আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

বৃহস্পতিবার, ৩১ আগস্ট, ২০১৭

পাঠকের পাঠশালা-০৩ (পালিত কন্যা ও শাশুড়িকে বিয়ে করা জায়েজ সুরা আহযাব অনুসারে?)

লিখেছেন সুষুপ্ত পাঠক

ইসলাম মতে কোন ব্যক্তি বিয়ে করে সঙ্গমের পূর্বেই যদি স্ত্রীকে তালাক দিয়ে দেয় তবে সেই স্ত্রীর আগের ঘরের কন্যাকে সে বিয়ে করতে পারবে। একইভাবে পুরুষটির জন্য তার শাশুড়িও হারাম নয় যতক্ষণ পর্যন্ত সে বিয়ে করা স্ত্রীর সঙ্গে সঙ্গম করেনি। শুধুমাত্র বিবাহ বন্ধন দ্বারা শাশুড়ি হারাম হয় না! শেরে খোদা হযরত আলী (রা:) মত দেন, কোন ব্যক্তি যদি কোন মেয়েকে বিয়ে করে সঙ্গম করার আগেই তালাক দিয়ে দেয় তবে তার জন্য সেই মেয়ের মা হালাল। হযরত আলী স্ত্রীর অপর পক্ষের কন্যাকে বিয়ে করা যাবে এই শর্তে মত দিয়েছেন যদি সেই কন্যা নিজগৃহ পালিত না হয়। হযরত আবু বকর ইনবে কিনানা (রা:) তার নিজের জীবনের ঘটনার কথা উল্লেখ করে এ বিষয়ে বলেছেন, তার পিতা তাকে যে মেয়ের সঙ্গে বিয়ে দেন তার সঙ্গে বাসরঘর হবার আগেই শ্বশুড় মারা গেলে তার শাশুড়ি বিপুল সম্পদের মালিক হয়ে যান। তখন তার বাবা তার স্ত্রীকে তালাক দিয়ে তার মাকে অর্থ্যাৎ শাশুড়িকে বিয়ে করতে তাকে আদেশ দেন। তখন তিনি হযরত ইবনে আব্বাস (রা:)-কে এই বিষয়ে আল্লাহর নির্দেশ কি জানতে চাইলে তিনি মত দেন শাশুড়িকে বিয়ে করা যাবে। কিন্তু যখন হযরত ইবনে ওমর (রা:)-কে একই বিষয়ে তিনি জিজ্ঞেস করে মত চান তখন ওমর বলেন, তুমি তাকে বিয়ে করতে পারো না। দুজন ইসলামি শাস্ত্রবিশারদের এরকম ভিন্ন দুটি মতামত তখন তিনি তার পিতাকে জানন। তার পিতা তখন সেই মত দুটি লিখে খলিফা মুয়াবিয়ার ফতোয়া জানতে পাঠিয়ে দেন। মুয়াবিয়া এই বিষয়ে মত দিতে তার অপারগতা জানিয়ে চিঠি দেন। শেষ পর্যন্ত এই বিয়ে থেকে বিরত থাকাই সিদ্ধান্ত হয় একই বিষয়ে বিতর্কিত মতামত থাকায়। (ইবনে কাথিরের তাফসির, সুরা নিসা, ৪, ৫, ৬, ৭ খন্ড একত্রে, পৃষ্ঠা-৩৩৪)।

কিন্তু বিতর্কের শেষ হয় না। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে যুবায়ের (রা:) বলেন, সঙ্গম না হলে তালাক প্রাপ্ত স্ত্রীর মাতা ও কন্যাকে বিয়ে করা জায়েজ। হযরত ওমরকে দাসী ও দাসীর কন্যাকে সঙ্গম করা যাবে কিনা জিজ্ঞেস করলে তিনি মত দেন, একই বিষয়ে কুরআনে হালাল ও হারাম দুরকম মতই দেয়া আছে। তাই আমি এটা কখনোই করব না। (ইবনে কাথিরের তাফসির, সুরা নিসা, ৪, ৫, ৬, ৭ খন্ড একত্রে, পৃষ্ঠা-৩৩৭)। সম্প্রতি ইরানী শরীয়া আইনে পালিতা কন্যাকে বিয়ে করার অনুমতি দেয়া হয়েছে। এই অনুমতি দেয়ার অন্যতম কারণ হযরত আলীকৃত মাসায়ালাগুলোর মত এই রূপই। কিন্তু আমাদের আলোচনা আসলে এটা প্রমাণের চেষ্টা নয় যে ইসলাম একজন মুমিনকে তার শাশুড়ি ও পালিত কন্যাকে বিয়ে করতে অনুমোদন দেয়। আমি বরং সব ইসলামী সোর্স ঘেঁটে এই মতটাই মেনে নিয়েছি যে, ইসলাম শাশুড়ি ও পালিতা কন্যা বা স্ত্রীর আগের ঘরের সন্তানকে বিয়ে করতে নিষেধ করেছে। যদিও কুরআন এই নিষেধকে শর্ত আরোপ করেছে। যেমন: যদি স্ত্রীর সঙ্গে সঙ্গম না হয় তাহলে স্ত্রীর মাতা ও অপর পক্ষের কন্যাকে বিয়ে করা হারাম নয়। বিষয়টি রুচি ও নৈতিকতার দিক দিয়ে যে কুৎসিত তাতে কোন সন্দেহ নেই। তবু এটা কুরআনের মন্দের ভালই বলতে হবে।

আল্লাহ বলেন, তোমাদের প্রতিপালিত কন্যারা তোমাদের জন্য হারাম যারা তোমাদের গৃহে পালিত হয়েছে যদি তাদের মাতাদের সঙ্গে তোমাদের সঙ্গম হয়ে থাকে। সহি বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফে রয়েছে উম্মে হাবিবা (রা:) বলেন, হে আল্লার রসূল আপনি আমার বোনের কন্যা ইযযাহকে বিয়ে করুন। জবাবে রসূল্লাহ বলেন, না, সে আমার জন্য হারাম। এরপর উম্মে হাবিবা বলেন, আমি তো শুনেছি আপনি আবু সালমার মেয়েকে বিয়ে করতে যাচ্ছেন? রসূল্লাহ উত্তর দেন, উম্মে সালমার কন্যা আমার উপর হারাম কারণ তার কন্যা আমার প্রতিপালিতা। আমার ঘরেই সে লালিত পালিত হয়েছে।

শনিবার, ২৬ আগস্ট, ২০১৭

শুক্রবার, ২৫ আগস্ট, ২০১৭

ছাগলে কিনা খায়.?

ক্রিয়েশন দাঁড়িপাল্লা ধমাধম

ছাগলে শুধু আয়াতই খায় না, প্রসাদও খায়। অতএব তুমরা ছাগলের আর কুন কুন অবদানকে অস্বীকার করিপে?


      আপনি ছাগল না হলে দেখা মাত্র শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন।

বৃহস্পতিবার, ২৪ আগস্ট, ২০১৭

ইমানুলের ধর্মকথা-১৪

পাঠিয়েছেন ইমানুল হক

১৬.
গিরামে ইন্দুগের লাই বাস করাই কষ্ট অই যাইচ্চে। আইজ মগরিবের লমাজের কালে দাড়াইচি জায়লমাজে। সূরা ফইত্তে ফইত্তেই হডাৎ কানের মদ্দি বাজি উটলো ডং ডং করি শব্দ। ওরে মাবুত, সূরাডাই গেলাম বুলে। কুন চুদিরফুতে যানি গন্টা বাজাইচ্চে। বুইজলাম যে ইডা আমাগের ফাশের ফুর্বমুরার ইন্দু বাড়ির তেকেই আইস্তেচে। মেজাজডা গেল চড়ি। লমাজ বাদ দি থুই তাত্তারি উডলাম, "হালার মালোয়ানের ফুতেরে আইজ কাইছি। হালার ফু হালা। ইচলামিক কানটিতে তাকস, আবার ফূজা-মূজা কিরে? অয় মুচলমান অবি নয় জিজিয়া কর দি তাইকবি।" (তোমরা যুদ্ধ কর আহলে-কিতাবের ঐ লোকদের সাথে, যারা আল্লাহ ও রোজ হাশরে ঈমান রাখে না, আল্লাহ ও তাঁর রসূল যা হারাম করে দিয়েছেন তা হারাম করে না এবং গ্রহণ করে না সত্য ধর্ম, যতক্ষণ না করজোড়ে তারা জিযিয়া প্রদান করে। সূরা: আত তাওবাহ: ২৯) বাসাততে বের অইতেই দেহা অইলো তারিকুল হুজুরের সাত। বইল্যাম "হুজুর চলেন মালুগের আজ দইরমু। হালারফুতেগো জ্বালায় নমাজ ফইত্তে পারি না। আল্লা-কুদার সূরা ফত্তে গি বূল অই যায়। বিদর্মিগের অত্যাচার আর কদ্দিন সইজ্জ্য করমু? হালারফুতেগের ফূজা আইজ ছুটামু চলেন।" হুজুর কইলেন, "যুদি বাঞ্চুতগের তারাইবার ফারি তালি কিন্তু গনিমতের মালের বাগ আমাক বেশি দিতে অবি।" (আল্লাহ তোমাদেরকে বিপুল পরিমাণ যুদ্ধলব্ধ সম্পদের ওয়াদা দিয়েছেন, যা তোমরা লাভ করবে। তিনি তা তোমাদের জন্যে ত্বরান্বিত করবেন। তিনি তোমাদের থেকে শত্রুদের স্তব্দ করে দিয়েছেন-যাতে এটা মুমিনদের জন্যে এক নিদর্শন হয় এবং তোমাদেরকে সরল পথে পরিচালিত করেন। সূরা: আল ফাতহ: ২০)। 

বুধবার, ২৩ আগস্ট, ২০১৭

ইসলাম শিক্ষা-৩ ( চিকিৎসা শাস্ত্র )

পাঠিয়েছেন নিরানব্বই

 
সহিহ বুখারী :: খন্ড ৮ :: অধ্যায় ৮২ :: হাদিস ৭৯৪:
আলী ইব্ন আবদুল্লাহ্ (র) ... আনাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, উকল গোত্রের একদল লোক নবী (সা) এর নিকট উপস্থিত হয়ে ইসলাম গ্রহণ করল। কিন্তু মদীনার আবহাওয়া তাদের অনুকূল হলনা। তাই তিনি তাদেরকে সাদাকার উটপালের কাছে গিয়ে সেগুলোর পেশাব ও দুগ্ধ পান করার আদেশ করলেন। তারা তা-ই করল। ফলে সুস্থ হয়ে গেল।

মঙ্গলবার, ২২ আগস্ট, ২০১৭

মুহাম্মদের চিঠি-১২: উম্মে হাবিবার দুর্ব্যবহার ও নবীর আদর্শ! কুরানে বিগ্যান (পর্ব- ১৭৩): ত্রাস, হত্যা ও হামলার আদেশ – একশত সাতচল্লিশ

লিখেছেন গোলাপ

(আগের পর্বগুলোর সূচী এখানে) (ইন্টারন্যাল লিংকে যাতায়াতে কিছুটা সমস্যা হতে পারে: সমাধানের চেষ্টা চলছে; আপাতত প্রক্সি ব্যবহারে লিংকে গমন সহজ হবে)

"যে মুহাম্মদ (সাঃ) কে জানে সে ইসলাম জানে, যে তাঁকে জানে না সে ইসলাম জানে না।"

স্বঘোষিত আখেরি নবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) আবিসিনিয়ার শাসনকর্তা আল-নাজ্জাসীর কাছে চিঠি পাঠিয়েছিলেন ৬২৭ সালের শেষার্ধে (পর্ব-১৭০), আর তিনি তাঁর অনুসারীদের আবিসিনিয়ার হিজরত করার আদেশ জারী করেছিলেন ৬১৫-৬১৬ খ্রিস্টাব্দে। মুহাম্মদের ধর্মে দীক্ষিত না হওয়া সত্বেও আবিসিনিয়ার শাসনকর্তা নাজ্জাসী তার রাজ্যে আগত এই নব্য ইসলাম অনুসারীদের শুধু যে আশ্রয় প্রদান করেছিলেন তাইই নয়, তিনি তাদের প্রতি কীরূপ হৃদ্যতা প্রদর্শন, সহানুভূতিশীল ও সহনশীল আচরণ করেছিলেন; মুহাম্মদের এই চিঠি-টি পাওয়ার পর নাজ্জাসী কী ভাবে তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছিলেন; তিনি তার পুত্রের সঙ্গে যে সত্তর জন আদি ইথিওপিয়াবাসীদের (আল তাবারী: '৬০জন ইথিওপিয়ানদের একটি দল’ [1]) মুহাম্মদের কাছে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছিলেন, পথিমধ্যে তাদের কী পরিণতি হয়েছিল; ইত্যাদি বিষয়ের আলোচনা আগের পর্বে করা হয়েছে।

আল-তাবারীর (৮৩৯-৯২৩ খ্রিস্টাব্দ) বর্ণনার পুনরারম্ভ: [1]
‘মুহাম্মদ বিন উমর (আল-ওয়াকিদি) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেছেন: 'আল্লাহর নবী নিগাসের কাছে এই মর্মে খবর পাঠান যে তিনি যেন আবু সুফিয়ানের কন্যা উম্মে হাবিবার সঙ্গে তাঁর [নবীর] বিবাহের ব্যবস্থা করেন, অতঃপর তিনি যেন তার ওখানে যে মুসলমানরা আছে তাদের সঙ্গে তাকে তাঁর কাছে পাঠিয়ে দেন। বিবাহের এই প্রস্তাব-টি উম্মে হাবিবা-কে জানানোর জন্য নিগাস তার এক ক্রীতদাসীকে তার কাছে প্রেরণ করেন, যার নাম ছিল আবরাহা (Abrahah)। এই খবরটি শোনার পর উম্মে হাবিবা আনন্দে এতই আত্মহারা হয়ে ওঠেন যে তিনি আবরাহা-কে তার কিছু রুপার অলংকার ও একটি আংটি প্রদান করেন।

নিগাস উম্মে হাবিবা-কে আদেশ করেন যে তিনি যেন তার পক্ষে কোন এক লোককে তার প্রতিনিধিরূপে নিযুক্ত করেন, যে তাকে বিবাহ দেবে। তাই তিনি [উম্মে হাবিবা] খালেদ বিন সাইদ বিন আল-আস (Khalid b. Said b. al-As) কে তার পক্ষে নিযুক্ত করেন। সে তাকে বিবাহ দেয়: আল্লাহর নবীর পক্ষে কথা বলে নিগাস ও (উম্মে হাবিবার পক্ষে) কথা বলে খালিদ, সে উম্মে হাবিবা-কে বিবাহ দেয়। নিগাস নববধূ-কে ৪০০ দিনার উপহার স্বরূপ দেবার ঘোষণা করেন ও তিনি তা খালিদ বিন সাইদের কাছে হস্তান্তর করেন। যখন এই অর্থ উম্মে হাবিবার হাতে পৌঁছে, আবরাহা ছিল সেই মহিলা যে এটি তার কাছে নিয়ে এসেছিল, উম্মে হাবিবা তাকে ৫০ মিথকাল (mithqal) প্রদান করেন ও বলেন, "যখন আমার কাছে কিছুই ছিল না তখন আমি তোমাকে ওগুলো (ওপরে উদ্ধৃত 'রুপার অলংকার ও একটি আংটি') প্রদান করেছিলাম, কিন্তু পরাক্রমশালী ও মহিমান্বিত আল্লাহ এখন এগুলো আমার জন্য এনেছে!" [2]

আবরাহা বলে, "রাজার আদেশ এই যে আমি যেন আপনার কাছ থেকে কোন কিছু না নেই ও যে জিনিসগুলো আমি নিয়েছি, তা যেন আপনাকে ফেরত দিই" - অতঃপর সে তাকে তা ফেরত দেয়। [বলে] "রাজার দেয়া অলঙ্কার ও পোশাকই আমার জন্য যথেষ্ট। আমি বিশ্বাস করি যে মুহাম্মদ আল্লাহর প্রেরিত রসুল ও তাঁর প্রতি আমার আস্থা। আপনার প্রতি আমার একমাত্র অনুরোধ এই যে, আপনি তাঁকে আমার সালাম জানাবেন।" উম্মে হাবিবা বলেন যে তিনি তা করবেন। (আবরাহা বলে) "রাজা তার স্ত্রীদের এই আদেশ করেছেন যে তাদের কাছে যে ঘৃতকুমারী কাঠ ও অম্বরের সুগন্ধি আছে, তারা যেন তা আপনার কাছে পাঠিয়ে দেয়।" আল্লাহর নবী উপলব্ধি করেন যে এগুলো তিনি [উম্মে হাবিবা] ব্যবহার করেন ও তার বাসস্থানে মজুদ রাখেন; কিন্তু তিনি তা অপছন্দ (disapprove) করেন নাই।'

সোমবার, ২১ আগস্ট, ২০১৭

সৌদি আরব কি ইসলামী সন্ত্রাসীদের পক্ষে না বিপক্ষে? শেষ পর্ব- (সৌদি আরবে অ মুসলিমদের কী অবস্থা?)

মূল: খালেদ ওলীদ
অনুবাদ: আবুল কাশেম
 
[ভূমিকা: ডিসেম্বর, ফেব্রুয়ারি ও এপ্রিল মাসে খালেদ ওলিদের লেখা ইসলাম পরিত্যাগের জবানবন্দি, সৌদি নারীদের অবস্থা, এবং ইসলামী সন্ত্রাসির অনুবাদ করেছিলাম। তখন লিখেছিলাম খালেদ আমাকে অনেক ই-মেইলে সৌদি আরবের ইসলাম সম্পর্কে লিখেছিল। এখানে আমি তার আর একটি লেখা অনুবাদ করে দিলাম। উল্লেখযোগ্য যে, খালেদের কয়েকটি লেখা একটা বইতে প্রকাশ হয়েছে। বইটার টাইটেল হলো: Why We Left Islam.

সম্মানিত পাঠকবৃন্দ, খালেদের ই-মেইলের এটাই আমার শেষ অনুবাদ। খালেদ ইসলাম ও সৌদি আরব সম্পর্কে আমাকে আরো অনেক ই-মেইল দিয়েছিল, কিন্তু সময়ের অভাবে আপাতত সেগুলোর অনুবাদ আমি করছি না। ভুলভ্রান্তি থাকলে জানিয়ে দেবেন।

আবুল কাশেম]



এই রচনায় আমি দেখাব, আমরা, অর্থাৎ সৌদিরা, অ‑মুসলমানদের প্রতি কীরূপ আচরণ করি।



প্রথমেই বলতে হচ্ছে, আমরা বিধর্মীদের প্রতি সর্বদাই নির্মমভাবে অপব্যবহার করি। এদেরকে আমরা শুকর ও বানরের নাতি‑নাতনি আখ্যায়িত করি, একেবারেই খোলাখুলিভাবে, বিশেষত মসজিদের ভেতরে।



সৌদি আরবে ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো ধর্মের প্রতি বিন্দুমাত্র সম্মান দেখান হয় না। সৌদি সরকারী নীতি হচ্ছে: ইসলাম ব্যতীত অন্য সব ধর্মই মিথ্যা; শুধুমাত্র ইসলামই সত্যিকার ধর্ম। এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য গোঁড়ামিপূর্ণ সৌদি সরকারের নীতি হচ্ছে, যে কোনো প্রকারেই হোক যতবেশি সম্ভব, এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিধর্মীদের ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করতে হবে। সেজন্য অ‑মুসলিমদের ধর্মান্তরিত করা হচ্ছে সরকারের এবং ধর্ম দপ্তরের একটি প্রধান সক্রিয় ক্রিয়াকলাপ। যে সব বিধর্মী ইসলাম গ্রহণ করে, তাদেরকে আমাদের সরকার ঢালাওভাবে পুরস্কৃত করে থাকে। এই প্রক্রিয়াকে উৎকোচ দ্বারা অ‑মুসলিমদের ইসলামে প্রবেশের রাস্তা প্রদানই বলা চলে। অনেক ক্ষেত্রে বিধর্মীদের ওপর এমন জোরজবরদস্তিও চালান হয়—যাতে কোনো কোনো বিধর্মীর ইসলামে প্রবেশ ছাড়া গত্যন্তর থাকে না। যেহেতু সৌদি আরবে অ‑মুসলিমদের জঘন্য প্রাণী হিসেবে গণ্য করা হয়, তাই যে সব ইসলামী ধর্ম প্রচারক এবং খাদেম ওইসব ঘৃণীত পশুসম বিধর্মীদের ইসলামে দীক্ষিত করে, তাদেরকে সরকারীভাবে প্রচুর উপঢৌকন দেওয়া হয়।



সৌদি আরবে অ‑মুসলিমদের প্রতি অবাধ বৈষম্য ও বিরাগ একেবারে সোজাসুজিভাবে প্রকাশ করা হয়। এই বৈষম্যের সূত্রপাত হয় আকামা অথবা পরিচিতি পত্রের দ্বারা: যেমন লাল পরিচিতি পত্র (লাল কার্ড) হচ্ছে অ‑মুসলিমদের জন্যে এবং সবুজ পরিচিতি পত্র (সবুজ কার্ড) হচ্ছে মুসলমানদের জন্যে। মুসলিম এবং অ‑মুসলিমদের কর-প্রথাও ভিন্ন রকম। সভ্য জগতে এ প্রক্রিয়াকে দেখা হবে খোলাখুলি, পরিষ্কার এবং অতি সতর্কভাবে প্রণীত সরকারী জাতিবিদ্বেষী নীতিমালা হিসেবে। আমার মনে হয়, সৌদি আরবের এই নীতিমালা অতি সহজেই অধুনালুপ্ত দক্ষিণ আফ্রিকার জাতিবিদ্বেষী নীতিকে হার মানায়।



সৌদি আরবে বিধর্মীদের উপস্থিতি কোনোরকমে শুধুমাত্র বরদাস্ত করা হয়। এখানে অ‑মুসলিমদের ধর্মের আচার অনুষ্ঠান অথবা উপাসনালয় তৈরির কোনো অধিকারই নেই। একজন সৌদির উপস্থিতিতে কোনো বিধর্মীর তার ধর্মের রীতি, প্রথা অথবা আচার প্রকাশ করা নিষেধ। এমনকি কোনো সৌদির উপস্থিতিতে অ‑মুসলমানরা একে অপরকে সাদর সম্ভাষণ জানাতে পারে না। কোনো বিধর্মীর যদির বুকের পাটা থাকে যে, সে এই সব নিয়মকানুন বরখেলাফ করবে, তবে তাকে অবিলম্বে সৌদি আরব থেকে বহিষ্কার করা হয়। সৌদি আরবে কোনো অ‑মুসলিম কোনোক্রমেই একজন মুসলিম নারীকে বিবাহ করতে পারে নাএটা সম্পূর্ণভাবে বেআইনি। বে‑সৌদিকে, তা জন্মসূত্রেই হোক অথবা স্বাভাবিকীকরণে (নেচারালাইজ্‌ড) হোক, সৌদি নাগরিকত্ব দেওয়া হয় না। আজকাল অবশ্য এই কড়াকড়ি কিছুটা শিথিল করা হয়েছে, কিন্তু এক অ‑মুসলিম কোনোক্রমেই সৌদি নাগরিকতা পাবে না।

শুক্রবার, ১৮ আগস্ট, ২০১৭

পাঠকের পাঠশালা-০২ (নবীর জীবনীতে ক্ষুব্ধ হয় কেন মুসলমানরা?)

লিখেছেন সুষুপ্ত পাঠক

বইমেলাতে ইসলামী ফাউন্ডেশনের স্টল আছে। এটা ছাড়াও বেশ কিছু ইসলামী প্রকাশনীর স্টল দেখা যায়। এসব স্টলে ইমাম বুখারী, মুসলিম, তিরমিজি’র হাদিস, ইবনে হিশাম ও ইসহাকের নবী জীবনী সুলভে মিলে। পুলিশ প্রসাশন থেকে এবার বলে দেয়া হয়েছে, ধর্মীয় অনুভূতি বা গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্ব সৃষ্টিতে উসকানি দেয় এমন বই প্রকাশের ওপর নজরদারি করবে পুলিশ। উপরে যে বইগুলোর কথা বললাম সেগুলোতে ইহুদীদের প্রতি চরম ঘৃণা, অভিশাপ, উশকানি, হত্যার বৈধতা পাতায় পাতায় ছড়িয়ে আছে। মূর্তিপুজারীদের একইভাবে আক্রমন করা হয়েছে। এই বইগুলো পড়লে যে কোন অমুসলিম ধর্ম বিশ্বাসীর মনে আঘাত লাগার কথা। সবচেয়ে বড় কথা মুসলমানরা প্রগাঢ় বিশ্বাস থেকে এই বইগুলি পড়লে একজন ইহুদী-খ্রিস্টানকে, একজন হিন্দু-বৌদ্ধকে চরম ঘৃণার চোখে দেখবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং ইতিহাসবিদ মুনতাসির মামুন বিসিসি’র কাছে বলেছেন, যে কোন ধর্মকে কটাক্ষ করে কিংবা অবমাননা করে কোন লেখা সমর্থনযোগ্য হতে পারেনা। মামুন স্যার ইবনে হিশাম পড়েছেন নিশ্চয়? একজন ইতিহাসবিদ হিসেবে উনার কাছে বনু কুরাইজা ঘটনাকে গণহত্যা নাকি ম্যাসাকার মনে হয়েছে? উনি কি ইসলামী ফাউন্ডেশনের স্টলে বিক্রিত বইগুলোকে সমর্থনযোগ্য মনে করেন?


ইবনে হিশামের ‘সীরাতুন নবী’ যদি অবাধে বিক্রি হতে পারে তাহলে আলী দাস্তিরের ‘নবী মুহাম্মদের ২৩ বছর’ কেন নিষিদ্ধ হবে? ইবনে হিশাম, ইসহাক, ইমাম বুখারীতে ইহুদী কন্যা সাফিয়া ও তার বোনকে টেনে হেঁছড়ে নবীর কাছে আনার দৃশ্য’র বর্ণনা আছে। সাফিয়ার কাজিন যখন চিৎকার করে কাঁদছিল তখন নবী হংকার দিয়ে বলেছিল, এই ডাইনিটাকে আমার সামনে থেকে দূর করে নিয়ে যাও! বনু কুরাইজার ৭০০ বালক আর পুরুষকে হত্যা করে গর্তে মাটি চাপা দেয়ার বর্ণনা ইবনে হিশামে আছে। ইহুদী নারীদের ক্রীতদাসী বানানো, তাদের গণহারে রেপ করার রগরগে বর্ণনা সীরাতের মত নবী জীবনীগুলো থেকেই জানা যায়। খুব সহজেই এসব বই ইসলামী ফাউন্ডেশনের স্টল থেকে যে কেউ কিনতে পারবে। এমনকি কোলকাতার বইমেলাতে বাংলাদেশ সরকার এইসব বই বিক্রি করার জন্য ইসলামী ফাউন্ডেশনকে সেখানে পাঠিয়েছে। কি করে অমুসলিমদের দাসে পরিণত করে তাদের নারীদের গণিমতের মাল করে মুসলমানরা ভোগ করবে তার জন্য বুখারী শরীফে আলাদা চ্যাপ্টার আছে। মূর্তি ভাঙ্গার জন্য আমি পৃথিবীতে এসেছি- এমন প্রতিক্রিয়াশীল উক্তি এসব বইতে থাকার পরও এগুলো ‘ধর্মীয় অনুভূতি বা গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্ব সৃষ্টিতে উসকানি’ দেবে না?

বৃহস্পতিবার, ১৭ আগস্ট, ২০১৭

“সংক্ষিপ্ত কুরআন”-০১ (ইবুকের ভূমিকা ও শুরুর চার কারণ)

লিখেছেন নরসুন্দর মানুষ
ভূমিকা

“শোনো এভাবে তুমি সত্যটা বুঝতে পারবে না!
সত্যিকারের ইসলামকে জানতে হলে কোরআন বুঝে পড়তে হবে!”

এমনটাই বলেন মডারেট মুমিন ও মুক্তচিন্তার মানুষেরা! কিন্তু কোরআন কি ধারাবাহিকভাবে পড়লেই বোঝা সম্ভব? এমনকি আট/দশ'টি তাফসীর (ব্যাখ্যা) গ্রন্থ বগলে নিয়ে ‘সূরা ফাতেহা’ থেকে ‘সূরা নাস’ পর্যন্ত পড়লেই কোরআন তার সকল রহস্য উন্মোচিত করে সহজবোধ্য হয়ে যাবে! এমনটা যারা ভাবেন, তারা নিজেরা কখনই বিষয়টি চেষ্টা করে দেখেননি! তাই এই লাইনটি শুনে কারও মেজাজের বিচি যদি সপ্তমে উঠে যায়, তবে কী করার থাকতে পারে!

২০০৮ সাল থেকে কোরআনের সহজবোধ্যতা নিয়ে মাথা ঘামানো শুরু করি, প্রথমেই চেষ্টা করতে শুরু করি কোরআনকে অবতীর্ণ হবার ধারাবাহিকতা অনুসারে সাজাতে; মোটামুটি ২০১৬-এর শুরুতে কাজটি শেষের দিকে আনতে পারি! ‘ধর্মকারী’-তে ১৮ জুন, ২০১৬ থেকে ‘কোরআন যেভাবে অবতীর্ণ’ শিরনামে সিরিজ আকারে প্রকাশ শুরু হয় তার। সিরিজের ২০ তম পর্বে এসে উপলব্ধি হয়, কোরআন অবতীর্ণ হবার ক্রমাণুসারে পড়াটাও বিরক্তিকর এবং একঘেয়ে; একান্ত কোরআন গবেষক ছাড়া এভাবে কোরআন পড়া ও বোঝা, মুখে শুকনো আটা চিবানোর মত ক্লান্তিদায়ক!

প্রবল ভাবনা চেপে ধরে মাথার ভেতর; কিভাবে পুরো কোরআন’কে একটি উপন্যাস পাঠের আনন্দে বোঝা ও পাঠ করে শেষ করা সম্ভব, তার হদিস খুঁজতে শুরু করি; সংগ্রহে থাকা প্রায় ২ টেরাবাইট ইসলামী ইবুক, গবেষণাপত্র, ভিডিও ডকুমেন্টারি এবং ব্যাক্তিগত বইপত্র ঘাঁটতে ঘাঁটতে এক চমৎকার আইডিয়া খেলে যায় মস্তিস্কে! মাত্র ৪৮ ঘন্টায় ৩৫০০ পৃষ্ঠা ‍প্রিন্ট করি প্রিন্টারে; লিখতে শুরু করি কোরআন নিয়ে এক সহজবোধ্য উপন্যাস “সহজ কুরআন”

“সহজ কুরআন” ২০০ পৃষ্ঠা লেখার পর পূণরায় উপলব্ধি হয় (উপলব্ধির পর উপলব্ধি! উপলব্ধির জাহাজ!) পুরো কোরআন উপন্যাস আকারে শেষ করতে প্রায় ৭০০ পৃষ্ঠার মত লিখতে হবে! যা লম্বা সময় না নিয়ে শেষ করা আমার জন্য কিছুটা কঠিন (পেশা জনিত কারণে প্রতিদিন ১২ ঘন্টা ব্যস্ত থাকে নাপিত!); তাই সেটিকে ২০১৮ সালের প্রকাশ তালিকায় পাঠিয়ে দিয়ে নতুন করে শুরু করলাম “সংক্ষিপ্ত কুরআন’’ এটিকে পুরো কোরআনের একটি মিনিপ্যাক সংস্করণ বলা চলে, আপনি ইবুকটি পাঠ শেষ করার পর কোরআনের আলোকে মুহাম্মদের মনোজগতের একটি রূপরেখা পেয়ে যাবেন; কোরআনের মূল বিন্যাস, বক্তব্য ও অবিন্যস্ততা অনেকটাই সহজবোধ্য হয়ে যাবে এবং আপনি যদি কোরআন নিয়ে বেশী সচেতন/জটিল/গবেষক পাঠক হয়ে থাকেন, তবে পুরো কোরআনের উপন্যাস “সহজ কুরআন” পাঠের আশায় অপেক্ষা করতে থাকবেন!

শুভেচ্ছা;
নরসুন্দর মানুষ

শনিবার, ১২ আগস্ট, ২০১৭

ইসলাম শিক্ষা -২

পাঠিয়েছেন নিরানব্বই

হুজুরঃকি শিখলি আজকে?বল দেখি......।
কুদ্দুসঃইন্না আ তুয়াইনা কাল কাওসার............।। (১মিনিটে )
হুজুরঃবলার সময় একটু সময় নিয়ে সূর করে বলতে হয়...।
কুদ্দসঃআচ্ছা্‌,কাল থেকে বলব।
            .....পর দিন
কুদ্দসঃহুজুর আপনার ছেলে পানিতে পরিয়া মরিয়া যাচ্ছে......(৫মিনিট সময় নিয়ে)
হুজুরঃঅরে মগা,বাংলা ও সূর করে বলতে বলছি,




শুক্রবার, ১১ আগস্ট, ২০১৭

ইসলামের সায়াতল…!

ক্রিয়েশন দাঁড়িপাল্লা ধমাধম

ইসলামের সায়াতলে আসা গরু-ছাগল জবাই করে খাওয়া কতখানি ইসলাম সম্মত?


বৃহস্পতিবার, ১০ আগস্ট, ২০১৭

বুধবার, ৯ আগস্ট, ২০১৭

পাঠকের পাঠশালা-০১ ('তাকিয়া' ইসলামের স্বার্থে মিথ্যা প্রতারণা করা জায়েজ)

লিখেছেন সুষুপ্ত পাঠক

“তাকিয়া” অর্থ্যাৎ দ্বিনের স্বার্থে মিথ্যা, প্রতারণা, চক্রান্ত করার যে অনুমতি। তবে এমন নয় যে, “তাকিয়া” নামে কোন সুনির্দিষ্ট বিধান কুরআনে নাযিল করা হয়েছে। তাই “তাকিয়া” বলতে হাদিস ও কুরআন থেকে কোন নির্দিষ্ট শব্দ খুঁজে পাবেন না। দ্বিনের স্বার্থে মিথ্যা বলা জায়েজ- এটিকেই ইসলামী স্কলারদের পরিভাষায় “তাকিয়া” নামকরণ হয়েছে। হাদিস থেকে জানা যাচ্ছে ইসলামের স্বার্থে প্রতারণা, শঠতা, মিথ্যা বলা জায়েজ-

Bukhari (84:64-65) – Speaking from a position of power at the time, Ali confirms that lying is permissible in order to deceive an “enemy.”
Bukhari (52:269) – “The Prophet said, ‘War is deceit.'”Muslim (32:6303) – “…he did not hear that exemption was granted in anything what the people speak as lie but in three cases: in battle, for bringing reconciliation amongst persons and the narration of the words of the husband to his wife, and the narration of the words of a wife to her husband (in a twisted form in order to bring reconciliation between them).”Bukhari (50:369) – Recounts the murder of a poet, Ka’b bin al-Ashraf, at Muhammad’s insistence. The men who volunteered for the assassination used dishonesty to gain Ka’b’s trust, pretending that they had turned against Muhammad. This drew the victim out of his fortress, whereupon he was brutally slaughtered despite putting up a ferocious struggle for his life.

তাকিয়া বিষয়ে আরো জানতে-


এবার আসা যাক তাকিয়া ঠিক কিভাবে গড়ে উঠে সেবিষয়ে। এ বিষয়ে কুরআন ও হাদিসে প্রচুর দলিল রয়েছে। এসব দলিল থেকে দেখা যায় স্বয়ং আল্লাহ প্রতারণার আশ্রয় নিচ্ছেন এবং তার অনুসরণকারীদের প্রতারণা ও শঠতার আশ্রয় নিতে উৎসাহিত করছেন। আল্লাহ স্বয়ং মানুষের চাইতে শ্রেষ্ঠ ঠগ প্রতারক বলে নিজেই নিজের গর্ব করছেন!

বলতারেন, এই লোকটি কোন ধর্মের?

বলতারেন, এই লোকটি কোন ধর্মের? 




মঙ্গলবার, ৮ আগস্ট, ২০১৭

মুহাম্মদের চিঠি -১১: আল-নাজ্জাসীর প্রতি! কুরানে বিগ্যান (পর্ব-১৭২): ত্রাস, হত্যা ও হামলার আদেশ – একশত ছেচল্লিশ

লিখেছেন গোলাপ

(আগের পর্বগুলোর সূচী এখানে) (ইন্টারন্যাল লিংকে যাতায়াতে কিছুটা সমস্যা হতে পারে: সমাধানের চেষ্টা চলছে; আপাতত প্রক্সি ব্যবহারে লিংকে গমন সহজ হবে)
 
"যে মুহাম্মদ (সাঃ) কে জানে সে ইসলাম জানে, যে তাঁকে জানে না সে ইসলাম জানে না।"

স্বঘোষিত আখেরি নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) তাঁর মদিনা অবস্থানকালীন সময়ে বাইজেনটাইন সম্রাট হিরাক্লিয়াসের কাছে যে চিঠি হুমকি-টি প্রেরণ করেছিলেন, আদি উৎসের বিশিষ্ট মুসলিম ঐতিহাসিক ও সমসাময়িক পৃথিবীর ঐ অঞ্চলের ইতিহাসের আলোকে তার বিস্তারিত আলোচনা ও পর্যালোচনা গত আট-টি (পর্ব: ১৬৪-১৭১) পর্বে করা হয়েছে। আদি উৎসের বর্ণনায় আমরা আরও জানতে পারি, মুহাম্মদ তাঁর মদিনা অবস্থানকালীন সময়ে আবিসিনিয়ার (বর্তমান ইথিওপিয়া) শাসনকর্তা আল-নাজ্জাসীর কাছেও চিঠি লিখেছিলেন।

আল-তাবারীর (৮৩৯-৯২৩ খ্রিস্টাব্দ) বর্ণনার পুনরারম্ভ: [1] [2]

পূর্বে প্রকাশিতের (পর্ব-১৬৮) পর:

 ‘ইবনে হুমায়েদ <সালামাহ < ইবনে ইশাক হইতে বর্ণিত, যিনি বলেছেন:



আল্লাহর নবী জাফর বিন আবু তালিব ও তার সঙ্গীদের ব্যাপারে আমর বিন উমাইয়া আল-দামরি-কে যে চিঠি সহকারে নিগাসের কাছে প্রেরণ করেন, তাতে তিনি তার কাছে যা লিখেছিলেন তা ছিল এই:



“পরম করুণাময় ও দয়ালু আল্লাহর নামে।



আল্লাহর নবী মুহাম্মদের নিকট থেকে ইথিওপিয়ার রাজা নিগাস আল-আসাম এর প্রতি।



তোমার জীবন হোক শান্তিপূর্ণ! আমি প্রশংসা করছি সেই আল্লাহর, যে মহাধিরাজ, পবিত্র, শান্তিময়, বিশ্বাস-বাহক ও সর্বদ্রষ্টা, ও আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে মরিয়ম পুত্র যীশু হলো আল্লাহর রুহ (Spirit) ও তার হুকুম, যা সে প্রকাশ করেছে ধর্মপরায়ণ ও নিষ্পাপ কুমারী মেরীর ওপর, এ কারণে যে সে যেন যীশুকে তার গর্ভে ধারণ করতে পারে; যাকে আল্লাহ সৃষ্টি করেছে তার রুহ থেকে ও দান করেছে প্রাণ, যেভাবে সে নিজ হাতে আদম-কে সৃষ্টি করেছে ও তাকে দান করেছে জীবন। 



আমি তোমাকে আহ্বান করছি একমাত্র আল্লাহর দিকে, যার কোন শরীক নাই, যেন তুমি স্থায়ীভাবে তার আনুগত্য স্বীকার করো; যেন তুমি অনুসরণ করো আমাকে ও বিশ্বাস করো আমার ওপর যা অবতীর্ণ হয়েছে; কারণ আমি হলাম আল্লাহর প্রেরিত রসুল। 



আমি আমার চাচাত ভাই জাফর ও তার সঙ্গে এক দল মুসলমানদের কে তোমার কাছে পাঠিয়েছি। যখন তারা তোমার কাছে এসেছে, তুমি তাদের কে তোমার আতিথেয়তা প্রদর্শন করেছ ও তুমি জুলুম করো নাই; কারণ আমি তোমাকে ও তোমার সেনাবাহিনী কে আল্লাহর দিকে আহ্বান করেছি। আমি আমার আন্তরিক পরামর্শ প্রদান করেছি। আমার উপদেশ গ্রহণ করো! যে কেহ সঠিক নির্দেশনা অনুসরণ করে, তার ওপর শান্তি বর্ষিত হউক!”’



জবাবে নিগাস আল্লাহর নবীকে লিখে জানান:


সোমবার, ৭ আগস্ট, ২০১৭

নিলয় নীল: নির্বাচিত নিবন্ধ (ধর্মকারীর কুফরী কিতাব)


দুই বছর আগে ইছলাম নামের রক্তলোলুপ, বর্বর ধর্মের জিহাদী হামলায় নিহত হয়েছিলেন নিলয় নীল। বীভৎস এই হত্যাকাণ্ডের কিছুদিন আগে দু'টি নোট লিখেছিলেন নিলয় নীল। তিনি, সম্ভবত, অনুমান করতে পেরেছিলেন আসন্ন বিপর্যয়ের কথা। নোটদুটো পড়লে বুক ভেঙে যায় দুর্বহ বেদনায়।

গত বছর ১৯ এপ্রিল নিলয় নীল লিখেছিলেন: 
ইঁদুরে খুব জ্বালাচ্ছে, ইঁদুর মারার ওষুধ দিয়ে একাধিকবার চেষ্টা করলেও একটা ইঁদুরও মারতে পারিনি। অবশেষে নিয়ে আসলাম ইঁদুর মারার আঠার ফাঁদ। রিজিকের মালিক যেহেতু আল্লাহ্‌, তাই আল্লাহর উছিলা হিসেবে এই ফাঁদের ওপর খাবার দিলে ইঁদুর তা খেতে এসে আটকে যাবে। কিন্তু সমস্যা হলো: ইঁদুর আটকে অসহায়ের মতো বসে থাকবে, আর আমার তাকে হত্যা করতে হবে। হত্যা করার অস্ত্র হিসেবে আমি ব্যবহার করবো প্লায়ার্স, প্লায়ার্স দিয়ে অসহায় ইঁদুরের ঘাড় ধরে চাপ দিয়ে ঘাড় ভেঙে তাকে মেরে ফেলতে হবে। অনেক সময় ধরে ভাবছি, এটা আমি কীভাবে করবো? এটা কি আসলেই আমি করতে পারবো? মনে মনে প্রস্তুতি নিচ্ছি, জ্যান্ত ইঁদুরটাকে আমাকেই হত্যা করতে হবে, কিন্তু পারবো কি না, আল্লাহ্‌ই জানে। আল্লাহ্‌, আমাকে ইঁদুর মারার তৌফিক দান করো।
আমি বাজার থেকে মুরগী আনলে সবসময় কেটে আনি, আর কাটার সময় মুরগী কাটা দেখি না। তবে কিছুদিন আগে দেশী জ্যান্ত মুরগী এনে ভাবছিলাম, এটার কল্লাটা আমি কীভাবে কাটবো? অবশেষে আমার দ্বারা এই কাজ করাও সম্ভব হয়নি। আমি একটা জ্যান্ত মুরগীকে কিছুতেই কাটতে পারলাম না। 
আমি একটা জ্যান্ত মুরগী বা ইঁদুর মারতে পারি না, কিন্তু ওরা কিভাবে একটা জ্যান্ত মানুষকে কুপিয়ে মেরে ফেলে, বুঝি না!

নাস্তিক গোপাল-৫

পাঠিয়েছেন ইমানুল হক

রবিবার, ৬ আগস্ট, ২০১৭

সৌদি আরব কি ইসলামী সন্ত্রাসীদের পক্ষে না বিপক্ষে? - ৬ (সৌদি নারীদের সত্যি কাহিনি)

মূল: খালেদ ওলীদ
অনুবাদ: আবুল কাশেম


[ভূমিকা: ডিসেম্বর মাসে খালেদ ওলিদের ইসলাম পরিত্যাগের জবানবন্দির অনুবাদ করেছিলাম। তখন লিখেছিলাম, খালেদ আমাকে অনেক ই-মেইলে সৌদি আরাবের ইসলাম সম্পর্কে লিখেছিল। এখানে আমি তার আর একটি লেখা অনুবাদ করে দিলাম। উল্লেখযোগ্য যে খালেদের এই লেখাটি একটা বইতে প্রকাশ হয়েছে। বইটার টাইটেল হলো: Why We Left Islam. সম্মানিত পাঠকবৃন্দ, এই বাংলা লেখা এবং বাংলা টাইপ আমার দ্বিতীয়। ভুলভ্রান্তি থাকলে জানিয়ে দেবেন।
আবুল কাশেম]
ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১০

অনেকেই বলে থাকেন, ইসলাম নারীদের শ্রদ্ধা করে এবং তাদের মূল্য দিয়ে থাকে। কিন্তু আমার নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে আমি বলতে পারি, এই ধারণা সর্বৈব মিথ্যা। সৌদি আরবের আদি অধিবাসী হিসেবে আমি স্বচক্ষে দেখেছি, কী ঘৃণ্য ও নীচুভাবে ইসলামী সমাজে নারীদেরকে স্থান দেওয়া হয়েছে। আমি যা চাক্ষুষ দেখেছি - ইসলামে নারীদের কী দুর্দশাদায়ক ও হীনকর অবস্থা - তা সংক্ষিপ্তভাবে বর্ণনা করব এই রচনায়। আমি হলফ্‌ করে বলতে পারি: এই রচনার প্রতিটি শব্দ সম্পূর্ণ সত্য এবং সত্য ছাড়া এক বিন্দু মিথ্যা নেই। এই রচনায় কিছুমাত্র মনগড়া বা অতিরঞ্জিত বিষয় নেই। এই লেখা আমি নিজের মন থেকে লিখেছি, কেউই আমাকে বাধ্য কিংবা প্রভাবিত করেনি এই লেখার জন্য। এর কারণ - আমার জন্ম সৌদি আরবে, এবং এই সৌদি আরবেই আমি পাকাপোক্তভাবে থাকি।

আমার আছে তিন ভগিনী। পড়াশোনার জন্য তারা ভীষণ অনুপ্রাণিত। নিজের চেষ্টায় ওরা আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছিল। কিন্তু আমাদের দেশের নারীদের শিক্ষার ওপর বিভিন্ন অযৌক্তিক, সেকেলে ও অন্যায্য নিয়ম চাপিয়ে দেয়ার জন্য ওরা ওদের পছন্দসই বিষয় নিয়ে পড়াশোনা শেষ করতে পারল না। আমার শত ইচ্ছা সত্ত্বেও ওদের শিক্ষাকে এগিয়ে নেবার জন্য আমার করার কিছুমাত্র ছিল না। আমার হাত আছে বাঁধা। কারণ আমাদের সমাজে যে-নারী আধুনিক শিক্ষায় উচ্চশিক্ষিতা হয়, সে সমাজের বিরাগভাজন হয়।
আমার এক ভগিনী মাধ্যমিক বিদ্যালয় শেষ করে পড়াশোনা ছেড়ে দিল। তার কারণ, সে চাইছিল সে সৌন্দর্যচর্চায় প্রশিক্ষন নেবে; কিন্তু আমাদের মতো খাঁটি ইসলামি সমাজে তার অভিলাষ পূর্ণ করা সহজ নয়। তার জন্যে বিউটি থেরাপিস্ট হওয়া একেবারেই অলীক কল্পনা মাত্র। আমার অপর দুই ভগিনী বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা হতে চাইল। তাই ওরা উচ্চমাধ্যমিক মাত্রায় শিক্ষা সমাপন করল।

শনিবার, ৫ আগস্ট, ২০১৭

শুক্রবার, ৪ আগস্ট, ২০১৭

চন্দ্র দ্বিখণ্ডিত হওয়ার রহস্য উন্মোচন!

লিখেছেন নরসুন্দর মানুষ

মাথা ঠাণ্ডা করে বসুন: আজ প্রমাণ করার চেষ্টা করবো, মুহাম্মদ কীভাবে ও কবে চন্দ্র দ্বিখণ্ডিত করেছিলেন! এটি একটি নিরস পোষ্ট, তাই মাথা ঠাণ্ডা থাকা জরুরী!

সূরা আল কামার (৫৪) (চন্দ্র); ১ থেকে ২ আয়াত;
১. সময় নিকটবর্তী এবং চন্দ্র অর্ধেক হয়েছে,
২. আর তারা কোনো নিদর্শন দেখলে মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং বলেঃ এটাতো প্রচলিত যাদু।
একটু খটকা লাগলো কি? কিয়ামত আর চন্দ্র দ্বিখণ্ডিত হওয়ার কথা আমার করা অনুবাদে পাওয়া যাচ্ছে না; তাই তো! সংযুক্ত থাকা ছবির অনুবাদের মতই হবে আপনার এতদিন ধরে পড়ে আসা অনুবাদ, তবে আজ এটা জেনে নিন, তা একটি ভুল অনুবাদ!
এবার নিচের সংযুক্ত ছবিতে ১নং আয়াতের বাংলায় লেখা আরবি উচ্চারণ দেখুন; কিয়ামত শব্দটি খুঁজে পেলেন কি? যদি আরবিতে না থাকে, তবে অনুবাদে কিয়ামত আসে কোন কিয়ামত থেকে?
 
উল্লিখিত আয়াতে আরবি ‘কিয়ামত’ শব্দটির অস্তিত্ব নেই, আরবি ‘ছাআত’ শব্দের অনুবাদে আরবি কিয়ামতের ব্যবহার কি ঠিক? সেই সাথে আয়াতটির মূল শব্দ ‘শাক্কা’র বর্তমান/ভবিষ্যৎ আকার ‘নুশাক্কা’র অনুবাদ করা হয়েছে ‘দ্বিখণ্ডিত হয়েছে’মূলত: ‘শাক্কা’ শব্দটির অর্থ: দু’ভাগ/ দ্বিখণ্ডিত, বিদীর্ণই নয়, বরং ফিরানো, ফিরিয়ে রাখা, অতিক্রম করা, পার হওয়া, যাওয়া-ভ্রমণ বা আবিষ্কার, ভেদ করা, অর্ধেক, আংশিক, প্রভাতের আলো, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হওয়া, বিজলী চমকানোসহ প্রায় ৫০টি। (সুত্র: আরবি-ইংলিশ ডিকশনারি, জে এম. কাউয়ান; আধুনিক আরবি-বাংলা অভিধান; মদিনা পাব্লিকেশন)।
কোনো কোনো তাফসিরে ভবিষ্যৎ অর্থে কেয়ামতের পূর্ব লক্ষণ হিসাবে ‘চাঁদ দ্বিখণ্ডিত হবে’ বলেও অর্থ করা হয়েছে। [সুত্র: বোখারী, ৫ম খণ্ড. ৫ম সংস্করণ, আজিজুল হক, ফুটনোট, পৃষ্ঠা: ৩৩৯]
বোঝা যায়, বিষয়টি নিয়ে মুসলমানদের মধ্যেই অমীমাংসিত মতভেদ রয়েছে। পূর্বেই বলা হয়েছে, অনুবাদে ব্যবহৃত আরবি শব্দ ‘কিয়ামত’ নেই, আছে ‘ছাআত’, যার অর্থ: সময়, ঘন্টা, ঘড়ি, যুগ। [সুত্র: কোরানের অভিধান; আল কোরান একাডেমী, লন্ডন; আধুনিক আরবি-বাংলা অভিধান; মদিনা পাবলিকেশন]
আমার করা অনুবাদে কিয়ামত-এর বদলে সময় এবং দ্বিখণ্ডিত-এর বদলে অর্ধেক কেন নিয়েছি, তা এই পর্বে পরিষ্কার হয়ে যাবে নিশ্চয়!


ইয়ে বাঁকা হপে না..!

কারিগর: দাঁড়িপাল্লা ধমাধম

পবিত্র জুম্মাবারের স্পেশাল পোস্ট। জুম্মার নামাজ পড়ে মহান শশাতালা থুক্কু আল্লাহতালাকে শেয়ার দিলে ইয়ে বাঁকা হপে না।


বুধবার, ২ আগস্ট, ২০১৭

ইমানুলের ধর্মকথা- ১৩

লিখেছেন ইমানুল হক

১৫.
নাউজবেল্লা, নাউজবেল্লা। এ আমারে কি হুনাইলো রে। আল্লা আমি এ কুন দুনিয়ায় আইছি গো! আমারে একনো উডাই নেউ নাই ক্যা আল্লা? ৬ মাস আগে চা-আলা মইত্যা আমারে কয়, মেম্বরের ফুলার বিবির নিকি ফুলা ফ্যাডে। এহন ৪ মাস চইলতেছে।" ঢাকার ডাক্তরেরা নিকি কইছে, আলতাসুনু না কি জানি কয়, ওইডা দি পরিক্কা করি ডাক্তার আগ তেকেই নিকি কই দিতে ফাড়ে ফ্যাডের বাচ্চা চেলে না মেয়ে! কিন্তু ইডা ত কুনু বাবেই সম্বব না। কারন মআন আল্লাফাক নিজে ফবিত্র  কুরানে ইসসাদ কইচ্চেন, "নিচ্চই আল্লার নিকটই রয়েচে কিয়ামতের গেয়ান আর উনিই বৃষ্টি বর্ষণ করেন আর উনিই জানেন গর্ভাশয়সমূহে যা রয়েচে। কুনো লুক জানে না আগামীকাল সে কী কামাই কইরবে। আর কুনো লুক জানে না কোন্ স্তানে সে মৃত্যুবরণ কইরবে। নিশ্চয় আল্লা সর্বজ্ঞ ও সর্ববিষয়ে জ্ঞাত।” (সূরাহ লুক্বমান, আয়াত নং ৩৪)। আর এই ৫ ডা বিষয় ( কিয়ামতের গেয়ান, বিষ্টির গেয়ান, গর্ভাশয়ের গেয়ান, আয়রুজির গেয়ান আর মিত্যুর গেয়ান) অইলো গিয়া গাইবি ইলম বা অদিশ্য বিষয়ের গেয়ান যা একমাত্তর আল্লা চাড়া আর কেউ জাইন্ত ফাইরবে না। এ বিষয় ডা সূরাহ রা‘দের ৮ নম্বর আয়াতে আরো পস্টো করে বলা অয়েচে। সেকানে মআন আল্লা ইরশাদ করেচেন : “আল্লাহ জানেন : ফ্রইত্যেক নারী যা গর্ভধারণ করে আর যা গর্ভাশয়সমূহ সংকুচিত করে ও বধ্যিত করে। আর ফ্রইত্যেক জিনিস তাঁর নিকটে এক নির্দিষ্ট পরিমাপে রয়েচে।” (সূরাহ রা‘দ, আয়াত নং ৮)। আয়াতডার  ব্যাক্কা বন্যনা করে প্রসিদ্দ তাবিয়ী ইমামুত তাফচীর হযরত কাতাদাহ্ (রহ.) কন : “আল্লা চারা কেউ জানে না গর্ভাশয়ে কী আচে; তা ফুলা না মাইয়া অতবা পরসা না কালা!” (দ্রষ্টব্য: তাফসীরে ইবনে কাছীর, ৬ষ্ঠ খন্ড, ৩৫৬ পৃষ্ঠা)।

মঙ্গলবার, ১ আগস্ট, ২০১৭

অসীম দয়ার ধরণ এবং আমার অবিশ্বাস

লিখেছেন নরমপন্থী 


একজন মোসলমান যখন আল্লাহ কে রাহমানুর রাহিম বলে তখন তা আসলে এই অর্থে বলেনা যে আল্লাহ আসলেই অসীম দয়ালু, সে অবচেতন ভাবে ঠিকই অনুভব করে যে আল্লাহ খুবি নিষ্ঠুর শাস্তিদাতা যিনি সৃষ্টিককর্তা হিসেবে সবাইকে সৃষ্টি কইরা মাইনকার চিপায় ফেইল্লা ফাসায়া দিছেন। তারপর ও একরকম ভাবে বিশ্বাস করে যে তাকে যদি রহমানুর রাহিম হিসাবে বিশ্বাস পাকাপোক্ত করা যায় এবং হয়ত তাকে যদি আমৃত্যু রাহমানুর রাহিম ডাকতে থাকা যায় হয়ত তিনি তার প্রতি পরকালে দয়ালু হবেন।

আল্লাহ এই রকম হইবার কারন সম্ভবত ইসলাম ধর্ম যখন প্রচলন করা হচ্ছিল তখন মানুষ দেখতো চার পাশে মানুষ কি অসহায়।চার দিকে খুন খারাপি যুদ্ধ বিগ্রহ, রোগ শোক, মহামারী এবং ক্ষুদা অনাহারের আক্রমনেব নিরপরাধ মানুষগুলোও অকারনেই মারা যাচ্ছে। মানষ কিছুই করতে পারছেনা। আর তাই মানুষ এই রকম ঈশ্বর কল্পনা করে নিল যাতে পরকালের আরো বড় আজাবের বা বড় পুরষ্কারের কল্পনা করে যাতে দুনিয়ার যন্ত্রনা সেই বেহেস্তের আশায় এবং সেই নড়কের ভয়ে পার করে দেয়া যায়।