শনিবার, ৮ মার্চ, ২০১৪

বৌদ্ধশাস্ত্রে পুরুষতন্ত্র: নারীরা হল উন্মুক্ত মলের মতো দুর্গন্ধযুক্ত - ০৪

লিখেছেন নিলয় নীল


বৌদ্ধ শাস্ত্রের ৫৩৬ নম্বর জাতকে কুণাল আরও বলেন: 
  • গরুরা নতুন ঘাসের আশায় নিজের গোয়াল থেকে বের হবার জন্য ছোটে, নারীও তেমনি নতুন নাগর লাভের আশায় ছোটাছুটি করে। 
  • নৌকা যেমন এপারে-ওপারে, এখানে-সেখানে যথা প্রয়োজনে লাগে, নারীও তদ্রূপ প্রিয়-অপ্রিয় বিবেচনা না করেই সর্বপুরুষেই গমন করে। 
  • কোন বুদ্ধিমান কখনো নারীর চরিত্রে বিশ্বাস স্থাপন করে না। যারা করে তারা নির্বোধ। 
  • যতই নারীকে ধনে পরিপূর্ণ করা হোক না কেন, সুযোগ পেলেই অসতীরা পুরুষের সম্মান নষ্ট করে। 
  • নারীদের এতোই জঘন্য স্বভাব যে, এখানে-সেখানে তারা যদিচ্ছা ঘুরাফেরা করে। 
  • নারীদের চোখের পানিতে গলে যাওয়া ঠিক না, কারণ নারীদের সত্য-মিথ্যা সমান। 
  • নারীরা সব সময় প্রেমালাপে পুরুষদের বশ করে, যদিও মনের মধ্যে তাদের থাকে খারাপ অভিলাষ। 
  • তীর্থে যেমন সকলেই ভ্রমন করতে পারে, নারীও তেমন তীর্থসম। 
  • টাকাহীন কুলীন ব্রাহ্মণ নারীর কাছে চণ্ডালের মতো। তাইতো ধনবান চণ্ডালকে নারী আজীবন পূজিতে পারে শুধু ধনের আশায়। 
আসুন এই বিষয়ে আমরা কুণালের নীতিবাক্যর গাথাগুলো দেখি: 
"মনের মতো রমণী লভিয়া
ধনপূর্ণা ধরা কর তারে দান,
তথাপি অসতি পেলে অবসর
কভু না রাখিবে তোমার সম্মান।
নারীদের এমন জঘন্য স্বভাব
সদা সর্বস্থানে করি বিলোকন,
করে কি কখনো বুদ্ধিমান জন
চরিত্রে তাহাদের বিশ্বাস স্থাপন?
ভালোবাসে মোরে ভাবি ইহা মনে
করো না বিশ্বাস কভু নারীগণে,
অশ্রু বিসর্জন দেখিয়া তাহার
ভিজে নাকো যেন মন কখনো তোমার।
এ পারে, ও পারে নদীর যেমন
লাগে গিয়া নৌকা যথা প্রয়োজন,
প্রিয় বা অপ্রিয় বিচার না করি
সেবে পরপুরুষেরে সর্বজন নারী।
অতীব দুঃশীলা, অতি অসংযতা
রতিদানে মুড়ে তুষিতে নিরতা,
প্রামালাপ করে বসি তব পাশ
মনে কিন্তু সদা পাপের অভিলাষ।
তীর্থসম সর্বভোগ্যা নারীগণ
নারীরে বিশ্বাস করো না কখন,
নাই তাদের সত্য মিথ্যা জ্ঞান
সত্য তাদের মিথ্যার সমান।
গবীসম নব তৃণের আশায়
গোচর বাহিরে ছুটি যথা যায়,
নবীন নাগর লোভিতে তেমনি
ছোটাছুটি করে সকল রমণী।
নির্ধন কুলীনে নারী করে হেয় জ্ঞান
সে জন নারীর চক্ষে চণ্ডাল সমান,
অথচ চণ্ডাল যদি হয় ধনেশ্বর
ধনহেতু ভজে তারে নারী নিরন্তর।"
(কুনাল জাতক - ৫৩৬)
(চলবে)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন