কুফরী কিতাব

ধর্মকারীর ৩৩ কুফরী কিতাব
ধর্মকারীর পক্ষ থেকে অনলাইনে লভ্য সমস্ত বাংলা কুফরী কিতাব একত্র করার উদ্যোগ নিয়ে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে কুফর-e-কিতাব নামের আলাদা একটি আর্কাইভ, যেখানে এই মুহূর্তে রাখা আছে ৯০টি বই।

‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌~~~~~~~~~~~~~~~~~~

১. হজরত মহাউন্মাদ ও কোরান-হাদিস রঙ্গ

পাতায় পাতায় অজস্র মজাদার ইলাস্ট্রেশন ও কার্টুনে ভরা বই। নবীজিকে জানতে হলে এ বইটি পড়তেই হবে। মূল ইংরেজি থেকে অনুবাদ ও ফটোমাস্তানির মতো অত্যন্ত সময়সাপেক্ষ ও শ্রমসাধ্য এই কাজটি যিনি করেছেন...

ই-বুক নির্মাতা: নাম প্রকাশে অনীহ।
পোস্টে ডাউনলোড লিংক ছাড়াও অনলাইনে পাঠযোগ্য ভার্শনও এমবেড করা আছে। 
এই বইয়ে কোরান, হাদিস ও অনান্য বিশ্বস্ত ইসলামী রচনা থেকে নারী সম্পর্কে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হুবহু উদ্ধৃত করা হয়েছে মূলত। বলা চলে, ইসলামী উদ্ধৃতির সংকলন। কাজটি করেছেন নিলয় নীল
ধর্মকারীর পাঠকদের কাছে অনুরোধ, আপনারা আপনাদের ঘনিষ্ঠ ও পরিচিত মেয়েদেরকে এই বইটি পড়তে উদ্বুদ্ধ করুন। ধর্মের কারণে নারীরাই সবচেয়ে বেশি অত্যাচারিত, বঞ্চিত ও অবহেলিত হলেও ধর্মবিশ্বাসীদের সংখ্যা মেয়েদের ভেতরেই বেশি কেন, সে এক রহস্য। এই অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে হবে। এবং তা ঘটানো সম্ভব মেয়েদের ভেতরে সচেতনতা তৈরির মাধ্যমে।

ই-বুক নির্মাতা: কৌস্তুভ ও থাবা বাবা।

পোস্টে ডাউনলোড লিংক ছাড়াও অনলাইনে পাঠযোগ্য ভার্শনও এমবেড করা আছে। 
হিন্দুধর্মে নারীর অবস্থান বিষয়ে নিলয় নীল-এর সংকলিত রচনাকে ই-বুক আকারে প্রকাশ করে মা দুর্গার চরণে নিবেদন করা হয়েছে।

ই-বুক নির্মাতা: কৌস্তুভ।

পোস্টে ডাউনলোড লিংক ছাড়াও অনলাইনে পাঠযোগ্য ভার্শনও এমবেড করা আছে। 
এক টিকেটে তিন ছবি! থুক্কু... এক বইয়ে তিনটি কমিক! 
'কামুক' নামের কমিক সিরিজটি সম্পূর্ণভাবেই কোরান ও হাদিসনির্ভর। কাল্পনিক বা মনগড়া তথ্য তাতে নেই। ফলে কমিকগুলোকে অবলীলায় ছহীহ বলা যেতে পারতো। কিন্তু যেহেতু এসবে ইসলামের নবীর বদন মোবারক দেখানো হয়েছে, তাই কমিকগুলো স্পষ্টতই কুফরী। 
ই-বুক নির্মাতা: মুহম্মদ জোঁক, ছাগলনাইয়ার বনলতা সেন, শয়তানের চ্যালা, কৌস্তুভ ও Suirauqa.

পোস্টে ডাউনলোড লিংক ছাড়াও অনলাইনে পাঠযোগ্য ভার্শনও এমবেড করা আছে। 
Mohammad Mockerof Islam - দুর্দান্ত অর্থবহ এই নিকবাহী ব্যক্তি কয়েক মাস আগে তেরোখানা পোস্টার বানিয়ে ধর্মকারীতে পাঠিয়েছিলেন। প্রতিটি পোস্টারই ছিলো অত্যন্ত সুনির্মিত ও পেশাদারী ধাঁচের। উদ্ভাবনী আইডিয়া, সৃজনশীল প্রকাশ,  বুদ্ধিদীপ্ত শব্দক্রীড়া, সূক্ষ্ম রসবোধ ও তীব্র ব্যঙ্গাত্মক ভাষার সফল সমন্বয়ে পোস্টারগুলো হয়ে উঠেছিল অভিনব, অনন্য।
ই-বুক নির্মাতা: দিগম্বর পয়গম্বর।

পোস্টে ডাউনলোড লিংক ছাড়াও অনলাইনে পাঠযোগ্য ভার্শনও এমবেড করা আছে। 

আমার এক বিদেশী নাস্তিক বন্ধু একবার বলেছিল, তাকে যদি কোনও একটি ধর্ম বেছে নিতে বাধ্য করা হয়, সে ইসলাম বেছে নেবে দ্বিতীয়বার না ভেবে। আমার অবাক দৃষ্টি দেখে সে তার বক্তব্যের ন্যায্যতা প্রমাণ করলো এভাবে: পুরুষের জন্য এমন বৈধ ইন্দ্রিপরায়ণ জীবনযাপনের সুযোগ আর কোন ধর্মে আছে? 
তার কথার সত্যতা না মেনে উপায় নেই। অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাঙালি লেখক আবুল কাশেম-এর 'ইসলামে কাম ও কামকেলি' নামের গবেষণামূলক দীর্ঘ রচনা পড়ে অনেক নাস্তিক পুরুষই ইসলাম গ্রহণে প্রলুব্ধ হতে পারে  
ই-বুক নির্মাতা: কৌস্তভ।

পোস্টে ডাউনলোড লিংক ছাড়াও অনলাইনে পাঠযোগ্য ভার্শনও এমবেড করা আছে। 

থাবা বাবার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে ধর্মকারীতে প্রকাশিত তাঁর ছোট-বড়ো সমস্ত রচনা, তাঁর বানানো বা অনূদিত পোস্টার-কার্টুনগুলোর সংকলন ই-বুক আকারে রাখা হয়েছে।
ই-বুক নির্মাতা: কৌস্তভ।

পোস্টে ডাউনলোড লিংক ছাড়াও অনলাইনে পাঠযোগ্য ভার্শনও এমবেড করা আছে। 

শিশুদের মগজ ধোলাই করে তা অপ্রমাণিত, ভিত্তিহীন ও ভূয়া তথ্য তথা আবর্জনায় পূর্ণ করতে "ছোটদের ধর্মশিক্ষা", "ছোটদের মহানবী" ধাঁচের উৎকট রূপকথা ও কুৎসিত মিথ্যাকণ্টকিত বইয়ের সংখ্যা অগণ্য।
কিন্তু আল্লাহ-ধর্ম সম্পর্কে বাস্তব ও স্পষ্ট ধারণা দিয়ে শিশুকে চিন্তা-স্বাবলম্বী করে তোলার ও তার মুক্তচিন্তা বিকাশের পথ খুলে দিতে সহায়তা করার জন্য বাংলা ভাষায় প্রকাশিত বই, খুব সম্ভব, নেই। বা থাকলেও একেবারেই অঙ্গুলিমেয়। 
ওয়ালিদ আল হুসেইনি নামের এক প্যালেস্টাইনী ব্লগারের লেখা সচিত্র বই All Gods Came From One Place বইটি ঠিক সেই ধাঁচের। সেটাকে 'ঈশ্বরদের জন্মকথা' নাম দিয়ে বাংলায় রূপান্তর করেছেন ছাগলনাইয়ার বনলতা সেন। 
অত্যন্ত সরল ভাষায় রচিত অতীব সুখপাঠ্য এই বইটি শিশুতোষ হলেও প্রাপ্তবয়স্করাও চিন্তার অনেক খোরাক খুঁজে পাবেন তাতে। অতএব নিজে পড়ুন, আশেপাশের সমস্ত শিশুকে পড়তে দিন বা পড়ে শোনান। প্রশ্নাতীত আনুগত্য ও নিঃশর্ত বিশ্বাস যেন শিশুদের গ্রাস না করে।

ই-বুক নির্মাতা: ছাগলনাইয়ার বনলতা সেন

পোস্টে ডাউনলোড লিংক ছাড়াও অনলাইনে পাঠযোগ্য ভার্শনও এমবেড করা আছে। 

৯. নবী মোর দয়ার খনি

ইছলামের নবীকে নিয়ে বাংলায় অনূদিত আরও একটি কমিক। দয়ার খনি ইছলামের নবীর খুনী চরিত্রের যৎসামান্য নমুনা পাওয়া যাবে বর্তমান কমিকে। এতে বর্ণিত প্রতিটি ঘটনাই নানান ইছলামী সূত্র থেকে নেয়া - কাফেরদের মস্তিষ্কপ্রসূত নয়।
ই-বুক নির্মাতা: ছাগলনাইয়ার বনলতা সেন। 
পোস্টে ডাউনলোড লিংক ছাড়াও অনলাইনে পাঠযোগ্য ভার্শনও এমবেড করা আছে।


১০. মহা-ম্যাডের গাধা

ইছলামের নবী একবার এক গাধার সাথে কিছু বাতচিত করসিল। না, হাইসেন না। সমগোত্রীয়রা একে অপরের কথা বুঝবে, তাতে অবাক হওনের কিছু নাই। এবং তারচে' বড়ো কথা, এই কাহিনী কাফেরদের মনগড়া নয়, ছহীহ ইছলামী সূত্র থিকা নেওয়া।
অনুবাদক ও ই-বুক নির্মাতা: দাঁড়িপাল্লা ধমাধম।

পোস্টে ডাউনলোড লিংক ছাড়াও অনলাইনে পাঠযোগ্য ভার্শনও এমবেড করা আছে।


১১. নিঃসীম নূরানী অন্ধকারে

তামান্না ঝুমুর লেখা তীব্র শ্লেষাত্মক ও প্রশ্ন-জাগানিয়া ছোট ছোট ক্ষুরধার চিন্তার সিরিজ 'নিঃসীম নূরানী অন্ধকারে' ধর্মকারীতে প্রকাশকালেই পাঠকমহলে যথেষ্ট সাড়া জাগিয়েছে। ই-বুক বানানোর দাবিও উত্থাপিত হয়েছিল বারকয়েক। দাবি মেনে নিয়ে প্রকাশ করা হয়েছে 'নিঃসীম নূরানী অন্ধকারে'।

ই-বুক নির্মাতা: সায়ন, প্রচ্ছদকার: দিগম্বর পয়গম্বর

পোস্টে ডাউনলোড লিংক ছাড়াও অনলাইনে পাঠযোগ্য ভার্শনও এমবেড করা আছে।

বৌদ্ধধর্মে অঙ্গুত্তর নিকায় চতুর্থ খণ্ডে সাত প্রকারের স্ত্রীর বর্ণনা আছে। এদের মধ্য থেকে থেকে দাসীসমা স্ত্রীকেই আদর্শ স্ত্রী বলেছে মানবতাবাদী মহাপুরুষ গৌতম বুদ্ধ। দাসীসমা স্ত্রীর বৈশিষ্ট্য: স্বামীর অনুগত, স্বামীকে সন্তুষ্ট করা, স্বামীর দোষ না ধরা, প্রশংসা করা, দণ্ড মাথা পেতে নেওয়া, স্বামীকে সামান্যতম কষ্টও না দেওয়া ইত্যাদি।

বুদ্ধের দর্শন অনুসারে বানানো তথাকথিত প্রগতিশীল বৌদ্ধধর্ম নারীকে কোন চোখে দেখে, সে বিষয়ে ধারণা আছে খুব কম লোকেরই। বস্তুত এ বিষয়ে অন্য ধর্মগুলোর চেয়ে কোনও অংশেই পিছিয়ে নেই বৌদ্ধধর্ম। মহান এই ধর্মে নারীকে 'উন্মুক্ত মলের মতো দুর্গন্ধযুক্ত' আখ্যা দানের মাধ্যমে সর্বোচ্চ সম্মান দেয়া হয়েছে। নারীমর্যাদাবৃদ্ধিকারী এমন আরও অসংখ্য নিদর্শন পাওয়া যাবে নিলয় নীল সংকলিত এ বইয়ে।

ই-বুক নির্মাতা: কৌস্তুভ

পোস্টে ডাউনলোড লিংক ছাড়াও অনলাইনে পাঠযোগ্য ভার্শনও এমবেড করা আছে।


১৩. নাস্তিকদের কটূক্তির দাঁতভাঙা জবাব

এতো অল্প বয়সেই পরিপক্ক স্বচ্ছ চিন্তা, স্পষ্ট শাণিত যুক্তি ও বুদ্ধিদীপ্ত প্রকাশভঙ্গির মাধ্যমে নিজের জাত চেনাতে পেরেছিলেন তিনি। তাঁর লেখা তাঁকে করে তুলেছিল অন্যদের চেয়ে আলাদা, স্বতন্ত্র। এমনকি মহানবীর মহান বীর অনুসারীরাও বুঝে গিয়েছিল, এই ছেলের ভেতরে আগুন আছে, যা ইছলামের আরোপিত মেকি সৌন্দর্য ঝলসে দিয়ে প্রকৃত কদর্য রূপটি প্রকাশ করতে শুরু করেছে।
যুক্তি-বুদ্ধি দিয়ে মোকাবিলার সামর্থ্য ও ক্ষমতা ইছলামীদের নেই। ক্ষুরধার যুক্তির কাপুরুষোচিত উত্তর ধারালো চাপাতির মাধ্যমে দিয়ে তারা অভ্যস্ত। আর সেটাই তারা করেছে গত বছর এই দিনে। যদিও দুই হত্যাকারী ধরা পড়েছে ঘটনাস্থলেই, তবু এই এক বছরে বিচারকার্যের কোনও অগ্রগতি হয়েছে বলে খবর পাওয়া যায়নি। এর একমাত্র কারণ - কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছার অভাব। মদিনা সনদ অনুযায়ী পরিচালিত দেশের সরকারটি এখন দেশজুড়ে মসজিদ-মাদ্রাসার প্রসারে (পড়ুন, ইছলামী উগ্রবাদের প্রসারে) অন্তপ্রাণ, হেফাজতলেহন ও মোল্লাতোষণকে তা গ্রহণ করেছে রাষ্ট্রীয় নীতি হিসেবে। 
বর্তমান ইবুকে গ্রন্থিত ওয়াশিকুর বাবুর লেখা সূক্ষ্ম রসের এই সিরিজটি জনপ্রিয়তা পেয়েছিল খুব। এতে ধর্মবিশ্বাসীদের ব্যবহৃত যুক্তিগুলোর দুর্বলতা, অর্থহীনতা, স্ববিরোধিতা, অসারত্ব ও অসাড়ত্ব ব্যবহার করে তাদের যুক্তি দিয়ে তাদেরকেই ঘায়েল করেছেন তিনি।
এই ইবুকের একেক পাতায় দু'টি করে প্রশ্নোত্তর দেয়া আছে এবং পাঠককে মনে রাখতে হবে, একটি অপরটির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও তারা পরস্পরের পরিপূরক। দুই প্রশ্নোত্তরের মাঝখানে একটি উভমুখী তীর দিয়ে তা নির্দেশ করার চেষ্টা করা হয়েছে।

পোস্টে ডাউনলোড লিংক ছাড়াও অনলাইনে পাঠযোগ্য ভার্শনও এমবেড করা আছে।


১৪. ইসলামে নারী এবং যৌনতা

বইটি লিখেছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ও কিংবদন্তিতুল্য ইছলাম-গবেষক এবং কোরান, হাদিস ও ইছলামের ইতিহাস সম্পর্কে অগাধ পাণ্ডিত্যের অধিকারী আবুল কাশেম। ২০১৬ সালের বইমেলায় এই বইটি প্রকাশের কথা ছিলো ব-দ্বীপ প্রকাশনী থেকে। কিন্তু বাংলাস্তানের মুছলিমদের ধ্বজভঙ্গ নুনুভূতিতে আঘাত দেয়া বই প্রকাশের অভিযোগ তুলে মদিনা সনদের সরকার ব-দ্বীপ প্রকাশনীর মালিক শামসুজ্জোহা মানিককে গ্রেপ্তার করলে বর্তমান বইটির প্রকাশ স্থগিত হয়ে যায়।
তখন আবুল কাশেম এই বইটির ড্রাফট পিডিএফ আকারে ধর্মকারীতে রাখার ইচ্ছে প্রকাশ করেন। 
পোস্টে ডাউনলোড লিংক ছাড়াও অনলাইনে পাঠযোগ্য ভার্শনও এমবেড করা আছে।


১৫. ইসলামের অজানা অধ্যায় (প্রথম খণ্ড - কুরানে বিগ্যান ও ইসলাম: উদ্ভট উটের পিঠে)

"ইরানী মুক্তচিন্তক আলী দস্তি (১৮৯৬-১৯৮১) খুঁজতেন আনেস্ট রেনানের (১৮২৩-১৮৯২) মত মেধা আর এমিল লুদভিগের মত গবেষণা করার দক্ষতাসম্পন্ন মানুষ; আলী দস্তি বেঁচে থাকলে তাঁর খোঁজ হয়ত এই ইবুকটির লেখক এবং গবেষক গোলাপ মাহমুদকে দিয়ে শেষ হতে পারতো!

নিবিড় নিষ্ঠা ও অবিশ্বাস্য অধ্যাবসায় কাকে বলে, এই সিরিজের যে কোনো একটি পর্ব মন দিয়ে পড়লেই পাঠক তা উপলব্ধি করতে পারবেন।

১৪০০ বছরের ইতিহাসে মুহাম্মদ ও ইসলামকে নিয়ে কাজ হয়েছে প্রচুর; কিন্তু গোলাপ মাহমুদ-এর মত ইসলামের মূল তথ্যসূত্র দিয়ে এত মেধাবী লেখা হয়ত এটাই প্রথম।

এটি তাঁর গবেষণা-সিরিজের প্রথম ইবুক।"
ওপরের কথাগুলো লিখেছেন নরসুন্দর মানুষ - অনিন্দ্যসুন্দর এই ইবুকটির নির্মাতাও তিনি। স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে তিনি অত্যন্ত সময়সাপেক্ষ এই কাজটি করেছেন। তবে কাজ শুরু করার সময় তিনি আমার খাইশটা খাসলত সম্পর্কে অবগত ছিলেন না বলে অনুতপ্ত হয়েছেন নিশ্চয়ই! কারণ, কোনওকিছু নিজে করার মুরোদ আমার না থাকলেও একটি ব্যাপারে আমি প্রশ্নাতীত প্রতিভার অধিকারী, সেটা হচ্ছে - অন্যের কাজে খুঁত বের করা। মওকা পেয়ে নিজের এই পারদর্শিতা প্রবলভাবে প্রয়োগ করেছিলাম তাঁর অপরিমেয় পরিশ্রমসাধ্য অতি সুনির্মিত এই ইবুকের ওপরে। তিনি, বেচারা, আমার ছিদ্রান্বেষী স্বভাবটি কীভাবে লাগাতার সহ্য করে গেছেন, ভেবে থই পাই না।
আর হ্যাঁ, ধর্মকারী ব্লগে গোলাপের গবেষণা-সিরিজটির ধারাবাহিক প্রকাশ অব্যাহত থাকছে এবং পাশাপাশি বর্তমান ইবুকের দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম... খণ্ডও একে একে আলোর মুখ দেখবে অচিরকালেই। অনন্যসাধারণ এই কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত আছে বলে ধর্মকারী অহংকার করতেই পারে।

পোস্টে ডাউনলোড লিংক ছাড়াও অনলাইনে পাঠযোগ্য ভার্শনও এমবেড করা আছে।


১৬. ইসলামের অজানা অধ্যায় (দ্বিতীয় খণ্ড - মুহাম্মদের ব্যক্তিমানস জীবনী: মদিনায় মুহাম্মদ - এক)

ইছলামের প্রকৃত ও বিশদ ইতিহাস এবং নবী মুহাম্মদের জীবনী, চরিত্র ও মনস্তত্ত্ব সম্পর্কে জানতে হলে পরিশ্রমী গবেষক ও সুলেখক গোলাপ মাহমুদ রচিত এই ইবুক-সিরিজটি আপনাকে পড়তেই হবে। দীর্ঘ এই রচনাটি সম্পূর্ণভাবে আদি ও মূল ইছলামী তথ্যসূত্রনির্ভর। এতে উল্লেখিত প্রতিটি ঘটনা ও তথ্য সম্পূর্ণভাবে নির্ভরযোগ্য এবং স্বীকৃত ইছলামী দলিলের মাধ্যমে সমর্থিত - একটি তথ্যও মনগড়া, অমূলক ও ভিত্তিহীন নয়।
"ইসলামের অজানা অধ্যায়"-এর দ্বিতীয় খণ্ড আজ প্রকাশ করা হচ্ছে। এতে "মুহাম্মদের ব্যক্তিমানস জীবনী"-র প্রথম পর্ব "মদিনায় মুহাম্মদ - এক" অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নবীচরিতের এমন নিখুঁত, গভীর ও এতো বিস্তারিত বিশ্লেষণ বাংলা ভাষায় আগে কখনও করা হয়েছে বলে মনে হয় না।
এই ইবুকের বিপুল শ্রমসাপেক্ষ নির্মাণকর্মের সম্পূর্ণ কৃতিত্ব নরসুন্দর মানুষ-এর। নামে মানুষ হলেও তিনি, প্রকৃতপক্ষে, অমানুষ। স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে অবিশ্বাস্য উৎসাহের সঙ্গে নিরলসভাবে করা এই কাজগুলো তাঁর চরিত্রের অমানুষিক দিকটিই প্রকট করে তোলে। তিনি জানিয়েছেন, পরবর্তী খণ্ডও নাকি প্রায় প্রস্তুত!... তাঁকে পেয়ে ধর্মকারী ঋদ্ধ হয়েছে।
আর হ্যাঁ, ধর্মকারী ব্লগে গোলাপের গবেষণা-সিরিজটির ধারাবাহিক প্রকাশ অব্যাহত থাকছে এবং পাশাপাশি বর্তমান ইবুকের তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম... খণ্ডও একে একে আলোর মুখ দেখবে অচিরকালেই। অনন্যসাধারণ এই কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত আছে বলে ধর্মকারী অহংকার করতেই পারে।

পোস্টে ডাউনলোড লিংক ছাড়াও অনলাইনে পাঠযোগ্য ভার্শনও এমবেড করা আছে।


১৭. নিলয় নীল: নির্বাচিত নিবন্ধ

নিলয় নীল ধর্মকারীতে লিখতে শুরু করেছিলেন ২০১০ সালের শুরুর দিকে - ধর্মকারী চালু হবার কয়েক মাস পরের কথা সেটা। লিখেছেন অনেক নিবন্ধ। বিভিন্ন ধর্ম নিয়ে, বিচিত্র বিষয় নিয়ে। তাঁর লেখা সেইসব নিবন্ধ থেকে সেরাগুলো বেছে নিয়ে সংকলিত করা হলো এই ইবুকে, যার নির্মাতা নরসুন্দর মানুষ, যাঁর আছে অনিঃশেষ উৎসাহ ও বিস্ময়জাগানিয়া ধৈর্য।
আরও মনে পড়ে, ধর্মকারী থেকে প্রকাশিত দ্বিতীয় ও তৃতীয় ইবুক দু'টির সংকলক ছিলেন নিলয় নীল। ইছলাম ও হিন্দুধর্মে নারীরা কতোটা ঘৃণ্য, অপাংক্তেয় এবং ক্ষেত্রবিশেষে অস্পৃশ্য - সেটাই ছিলো ধর্মীয় কিতাবের উদ্ধৃতিবহুল এই বই দুটোর উপজীব্য। ইবুক দুটোর নাম – ‘ইসলামী শস্যক্ষেত্র’ ও ‘সনাতনী কামিনী’।
এর পরে তিনি "ভালো ধর্ম" হিসেবে প্রচারিত (যদিও ‘ভালো’ ও ‘ধর্ম’ – এই শব্দদু’টির সহাবস্থান অবাস্তব) বৌদ্ধধর্মে নারীর অবস্থান নিয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি একটি সিরিজ লিখতে শুরু করেন। নাম দিয়েছিলেন ‘বৌদ্ধশাস্ত্রে পুরুষতন্ত্র: নারীরা হল উন্মুক্ত মলের মতো দুর্গন্ধযুক্ত।
একটি বিষয় দিবালোকের মতো স্পষ্ট - কোনও ধর্মের প্রতিই তাঁর দুর্বলতা বা পক্ষপাতিত্ব ছিলো না। অকাতরে সমালোচনা করে গেছেন সব ধর্মেরই। কিন্তু তাঁকে প্রাণ দিতে হয়েছে ইছলামের মহানবীর মহান বীর অনুসারীদের হাতে, যারা ইছলামের ফরজ ও ছুন্নত হাছিল করে জান্নাতের হুরসঙ্গমস্বপ্নে বিভোর এখন।

পোস্টে ডাউনলোড লিংক ছাড়াও অনলাইনে পাঠযোগ্য ভার্শনও এমবেড করা আছে।


১৮. জঙ্গিনামা

অন্য সব ধর্মের জঙ্গিবাদের তুলনায় ইছলামী জঙ্গিবাদ এতো প্রবল, পরাক্রমশালী ও সর্বগ্রাসী কেন? কেন এখন জঙ্গি শব্দটির শুনলে অবধারিতভাবে মুছলিম জঙ্গির কথাই মাথায় আসে শুধু? মুছলিম জঙ্গিরা এতো সংখ্যাবহুল কেন? সাধারণ মুছলিমদেরকে কোন পদ্ধতিতে এবং নবীর জীবনের কোন কোন বীভৎস ও অমানবিক ঘটনার উদাহরণ দিয়ে উদ্বুদ্ধ করা হয় জঙ্গিবাদের পথে আসতে, এবং জঙ্গি হওয়া প্রতিটি মুছলিমের একটি ঈমানী দায়িত্ব কেন, এই প্রশ্নগুলোর উত্তর পাওয়া যাবে এই ইবুক-এ। বর্তমান ইবুকের অনুবাদক, সম্পাদক ও নির্মাতা নরসুন্দর মানুষ লিখছেন:

"প্রায়শই একটি চিন্তা মাথায় আসে আমাদের: জঙ্গি মনস্তত্ত্বের মূল উৎস কোথায়? রাজনীতি, তেলসম্পদ, ক্ষমতা; নাকি ধর্মেই? ইসলাম কি শান্তির ধর্ম? ইসলাম কি যুদ্ধের ধর্ম? ঘুরপাক খান অনেকেই! সত্যিই কি গোড়ায় গলদ না থাকলে শুধুমাত্র রাজনীতি, তেলসম্পদ আর ক্ষমতার মারপ্যাঁচ দিয়ে একজন যুবককে জঙ্গি তৈরি করা সম্ভব?

আমরা যারা নাস্তিকতার চর্চা করি, তাদের বক্তব্য মানতে চান না কোনো মডারেট মুসলিম; কিন্তু একই বক্তব্য যদি একজন ইসলামিক বিশেষজ্ঞ দেন; এমন একজন, যিনি আধুনিক শিক্ষায় ডক্টরেট ডিগ্রী পর্যন্ত অর্জন করেছেন; তখন তথাকথিত মডারেট মুসলিমদের ভাষ্য কী হতে পারে? একজন মানবতাবাদী মানুষ (সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী অথবা অবিশ্বাসী) কীভাবে নিতে পারেন ধর্মের অমানবিক বিষয়গুলোকে; তা দেখার ইচ্ছাতেই এই ইবুক-টির জন্ম।

খ্যাতনামা ইছলামবিদ শাইখ আনোয়ার আল আওলাকি’র ২০০৭ সালের ডিসেম্বরে দেয়া একটি লেকচারের অডিও প্রতিলিপিই হচ্ছে এই ইবুক-টি। আমরা তার লেকচারের বিন্দুবিসর্গ পরিবর্তন করিনি; ঠিক যেভাবে তিনি শুরু এবং শেষ করেছেন, আমরাও ঠিক তেমনটাই রেখেছি; কেবল বিশেষ অংশগুলো হাইলাইট করে দিয়েছি।"

এই লেকচারে উদ্ধৃত ইছলামী ইতিহাসের ঘটনাগুলো ইছলামের আলোকে বিশ্লেষণ করে বক্তা এটাই প্রমাণ করে দিয়েছেন যে, শুধু জঙ্গিরাই সঠিক ইছলাম মেনে চলে এবং কোরান, হাদিস ও নবীর আদর্শকে সঠিকভাবে মেনে চলতে চাইলে জঙ্গি হওয়া ছাড়া একজন মুছলিমের অন্য কোনও পথ নেই ও থাকতে পারে না।

পোস্টে ডাউনলোড লিংক ছাড়াও অনলাইনে পাঠযোগ্য ভার্শনও এমবেড করা আছে।


১৯. ইসলামের অজানা অধ্যায় (তৃতীয় খণ্ড - মুহাম্মদের ব্যক্তিমানস জীবনী: মদিনায় মুহাম্মদ - দুই)

ইছলামের প্রকৃত ও বিশদ ইতিহাস এবং নবী মুহাম্মদের জীবনী, চরিত্র ও মনস্তত্ব সম্পর্কে জানতে হলে পরিশ্রমী গবেষক ও সুলেখক গোলাপ মাহমুদ রচিত এই ইবুক-সিরিজটি আপনাকে পড়তেই হবে। দীর্ঘ এই রচনাটি সম্পূর্ণভাবে আদি ও মূল ইছলামী তথ্যসূত্রনির্ভর। এতে উল্লেখিত প্রতিটি ঘটনা ও তথ্য সম্পূর্ণভাবে নির্ভরযোগ্য এবং স্বীকৃত ইছলামী দলিলের মাধ্যমে সমর্থিত - একটি তথ্যও মনগড়া, অমূলক ও ভিত্তিহীন নয়। নবীচরিতের এমন নিখুঁত, গভীর ও এতো বিস্তারিত বিশ্লেষণ বাংলা ভাষায় আগে কখনও করা হয়েছে বলে মনে হয় না।

"ইসলামের অজানা অধ্যায়"-এর তৃতীয় খণ্ড আজ প্রকাশ করা হচ্ছে। এতে "মুহাম্মদের ব্যক্তিমানস জীবনী"-র প্রথম পর্ব "মদিনায় মুহাম্মদ - দুই" অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

এই ইবুকের বিপুল শ্রমসাপেক্ষ নির্মাণকর্মের সম্পূর্ণ কৃতিত্ব নরসুন্দর মানুষ-এর। নামে মানুষ হলেও তিনি, প্রকৃতপক্ষে, অমানুষ। স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে অবিশ্বাস্য উৎসাহের সঙ্গে নিরলসভাবে করা এই কাজগুলো তাঁর চরিত্রের অমানুষিক দিকটিই প্রকট করে তোলে।

আর হ্যাঁ, ধর্মকারী ব্লগে গোলাপের গবেষণা-সিরিজটির ধারাবাহিক প্রকাশ অব্যাহত থাকছে এবং পাশাপাশি বর্তমান ইবুকের চতুর্থ, পঞ্চম... খণ্ডও একে একে আলোর মুখ দেখবে অচিরকালেই। অনন্যসাধারণ এই কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত আছে বলে ধর্মকারী অহংকার করতেই পারে।

পোস্টে ডাউনলোড লিংক ছাড়াও অনলাইনে পাঠযোগ্য ভার্শনও এমবেড করা আছে।


২০. ঈশ্বরদের জন্মকথা (দ্বিতীয় প্রকাশ)

শিশুদের মগজ ধোলাই করে তা অপ্রমাণিত, ভিত্তিহীন ও ভূয়া তথ্য তথা আবর্জনায় পূর্ণ করতে "ছোটদের ধর্মশিক্ষা", "ছোটদের মহানবী" ধাঁচের উৎকট রূপকথা ও কুৎসিত মিথ্যাকণ্টকিত বইয়ের সংখ্যা অগণ্য। 
কিন্তু আল্লাহ-ধর্ম সম্পর্কে বাস্তব ও স্পষ্ট ধারণা দিয়ে শিশুকে চিন্তা-স্বাবলম্বী করে তোলার ও তার মুক্তচিন্তা বিকাশের পথ খুলে দিতে সহায়তা করার জন্য বাংলা ভাষায় প্রকাশিত বই, খুব সম্ভব, নেই। বা থাকলেও একেবারেই অঙ্গুলিমেয়। 
ওয়ালিদ আল হুসেইনি নামের এক প্যালেস্টাইনী ব্লগারের লেখা সচিত্র বই All Gods Came From One Place বইটি ঠিক সেই ধাঁচের। সেটাকে 'ঈশ্বরদের জন্মকথা' নাম দিয়ে বাংলায় রূপান্তর করেছেন ছাগলনাইয়ার বনলতা সেন
অত্যন্ত সরল ভাষায় রচিত অতীব সুখপাঠ্য এই বইটি শিশুতোষ হলেও প্রাপ্তবয়স্করাও চিন্তার অনেক খোরাক খুঁজে পাবেন তাতে। অতএব নিজে পড়ুন, আশেপাশের সমস্ত শিশুকে পড়তে দিন বা পড়ে শোনান। প্রশ্নাতীত আনুগত্য ও নিঃশর্ত বিশ্বাস যেন শিশুদের গ্রাস না করে।

(ই-বুকটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ২০১৪ সালের এপ্রিল মাসে। নির্মাণ করেছিলেন অনুবাদক নিজেই। তাঁর সেই ই-বুককে অপরিবর্তিত রেখে সেটাকে একটু বিশেষ ঝলমলে সাজে সজ্জিত করে আরও খানিকটা শিশুতোষ রূপ দিয়েছেন নরসুন্দর মানুষ।)

পোস্টে ডাউনলোড লিংক ছাড়াও অনলাইনে পাঠযোগ্য ভার্শনও এমবেড করা আছে।


২১. ইসলামে নারী এবং যৌনতা (দ্বিতীয় প্রকাশ)

বইটি লিখেছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ও কিংবদন্তিতুল্য ইছলাম-গবেষক এবং কোরান, হাদিস ও ইছলামের ইতিহাস সম্পর্কে অগাধ পাণ্ডিত্যের অধিকারী আবুল কাশেম। ২০১৬ সালের বইমেলায় এই বইটি প্রকাশের কথা ছিলো ব-দ্বীপ প্রকাশনী থেকে। কিন্তু বাংলাস্তানের মুছলিমদের ধ্বজভঙ্গ নুনুভূতিতে আঘাত দেয়া বই প্রকাশের অভিযোগ তুলে মদিনা সনদের সরকার ব-দ্বীপ প্রকাশনীর মালিক শামসুজ্জোহা মানিককে গ্রেপ্তার করলে বর্তমান বইটির প্রকাশ স্থগিত হয়ে যায় (এতোদিনেও তাঁর জামিন পর্যন্ত হয়নি, অথচ গুলশান হামলায় অস্ত্র-হাতে আটককৃত চাক্ষুষ জঙ্গি মুক্ত এখন)।
তখন আবুল কাশেম এই বইটির ড্রাফট পিডিএফ আকারে ধর্মকারীতে রাখার ইচ্ছে প্রকাশ করেন। তাৎক্ষণিকভাবে সেটাই করা হয়েছিল। এর পরে নরসুন্দর মানুষ নিজ উৎসাহে ও উদ্যোগে সেই পিডিএফ-কে একটি সুদৃশ্য ইবুকে পরিণত করেছেন।

পোস্টে ডাউনলোড লিংক ছাড়াও অনলাইনে পাঠযোগ্য ভার্শনও এমবেড করা আছে।

"জঙ্গিনামা" সিরিজের আগের খণ্ড প্রকাশের সময় লেখা হয়েছিল, "অন্য সব ধর্মের জঙ্গিবাদের তুলনায় ইছলামী জঙ্গিবাদ এতো প্রবল, পরাক্রমশালী ও সর্বগ্রাসী কেন? কেন এখন জঙ্গি শব্দটির শুনলে অবধারিতভাবে মুছলিম জঙ্গির কথাই মাথায় আসে শুধু? মুছলিম জঙ্গিরা এতো সংখ্যাবহুল কেন? সাধারণ মুছলিমদেরকে কোন পদ্ধতিতে এবং নবীর জীবনের কোন কোন বীভৎস ও অমানবিক ঘটনার উদাহরণ দিয়ে উদ্বুদ্ধ করা হয় জঙ্গিবাদের পথে আসতে, এবং জঙ্গি হওয়া প্রতিটি মুছলিমের একটি ঈমানী দায়িত্ব কেন, এই প্রশ্নগুলোর উত্তর পাওয়া যাবে এই ইবুক-এ।"
আর বর্তমান খণ্ডকে আগের খণ্ডের তাফসীর বা ব্যাখ্যা হিসেবে ধরে নিতে হবে - এ কথা বলেছেন বইটির সংকলক, অনুবাদক ও নির্মাণকারী নরসুন্দর মানুষ
পোস্টে ডাউনলোড লিংক ছাড়াও অনলাইনে পাঠযোগ্য ভার্শনও এমবেড করা আছে।

কোরানে পরস্পরবিরোধী বা সম্পূর্ণ বিপরীত বক্তব্যের আয়াত আছে অজস্র, সেটা নাস্তিকেরা তো বটেই, মমিনকুলও জানে। তফাত শুধু এই যে, নাস্তিকেরা এ নিয়ে হাসাহাসি করে, আর মমিনরা এই সাংঘর্ষিক আয়াতগুলো জায়েযtify করতে তাদের মগজের ভেতরে সক্রিয় করে তোলে এমন এক গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি, যে-ফ্যাক্টরিতে উৎপাদিত একমাত্র পণ্যের নাম - ত্যানা।
কোরান-হাদিস ও ইছলামের ইতিহাস সম্পর্কে অপরিমেয় জ্ঞানের অধিকারী নরসুন্দর মানুষ রীতিমতো গবেষণা করে এই জাতীয় আয়াতের একটি সংকলন প্রস্তুত করেছেন। এবং শুধু তা-ই নয়, নিজেই নির্মাণ করেছেন একখানা ইবুকও। বইটির ভূমিকায় তিনি লিখেছেন:
কোরান সংকলনের পর থেকেই ‘সাহাবী’, ‘তাবেঈন’ এবং ‘তাবে-তাবেঈন’-দের মধ্যে কোরানের কিছু কিছু আয়াতে চরম বৈপরীত্য চোখে পড়তে থাকে; প্রচণ্ড ধর্মভীরু কোরান ব্যাখ্যাকারীগণ ‘তাফসীর’ এবং ‘শানে-নুযুল’ গ্রন্থে প্রায় তিন শতাধিক বৈপরীত্য লিপিবদ্ধ করেন। ছিদ্রযুক্ত পাত্রে পানি জমা রাখা যায় না জেনেও এসব বৈপরীত্য উপেক্ষা করে এসবের নতুন নাম রাখা হয় নাসিখ এবং মানসুখ আয়াত (An-Nasikh-wal-Mansukh) - কোনো একটি আয়াত দ্বারা অন্য একটি আয়াতকে বাতিল ঘোষণা করা; যে আয়াতটি বাতিল হচ্ছে, তাকে বলা হয় ‘মানসুখ’ আয়াত; আর যে আয়াতটি দ্বারা বাতিল হচ্ছে, তাকে বলা হচ্ছে ‘নাসিখ’ আয়াত। 
ভেবে দেখুন, কোরান এমন একজন সৃষ্টিকর্তা (!) কর্তৃক বিশেষ যত্নে প্রেরিত, যেখানে শত-শত বাতিল আয়াত বিদ্যমান! তাও আবার একে অন্যের বিপরীত। তার পরেও বুক ফুলিয়ে বলতে শোনা যায়, “ইহা ঐ গ্রন্থ, যার মধ্যে কোন সন্দেহ-সংশয়ের অবকাশ নেই” (সূরা ২, আয়াত ২)।
পোস্টে ডাউনলোড লিংক ছাড়াও অনলাইনে পাঠযোগ্য ভার্শনও এমবেড করা আছে।


গ্যান ও বিগ্যানের প্রতিটি শাখার ভিত্তি কোরান - এ কথা কে না জানে! তো পাটিগণিত নামের সরলতম বিজ্ঞানে সর্বজ্ঞ আল্যার তথা ইছলামের নবীর গ্যানের গভীরতা ও পরিধি খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে যাচাই করেছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ইছলাম-গবেষক আবুল কাশেম। কোরানের মতো ভুলভ্রান্তিহীন নিখুঁত কিতাবে তিনি আবিষ্কার করেছেন পাটিগণিত সংক্রান্ত অগণ্য প্রমাদ, গলদ ও অসঙ্গতি। বইটির সূচনায় তিনি লিখেছেন:
ইসলামী পণ্ডিতেরা এবং ইসলামী ঐতিহাসিকেরা সর্বদাই প্রচার করে চলেছেন যে, বিশ্বকে অঙ্কশাস্ত্র বিশেষত বীজগণিত উপহার দিয়েছে ইসলাম। ভাব-সাব এমন, যেন ইসলামের পূর্বে বিশ্বে অঙ্কশাস্ত্রের প্রচলন ছিল না। কিন্তু সত্য হল, সংখ্যাতত্ত্ব বিশেষত আধুনিক দশমিক সংখ্যা তথ্যের উদ্ভব করেছে হিন্দুরা—ভারতবর্ষেই। পরে আরবেরা এই সংখ্যাতত্ত্ব অবলম্বন করে এবং ধীরে ধীরে তা বিশ্বের নানা অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে।
এই রচনায় আমরা দেখব, ইসলামের উৎস, তথা কোরান এবং হাদিসগুলোতে কীভাবে পাটিগণিতের ব্যবহার করা হয়েছে।
সর্বমোট সাতটি অধ্যায় রয়েছে এতে: ১. আল্লাহ্‌র পরিসংখ্যান তথ্য, ২. সৃষ্টি-সংখ্যায় বিভ্রান্তি, ৩. ইসলামী বর্ষপঞ্জী বা ক্যালেণ্ডার, ৪. নামায এবং পাপের গণনা, ৫. আল্লাহ্‌র সুদ কষা, ৬. কোরানের ভগ্নাংশ, ৭. ইসলামিক উত্তরাধিকার সম্পত্তি বণ্টনের হিসাব।
এই ইবুক নির্মাণ করেছেন নরসুন্দর মানুষ। তাঁকে আলাদা করে ধন্যবাদ দেয়ার কিছু নেই। ধর্মকারী-পরিবারের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে পড়েছেন তিনি। অতএব এই জাতীয় কাজ করা তাঁর ঈমানী দায়িত্বের ভেতরেই পড়ে। তবে অপূর্ব প্রচ্ছদটির পেছনে "কবি" নামের কামেল যে-শিল্পীর অবদান রয়েছে, তাঁকে মারহাবা জানাতেই হয়।
পোস্টে ডাউনলোড লিংক ছাড়াও অনলাইনে পাঠযোগ্য ভার্শনও এমবেড করা আছে।


প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রি থাকলেই কি কাউকে শিক্ষিত বলা উচিত, যদি সে মুক্তচিন্তা করতে না পারে? পাঠ্যপুস্তক পড়ে পরীক্ষা দিয়ে পাশ করাটাই কি শিক্ষিত হবার পরিচায়ক? যুক্তি-প্রমাণহীন কোনও বিশ্বাস ভেঙে যাবে বলে প্রশ্ন করতে ভীত শিক্ষিত ব্যক্তির শিক্ষার মূল্য কতোটা? নিজের ধারণার পরিপন্থী কোনও সত্যকে অস্বীকার করা ব্যক্তিকে সুশিক্ষিত বলা যাবে কি, যদি তার থেকে থাকে সর্বোচ্চ প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাও? 
আরজ আলী মাতুব্বর - প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাহীন, তবে স্বশিক্ষিত, সুশিক্ষিত ও কুসংস্কারমুক্ত ছিলেন বলে মুক্তচিন্তা করতে পারতেন। ধর্মীয় রীতিনীতি ও কুসংস্কার বিষয়ে যতো প্রশ্ন এসেছে তাঁর যুক্তিমনস্ক মস্তিষ্কে, তিনি সেসবের উত্তর খুঁজেছেন, বিশ্লেষণ করেছেন, প্রচ্ছন্ন সরস কটাক্ষ করেছেন। তিনি তাঁর লব্ধ জ্ঞান ও নিজস্ব অনুসন্ধিৎসু বুদ্ধিবৃত্তির অপূর্ব সমন্বয় ঘটিয়ে রচনা করেছেন কয়েকটি বই। তাঁর ভাষাজ্ঞান, রসবোধ রীতিমতো ঈর্ষাজাগানিয়া। 

বাংলাদেশের এই দার্শনিক ও চিন্তাবিদ আরজ আলী মাতুব্বরের জন্মদিন আজ। এ উপলক্ষে তাঁর সবচেয়ে পরিচিত ও গুরুত্বপূর্ণ রচনা "সত্যের সন্ধান"-এর ইবুক প্রকাশ করা হচ্ছে আধুনিকতম অবয়বে। বইটির বিভিন্ন অনলাইন ভার্শন বহু বছর ধরে লভ্য হলেও সেটির সবচেয়ে সুদর্শন, সবচেয়ে ঝকঝকে এবং সবচেয়ে দৃষ্টিসুখকর ইবুক ভার্শন প্রকাশ করে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করাই ছিলো আমাদের উদ্দেশ্য। "নরসুন্দর মানুষ" নামের এক অমানুষ বইটি ইউনিকোডে টাইপ করে হাইলাইট করেছেন বিশেষ অংশগুলো এবং বানিয়েছেন অনিন্দ্যসুন্দর ইবুকটিও। মূল বইয়ে আরজ আলী মাতুব্বর-এর নিজের আঁকা সাদা-কালো কাভারটির চমৎকার "কাভার ভার্শন" করে "কবি" বানিয়েছেন প্রচ্ছদ।

এ এমন এক বই, যেটা পড়া না থাকলে অতিঅবশ্যপাঠ্য। এমনকি পড়া থাকলেও বারবার পাঠে বিরক্তি জাগে না একবিন্দু, ম্লান হয় না মুগ্ধতা।

পোস্টে ডাউনলোড লিংক ছাড়াও অনলাইনে পাঠযোগ্য ভার্শনও এমবেড করা আছে।
বাংলা অনলাইনের পুরনো বান্দাদের অনেকের কাছে একটি পরিচিত নাম - জুপিটার জয়প্রকাশ। বিদ্রূপাত্মক ব্যঙ্গরচনা লিখতেন তখন। কখনও-সখনও প্যারোডি কবিতা। অবশ্য তাঁর সেই সক্রিয়তা সাম্প্রতিককালে স্তিমিত। তবে কিছুদিন আগে তিনি তাঁর একটি ছড়া-সংকলন প্রকাশের আগ্রহ জ্ঞাপন করলে ধর্মকারী তাতে সানন্দ সম্মতি জানায়। আজ, কাল্পনিক যিশুর কল্পিত জন্মবার্ষিকীর একটু আগে, বইটির জন্ম হচ্ছে। লেখক তাঁর নিজের কথা এভাবে বলেছেন:
আমার গামছা যেন সপ্তম স্বর্গের রুমাল
আমার পুরোনো জামা দেবতার বিজয় নিশান
আমার পকেটে ফুটো, যেন দ্বার খোলা আসমান
আমার অশ্রাব্য গালি, তারও মাঝে আছে সুর-তাল।
পরনিন্দুকের দল নিন্দা করে শ্রান্ত হয়ে যাক
আমার কাব্যের স্রোতে ভরে দেব এভিরিহোয়্যার
কবিতায় ধুয়ে যাবে ঘামে ভেজা আন্ডারওয়্যার
তারই ছন্দের সাথে তাল দেবে তেরে-কেটে-তাক।
আমি এক পৃথিবীর কবি, তবু পরিচিত নই
নামে কী বা এসে যায়? কর্মেই সবার পরিচয়
সুকর্মে সুনাম পেতে লাগে যদি অধিক সময়
গালি দিয়ে অধিকার কেড়ে নিতে কভু ভীত নই।
অভিনব ও চমকপ্রদ এই ছড়া-ইবুকটি বানিয়েছেন নরসুন্দর মানুষ। আর প্রচ্ছদ করে দিয়ে ধন্যবাদার্হ হয়েছেন কবি
পোস্টে ডাউনলোড লিংক ছাড়াও অনলাইনে পাঠযোগ্য ভার্শনও এমবেড করা আছে।
ইছলাম নারীকে দিয়েছে অপরিমেয় মর্যাদা ও সর্বোচ্চ সম্মান - এমন গালভরা দাবি করতে ইছলামবাজেরা অক্লান্ত। এবং হাজার বছরের বিরামহীন প্রচারণা ও নিরন্তর মগজধোলাইয়ের ফলাফল হয়েছে এই যে, মুছলিম পুরুষেরা তো বটেই, অধিকাংশ মুছলিম নারীও এই বাগাড়ম্বরে বিশ্বাস করে।

"ইসলামে বর্বরতা: নারী অধ্যায়" - নামের এই বইয়ে সম্পূর্ণভাবে স্বীকৃত ইছলামী দলিল-দস্তাবেজ ও ছহীহ তথ্যসূত্র থেকে উদ্ধৃতির পর উদ্ধৃতি দিয়ে এই মিথ মিথ্যা প্রমাণ করেছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ও কিংবদন্তিতুল্য ইছলাম-গবেষক এবং কোরান, হাদিস ও ইছলামের ইতিহাস সম্পর্কে অগাধ পাণ্ডিত্যের অধিকারী আবুল কাশেম। 
এই ইবুক বানিয়ে দিয়েছেন 'নিখিল বাংলাদেশ ইবুক প্রিন্টিং প্রেস'-এর স্বত্বাধিকারী নরসুন্দর মানুষ। প্রচ্ছদও তাঁরই করা।

পোস্টে ডাউনলোড লিংক ছাড়াও অনলাইনে পাঠযোগ্য ভার্শনও এমবেড করা আছে।
প্রত্যেক মুছলিমের জন্য ফরজ করা হয়েছে জিহাদ নামের ইছলামী বর্বরতা। অনেক ভণ্ড মুছলিম জিহাদকে কোমল ও সুমিষ্ট মোড়কে উপস্থাপন করতে চাইলেও বাস্তবতা একেবারেই ভিন্ন। সেই মুছলিমদের প্রতারণার জাঙ্গিয়া-নামানো জবাব দেয়া হয়েছে জঙ্গিনামা নামের অভিনব এই ইবুকে।
➜ জিহাদ দ্বারা কিভাবে ফিৎনা ফ্যাসাদ নির্মূল করা সম্ভব অথচ জিহাদ করতে গেলে তো ব্যাপক রক্তপাত হয়, অসংখ্য মানুষের প্রাণনাশ ঘটে?
➜ মুসলমানদের উপর জিহাদের হুকুম কী? অনেকেই তো জিহাদ পছন্দ করে না, বা জিহাদ করতে চায় না।
➜ কোন কোন লোকদের সাথে আমাদের জিহাদ করতে হবে?
➜ কাফির মুশরিকদের বিরুদ্ধে এ ধরনের জিহাদ আমাদেরকে কতদিন পর্যন্ত চালিয়ে যাতে হবে?
➜ আমরা তো দেখি যে, কাফির-মুশরিকরাই ধন-দৌলতের প্রাচুর্যের মধ্যে আরামে আছে। আর আমাদেরকে আল্লাহ্‌ তা'আলা যদি সত্যিই ভালোবাসেন, তাহলে কাফির-মুশরিকদের মতো আমাদের এতো ধন-দৌলত নেই কেন?
➜ আমাদেরকে সর্বদা এ ধরনের প্রস্তুত হয়ে থাকতে হবে কেন? আর কেনই বা সর্বদা সাথে অস্ত্র রাখতে হবে?
➜ যদি নিজেদের বাপ, ভাইদের মধ্য থেকে কেউ কাফের হয় বা ঈমানের তুলনায় কুফরকে বেশি পছন্দ করে, তাহলে তাদেরকেও কি অভিভাবক রূপে গ্রহণ করা যাবে না?
➜ জিহাদ ছাড়ার কারণে আমাদের উপর যেই শাস্তি আসবে, তার ধরনটা কী রকম হবে? তা কি শুধু আখিরাতেই আসবে, নাকি দুনিয়াতেও আসবে?
➜ জিহাদ না করলে আমরা কি জান্নাতেও যেতে পারবো না?
➜ জিহাদের কথা বললে তো অনেকেই অব্যাহতি চায়, বিভিন্ন ওজর দেখায়, যারা এ ধরনের কার্যকলাপে লিপ্ত, তাদের ঈমান কোন পর্যায়ের?
এমন ১০০টি প্রশ্নের উত্তর দেয়া হয়েছে শুধু কোরানের আয়াত উদ্ধৃত করে। এ বিষয়ে নিচের কথাগুলো বলেছেন বইটির সংকলক, অনুবাদক, প্রচ্ছদশিল্পী ও নির্মাণকারী নরসুন্দর মানুষ
পোস্টে ডাউনলোড লিংক ছাড়াও অনলাইনে পাঠযোগ্য ভার্শনও এমবেড করা আছে।


২৯. কোরানে জিহাদ ও আক্রমণের আহ্বান

"জিহাদ" শব্দটি শুনলে কি আপনার মানসচক্ষে ভেসে ওঠে শান্তিপূর্ণ উপায়ে ইছলামের প্রচার, প্রসার ও প্রতিষ্ঠার কথা? মুছলিমদের অন্তরে যা-ই থাক, অন্তত মুখে তারা সে কথাই বলে। বাস্তবতাটা আসলে কী? শুধু কোরান ও তার ছহীহ তাফসির থেকে এই উত্তর খুঁজেছেন নরসুন্দর মানুষ। বইটির প্রচ্ছদ ও নির্মাণ-কৃতিত্বও তাঁরই।
ইছলাম বিষয়ে অগাধ জ্ঞানের অধিকারী তিনি। ধর্মকারীতে চলমান তাঁর দুটো সিরিজ ও তাঁর লেখা ইবুকগুলোই সেই প্রমাণ দেবে। বাংলা ভাষার খ্যাতিমান ইছলাম-গবেষকদের কাতারে তিনি ঠাঁই করে নিচ্ছেন, এ নিয়ে কোনও সংশয় অন্তত আমার নেই।
বর্তমান ইবুকের ভূমিকায় তিনি লিখেছেন:
সংবাদপত্রে দেখতে পাই মাঝে মধ্যেই 'নিষিদ্ধ জিহাদী বই-পত্র উদ্ধার’! মনে প্রশ্ন জাগে, জিহাদী বই কী কী? ইসলাম ধর্মের মূল গ্রন্থ কোরান কি জিহাদী বই-পত্রের মধ্যে গণ্য? যদি তা না হয়, তবে তা কেন, আর যদি হয় তাই বা কেন?...
জিহাদ নিয়ে কী বলে কোরান? জিহাদ কি কেবলই মনের ময়লার বিরুদ্ধে, নাকি যুদ্ধ বলতে যা আমরা বুঝি (আক্রমণ, হত্যা, লুন্ঠন, দখল, মানুষ বিক্রি, দাসী গ্রহণ, যুদ্ধনারী ভোগ); জিহাদ তাই? ...
এসবের উত্তর খোঁজার চেষ্টা হয়েছে এ ইবুকটিতে; আমি চেষ্টা করেছি কোরানে প্রাপ্ত সকল যুদ্ধ (জিহাদ) ও আক্রমণ সংক্রান্ত আয়াত তুলে আনতে; আর যেহেতু আমি নিরপেক্ষতা অবলম্বন করেছি, তাই নিজের মনগড়া কোনো ব্যাখ্যা যোগ করিনি; কারণ কিছুতেই আমি প্রভাবিত করতে চাই না পাঠককে; পাঠক নিজ দায়িত্বে সিদ্ধান্ত নেবে, কোরানকে কি জিহাদী গ্রন্থ বলা চলে?
পোস্টে ডাউনলোড লিংক ছাড়াও অনলাইনে পাঠযোগ্য ভার্শনও এমবেড করা আছে।



৩০. থাবার থাবড়া (দ্বিতীয় সংস্করণ)


চার বছর ধরে থাবা বাবা নেই, তবে তাঁর লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকালই। "থাবার থাবড়া" নামে একটি ইবুক প্রকাশ করা হয়েছিল তিন বছর আগে। তবে বর্তমান সংস্করণটি কিছুটা পরিবর্ধিত তো বটেই এবং তা সাজানোও হয়েছে ভিন্ন ধরনে। ধর্মকারীতে প্রকাশিত থাবা বাবার সমস্ত লেখা (প্রবন্ধ, গল্প, ছড়া, রম্য রচনা), তাঁর বানানো ও অনূদিত সব পোস্টার ও কার্টুন সংকলিত হয়েছে এখানে।

এই ইবুকের পরিকল্পনা, বিন্যাস ও নির্মাণ নরসুন্দর মানুষ-এর। প্রচ্ছদ বানিয়েছেন কবি
পোস্টে ডাউনলোড লিংক ছাড়াও অনলাইনে পাঠযোগ্য ভার্শনও এমবেড করা আছে।



৩১. উম হানি ও মুহাম্মদ (ইসলামের মহানবীর প্রথম ভালবাসা)


ভূমিকা থেকে:
উম হানি এবং নবী মুহাম্মদের মাঝে পরকীয়া প্রেমের বিষয়ে আলোকপাত করা অত্যন্ত জটিল এবং বিপজ্জনক। জটিল এই কারণে যে, উম হানির ব্যাপারে আধুনিক ইসলামী পণ্ডিতেরা কোনো কিছুই জানাতে চান না। কারণ নবীর জীবনের এই অধ্যায় তেমন আনন্দদায়ক নয়। নবীর শিশু-স্ত্রী আয়েশা, পালকপুত্রের স্ত্রী যয়নবের সাথে নবীর বিবাহ, এবং আরও অন্যান্য নারীদের সাথে নবীর যৌন এবং অযৌন সম্পর্কের ব্যাপার আজ আমরা বেশ ভালভাবেই জানতে পারি। তা সম্ভব হয়েছে আন্তর্জালের অবাধ শক্তির জন্যে। আজকাল এই সব নিয়ে প্রচুর লেখালেখি হচ্ছে এবং আমরা নবীর জীবনের অনেক অপ্রকাশিত অন্ধকার দিকগুলি অবলোকন করতে পারছি। কিন্তু উম হানির সাথে যে নবী আজীবন পরকীয়া প্রেম করে গেছেন—অগনিত স্ত্রী ও যৌনদাসী থাকা সত্ত্বেও—তা নিয়ে আজ পর্যন্ত তেমন উল্লেখযোগ্য কোনো প্রবন্ধ লেখা হয়নি। 
উম হানি ছিলেন নবী মুহাম্মদের প্রথম এবং আজীবন প্রেম। ধরা যায়, নবী উম হানিকে মনঃপ্রাণ দিয়ে ভালবাসতেন এবং কোনোদিন এক মুহূর্তের জন্য উম হানিকে ভোলেননি। ইসলামের নির্ভরযোগ্য প্রাচীন ও মৌলিক উৎস ঘেঁটে এই রচনা লেখা হয়েছে, যাতে নবী জীবনের এই উপাখ্যান দীর্ঘ জানা যায়। যেহেতু উম হানির জীবন এবং নবীর সাথে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে কোনো ইসলামী পণ্ডিত ইচ্ছাকৃতভাবেই তেমন মাথা ঘামাননি, তাই অনেক কিছুই অনুমান করে নিতে হয়েছে। জোরালো হাদিস এবং প্রাথমিক জীবনীকারদের থেকে জানা তথ্যই এই অনুমানের ভিত্তি। এই রচনাতে নবী মুহাম্মদের পরকীয়া প্রেমের অনেক প্রশ্নের উত্তর পাঠকেরা হয়ত পাবেন।
ইছলামের নবীর জীবনের এই অধ্যায়টি নিয়ে বাংলা ভাষায় এতো গভীর গবেষণাসমৃদ্ধ রচনা আর লেখা হয়নি। আর এই কাজটি করেছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ও কিংবদন্তিতুল্য ইছলাম-গবেষক এবং কোরান, হাদিস ও ইছলামের ইতিহাস সম্পর্কে অগাধ পাণ্ডিত্যের অধিকারী আবুল কাশেম। 

এই ইবুকের পরিকল্পনা, বিন্যাস, প্রচ্ছদ ও নির্মাণ নরসুন্দর মানুষ-এর।

পোস্টে ডাউনলোড লিংক ছাড়াও অনলাইনে পাঠযোগ্য ভার্শনও এমবেড করা আছে।



৩২. ইসলামের অজানা অধ্যায় (চতুর্থ খণ্ড: "মুহাম্মদের ব্যক্তিমানস জীবনী"-র চতুর্থ পর্ব "মদিনায় মুহাম্মদ - তিন")


ইছলামের প্রকৃত ও বিশদ ইতিহাস এবং নবী মুহাম্মদের জীবনী, চরিত্র ও মনস্তত্ব সম্পর্কে জানতে হলে পরিশ্রমী গবেষক ও সুলেখক গোলাপ মাহমুদ -এর নিবিড় নিষ্ঠা ও অবিশ্বাস্য অধ্যাবসায়ের ফসল এই ইবুক-সিরিজটি আপনাকে পড়তেই হবে। দীর্ঘ এই রচনাটি সম্পূর্ণভাবে আদি ও মূল ইছলামী তথ্যসূত্রনির্ভর। এতে উল্লেখিত প্রতিটি ঘটনা ও তথ্য সম্পূর্ণভাবে নির্ভরযোগ্য এবং স্বীকৃত ইছলামী দলিলের মাধ্যমে সমর্থিত - একটি তথ্যও মনগড়া, অমূলক ও ভিত্তিহীন নয়। নবীচরিতের এমন নিখুঁত, গভীর ও এতো বিস্তারিত বিশ্লেষণ বাংলা ভাষায় আগে কখনও করা হয়েছে বলে মনে হয় না।
"ইসলামের অজানা অধ্যায়"-এর চতুর্থ খণ্ড আজ প্রকাশ করা হচ্ছে। এতে "মুহাম্মদের ব্যক্তিমানস জীবনী"-র চতুর্থ পর্ব "মদিনায় মুহাম্মদ - তিন" অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ইছলামের ইতিহাসের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হুদাইবিয়া চুক্তি, খায়বার যুদ্ধ, ফাদাক আগ্রাসন ও ওয়াদি আল-কুরা হামলার কাহিনী সন্নিবেশিত হয়েছে এই খণ্ডে।

অনিন্দ্যসুন্দর এই ইবুকের বিপুল শ্রমসাপেক্ষ নির্মাণকর্মের সম্পূর্ণ কৃতিত্ব নরসুন্দর মানুষ-এর। প্রচ্ছদও তাঁরই বানানো।

পোস্টে ডাউনলোড লিংক ছাড়াও অনলাইনে পাঠযোগ্য ভার্শনও এমবেড করা আছে।


৩৩. অনুমান - আরজ আলী মাতুব্বর

প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রি থাকলেই কি কাউকে শিক্ষিত বলা উচিত, যদি সে মুক্তচিন্তা করতে না পারে? পাঠ্যপুস্তক পড়ে পরীক্ষা দিয়ে পাশ করাটাই কি শিক্ষিত হবার পরিচায়ক? যুক্তি-প্রমাণহীন কোনও বিশ্বাস ভেঙে যাবে বলে প্রশ্ন করতে ভীত শিক্ষিত ব্যক্তির শিক্ষার মূল্য কতোটা? নিজের ধারণার পরিপন্থী কোনও সত্যকে অস্বীকার করা ব্যক্তিকে সুশিক্ষিত বলা যাবে কি, যদি তার থেকে থাকে সর্বোচ্চ প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাও? 

আরজ আলী মাতুব্বর - প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাহীন, তবে স্বশিক্ষিত, সুশিক্ষিত ও কুসংস্কারমুক্ত ছিলেন বলে মুক্তচিন্তা করতে পারতেন। ধর্মীয় রীতিনীতি ও কুসংস্কার বিষয়ে যতো প্রশ্ন এসেছে তাঁর যুক্তিমনস্ক মস্তিষ্কে, তিনি সেসবের উত্তর খুঁজেছেন, বিশ্লেষণ করেছেন, প্রচ্ছন্ন সরস কটাক্ষ করেছেন। তিনি তাঁর লব্ধ জ্ঞান ও নিজস্ব অনুসন্ধিৎসু বুদ্ধিবৃত্তির অপূর্ব সমন্বয় ঘটিয়ে রচনা করেছেন কয়েকটি বই। তাঁর ভাষাজ্ঞান, রসবোধ রীতিমতো ঈর্ষাজাগানিয়া। 

বাংলাদেশের এই দার্শনিক ও চিন্তাবিদ আরজ আলী মাতুব্বরের মৃত্যুদিবস আজ। এ উপলক্ষে তাঁর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রচনা "অনুমান"-এর ইবুক প্রকাশ করা হচ্ছে আধুনিকতম অবয়বে। বইটির বিভিন্ন অনলাইন ভার্শন বহু বছর ধরে লভ্য হলেও সেটির সবচেয়ে সুদর্শন, সবচেয়ে ঝকঝকে এবং সবচেয়ে দৃষ্টিসুখকর ইবুক ভার্শন প্রকাশ করে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করাই ছিলো আমাদের উদ্দেশ্য। "নরসুন্দর মানুষ" নামের এক অমানুষ বইটি ইউনিকোডে টাইপ করে হাইলাইট করেছেন বিশেষ অংশগুলো এবং বানিয়েছেন অনিন্দ্যসুন্দর ইবুকটিও। মূল বইয়ে আরজ আলী মাতুব্বর-এর নিজের আঁকা সাদা-কালো কাভারটির চমৎকার "কাভার ভার্শন" করে "কবি" বানিয়েছেন প্রচ্ছদ।

পোস্টে ডাউনলোড লিংক ছাড়াও অনলাইনে পাঠযোগ্য ভার্শনও এমবেড করা আছে।

২টি মন্তব্য:

  1. কোন কিতাব-ই তো ডাউনলোড করতে পারছিনা। সব "এরর ৪০৪ নট ফাউন্ড" দেখায় :-/

    উত্তরমুছুন