আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

শুক্রবার, ১৫ জুন, ২০১২

ইসলামে কাম ও কামকেলি - ১৬

মূল রচনা: আবুল কাশেম (সেক্স এন্ড সেক্সুয়ালিটি ইন ইসলাম)
অনুবাদ: খেলারাম পাঠক

(সতর্কতা: নরনারীর যৌনাচার নিয়ে এই প্রবন্ধ। স্বাভাবিকভাবেই কামসম্পর্কিত নানাবিধ টার্ম ব্যবহার করতে হয়েছে প্রবন্ধে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যবহৃত ভাষার মধ্যেও তাই অশালীনতার গন্ধ পাওয়া যেতে পারে। কাম সম্পর্কে যাদের শুচিবাই আছে, এই প্রবন্ধ পাঠে আহত হতে পারেন তারা। এই শ্রেনীর পাঠকদের তাই প্রবন্ধটি পাঠ করা থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করা যাচ্ছে। পূর্ব সতর্কতা সত্বেও যদি কেউ এটি পাঠ করে আহত বোধ করেন, সেজন্যে কোনভাবেই লেখককে দায়ী করা চলবে না।)

পর্ব ০১ > পর্ব ০২ > পর্ব ০৩ > পর্ব ০৪ > পর্ব ০৫ > পর্ব ০৬ > পর্ব ০৭ > পর্ব ০৮ > পর্ব ০৯ > পর্ব ১০ > পর্ব ১১ > পর্ব ১২ > পর্ব ১৩ > পর্ব ১৪ > পর্ব ১৫

কয়টাস ইন্টারাপশন: যোনির বাইরে বীর্যস্খলন

Coitus interruption নামে ইংরেজী ভাষায় একটি টার্ম চালু আছে। এর বাংলা অর্থ - স্ত্রীযোনির বাইরে বীর্যপাত ঘটানো। 

একজন মুসলমান কয়টাস ইন্টারাপশনের নাম শুনলেই আঁতকে উঠবেন। তৌবা তৌবা, একেবারেই অনৈসলামিক শয়তানের কাজ এটি। হাজার হলেও পুরুষের বীজ পরম পবিত্র জিনিস, এর আশ্রয়স্থল একমাত্র স্ত্রীযোনি। সেই বৈধ স্থান ছাড়া অন্য কোথাও বীজ বপনের মতো নোংরা কাজ একজন মুসলমান করতে পারে? এখন যদি বলা হয় যে, নবীজি নিজেই কাপড়ের মধ্যে বীর্যপাত ঘটাতেন, তার প্রিয় বালিকা-বধু আয়েশা সেই কাপড় ধৌত করে দিতেন এবং রসুল সেই কাপড় পরে নিয়মিত নামাজ আদায় করতেন, কথাটি আপনার কাছে বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে হবে কি? কথাটি আপনার কাছে অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে, তবে প্রকৃত ঘটনা তা-ই! মা আয়েশার মুখ থেকে বিষয়টি যাচাই করে নিন তা’হলে।
সহি বুখারিঃ ভলিউম-১, বুক নং-৪, হাদিস নং-২৩১:
সুলাইমান বিন ইয়াছার হতে বর্ণিতঃ
আমি আয়েশাকে বীর্য জড়িত কাপড় সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তিনি উত্তর করেন- “আমি রাসুলুল্লাহর (দঃ) কাপড় হতে বীর্য ধৌত করে দিতাম এবং পানির দাগ ভালভাবে না শুকাতেই তিনি তা পরে নামাজ পড়তেন”।
সুনান আবু দাউদঃ বুক নং-১১, হাদিস নং-২১৬১:
উম্মুল মোমেনিন আয়েশা হতে বর্ণিতঃ
আমার ঋতুকালে রাসুলুল্লাহ (দঃ) এবং আমি একই কাপড়ের নিচে শুয়ে থাকতাম। যদি আমার (শরীর) থেকে কোনোকিছু তার কাপড়ে লাগত, তিনি সেই জায়গা ধুয়ে ফেলতেন, এর বাইরে ধুতেন না। যদি নিজের স্খলন হতে কাপড়ে দাগ লাগত, তিনি সে জায়গা ধুয়ে ফেলতেন, এর বাইরে ধুতেন না; এবং তা পরিধান করেই নামাজ পড়তেন।
এখানে কিছু প্রশ্ন এসে যায়। বধূটি ঋতুমতী, তার সাথে স্বাভাবিক উপায়ে সেক্স করার পথ রুদ্ধ। নবী কি তা’হলে কয়টাস ইন্টারাপশন পালন করতেন? কিংবা বালিকা বধুটির কাছে এসে এতটাই কামতাড়িত হয়ে পড়তেন যে, কাপড়ের ওপরেই তার বীর্যস্খলন হয়ে যেতো? পবিত্র বীজ যথাস্থানে না পড়ে কাপড়ের উপর পড়তো? ভাবার বিষয়।

(চলবে)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন