সোমবার, ৩০ অক্টোবর, ২০১৭

আল-কাদিদে আল-মুলায়িহ গোত্রে ডাকাতি! পর্ব-১৭৫: ত্রাস, হত্যা ও হামলার আদেশ –একশত উনপঞ্চাশ

লিখেছেন গোলাপ


(আগের পর্বগুলোর সূচী এখানে) (ইন্টারন্যাল লিংকে যাতায়াতে কিছুটা সমস্যা হতে পারে: সমাধানের চেষ্টা চলছে; আপাতত প্রক্সি ব্যবহারে লিংকে গমন সহজ হবে)
 
"যে মুহাম্মদ (সাঃ) কে জানে সে ইসলাম জানে, যে তাঁকে জানে না সে ইসলাম জানে না।" 

মদিনায় স্বেচ্ছা নির্বাসনের পর স্বঘোষিত আখেরি নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) হিজরি ৭ সালের জিলকদ মাসে তাঁর প্রথম ও শেষ সফল 'ওমরাহ' পালন কীভাবে সম্পন্ন করেছিলেন; এই ওমরা পালন কালে তিনি কোন মহিলাটি-কে বিবাহ করেছিলেন; ওমরাহ' পালন শেষে মদিনায় প্রত্যাবর্তন কালে তিনি হুদাইবিয়া সন্ধি চুক্তির কোন শর্ত ভঙ্গ করেছিলেন; জিলহজ মাসে মদিনায় প্রত্যাবর্তনের পর ঐ মাসেই তিনি কোন গোত্রের বিরুদ্ধে তার আগ্রাসী হামলার আদেশ জারী করেছিলেন - ইত্যাদি বিষয়ের আলোচনা আগের পর্বে করা হয়েছে। অতঃপর হিজরি ৮ সাল। আল-ওয়াকিদি <ইয়াহিয়া বিন আবদুল্লাহ বিন আবি কাতাদা (মুহাম্মদের অনুসারী আবু কাতাদার নাতি) < আবদুল্লাহ বিন আবি বকরের বর্ণনার উদ্ধৃতি দিয়ে আল-তাবারী বর্ণনা করেছেন যে, এই বছরটি-তে মুহাম্মদের কন্যা যয়নাব মৃত্যু বরণ করেন।

শনিবার, ২৮ অক্টোবর, ২০১৭

পুত্রবধূ কেমন করে বউ হয়ে যায়!

পাঠিয়েছেন বদ নাস্তিক



 [বড় করে দেখতে ছবিতে ক্লিক করতে হবে]


বৃহস্পতিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১৭

হিজাবী হুরী যতো-২৩


[বড় করে দেখতে ছবিতে ক্লিক করতে হবে]

পাঠিয়েছেন: ইমানুল হক


শুক্রবার, ২০ অক্টোবর, ২০১৭

মাদ্রাসা হইতে সাবধান....!!!

পাঠিয়েছেন ক্যাটম্যান



আপনার ছেলে-মেয়েকে স্কুলে পাঠান’ এমন আহ্বান সংবলিত বাক্য বিভিন্ন ট্রাক, বাস ও কাভার্ড ভ্যানের পেছনে প্রায়শ লক্ষ্য করা যায়। ইদানিং উপর্যুক্ত আহ্বান সংবলিত বাক্যটির প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে ‘আপনার ছেলে-মেয়েকে মাদ্রাসায় পাঠান’ বাক্যটি বিভিন্ন যানবাহনের পেছনে প্রায়শ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যা সামাজিক রুচির উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন নির্দেশ করে। তবে ছেলে-মেয়েকে স্কুলের পরিবর্তে মাদ্রাসায় পাঠিয়ে কেমন সুফল মিলবে তার একটি ছোট্ট উদাহরণ হতে পারে সংশ্লিষ্ট ছবিটি। ছবিটিতে লক্ষণীয় যে, একটি কাভার্ড ভ্যানের পেছনের ঊর্ধ্বাংশে লেখা রয়েছে ‘আপনার ছেলে মেয়েকে মাদ্রাসায় পাঠান’। আর উক্ত ভ্যানের দরজার মাঝামাঝি অংশে অর্ধবৃত্তাকারে লেখা রয়েছে ‘নিজেস্ব পরিবহন’; এখানে ‘নিজেস্ব’ ও ‘পরিবহন’ পদ দুটি ভুল বানান নির্দেশ করছে। এক্ষেত্রে সঠিক বানানে ‘নিজস্ব পরিবহণ’ লেখাই সমীচীন হতো। কিন্তু তা লেখা হয় নি। বোধ করি,  উক্ত কাভার্ড ভ্যানের পেছনের লেখাসমূহ যিনি লিখেছেন বা লিখিয়েছেন, হয়ত তিনি মাদ্রাসায় পড়ালেখা শিখেছেন। যার উত্তম দৃষ্টান্ত ‘নিজেস্ব’ ও ‘পরিবহন’ পদ দুটির বানানে স্পষ্ট। তাই ছেলেমেয়েকে মাদ্রাসায় পাঠিয়ে কেমন সুফল মিলবে, তা বুঝতে বেশি বেগ পেতে হবে না আশা করি। বিধায় বিভিন্ন যানবাহনের পশ্চাদ্ভাগে লিখিত ‘আপনার ছেলে-মেয়েকে মাদ্রাসায় পাঠান’, এমন আহ্বান সংবলিত বাক্যে প্রভাবিত না হয়ে ছেলে-মেয়েকে স্কুলে পাঠানোর আহ্বানে উদ্বুদ্ধ হওয়াই সচেতন অভিভাবকদের জন্য যথাযথ হতে পারে।

বৃহস্পতিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১৭

ইমানুলের ধর্মকথা- ১৬

পাঠিয়েছেন ইমানুল হক

১৮.
মগরিবের নমাজ ফইরবার উদ্দেস্যে বাইর অইচি একডু আগে। আসা চিল তাবারক মোল্লার সুন্দরি বিবিক এক নজর দেইক্ক্যা যামু। মসজিদ যাওয়ার কিচু দূর আগেই ফরে তাবারক মোল্লার বাড়ি। বাড়ির সামনে যাই উকি মাইল্যাম দিকি বউডাক কুতাও দিকা যায় না, বুকের বিতরডা দেহার লাই হু হু কইরে উইটলো। ইট্টু সুময় অপেক্কা করার ফর হুনি বাড়ির বিতর তেকে চিল্লা চিল্লির আওয়াজ আইসতেচে। চিল্লা চিল্লি শুনে সুযুগে আমি বাড়ির বিতর ডুকে ফইল্যাম। বাড়ির বিতর ডুকে দেক্তে ফাইলাম তাবারক মোল্লা তার দস বসরের সেলেকে বকা জকা কইত্তেসে, আমি এদিক সেদিক মোল্লার বিবিডাক কুইজতে লাইগলাম, দেহি দরজার এক কুনায় তার বিবি কারাই রইচে। 

বুধবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১৭

পাঠকের পাঠশালা-০৫ (ইসলাম আরব প্যাগন এবং ইহুদী-খ্রিস্টান ধর্মের মিশেলের একটি ককটেল…!)

লিখেছেন সুষুপ্ত পাঠক

কাবাঘরের বড় ধরণের সংস্কার ঘটে ইসলামের নবী! মুহাম্মদের ৩৫ বছর বয়স কালে। তখনো তিনি নবী হননি। নবী হবার কোন দুরাশাও সম্ভবত চিন্তাতে আনেননি। সেসময় কোন রকম গাঁধুনি ছাড়াই পাথরের উপর পাথর রেখে কাবার দেয়াল গড়া হতো। এতে করে দেয়াল ধসে পড়ার সম্ভাবনা বেশি থাকত। এই সময় রোমান বাণিজ্য জাহাজের ভাঙ্গা কাঠের তক্তা কুরাইশরা সংগ্রহ করে নিয়ে আসে। ঘটনাচক্রে একজন মিশরীয় মিস্ত্রি সে সময় কুরাইশদের মধ্যে থাকায় তাকে দিয়ে কাবাঘরটা নতুন করে সংস্কার করার উদ্যোগ নেয়া হয়। মূলত কাবাঘরের একটি ছাদ বানানোর জন্যই বিশেষ করে এই সংস্কার। কাবাঘরে ছাদ না থাকায় রাতের আঁধারে চোররা কাবার দেয়াল টপকে চুরি করে নিয়ে যেতো ধনসম্পদ। (সীরাতে ইবনে হিশাম, অনুবাদ: আকরাম ফারুক, পৃষ্ঠা-৪৮)।

সোমবার, ১৬ অক্টোবর, ২০১৭

নাস্তিক গোপাল-৬

পাঠিয়েছেন ইমানুল হক
[বড় করে দেখতে ছবিতে ক্লিক করতে হবে]

রবিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০১৭

হালার পো হালা,নৈতিকতা ধর্মগ্রন্থ থেকে আসে!

পাঠিয়েছেন বদ নাস্তিক

 [বড় করে দেখতে ছবিতে ক্লিক করতে হবে]

শনিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১৭

বুল করাসেন আল্লায় সুদরাইব মুল্লায়...!!!

লিখেছেন গরিব অল্ফ সিক্কিত মাদেসার হুজুর কুদরত আলি

আজিয়া যুহরের নমাজ ফডি কুসি মনে মুসকি হাসি হাসি গেরামের সলিমুল্লা বাইর বাইত্তে জিয়াফত কাইতে যাইতেসিলাম ।আহ অনেকদিন ফর আজিয়া একডু বালামন্দ গরুর গুস্ত কামু!! বাইবতেই জিবে ফানি সলি আইসতে সিল।  এমুন সুময় গেরামের নতন ইংলিস সিক্কিত যুবক সালেহিন সালাম দি ফত আগলাই দারাইল।  তা হুজুর এত মুসকি হাসি হাসি কুতায় যাসসেন? এই ত সলিমুল্লা বাই সেলেডার আজিয়া সুন্নত কাম করানু হবি,  আমার জিয়াফত আচে। ওহ!! এমুন সুময় হারামজাদায় বলি উডল " বুল করাসেন আল্লায় সুদরাইব মুল্লায়" । কি বইল্লা এত বড় সাহস তমার!! নতন সিক্কিত হয়াস না? আল্লায় আবার বুল করে কেবা করি?? হেতি কয় হুজুর আল্লায় এত সন্দর করি মানস সিসটি কইল্লেন, সাতে তার সেং বা নুনুর আগাডা ও কুব সন্দর করি সামরা দি ডাকি দিলেন।  এরফর ফিতিবিত ফাডাই দিলেন, ফিতিবিত ফাডানুর ফর আল্লার মুনে অইল যে নুনুর আগার সামড়া ডা অফ্রয়জনিয়! ! তাই তিনি নতুন করি নিরদেস দিলেন নুনুর আগার সামরা কাডি ফেলাও । 

আমি বইল্লাম এই সামরার কুনু দরকার নাই, তাই আল্লা কাডি ফেইলতে বইলসেন।  হেতি কয় হুজুর এই সামড়ার যে কুনু দরকার নাই মানুস বানানির সুময় কি আল্লার মুনে সিল না?? একন আল্লার বুল আফনারা সামরা কাডি সুদরাইতেসেন।  আমি বইল্লাম দেক আল্লা ফ্রয়জুন সারা কুনু কিসু সিসটি করেন না, সিসুর সুটুকালে  নুনুর সামরার কুনু ফ্রয়জন উফকার সিল বল হয়ত আল্লা তা বানাইসেন।  আল্লা ফ্রয়জন সারা কিসু বানান না?? আমি বইল্লাম না।  হেতি কয় হুজুর তাহলি আল্লায় ফুরুস মাইন্সের নিপল দিসেন কেন? নিপল কি? হেতি কয় হুজুর সেলেদের ইস্তনের বুটা।  অহ তা হুজুর সেলেদের ইস্তনের বুটা সেলেদের কি কামে লাগে?? হারাজিবনেও ত কুনু কামে লাগে না। তাহলি আল্লা এই অফ্রয়জনিয় বুটা সেলেদের দিলেন কেনু? আর এই অফ্রয়জনিয় জিনিস নুনুর সামরা মত কাডি ফেইলতে বইল্লেন না কেন?? এই সেলের কতা সুনি মেজাজটাই কারাফ হইগেল। কি উত্তর দিব বেবে ফাচ্চিলাম না, তাক বইল্লাম আমার একন সুময় নাই কাইলকে মজ্জিদে আইস উত্তর দিব নে।  

এই বলি সলি গেলাম। কিনত সলিমুল্লা বাইর বাইত্তে জিয়াফত এর গুসত সাবাইতে সাবাইতে আবার মনেফডি গেল আসলেই ত আল্লা সেলেদের নুনুর আগার সামড়া আর ইস্তনের বুটা কেনই বা সইল্লে দি দিলেন?? আর দেওয়ার ফরে একডা কাডি ফেইলতে বইল্লেন আরেকডার কতা কিসুই বইল্লেন না?? সিন্তা কইত্তেসি আর সিন্তা কইত্তেসি......। অই আমার মাতা গুরান্টি দিতেসে.....কেউ একডু ফানি দে .....

শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১৭

নবি মোহাম্মদ কি মুর্তি পুজারী ছিলেন?

তিরমিজি , হাদিস -৮৭৭: ইবনে আব্বাস বর্নিত, নবী বলেছেন , কাল পাথর যখন বেহেস্ত থেকে পতিত হয় তখন তা দুধের চাইতেও সাদা ছিল। মানুষের পাপ মোচনের ফলে সে কাল হয়ে গেছে।
তিরমিজি, হাদিস -৯৫৯: ওমর বর্নিত , আমি নবীকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন , কাল পাথর ও রুক ইয়ামানী উভয়কে স্পর্শ করলে মানুষের পাপ মোচন হয়।

উক্ত বিধান মেনে মুহাম্মদ কাবা ঘরে যেতেন , সেটাকে কেন্দ্র করে সাত পাক ঘুরতেন , অতি ভক্তি সহকারে কাল পাথরকে চুম্বন করতেন। কারন অন্য সবার মত তিনিও ছিলেন পাপী। আর সেই পাপ মোচনের জন্যেই কাল পাথরকে চুম্বন করতে হতো। মুহাম্মদ যে পাপী ছিলেন , তা জানা যায় কোরানেই -
সুরা আল মুমিন- ৪০: ৫৫: অতএব, আপনি সবর করুন নিশ্চয় আল্লাহর ওয়াদা সত্য। আপনি আপনার গোনাহের জন্যে ক্ষমা প্রর্থনা করুন এবং সকাল-সন্ধ্যায় আপনার পালনকর্তার প্রশংসাসহ পবিত্রতা বর্ণনা করুন।
সুরা আল ফাতহ- ৪৮: ২: যাতে আল্লাহ আপনার অতীত ও ভবিষ্যত পাপসমূহ মার্জনা করে দেন এবং আপনার প্রতি তাঁর নেয়ামত পূর্ণ করেন ও আপনাকে সরল পথে পরিচালিত করেন।

বৃহস্পতিবার, ১২ অক্টোবর, ২০১৭

পাঠকের পাঠশালা-০৪ (কুরআন অনুযায়ী দাসী সেক্স বৈধ!)

লিখেছেন সুষুপ্ত পাঠক

এক জিনিস নিয়ে বার বার  লেখার মত বিড়ম্বণা আর কিছুতে নেই। তবু এই অসীম ধৈয্যের কাজটি আমাকে করে যেতে হচ্ছে। অগুণতি মানুষের জিজ্ঞাসা মেটাতে এবং কিছু অন্ধ গোঁয়ার মানুষ যখন প্রলাপ বকার মত ‘এসব ইসলামে নেই’ বলে দাবী করে তখন নিজেকে নিবৃত করে রাখা খুব কঠিন। সম্প্রতি সৌদি আরবে ১৫০০ বাংলাদেশী নারী শ্রমিক তাদের সৌদি মালিকের লালসার স্বীকার হয়ে দেশে ফেরে। জানা যায় অকথ্য যৌন নির্যাতনের কথা। এমনটা যে সৌদি পুরুষরা কুরআনের সুরা নিসার ২৪ নম্বর আয়াত দ্বারা করে থাকে সেটা না জানলে ইসলামের জন্মভূমি হয়ে কেমন করে সৌদিয়ানরা এতখানি লম্পট হয় বলে হিসাব মেলাতে পারবেন না…। আজ তাই ফের সুরা নিসা এবং তার প্রসিদ্ধ তাফসির (ব্যাখ্যা এবং আয়াত নাযিলের কারণ) আপনাদের কাছে হাজির করছি। এই বিষয় নিয়ে আর লেখার ইচ্ছা আপাতত নেই। তাই লেখাটা সম্ভব হলে শেয়ার করার চেষ্টা করবেন।

বুধবার, ১১ অক্টোবর, ২০১৭

দ্বীনমজুরের উপলদ্ধি....৩....!!

মাশাল্লা, ইহা একডি সহিহ্ ফডু তোলার পদ্ধতি!

মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর, ২০১৭

হিজাবী হুরী যতো-২২


[বড় করে দেখতে ছবিতে ক্লিক করতে হবে]

পাঠিয়েছেন: ইমানুল হক

সোমবার, ৯ অক্টোবর, ২০১৭

কুদরতিক্রিয়া- ২১

লিখেছেন গরিব অল্ফ সিক্কিত মাদেসার হুজুর কুদরত আলি

৫১.
আজিয়া জুহরের নামাচের অয়াক্তে অযু ফরার জইন্ন মাদেসার ফুকুর গাটে গেসি।  গিয়া দিকি মাদেসার ফুকুরের ফানি ফুলাপাইন লাফাই লাফাই গুচল করি গুলা করি ফেইলসে।  এই দিকে সিতকালে গাটের ফানি আবার সুকাই যায়, অযু করার জইন্ন আতের নাগালে ফাওয়া যায় না।  তাই সিন্তা কইল্লাম একন তেকে কিসুদিন আর মাদেসার ফুকুরে অযু কইরব না।  আমাগের মজ্জিদের অল্ফ কাসের ইন্দু বারিতে বরো এক্কান দিগি আচে, অইকানেই অযু কইরব।  তো সইল্লাম ইন্দু বারির দিগিতে অযু ফইত্তে।  দিগিতে ফুউসানুর কিসু আগেই সুইনতে ফাইলাম ইন্দু মেয়েসেলেদের হালকা সিতকার হইহুল্লুর। মনেকয় গুচল কইত্তে যাই জলকেলি কইত্তেসে।  বাইবলাম অইদিকে চুক দিব না।  

শনিবার, ৭ অক্টোবর, ২০১৭

ইমানুলের ধর্মকথা- ১৫

পাঠিয়েছেন ইমানুল হক


আল্লার আদেসে বিষ্টিত বিজি, দুই তিন দিন দরে জ্বরে বুইগতেচি। বিচানা চারি উটতে ফাইচ্চি না। সহালে ফাডাইচিলাম গেদ্দু মিয়ারে আমাগের বদরু মলানার (মোহাম্মদ মাওলানা বদরুদ্দীন) কাচে ফরা ফানি আইন্তে। কিন্তু ফানি ফরা কাই, জ্বর কমনের কুনো বাবই দেইক্তেসিনা। আল্লা তুমি আমাক কেন এত কডিন পরিক্কা নিচ্চ আল্লা! ও মাবুত আমি যে আর সইয্য কইত্তে ফাইত্তেসি না। আমি কম্বলের তলে বইসে জ্বরে কুকাইচ্চি। আর সুদু মলানার দেওয়া ফরা ফানি কাইচ্চি। ফাসে বসে হালিমা ফানি ডাইলচে আর ডাইলচে মজ্জিনা আর জরিনা বইস্যা কান্নাকাডি কইত্তেসে। আমি বাইবতেচি এই কয় দিন জরে ফরি বিবিদের আদর সোহাগ কইত্তে ফাচ্চি না। এর মদ্দি গরে ডুকল রইচ মুন্সি আর সাত দিকি আবার মেম্বারের ফুলাক নি আইসচে। উনাদের দেকি বিবিরা আড়ালে চলি গেল। রইচ মুন্সি আমার ফাসে এসে বইসলেন আর মেম্বারে ফুলা এসে আমার মাতায় আত দিলো। মেম্বরের ফুলা আমারে কয়, "চাচা, আপনের সরিলের অবস্তা দেহি বালা না। জ্বর ত সারা সরিলে চইল্যা গেসে, মুনকয় ১০৪ ডিগ্রির কম না। রইচ চাচা উনাক তাত্তারি দরেন। গঞ্জের ডাক্তারের দুকানে নি যাই।" আমি বইল্যাম, "না বাবা আমি কুতাও যামু না। আল্লা আমাক পরিক্কা নিচ্চে বাবা। আদীসে আচে, আবু জামরাহ জুবাই অইতে বন্যিত, তিনি বলেন, আমি মক্কায় ইবনে আব্বাস এর নিকট বইসতাম। একদিন আমি জ্বরে আক্রান্ত অইলাম, তকন ইবনে আব্বাস বলিলেন, তুমার সরীলের জ্বর যমযমের পানি দ্বারা শীতল কর। কেননা হুযুর বলিয়াচেন, জ্বর দোজখের তেজ অইতেই অইয়া থাহে। তাই তা পানি দ্বারা কিংবা বলিয়াচেন যমযমের পানি দ্বারা শীতল কর। সহি বুখারী হাদিস, বই-৫৪, হাদিস-৪৮৩। আয়শা অইতে বন্যিত,জ্বরের তাপ দোজখের তাপ অইতেই আসে, তাই তা পানি দ্বারা ঠান্ডা করতে অয়। সহি বুখারি হাদিস, বই-৫৪, হাদিস-৪৮৫। ইবনে ওমর অইতে বন্যিত, হুযুর বলিয়াচেন, জ্বরের তাপ আসে দোজখের তাপ অইতে। তাই তা পানি দিয়ে প্রশমন কর। সহি বুখারী হাদিস , বই-৫৪, হাদিস-৪৮৬।"

শুক্রবার, ৬ অক্টোবর, ২০১৭

হাস্যকোরান ৩: আল্লাহপাক সাংঘাতিক, আল্লাহকে ভয় করো!


পর্ব এক, দুই


আমাদের পাড়ায় বেয়াদপ টাইপের ব্যাপক পড়ুয়া এক বড় ভাই ছিলেন, নাম জামাল। আমাকে বেশ আদর করতেন। হুজুরদের সাথে যখন তর্ক করতেন তখন মনে হত তিনি কোরান, হাদিস আর তফসিরে পণ্ডিত। তবে তাঁর একটা সমস্যা ছিল। কখনো নামাজ পড়তেন না, রোজা রাখতেন না।

একদিন বড় হুজুরকে সঙ্গে করে সবাই দল বেঁধে উনাকে বোঝাতে গেল।
হুজুর বললেন, তুমি কি একদিনও আর নামাজে আসবে না, এমনকি জুম্মার নামাজ আর ইদের নামাজেও না?

তিনি নির্বিকারভাবে জবাব দিলেন, না!
হুজুর অত্যন্ত কর্কশ গলায় জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি আল্লাকে ভয় করো না?
জালাল ভাই বললেন, আল্লা কি বাঘ-ভল্লুক যে তারে ভয় পেতে হবে?

নবী মুহাম্মদের 'ওমরাহ' ও কুরাইশদের সহিষ্ণুতা! কুরানে বিগ্যান (পর্ব-১৭৪): ত্রাস, হত্যা ও হামলার আদেশ –একশত আটচল্লিশ

লিখেছেন গোলাপ

(আগের পর্বগুলোর সূচী এখানে) (ইন্টারন্যাল লিংকে যাতায়াতে কিছুটা সমস্যা হতে পারে: সমাধানের চেষ্টা চলছে; আপাতত প্রক্সি ব্যবহারে লিংকে গমন সহজ হবে)
 
"যে মুহাম্মদ (সাঃ) কে জানে সে ইসলাম জানে, যে তাঁকে জানে না সে ইসলাম জানে না।"


স্বঘোষিত আখেরি নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) তাঁর মদিনা অবস্থানকালীন সময়ে দামেস্কের শাসনকর্তা আল মুনধির বিন আল-হারিথ বিন আবি শিমর আল-ঘাসানি, পারস্যের সম্রাট খসরু পারভেজ দ্বিতীয়, বাইজেনটাইন সম্রাট হিরাক্লিয়াস ও আবিসিনিয়ার শাসনকর্তা আল-নাজ্জাসীর কাছে যে চিঠিগুলো লিখেছিলেন তার বিস্তারিত আলোচনা ও পর্যালোচনা গত তেরটি পর্বে (পর্ব: ১৬১-১৭৩) করা হয়েছে। মুহাম্মদের আদর্শে উদ্বুদ্ধ নবী পত্নী উম্মে হাবিবা (রামলাহ) বিনতে আবু সুফিয়ান কী কারণে তার জন্মদাতা পিতা-কে '‘অপবিত্র" আখ্যা দিয়ে তাঁর প্রতি চরম অবমাননা ও অসম্মান প্রদর্শন করেছিলেন, তার বিস্তারিত আলোচনা আগের পর্বে করা হয়েছে।



মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীরা খায়বারের অমানুষিক নৃশংসতা (পর্ব: ১৩০-১৫২), ফাদাক আগ্রাসন (পর্ব: ১৫৩-১৫৮) ও ওয়াদি আল-কুরা আগ্রাসন শেষে মদিনায় প্রত্যাবর্তন করেন হিজরি ৭ সালের সফর মাসে। অতঃপর রবিউল আওয়াল মাস থেকে শওয়াল মাস (৯ই জুলাই ৬২৮ সাল থেকে ১লা মার্চ ৬২৯ সাল) পর্যন্ত পরবর্তী আট-টি মাস মুহাম্মদ আর কোন হামলায় নিজে অংশগ্রহণ না করে মদিনায় অবস্থান করেন। আর কোন হামলায় নিজে অংশগ্রহণ না করলেও অবিশ্বাসী জনপদের ওপর তাঁর আগ্রাসী হামলা তিনি কখনোই বন্ধ করেন নাই। আদি উৎসের বিশিষ্ট মুসলিম ঐতিহাসিকদের বর্ণনায় আমরা জানতে পারি, এই সময়টিতে তিনি তাঁর অনুসারীদের মাধ্যমে বিস্তীর্ণ অঞ্চলের অবিশ্বাসী জনপদের ওপর কমপক্ষে আরও ছয়টি আগ্রাসী হামলা পরিচালনা করেন, যার দু'টির আলোচনা ইতিমধ্যেই করা হয়েছে (পর্ব-১৬০)। এই হামলাগুলো ছাড়াও আবু বসির নামের তাঁর এক অনুসারীর নেতৃত্বে কুরাইশ বাণিজ্য-বহরের ওপর হামলা, খুন-জখম ও মালামাল-লুণ্ঠন ছিল পুরো-দমে অব্যাহত।