এই ক্ষ্যাপা লোকটির কথার ধরনে বড়োই আমোদিত হই। মুগ্ধ হই তাঁর সরল অথচ তীক্ষ্ণ যুক্তিতে। নির্দয় ধর্মধোলাইয়ের উৎকৃষ্ট উদাহরণ।
বৃহস্পতিবার, ৩১ মার্চ, ২০১১
ধর্মপ্রচারের মহাসমুদ্রে কয়েক ফোঁটা নিরীশ্বরীয় বাণী
ঘটকের ভূমিকায় ঈশ্বর
খ্রিষ্টধর্মঅন্তপ্রাণদের জন্য এক ডেটিং সাইট চোখে পড়লো। সাইটে লেখা কিছু কথা পড়ে বিনোদিত হলাম খুব। যেমন, সাইটের স্লোগান: Find God's match for you.
অর্থাৎ ঈশ্বর আপনার অর্ধাঙ্গিনী ঠিক করে রেখেছেন, এবং তাকে খুঁজে পেতে হলে এই সাইটের সাহায্য নিতে হবে।ধারণা করতে পারি, সাইট-পরিচালকের সঙ্গে ঈশ্বরের স্কাইপ-যোগাযোগ আছে নিয়মিত।
এই সাইট ব্যবহার করে জীবনসঙ্গিনী খুঁজে পেয়েছে, এমন দু'জনের কথাও লেখা আছে সেখানে: ... we both felt strongly that this relationship was indeed from the lord...
খ্রিষ্টানরা যেহেতু বিশ্বাস করে, ঈশ্বরের সঙ্গে আছে তাদের ব্যক্তিগত সম্পর্ক, তাহলে এই তিনজনের সম্পর্ককে ত্রিভুজ প্রেম বলবো? নাকি থ্রিসাম?
'নিকাব পরা মেয়েরা ময়লা ফেলার ব্যাগের মতো'
নিকাব পরা মেয়েরা ময়লা ফেলার ব্যাগের মতো - এই তুলনাটি করেছেন লেবাননের প্রাক্তন মন্ত্রী Wiam Wahhab।
গত ১৪ মার্চ লেবাননের ওটিভি-তে সাক্ষাৎকার দেবার সময় তিনি এ কথা বলেন। তাঁর সাক্ষাৎকার-এর ভিডিও দেখুন। ট্র্যান্সক্রিপ্ট তার নিচে।
Wiam Wahhab: [The March 14 Coalition] make statements, such as: "We don't want a rule-of-the-jurisprudent state." What is a rule-of-the-jurisprudent state? I don't know myself. Someone should tell me what it is. I don't know what this is all about. I don't know what a rule-of-the-jurisprudent state is.
Anyway, brother Sa'd [Al-Hariri], you don't want a rule-of-the-jurisprudent state, but do you want a kingdom of beheadings, and of chopping off of tongues, hands, and ears? These are the court rulings they issue in Saudi Arabia. Haven't you heard what kind of rulings they issue? Verdicts of beheadings by the sword, the chopping off of hands, and the chopping off of ears and tongues.
So you don't want a rule-of-the-jurisprudent state – and we still don't know what such a state is – but do you want a kingdom that prevents women from driving and from going to work?
I have been to Riyadh, Jedda, Taif, and Mecca. The women there look like garbage bags. They [wear] black bags, and you cannot see a thing – no face, no eyes, no hands, no legs...
Interviewer: Although their style may be very modern...
Wiam Wahhab: Allow me to continue. You don't want a rule-of-the-jurisprudent state, but you do want to turn us into a country... Do you know that if you go to Riyadh today, and God forbid, you are injured in a car crash, do you know what compensation you would get? A mere seven riyals, because you are Christian.
Does [Sa'd Al-Hariri] – that servant of the Emir – want a country that despises human beings? Does he want a state of Wahhabis, who accuse people of heresy, behead them, and blow them up in Algeria, and all over the world? Do you want a state ruled by people who rob the nation of its money, and spend it on entertainment clubs? Do you want a kingdom of gambling and bars?
[...]
I call upon the Saudi people to stage an Intifada against that ruling clique. That clique plunders the resources of the nation. Brothers, that clique wasted tens of billions every month, while millions of Saudi citizens are poor, are hungry, lack schools, lack water, lack electricity. I call upon the Saudis to stage an Intifada against these peoples.
It would be a disgrace if this family continues to control the nations' resources this way. On what do they spend the money? They hoard it and transfer it to America.
Interviewer: Are you calling upon the people to rise against them?
Wiam Wahhab: Of course. The Saudis are staging an act of aggression against the Arab country of Bahrain. What is the difference between them and Saddam Hussein? When Saddam Hussein entered Kuwait, the entire world untied against him. Today, the Saudis are entering Bahrain, and I salute the Bahraini people, who wants to topple that tyrant. He is not just a tyrant. This is an imbecile of a king, he's high on drugs.
কু-রূপকথার কারবারিদের প্রতিহত করুন
ধর্ম নামের উৎকট কু-রূপকথার কারবারিদের সমাজের সর্বত্র নাক গলানোর ক্ষতিকর প্রবণতা প্রতিহত করা অতি আবশ্যক। তারা তাদের উপাসনালয়গুলোয় যা খুশি করুকগে। সে নিয়ে কোনও মাথাব্যথা আমাদের নেই। তবে গোটা বিশ্বকে তাদের পছন্দমাফিক চলতে হবে কোন যুক্তিতে?
আমেরিকার খ্যাতনামা অ্যাস্ট্রোফিজিসিস্ট Neil deGrasse Tyson অসীম বলিষ্ঠতার সঙ্গে, অকাট্য যুক্তি দিয়ে এই কথাগুলোই বললেন। এইরকম দৃঢ়চেতা, স্পষ্টবাদী ও যুক্তিবান লোকেরই দরকার এই যুগে।
অসাধারণ ভিডিও বলেই অবশ্যদ্রষ্টব্য। মাত্র সাড়ে তিন মিনিটের।
লিংক সরবরাহকারী: দ্রোহী
বাংলায় বান্দা-শরিফ (বান্দা-আয়াত সমগ্র)
খোমাখাতায় একদল কাফের কোরানের মতো পবিত্র কিতাবের ভাষারীতি অনুসরণ করে রচনা করতে শুরু করেছে বান্দা-শরীফ নামের একটি গ্রন্থ (ইয়া মাবুদ, তুমি ইহাদের তরে জাহান্নাম অপেক্ষা বাহাত্তর গুণ ভয়ঙ্কর দোজখ নির্মাণ করো!)।
এই সিরিজটি সেই ফেসবুক গ্রুপের মডারেটরের অনুমতিক্রমে প্রকাশ করা হচ্ছে, যিনি ধর্মকারীর পাঠকদেরকে আহ্বান জানিয়েছেন বান্দা-শরীফ রচনায় অবদান রাখতে।
পোস্তে দে মোআম্ন
নাজিল হয়েছে Iqram Hussain-এর ওপরে
তোয়াহাশিতে অবতীর্ণ , আয়াত সংখ্যা - অজ্ঞাত
পরম বাঁশ-প্রদায়ক ও কঠিন দয়ালু কাবজাবের নামে শুরু করছি ।
১ : ৎ ঞ ষ
২ : এটি সেই পোস্ট যা সকল অন্ধকারকে দূরীভূত করে, আলো আনয়ন করে ও গাব গাছের তলায় পানি দেয় ।
৩ : তোমার কি মনে নেই , তোমার প্রভু কাবজাব তোমাকে পেয়েছিলেন অন্য নামে , অতঃপর তিনি তোমার নাম দিলেন পাখি ।
৪ : অনন্তর তোমার প্রভু প্রতিজ্ঞা করলেন তোমাকে দেবেন এক মহাপোস্ট সিরিজ, যা চলবে চল্লিশ বৎসর কাল, আর যাতে থাকবে মানবকূলের জন্য এক পরিপূর্ণ জীবন ও ব্লগব্যবস্থা , নিশ্চয়ই তিনি প্রতিজ্ঞারক্ষায় পিছপা হন না ।
৫ : বল, হে জনপদের অধিবাসীরা , তোমাদের জন্য আমি সুখবর আনছি পরম বাঁশপ্রদায়কের নিকট থেকে এক মহাসিরিজের, কিন্তু তার জন্য তোমাদের পূরণ করতে হবে একটি শর্ত ।
৬ : তারা বলে, পরমপ্রভু চাইলেই পারেন হাজার হাজার মহাসিরিজ নাযিল করতে , তবে কেন তিনি শর্ত জুড়ে দেন ।
৭ : তুমি বলে দাও, আকাশমন্ডলি এবং সামু আমু আলু ব্লগের অধিপতি কাবজাব অবশ্যই পারেন ; কিন্তু তিনি যা ইচ্ছা করেন ও যা ইচ্ছা করা থেকে বিরত থাকেন, আর বান্দার প্রতি তিনি সিরিজ নাযিল করেন পরীক্ষার মাধ্যমে ।
৮ : অবশ্যই তোমাদের কল্যাণের জন্যই তিনি শর্ত জুড়ে দেন , এবং তিনি জানেন অজ্ঞাত বস্তুর সম্পর্কে, যা তোমরা জানো না ।
৯ : শপথ জানা ও আঢ়িলের, আরো শপথ কলু ও ত্রিভুজের ।
১০ : নিশ্চয়ই কাবজাবের শর্ত পালনের মধ্যেই ব্লগারকুলের কল্যাণ নিহিত ।
১২ : অতঃপর যখন এই পোস্ট নাযিল হয়ে যায়, মোআম্নকে ধরে আনো যেখানে পাও সেখান থেকে, জীবিত অথবা মৃত ।
১৩ : যদি জীবিত ধরে আনো , তবে তাকে কুরবানি কর, যখন কাবজাবের নাম নিয়ে সূর্য উদিত হয় তখন ।
১৪ : পরম-বাঁশপ্রদায়ক তোমাদের সময় দিচ্ছেন একরাতের , আর যখন তোমরা সফল হবে, তখন তিনি তোমাদের উপর নাযিল করবেন চল্লিশবর্ষব্যাপী এক মহাসিরিজ যাতে থাকবে মানবজাতি ও ব্লগারকূলের জন্য পরিপূর্ণ দিক-নির্দেশিকা ।
১৫ : আর যদি তোমরা ব্যর্থ হও, তবে পরমপ্রভু তোমাদের ত্যাগ করবেন, তোমাদের পূর্ববর্তী জাতি-গ্রহসমূহের মত, যারা ব্যর্থ হয়েছিল কাবজাবের
শর্তপূরণে ও যারা অস্বীকার করেছিল তাদের নিজ নিজ জাতির মোআম্নদের কাবজাবের নামে উৎসর্গ করতে ।
১৬ : তারা কি দেখেনা , পরম-বাঁশপ্রদায়ক কাবজাব কি বিচার করেছিলেন ণূঢ়া ও তার চশমিশ ফ্যানদের ; ণূঢ়াকে তিনি নির্বাসিত করেছিলেন পশ্চিমের মরুভুমিতে , আর চশমিশ ফ্যানদের বানিয়েছিলেন জেনারেল আর তাদের তিনি হেয় করেছিলেন দিনরাত চব্বিশ ঘন্টা ওয়াচ করিয়ে , তারা নিস্তার পায়নি ঘুমাতে গিয়েও এমনকি গোসল করে এসেও ।
১৭ : কিন্তু পরম-প্রদায়ক ণূঢ়ার চশমাটিকে সংরক্ষণ করেছিলেন পরবর্তী জাতিসমূহের জন্য নিদর্শণ-স্বরুপ, যাতে তারা সাবধান হয় ।
১৮ : তারা কি শিক্ষা গ্রহণ করবে না পূর্ববর্তী যারা শর্তপালন করেনি তাদের থেকে , নাকি তারা বধিরও অন্ধ ।
১৯ : তারা কি জানেনা পরম কাবজাব খবর রাখেন সমস্ত কিছুর ; তাদের আইপি এড্রেস, সাবনেট মাস্ক , ডিফল্ট গেটওয়ে , এবং অন্য সমস্ত কিছুর যারা তা লুকিয়ে রাখে সেসবেরও ।
২০ : তারা কি দেখেনা পরম কাবজাব কিভাবে একটি পোস্টকে ডিলিট করান ও কাউকে কাউকে জেনারেল বানান ও কাউকে কাউকে ওয়াচ করান , আর এসবের জন্য তার একটি ইশারাই যথেষ্ঠ ।
২১ : অতঃপর তারা পরম প্রদায়কের কোন বাঁশকে এড়িয়ে যাবে ।
বুধবার, ৩০ মার্চ, ২০১১
যথার্থ ইসলামী বিচার
ধর্ষিতা হবার 'অপরাধে' মেয়েকেই শাস্তি দেয়ার বিধান ইসলাম ছাড়া আর কোনও ধর্মে আছে কি না, জানি না। আর থাকলেও চর্চিত হয় বলে মনে হয় না। তবে ইসলাম তো পরিবর্তনে বিশ্বাসী নয়। চোদ্দশো বছর আগে পাওয়া অমানবিক, মধ্যযুগীয়, বর্বর নীতিরীতির অন্ধ অনুসরণ অনগ্রসর মুসলিম জাহানকে অন্ধকারাচ্ছনই করে রাখে।
আরব আমিরাতের এক পাঁচতারা হোটেলে কর্মরতা এক অস্ট্রেলীয় মহিলাকে রাসায়নিক দ্রব্য মিশ্রিত অ্যালকোহল খাইয়ে ধর্ষণ করে তাঁর সহকর্মীরা।
বিচারের জন্য আদালতের আশ্রয় নিলে আদালত তাঁকে আট মাসের জেল দেয়। বিবাহবহির্ভূত যৌনসম্পর্ক স্থাপনের দায়ে।
ইসলামী বিচারব্যবস্থার প্রতি শ্রদ্ধায় মস্তক অবনত হয়ে আসে আমার।
হিচেন্সীয় যুক্তি-হাতুড়ি
মানুষের দুর্বল মুহূর্তে তাকে ধর্মগ্রহণের বা ধর্মান্তরিত করার অভিসন্ধি নিয়ে ওত পেতে থাকে ধর্মবানেরা। মৃত্যুশয্যায় শায়িত বা ভয়াবহ অসুস্থ অনেককে প্ররোচিত তারা হয়তো করতে পারে। কিন্তু সেটা কতোটা নৈতিক ও মানবিক? হিচেন্স এই প্রশ্নের লা-জবাব জবাব দিলেন! হিচেন্সীয় হিকমতী যুক্তি-হাতুড়ির জুতসই আঘাতে চুরমার হয়ে গেল ধর্মীয় ভণ্ডামির ভালোমানুষি মুখোশ।
মাত্র আড়াই মিনিটের অবশ্যদ্রষ্টব্য ভিডিও।
কোরানের সাধারণত্ব
মুসলমানদের দাবি, কোরানের ভাষামাধুর্য, কাব্যময়তা একেবারেই অতুলনীয় এবং তেমন আরেকটি গ্রন্থ রচনা করা আদৌ সম্ভব নয়। এছাড়া কোরান অসংখ্য বৈজ্ঞানিক তথ্যে ভরপুর! শুনলেই ইসলামী মনটা ভরে ওঠে গর্বে।
কিন্তু সত্য কথাটা হচ্ছে এই: কোরান আসলে একদল তৃতীয় শ্রেণীর পুরুষের রচিত অতি নিম্নমানের গ্রন্থ। বক্তব্যের দিক থেকে তো অবশ্যই। অজস্র পরস্পরবিরোধী আয়াত, হিংসা, উগ্রতা ও ঘৃণার অসহিষ্ণু বাণী - এসবের কারণে অবশ্য কোরানকে অ-সাধারণ বলতে আমার আপত্তি নেই। এতো অসুস্থ বক্তব্যের বইকে সাধারণ বলি কী করে?
ঈশ্বরের পিন্ডি শয়তানের ঘাড়ে - ২
লিখেছেন লাইট ম্যান
(যাঁরা প্রথম পর্ব মিস করেছেন তাদের জন্য লিংক)
আদমের শরীরে যান্ত্রিক কলকব্জা স্থাপনের কাজ শেষ করে ঈশ্বর প্রস্তুতি নিতে থাকেন আদমের ‘জীবন দান’ কর্মসূচীর। ঈশ্বরের নির্দেশে স্বর্গের কয়েকজন দেবতা আদমকে চ্যাংদোলা করে তুলে এনে শুইয়ে দিল ছায়া ঘেরা বিশাল গাছের নীচে পরিপাটি করে রাখা খেজুর গাছের তক্তার তৈরী খাটিয়ার উপর। সেই গাছের বক্র ঢালে ঝুলিয়ে রাখা রক্তের ব্যাগ থেকে লম্বা সরু নলের সুঁচালো মাথা গোঁত করে গুতিয়ে ঢুকিয়ে দেওয়া হল আদমের ডান হাতের কব্জিতে। এরপর ঈশ্বর তাঁর কাঁধে ঝোলানো ব্যাগে হাত ঢুকিয়ে বের করে আনলেন “বিশুদ্ধ প্রাণবায়ু” লেবেলযুক্ত ছোট্ট শিশি। লম্বা সিরিঞ্জ দিয়ে ঈশ্বর এই শিশি থেকে কয়েক দাগ প্রাণবায়ু ফস্ বের করে পুশ্ করে ঠেসে ভরে দিলেন আদমের শুন্য কলিজায়।
চঞ্চল নেত্রে চাপা শোরগোল সহকারে দেবতারা ঈশ্বরের চারপাশ ঘিরে তীব্র উত্তেজনা নিয়ে দেখতে লাগল আদমের প্রাণদানের অতি দুর্লভ দৃশ্য, দমে তালা দিয়ে প্রবল উৎকন্ঠা নিয়ে দেবতারা উপভোগ করতে লাগল শ্বাসরুদ্ধকর সঞ্জীবনী পদ্ধতি প্রয়োগের জটিল ক্রীড়া-কৌশল।
রক্ত ও প্রাণবায়ু মিলেমিশে একাকার হয়ে আদমের প্রতিটি রগে রগে কিলবিলিয়ে চলাচল শুরু হলে ঝাঁকি দিয়ে কেঁপে কেঁপে শক্ত মাটি বুদ্বুদ্ শব্দে বিক্রিয়া করে পরিণত হল কোমল পেলব নরম মাংসে।
শরীরের কিছু কিছু গোপন স্থানে ও কিছু প্রকাশিত স্থানে মাংস ফুঁড়ে ধীরে ধীরে উঁকি মারতে শুরু করল গুচ্ছ গুচ্ছ কেশ রাশি।
এভাবে পেরিয়ে যায় অনেক সময়, তবে আদমের জেগে উঠার কোনো লক্ষণ নাই। প্রবল অস্থিরতায় ঈশ্বরের মনে দাবড়ে বেড়াতে লাগল দুশ্চিন্তার ঘন কুয়াশা। কোথায় যেন ভুল আছে, সে ভাবনায় তিনি হাত দিয়ে আদমের নাড়ী পরীক্ষা করে দেখেন, কার্ডিওগ্রাফ যন্ত্র কানে দিয়ে হৃদযন্ত্র পরীক্ষা করেন। শেষে আদমের দুই ঠোঁট সামান্য ফাঁক করে তাতে নিজের মুখ আলতো ভাবে বসিয়ে দুই গাল ব্যাঙ-এর মত ভক্ করে ফুলিয়ে ফুৎকা সহযোগে অক্সিজেন সরবরাহ বাড়িয়ে দিলেন আদমের হৃদযন্ত্রে।
আদমের নগ্ন বক্ষে সদ্য গজানো স্তন্যে ঈশ্বরের লম্বা দাড়ির স্পর্শ জনিত অস্বস্থিকর সুড়সুড়িতে সম্বিত ফিরে পেয়ে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে লাফিয়ে ওঠে আদম। চোখ খুলে আগপাছ না ভেবেই সুড়সুড়ি সামলাতে হঠাৎ দু’হাতে খামছে ধরে হোৎকা টান মারে ঈশ্বরের লম্বা দাড়ি।
ঘটনার আকস্মিকতায় ভড়কে গিয়ে ঈশ্বর পড়ি-মরি করে কোনোমতে আদমের হাত থেকে পিছলিয়ে উদ্ধার করতে সক্ষম হয় বহু বছরের সঞ্চিত সাধের দাড়ি। ততক্ষণে আদমের মুষ্টিবদ্ধ আঙ্গুলের ফাঁকে জমা পড়ে যায় বেশ কিছু আধাপাকা শুকনো দাড়ি।
আদমের এহেন শিষ্টাচারবর্জিত আচরণে ভয়ে তটস্থ স্বর্গের দেবতারা রব তোলে, হায় ঈশ্বর! এ কী হল! সব তো আদম বেটা নিয়ে গেল!
এই পচা মাটির খচ্চরটা ঈশ্বরের ইজ্জত ধরে টান মারল?
না জানি সুযোগ পেলে আমাদের কী অবস্থা করে ছাড়বে হতচ্ছাড়া ত্যাঁদড়টা? এই শংকাতে তীব্র শোরগোল শুরু হয়ে গেল দেবতাকূলে।
ঈশ্বর সবাইকে অভয়বাণী বর্ষণ করে বলল্লেন, বিচলিত হয়ো না, আমার স্বর্গ পুরির বাসিন্দারা। ঈমান ত্যাড়াব্যাড়া করিও না, শোরগোল বির্সজন দিয়ে শান্ত হও। এই শাস্তি অবশ্যই ভোগ করবে আদমের চৌদ্দ গোষ্ঠি। ব্যাটা এখনো অশিক্ষিত গো-মূর্খ। শিক্ষার পিদিম জ্বেলে আগে তাকে কিছুটা শিখিয়ে পড়িয়ে মানুষ বানাই। তারপর তাকে ভাতে মারব, পানিতে মারব, অনাহারে মারব, ঘূর্ণিঝড়ে উড়িয়ে মারব, ভূমিকম্পে পিষে মারব, রোগে-শোকে মারব, সব শেষে নরকের আগুনে পুড়িয়ে কাবাব করব। তখন বুঝবে ব্যাটা, ঈশ্বর কারে কয়?
পরদিন তিনি আদমকে স্বর্গীয় বাগান ইডেনে খেলতে দিয়ে গাছ গাছালির পাতার নিচে বসিয়ে দিলেন গোপন ক্যামেরা।
কিছু দিনের মধ্যে ঈশ্বরের সদর দপ্তর ভরে যেতে থাকে অভিযোগপত্রে। পরিবেশবাদী দেবতারা দিলেন চরম হুঁশিয়ারি: আদমের মল-মুত্র বিসর্জনের তীব্র দুর্গন্ধে স্বর্গের শান্তিদাদা চিরদিনের মত জ্ঞান হারাতে পারে। সুশীল সমাজের দেবতাদের অভিযোগ আরো গুরুতর। আদম নাকি নগ্ন পোষাকে দেবতা পল্লীর যত্রতত্র ঘুরে বেড়ায়। লাজ শরমের মাথা খেয়ে দেবতা দেখলেই আচানক দুই উরুর মাঝে হাত নামিয়ে গোপন জৈবিক শৈল্পিক কর্ম সেরে নেয় প্রকাশ্যে।
অবস্থা তথৈবচ বুঝে সর্বজ্ঞ ঈশ্বর ভবিষ্যৎ গুনে দেখলেন, আদমকে বেশীদিন স্বর্গে রাখলে দেবতাদের গণবিদ্রোহের সূচনা আসন্ন। উপায়ান্ত না দেখে তিনি তার দীর্ঘ দিনের বিশ্বস্ত বন্ধু শতুকে (শয়তানকে) ডেকে বললেন, আমি আদমের জন্য ঈভ তৈরী করছি, এর ফাঁকে তুমি ইডেনের “জ্ঞানবৃক্ষে”র গোড়ায় কিছু পানি ঢেলে এস। সকাল বিকাল দুই বেলা পানি দিয়ে গাছটিকে মোটা তরতাজা কর যাতে শিগগির ফল দেয়।
আদম তৈরীর উদ্বৃত্ত মাটি নিয়ে ঈশ্বর ব্যস্ত হয়ে পড়লেন ঈভ তৈরীর কাজে। ঈভ তৈরীর কাজ সমাপ্ত হওয়ার পরেও পাত্রে সামান্য কিছু মাটির ঢেলা পড়ে থাকে। ঈশ্বর মাটি টুকু আঁচড়িয়ে দুটি বলের মত বানিয়ে সেগুলোকে সেঁটে দেন ঈভের নগ্ন বুকের দু’পাশে। এতে ঈভের ইয়ে দুটির আকৃতি হয় ভাপা পিঠার মত ঠাসা ঠাসা। তা দেখতে হয় আরো আকর্ষণীয়।
নিত্য দিনের মত বিকালে প্রাইভেট পড়তে এলে আদমকে ঈশ্বর নানা ছলাকলায় “অজ্ঞান বিষ” মিশানো লেবেন্সুস খাইয়ে কৌশলে বেহুঁশ করেন। শান দেওয়া ছুরি-কাঁচি চালিয়ে আদমের পাজর কেটে বিনা অনুমতিতে চুরি করেন একটি ছোট্ট হাড়। তা দিয়ে তৈরী করেন একটি “মনচুরি” চিপ্। এই চিপ্ তিনি ভরে দেন ঈভের দেহে। যাতে ঈভকে দেখলেই আদমের মনে কামজাগতিক রশ্মির তেজস্ক্রিয়তা হু-হু করে বেড়ে উঠে।
হুস ফিরে এলে আদম টের পায় তার পাশে এক লাস্যময়ী ললনার নীরব উপস্থিতি। ঈভের কোমল অঙ্গের গরম স্পর্শে আদমের মন ভচকে যায়। ভুলে যায় হাড়-চুড়ির সব ব্যাথা। খুশিতে আদম গান ধরে:
মন চাইলে মনটি পাবে, দেহ চাইলে দেহ
সবই হবে অগোচরে, জানবে না তো কেহ।
ঈশ্বর পুনরায় শয়তান কে ডেকে বলল্লেন, “ঈভকে সৃষ্টি করে মনে হয় আরো বেশি ভুল করলাম রে শতু। শালা আদম ঈভকে পেয়ে তো পড়তেই বসে না! তাড়াতাড়ি জ্ঞানবৃক্ষের ফল খাইয়ে ওদের স্বর্গ থেকে তাড়ানোর ব্যবস্থা কর”।
শতু ভয়ে ভয়ে পাল্টা দিল, “ আদম তো রোজ বিকালে আপনার কাছে প্রাইভেট পড়তে আসে, আপনিই তো তা করতে পারেন”।
ঈশ্বর জবাব করলেন, “আমার সময় ফুরিয়ে আসছে, মরার আগে আমি চাই একটু সম্মানে মরতে। সবাই আমাকে সেজদা দিক, আমার কাছে প্রার্থনা করুক, তোষামোদ করুক, আমার নাম ভজন করুক, গুণকীর্তন করুক, আমাকে দয়ালু, সর্বজ্ঞ, ত্রিকালদর্শী বলে অযথা সময় নষ্ট করুক, তা না হলে মরেও শান্তি পাব না রে”।
ঈশ্বর শতুকে অভয় দিয়ে আরো বললেন, “ফল খাওয়ানোর সব ব্যবস্থা আমি তো করেই রেখেছি। তোমার কাজ শুধু ওদেরকে একটু পটিয়ে চটিয়ে মুখে তুলে খাইয়ে দেওয়া। যাতে আদম ইতিহাসে আমার সাথে তোমার নামও অমর থাকে”।
নাস্তিক হবার আরও একটি খারাপ দিক
মঙ্গলবার, ২৯ মার্চ, ২০১১
কোরান: ঘৃণাবর্ষী বক্তব্যের অনন্ত খনি
বিশ্বাসীর অবিশ্বাস্য কীর্তি
ধর্মবিশ্বাস ব্যাপারটা অ-লৌকিক বলেই মনে হয় আমার। সুস্থবুদ্ধির লোকদের পক্ষে যা করা সম্ভব নয়, প্রবল ধর্মবিশ্বাস তার অনুসারীদের দিয়ে সেটাই করিয়ে নেয়। সুতরাং তা অ-লৌকিকই বটে! তেমন অ-লৌকিক ঘটনার অজস্র নিদর্শনের তালিকায় যোগ হলো আরও একটি।
এই ধরাধামে যিশুর দ্বিতীয় আগমন সমাসন্ন এবং বাইবেলেই উল্লেখ আছে তাঁর আগমন-পূর্ববর্তী বিশ্বব্যাপী সংকট, দুর্যোগ, দুর্ভিক্ষ, যুদ্ধ ও দুঃখ-কষ্টের অনিবার্যতার কথা (বাইবেলের ভাষায় Tribulation) - এই দুইয়ে মিলে এক ধর্মবতীর ধর্মময় মস্তিস্ককে অ-লৌকিক এক পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করলো। নিজেকে এবং নিজের মেয়েদেরকে সম্ভাব্য এই নরকযন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে সে নিজ হাতে মেয়েদেরকে হত্যা করে আত্মহত্যা করার উদ্যোগ নিলো। পরিকল্পনা মাফিক মেয়েদের গলা ছুরি চালিয়েছিল সে, কিন্তু একেবারেই অসময়ে তার এক বন্ধু তার বাসায় এসে পড়ায় পরিকল্পনা ভণ্ডুল তো হয়ে পড়ে।
উপাসনালয়ে নিরীশ্বরবাদী বক্তৃতা
ইহুদি ধর্মে প্রচলিত রীতি অনুযায়ী, বালক ও বালিকার বয়স যথাক্রমে ১৩ ও ১২ পূর্ণ হলে এর পর থেকে তাদের কৃতকর্মের দায়ভার দায়িত্ব তাদের ওপরেই বর্তায়। এই ভারপ্রাপ্তি উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানও করা হয়ে থাকে তাদের উপাসনালয় সিনাগগে। সেটির নাম: Bar/Bat Mitzvah।
তেমনই এক অনুষ্ঠানে এক বালকের বক্তব্য শুনে খুব অবাকই হলাম। উপাসনালয়ে দাঁড়িয়ে নিরীশ্বরবাদী কথা কী হাসিমুখে বলে গেল সে! তার রসবোধটিও বেশ। তার কথা শুনে উপস্থিত ব্যক্তিরা হেসেছে প্রাণ খুলেই।
রবিবার, ২৭ মার্চ, ২০১১
বুরকা অ্যান্ড দ্য বিচ – ০৩
বিকিনিবহুল সমুদ্রতীর বা অন্যান্য রৌদ্রস্নানস্থলে বোরখাপরিহিতার অবস্থান বড়োই বেমানান, অশোভন, দৃষ্টিকটু এবং অশালীনও বটে। সেখানে তোলা কিছু ছবি ও প্রাসঙ্গিক কার্টুন সংকলন "বুরকা অ্যান্ড দ্য বিচ" ("বিচ" বানান কিন্তু beach। খিয়াল কৈরা!)।
আজকের ছবি চারটে পাঠিয়েছেন এবং বর্ণনা লিখে দিয়েছে অমিত আহমেদ।
সাগরের মাঝে ওই বিকট বস্তুটি কী হতে পারে তাই তো ভাবছেন, নাকি? আর কিছু নয়! প্রকৃতির টানে সমুদ্রস্নানে নেমে পড়েছেন বুরকাবৃত তরুনী (বৃদ্ধাও হতে পারেন অবশ্য)! ইয়েমেনের আডেন এএফপির আলোকচিত্রী কারিম সাহিব এর তোলা ছবি।
একই সিরিজের আরেকটি ছবি
এবং আরেকটি।
এবার এটাই শেষ।
কোরান কি আল্লাহর বাণী? প্রসঙ্গ: হুর-গেলমান
লিখেছেন হৃদয়াকাশ
প্রায় সব মুসলমানই চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করে যে, কোরান আল্লার বাণী। আল্লা তা ফ্যাক্স (জিব্রাইল) যোগে মুহম্মদের নিকট পাঠিয়েছে! মুহম্মদ শুধু তা প্রচার করেছে। এর কারণ হচ্ছে আমাদের সিনিয়র ধর্মান্ধ মুসলমানরা তাদের ছোটদের এভাবেই শিক্ষা দিয়েছে এবং এখনো দেয়। তাদেরকে শেখানো হয় না কোরান হাদিস সংকলনের আসল ইতিহাস। কোরান যে মুহম্মদের মৃত্যুর অন্তত ১০০ বছর পর এবং হাদিসগুলো প্রায় ৩০০ বছর পরে বইয়ের আকারে লিখিত রূপ পেয়েছে, এই ইতিহাস অধিকাংশ মুসলমানই জানে না। অধিকাংশই মনে করে, কোরান একেবারে পুস্তক আকারেই মুহম্মদের কাছে এসেছে। সুতরাং কোরান মুহম্মদের মুখনিসৃত বাণী নয়, তা আল্লার বাণী। মুহম্মদের মুখ নিসৃত বাণীগুলো হাদিস। কিন্তু ভয়-ভীতি উপেক্ষা করে তাদের যখন কোরান সংকলনের ইতিহাস বলা হয় তখন তারা গভীর সন্দেহ নিয়ে অবাক হয়; যদিও বিশ্বাস করে না এক তিলও। কারণ এতে রিস্ক আছে। পরকালে হুর-গেলমান হারানোর রিস্ক। তখন তারা যুক্তি তর্কে হেরে গেলেও মনে করে, দূর কোরান যেভাবে সংকলন হয় হোক। তাতে আমার কী? আমি বিশ্বাস করি কোরান আল্লার বাণী আর তা বই আকারেই এসেছে; ব্যস।
এখানে হুর-গেলমান নিয়ে একটু আলোচনা করা যাক। হুর মানে প্রায় সবাই জানে। এরা হলো স্বর্গবেশ্যা। একেবারে নিম্নশ্রেণীর বেহেশতিও পাবে কমপক্ষে ৭২ জন হুর। আর দাস-দাসির তো হিসেব নেই। এর বাইরে বেহেশতিরা পাবে গেলমান। গেলমান হচ্ছে পুরুষ-পতিতা বা হিজড়া। যারা পায়ুপথে সেক্স করিয়ে আনন্দ পায়। হযরত মুহম্মদের চিন্তাধারা কী পরিমান নিকৃষ্ট, এই একটি ঘটনা থেকে তা বোঝা যায়। পুরুষদেরকে তার ধর্মে ধর্মান্তরিত করার জন্য গণিমতের মালের ভাগ দিলেন, চারটি বিয়ে করে মিনি হারেম বানানোর সুযোগ দিয়ে বালিকা-যুবতী-প্রৌঢ়া-বৃদ্ধা সকল রকম নারীর দেহের স্বাদ নেবার ব্যবস্থা করলেন, বিয়ের বাইরে মুতা বিয়ে নামক তিনমাস মেয়াদী এক অস্থায়ী বিয়ের ব্যবস্থা করে বছরে অন্তত আরও চারটি নারীকে ভোগ করার ব্যবস্থাপত্র দিলেন, দাসীদের ভোগ করার অনুমতি দিলেন, সব দিক থেকে পুরুষদেরকে নারীদের থেকে শ্রেষ্ঠ বলে ঘোষণা দিলেন। ইহকালে পুরুষদের জন্য এত ব্যবস্থা করার পরও বোধহয় তার মনে থেকে সংশয় যায় নি। তাই পরকালের জন্য হুরের লোভও দেখালেন।
ইহুদি ও খ্রিস্টান ধর্মে এটা আছে কি না জানি না। তবে হিন্দু ধর্মে উর্বশী, রম্ভা নামে কতিপয় স্বর্গবেশ্যার কথা বলা আছে। যারা স্বর্গের রাজা বা দেবদেবীদের নাচ-টাচ দেখিয়ে মনোরঞ্জন করে; কিন্তু সাধারণ পাবলিকদের জন্য সেক্সের কোনো ব্যবস্থা সেখানে নেই। মুহম্মদ এই সকলকে টেক্কা দিয়ে মুলমানদের জন্য করলেন এক অভাবনীয় ব্যবস্থা। কমপক্ষে ৭২ জন করে হুর। এতেও মুহম্মদ সন্তুষ্ট হলেন না। তার উম্মত বলে কথা! তিনি তার উন্মাদদের (উম্মত) জন্য আরও লোভনীয় ব্যবস্থা করলেন। হুরের বদলে গেলমান। যোনীর বদলে পায়ু। এ থেকে আমার মনে হয়, মুহম্মদও সমকামী ছিলেন অথবা সেই সময় আরবে সমকামী প্রথা চালু ছিলো। না হলে মুহম্মদ এটা জানলো কী করে যে, অনেক পুরুষই যোনীর পাশাপাশি পায়ু পছন্দ করে? এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই গেলমানের ভূমিকা কে পালন করবে? তারা কি ফেরেশতা? যতদূর জানি, লৈঙ্গিক দিক থেকে ফেরেশতারাও হিজড়ার সমতুল্য।
এবার আসল প্রসঙ্গে আসি, সুরা আল ফোরকাণ (২৫:৫৯) এ বলা হয়েছে, ‘আল্লাহ হচ্ছেন একমাত্র তিনিই যিনি আসমানসমূহ ও জমিন সৃষ্টি করেছিলো এবং এদের মাঝখানে যা কিছু আছে তাও।’ এই সুরার বক্তব্যে স্পষ্ট যে, দ্বিতীয় কোনো ব্যক্তি আল্লাহকে কারও সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন। অথচ বলা হয় কোরানের সমস্ত কথাই আল্লার। তাই যদি হয় উপরোক্ত আয়াত কি তা প্রমাণ করে? এই আয়াতে আরও বলা হচ্ছে আসমানসমূহ। কিন্তু বিজ্ঞান বলে আসমান বা আকাশ বলে কিছু নেই। সবই মহাশূন্য। সেখানে আসমানসমূহের প্রশ্নই আসে না। মূর্খ মুসলমানেরা মনে করে, আসমান হচ্ছে ছাদের মতো, যেখানে চন্দ্র সুর্য তারা ঝুলানো আছে। এই জ্ঞানও অবশ্য তারা কোরান থেকে পেয়েছে। সুরা আল আম্বিয়ার ৩২ আয়াতে বলা হচ্ছে, ‘এবং আমি আকাশকে সংরক্ষিত ছাদ করিয়াছি।’ তাইলে আর মুসলমানদের দোষ কী? আল্লার কথায় অবিশ্বাস করে হুর-গেলমান হারানোর রিস্ক কে নেয়?
হুর-গেলমানের কথায় এখানে আর একটা কথা মনে পড়ে গেলো। একজন বেহেশতি যখন কমপক্ষে ৭২ জন করে হুর এবং আরও বেশ কিছু গেলমান পাবে। তখন তো তাদের সঙ্গে তার নিয়মিত সেক্স করতে হবে। আর সেক্স করবেই বা না কেনো, বেহেশতে তো নামাজ-রোযা-হজ্জ-যাকাত-রুজি-রোজগারের কোনো ব্যাপার নেই। শুধু সেক্স আর সেক্স। এই সেক্স করতে তাদের নাকি কোনো ক্লান্তিও আসবে না। বীর্যপাতের মতো কোনো ব্যাপার মনে হয় সেখানে নেই। আল্লা বোধহয় প্ল্যান করেই বীর্যপাতের ব্যাপারটাকে এড়িয়ে গেছে। কারণ বীর্যপাত হলে তো আবার হুরদের গর্ভবতী হবার সম্ভাবনা। তখন আবার বাচ্চা কাচ্চা, আবার পৃথিবীর মতো গ্যাঞ্জাম! এর প্রার্থনা, ওর ফরিয়াদ!
যাক গে, এতজন হুর-গেলমানদের সঙ্গে সেক্স করতে গেলে একটা সিস্টেম থাকা দরকার। কার পর কে? অথবা কয়দিন পরপর কার কার পালা, এই সব আর কী? না হলে হুর-গেলমানরা আবার ক্ষেপে যেতে পারে। তাদেরও তো একটা চাহিদার ব্যাপার আছে । হুর-গেলমানদের চাহিদা ঠিকমতো পূরণ না হলে তারা আবার আল্লার কাছে বিচার দিতে পারে। তখন আবার আল্লাকে বিচারে বসতে হবে। আবার ঝামেলা। আমার মনে হয়, এই ঝামেলা এড়াতে আল্লা নিশ্চয় কোনো ব্যবস্থা নিয়ে রেখেছে। সেই ব্যবস্থা হতে পারে কাউকে ম্যানেজারির দায়িত্ব দেয়া। যে সিরিয়ালগুলো মেইনটেইন করবে। আমার প্রশ্ন হচ্ছে এই ম্যানেজারটা কে? এ ব্যাপারে তো ইতরামি (ইসলামি) ইতিহাসে কিছু পাই না। ইসলাম নাকি আবার পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। তো এখানে আবার ফাঁক কেনো? এ ব্যাপারে ইতরামি চিন্তাবিদরা কিছু বলুন। সুষ্ঠু ব্যবস্থা থাকলে আমরা কাফের, নাস্তিকরাও মৃত্যুর পূর্বে মুসলমান হয়ে মরার চিন্তা-ভাবনা করতে পারি। কারণ সারাজীবন যা-ই করি, মুসলমান হয়ে মরলে তো বেহেশত নিশ্চিত। সেই সঙ্গে নিশ্চিত শ'খানেক হুর-গেলমান। এই চান্স ছাড়ে কে? কাফের নাস্তিকরা জোরে বলেন, তাই তো, তাই তো!
যে য্যামনে দ্যাখে
অনেক পুরনো খবর অবশ্য। শীতকালান্তে গলে শুকিয়ে যাওয়া বরফ আর লবণের (বরফের পিচ্ছিলতা কমাতে লবণ ছেটানো হয়ে থাকে) দাগে খ্রীষ্টভূতাক্রান্তরা খুঁজে পেল কুমারি মেরির প্রতিকৃতি! জায়গাটি পরিণত হলো তীর্থস্থানে।
মজার ব্যাপার হচ্ছে, সবাই যে ওখানে মাতা মেরিকেই দেখেছে, তা কিন্তু নয়! পরের ছবিটি দেখুন। তবে ইমোটা খিয়াল কৈরা!
ইসলামী জোশে জোশান্বিতরা
ডাবল স্ট্যান্ডার্ড
আস্তিক আর নাস্তিক। দু'জনের কর্মকাণ্ড যদি একই রকমও হয়, তবু তাদেরকে দেখা হয় ভিন্ন দৃষ্টিতে, আলাদাভাবে মূল্যায়ন করা হয় তাদের কাজকর্ম। কারণটি বোধহয় এই যে, একজনের ওপরে আছে আল্লাহর মেহেরবানি, অন্যজনের ওপরে লানত।
নইলে এই ভিডিওতে করা প্রশ্নগুলোর উত্তর পাওয়া যায় না যে!
নইলে এই ভিডিওতে করা প্রশ্নগুলোর উত্তর পাওয়া যায় না যে!
খ্রিষ্টধর্মও রক্স!
পাথর ছুঁড়ে মানুষ মারার বিধান ইসলামে তো আছেই, আছে খ্রিষ্টধর্মেও। আটাশ বছর বয়সী এক খ্রিষ্টঅন্তপ্রাণ যুবক মোজার ভেতরে পাথর ভরে উপর্যুপরি আঘাত করে হত্যা করেছে সত্তর বছর বয়সী এক বৃদ্ধকে। বৃদ্ধের অপরাধ - তিনি ছিলেন সমকামী। আর বাইবেলের ওল্ড টেস্টামেন্টে তো লেখাই আছে, সমকামীদেরকে পাথর ছুঁড়ে হত্যা করা যায়। কৈফিয়ত হিসেবে সে কথাই বলেছে খুনি খ্রিষ্টানটি।
ওপরের ছবিটি নেয়া হয়েছে খ্রিষ্টান শিশু ও তরুণদের জন্য বানানো সাইটে প্রকাশিত Bible Stories for Kids: The Stoning of Stephen নামের এক রচনা থেকে। শিশুদের জন্য বাইবেলের এই গল্প! শুধু কি তাই! এই ছবিটি প্রিন্ট করে নিয়ে সেটিকে রং করার আহ্বান জানানো হয়েছে এই রচনার শেষে! ধর্মীয় শিক্ষার উৎকৃষ্ট নিদর্শন।
আরেকটি খবর। ব্ল্যাক আর্থ চার্চের আট সদস্য শিশু নিপীড়নের দায়ে অভিযুক্ত হয়েছে। না, যৌননিপীড়ন নয়, প্রহার। দু'মাস বয়সী শিশুকেও। ভাবছেন, আইনগতভাবে নিষিদ্ধ হলেও বাবা-মা'রা নিজেদের শিশুদের নানান সময় অল্পবিস্তর প্রহার করতেই পারে। কিন্তু এক্ষেত্রে ঘটনা ভিন্ন। অভিযুক্তরা শিশুদের প্রহার করেছে বাইবেলের নির্দেশনা মেনে।
কোরানে আছে স্ত্রীপ্রহারের নির্দেশনা, আর বাইবেল প্ররোচনা জোগায় শিশুপ্রহারে! চমৎকার! আমার মুগ্ধতা কাটে না...
শুক্রবার, ২৫ মার্চ, ২০১১
রুধির-রঙ্গ
হিন্দু ধর্ম বিষয়ে কোনও পোস্ট দেবার আগে যে কোনও সংশয়ে বা প্রশ্নে ধর্মকারীর অবৈতনিক হিন্দুধর্মবিদ কৌস্তুভ-এর সঙ্গে যোগাযোগ করে নিই। একটু অনুরোধ করলে সেই পোস্টগুলোর জ্ঞানগর্ভ ভূমিকাও লিখে দেন তিনি। যেমন করেছেন এই পোস্টের জন্য। ফলে বিশিষ্ট ভূমিকাবাজ হিসেবেও তিনি তাঁর আসন পোক্ত করে ফেলেছেন।
খ্রীষ্টজন্মের হাজারদুয়েক বছর আগে আর্যরা হইহই করে ঢুকে পড়ল ভারতে, এশিয়া মাইনর থেকে উত্তর-পশ্চিমের পথ ধরে। সেখানে সিন্ধু সভ্যতার দ্রাবিড় গোষ্ঠীকে ঠেলে সরিয়ে দিল মধ্য, দক্ষিণ ও পূর্ব ভারতে। উত্তর আর পশ্চিম ভারতে ধীরেসুস্থে জমিয়ে বসল, দ্রাবিড়দের সঙ্গে কিছু মিশ্রণের মাধ্যমে কিছু কিছু সংস্কৃতিকে আত্তীকরণ করে নিল। তার মধ্যে ছিলেন একজন দেবতা – পশুপতি, আর একজন দেবী – প্রকৃতি। কালে কালে পশুপতি শিব এবং প্রকৃতি কালী হয়ে আর্যদের ধর্মপুস্তকেও জায়গা করে নিলেন, পরস্পর বিয়ে-থা দিয়ে দেওয়া হল তাঁদের। এমনিতে আর্যদের সব দেবদেবীই ফর্সা, এঁরাই কালো রয়ে গেলেন। অবশ্য একজন ফর্সা দেবী, যিনিও প্রকৃতির স্ট্যাটাস পেতেন মোটামুটি, তাঁকে কালীর সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়া হল। এদিক থেকে বৈদিক ধর্মের সুবিধা – একই দেবতার হাজার রূপ, এক এক রূপে এক এক কর্ম। তারা, দুর্গা, পার্বতী, বৈষ্ণোদেবী, অনেক রকম রূপে ফর্সা দেবীটিই মূলত প্রচার পেতে লাগলেন, কালো দেবীটি কেবল ভয়ঙ্করী রূপে চণ্ডী নামে কিছু কিছু জায়গায় খাতির পেলেন। অবশ্য একটা আলাদা ভাগ তৈরী হয়ে গেল যারা এই দেবীর অনুসারে কিছু জটিল ক্রিয়াকলাপ করতে লাগলেন - হিন্দুধর্মে তার নাম হল তন্ত্র, আর এই তন্ত্র যুক্ত হয়ে বৌদ্ধধর্মের একটা ধারা হয়ে উঠল বজ্রযান।
অনার্যদের মধ্যে কিন্তু আদিম দেবী হিসাবে কালীর নানা ফর্মই পুজো পেতে লাগল। মধ্য আর পূর্ব ভারতের আদিবাসীদের মধ্যে সেই অভ্যাসই দেখা যায়, আর্য দেবদেবীদের সেখানে খাতির নেই। ভারতে ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাগোষ্ঠীর মধ্যে বাংলাতেই দ্রাবিড় রক্তের ভাগ বেশী। 'বঙ্গে ব্রাহ্মণাধিকার' প্রবন্ধ-সিরিজে বঙ্কিম দেখিয়েছেন, বাংলায় ‘খাঁটি রক্তের’ আমদানি প্রথমে করলেন ধর্মপ্রাণ বল্লাল সেন, আর্য্যাবর্ত থেকে কয়েক ঘর ব্রাহ্মণ এনে। তাদের মধ্যে দিয়েই কুলীন বামুন ইত্যাদি অভ্যাসের চল বাংলায়। তারা গুচ্ছে গুচ্ছে বংশবিস্তার করতে লাগল, গণ্ডা গণ্ডা বিয়ের মাধ্যমে। কিছুদিন পর কয়েক ঘর বৈশ্য এল, যাদের থেকে কায়স্থ ইত্যাদিদের বংশপ্রচলন। নইলে, ভারতের অধিকাংশ স্থানে উচ্চকুলশালী ব্রাহ্মণেরা এমনিতে সংখ্যালঘু; এখানে হয়ত তাদের অনুপাত বৈশ্যদের তুলনায় একটু বেশীই হবে।
যাহোক, কালীর রবরবা কিন্তু বাংলায়, বিশেষত একটু ‘নিচু জাত’ যারা, তাদের মধ্যে রয়েই গেল। কালীর একটু আদিম, একটু হিংস্র, একটু রাগী, একটু ভয়ঙ্করী রূপ – একটা ফ্যান্টাসিই এসে গেল অনেকের মধ্যে, এমন কি ব্রাহ্মণদেরও। যেমন সাধক রামপ্রসাদ, সাধক কমলাকান্ত, সাধক বামাক্ষ্যাপা। এরকম অনেকেই হয়ে উঠলেন তান্ত্রিক। কালীর এই রূপটা ডাকাতদেরও খুব পছন্দ ছিল, বলাই বাহুল্য। তারা ডাকাতি করতে বেরোবার আগে, মা কালীর পুজো দিয়ে, নরবলি দিয়ে, সাফল্যের প্রার্থনা করে বেরোত। ও হ্যাঁ, একটু বলি না হলে কি এমন রণচণ্ডী দেবীর ইমেজে পোষায়? নরবলি হলে তো আরোই ভালো। কত জমিদারবাড়িতে, কত মন্দিরে পটাপট বলি হতে লাগল মায়ের চরণে, সেই বলিনিঃসৃত টাটকা রুধিরস্রোত দিয়ে মায়ের চরণসেবা, মায়ের স্নান, ভক্তদের অঙ্গলেপন, মাথার টীকা, খর্পর (মাথার খুলি) করে সাধকদের সেই পবিত্র তরল পান – কত প্রয়োজন বলির। আর যাকে বলি দেওয়া হচ্ছে, তারও তো একেবারে সটান স্বর্গযাত্রা বাঁধা। তা হাজার হোক, একটু সাফল্য-ধনদৌলত-সুখশান্তির আশা সবারই থাকে – রাজা, জমিদার, পুরোহিত, প্রজা, গরিবগুর্বো – আর এমন কাঁচাখেকো দেবতাকে তুষ্ট না করে উপায় আছে?
ধর্মবিশ্বাস মানুষের সুস্থ চিন্তাশক্তিকে নিশ্চয়ই বিকল করে দেয়। এছাড়া অন্য কোনও বিশ্লেষণ পাওয়া যায় না এর পরের ছবিগুলোয় দেখানো ঘটনার ।
চার্চের বাণী: রিমেইক
খুবই প্রাসঙ্গিক এবং ছবি ও কার্টুন সম্বলিত পুরনো একটি পোস্ট দেখে নেয়াটা খুবই উচিত হবে: চার্চের পছন্দের আসন।
বিবর্তনবাদ তত্ত্ব নয় কেন
বিবর্তনবাদ তত্ত্ব নয় কেন, বুঝিয়ে দিচ্ছেন রিচার্ড ডকিন্স।
Question: How would you correct the understanding that evolution is a theory?
Richard Dawkins: The word “theory” can be used to mean something speculative and tentative. In everyday speech it probably usually is used in that sense. Scientists very often use it in a much more positive sense. I think the easiest way is to use the ordinary language word “fact”. In the ordinary language sense of the word fact, evolution is a fact.
ভিডিওতে দেখুন।
সুনামি ও ঈশ্বরের 'সুনাম'
জাপানের সাম্প্রতিক দুর্যোগে ঈশ্বরের সংশ্লেষ ও ভূমিকা প্রসঙ্গে স্যাম হ্যারিস যে-কথাটি বলেছেন, তা খণ্ডাক দেখি কেউ!
Either God can do nothing to stop catastrophes like this, or he doesn’t care to, or he doesn’t exist. God is either impotent, evil, or imaginary. Take your pick, and choose wisely.
পরে আরও বললেন:
The only sense to make of tragedies like this is that terrible things can happen to perfectly innocent people. This understanding inspires compassion.
Religious faith, on the other hand, erodes compassion. Thoughts like, “this might be all part of God’s plan,” or “there are no accidents in life,” or “everyone on some level gets what he or she deserves” – these ideas are not only stupid, they are extraordinarily callous. They are nothing more than a childish refusal to connect with the suffering of other human beings. It is time to grow up and let our hearts break at moments like this.
— Sam Harris, on Japan Tsunami and god.
কমেডি, বিজ্ঞান ও সঙ্গীতের উৎসব
২০০৯ সালের ক্রিসমাস মৌসুমে লন্ডনে একটি অসাধারণ কসনার্টের আয়োজন করা হয়েছিল: অবিশ্বাসীদের ক্রিসমাস। উদ্যোক্তারা সেটিকে বলেছিলেন "কমেডি, বিজ্ঞান ও সঙ্গীতের উৎসব"।
ভেবেছিলাম, কাঠখোট্টা ধরনের কোনও অনুষ্ঠান হবে হয়তো। দেখতে শুরু করে এতোটাই মজে গেলাম যে, টেরই পেলাম না কীভাবে কেটে গেল এক ঘণ্টা চোদ্দ মিনিট।
অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন কমেডিয়ান-উপস্থাপক রবিন ইন্স, রিচার্ড ডকিন্স, বর্তমান যুগের কার্ল সেগান হিসেবে পরিচিত পদার্থবিদ সদাহাসিমুখ ব্রায়ান কক্স, কমেডিয়ান মার্ক স্টিল, কমেডিয়ান রিচার্ড হেরিং, ইরানী বংশোদ্ভুত মহিলা-কমেডিয়ান শ্যাপি খোরস্যান্ডি, চিকিৎসক ও বিজ্ঞান-লেখক, "ব্যাড সায়েন্স" নামের বইয়ের রচয়িতা বেন গোল্ডঅ্যাকর, গণিত- ও বিজ্ঞান-লেখক সাইমন সিং, কমেডিয়ান ব্যারি ক্রায়ার ও গায়ক-গিটারিস্ট-কমেডিয়ান রনি গোল্ডেন, গায়ক-সঙ্গীতস্রষ্টা রবিন হিচকক, লেখক-সুরকার জিম বব এবং কানাডীয় বিবর্তনবাদী র্যাপ গায়ক বাবা ব্রিঙ্কম্যান।
ইচ্ছে আছে, এই কনসার্টের বিশেষ আকর্ষণীয় অংশগুলো আলাদা আলাদা করে আপলোড করবো ধর্মকারীর নিম্নগতির নেটস্পিডগ্রস্ত পাঠকদের জন্য। কোনও ঈমানদার বান্দা আমার হয়ে এই কাজ করে দিলে তাঁকে আমার ভাগের গোটা দশেক হুর নিঃশর্তভাবে দান করবো।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)