মঙ্গলবার, ২০ মে, ২০১৪

সিংহ ও হায়েনার গল্প

লিখেছেন দাঁড়িপাল্লা

১. হায়েনারা কীভাবে সিংহের গ্রাস কাড়িয়া লয়--ডিসকভারি চ্যানেলে অনেকেই দেখিয়া থাকিবেন। তবুও একটু মনে করাইয়া দেই: সিংহীরা শিকার ধরিয়া লইয়া আসিলে সিংহরাজ যখন তাহার পরিবার লইয়া ধীরে-সুস্থে ভোজনপর্ব সমাধা করিতে বসিয়া পড়ে, ঠিক তখনই একপাল হায়েনারা সেথায় আসিয়া উপস্থিত হয়। কিয়ৎকাল পরে সিংহরাজ ভোজনপর্ব অসমাপ্ত রাখিয়া তাহার পরিবার লইয়া অন্যত্র সরিয়া যায়। অতঃপর হায়েনার পাল সেই অবশিষ্ট খাবার নিজেদের মধ্যে কাড়াকাড়ি করিয়া খাইয়া লয়। 

২. নিউইয়র্কের জ্যামাইকার হিলসাইড, ব্রঙ্কসের পার্কচেষ্টার এবং ব্রুকলীনের চার্চ-ম্যাকডোনাল্ড এলাকা -তিনটিই অনেক কাল হইতে আফ্রিকান-আমেরিকানদের অন্যতম প্রধান বাসস্থান। ইদানীং শুনিতে পাই, এই তিনটি এলাকাই নাকি বাংলাদেশী মুসলমান দ্বারা ভরিয়া গিয়াছে এবং সেখান হইতে আফ্রিকান-আমেরিকানরা অন্যত্র সরিয়া গিয়াছে। 

৩. প্রায় প্রতিটা ইসলামিক বা মুসলমান-প্রধান দেশ হইতে ধাওয়া খাইয়া বিধর্মীদের অন্য দেশে পালাইতে দেখিতে পাওয়া যায়। সেই কোনো এক কালে আল্যার প্রেরিত মহানবীর মক্কা হইতে মদীনায় হিজরত করার পর থেকে আর কোথাও বিধর্মীদের দেশ হইতে ধাওয়া খাইয়া মুসলমানদেরকে তাদের আদিভূমি আরবে হিজরত করিতে দেখা যায় না। তবুও মুসলমানরা গণিমতের মাল দ্বারা ভোজনপর্ব সমাধা করিতে করিতে আহ্লাদে আহ্লাদিত হইয়া বলিয়া থাকেন, উহারা নাকি সারা বিশ্বে নির্যাতিত হইতেছেন। 

৪. ওহ, এক নাম্বার পয়েন্টটায় বলা হয় নাই, সিংহ কেন তাহার পরিবার লইয়া অন্যত্র সরিয়া যায়। ওইসব টিভি চ্যানেলের মতে, হায়েনাদের গায়ে এতটাই দুর্গন্ধ যে, সিংহ পর্যন্ত নিরাপদ দূরত্বে সরিয়া যাইতে বাধ্য হয়। অবশ্য মাঝে মাঝে সিংহকে হায়েনাদের উদ্দেশ্যে দু-একটা থাবা বসাইয়া দিতেও দেখা যায়। তখন টিভির সামনে বসা হায়েনাবাদী থুক্কু মানবতাবাদীদেরকে 'মানবতা গেল গেল' বলিয়া চিৎকার করিয়া উঠিতে দেখা যায়। 

৫. আল্যাহ নির্যাতিত হায়েনাদের সহান হউক। আমিন!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন