লিখেছেন শ্রোডিঞ্জারের বিড়াল
ছহি মুসলিম ভাইরা, আপনাদেরকে বলছি, ইহুদি-নাছারা-নাস্তেক এদের মিথ্যাচারে বিভ্রান্ত হবেন না। বিজ্ঞানের বইয়ে তারা ভুয়া, মিথ্যা গাঁজাখুরী ঢুকিয়ে দিয়েছে, তাছাড়া বিজ্ঞান দুইদিন পর-পর চেঞ্জ হয়, তাই বিজ্ঞানকে বিশ্বাস করা যায় না। বিজ্ঞান মানুষের সৃষ্টি, কোরান আল্লাহর।
তাই কোরান পড়ুন, মিথ্যা আর সত্যের তফাত জানুন:
আল-কোরান: সুরা ৩৬, আয়াত ৪০
সুর্যকে অনুমতি দেয়া হয় না যে সে চাঁদ এর আগে যাবে, আবার রাতও দিনকে পিছনে ফেলতে অসক্ষম। এরা প্রত্যেকে সাতার কাটছে (নিজস্ব) চক্রে (নিয়ম অনুসারে)।
আল-কোরান: সুরাহ ২১, আয়াত ৩৩
নিশ্চই তিনিই সৃস্টি করেছেন রাত,দিন, সূর্য ও চাঁদ। এরা প্রত্যেকে চলে (নিজস্ব) চক্রে।
আল-কোরান: সুরা ৯১, আয়াত ১-২
এবং সূর্য ও তার উজ্জ্বলতার(শপথ) , এবং চাঁদের যা তাকে (সূর্য) অনুসরণ করে।
এইসব আয়াত সাহাবীদের মাঝে বিভিন্ন প্রশ্নের সৃষ্টি করে এবং আবু ধা"র নামক একজন সাহাবী, সহি বুখারী খণ্ড ৪, পুস্তক ৫৪, হাদিস নং ৪২১ এ বর্ণনা করছেন:
একদিন সূর্যাস্তের সময় সাহাবী আবু ধা'র, নবী কে বললেন, "নিশ্চয়ই আল্লাহ ও তার নবীই জানেন সবচেয়ে ভালোভাবে(সূর্যাস্তের পর সূর্যের কি হয়)।" নবী উত্তর দিলেন, "(দিনে)সূর্য চলতে থাকে এবং তা সূর্যাস্তে আল্লাহর আরশের নিচে অবস্থান নেয়, অতঃপর সে আল্লাহর কাছে অনুমতি খুজতে থাকে আবার উদয় হবার। আল্লাহ অনুমতি দিলে সূর্য আবার চলতে শুরু করে এবং উদয় হয়, কিন্তু এমন একদিন আসবে (কেয়ামত) যদি সূর্যর প্রার্থনা গ্রহণ করা হবে না এবং আল্লাহ তাকে নির্দেশ দিবেন যেদিক থেকে এসেছে সেদিকে ফিরে যেতে, আর সেদিন (কেয়ামত) সূর্য উদিত হবে পশ্চিমে।
এই আয়াতগুলো এবং স্বয়ং নবীজির করা ব্যাখ্যায় কি প্রকাশ পায় না যে, সূর্য পৃথিবীকে ঘিরে আবর্তন করছে এবং সূর্য পৃথিবীকে ঘিরে ঘোরার কারনেই দিন ও রাত হয়ে থাকে? এর পরেও কি অবিশ্বাসীরা ইহুদিনাছারাদের মিথ্যায় বিশ্বাস করে বসে থাকবেন? তাদের কুফরি কথা যে "পৃথিবী সূর্যকে আবর্তন করে", এসব কোরান ও আল্লাহ বিরোধী কথায় বিশ্বাস করবেন? তারা এসব মিথ্যা ও বিভ্রান্তি ছড়িয়ে ছহি মুমিনগনকে আল্লাহর ইলম থেকে বিচ্যুত ও মুরতাদ করতে চায়।
এসব ইহুদি-নাছারাদের ষড়যন্ত্র বই কিছু নয়, পৃথিবী সূর্যকে নয়, বড়োং সূর্যই পৃথিবীকে ঘিরে ঘোরে এবং তাই দিন ও রাত হয়।
আর স্বয়ং আল্লাহ ও তার নবী পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ বিজ্ঞান ও সত্যের দিশারী পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান কোরানে তা ১৪০০ বছর আগেই বলে গিয়েছেন।
এর পরেও কি আপনারা ইহুদি-নাছারা বিজ্ঞানীদের মিথ্যায় বিশ্বাস করে স্বয়ং আল্লাহর বাণীকে অস্বীকার ও আল্লাহর বিরোধিতা করবেন?
ইহুদি নাছারা-নাস্তেক-নেস্তিক এদের মিথ্যাচারে বিভ্রান্ত হবেন না। বিজ্ঞানের বইয়ে তারা ভুয়া, মিথ্যা গাঁজাখুরী ঢুকিয়ে দিয়েছে, তাছাড়া বিজ্ঞান দুইদিন পর-পর বদল হয়, তাই বিজ্ঞানকে বিশ্বাস করা যায় না। বিজ্ঞান মানুষের সৃষ্টি, কোরান আল্লাহর।
আসুন, সত্য ইসলামে চলুন এবং ইহুদি-নাছারাদের এসব মিথ্যা ফেতনা ও কুফরিকে প্রত্যাখ্যান করুন।
মনে রাখবেন, মহান আল্লাহ পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ বিজ্ঞান ও সত্যের দিশারী পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান কোরানে তো বলেই দিয়েছেন:
সত্য এসেছে এবং মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েছে, নিশ্চয়ই মিথ্যা বিলুপ্ত হবারই ছিল।
আল-কোরান: সুরা আল ইসরা ১৭, আয়াত ৮১
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন