আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

শনিবার, ২২ জানুয়ারী, ২০১১

ধর্মানুনুভূতিতে আঘাত পেয়েছি: বিচার চাই



Cross-section of the Ka'ba

ধর্মানুনুভূতিতে প্রচণ্ড আঘাত পেয়েছি। ব্লগারদের কাছে বিচার চাই। সাম্প্রদায়িক ও ইসলাম বিরোধী ব্লগার মহাপবিত্র কাবা শরিফ সম্পর্কে কি মন্তব্য করেছে দেখুন- ( এই পোস্টের ১০০ নম্বর মন্তব্যের জবাবে)


ভাই কয় কি দেহেন, “যেহেতু কাবা'র কোন জানালা নেই এবং সব সময় বন্ধ থাকে, তাই ভিতরে যেন একটা গুমট গন্ধ না ছড়ায়”। কাবার ভিতর নাকি গন্ধ হবে!! খালেদা জিয়া ফালুকে সাথে নিয়া কাবার মধ্যে ঢুকতে দেইখ্যাও এমনটি বোধ করি নাই যা এই মন্তব্যের ফলে বোধ করছি (সিরিয়াসলি বলছি; নাস্তিকরা এটাকে নিয়ে ত্যানা পেঁচাতে পারে, তাদের জ্ঞাতার্থে বলছি- খালেদা জিয়া তখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন)। (ওই নীলপদ্ম পবিত্র কোরবানীর ঈদের সময়ও এখানে-ওখানে পশু বলির ছবি দিয়া উহাই বোঝাতে চেয়েছিল যে বলি কোরবানী অপেক্ষা মানবিক। নাউজুবিল্লা!! )

সে নীল পদ্ম নাকি লাল পদ্ম নাকি াল পদ্ম তাহা দিয়া আমি কি করিব? আমার ঈমান ঠিক থাকিলেই হইবে। 

যাই হোক, ছোটবেলায় ভাবতাম, ওটা বায়তুল্লাহ - আল্লার ঘর তাই ঐ মহা-পবিত্র কাবাগৃহে আল্লাহ সুবহানুহু ওয়াতা’আলা থাকেন, কিন্তু এই ছোট্ট গৃহে তাঁর মত এত্ত বড় ও মহান সত্ত্বা কেমন করে জায়গা করে নিতে পারেন তাহা ভাবিয়া অধীর হইয়া উঠিতাম। অবশ্য যখন বুঝিতে পারিলাম যে তিনি অসীম হইলেও শূন্য মানে তাঁর কোনো আকার-আকৃতি নাই, তখন কিঞ্চিৎ বুঝিতে পারিয়াছিলাম বলিয়া মনে হইতেছিল। মস্তক নামক কিছু না থাকা সত্ত্বেও যার জ্ঞান অসীম, তিনি কোন দুঃখে দেহ ধারণ করিবেন? 

নীল-পদ্ম যে ভিডুর লিংক দিয়েছে উহা আমি অনেক কাল আগে ডাউনলোড করেছিলাম। ছোটবেলার মত মনে করি নাই যে ওখানে স্বয়ং পরম করুণাময়কে দেখতে পাব, কিন্তু কিঞ্চিৎ আশা ছিল অন্তত তাঁর নূরের ছোয়ায় কিছুটা হলেও সুখানুভূতি লাভ করিব। কিন্তু খালি ঘর দেখিয়া আমার ধর্মানুনুভূতি নেতিয়া পড়িলে নীল-পদ্মের মন্তব্যে উহা উত্থিত হইয়াছে। 

আমি সবার কাছে এর উপযুক্ত বিচার চাই। 

সকল ইসলাম বিরোধী শক্তির মহা-পতন ঘটুক, আমিন। 

পবিত্র কাবা নিয়ে ষড়যন্ত্র নতুন নয়: পবিত্র কাবা শরীফে এক সময় মক্কার কাফিররা ৩৬০ টা মূর্তি স্থাপন করিয়াছিল, আর শরমের কথা বলি, তখন কাফিররা উলঙ্গ হইয়া কাবার চারদিকে ঘুরত মানে তওয়াফ করত, কিন্তু আল্লার কি হেকমত দেখেন, মুসলমানদের পরীক্ষা করার জন্য তিনি নিজে কোনো ব্যবস্থা নেন নাই। পেয়ারা নবী অনেক কষ্ট করিয়া কাফিরদের কবল থাইক্যা পবিত্র কাবা-শরিফকে উদ্ধার করেন। এই কাবা আবার কাফিরদের অধীনে চলিয়া গিয়াছে, মুমিন-মুসলমান গণ জাগো; তরবারি, স্যরি, মহা-বিস্ফোরক লইয়া আগোয়ান হও। 

Historical view of the Ka'ba and al-Haram, in 1954

Floor plan of the Ka'ba- হাতিম আগে কাবাগৃহের অন্তর্ভুক্ত ছিল। উহাও ষড়যন্ত্র করে বাইরে নেয়া হয়েছে।

আহম্মকরা বলে থাকে, কাবা নাকি পেগানদের ধর্মমন্দির ছিল। তাহারা অনেক আগ হইতে ইহাতে মূর্তি-পূজা করিত। আর আমাদের পেয়ারা নবী উহা দখল করে মুসলমানদের উপাসনাস্থলে পরিণত করেন। আহম্মক নাস্তিকরা কিছু প্রশ্ন করে মহামূল্যবান ঈমান দুর্বল করিয়া দিতে চায়। তাহাদের উপযুক্ত জবাব এখানে দিয়ে দেয়া হইল যাতে তাহারা আর কোনো দিন এরকম প্রশ্ন করিতে না পারে-

১। মুহাম্মদ বায়তুল মুকাদ্দাস থেকে কাবার দিকে মুখ করিয়া নামাজ পড়ার নিয়ম কেমতে তৈরী করিলেন? মুহাম্মদের ইচ্ছার সাথে আল্লার ইচ্ছার চক্কর দিবার রহস্য কি?

>> দূর হও নাস্তিক! হজরতের ইচ্ছার সাথে সাথে আল্লাহ কোরানের আয়াত পর্যন্ত নাযিল করিতেন, আর এটা তো  কাবা।

২। শোনা যায়, কাবার সোজা উপরে নাকি সিদরাতুল মুনতাহা আর এর উপর নাকি আল্লার আরশ বা মহা রাজ-সিংহাসন। তাহা হইলে পৃথিবী ঘুরার সাথে উহাও কি ঘুরতে থাকে? 

>> এ ধরণের হাদিস যে বানোয়াট, তাহা নাস্তিকদের বুঝানোর দায়িত্ব কার? আমরা কোরান অনলি!!!

৩। পৃথিবী গোল। তাহলে সারা পৃথিবীর মানুষ কি করিয়া এর দিকে চাহিয়া নামাজ পড়িতে পারিবেন? 

>> ছোট বেলায় একটা বড় আকৃতির বেলুন ফুলাইয়া উহা ভাবিয়া ঈমান হারাইতে বসিয়াছিলাম। দুই চাইরটা বই পড়েই কেউ নাস্তিক হইলে এমনই হয়, নাস্তিকদের বিদ্যার অভাব তাহাদের এসব আবালীয় প্রশ্নেই টের পাওয়া যায়।

৪। কাবা ছিল পেগানদের সামাজিক স্থিতিশীলতার প্রতীক। সব গোত্ররাই তাদের নিজ নিজ দেবতার পূজা এখানে স্বাধীনভাবে করিতে পারিত। হুজুরে পাক আমাদের পেয়ারা নবী উহা যেভাবে দখল করিলেন, তাহা কি মানবিক হইয়াছে?

>> আহম্মক নাস্তিকরা, তোমরা মানবতার কি বুঝ? একদম –করিয়া ঠিক করিয়া দিলে মানবতা বুঝিতে পারিবে।

৫। “আল্লাহ” ছিল পেগানদের উর্বর মস্তিষ্কের কল্পনার ফসল। একে এভাবে হাইজ্যাক করে নেয়া কি উচিত হইয়াছে? মক্কার পেগানরা আল্লার পূজা করিত আর লাত, মান্নাত ও উজ্জাকে আল্লার কন্যা মনে করিত।

>> নাউজুবিল্লাহ, নাউজুবিল্লাহ, শুধু নাস্তিকরাই এরকম ভাবিতে পারে, নিঃসন্দেহে তাদের জন্য গরম পানি প্রস্তুত হইতেছে। 

৬। বছর বছর কাবায় গিয়া পদপিষ্ট হইয়া, তাবুতে আগুন ধরিয়া, গরমে ও ভিড়ে হার্ট এটাক করিয়া অনেক লোক মারা যায়। বিভিন্ন রোগে সংক্রমিত হইয়া অনেকেরই অবস্থা কাহিল হইয়া পড়ে, যে জন্য হাজীদের ঠিকা দেওয়ার উপর গুরুত্ব দেয়া হয়। আল্লাহ তো অন্তত এঁদের কেয়ার নিতে পারিতেন, কারণ এঁরা না তাঁর সম্মানিত মেহমান। পদপিষ্ট করিয়া মারিয়া আবার কোন ধরণের আতিথেয়তা? ছোট্ট একটা হিসাব

Recent disasters

2006: At least 362 pilgrims died in a stampede during the "stoning of the devil" ritual; a hostel collapsed in Mecca, killing at least 76 people. 

2004: Some 250 pilgrims died in a stampede during the "stoning of the devil" ritual. 

2001: 35 pilgrims crushed to death at Arafat. 

1998: 180 pilgrims crushed to death. 

1997: 350 pilgrims killed when in a fire started by a gas cooker swept through the tents at Mina. 

1994: 270 pilgrims crushed to death. 

1990: 1,400 pilgrims killed during a stampede in a pedestrian tunnel linking Mecca with Mount Arafat. The stampede is thought to have been caused by the great heat when a ventilation system in the tunnel broke down.

1987: More than 400 pilgrims died as a result of demonstrations.

>> যারা মারা যায়, তারা যে শহীদ, তা নাস্তিকদের উপলব্ধি করা সম্ভব নয়। উহারা অন্ধ, আল্লাহ সকলকে সিরাত্বিম মুস্তাক্বিম দেখার সৌভাগ্য দেন না। আর হিন্দুরা যে তীর্থে গিয়া হাজারে হাজারে মরছে, সে হিসাব তোমরা রাখ? সাধে কি আর বলি, ব্লগের সকল নাস্তিকই আসলে মুসলিম বিদ্বেষী ছদ্মবেশী। 

আহম্মকরা জানে না, কাবা সর্বপ্রথম স্বয়ং ফেরেশতারা তৈরী করেছিলেন- যখন পৃথিবীতে কোনো মানুষ ছিল না। এরপর আদম-হাউয়া ও পরে ইব্রাহিম-ইসমাইলের কাহিনী সবাই জানেন। নাস্তিকরা হাসিয়া উড়াইয়া দিলে কি হইবে,উহাই তো বাস্তব, তাই না? দেখেন নাসারাদের কীর্তি

ভাইসব, দুঃখ কইরেন না। আল্লার উপর ভরসা রাখেন। আল্লাহ পাক আমাদের জন্য কি সুন্দর জান্নাত প্রস্তুত করে রেখেছেন, যেখানে আমরা পাপ কাটার পরপরই অনন্ত কালের জন্য দাখিল হইব আর কাফের-নাস্তিকরা বিশেষ করে ব্লগগুলার আহম্মক নাস্তিকরা বিনা হিসাবে জাহান্নামে অনন্ত কালের জন্য দাখিল হইবেক। তাই বন্ধুরা আমার, নাস্তিকদের কাছ থেকে যথাসম্ভব দূরে থাকিবেন, উহাদের রচিত উলটাপালটা কিছু পড়িয়া ঈমানে বিঘ্ন ঘটিলে সোজা মসজিদে চলিয়া যাইবেন। ইহাতেও কাজ না হইলে তাবলীগ তো আছেই, আর হিজচুত, জেজে এম বি – জান্নাতের ১০০% গ্যারান্টি এগুলোও কি আমাকেই বলিয়া দিতে হইবে? জান্নাতে যেতে হলে কিছুটা মাথা খাটানো চাই। নিঃসন্দেহে আল্লাহ মাথা দিয়াছেন দুনিয়াতে তাহা খাটানোর জন্যই। 

মহা-পবিত্র কালো পাথর নিয়ে ঐতিহাসিক ষড়যন্ত্র: নাস্তিকরা বলে উহা নাকি উল্ক-পিণ্ড, উপর থেকে পড়ার পর অবুঝ পেগানরা না বুঝিয়া একে পূজা করিতে থাকে। নাস্তিকদের কথা বাদ দেই, এরা হেদায়াতের অযোগ্য। কালোপাথরের এরকম চেহারা আগে ছিল না-ভাল করে তাকিয়ে দেহেন একটু ইয়ের মত লাগে না (স্পষ্টভাবে বুঝিতে হইলে এইখানে ক্লিক করুন), উহা ইহুদি-নাসারা বান্ধব সৌদি সরকারের ষড়যন্ত্র। মুসলমানদের পদানত হইলে উহাকে আবার অরিজিনাল সাইজ দেয়া হইবেক।


এই পাথরটির বিশেষ গুণ হইল, তাহা গুণাহ শোষণ করিতে পারে। উহা প্রথমে ধবধবে সাদা ছিল আর মানুষের গুনাহ শোষণ করিয়া ক্রমান্বয়ে কালো হইয়া যায়। পাপের বর্ণ হইল কালো!! সুবানাল্লাহ!!!

কাবায় বন্যা: পানিতে ভাসিয়া যায় আমার ধর্মানুনুভূতি

এও ছিল কপালে? ১৯৪১ সালের ঘটনা। তখন প্রযুক্তিতে অনগ্রসর মুসলমানরা বুঝিতেই পারে নাই যে উহা ইহুদিদের ষড়যন্ত্র। ভিডু দেখার সাথে সাথে পড়তে থাকবেন- ত্বালাআ’ল বাদ্রু আ’লাইনা, মিন সানিয়াতুল ইদায়ি’, নাহলে ঈমান যাওয়ার আশংকা উড়িয়ে দেয়া যায় না। 


আর যাদের ঈমান বেশি দূর্বল তারা সূরা ফাতিহা পাঠের সাথে সাথে কাবার ডুবে যাওয়া দেখেন। সাথে আছে পাঁক-পবিত্র আরবি বান্ধব উর্দু ভাষায় তরজমা। 


কাবার করুণ দৃশ্য

হাদিসে আছে মুমিনদের অন্তর আল্লার আরশ। এই আল্লার আরশখানি পর্যন্ত যেখানে মাঝে মাঝে বিনা জলেই ভিজিয়া যায় সেখানে কাবা শরিফ ডুবিয়া গেলেই বা কি!! 

পরিশেষে- নাস্তিকদের এই মর্মে সতর্ক করা যাচ্ছে যে এখানে অহেতুক গোলমাল সৃষ্টি করলে উপযুক্ত ব্যবস্থা আল্লাহই নিবেন আর নিঃসন্দেহে তাদের জন্য পরকালে রয়েছে লাঞ্ছনা ও পরম শাস্তি, আর নিশ্চয় তিনি যাহার ইচ্ছা এমনি করেই অজ্ঞতা প্রকাশ করিয়া দেন। আর সুপ্রিয় আস্তিক বন্ধুরা, নাস্তিকরা যেহেতু অনন্ত কালের জন্য দোজখে যাত্রা করিতেছে তাই এদের কথায় দুঃখিত হয়ে লাভ নেই- এদেরকে বরং করুণা করাই উচিত। জান্নাত হইতে উঁকি মেরে আমরা যখন তাদের জিজ্ঞাসা করব কেমন লাগিতেছে তখন তাহারা কি উত্তর দিবে তাহা ভাবিয়া হাসিয়া অস্থির হইয়া গিয়াছি। আমি এখানে শুধু আমার ঈমানী দায়িত্ব পালন করিলাম। আর হ্যা, নিশ্চয়ই সাধু-চলিত মিশ্রনে কোনো প্রকার গুণাহের আশংকা নেই। মুমিন-মুসলমানরা চিরকালই বেচে থাকুক স্যরি শীঘ্রই জান্নাতে চলুক। আমিন!! ছুম্মা আমিন!!!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন