলামী সাফল্য প্রকৃতপক্ষে নবীজির মেরাজ-এর মতোই অলৌকিক ভাওতাবাজি ছাড়া আর কিছুই নয়। বিশদ পড়ুন। 

এ বিষয়ে আল্লামা শয়তান-এর সৌজন্যে পাওয়া একটি স্লাইড শোর ভূমিকায় লেখা হয়েছে: "ইরানের নিজস্ব বিবৃতি অনুযায়ী, সেদেশ একটি বানরকে যাত্রী করে মহাশূন্যে রকেট পাঠিয়েছে এবং সেটিকে আবার নিরাপদে পৃথিবীতে ফেরত নিয়ে এসেছে। কিন্তু ব্যাপারটায় একটা গোলমাল আছে।"

কী গোলমাল, দেখে নিন।

শনিবার, ২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

আল-কুরান পড়ুন, নিজে হাসুন, অন্যদেরও হাসান - ০৭

লিখেছেন সাদিয়া সুমি
আল কোরআন ২২:১৮
তুমি কি দেখনি যে, আল্লাহকে সিজদা করে যা কিছু আছে আসমানে, যা কিছু আছে জমিনে, সূর্য, চন্দ্র, নক্ষত্র, পর্বতমালা, বৃক্ষলতা, জীবজন্তু এবং মানুষের মধ্যে অনেকে...
বুঝলাম, ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়াও আল্লাহকে সিজদা করে। তবে কেউ দেখেছেন কি?
এমন মজার চুটকি আল-কুরান ছাড়া আর কৈ পাইবেন? 
আল-কুরান পড়ুন, নিজে হাসুন, অন্যদেরও হাসান।

আল কোরআন ৪:৫৬
যারা আমার আয়াতকে প্রত্যাখ্যান করেছে, অবশ্যই আমি তাদের আগুনে জ্বালাব, যখন তাদের চামড়া জ্বলে-পুড়ে যাবে, তখন আমি তা পাল্টে দেব অন্য চামড়া দিয়ে যাতে তারা শাস্তি আস্বাদন করে।
বর্বর আল্লাপাকের নিষ্ঠুর শাস্তির নমুনা দেখুন। 
সৃষ্টিকর্তার এমন নৃশংস হুমকি আল-কুরান ছাড়া আর কৈ পাইবেন? 
আল-কুরান পড়ুন, নিজ হাসুন, অন্যদেরও হাসান।

আল কোরআন ১৮:৩১
জান্নাত, যার পাদদেশে প্রবাহিত হয় নহরসমূহ, তাদেরকে সেখানে পরানো হবে স্বর্ণের কঙ্কন এবং মিহি ও পুরু রেশমের সবুজ পোষাক ও তারা সেথায় হেলান দিয়ে সুসজ্জিত পালঙ্কের উপর উপবিষ্ট থাকবে।
আল্লাপাক মানুষকে বেহেশতের জলসাঘররূপী লোভনীয় বর্ণনা দিচ্ছেন। আমার প্রশ্ন হচ্ছে: বেহেশতে এসি, টিভি, ওভেন, ফ্রীজ, ল্যাপটপ এবং ফেসবুক - এগুলো কি থাকবে না? আল-কুরানে এসবের কথা নেই কেন? নাকি আল্লাপাক ওগুলোর নামই শোনেননি জীবনে?
এমন মজার চুটকি আল-কুরান ছাড়া আর কৈ পাইবেন? 
আল-কুরান পড়ুন, নিজে হাসুন, অন্যদেরও হাসান।

আল কোরআন ১৯:৮৬
আমি পাপীদেরকে তৃষ্ণার্ত অবস্থায় জাহান্নামের দিকে তাড়িয়ে নিয়ে যাব।
আল্লা আসলেই খুব রসিক লোক। তিনি নিজেই পাপীদেরকে জাহান্নামে তাড়িয়ে নিয়ে যাবেন!
এমন মজার চুটকি আল-কুরান ছাড়া আর কৈ পাইবেন? 
আল-কুরান পড়ুন, নিজে হাসুন, অন্যদেরকেও হাসান।

আল কোরআন ১৭:৮৬
যদি আমি ইচ্ছে করতাম তবে যে ওহী আমি আপনার প্রতি নাযিল করেছি তা অবশ্যই ছিনিয়ে নিতে পারতাম, তখন আমাকে মোকাবিলা করার জন্য আপনি কোন সাহায্যকারীও পেতেন না।
এইবার বুঝুন আল্লা কত হীনমন্যতায় ভোগেন! এই ফানি কথাগুলো তার না বললে কি চলত না?
এমন মজার চুটকি আল-কুরান ছাড়া আর কৈ পাইবেন? 
আল-কুরান পড়ুন, নিজে হাসুন, অন্যদেরও হাসান।

ইয়োরোপে ইছলামপ্রেম

ভিনদেশীরা ইছলাম ও প্রবাসী বা অভিবাসী মুছলিমদের কতোটা পছন্দ করে? 

১. 
শতকরা চুয়াত্তরজন ফরাসী মনে করে, ইছলাম একটি অসহিষ্ণু ধর্ম এবং তা তাদের সমাজের জন্য সঙ্গতিপূর্ণ নয়। শতকরা আশিজন মনে করে, ইছলাম তার দৃষ্টিভঙ্গি অন্যদের ওপরে চাপিয়ে দিতে চায়। সব মুছলিম মৌলবাদী নয়, তবে মৌলবাদীর সংখ্যা তাদের ভেতরে প্রচুর - এমন মনে করে শতকরা চুয়াল্লিশজন। 

২.
জার্মান সমাজের জন্য ইছলাম সঙ্গতিপূর্ণ বলে মনে করে মাত্র ঊনিশ শতাংশ জার্মান। শতকরা ছেচল্লিশজন মনে করে, জার্মানিতে বড্ডো বেশি মুছলিম। আর শতকরা তিরিশজন সন্ত্রাসবাদী জাতীয় আক্রমণের সম্ভাবনায় উদ্বিগ্ন। 

৩.
ব্রিটিশ জীবনযাত্রার সঙ্গে মুছলিমরা সঙ্গতিপূর্ণ - এ কথা মনে করে শতকরা চব্বিশ শতাংশ ব্রিটিশ। আর প্রায় অর্ধেক ব্রিটিশ মনে করে, মুছলিমরা ব্রিটিশ সমাজে বসবাসের উপযুক্ত নয়। সাতাত্তর শতাংশের মত, পশ্চিমা সভ্যতার জন্য ইছলাম হুমকি। 

ছাগুর নানাবিধ খাদ্য

নেট থেকে পাওয়া এই ছবি দেখে মনে হলো, ছবিটাকে কেউ পচাবে না, তা হতেই পারে না। গুগল ইমেজ সার্চ করে পাওয়া গেল একটা কোলাজ-পোস্টার। পোস্টারটিতে ব্যবহৃত কথা অনুবাদ না করে পাল্টে দেয়া হয়েছে। পোস্টারটা কিন্তু ইয়ে-টাইপ। অতএব ইমোটা খিয়াল কইরা  

(ছবি দেখা না গেলে বিকল্প লিংক)
(ছবি দেখা না গেলে বিকল্প লিংক)