লিখেছেন নরসুন্দর মানুষ
চারুকলা
সংস্কৃতি মানুষের
মানবীয় গুনকে
বিকশিত করে, একজন মরুদস্যুর পক্ষে কখনো তা বোঝা সম্ভব নয়! আমরা তার এই ঘৃণার আর অমানবিকতার
আভাস দিয়ে শেষ করছি এই মহা-মানবের (!) জীবন-চরিতের প্রথম পাঠ! আশাকরছি পরের খণ্ডে থাকবে
আরও অনেক অনেক চমক!
বুখারী-৭-৭২-৮৪৩: জিব্রাঈল (একবার) মুহাম্মদের-এর নিকট (আগমনের) ওয়াদা করেন।
কিন্তু তিনি আসতে দেরী করেন। এতে নবী-এর খুবই কষ্ট হচ্ছিল। এরপর নবী বের হয়ে পড়লেন।
তখন জিব্রাঈলের সাথে তাঁর সাক্ষাত হলো। তিনি যে মানসিক কষ্ট পেয়েছিলেন সে বিষয়ে তাঁর
কাছে বর্ণনা করলেন। তখন জিব্রাঈল বললেন: যে ঘরে ছবি বা কুকুর থাকে সে ঘরে আমরা কখনো
প্রবেশ করি না।
বুখারী-৮-৭৩-১৩০: আয়েশা থেকে বর্ণিত: একবার নবী আমার নিকট আসলেন। তখন ঘরে
একখানা পর্দা ঝুলানো ছিল। যাতে ছবি ছিলো। তা দেখে নবী-এর চেহারার রং বদলিয়ে গেল। এরপর
তিনি পর্দাখানা হাতে নিয়ে ছিড়ে ফেললেন। আয়েশা বলেন, নবী লোকদের মধ্যে বললেন: কিয়ামতের
দিন সবচেয়ে কঠিন আযাব হবে ঐসব লোকদের যারা এ সকল ছবি আঁকে।
বুখারী-৪-৫৪-৪৪৭: আয়েশা থেকে বর্ণিত: আমি নবী-এর জন্য প্রাণীর ছবিযুক্ত একটি
বালিশ তৈরি করেছিলাম। যেন তা একটি ছোট গদী। এরপর তিনি এসে দু'দরজার মাঝখানে দাঁড়ালেন
এবং তাঁর চেহারা বিবর্ণ হয়ে গেল। তখন আমি বললাম, ‘ইয়া রাসুলুল্লাহ আমার কি অপরাধ হয়েছে?
তিনি বললেন: এ বালিশটি কেন? আমি বললাম, এ বালিশটি আপনার, এর উপর ঠেস দিয়ে বসতে পারেন
আমি সে জন্য তৈরি করেছি। নবী বললেন, (হে আয়িশা, তুমি কি জান না?) যে ঘরে প্রাণীর ছবি
থাকে, সেখানে (রহমতের) ফিরিশতা প্রবেশ করেন না? আর যে ব্যক্তি প্রাণীর ছবি আঁকে তাকে
কিয়ামতের দিন শাস্তি দেওয়া হবে? তাকে (আল্লাহ) বলবেন, ‘তুমি যে প্রাণীর ছবি বানিয়েছো,
এখন তাকে প্রাণ দান কর।’
বুখারী-৩-৩৪-৪২৮: সাঈদ ইবনে আবুল হাসান সূত্রে বর্নিত: আমি ইবনে আব্বাস এর
নিকট উপস্থিত ছিলাম। এমন সময়ে তাঁর কাছে এক ব্যক্তি এসে বলল, হে আবু আব্বাস, আমি এমন
ব্যক্তি যে, আমার জীবিকা হস্তশিল্পে। আমি এ সব ছবি তৈরি করি। ইবনে আব্বাস তাকে বলেন,
(এ বিষয়ে) রাসুলূল্লাহ-কে আমি যা বলতে শুনেছি, তাই তোমাকে শোনাবো। তাঁকে আমি বলতে শুনেছি,
যে ব্যক্তি কোন ছবি তৈরি করে মহান আল্লাহ্ তাআলা তাকে শাস্তি দিবেন, যতক্ষন না সে তাতে
প্রান সঞ্চার করে। আর সে তাতে কখনো প্রান সঞ্চার করতে পারবেনা। (একথা শুনে) লোকটি ভীষনভাবে
ভয় পেয়ে গেল এবং তার চেহারা ফ্যাকাসে হয়ে গেল। এতে ইবনে আব্বাস বললেন, আক্ষেপ তোমার
জন্য, তুমি যদি এ কাজ না-ই ছাড়তে পারো, তবে এ গাছ-পালা এবং যে সকল জিনিসে প্রাণ নেই,
তা তৈরি করতে পারো।
হাদীসের দ্বিতীয় পাঠের আগে
এ সিরিজটির শেষ অধ্যায়ের পর একথা বললে হয়ত বেশী বলা হবে না, মুহাম্মদ
একজন মধ্যম মানের নীতিবোধ সম্পন্ন মরুদস্যু ছিলেন, তার অনুসারীদের জন্য তার যতটা প্রেম
এবং যত্ন ছিলো, ঠিক ততটাই বিপরীত ছিলেন তিনি অমুসলিম এবং মুশরিকদের বেলায়! এটি অনেকটা
এমন; একজন সিরিয়াল কিলারও তার পরিবারের সদস্যদের ভালোবাসে, কিন্তু তা দিয়ে তার মানবিকতার
পরিচয় দেওয়া হয়না!
মুহাম্মদ হয়ত নারী-দাস দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে তার সময়কে কিছুটা অতিক্রম করতে
পেরেছিলেন, তবে তা সময়ের কালক্রমে বাতিল হয়ে গেছে হাজার বছর আগেই; আর আগামী খণ্ডে যদি
মুহাম্মদের এমন পরিচয় পাওয়া যায়, যা তার পক্ষ নিতে আপনার ঘৃণাবোধ জাগিয়ে তোলে; তবে
তার দায়-দায়িত্ব আমাকে না দিয়ে হাদীস সংকলকদের দিলেই, কাউকে অপবাদ দেবার বোঝা আমার
মাথায় চাপবে না!
এসকল হাদীসের কারণে অনেক মুমিন এখন আর হাদীস মানতে চান না! তাই আমাদের
সবার আগে বুঝে নেওয়া উচিত আপাত দৃষ্টিতে অবোধ্য মুহাম্মদীয়-বার্তা সংকলন কোরআন কি হাদিস থেকে
ভিন্ন কিছু শেখায়? কেনো কোরআন পড়ে বোঝা যায়না কিছুই, আর কীভাবে আপনার কাছে
কোরআনের সহজবোধ্য সংক্ষিপ্ত রূপরেখা তুলে ধরা যায়! যা কোরআনকে মুহাম্মদের মনোজগতের
মুখপাত্র বলে প্রমাণ করাতে পারে; তবে আগামী ইবুকের বিষয় তাই হোক! আপাতত প্রচ্ছদটি দেখে
রাখুন!
ধর্মকারী থেকে নরসুন্দর মানুষ-এর আরও পাঁচটি ইবুক এখনই সংগ্রহ করতে পারেন, তারও প্রচ্ছদের ছবি দিয়ে দিলাম; আশাকরছি কাজে লাগেবে আপনার!
ধর্মকারী থেকে নরসুন্দর মানুষ-এর আরও পাঁচটি ইবুক এখনই সংগ্রহ করতে পারেন, তারও প্রচ্ছদের ছবি দিয়ে দিলাম; আশাকরছি কাজে লাগেবে আপনার!
ধন্যবাদ
“হাদীসের প্রথম পাঠ” ইবুক হয়ে
আসবে আগষ্টের প্রথম সপ্তাহেই!
মন্তব্য করতে দেরী হয়ে গেল, যদিও পড়তে দেরী হয়নি। গতকালকেই পড়েছিলাম, আজ আবারো পড়লাম। আপনার প্রতিটি পর্ব নতুন ভাবনার যোগান দিত, দিয়েছে।
উত্তরমুছুনএকরাশ আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভকামনা, আপনার জন্য।
-TruthToSaveGeneration
ধন্যবাদ অাপনাকে;
মুছুনকিন্তু সমস্যা হচ্ছে পচারকের মৃত্যু অামার দানবীয় গতিকে শামুক গতীতে রূপান্তরিত করে দিয়েছে…!
শত শত অাইডিয়া থাকলেও লিখতে পারছি না...!
এখন যা পাচ্ছেন, সবই পচারকের দেখে যাওয়া কাজের অংশ……!
আপনার সাথে কাউকে নিন।
উত্তরমুছুনআমরা সবাই পচারক। এক পচারক থেকে হাজার পচারক জন্ম নিয়েছে। পচারক মরেনা। যুগে যুগে বেঁচে থাকে।
উত্তরমুছুন