আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

শুক্রবার, ২০ জুন, ২০১৪

দুনিয়া আল্লাহর পুতুলখেলা, মানবেরা তার পুতুল... (ইসলামে কি ফ্রি উইল আছে?)

লিখেছেন শ্রোডিঞ্জারের বিড়াল

আল্লাহ সর্বজ্ঞানী। তিনি আমাদের বর্তমান, অতীত, ভবিষ্যৎ সবই আগে থেকেই জানেন।

কে জাহান্নামে যাবে, তা আল্লাহ আগে থেকেই জানেন। কে খারাপ কাজ করবে তাও আল্লাহ আগে থেকেই জানেন।

আল্লাহর জ্ঞান ও ইচ্ছার বিরুদ্ধে কেউ যেতে পারে না। আল্লাহর জ্ঞান ও ইচ্ছার ভুল হতে পারে না।

আল্লাহ আগে থেকে যদি জানেন যে আপনি খারাপ কাজ করবেন, তাহলে আপনি যতই চেষ্টা করুন না কেন, আপনি কখনো তা বদলাতে পারবেন না। কারণ আল্লাহ আগে থেকেই জানেন, আপনি খারাপ কাজ করবেন।

আল্লাহ যা জানেন, তা কখনো ভুল হতে পারবে না। আপনাকে খারাপ কাজ করতেই হবে। কারণ আপনি খারাপ কাজ না করলে আল্লাহ ভুল প্রমাণিত হয়ে যাবেন।

আল্লাহ যদি আগে থেকে জানেন যে, আপনি কাফের-মুরতাদ হবেন, তাহলে আপনি যতই চেষ্টা করুন না কেন, আপনি কখনো তা বদলাতে পারবেন না। আপনাকে কাফের-মুরতাদ হতেই হবে। কারণ আল্লাহ আগে থেকেই জানেন, আপনি কাফের মুরতাদ হবেন।

আল্লাহ যা জানেন, তা কখনো ভুল হতে পারবে না। আপনি যতই চেষ্টা করুন না কেন আপনাকে কাফের মুরতাদ হতেই হবে।

আল্লাহ যদি আগে থেকে জানেন যে, আপনি জাহান্নামে যাবেন, তাহলে আপনি যতই চেষ্টা করুন না কেন, আপনি কখনো তা বদলাতে পারবেন না। আপনাকে জাহান্নামে যেতেই হবে। আপনাকে জাহান্নামে অনন্তকাল আগুনে পোড়ানো হবে, অকথ্য অসহ্য অকল্পনীয় নির্মম উপায়ে অত্যাচার করা হবে। কারণ আল্লাহ আগে থেকেই জানেন, আপনি জাহান্নামে যাবেন।

আল্লাহ যা জানেন তা কখনো ভুল হতে পারবে না। আপনি যতই চেষ্টা করুন না কেন, আপনাকে জাহান্নামে যতেই হবে।

তাছাড়া হাদিসে তো বলাই আছে যে, একজন লোক নেকী হবে নাকি কুফফার, জান্নাতে যাবে নাকি জাহান্নামে যাবে, সেটা জন্মের আগেই, মায়ের গর্ভে থাকতেই আল্লাহ নির্দিষ্ট করে দেন।

সহিহ বুখারী, খন্ড ৪, বই ৫৫, হাদিস ৫৪৯

আবদুল্লাহ (রা) থেকে বর্ণিত:
রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন, তোমাদের প্রত্যেকের সৃষ্টির উপাদান স্বীয় মাতৃগর্ভে চল্লিশ দিন পর্যন্ত জমা রাখা হয়। এরপর অনুরূপভাবে (চল্লিশ দিনে) তা আলাকারুপে পরিণত হয়। তারপর অনুরূপভাবে (চল্লিশ দিনে) তা গোশ্তের টুকরার রূপ লাভ করে। এরপর আল্লাহ্তার কাছে চারটি বিষয়ের নির্দেশ নিয়ে একজন ফিরিশ্তা পাঠান। সে তার আমল, মৃত্যু, রিয্ক এবং সে কি পাপি হবে না পুণ্যবান হবে, এসব লিখে দেন। তারপর তার মধ্যে রূহ ফুঁকে দেয়া হয়।
(ভুমিষ্টের পর) এক ব্যাক্তি একজন জাহান্নামীর আমলের ন্যায় আমল করতে থাকে এমনকি তার ও জাহান্নামীদের মধ্যে এক হাতের ব্যবধান থেকে যায়, এমন সময় তার ভাগ্যের লিখন এগিয়ে আসে। তখন সে জান্নাতবাসীদের আমলের ন্যায় আমল করে থাকে। ফলে সে জান্নাতে প্রবেশ করে ।
আর এক ব্যক্তি (প্রথম হতেই) জান্নাতবাসীদের আমলের অনুরুপ আমল করতে থাকে। এমন কি শেষ পর্যন্ত তার অ জান্নাতের মাঝে মাত্র এক হাতের ব্যবধান থেকে যায়। এমন সময় তার ভাগ্যের লিখন এগিয়ে আসে। তখন সে জাহান্নামীদের আমলের অনুরূপ আমল করে থাকে এবং পরিণতিতে সে জাহান্নামে প্রবেশ করে।
এই হাদিসগুলোও দেখতে পারেন:
  • সহিহ বুখারী, খন্ড ৮, বই ৭৭, হাদিস ৫৯৩
  • সহিহ বুখারী, খন্ড ৪, বই ৫৪, হাদিস ৪৩০
  • সহিহ বুখারী, খন্ড ৪, বই ৫৫, হাদিস ৫৫০
  • সহিহ বুখারী, খন্ড ১, বই ৬, হাদিস ৩১৫
  • সহিহ বুখারী, খন্ড ৯, বই ৯৩, হাদিস ৫৪৬
  • সহিহ বুখারী, খন্ড ৮, বই ৭৭, হাদিস ৫৯৪
  • সহিহ মুসলিম, বই ৩৩, হাদিস ৬৩৯০
তাই এই কথা নিঃসন্দেহে প্রমানিত যে, ইসলামে ফ্রি উইল নেই, সব আগে থেকে আল্লাহ নির্ধারন করে রাখেন। জাহান্নামীও বানান আল্লাহ, জান্নাতীও বানান আল্লাহ। তার লিখে রাখা নাটকের স্ক্রিপ্টে সব মুমিনরা নাচছে।

যে জাহান্নামে যাবে, তার নিজের দোষটা কোথায়? আল্লাহ তো তার জন্মের আগেই তাকে স্ক্রিপটেড করে দিয়েছেন যাতে সে জাহান্নামী হয়, যার জন্মের আগেই আল্লাহ জাহান্নাম ফিক্সড করে দিয়েছেন, এতে কি তার নিজের কোনো হাত থাকতে পারে?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন