আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

বুধবার, ৩০ জুন, ২০১০

আমার বোরখা-ফেটিশ – ১৩



প্রিয় পুরনো পোস্টগুলো – ০৭


ধর্মকারীতে পোস্টের সংখ্যা সাতশো ছাড়িয়ে গেছে। এই সাইটের খোঁজ যেসব পাঠক সম্প্রতি পেয়েছেন বা ভবিষ্যতে পাবেন, তাঁদের পক্ষে আগে প্রকাশিত মজাদার পোস্টগুলো খুঁজে নেয়া ব্যাপক শ্রম- ও সময়সাধ্য ব্যাপার হবে ভেবেই হারানো-দিনের-পোস্ট ধরনের এই সিরিজের অবতারণা। পুরনো পাপীরাও এই সুযোগে স্মৃতিচারণ করে নিতে পারেন 

প্রতি পর্বে আমার বিশেষ প্রিয় পাঁচটি পোস্টের লিংক দেবো সংক্ষিপ্ত বর্ণনাসহ। শুরু করেছি ধর্মকারীর আদিকাল থেকে।

১. ধর্মাতুল কৌতুকিন – ০২ (কৌতুক সংকলন)
৩. প্রচারে বিঘ্ন (মজাদার ছবি)
৫. আহমেদ – দ্য ডেড টেররিস্ট (মাস্টারপিস ভিডিও)

আগের পর্বগুলো দেখতে নিচের "কাসুন্দি" ট্যাগে ক্লিক করুন।

দোজখভ্রমণকাহিনী


ভাইসব, মৃত্যুর পরে আমরা, নির্ধার্মিকেরা, বেবাকেই দোজখে যাবো, তাতে তো কোনওই সন্দেহ নেই। তো আমাদের ভবিষ্যৎ চিরস্থায়ী আবাসস্থলটা কেমন, সে বিষয়ে একটু আইডিয়া থাকলে মন্দ হয় না। এক মহিলাকে যিশু স্বয়ং নরক (খ্রিষ্টান নরক যদিও, তবে আমরা আইডিয়া পেতে পারি) দেখিয়ে নিয়ে এসেছেন। এই ভিডিওতে তিনি বিশদ বর্ণনা করছেন তাঁর অভিজ্ঞতার কথা।

তো সেই মহিলা তাঁর দোজখভ্রমণকাহিনী রচনাও করে ফেলেছেন বই আকারে। বইটি পেতে হলে আঠারো ডলার "ডোনেট" করতে হবে, কারণ তিনি বইটা বিক্রি করছেন না তো!

সারা দুনিয়া জুড়ে আবালের সংখ্যা এতো বেশি কেন? 


অস্ট্রেলিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রী – মহিলা, নির্ধর্মী


আলামত যা দেখতেসি, মনে হয়, কিয়ামতের আর দেরি নাই!

অস্ট্রেলিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রী – মহিলা, নির্ধর্মী। শুধুই কি তাই! তিনি অবিবাহিতা, তবে তাঁর বন্ধু আছে। সঙ্গী... মানে প্রেমিক। একসাথে থাকেন দু'জনে। নাউজুবিল্লাহ!


জুলিয়া গিলার্ড নামের এই মহিলার জীবনযাপন পদ্ধতি নারীদের ওপরে বাজে প্রভাব ফেলবে কি না, তা নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি মর্নিং হেরাল্ড নামের পত্রিকা ভোটাভুটির ব্যবস্থা করেছে। ফলাফল দেখে রীতিমতো বাকহারা আমি! এই পোস্ট লেখার মুহূর্তে তেত্রিশ হাজারেরও বেশি ভোটদাতাদের শতকরা ৭৮ জন নেতিবাচক মত দিয়েছে।

নাহ্! কিয়ামত সত্যিই সমাসন্ন। যাই, এখনও সময় আছে আল্লাহ-নবীর নাম নিই...

ঈশ্বর ধারণাটি ভুয়া কেন


লোকটির কথার ধরনে আমি মুগ্ধ। তাঁর কথায় নতুন যুক্তি নেই, নেই নতুন কোনও বক্তব্যও, তবে তারঁ উপস্থাপনার ধরনটি বেজায় উপভোগ্য। নির্ধর্মীরা নির্ঘাত বিনোদিত হবেন।


মঙ্গলবার, ২৯ জুন, ২০১০

শয়তান যখন চালকের আসনে


ইসলামী ইতরামি: আরও এক ডজন


১.
সারারাত ধরে পার্টি করার অপরাধে কয়েকজন পুরুষ এবং তিনটি মেয়েকে অনির্দিষ্ট সংখ্যার বেত্রাঘাত ও দু'বছরের জেলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

২. 
ইরানের পুরুষেরা তাদের রিপু দমনের ব্যর্থতা বা অক্ষমতার কারণে নারীকে বস্তাবন্দী করে ঈমান পোক্ত রাখতে চায়।

৩.
জার্মানির হ্যানোভারে এক স্ট্রিট ফেস্টিভালের সময় মেগাফোনে ইহুদিবিদ্বেষমূলক কটুকথা বলতে বলতে ইহুদি নর্তক দলকে লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়ে আরব তরুণেরা। একজন আহত হয় এতে।

৪.
"বুলশিট" নামের টিভি-অনুষ্ঠানে চাঁছা-ছোলা ভাষায় নানাবিধ ভুয়া বিশ্বাসের ভিত্তিহীনতা প্রমাণ করে খ্যাতি অর্জনকারী পেন জিলেট কোনও ধর্মকে ছেড়ে কথা না বললেও ইসলাম সম্পর্কে কিছু মন্তব্য করবেন না বলেছেন। না, ইসলামের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থেকে নয়, মৃত্যুভীতির কারণে। তিনি বলেছেন, তাঁর পরিবার আছে।

৫.
আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলে মস্তিষ্কবিচ্ছিন্ন এগারোটি লাশ পাওয়া গেছে। কইঞ্চেন দেহি, কার কাজ? অবশ্যই তালিবানের। সেই লোকগুলোর অপরাধ ছিলো তারা ছিলো আফগানিস্তানে সংখ্যালঘু শিয়া মুসলমান এবং শিয়া মুসলমানদের একটি গোত্র হাজারা-র প্রতিনিধি। মুসলমানদের ভেতরে ভ্রাতৃত্বের আরও একটি নমুনা।

৬.
প্যারিসবাসী কয়েক মুসলিম রত্ন ৯/১১ স্টাইলে হেলিকপ্টারে চেপে আইফেল টাওয়ার উড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করেছিল। পুলিশ সময়মতো খবর পেয়ে সেটির বাস্তবায়ন রোধ করতে সমর্থ হয়।


৭.
অস্ট্রেলিয়ায় ইসলামী শাসন কায়েমের লক্ষ্যে জেহাদের পরিকল্পনায় ছেদ পড়লো কি? অস্ট্রেলিয়ার নিরাপত্তার জন্যে ঝুঁকি  হিসেবে গণ্য হওয়ার কারণে মুসলিম নেতা Sheikh Mansour Leghaei-কে ঘাড় ধরে দেশছাড়া করলো সরকার। ১৯৯৬ সালে সিডনি এয়ারপোর্টে তাঁর কাছে একটি নোটবই পাওয়া যায়, যা ছিলো মূলত infiltration, deception tactics, martyrdom and the euphoria of fighting a jihad outside one's borders বিষয়ক। একটি অংশ ছিলো এরকম: The enemies of Islam are to be categorised under three headings: 1, the infidels who do not accept the Koran as the Book of Heaven. 2, the oppressive and the unjust and whoever takes up arms against the Prophet. 3, heathens living in the Islamic countries who have broken the agreement to pay tribute to the Muslims.

৮.
হালাল বিয়ার যেহেতু আছে, হালাল সেক্স টয়ও আছে, তাহলে হালাল দেহব্যবসালয় হতে সমস্যা কোথায়? এবারে সেটাই শুরু হলো মনে হচ্ছে।

মুতাহ নামে পরিচিত সাময়িক বিবাহের ঐতিহ্যের আড়ালে দেহব্যবসার প্রসার ঘটাতে দেহব্যবসালয়গুলোর জন্য অর্থ বরাদ্দ করেছে ইরান কর্তৃপক্ষ। ধর্ষণ ও ইরানী যুবকদের যৌনঅবদমনপ্রসূত সমস্যা দূরীকরণে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।


এখন থেকে যে কোনও ইরানী বা বিদেশী নির্দিষ্ট সেই ভবনগুলোতে গিয়ে কোনও মেয়ের সঙ্গে যৌনসম্পর্ক স্থাপন করতে পারে, যদি সেই মেয়ে সাময়িক বিবাহে সম্মতি দেয়।
(এই খবরের লিংক পাঠিয়েছেন শুভ্র)

৯.
ইসলাম পরম শান্তির ধর্ম। তাতে জোর-জবরদস্তির অবকাশ নেই। আর তাই পাকিস্তানের পেশোয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক খ্রিষ্টান অধ্যাপক মুসলমান হতে অস্বীকৃতি জানিয়ে জোর-জবরদস্তি করলে শান্তিপ্রিয় মুসলমান ছাত্ররা তাকে শান্তিপূর্ণ উপায়ে প্রহার করে। ওদিকে পাঞ্জাবে অষ্টম শ্রেণীর তিন খ্রিষ্টান স্কুলবালককে স্কুলত্যাগ করতে বাধ্য না করে উপায় ছিলো না স্কুল-কর্তৃপক্ষের। তাদের অপরাধ, তারা ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলমান হতে না চেয়ে জোর-জবরদস্তি করছিল।

১০.
ভিন্নধর্মীকে জুলুম করে ইসলামের পথে নিয়ে আসা যায়েজ, এবং তেমনি যায়েজ কোনও মুসলমান ধর্মান্তরিত হলে তাকে হত্যা করা। স্বয়ং নবীই বলে গেছে এই কথা
আফগানিস্তানের ঘটনা দেখুন:


১১. 
শান্তির ধর্ম ইসলামের উপাসনালয় মসজিদে শান্তিকামী কিছু মুসলিম শান্তিপূর্ণ বোমা বানানোর সময় তা বিস্ফোরিত হলে শান্তিবাদী আট আরবীয়, পাঁচ পাকিস্তানী এবং দুই আফগানীকে আল্লাহ নিজের কাছে টেনে নেন। তবে তাদের ভাগে ৭২টি করে কুমারী জুটবে কি না, জানা যায়নি।  

১২. 
খ্রিষ্টান ধর্মকে অপমান করার লক্ষ্যে এক মুসলিম জুটি (ছেলে এবং মেয়ে) চার্চের ভেতরে যৌনসঙ্গম করার সময় ধরা পড়ে এবং বিচারে তাদের জেল হয়।

কবি এখানে কী গাহিতে চাহিয়াছেন?


ইসলাম কি নারীকে মুক্তি দিয়েছে?


ঋতুকালে মেয়েরা "দূষিত" বলে বলা হয়েছে খোদ কোরানেই। এবং তারা "পরিষ্কার" না হওয়া পর্যন্ত তাদের থেকে দূরে থাকার নির্দেশও দেয়া হয়েছে।

বুখারি শরীফের হাদিসে বলা হয়েছে, এই সময়ে মেয়েদের নামাজ পড়া এবং রোজা রাখাও নিষিদ্ধ।

সেখানেই বলা হয়েছে, নবী বলেছেন যে, নামাজ নষ্ট হতে পারে নারী, গাধা ও কুকুরের কারণে।

বুদ্ধিবৃত্তিতে নারীরা পুরুষদের চেয়ে পিছিয়ে আছে বলে নবী মনে করতেন।

কোরানে স্পষ্ট করেই বারবার বলা হয়েছে, পুরুষেরা নারীদের চেয়ে সার্বিকভাবেই শ্রেয়।...

নিচের ভিডিওতে এইসব হাদিস ও কোরানের আয়াত উল্লেখসহ ইসলামে নারী-অবমাননার আরও অনেক প্রসঙ্গের অবতারণা করা হয়েছে।



সোমবার, ২৮ জুন, ২০১০

সচিত্র হা-হা-হাদিস – ১৫


ইসলামের নবী বরাবর এক খেজুর গাছের তলায় বসে তাঁর ধর্মপ্রচারকার্য চালাতেন। পরে তাঁর সুবিধের জন্য অদূরে  নির্মিত বেদীতে (এটা হিন্দুয়ানি শব্দ নয় তো?) বসে তিনি তাঁর কর্মকাণ্ড শুরু করলে, অবাক কাণ্ড, খেজুর গাছের কাণ্ড গর্ভবতী মাদী-উটের গলায় কান্না জুড়ে দিতো। নবীজি বেদী ছেড়ে উঠে গিয়ে গাছটির গায়ে আদর করে হাত বুলিয়ে না দেয়া পর্যন্ত থামতো না সেই কান্না 


প্রাসঙ্গিক হাদিস: 

Bukhari vol. II, No. 41 Narrated Jabir bin Abdullah: 
The Prophet used to stand by a stem of a date-palm tree. When the pulpit was placed for him, we heard the stem crying like a pregnant she-camel until the Prophet got down from the pulpit and placed his hand over it.

Bukhari vol. IV, No. 783 Narrated Ibn Umar: 
The Prophet used to deliver his sermons while standing beside the trunk of a date-palm. When he had the pulpit made, he used it instead. The trunk started crying and the Prophet went to it, rubbing his hand over it (to stop its crying).

নির্ধর্মীয় সঙ্গীত: দ্য মিউজিক মেইড মি ডু ইট


অল্টারনেটিভ রক ব্যান্ড Fuji Minx-এর The Music Made Me Do It নামের ভিডিওটি প্রকাশের ছয়দিন পরে ইউটিউব থেকে সরিয়ে ফেলা হয়। কারণ পোপ-বিরোধী বার্তা ছিলো তাতে। সমালোচনা কবে হজম করতে শিখবে এরা? কবে এদের ধর্মানুভূতি ভোঁতা হবে?

গানটি শ্রবণেন্দ্রিয়ের জন্যে সুখকর, ভিডিওটি সুখকর দর্শন-ইন্দ্রিয়ের জন্যেও

অডিও ভার্শন শুনতে এখানে ক্লিক করুন।

হত্যাই যখন ধর্মগুলোর ধর্ম


প্যাট্রিক কন্ডেল: আমাদের লোক – ১৭


প্যাট কন্ডেলের সাম্প্রতিকতম ভিডিও। এবার তিনি পড়েছেন ক্যাথলিক চার্চ, যিশু এবং তার ঘটানো তথাকথিত অলৌকিক ঘটনাবলি নিয়ে। 

লক্ষ্য করুন, ভিডিওটি সাবটাইটেলসহ দেখার ব্যবস্থা আছে।


ডাউনলোড লিংক (৫০.৮ মেগাবাইট) 

রবিবার, ২৭ জুন, ২০১০

নিত্য নবীরে স্মরি – ১১



ইছলামী রিয়ালিটি শো


নিজেদের ঘটে কিছু নেই, তাই খ্রিষ্টান-ইহুদিদের আইডিয়া চুরি করতে হয়। পশ্চিমা রিয়ালিটি শো-গুলোর আদলে শ্রেষ্ঠ মোল্লা হবার জন্যে ১৯ থেকে ২৭ বছর বয়সী দশজন তরুণের অংশগ্রহণে শুরু হওয়া মালয়েশিয়া টিভির ইসলামী রিয়ালিটি শো-ই সেটা প্রমাণ করে। প্রতিযোগিতায় বিজয়ী পাবে কুয়ালালামপুরের একটি মসজিদের ইমাম পদ, একবার হজ্বভ্রমণ এবং সৌমি আরবের মদিনা আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সুযোগ। 

প্রতিযোগিদেরকে বহির্বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ-বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রাখা হয়েছে একটি মসজিদ কমপ্লেক্সের এক ঘরে। প্রতিযোগিতার অংশ হিসেবে নিয়মিত কোরানের আয়াত পাঠ করা ছাড়াও প্রতি শুক্রবারে মসজিদে খুতবা পড়তে (নাকি পড়াতে? ভুলে গেছি।) হয় তাদের। 


একবার তাদেরকে সত্যিকারের দাফনকর্ম সম্পন্ন করে দেখাতে হয়েছে। এইডস-সংশ্লিষ্ট রোগে ভুগে মৃত এক ব্যক্তির বেওয়ারিশ লাশকে গোসল করিয়ে ইসলামী কায়দায় সাফল্যের সঙ্গে দাফন করতে পেরেছে তারা। তবে সংশ্লিষ্ট টিভি-কর্মচারিদের পারফরমেন্স ছিলো হতাশাব্যঞ্জক। প্রযোজক জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলেন, কয়েকজন বমিও করেছে।

দ্য থার্ড জিহাদ


চার খণ্ডে ৪০ মিনিটের একটি ডকুমেন্টারি। ভূমিকা বা মন্তব্যের প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না।



গেমস: অপারেশন পেডোপ্রিস্ট


গেমসে আমি তেমন আগ্রহী ও আসক্ত নই, তবে এই গেমটি একটু ঘাঁটাঘাঁটি করে বেশ মজাদার মনে হলো। নাম:  অপরেশন পেডোপ্রিস্ট। কাহিনী কী, তা নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না।


অনলাইনে খেলতে এখানে ক্লিক করুন। চাইলে ওখান থেকে ডাউনলোড করে নিয়েও খেলতে পারেন। সাইজ খুবই ছোট - ১.৫ মেগাবাইট।

ধর্ম হচ্ছে চিন্তা না করার অজুহাত


খ্যাতনামা আমেরিকান দার্শনিক Daniel Dennett ২০০৬ সালে এক টিভি-সাক্ষৎকারে বলেছিলেন যে, ধর্ম হচ্ছে চিন্তা না করার অজুহাত। বিশ্বাসীরা তাদের "ফেইথ কার্ড" ছাড়া একেবারেই নিরস্ত্র। আর "ফেইথ কার্ড" ব্যাপারটির সারশূন্যতা তিনি বললেন, নির্ধর্মীরা যদি যুক্তি দেখায় "Lucile says you're wrong. You know who Lucile is? A friend of mine, and she's always right," বিশ্বাসীরা মানবে সে-কথা?

লক্ষ্যভেদী, দুর্দান্ত যুক্তিসম্পন্ন সেই সাক্ষাৎকারের একটি অংশ দেখুন:


পুরো সাক্ষাৎকারটি (৫৭ মিনিট) নিচে দেয়া হলো:


প্রশ্নবিদ্ধ ক্রুশবিদ্ধ যিশু


খ্রিষ্টান ধর্মের প্রধানতম প্রতীক ক্রুশ কি তাহলে হুমকির মুখে? যিশুকে সম্ভবত ক্রুশবিদ্ধ করা হয়নি - এক খ্রিষ্টধর্মপণ্ডিত ৪০০ পৃষ্ঠার অভিসন্দর্ভ রচনা করেছেন এই বিষয়ে। এবং তিনি রীতিমতো সংশয় প্রকাশ করেছেন ক্রুশ প্রসঙ্গে। ক্রুশবিদ্ধ যিশু এখন প্রশ্নবিদ্ধ।


আচ্ছা, যিশুকে ক্রুশবিদ্ধ না করে ইলেকট্রিক চেয়ারে বসিয়ে হত্যা করলে খ্রিষ্টানরা কি এখন বুকের চেইনে ইলেকট্রিক চেয়ার ঝোলাতো? 

মিস্টার বিন: দোজখ


মিস্টার বিন অর্থাৎ রোওয়ান অ্যাটকিনসন ব্যক্তিজীবনে নাস্তিক। ধর্মবিরোধী বক্তব্য দেয়া ছাড়াও তাঁর স্কেচগুলোতেও অনেক সময় ধর্মকে বিদ্রূপ করে থাকেন। 

আগে প্রকাশিত আরও দু'টি ভিডিও: চার্চে মিস্টার বিন, ধর্মযাজক মিস্টার বিন


শনিবার, ২৬ জুন, ২০১০

হাওয়া, হাওয়া...


জেগে উঠুক প্রতিবাদী কণ্ঠ


বেশ পুরনো ভিডিও। প্রচারিত হয়েছিল লেবাননের LBC TV চ্যানেলে ২০০৭ সালের ২৫ মার্চে।

সৌদি টিভি-সংবাদপাঠিকা Buthayna Nasser-এর মতো এমন স্পষ্টবাদী সাহসী নারীর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাক। তাঁর বক্তব্য থেকে উদ্ধৃতি: 

... when I appear on TV, and when I claim my right to play a role in this professional field, I demand that my face, which constitutes my identity, be seen. Under no circumstances am I prepared to allow my identity to be obliterated. 

... Who are these people who wish to decide for me how I should behave? Why do you treat me as less qualified just because I am a woman? Why is there always a male voice deciding how I should behave? The Lord created me equal to you in my duties, punishment, and reward. When you fast, I fast. When you pray, I pray. When you steal, your hand is cut off, and when I steal, my hand is cut off. This is the greatest evidence that I am not less qualified. I know what I am doing, and I know how to maintain my honor. 

... Walid wondered how I, as a newscaster, can describe Saudi society as being brainwashing. There is nothing to be surprising about, Dr. Walid. From the age of six or seven, from elementary school until high school, when we reach the age of 18, and even later, when we go to university - we memorize, memorize, and memorize. Whoever dares to argue or to question anything is called upon to ask for Allah's forgiveness. He is told that this will get him into Hell. You, who frighten people with Hell, have brought them a hell upon earth. You have banned books of the various intellectual streams. You've prevented the mind from operating, thinking, comparing, and choosing, even though it is the same mind that the Creator gave people in order to choose between Paradise and Hell. Our Lord honored Man by giving him the freedom to choose his path in this life, and the consequences are revealed in the world to come. Deeds are measured by the intent, and, as the Great Teacher taught us, good intentions steer our behavior. Yes sir, we are being brainwashed on a daily basis, through schools, through the Koran memorization schools. We always demand that these schools not be places of memorization, but for places for teaching, for interpretation, and for learning the keys to the Arab language, which is the secret to understanding the Koran and mysteries. Enough memorizing like parrots. Yes, we are all brainwashed, except for the few spared by God.


বিজ্ঞানময় আসমানী কিতাব

(কোনও বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারই নাকি আসমানী কিতাবগুলোর জন্যে নতুন কিছু নয়। কারণ সব নাকি হাজার-হাজার বছর আগে রচিত সেই ধর্মগ্রন্থগুলোয় উল্লেখ করা আছে। হিন্দু এবং খ্রিষ্টান ধর্মবিদেরা আগে এমন দাবি করতো। তবে বহু বছর ধরেই তাদের সেই স্থান সগর্বে দখল করে রেখেছে ইসলাম। 

পাকিস্তানের "ডন" পত্রিকায় প্রাসঙ্গিক একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। 

লেখাটি ধর্মকারীর জন্যে সানন্দে অনুবাদ করে দিয়ে ধন্যবাদার্হ হয়েছেন babble.

মূল রচনা এখানে।)

ফতেহউল্লাহ খানের নতুন বই, ‘গড ক্রিয়েটেড দ্য ইউনিভার্স’ হাতে পাবার জন্য আমার হাত রীতিমত নিশপিশ করছে। বইটির রিভিউ পড়েই বুঝেছি এটা নিশ্চিত আরো একটা বই, যেখানে সকল বৈজ্ঞানিক সত্য কীভাবে আসমানী কিতাবে আগে থেকেই লেখা আছে, সে বিষয়ে বড় বড় কথা থাকবে। 

সেই যে কবে ফরাসি ডাক্তার মরিস বুসাইল্লি (Maurice Bucaille) সৌদি রাজপরিবার থেকে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা খেয়ে ‘ইসলাম, বাইবেল ও বিজ্ঞান’(১৯৭৬) নামে এক বই লিখেছে, তারপর থেকেই অনেকের ধারণা, পবিত্র গ্রন্থ থেকে বৈজ্ঞানিক সত্য ‘প্রমাণ’ করাতে বুঝি মুসলমানদের একচেটিয়া দখল। অবশ্য সেই ‘পবিত্র কিতাব’-এর এতসব বৈজ্ঞানিক চমৎকারিত্ব দেখে অভিভূত হওয়ার পরেও মরিস বুসাইল্লি নিজেই খ্রিষ্টান ধর্ম ত্যাগ করেনি।

খুব কম লোকই জানে যে, মুসলমানদের অনেক আগেই কিছু হিন্দু এবং খ্রিষ্টানধর্মবিশারদ তাদের নিজেদের ধর্মগ্রন্থগুলোতে কীভাবে বৈজ্ঞানিক সত্য লুকিয়ে আছে সে বিষয়ে দাবি তুলেছিলো। তারা এটা করেছে ১৮ এবং ১৯ শতকে,  আর মুসলিমরা এ কাজ শুরু করেছে বিংশ শতাব্দীতে এসে। 

জহানেস হেইনরিকের ‘সাইন্টিফিক ভিন্ডিকেশন অফ ক্রিশ্চিয়ানিটি ‘(১৮৮৭) আর মোহন রায়ের ‘বৈদিক ফিজিক্স: সাইন্টিফিক অরিজিন অফ হিন্দুইজম’(১৯৯৯)  বই দুটো দেখলেই অন্যান্য ধর্মবিশ্বাসেও এসব ধারণার বিবর্তনের একটা চিত্র পাওয়া যায়। কতজন মুসলিম ‘বিজ্ঞানী’যে এসব আসমানী কিতাব থেকে বৈজ্ঞানিক তথ্য উদঘাটনের জন্য কঠোর সাধনা করেছে তার ইয়ত্তা নেই। মজার ব্যাপার হলো, বাগগাদ আর পারস্যে এই এদের পূর্বসুরীরাই অষ্টম থেকে ত্রয়োদশ শতাব্দীর দিকে সত্যি সত্যিই পুরোদস্তুর বৈজ্ঞানিক ও দার্শনিক পদ্ধতিতে মানুষের মনোদৈহিক ঘটনাগুলো বোঝার চেষ্টা করেছে।

ইসলামের প্রাচীন কালের সেই মহান চিন্তাবিদরা কিন্তু বৈজ্ঞানিক প্রশ্নের উত্তরের জন্য আসমানী কিতাবের দ্বারস্থ হয়নি। বরং তাদের জন্য আশেপাশের প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ করার ঐশ্বরিক আদেশই যথেষ্ট ছিলো যুক্তিনির্ভর বিজ্ঞান ও দর্শন চর্চার অনুপ্রেরণা হিসাবে। তারা তাদের বৈজ্ঞানিক অবদানের জন্য শুধু মুসলিম না বরং পুরো মানবজাতির কাছেই প্রশংসার পাত্র ছিলো।

কিন্তু হায়! ১৯৭০-এর শুরুর দিকে মুসলিমবিশ্বে ধর্মনিরেপেক্ষ জাতীয়তাবাদের পতন হয়। আর এর পরেই তেলসমৃদ্ধ রাজতন্ত্রের কবলে পড়ে ইসলামিক রাজনৈতিক চিন্তাচেতনা এমন হয়ে যায় যে তারা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে পশ্চিমা পুঁজিবাদ আর সমাজতন্ত্রীদের আগ্রাসনের হাতিয়ার ভাবতে শুরু করে।

যদিও স্নায়ুযুদ্ধের সময় এই ধনী মুসলিম একনায়কেরা ছিলো পশ্চিমা পুঁজিবাদী দলে কিন্তু খুব দ্রুতই তারা প্রচুর প্রতিক্রিয়াশীল ধ্যান-ধারণা উৎপাদন করে ফেলে এবং পশ্চিমা আর মার্ক্সিস্ট দু’দলকেই আক্রমণ করে বসে। এর সাথে যোগ হয় আরেকটা ধারণা যে, বিজ্ঞান হচ্ছে ইসলামকে অবমাননা করার জন্য ইহুদি-নাসারাদের ষড়যন্ত্র।

এই রক্ষণশীল শক্তিগুলো অনেক আরব এবং বেশকিছু পশ্চিমা বুদ্ধিজীবীকে (প্রচুর অর্থ-প্রতিপত্তির বিনিময়ে) নিয়মিত আমন্ত্রণ জানাতো বই লেখার জন্য যেখানে লেখা থাকবে কীভাবে গবেষণাগারে বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের হাজার বছর আগেই মুসলিম পবিত্রগ্রন্থসমূহে সেসব কথা বর্ণিত আছে। 

এই যে আচরণ – যার উৎপত্তি একধরনের হীনমন্যতাবোধ থেকে এবং আধুনিক পশ্চিমা এবং বামপন্থী জাতিগুলোকে অবজ্ঞা করার বাসনা থেকে- দিনে দিনে তাদের অদূরদর্শিতাকে দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর করেছে, সেই সাথে পুরো মুসলিম বিশ্বের চিন্তা-চেতনাকেই একেবারে পঙ্গু করে ফেলেছে। ইতিমধ্যেই অনেক মুসলিম বিজ্ঞানী যেমন জিয়াউদ্দিন সরদার, পারভেজ হুদভাই, এবং বিখ্যাত মুসলিম পণ্ডিত যেমন মুহাম্মাদ আখন্দ হতাশা ব্যক্ত করেছেন মুসলিমদের এসব বইপুস্তকের ব্যাপারে, যেগুলো মানুষকে নিরুৎসাহিত করে গবেষণাগারে কোনো ধরনের বৈজ্ঞানিক গবেষণা চালাতে। অনেককেই এই বুঝ দেওয়া হয়েছে যে, বিজ্ঞানে যা কিছু জানার আছে তার সবই ইতিমধ্যে তাদের আসমানী কিতাবে লেখা আছে

যুক্তিবাদী মুসলিম পণ্ডিতরা বিংশ শতকের শুরু থেকেই বলে আসছেন যে, এই পবিত্র গ্রন্থটা পুরোপুরি বিজ্ঞানের আর আইনের বই হতে পারে না। বরং তাঁদের মতে এটা মুসলিমদের জন্য একটা দিক নির্দেশনা যেখানে ঈশ্বর তাদেরকে মুক্তচিন্তার অধিকার দিয়েছেন এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দিয়েছেন নৈতিক এবং পরিক্ষণনির্ভর জ্ঞান অর্জনের।

ইরানি লেখক ভালি রেজা নাসর ঠিকই বলেছেন যে যদিও বেশির ভাগ মুসলিমই পশ্চিমা বিজ্ঞানকে খুব দ্রুতই আয়ত্ব করতে পারে, তবুও তারা একটা বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি ধারণ করতে স্রেফ অস্বীকার করে চলেছে। এতে অবাক হবার কিছুই নেই যে,  বেশির ভাগ পাকিস্তানী জানেই না, তাদের দেশের একমাত্র নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী ডক্টর আবদুস সালাম কোন অবদানের জন্য নোবেল প্রাইজ পেয়েছেন। কিন্তু তাদের অনেকেই বিগ ব্যাং থিওরির কথা কীভাবে তাদের পবিত্র গ্রন্থে আগে থেকেই লেখা ছিলো, সে বিষয়ে হারুন ইয়াহিয়া বা মরিস বুসাইল্লি মত ভণ্ডদের কথা ফটাফট কোট করতে পারবে। 

এইসব ভণ্ডামি ছাড়াও, কীভাবে জ্বিনদের থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যেতে পারে, তার উপরও বিস্তর বই পুস্তকও লেখা হয়ে গেছে এরই মধ্যে। এমনকি জিয়াউল হকের আমলে ১৯৮০-র দিকে একটা পুরো অধিবেশনই আয়োজন করা হয় যেখানে বিজ্ঞানী নামধারী কিছু ভণ্ডকে আমন্ত্রন জানানো হয়েছিলো ‘স্বর্গের বিস্তার’ নির্ণয় করার জন্য, এবং জ্বিন ধরে কীভাবে জ্বালানি সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে, সে বিষয়ে আলোকপাত করার জন্য। 

তাহলে আর এতসব বিজ্ঞানের বই-পুস্তক পড়ে কী লাভ, পরীক্ষাগারে ঈশ্বরসৃষ্ট প্রকৃতি আর প্রাণিজগত নিয়ে গবেষণারই বা কী দরকার; বসে বসে আসমানী কিতাব পড়লেই হয়! বলা তো যায় না সময় পরিভ্রমণ বা লেজারগান তৈরির কোনো তত্ত্ব হয়তো পাওয়া যাবে তাতে। আবদুস সালাম, আইন্সটাইন, স্টিফেন হকিং বা অতীতের সেই মহান মুসলিম বিজ্ঞানীদের কথাও ভুলে গেলেই চলে। শুধু সব রকম জ্বালানি সমস্যা সমাধানের জন্য পড়শী জ্বিনটার সাহায্য নিতে হবে, ব্যস।

একটি বই , একটি ডকুমেন্টারি


১.
খুব সহজ-সরল ও স্পষ্ট ভাষায় রচিত সহজপাঠ্য ও সহজপাচ্য একখানা বই: the atheist book। বলা চলে, নির্ধর্মীদের হ্যান্ডবুক। মূল ফরাসী থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ।

এখান থেকে ডাউনলোড করে নিন। সাইজ মাত্র ৪০০ কিলোবাইট।

২.
২০০৪ সালে আমেরিকায় নির্মিত এক ডকুমেন্টারি Twist of Faith। কিশোরবেলায় ক্যাথলিক ধর্মযাজকের যৌননিপীড়নের শিকার হবার পরে তাঁর পরিবর্তিত পরবর্তী জীবন ও চিন্তাধারা এই ডকুমেন্টারির উপজীব্য। 


আমি দেখিনি, তাই কোনও মন্তব্য করতে পারছি না। উৎসাহী হলে ডাউনলোড করে নিতে পারেন নিচের লিংকগুলো থেকে। সাইজ ৭০০ মেগাবাইট।

র‌্যাপিডশেয়ার:

হটফাইল:

ইসলাম শান্তির নয়, সহিংসতার ধর্ম: ইসলামবিদের স্বীকারোক্তি


ব্রিটেন প্রবাসী ইসলামবিদ আনজেম চৌধুরী অকপটভাবে স্বীকার করছেন এবং প্রমাণ করছেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম নয়।


শুক্রবার, ২৫ জুন, ২০১০

ভণ্ডামি


ধর্মযাজকের যে-ধর্ম


নিজের ছেলেদের ওপরেও যৌননিপীড়ন চালানো এক উচ্চপর্যায়ের ক্যাথলিক ধমর্যাজকের কাহিনী। ভিডিও দেখার সুযোগ না থাকলে এখানে পড়ুন।

নির্ধর্মীয় সঙ্গীত: ওয়ান অভ আস


১৯৯৬ সালে Joan Osborne গেয়েছিলেন One of us নামের অতীব সুখশ্রাব্য একটি গান। লিরিকসে ঈশ্বর ও তার উপস্থিতি প্রসঙ্গে কিছু প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। আর তাতেই গানটি আপত্তিকর বিবেচনা করেছিল ক্যাথলিকরা।





এখন এই গানটির চমৎকার একটি প্যারোডি শোনা যাক। আমি পরম বিনোদিত হয়েছি।  



প্যারোডি-ভিডিওর লিংক পাঠিয়েছেন সুরঞ্জনা হক।

হাঁ ভাই, অচিরেই মহাসমারোহে প্রত্যাবর্তন...

ভাইসব, খবরটা পড়ে হাসি সম্বরণ করা দুষ্কর হয়ে পড়লো। আম্রিকার মতো দেশের শতকরা একচল্লিশজন বিশ্বাস করে, ২০৫০ সালের ভেতরে যিশু প্রত্যাবর্তন করবেন এই মর্ত্যলোকে 

ইয়া মাবুদ, তুমি আমাকে আর চল্লিশটা বছর প্রাণে মেরো না। সিএনএন-এ বা অনলাইনে যিশু প্রত্যাবর্তনের সরাসরি সম্প্রচার না দেখে মরতে চাই না।

নুহ-এর মহাপ্লাবন: আরও একটি প্যারোডি


চরম হাসলাম আবারও। এইসব কিচ্ছা কতো লোক বিশ্বাস করে, ভেবে বিস্ময়ের ঘোর কাটে না আমার।


দু'টি আনন্দ সংবাদ

১. অন্ধকার গভীরতর হোক পাকিস্তানে
পাকিস্তানের আদালতের নির্দেশে ইন্টারনেটের ন'টি সাইট ব্লক করা হয়েছে। সাইটগুলো হচ্ছে: Google, Yahoo, Amazon, MSN, Hotmail, YouTube, Islam Exposed, In The Name of Allah,  Bing। বুঝি না, এতো ঝামেলার কী দরকার! পুরো ইন্টারনেট ব্লক করে দিলেই তো পাকিস্তান সুখে-শান্তিতে থাকতে পারতো।

২. জোকার নায়েক কানাডাতেও ব্যান
ব্যাটার পাঁচ বছরের মাল্টিপল ভিসা বাতিল কর দিয়েছে কানাডা।

বৃহস্পতিবার, ২৪ জুন, ২০১০

অনুসন্ধিৎসু বনাম "সবজান্তা"


ইসলামী ইতরামি: এক ডজন


১.
ব্রিটিশ ইমপ্রেশনিস্ট, নাট্যকার ও কমেডিয়ান Rory Bremner ইসলাম নিয়ে রসিকতা করতে ভয় পান। তিনি বলেন, ইসলাম নিয়ে কিছু লিখতে গিয়ে একটু এদিক-ওদিক হলেই বুঝতে হবে, আমি নিজের হাতে নিজের মুত্যুর পরোয়ানা রচনা করছি।

২.
কোনও মুসলিম দেশে গিয়ে ভিন্নধর্মের কেউ অবৈধভাবে কোনও পথ বন্ধ করে দিয়ে স্থানীয় অধিবাসীদের দৈনন্দিন জীবন ও ব্যবসায় বিঘ্ন ঘটিয়ে প্রার্থনা বা উপাসনা করার উদ্যোগ নিলে ফলাফল কী হবে, আন্দাজ করতে পারেন? অথচ সেই কাজটিই প্যারিসের মুসল্লিরা করে আসছে প্রতি শুক্রবারে। তারা কয়েকটি সড়ক, ফুটপাত জোরদখল করে কেবলামুখি হয়ে হেঁটমুণ্ডু ঊর্ধ্বপোঁদ আসনে নামাজ আদায় করে! রীতিমতো অশ্লীল দৃশ্য! প্যারিসবাসীদের মাথায় যে কেন আসে না সহজ একটি সমাধান: রাস্তাগুলোয় কিছু মদ ঢেলে অথবা শুয়োরের মাংসের কয়েকটি টুকরো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে দিলেই তো হয়!


উৎসাহীরা চাইলে আরও ভিডিও খুঁজে নিতে পারবেন ইউটিউবে।

৩. 
আদিবাসীদের সঙ্গে একসাথে বসে খেলে মুসলমানদের ধর্মানুভূতি আহত হয়! রাজশাহীর এক হলে মুসলমান ছাত্রেরা অস্পৃশ্য মনে করে আদিবাসী ছাত্রদের, সেটার প্রতিবাদে আদিবাসীরা হল ত্যাগ করেছে। ঘেন্না পায় এই মুসলমানি দেখলে! মানুষে-মানুষে বিভেদ আনে যে-ধর্ম, সেই ালটারে সুস্থচিন্তার মানুষ কীভাবে অনুসরণ করতে পারে!

৪.
বেহায়া মুসলমানদের বাড়াবাড়ি অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছে গেছে অনেক আগেই। ব্রিটেনে শরিয়া আইন প্রবর্তনের দাবি তুলেই শুধু ক্ষান্ত নয় তারা, মিছিল-মিটিংও করছে মহাসমারোহে। আসুন, একটু কল্পনা করে দেখি, কোনও মুসলমানপ্রধান দেশে ভিন্নধর্মের কেউ তার ধর্মের শাসন দাবি করলে তার কী অবস্থা হতে পারতো! অথচ ব্রিটেনে তাদের ভণ্ডামি দেখুন শুধু!



৫.
"আল্লাহু আকবর" বলে চিৎকার করে ছুরি দিয়ে পাঁচ বছরের এক শিশুকে ছাগলের মতো জবাই করে ফেললো এক ইসলামোন্মত্ত এক ব্যক্তি। ঘটনা ইউক্রেনে।

৬.
খোমাখাতার প্রতিষ্ঠাতার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে পাকিস্তান। "অপরাধ" - মুহম্মদ অঙ্কন দিবস পালন। যদিও বেদ্বীনদের আইডিয়া মেরে দিয়ে পাকিস্তানেই চলছে মিল্লাত নামের হালাল খোমাখাতা!

৭.
ইরানের ধর্মীয় পুলিশের নির্দেশে দোকানের উইন্ডো কেসের মেয়ে-ম্যানিকিনদের বক্ষদেশ খুলে নেয়া হয়েছে


৮.
সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিশুর সমস্ত প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষকে দাড়ি রাখার নির্দেশ দিয়েছের রাজধানীর প্রশাসক, যিনি স্থানীয় হিজবু ইসলামের সদস্য। "দাড়ি কামানোর দিন পার হয়ে গেছে," তিনি বলেছেন। এবং দাড়ি গজানোর জন্য লোকজনদের সময় দেয়া হয়েছে ৩০ দিন।

৯.
গৃহপালিত জন্তু হিসেবে কুকুর রাখা যাবে না বলে ফতোয়া দিয়েছে ইরানের এক ইডিয়ট মোল্লা নাসের মাকারেম সিরাজী।


নাসের মাকারেম সিরাজী ডানে

অবশ্য তাকে দোষ দিয়েই লাভ কী! নবীজি নিজেই কুকুর সহ্য করতে পারতেন না (খুবই মজার একটি পোস্ট দেখুন)।

১০.
ধর্ষিতা হবার "অপরাধে" এক টিনএজ মেয়েকে এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। মুসলিম-অধ্যুষিত আরব জাহান ছাড়া আর কোথায় ঘটতে পারে এমন ঘটনা! হ্যাঁ, আরব আমিরাতে।

১১.
ইসলামী পোশাকবিধান লংঘনের কারণে বাপ-ভাইয়ে মিলে হত্যা করেছিল ষোলো বছর বয়সী এক মেয়েকে। তাদের দু'জনেরই জেল হয়েছে। ঘটনা কানাডায়।
"অনার কিলিং"-এর আরও একটি ঘটনা। ইতালিতে।

১২.
দেখে ভ্রম হয়েছিল, মসজিদ আকাঁ আন্ডিতে, তাই ফান্ডিরা তুলকালাম লাগিয়ে দিলো! ঘটনা ভারতে। কে জানি গুজব ছড়ালো, আন্ডারওয়্যারে মসজিদের ছবি প্রিন্ট করা হয়েছে, ব্যস পথে নেমে পড়লো মোমিন মুসলিমরা! পাঁচজন পুলিশসহ অন্তত নয়জন আহত হলো। পরে দেখা গেল, গুজবটা গুজবই ছিলো। সম্পূর্ণভাবেই ধার্মিক-টাইপ আচরণ, যখন বিশ্বাসই আসল কথা; খতিয়ে দেখার বা তথ্য-প্রমাণের কোনও দরকার তো নেই!

সহজ বিবর্তনবাদ শিক্ষা


বিবর্তন বিষয়ে বই-পুস্তক এবং ভিডিও আছে অজস্র। পুস্তকপাঠে যাদের অনীহা বা লম্বা ভিডিও দেখার সময় যাদের নেই কিংবা সাধও নেই, তাদের অনুরোধ করবো চমৎকারভাবে নির্মিত ১০ মিনিটের এই ভিডিওটি দেখতে। খুব সংক্ষেপে এবং সহজভাবে বিবর্তনের সারাংশ বর্ণিত হয়েছে এতে। এমনকি আমার মতো বৈজ্ঞানিক-টার্মভীত পাবলিকেরও বুঝতে কষ্ট হয়নি 


বুধবার, ২৩ জুন, ২০১০

প্রিয় পুরনো পোস্টগুলো – ০৬


ধর্মকারীতে পোস্টের সংখ্যা সাতশো ছাড়িয়ে গেছে। এই সাইটের খোঁজ যেসব পাঠক সম্প্রতি পেয়েছেন বা ভবিষ্যতে পাবেন, তাঁদের পক্ষে আগে প্রকাশিত মজাদার পোস্টগুলো খুঁজে নেয়া ব্যাপক শ্রম- ও সময়সাধ্য ব্যাপার হবে ভেবেই হারানো-দিনের-পোস্ট ধরনের এই সিরিজের অবতারণা। পুরনো পাপীরাও এই সুযোগে স্মৃতিচারণ করে নিতে পারেন 

প্রতি পর্বে আমার বিশেষ প্রিয় পাঁচটি পোস্টের লিংক দেবো সংক্ষিপ্ত বর্ণনাসহ। শুরু করেছি ধর্মকারীর আদিকাল থেকে।

১. নুহ-এর নৌবহর (কার্টুন)
২. ধর্মাতুল কৌতুকিন – ০১ (কৌতুক সংকলন) 
৩. প্যাট্রিক কন্ডেল: আমাদের লোক – ০৪ (কন্ডেলীয় ভিডিও, এবারের বিষয় - তাঁর ব্যক্তিগত "বিশ্বাস")
৪. র‌্যান্ডম মসজিদ (মজাদার ছবি)
৫. জর্জ কারলিন: রেলিজিয়ন ইজ বুলশিট (অসাধারণ ভিডিও, অতিঅবশ্যদ্রষ্টব্য)

আগের পর্বগুলো দেখতে নিচের "কাসুন্দি" ট্যাগে ক্লিক করুন।

নিত্য নবীরে স্মরি – ১০



নির্ধার্মিক মনীষীরা – ২০


যা কিছু সহজে অনুধাবন করা যায় না, সে-সবকেই আমরা ঈশ্বর বলে থাকি, এতে মগজের কোষের অনর্থক ক্ষয়রোধ হয়।
এডওয়ার্ড অ্যাবি (১৯২৭-১৯৮৯, আমেরিকান লেখক, রসস্রষ্টা, Edward Abbey, from, Vox Clamantis In Deserto, A Voice Crying In The Wilderness, quoted from Steve Cichowski, personal letter to Cliff Walker, February 21, 2002)


ঈশ্বর বলে সত্যি কেউ থাকলেও আমার মনে হয় না তাঁর অহমিকাবোধ এতোটাই ভঙ্গুর যে, কেউ তাঁর অস্তিত্ব নিয়ে সংশয় প্রকাশ করলেই তিনি রোষান্বিত হয়ে পড়বেন।
বার্টান্ড রাসেল (১৮৭২-১৯৭০, ইংরেজ গণিতবিদ, দার্শনিক, শিক্ষাবিদ ও লেখক, What Is an Agnostic?)


যুক্তিটা এরকম: "আমার অস্তিত্বের প্রমাণ দিতে আমি অস্বীকৃতি জানাচ্ছি," ঈশ্বর বলেন, "কারণ প্রমাণ বিশ্বাসকে বাতিল করে দেয়; আর বিশ্বাস ছাড়া আমি নিরর্থক।"
ডগলাস অ্যাডামস (১৯৫২-২০০১, ইংরেজ লেখক, নাট্যকার, সঙ্গীতকার, The Hitch Hiker's Guide to the Galaxy: book one of the Hitch Hiker's Guide to the Galaxy series, p. 50)

জর্জ কারলিন: অধিকার

স্রেফ অসাধারণ! এই তীক্ষ্ণবুদ্ধি, স্পষ্টভাষী লোকটিকে পছন্দ না করা সম্ভব নয়।


কু-রূপকথা নিয়ে কমিকস


জীবনঘনিষ্ঠ কমিকস এঁকে খ্যাতিলাভ করা শিল্পী রবার্ট ক্রাম্ব বের করেছেন "দ্য বুক অভ জেনেসিস - ইলাস্ট্রেটেড" নামের একটি বই। 


জেনেসিস হচ্ছে বাইবেলের ওল্ড টেস্টামেন্টের অন্তর্ভুক্ত "সৃষ্টিতত্ত্ব" নামের প্রথম গ্রন্থ। তো রবার্ট ক্রাম্ব খুব মূলানুগ থেকে এই বইয়ের প্রতিটি শব্দ অনুসরণ করে কমিকস এঁকেছেন। কু-রূপকথার সচিত্র বর্ণনা দুর্ধর্ষ হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। বইটা চোখে দেখিনি, তবে কিছু পৃষ্ঠার খুব-জুইতের-না মানের স্ক্যান দেখে এই ধারণা হলো। 





প্রচারে বিঘ্ন – ০৪


মিশিগানের Grand Valley State University ক্যাম্পাসে ধর্মপ্রচার করতে এসেছিল এক মহিলা। এসে যথারীতি "সবাই নরকে যাবে" টাইপ কথাবার্তা শুরু করলে এক বান্দর পোলা কীভাবে তাকে উত্যক্ত করে, সেই ভিডিও দেখুন নিচে 


মঙ্গলবার, ২২ জুন, ২০১০

অপবিশ্বাসগুলো


ইসলাম: ইতরামির ইতিহাসপ্রসূত ইমেজ বদলের ইস্তাহার


কিছু কিছু মুসলমান হয়তো অনুধাবন করতে পেরেছে যে, তাদের মাত্রাহীন ইতরামির ফলে ইসলাম এখন বিশ্বে একটি ঘৃণার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ ব্রিটেনের সাম্প্রতিক একটি জরিপ অনুযায়ী, শতকরা ৫৮ জন ব্রিটিশের কাছে ইসলাম চরমপন্থার অন্য একটি নাম, শতকরা ৫০ জন মনে করে ইসলাম মানেই সন্ত্রাসবাদ। এছাড়া শতকরা ৬৯ জন মনে করে, নারীদের ওপর দমননীতির প্রয়োগকে উৎসাহিত করে ইসলাম।

আমেরিকাতেও ইসলামের ইমেজ নেতিবাচক। শতকরা ৫০ জন ইসলামবিরোধী মনোভাব পোষণ করে এবং এদের মধ্যে শতকরা ২৯ জনের ভেতরে এই মনোভাবটি অত্যন্ত প্রবল।

তো ব্রিটেনের Exploring Islam Foundation উদ্যোগ নিয়েছে অমুসলিমদের চোখে ইসলামের একটি মডারেট ও গ্রহণযোগ্য ভাবমূর্তি গড়ে তুলতে। এবং শুরু হয়েছে Inspired by Muhammad নামের প্রচারণা। কিছু নমুনা দেখুন:


সামাজিক ন্যায়নীতির কথা নবীর মুখে? যুদ্ধ আর হত্যা ছিলো যার হবি?


নারীকে দ্বিতীয় শ্রেণীর প্রাণীতে পরিণত করা নবী বিশ্বাস করতেন নারীর অধিকারে?


প্রায় দেড় হাজার বছর আগের নিরক্ষর, মূর্খ নবী পরিবেশ রক্ষার ব্যাপারে সচেতন ছিলেন?

আরও মজা দেখতে হলে এই সাইটে গিয়ে ঢুঁ মেরে আসুন। ওখানে বলা হচ্ছে, পশুকল্যাণী নবীর কথা! পদে পদে জীবহত্যা করে ছোটখাটো উৎসব করার রীতি যে-ধর্মে, পশু-সদকা ছাড়াও কুরবানি নামের পাশবিক ঐতিহ্য যে-ধর্ম লালন করে, সেই ধর্মের প্রবর্তক পশুকল্যাণের কথা চিন্তা করতেন? যাই কই! সাইটে আরও বলা হচ্ছে, মানবাধিকার ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের মতো ইসলামী চরিত্রবিরোধী ব্যাপারেও নাকি নবীর অগাধ বিশ্বাস ছিলো! 

মুসলমানেরা বুঝলো না, এই ভুয়া বিজ্ঞাপনী প্রচারণায় অন্যদের ধারণা বিন্দুমাত্র বদলাবে না। ইসলামের ইমেজ ইতিবাচক করতে হলে মুসলমানদের আচার-ব্যবহার হতে হবে সভ্য, আধুনিক, সহনশীল ও উদারপন্থী (কোনওটাই ইসলামের সাথে যায় না যদিও)। নইলে এইসব ফাঁপা ফালতু প্রচারণা অন্যদের হাসির উদ্রেকই করবে শুধু।

সৃষ্টিতত্ত্ববাদীরা কেন উপহাসের পাত্র – ০১


সৃষ্টিতত্ত্ববাদ creationism ব্যাপারটা রাবিশ ছাড়া আর কিছু নয়। পৃথিবী, বিশ্বব্রহ্মাণ্ড ও জীবনের উৎপত্তি ও বিকাশ বিষয়ে   আসমানী কেতাবগুলোর কেচ্ছা-কাহিনীকে অপবিজ্ঞানের মোড়কে উপস্থাপনার অপচেষ্টা মাত্র। আর তাই এই তত্ত্ব যুক্তিবাদীদের জন্যে হাস্যরসের প্রভূত উপকরণের উৎস। 

খ্যাতনামা ইউটিউবার Thunderf00t সৃষ্টিতত্ত্ববাদীদের সমস্ত "যুক্তি" অবলীলায় খণ্ডন করে যেভাবে তাদেরকে হাস্য-বিদ্রুপের পাত্র বানিয়ে ফেলেন, তারই কিছু নিদর্শন দেয়া হবে এই সিরিজে।


ইহুদি ধর্মযাজক: একই পথের পথিক



এই খোমা মোবারক এক সম্মানিত ইহুদি ধর্মযাজকের। পেজগিতে পড়েছে সে । এবং যে-সে পেজগি নয়। এমনিতেই সে বত্রিশ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছে ষোলো বছর বয়সের এক কিশোরকে যৌননিপীড়ন করার অপরাধে! তবে বলা হচ্ছে, যে অপরাধে সে অভিযুক্ত, তা আইসবার্গের উপরিভাগ মাত্র! কারণ এখন আরও অভিযোগ আসতে শুরু করেছে চারদিক থেকে।  

শালার ধর্মযাজকেরা এই টাইপ হয় কেন? 

প্যাট্রিক কন্ডেল: আমাদের লোক – ১৬


প্যাট্রিক কন্ডেল সম্পর্কে রিচার্ড ডকিন্স বলেছিলেন: Pat Condell is unique. Nobody can match his extraordinary blend of suavity and savagery. With his articulate intelligence he runs rings around the religious wingnuts that are the targets of his merciless humour. Thank goodness he is on our side.

তাঁর ভিডিও-বক্তব্য উদ্ধৃত করতে শুরু করলে আমি প্রায়ই বাদ দেয়ার মতো তেমন কিছু পাই না। তাই তাঁর আজকের ভিডিও God bless atheism থেকে এতোগুলো উদ্ধৃতি:

... "How can you know good from evil without religion to guide you?" Well, that's just the point, isn't it? Religion does guide me. Most of the things I see religion do, I think are evil.
And I find that's a pretty useful benchmark. If religion is involved, I know evil won't be too far away.

Another question is, "Isn't atheism itself really just another religion?" Well, I suppose atheism is a religion in the same way that creationism is a science, or Islam is a religion of peace.

... How can atheism be a religion? Who do we worship? And who's going to kill us if we don't? Atheism doesn't demand absolute unquestioning obedience, or make threats about eternal damnation, nor does it take childish offence over trifles. It doesn't protect sex offenders from justice, nor does it treat women like livestock. In a way it's a shame it's not a religion, because we might be able to get a few tax breaks out of it, but no, atheism doesn't get any special privileges. There are no schools teaching atheism to children as a belief system, paid for with public money, nor does atheism require anyone to tithe part of their income to keep a few cynical conmen in luxury. So you see, it doesn't even begin to qualify as a religion worthy of the name.

... But surely people need religion to answer certain questions. Yes, questions like, "How best can we stifle the human spirit?" "How much can we squeeze from the poor and gullible?" and "How many palaces can we live in at once without blushing?" These questions, religion answers very well indeed.

... but why is theology regarded as a branch of philosophy, and not as a creative art? Because it is very creative. You can dress your god up in whatever set of the king's new clothes you like.

... "OK, we get it, you don't believe in God. But at least religious organisations do a lot of good work, especially in the third world. Surely you can't knock that." So what are you telling me? If they weren't religious, they wouldn't be doing this work? It's not really coming from their hearts? They're just doing it because they're following orders?

... Our souls are corrupted and stained with sin, because, well it's just a great lifestyle, frankly. In fact, when I've finished making this video, I intend to spend the rest of the afternoon sinning, because I know that I won't be punished for it. In fact, I'm getting so excited about it, I think I'll stop right now.

অনুবাদ:

“ধর্ম তোমাকে পথ না দেখালে কোনটা ভালো কোনটা মন্দ বুঝবে কী করে?” আচ্ছা, এটাই তো কথা যে ধর্ম আমাকে পথ দেখায়, তাই না? কিন্তু আমি তো এটাকে বদমায়েশি ছাড়া তেমন কিছু করতে দেখি না। তাই ধর্ম খুবই কার্যকর একটা চিহ্ন। যেখানেই ধর্ম জড়িত বুঝতে হবে আশেপাশেই প্রচন্ড খারাপ কিছু আছে।

আরেকটি প্রশ্ন আসে এমন, “আচ্ছা নিধার্মিকতাও কি একটা ধর্ম নয়?” হ্যা নিধার্মিকতা সেই অর্থে একটি ধর্ম, যে অর্থে সৃষ্টিত্ত্ববাদ একটি বিজ্ঞান বা ইসলাম একটি শান্তির ধর্ম।

... নিধার্মিকতা কেমনে একটা ধর্ম হয়? আমরা কার পূজা করি? এবং পূজা না করলে কে আমাদের সাজা দিবে? নিধার্মিকতা প্রশ্নাতীত আনুগত্য দাবী করে না, চিরতরে দোজখে নিক্ষিপ্ত হওয়ার ভয় দেখায় না, এমনকি ছোটো খাটো ব্যাপারে বাচ্চাদের মত বেজারও হয় না। এটা যেমন যৌন নিপিড়কদের আইনের হাত থেকে রক্ষাও করে না, তেমনি নারীকে গবাদিপশুও বিবেচনা করে না। এক দিক দিয়ে ভাবলে এটা রীতিমত লজ্জাস্কর যে নিধার্মিকতা ধর্ম নয়, নইলে সেই ওছিলায় কিছু কর মৌকুফ পাওয়া যেত। কিন্তু না, নিধার্মিকতা এ ধরণের কোনো বিশেষ সুযোগ-সুবিধা পায় না। সরকারি টাকায় পরিচালিত নিধার্মিকতা শেখানোর কোনো স্কুল নেই, এমনকি ভগিচগি করে মানুষের মনে হতাশা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে লোক পোষার জন্য কারো আয়ের কিয়দংশেও এটা ভাগ বসায় না। তো দেখাই যাচ্ছে, নিধার্মিকতা ধর্মের ‘ধ’ এর ধারের কাছেও নেই।

... কিন্তু নিশ্চই কিছু প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য মানুষের ধর্মের প্রয়োজন। হ্যা, প্রশ্ন যেমন, “কত সহজে আমরা মানুষের আত্মার শ্বাসরোধ করতে পারি?”, “দরিদ্র-বোকা লোকটাকে কত বেশি শোষণ করতে পারি” এবং “একটুও লজ্জা না পেয়ে একই সঙ্গে কতগুলো প্রাসাদে আমরা বাস করতে পারি?” এসব প্রশ্নের ধর্ম আসলেই দারুণ উত্তর দেয়।

... কিন্তু আমি বুঝিনা ধর্মতত্ত্বকে কেন চারুকলার অংশ না বলে দর্শন এর অংশ বলা হয়? এটাতো দারুণ ক্রিয়েটিভ কর্মকান্ড! চাইলেই তুমি তোমার ঈশ্বরকে ইচ্ছামতো যে কোনো রাজকীয় পোশাকে সাজিয়ে নিতে পারো!

... “আচ্ছা বুঝলাম তুমি ঈশ্বরে বিশ্বাস করো না। কিন্তু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো তো অনেক ভালো কাজও করে, যেমন তৃতীয় বিশ্বে। নিশ্চই এটা তুমি অস্বীকার করতে পারবা না।” তো, তুমি কী বলতে চাও? তারা যদি ধার্মিক না হতো তাহলে আর এটা করত না? তারা কি এটা মন থেকে করছে না? নাকি শুধুই ধর্মীয় হুকুম তামিল করছে?

... আমাদের আত্মা পাপের পঙ্কিলতায় রীতিমত কলুষিত হয়ে গেছে, কারণ, আসলে এটা একট দারুণ লাইফ স্টাইল, সত্যিই! আমি তো এই ভিডিওটা বানানো শেষ হলেই বাকি বিকালটা পাপকর্ম করে কাটাবো। কারণ আমি জানি এর জন্য আমার কোনো শাস্তি হবে না। ভাবতেই আমি এত শিহরিত হয়ে উঠছি যে আমার মনে হয় আমার এখনই থামা উচিত।

(অনুবাদের জন্য babble-কে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা) 

লক্ষ্য করুন, ভিডিওটি সাবটাইটেলসহ দেখার ব্যবস্থা আছে। আর নিচু নেটস্পিডের কারণে ভিডিও-বঞ্চিতরা অডিও ডাউনলোড (৬.১ মেগাবাইট) করে নিতে পারেন এখান থেকে।


ডাউনলোড লিংক (২২.২ মেগাবাইট)

সোমবার, ২১ জুন, ২০১০

মাতৃদুগ্ধ ও সৌদি নারীদের গাড়ি চালানোর অধিকার


"অনাত্মীয় পুরুষদের সঙ্গে এক ঘরে অবস্থানের পাপ (khulwa)  দূর করতে কোনও মেয়েদের উচিত হবে সেই পুরুষদেরকে বুকের দুধ পান করানো, যাতে তারা পুত্রবৎ বনে যায়", এমন একটি ফতোয়াকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে আরবীয় নারীরা তাদের বহু পুরনো দাবি - গাড়ি চালানোর অধিকার - আদায়ের উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানা গেছে। দাবি পূরণ না হলে নারীরা ফতোয়া অনুসরণ করে তাদের ড্রাইভারদেরকে বুকের দুধ পান করিয়ে সন্তান বানিয়ে ফেলবে। সংবাদ দিয়েছে গলফ নিউজ


এবার সেই ফতোয়া ও তার উৎপত্তি বিষয়ে কিছু কথা। 

সম্প্রতি সৌদি রাজকীয় আদালতের উপদেষ্টা এবং আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়ের পরামর্শদাতা এই ফতোয়া ঘোষণা করার পর তা ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হলেও ২০০৮ সালেও একবার এই প্রসঙ্গ উঠেছিল। পৃথিবীর সবচেয়ে মর্যাদাসম্পন্ন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় মিসরের আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের হাদিস বিভাগের প্রধান Dr. Izzat Attya (ইজ্জত!) একই জাতীয় একটি ফতোয়া জারি করে বলেন, কর্মজীবী মহিলারা তাদের সহকর্মীদেরকে বুকের দুধ পান করালে তাদের সঙ্গে এক ঘরে অবস্থান করাটা আইনসম্মত হবে।

অনেক ইসলামভক্ত লোক এই ফতোয়াকে কিছু অবুঝ মুসলিমের মস্তিষ্কপ্রসূত বলে উড়িয়ে দিতে চান। তাঁদের ধারণা ভুল। কারণ একটি হাদিস আছে:

Book 008, Number 3428 (সূত্র: এক, দুই): 
Zainab daughter of Abu Salama reported: I heard Umm Salama, the wife of Allah's Apostle (may peace be upon himy, saying to 'A'isha: By Allah, I do not like to be seen by a young boy who has passed the period of fosterage, whereupon she ('A'isha) said: Why is it so? Sahla daughter of Suhail came to Allah's Messenger (may peace be upon him) and said: Allah's Messenger, I swear by Allah that I see in the face of Abu Hudhaifa (the signs of disgust) on account of entering of Salim (in the house), whereupon Allah's Messenger (may peace be upon him) said: Suckle him. She (Sahla bint Suhail) said: He has a heard. But he (again) said: Suckle him, and it would remove what is there (expression of disgust) on the face of Abu Hudhaifa. She said: (I did that) and, by Allah, I did not see (any sign of disgust) on the face of Abu Hadhaifa.

অনুবাদ: 
জয়নাব বিন্ত আবু সালামা হতে বর্ণিতঃ আমি রাসুলুলাহর (দঃ) স্ত্রী উম্ সালামাকে আয়েশার কাছে বলতে শুনেছিঃ আলাহর কসম, আমি এমন তরুণ পুরুষের সামনে যেতে চাই না যে ফষ্টারেজ পিরিয়ড পার করেছে (বুকের দুধ খাওয়ার মেয়াদ পার করেছে)। তখন আয়েশা বললেনঃ 'কেন? সাহলা বিন্ত সুহাইল রাসুলুলাহর (দঃ) কাছে এসে বলেছিল- ইয়া রাসুলুলাহ। আলাহর কসম, সেলিম (আমাদের ঘরে) ঢুকে বিধায় আবু হুযাইফার মুখে আমি চরম বিরক্তি দেখেছি। প্রতিউত্তরে আলাহর রাসুল (দঃ) বললেন- তাকে তোমার বুকের দুধ খাওয়াও। সে বলল- তার মুখে যে দাড়ি। কিন্তু তিনি (আবারও) বললেন- তাকে বুকের দুধ খাওয়াও, তা'হলেই আবু হুযাইফার মুখে যা আছে দুর হয়ে যাবে (অর্থাৎ বিরক্তি চলে যাবে)। (পরবর্তীতে) সে (সাহলা) বলেছিল- (আমি সেরুপ করেছিলাম) এবং আলাহর কসম করে বলছি, এর পরে আর আমি আবু হুযাইফার মুখে (বিরক্তির) চিহ্ন দেখতে পাইনি। 
(অনুবাদ কৃতজ্ঞতা: AsifM)

হুবহু একই ঘটনা নিয়ে আরও দু'টি হাদিস- সুনান আবু দাউদঃ ভলিউম-2, হাদিস নং-2056, পৃ- 549 এবং মুয়াত্তাঃ সেকশন-30, হাদিস নং-12, পৃ-245-246।