আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

মঙ্গলবার, ১৬ মে, ২০১৭

সৌদি আরব কি ইসলামী সন্ত্রাসীদের পক্ষে না বিপক্ষে? - ৪

মূল: খালেদ ওলীদ
অনুবাদ: আবুল কাশেম

[ভূমিকা: ডিসেম্বর ও ফেব্রুয়ারি মাসে খালেদ ওলিদের ইসলাম পরিত্যাগের জবানবন্দির ও সৌদি নারীদের অবস্থা অনুবাদ করেছিলাম। তখন লিখেছিলাম, খালেদ আমাকে অনেক ই-মেইলে সৌদি আরাবের ইসলাম সম্পর্কে লিখেছিল। এখানে আমি তার আর একটি লেখা অনুবাদ করে দিলাম। উল্লেখযোগ্য যে, খালেদের এই লেখাটি একটা বইতে প্রকাশ হয়েছে। বইটার টাইটেল হলো: Why We Left Islam. - আবুল কাশেম, এপ্রিল ৪, ২০১০]


সৌদি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে কী হচ্ছে?

এ পর্যন্ত আমি যা লিখেছি, তা হলো সৌদি বিদ্যালয়সমূহে কী হচ্ছে, তার এক সংক্ষিপ্ত বর্ণনা। নিরাশার কথা হলো, সৌদি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও ঐ ভয়ংকর ইসলামী প্রভাব থেকে মুক্ত নয়। সৌদি আরবের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের জন্যে ধর্মীয় শিক্ষা একেবারে বাধ্যকতামূলক। এই সব বিষয় না সম্পন্ন করলে কোনো ছাত্রই বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি পাবে না। সঙ্গত কারণেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষা বিদ্যালয়ের মত ততটা ব্যাপক নয়। যাই হোক, বিদ্যালয়ের ছাত্রদের মতই তাদেরকে ধর্মীয় বিভাগের অপরিসীম উৎপীড়ন সহ্য করতে হয়। প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকে ন্যূনতম চারটি ইসলামী সংস্কৃতি বিষয় পড়তে হবে। এ ছাড়াও যারা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, তাদেরকে পারদর্শীতা দেখাতে হবে ন্যূনতম এক জুজের কোরআন। এখানে বলা নিতান্তই নিষ্প্রয়োজন যে, বিদ্যালয় জীবনে যে নির্বোধ ও জড়বুদ্ধিপ্রসূত ইসলামী অত্যাচার শুরু হয়েছিল, তা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত গড়িয়ে পড়েছে, শুধু একমাত্র উদ্দেশ্যেই - আর তা হলো, অমানবিক ইসলামকে বাঁচিয়ে রাখার জন্যে।

আমরা দার্মিকরা ত এমনই

আমরা দার্মিকরা ত এমনই

সোমবার, ১৫ মে, ২০১৭

হাদীসের প্রথম পাঠ - ০৮

লিখেছেন নরসুন্দর মানুষ
যৌনতার খেরোখাতা

মুহাম্মদ ছিলেন যৌনকাতর মানুষ! অদ্ভুত আচরণে মুহাম্মদ তার যৌনতাকে ভোগ করতেন। আগের অধ্যায়ে আমরা তার কিছু পরিচয় পেয়েছি, বাকীটুকু এ অধ্যায়ে বুঝতে পারবো অবশ্যই।
বুখারী-১-৪-১৪৩: মুহাম্মদ বলেছেন: তোমাদের কেউ তাঁর স্ত্রীর সাথে মিলনের পূর্বে যদি বল, (আল্লাহর নামে আরম্ভ করছি, আল্লাহ! তুমি আমাদেরকে শয়তান থেকে দূরে রাখো এবং যা আমাদেরকে দান করবে তাকেও শয়তান থেকে দূরে রাখো)- তারপর (এ মিলনের দ্বারা) তাদের কিসমতে কোন সন্তান থাকলে শয়তান তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না।
মুসলিম-০২-৫৬৬: একবার এক ব্যক্তি আয়েশা-এর মেহমান হল। অতঃপর সকালে সে তার কাপড় ধুতে লাগল। তখন আয়েশা বললেন, তুমি যদি (কাপড়ে) তা (বীর্য) দেখতে পাও তবে তোমার জন্য শুধু সে জায়গাটা ধুয়ে ফেলাই যথেষ্ট হবে। আর যদি তা না দেখ তবে তার আশে পাশে পানি ছিটিয়ে দিবে। আমিতো রাসুলুল্লাহ-এর কাপড় থেকে তা নখ দিয়ে ভাল করে আচড়ে ফেলতাম। অতঃপর তিনি তা পরে সালাত আদায় করতেন।

ইছলামে নারীকে বিশেষ মর্যাদা


কুদরতিক্রিয়া - ২০

 লিখেছেন গরিব অল্ফ সিক্কিত মাদেসার হুজুর কুদরত আলি
৪৮.
শবেবরাতের রাইতে নামাজ ফইত্তে ফইত্তে ফায়ের গিরাগুরা ফুলাই ফেইলসি। কফালের সামরা উডি গেসে মনে কয়। কিনতু সেইডা বিসয় না। বিসয় হইল গি - নামাজ সেসে মজ্জিদ তে বাহির হই দেকি, আমার জুতা নাই। আল্লা, আমার কফালে এমুন বাজেটের রাইত রাকসিলা! সকালে উডেই আবার ফকেট তে টেকা করস করি নয়া জুতা কিনতি হইল! আমিন।
৪৯.
নাস্তেক রা ফ্রশ্ন করি করি আমারে বিবরান্ত করি ফেলে। কয়:

নিত্য নবীরে স্মরি – ২৮৫


রবিবার, ১৪ মে, ২০১৭

চিঠি-হুমকি - ৮: হিরাক্লিয়াসের আকুতি ও বানু কুরাইজার আর্তনাদ!: কুরানে বিগ্যান (পর্ব-১৬৯): ত্রাস, হত্যা ও হামলার আদেশ – একশত তেতাল্লিশ

 লিখেছেন গোলাপ

(আগের পর্বগুলোর সূচী এখানে)
"যে মুহাম্মদ (সাঃ) কে জানে সে ইসলাম জানে, যে তাঁকে জানে না সে ইসলাম জানে না।"
স্বঘোষিত আখেরি নবী হযরত মুহাম্মদের (সাঃ) চিঠি হুমকিটি পাওয়ার পর রোমান সম্রাট হিরাক্লিয়াস মুহাম্মদকে নবী হিসাবে মেনে নিয়ে তাঁর বশ্যতা স্বীকার করে নেয়ার জন্য তার সকল সামরিক জেনারেল, উচ্চ-পদস্থ ব্যক্তিবর্গ ও জনগণদের যে আহ্বান জানিয়েছিলেন, তা কীভাবে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছিল;  পারস্য সম্রাট খসরু পারভেজের সঙ্গে সুদীর্ঘ ১৮ বছর ব্যাপী (৬১০-৬২৮ খ্রিস্টাব্দ) রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে বিজয় অর্জন শেষে সিরিয়া ভূখণ্ড থেকে তাঁর সাম্রাজ্যের রাজধানী কনস্টান্টিনোপল অভিমুখে রওনা হওয়ার প্রাক্কালে কী কারণে তিনি তার প্রজাদের সমবেত করেছিলেন; সেখানে তিনি তাদের কোন তিনটি প্রস্তাব পেশ করেছিলেন; উপস্থিত জনতা তার সবগুলো প্রস্তাবই কী কারণে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন - ইত্যাদি বিষয়ের বিস্তারিত আলোচনা আগের পর্বে করা হয়েছে। 
প্রশ্ন ছিলো,
"সম্রাট হিরাক্লিয়াস যদি মুহাম্মদের নেতৃত্বে নব্য এই আগ্রাসী ও নৃশংস আরব শক্তির শক্তিমত্তা সম্বন্ধে কোনч পূর্বধারণা না রাখতেন, তবে কেন তিনি মুহাম্মদের ভয়ে ছিলেন এতো ভীত-সন্ত্রস্ত?" 
এই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের জবাব আমরা খুঁজে পাই বানু কুরাইজা গণহত্যার সময় থেকে শুরু করে মুহাম্মদের এইসব চিঠি-হুমকির সময়কাল পর্যন্ত মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীদের সংঘটিত অমানুষিক নৃশংস আগ্রাসনের ইতিবৃত্ত  সমসাময়িক পৃথিবীর ঐ অঞ্চলের প্রাসঙ্গিক ইতিহাসের পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যালোচনায়।  The Devil is in the Detail!
>> আদি উৎসের বিশিষ্ট মুসলিম ঐতিহাসিকদের বর্ণনায় যা আমরা নিশ্চিতরূপে জানি, তা হলো, মুহাম্মদের নৃশংসতা ও আগ্রাসনের প্রথম চরম বহিঃপ্রকাশ ঘটেছিল বদর যুদ্ধের সময়টিতে (পর্ব-৩০-৪৩)! এই যুদ্ধে মুহাম্মদের নেতৃত্বে তাঁর অনুসারীরা ৭০জন কুরাইশকে নৃশংসভাবে করে খুন (পর্ব-৩২), অতঃপর সেই লাশগুলোকে চরম অবমাননায় তারা বদরের এক নোংরা গর্তে একে একে করে নিক্ষেপ (পর্ব-৩৩); ৭০ জন কুরাইশকে করে বন্দী, যাদের দু'জনকে মুহাম্মদের আদেশে বন্দী অবস্থাতেই পথিমধ্যেই করে খুন (পর্ব-৩৫); ৬৮ জনকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় মদিনায়, অতঃপর তাঁদের আত্মীয়-স্বজনদের কাছ থেকে মুক্তিপণের বিনিময়ে তাঁদের দেয়া হয় মুক্তি (পর্ব-৩৭)। 
যাদেরকে খুন ও বন্দী করা হয়েছিল, তাঁদের প্রত্যেকেই ছিলেন মুহাম্মদ ও তাঁর কোনো না কোনো অনুসারীর একান্ত নিকট-আত্মীয়, পরিবার-পরিজন, পাড়া-প্রতিবেশী বা বন্ধু-বান্ধব!
খন্দক যুদ্ধের পর মুহাম্মদের নৃশংসতা ও আগ্রাসন চূড়ান্ত রূপ ধারণ করে:
>> খন্দক যুদ্ধের পর, বানু কুরাইজা গণহত্যার (পর্ব: ৮৭-৯৫) সময় থেকে খায়বারের জনগণের ওপর মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীদের অমানুষিক নৃশংসতা (পর্ব: ১৩০-১৫২) ফাদাক আগ্রাসন (পর্ব ১৫৩-১৫৮) শেষে মদিনায় ফিরে আসা পর্যন্ত (মার্চ, ৬২৭ - জুলাই, ৬২৮ খ্রিষ্টাব্দ) সময়ের ঘটনা ও সমসাময়িক পৃথিবীর ঐ অঞ্চলের দুই পরাক্রমশালী সম্রাট খসরু পারভেজ ও হিরাক্লিয়াসের আঠার বছর ব্যাপী রক্তক্ষয়ী হানাহানির ৬২৭ খ্রিষ্টাব্দ - ৬২৮ খ্রিষ্টাব্দের শেষ দৃশ্যপটের কালানুক্রমিক পর্যালোচনায় (পর্ব-১৬৪)  আমরা নিম্নবর্ণিত তথ্যগুলো খুঁজে পাই:
মার্চ-এপ্রিল, ৬২৭ সাল (জিলকদ, হিজরি ৫ সাল):
বনি কুরাইজা গণহত্যা (পর্ব: ৮৭-৯৫)! মুহাম্মদ ইবনে আবদুল্লাহর প্রত্যক্ষ নেতৃত্বে ৬২৭ সালের মার্চ-এপ্রিল মাসে বনি কুরাইজা গোত্রের সমস্ত প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের এক এক করে গলা কেটে করা হয় খুন।  তাঁদের মা-বোন-স্ত্রী-কন্যাদের ভাগাভাগি করে করা হয় যৌনদাসীতে রূপান্তর ও ধর্ষণ। তাঁদের অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশুদের করা হয় দাসে পরিবর্তন ও ভাগাভাগি। তাঁদের সমস্ত সম্পত্তি করা হয় লুণ্ঠন এবং পরবর্তীতে এই দাসীদের অনেককে নাজাদ অঞ্চলে নিয়ে গিয়ে করা হয় বিক্রি ও সেই উপার্জিত অর্থে ক্রয় করা হয় যুদ্ধের জন্য অস্ত্র-শস্ত্র ও ঘোড়া (পর্ব: ৯৩)’। 

পোপমারানি


নিমো হুজুরের খুতবা - ৪৬

 লিখেছেন নীল নিমো

১. 
বিসমিল্লাহির রাহমানের রাহিম।
আজকে মাগরিবের নামাজের পর মসজিদের দানবাক্স খুলে, দানের টাকা হিসাব করা হচ্ছিল। টাকা হিসাবের পর আমি দানের সব টাকা, নিজের পাঞ্জাবির পকেটে ঢুকিয়ে নিলাম। মসজিদের দুইজন ময়াজ্জিন সাহেবকে কোনো ভাগ দিলাম না। মুয়াজ্জিন সাহেবরা তব্দা খেয়ে আমার দিকে হাঁ করে তাকিয়ে রইল। পাশে থাকা একজন মুরিদ বলিল:
- নীল নিমো হুজুর, আপনি একলাই সব টাকা নিয়ে নিলেন, মুয়াজ্জিনদেরকে কিছুই দিলেন না?
আমি উত্তর দিলাম:
- টাকা-পয়সা খারাপ জিনিস। টাকা পয়সার লোভ করে অনেকে ধ্বংস হয়ে গেছে। এই ব্যাপারে রাসুল্লাহর সুন্দর একটি ঘটনা আছে। আমি মুয়াজ্জিন ভাইদেরকে রক্ষা করার জন্য হাদিসটি ফলো করে পুরা টাকা একাই নিয়ে নিলাম। ঘটনাটা নিম্নরূপ:
এক গরীব লোক আঙ্গুর নিয়ে হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর কাছে উপহার দিলো। পাশেই বিভিন্ন সাহাবীরা উপস্থিত ছিলেন। রাসুল (সঃ) আঙ্গুরের থোকা থেকে একটা আঙ্গুর ছিড়ে মুখে দিলেন, তারপর এক এক করে সবগুলো আঙ্গুর খেয়ে ফেললেন কিন্তু পাশে বসে থাকা সাহাবীদের কাউকেই আঙ্গুর খেতে সাধলেন না। চোখের সামনে প্রিয় নবীর এভাবে আঙ্গুর খাওয়া দেখে গরীব লোকটি অনেক খুশী হলো, তারপর রাসুলের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে গেলো। লোকটি চলে যাবার পর এক সাহাবী রাসুল (সঃ) কে জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ (সঃ) আপনি কিভাবে একাই সব আঙ্গুর খেয়ে ফেললেন, আমাদের কাউকে একটু ভাগ দিলেন না! সাহাবীর প্রশ্ন শুনে রাসুল (সঃ) মুচকি হেসে উত্তর দিলেন,
"আমি একাই সব আঙ্গুর খেয়ে ফেলেছি কারন আঙ্গুরগুলো টক ছিলো। যদি আমি তোমাদের কে আঙ্গুর খেতে সাধতাম, তোমাদের মুখভঙ্গি দেখেই হয়তো লোকটি বুঝে ফেলতো এবং কষ্ট পেতো। তাই আমি চিন্তা করে দেখলাম, যদি আঙ্গুরগুলো আমি একাই আনন্দের সাথে খেয়ে ফেলি লোকটি খুশি হবে এবং এটাই সবদিক দিয়ে ভাল।'"
আমার কথা শুনে দুই মুয়াজ্জিন বলে উঠিল:
- আল্লাহু আকবর... আমাদের কথা চিন্তা করে নীল নিমো হুজুর এতবড একটা রিস্ক নিচ্ছেন... নীল নিমোর মত মহান মানুষ এই দুনিয়াতে দ্বিতীয়টি নাই।
২.
আমার কিছু নোয়াখাইল্লা মুরিদ আছে। খালি উল্টাপাল্টা প্রশ্ন করে। যেমন, আজকে এক মুরিদ প্রশ্ন করে বসল:
- হুজুর খ্রিষ্টান ধর্মের নবী জিসাস কেন বিবাহ করেননি?

হিজাবী হুরি যতো - ১৫



শুক্রবার, ১২ মে, ২০১৭

লাইলাতুন নিসফে মিন শাবান বা শব-ই-বরাত

 লিখেছেন দ্বীনমজুর
আজকের দিনে সূর্যাস্তের পর আল্লাহতালা প্রথম আসমানে আসবেন এবং বলবেন, "কোনো ক্ষমাপ্রার্থী আছ কি?
আমি তাকে ক্ষমা করবো। আছে কি কোনো রিজিক প্রার্থী? আমি তাকে রিজিক দেব। এভাবে সুবহ সাদিক পর্যন্ত আল্লাতাল্লা মানুষের প্রয়োজনের কথা বলে তাদের ডাকতে থাকেন।" (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীদ, ১৩৮৪)
অন্য এক জায়গায় উল্লেখ আছে, আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নূরের তাজাল্লি পৃথিবীর কাছাকাছি আসমানে প্রকাশ পায় বা পাবে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে:
১. আল্লা কোন প্রজাতির প্রাণী?
তিনি কোন ভাষাতে কথা বলেন?
আরবি তার ভাষা হলে তো সমস্যা।
এই ভাষা বাংলাদেশের তেমন কেউ জানে না!
২. আমাদের ভূমি থেকে কতটা দূরত্বে আছে প্রথম আসমান?
(এটা নিয়ে কোনো মুমিন ভাই গবেষণা করতে পারে। কারণ এ তো কুরানীয় বিজ্ঞান!)
৩. আল্লা কথা বলতে পারেন, তার কথা কি বাংলাদেশের কেউ কখনো শুনেছেন?
(অলি, মাওলানা, মুফতিসহ বিশ্বাসী বান্দারা?)
৪. বাংলাদেশের কোথাও নূরের তাজাল্লি কেউ কখনো দেখেছেন কি?
৫. আরববিশ্বে আল্লা রিজিক দেন কীভাবে?
তাদের তো কোনোকিছুর অভাব নাই।
(নারী, বাড়ি, গাড়ি, খাদ্য, দাসী,সুরা।)

৬. এবং সারাবিশ্বের না-খেয়ে-থাকা শত-কোটি মানুষের আন্তরিক দোয়া-মোনাজাত সত্ত্বেও আল্লা তাদের রিজিকের ব্যবস্থা করে না কেন?

ভাগ্যের লাশ

 ধর্মকারীর প্রধান কর্তব্য ধর্মধোলাই হলেও তার অন্য একটি বিনোদনী রূপও আছে। "দুষ্টু শব্দ" নামের একটি প্রকল্পে দুষ্টু দুষ্টু শব্দ, শব্দবন্ধ, শব্দানুবাদ উদ্ভাবন করা হয়। আজকের নমুনাটি ধর্মবিষয়ক হলেও সার্বিকভাবে ধর্মসংশ্লেষ তাতে বড়ো একটা নেই।
লিংক:


বুধবার, ১০ মে, ২০১৭

বুদ্ধাং সারানাং গাঞ্জামি

আজ বুদ্ধ পূর্ণিমা। এই তিথিতে বুদ্ধ সিদ্ধিলাভ করেছিলেন।
সিদ্ধির একটি অর্থ কিন্তু গাঁজা। খিয়াল কৈরা!

বুদ্ধের বর্ণিত শ্রুতিসুখকর ও আপাত আনন্দানুভূতিদায়ী কিন্তু ভুয়া, ভিত্তিহীন ও ভকিচকি মার্কা বাস্তবতাসংশ্লেষহীন কিছু বাণীর অন্ধ মোহে আচ্ছন্ন হয়ে আছেন অনেকেই। অতএব একটাই চাওয়া:

জগতের সকল প্রাণী বিভ্রমমুক্ত হোক।
অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, ইছলাম ধর্মের মতো বৌদ্ধধর্মেরও চন্দ্রবাতিকগ্রস্ততা আছে। বুদ্ধের জন্ম এই পূর্ণিমাতে, তারপর অন্য এক পূর্ণিমার রাতে স্ত্রী-পরিবারকে গোপনে ত্যাগ করে ঘর ছেড়ে পালিয়েছিলেন তিনি (যদিও প্রবলভাবে ঘৃণার্হ ও কাপুরুষোচিত এই ঘটনার ভেতরেও মাহাত্ম্য ও মহিমা খুঁজে পায় বুদ্ধপ্রেমীরা - আবালের দল!), অতঃপর আবার এই পূর্ণিমাতেই তিনি সিদ্ধিলাভ করেন এবং তাঁর মুত্যুও এই পূর্ণিমাতেই। কী তাজ্জিব কাণ্ড! পুরাই অলৌকিক সব ব্যাপারস্যাপার! 

অনিবার্যভাবে আবারও মনে পড়ে যায়: সিদ্ধির একটি অর্থ গাঁজা।

কুইজ


মঙ্গলবার, ৯ মে, ২০১৭

অলৌকিক গোয়েন্দাগিরি

 লিখেছেন নরমপন্থী
একজন মহিলার লাশ পাওয়া গেছে। (গোয়েন্দগিরির এই গল্পটা এখানে বলার কারণ:  এই গল্পে একজন গোয়েন্দা তার ধর্মবিশ্বাসকে কাজে লাগিয়েছেন অজানা সত্যকে জানার/প্রতিষ্ঠা করার জন্য আর অন্যজন ব্যবহার করেছেন স্বাভাবিক বিজ্ঞানসম্মত পন্থা।) লাশের ময়না তদন্ত শেষ। সমস্যা হল এটা আত্মহত্যাও হতে পারে, খুনও হতে পারে।
গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান হিসেবে মনে করুন আপনি দুইজন নবনিযুক্ত ডিটেক্টিভকে (ন-ফিস এবং মো-ফিস কে) দু'টি ভিন্ন দলের নেতৃত্বে তদন্ত করার দায়িত্ব দিয়েছেন। জনাব গোয়েন্দা নাফিস নাস্তিক এবং গোয়েন্দা মফিজ আস্তিক। একটা বিষয় পরিষ্কার যে, মৃত্যুর কারণ সত্যিকার অর্থে ১০০% নিশ্চিত হওয়া সম্ভব না। কারণ মৃত্যুর সময়কার কোনো ভিডিওটেপ পাওয়া যাবার কোন উপায় নাই। 
প্রথম গোয়েন্দা জনাব ন-ফিস:
সকাল বেলা বাবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে নতুন চাকরির উদ্দেশ্যে বের হয়ে গেলেন। বাবা বললেন ‘যাবার পথে দরবেশ বাবার কাছে দোয়া এবং পরামর্শ নিয়ে যাবি?’ তিনি কুসংস্কার মানেন না, তাই কোনো দরবেশ-টরবেশের সাথে দেখা করতে গেলেন না।
তার কাজের প্রক্রিয়া নিম্নরূপ:
ক্রাইম সিনে পাওয়া আলামত সংগ্রহ করে তার বিচার বিশ্লেষণ। এই আলামতগুলো মৃত্যুর কারণের সাথে সম্পর্কিত হতেও পারে, না-ও হতে পারে।
ময়না তদন্ত রিপোর্ট বিস্তারিত পড়লেন।
আত্মহত্যা কিংবা হত্যাকাণ্ডের সকল সম্ভাব্য কারণ এবং মোটিভগুলো নিজ দলের সাথে পর্যালোচনা করলেন। তার ব্যক্তিজীবন সম্পর্কে অনুসন্ধান করে দেখলেন, তার আত্মহত্যা করবার কোনো কারণ থাকতে পারে কি না।
কয়েকজন সন্দেহভাজন ব্যক্তি সম্পর্কে জানতে এবং এটা হত্যাকাণ্ড হলে তা বুঝতে চেষ্টা করলেন এবং বিভিন্ন নিরপেক্ষ সোর্স থেকে তথ্যগুলো যাচাই করে নিলেন।
তাই বিভিন্ন আলামত এবং সম্ভাব্য আত্মহত্যার কারণ কিংবা হত্যাকান্ডের উদ্দেশ্যের সব কিছু বিবেচনায় রেখে সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য (শক্তিশালী মামলা / গ্রহণযোগ্য গল্প) দাঁড় করানোই হল তার উদ্দেশ্য, যাতে কাউকে যুক্তিসঙ্গত সন্দেহ সীমানা ছেড়ে (beyond the reasonable doubt) অভিযুক্ত করা যায় বা আত্মহত্যা হলে সে সত্য উৎঘাটন করা যায়। এখানে বুঝতে হবে কোন একটা প্রমাণের ভিত্তিতে কাউকে দোষী দাবি করেননি। তার কাজে ক্রমবর্ধমান (cumulative) প্রমাণ যেমন হাতের ছাপ, সাক্ষীদের বক্তব্য, খুঁটিনাটি প্রমাণাদি, যাত্রার টিকেট, টেলিফোন কলের রেকর্ড এবং এই জাতীয় যাবতীয় সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য ভাবে জোড়া লাগিয়েই তার কেইস তিনি দাড় করিয়েছেন।
দ্বিতীয় গোয়েন্দা জনাব মফিস:

পল্টিবাজ কোরান - ১২


ধর্মাতুল কৌতুকিম – ৯৮

৩৩৩.
- চৌদিরা নাকি স্কুবা ডাইভিং দল গঠন করেছে?
- হ্যাঁ, তারা খুঁজে বের করবে - সূর্য কোন জলাশয়ে অস্ত যায় এবং রাত কাটায় (সুরা ১৮:৮৬)।

৩৩৪.
- ইছলাম কি মুছলিমদেরকে সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মে উদ্বুদ্ধ করে?
- না, নির্দেশ দেয়।

৩৩৫.
- গাভী হিন্দুদের মাতা হলে তাদের পিতা কে?
- গোয়ালা, যে গাভীর স্তন ধরে।

৩৩৬.
শশায় শতকরা ৯৫ ভাগ পানি। এবং যিশু পানির ওপর দিয়ে হেঁটেছিল।
আপনি শশার ওপর দিয়ে হাঁটতে পারে। অতএব আপনি শতকরা ৯৫ ভাগ যিশু।

৩৩৭.
- মুছলিমরা নাকি বিবর্তনকে সম্পূর্ণভাবে ভুল প্রমাণ করেছে?
- হ্যাঁ, তবে তারা কেন জানি সেই প্রমাণ দাখিল করে নোবেল পুরস্কার জিতে নিতে উৎসাহী নয়। 

সহীহ ইসলামি চক্র


বানিয়েছেন সাঈদুর রহমান

শনিবার, ৬ মে, ২০১৭

কোরআন যেভাবে অবতীর্ণ: মক্কা - তৃতীয় অধ্যায়: না ঘরকা না ঘাটকা (পর্ব ৩০)

 লিখেছেন নরসুন্দর মানুষ
এ পর্বটিকে কোন কোরআন-এর সংযুক্তি হিসাবে লিখছি, কারণ "কোনো কোরআন"- নামের লেখায় যতটুকু বলার ছিলো, তার কেবল ৫০ ভাগ প্রকাশ করতে পেরেছি, আরও ১০ ভাগ সংযুক্ত না করা পর্যন্ত স্থির হতে পারছিলাম না!
ইসলামের প্রথম খলিফা আবু বকরের সময়কালে করা কোরআনের সংকলন থেকে এই ১৪০০ বছরের লম্বা সময়েও অলৌকিক (!) গ্রন্থখানি নির্দিষ্ট একটি চরিত্রে স্থিরতা পায়নি! আজও নিয়মিত পরিবর্তনের মধ্যে ‍দিয়ে যাচ্ছে কোরআন! এখনও বাংলাদেশ এবং ভারতীয় কোনো কোনো কোরআনে সূরা ফাতিহার প্রথম আয়াত নিয়ে ভিন্নতা রয়ে গেছে! ১৯২৩/২৪ সালের সংস্কারের পরেও আজ পর্যন্ত তা পুরো পৃথিবীতে সমানভাবে চালু করা সম্ভব হয়নি! তারপরেও নতুন করে আরও একটি পরিবর্তনের সূচনা হয়েছে বছর ছয়েক আগে থেকেই। এবার যা করার চেষ্টা চলছে, তাতে আর কতটা খিচুড়ি রান্না হবে, কে জানে! যতদুর জানতে পেরেছি, এবারের সংস্কারে কোরআনের ১২ টি সূরার নাম পরিবর্তন করা হবে! এই চেষ্টার কারণেই এখন কিছু কিছু প্রকাশনীর প্রকাশিত কোরআনে সূরার নামের ভিন্নতা চোখে পড়তে শুরু করেছে! আমি ১১ টি সূরার ভিন্ন নামের সন্ধান পেয়েছি! যদিও অনেক আগে থেকেই এসব নামের খোঁজ তাফসীর ও হাদীস গ্রন্থে পাওয়া যায়, কিন্তু নতুন করে এসব নাম চালু করবার পেছনে কী এমন যুক্তি আছে, তা আমার বোধগম্য নয়! কোরআন যে মানুষ্য নির্মিত গ্রন্থ, তা প্রকট করা ছাড়া এ বিষয়ে আর কোনো লাভ কারও হবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়! তবে সৌদি সুন্নী ওহাবী সরকার যে ক্রমশ ইসলামের সংস্কার করতে শুরু করেছে, এটি তার একটি নতুন পদক্ষেপ হতে পারে! ইসলাম তার বেশির ভাগ মিথের বিলুপ্তির সময় থেকে খুব বেশি হলে ১০০ বছর দূরে অবস্থান করছে! বিপুল পরিমাণে সংস্কার না করলে আগামী এক/দুই শতক পর ইসলামকে যাদুঘরে যেতে হবে - নিশ্চিত থাকতে পারেন! আপনাদের জন্য তুলে দিচ্ছি ১১ টি সুরার নতুন নামের তালিকা! যার সবটাই বদলে যাবে দ্রুতই!
৯ নং সূরা:  আত-তাওবা (বারা-আত)
১৭ নং সূরা:  বনী ইসরাঈল (আল-ইসরা)
৩৫ নং সূরা: ফাতের (আল মালাইকা)
৪০ নং সূরা:  আল মুমিন (গাফির)
৪১ নং সূরা: হা- মীমআস-সাজদাহ (ফুসসিলাত)
৪৭ নং সূরা:  মুহাম্মদ (আল-কিতাল) 
৭৬ নং সূরা:  আদ দাহর (আল ইনসান)
৮৩ নং সূরা: আল-মুতাফফিফীন (আত-তাতফীক)
৮৪ নং সূরা:  আল-ইনশিকাক (ইনশাককাত)
৯৬ নং সূরা:  আল-আলাক (ইকরা)
১১১ নং সূরা: লাহাব (আল-মাসাদ বা তাব্বাত)

হালাল ফেসবুক


আমরা তাদের মতো নই


শুক্রবার, ৫ মে, ২০১৭

নিমো হুজুরের খুতবা - ৪৫

 লিখেছেন নীল নিমো
আল্লাহু আকবর!
একজন নাস্তিক সাংবাদিককে আমি মুসলমান বানিয়ে ফেললাম।
নাস্তিক ভাইটি একটি পত্রিকার সাংবাদিক। নাস্তিক থাকাকালে তার নিউজ হেডলাইনগুলো সাধারণত নিম্নরূপ হত:
১."সিটি মেয়রের চরম অবহেলা, দুর্নীতি ও অব্যবস্থানার কারণে বন্যার সময় ঢাকাবাসির ভোগান্তি চরমে। দূষিত ময়লা পানিতে সাঁতার কেটে অফিসে যাচ্ছে ঢাকাবাসী।"
২. "আবারো ইসলামী সন্ত্রাসীরা হামলা করল ইরাকে। ২০০ জন নিরীহ মানুষের করুণ মৃত্যু।"
৩. "মানব সৃষ্ট CO2 ইমিশনের কারনে পৃথিবীর তাপমাত্রা বেড়েই যাচ্ছে। হাজার হাজার পশুপাখি মারা যাচ্ছে।"
আমি অনেক খেটেখুটে নাস্তিক সাংবাদিকটাকে লাইনে এনেছি। আলহামদুল্লিল্লাহ, বর্তমানে সে আল্লাহর উপর ঈমান এনেছে। বর্তমানে সে বিশ্বাস করে যে, এই দুনিয়ার মালিক আল্লাহ। তার হুকুম ছাড়া গাছের একটা পাতাও নড়ে না, একটা মাছিও আকাশে উড়তে পারে না। এই দুনিয়ার প্রতিটি প্রাণীর হায়াত, ধন দৌলত ও রিজেকের মালিক আল্লাহ। জীবন দেওয়া-নেওয়া এবং গজব নাজিল করার মালিক আল্লাহ। মানুষ নয়, বরং আল্লাহই মানুষের ভাগ্য নিয়ন্ত্রণ করে, সুখ-শান্তি কিংবা অসুবিধা সৃষ্টি করে। তাই আমাদের উচিত আল্লাহর ইবাদত করে আল্লাহকে খুশি রাখা।
একজন সাচ্চা মুসলমান হবার পর সাংবাদিক ভাইয়ের নিউজ হেডলাইনগুলো বর্তমানে নিম্নরূপ হয়ে গেছে:
১."মহান আল্লাহপাকের চরম অবহেলা, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার কারণে বন্যার সময় ঢাকাবাসীর ভোগান্তি চরমে। দূষিত ময়লা পানিতে সাতার কেটে অফিসে যাচ্ছে ঢাকাবাসী।"
২. "আবারো আল্লাহপাকের আদেশে সন্ত্রাসীরা হামলা করল ইরাকে। ২০০ জন নিরীহ মানুষের করুণ মৃত্যু।"
৩. "মহান আল্লাহপাকের আদেশে সৃষ্ট CO2 ইমিশনের কারণে পৃথিবীর তাপমাত্রা বেড়েই যাচ্ছে। হাজার হাজার পশুপাখি মারা যাচ্ছে।"

নওমুসলিম সাংবাদিক ভাইটি আপনাদের সবার দোয়াপ্রার্থী। দ্বীন এবং ইসলামের রাস্তায় আল্লাহপাক তাকে কবুল করুক, আমিন।

ইমানুলের ধর্মকথা - ৮

 লিখেছেন ইমানুল হক
১০.
গিরামে মইত্যার চা'র দুকানে গেসি ইক্টু চা খামু। দেহি ওইহানে আগে তিকাই বইয়া কথা কইচ্চে রইচ মুন্সি (ওরপে জইল্যার বাফ) আর ছামাদ মাজি। মইত্যারে কইলাম এক কাপ চা দিতে।

তারা গল্ফ কইচ্চে ছামাদ মাজির বিবিরে নিয়া। ছামাদ মাজি নিকি হের বিবিক আইজ পিডাইছে। রইচ মুন্সি কয়:
- তুমি কিন্তু কামডা বালা কর নাই। তুমি কিন্তু সব সুময় বউরে অইত্যাচার কর। বউ পিডানি বালা না মিয়া। যারা বউ পিডায় তাগো উফরে আল্লার গজব ফরে। কাজ কামে আল্লার বরকত তাকে না। সংসারের উন্নতি থাহে না।

ছামাইদ্যা চুপ কইরা হুইনা উত্তর দেয়:
- অর কতা হুনলেই ফিডাইতে ইচ্চা করে। কী যে করমু? রাগে সইলডা ফাটি যায়।

আমাক দেকে রইচ মুন্সি কয়, " ইমানুল্লা, একন তুমিই কও, ইডা কি টিক অয়েচে?

আমি চুপ কইরা ইচলামের অপব্যাক্যা হুইন্যা রইচ্চা রে টাইট করি দইল্লাম:
- তুমি নিজেই ত বুল কতা কও। মাইয়া মাইন্সের লাই দেয়া টিক না। মাজে মইধ্য ইক্টু আক্টু পিডানি বালা। তাইলে মাইয়্যা মানুস পুরুসের বসে থাহে। আমাগের আল্লাতালা এ ফ্রসঙ্গে বলেচেন,
"পুরুষেরা নারীগের উফর কর্তৃত্বশীল এ জইন্য যে, আল্লা একের উফর অইন্যের বৈশিষ্ট্য দান করেচেন আর এই জইন্য যে, তারা তাগের অর্থ ব্যয় করে। সেই মতে নেককার স্ত্রীলুকগণ অয় অনুগতা আর আল্লা যা হেপাযতযুগ্য করে দিয়েচে লুক চক্ষুর অন্তরালেও তার হেপাযত করে। আর যাগের মইদ্দে ('নুশুয' ﻧُﺸُﻮﺯَ ) অবাধ্যতার আশঙ্কা কর তাদের সদুপদেশ দেও, তাগের বিছনা ত্যাগ কর আর ('ইদরিবুহুন্না') ﻭَﺍﺿْﺮِﺑُﻮﻫُﻦَّ প্রহার কর। যদি তাতে তারা বাইদ্দ্য অয়ে যায়, তয় আর তাগের জইন্য অন্য কুন পত অনুসন্ধান কইরো না। নিচ্চই আল্লা সবার উফের স্রেস্ট।" (সূরা নিসা: ৪:৩৪। 
এচাড়া "যুহায়র ইবন হারব ............ উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াচাল্লাম অতে বর্ণনা কইচ্চেন যে,
কুন ব্যক্তিক (দুনিয়াতে) তার বিবিক মাইরদোর করার ব্যাফারে জিজ্ঞাসাবাদ করা অবে না।" (বই: সূনান আবু দাউদ [ইফা:], অধ্যায়ঃ ৬/ বিবাহ, হাদিস নম্বর: ২১৪৪) 
তাইলে একন কও, বিবিক পিডাইলে কি কুন সমুস্যা আচে নিকি?"


এই কতা হুনে রইচ মুন্সির মুকডা এক্কেরে কালা অই গেল। থুতা মুকডা বুতা অই গেল। চা দুকানের সবাই আমার ইচলামি সরিয়তের কতায় বাহবা কইত্তে লাইগল।

আদমের ওয়ারড্রোব


পাক-নাপাক ওয়াক...

 গত বছরের একটি খবর: লক্ষ্মীপুরে ইজতেমায় ৯ পুকুরে ৩ লাখ মুসল্লির অজু-গোসল

অর্থাৎ একটি পুকুরে অজু-গোসল করেছে গড়ে ৩৩ হাজার ৩ শো ৩৩ জন।


খবরে বলা হচ্ছে, ইজতেমা চলেছে তিন দিন এবং "এতে নির্বিঘ্নে মুসল্লিরা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের অজু ও গোসল করছে।"

গরুপূজারি গাধাগুলো - ১৮৯


বুধবার, ৩ মে, ২০১৭

হাদীসের প্রথম পাঠ - ০৭

 হাদীসের প্রথম পাঠ - ০৭


লিখেছেন নরসুন্দর মানুষ
নারী বৃত্তান্ত
ইসলাম নারীকে দিয়েছে পুরুষের সমান অধিকার, ইসলাম নারীকে করেছে মহান! মুহাম্মদ নারীকে কীভাবে দেখতেন তার পরিচয় পাওয়া যাবে এ অধ্যায়ে! আমরা ইসলামে নারীর ভালো-মন্দ রূপরেখা পাবো মুহাম্মদের হাদীস থেকেই।
বুখারী-১-২-২৮: মুহাম্মদ বলেছেন: আমাকে জাহান্নাম দেখানো হয়। (আমি দেখি), তার অধিবাসীদের অধিকাংশই স্ত্রীলোক; (কারণ) তারা কুফরী করে। জিজ্ঞাসা করা হলো, 'তারা কি আল্লাহ্‌র সঙ্গে কুফরী করে?' মুহাম্মদ বললেন: 'তারা স্বামীর অবাধ্য হয় এবং ভালোটা অস্বীকার করে।' তুমি যদি দীর্ঘকাল তাদের কারো প্রতি ভালো করতে থাক, এরপর সে তোমার সামান্য অবহেলা দেখলেই বলে, 'আমি কখনো তোমার কাছ থেকে ভালো ব্যবহার পাইনি।'

আজান্নাচ


তুমি সুন্দর তাই

কাজী নজরুল ইসলাম লিখেছিলেন:


তুমি সুন্দর তাই চেয়ে থাকি প্রিয়
সেকি মোর অপরাধ?
চাঁদেরে হেরিয়া কাঁদে চকোরিণী
বলে না তো কিছু চাঁদ।
চেয়ে’ চেয়ে’ দেখি ফোটে যবে ফুল
ফুল বলে না তো সে আমার ভুল
মেঘ হেরি’ ঝুরে’ চাতকিনী
মেঘ করে না তো প্রতিবাদ।
জানে সূর্যেরে পাবে না
তবু অবুঝ সূর্যমুখী
চেয়ে’ চেয়ে’ দেখে তার দেবতারে
দেখিয়াই সে যে সুখী।
হেরিতে তোমার রূপ-মনোহর
পেয়েছি এ আঁখি, ওগো সুন্দর।
মিটিতে দাও হে প্রিয়তম মোর
নয়নের সেই সাধ।
জুপিটার জয়প্রকাশ লিখলেন:


তুমি সুন্দর তাই ঢেকে রাখি বলো
সে কি মোর অপরাধ?
নীলাকাশ যদি মেঘ রাখে ঢেকে
বলে না তো কিছু চাঁদ।
ছিপি আঁটা থাকে পানীয় তরল
পাতা দিয়ে তরু ঢাকে তার ফল
ফলেরও ভিতর ঢাকা রয় আঁটি
করে না তো প্রতিবাদ।
সত্য গোপন রবে না জেনেও
মনে চেপে রাখি কথা
সবার উপরে দিয়েছে যা বিধি,
নিচু করি সেই মাথা।
ঢাকিতে তোমার রূপ মনোহর
এনেছি বোরখা, ওগো সুন্দর
করুণা করিয়া মিটাও গো মোর
জীবনের এই সাধ।
তুমি সুন্দর তাই সিন্দুকে রাখি

সে কি মোর অপরাধ?

নিত্য নবীরে স্মরি – ২৮৪


Narated By Abu Sa'id al-Khudri : I heard that the people asked the Prophet of Allah (pbuh): Water is brought for you from the well of Buda'ah. It is a well in which dead dogs, menstrual clothes and excrement of people are thrown. The Messenger of Allah (pbuh) replied: Verily water is pure and is not defiled by anything.

মঙ্গলবার, ২ মে, ২০১৭

চিঠি-হুমকি - ৭: হিরাক্লিয়াসের শেষ প্রস্তাব!: কুরানে বিগ্যান (পর্ব-১৬৮): ত্রাস, হত্যা ও হামলার আদেশ – একশত বিয়াল্লিশ

 লিখেছেন গোলাপ

(আগের পর্বগুলোর সূচী এখানে)
"যে মুহাম্মদ (সাঃ) কে জানে সে ইসলাম জানে, যে তাঁকে জানে না সে ইসলাম জানে না।"
স্বঘোষিত আখেরি নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর চিঠি-হুমকিটি পাওয়ার পর বাণিজ্য-কর্মে  সিরিয়ায় অবস্থানকারী কুরাইশ দলপতি আবু সুফিয়ান বিন হারব ও তাঁর সঙ্গীদের রাজদরবারে ডেকে নিয়ে এসে অতি অল্প সংখ্যক প্রশ্নের জবাব জানার পর রোমান সম্রাট হিরাক্লিয়াস মুহাম্মদ সম্বন্ধে যে "অভিমত" ব্যক্ত করেছিলেন, তার প্রতিবাদে দরবারে উপস্থিত তার সকল পরিষদবর্গ কীরূপ প্রচণ্ড চিৎকার ও শোরগোল শুরু করেছিলেন; পরবর্তীতে যখন হিরাক্লিয়াস তার সমস্ত উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের দরবারে হাজির করে তার সেই অভিমতটি আবারও প্রকাশ করতে চেয়েছিলেন, তখন তিনি তাদের ভয়ে কীরূপ ভীত-সন্ত্রস্ত ছিলেন; যখন তিনি তার সেই অভিমতটি তাদের জানিয়েছিলেন, তখন একটিও ব্যতিক্রম ছাড়া তার সকল উচ্চপদস্থ ব্যক্তিবর্গ কীরূপ আচরণ করেছিলেন, তিনি তাদের কীভাবে শান্ত করেছিলেন; হিরাক্লিয়াসের চেয়েও উচ্চ-মর্যাদাশালী দাঘাতির নামের এক খ্রিষ্টান যাজক যখন জনগণদের সম্মুখে উপস্থিত হয়ে হিরাক্লিয়াসের অভিমতেরই হুবহু অভিমত প্রকাশ করেছিলেন, তখন দাঘাতিরের কী পরিণতি হয়েছিলো; ইত্যাদি বিষয়ের বিস্তারিত আলোচনা আগের পর্বে করা হয়েছে।

আস্তিকীয় যুক্তিবাহার


নিমো হুজুরের খুতবা - ৪৪

লিখেছেন নীল নিমো

১.
আপনাদের জন্য মারাত্মক খুশির খবর আছে। খবরে প্রকাশ, জনসংখ্যার দিক দিয়ে ২০৭০ সালের ভিতরে ইসলাম বিশ্বের সবচেয়ে বড় ধর্মে পরিণত হবে। তার মানে, ২০৭০ সালের ভেতরে মুসলমানরা খ্রিষ্টানদের পিছনে ফেলে দেবে। পৃথিবীতে মুসলমানদের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। তাই আনন্দে আমি উচ্চস্বরে তাকবীর দিলাম:
- নাড়াদে তাকবীর, আল্লাহু আকবর... নাড়াদে তাকবীর, আল্লাহু আকবর...

যথারীতি এক নাস্তিক আমার তাকবীরে বাধা দিয়ে জিজ্ঞাস করিল:
- হুজুর, নবীজি বলেছিলেন, কেয়ামত অতি সন্নিকটে। কেয়ামতের আলামতগুলো কী?

প্রশ্ন কমন পড়ে গেছে, তাই নাস্তিককে খুশি মনে জ্ঞান দান করিলাম:
- কেয়ামতের আলামত গুলো হলো:
মানুষদের মায়া মমতা ও লজ্জাশীলতা কমে যাবে।
বড়কে সম্মান করবে না। ছোটকে স্নেহ করবে না।
সমাজে ফ্যাসাদ দুর্নীতি ব্যাপক আকার ধারণ করবে।
অযোগ্য ও অসৎ ব্যক্তিরা সমাজ ও রাষ্ট্রের নেতা নির্বাচিত হবে।
নানান প্রকার রোগব্যাধির আবির্ভাব ঘটবে।
দাজ্জালের আত্মপ্রকাশ হবে।
অত্যাচার ও অবিচারের মাত্রা বৃদ্ধি পাবে।
অন্যায় কাজকে বাহাদুরি মনে করা হবে।

নাস্তিক বলিল:
- হুজুর, তার মানে মুসলমানদের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে পৃথিবীতে অপকর্ম অনাচার বেড়ে যাবে। আর পৃথিবীতে যখন অপকর্ম অনাচার বেড়ে যাবে, তখনই কেয়ামত হবে। ইসলাম যে পৃথিবীতে অশান্তি কায়েম করবে, এইটা ইসলামেই বলা আছে, ঠিক কি না?

নাস্তিকের কথা শুনে তব্দা খাইলাম। জাহান্নামি নাস্তিক আমার পুরা আনন্দটাই মাটি করে দিল।

২.
আজকে পবিত্র কোরান মজিদ নিয়ে বয়ান দিচ্ছিলাম:
- কোরান নাজিল শুরু হয়েছিল "পড়" শব্দটি দিয়ে। ইকরা বিসমিকাল্লাজী খালাক, পড় তোমার প্রভুর নামে, যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন...

কথা শেষ করতে পারলাম না, এক নাস্তিক এসে ঈমানে ঝাকুনি দিল:
- হুজুর, প্রথম নাজিল হওয়া আয়াতটা বুঝলাম, কিন্তু নবীজির উপর নাজিলকৃত শেষ আয়াতটি কোনটি?

নাস্তিকের প্রশ্ন শুনে বুঝলাম, নাস্তিক ফিতনা লাগানোর ধান্দায় আছে। তাই আমি চালাকি করে পাল্টা প্রশ্ন করলাম:
- আপনিই উত্তর দিন, দেখি, ইসলাম সম্পর্কে আপনার জ্ঞান কতটুকু।

নাস্তিক হাসতে হাসতে দাঁত কেলিয়ে উত্তর দিল:
- হুজুর, শেষ নাজিলকৃত আয়াতটি নিয়ে ইসলামি স্কলারদের ভিতরে তীব্র মতভেদ আছে। সুরা বাকারার ২৮১ নং আয়াত, সুরা মায়দার ৩ নম্বর আয়াত, সুরা তওবার ১২৮ সহ আরো অনেক আয়াতকেই শেষ নাজিলকৃত আয়াত বলে দাবি করা হয়। প্রতিটি পরিপূর্ণ জিনিসের একটি নির্দিষ্ট শুরু এবং নির্দিষ্ট শেষ থাকে। কোরানের তা নাই। সুতরাং কোরান পরিপূর্ণ গ্রন্থ নয়, কোরানের ভিতরে ভেজাল আছে।

আমি বুঝতে পারলাম, নাস্তিকটা ইচ্ছা করেই ইসলামের সবচেয়ে দুর্বল জায়গাগুলোর একটাতে আঘাত দিয়েছে। তাই আমি ওযু করার অযুহাত দেখিয়ে তাড়াতাড়ি করে স্থান ত্যাগ করলাম।

হিজাবী হুরি যতো - ১৪



সোমবার, ১ মে, ২০১৭

বিশ্বাসের দরজায় করাঘাত!: পর্ব ২০ – (মানুষ করলে হারাম! আল্লাহ করলে আরাম!)

 লিখেছেন নরসুন্দর মানুষ
বন্ধু আমার পানের দোকানদার! না-না এটি মমতাজের গান নয়, সত্যি গল্প! সারাদিন পান বিক্রি আর খাওয়াই তার কাজ। সহজ-সরল ধরনের প্রাথমিক পাশ ছেলে। ন্যাংটো কালে একসাথে নদীতে যতটা সাতার কেটেছি, সবটা যোগ দিলে সাত সমুদ্র পার হওয়ার চেয়ে কম হবে না নিশ্চয়! ছোটবেলা থেকে পিতাহীন আর আধপাগলী মায়ের কারণে লেখাপড়া হলো না তার। আমি যখন প্রাইমারী ছেড়ে হাইস্কুলে গেলাম, বন্ধু তখন পানের দোকান দিয়ে বসে গেলো বাজারের মাঝ বরাবর। ছেলেটার সব ভালো, তবে কথায়-কথায় বাবা-মায়ের নামে, ছেলে-মেয়ের নামে কসম কাটে! "আমার পোলার কসম, আমি এই কাজ করি নাই / মায়ের কসম, সালামের কাছে ৫০০ টাকা পাই আমি / মরা বাপের কসম, আমি সত্যি কইতাছি..."
শুক্রবারের ছুটির রাতে একসাথে আড্ডা চলছে, গোটাদশেক পরিচিত বন্ধু এবং এক সদ্য দাওরা হাদিস পাশের মাষ্টার্স আলেম হুজুর-কে নিয়ে! যথারীতি আমার পানের দোকানদার বন্ধু কথা বলার মধ্যে ৫/৭ বার কসম খেয়ে ভাত হজম করে ফেলেছে মাষ্টার্স আলেম হুজুরের! বুঝতে পারছিলাম, হুজুরের দুই খেজুর মাথায় উঠবে দ্রুত! আর হ্যাঁ, বলতে বলতেই শুরু: "শোনো বন্ধু, আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে কসম করা মহাপাপ ও শিরক!
আল্লার নবী বলেছেন:
'যে ব্যক্তি আল্লাহ ব্যতীত অন্যের নামে কসম করল, সে শিরক করল' [1]
আল্লার নবী বলেছেন:
 'সাবধান! নিশ্চয়ই আল্লাহতাআলা তোমাদেরকে তোমাদের পিতৃপুরুষের নামে শপথ করতে নিষেধ করেছেন। কারো যদি শপথ করতেই হয়, তবে সে যেন আল্লাহর নামে শপথ করে অথবা চুপ থাকে।' [2]
আল্লার নবী আরও বলেছেন:
 'যে আমানত বা গচ্ছিত দ্রব্যের নামে কসম করে, সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়' [3]
সুতরাং আমানত, মর্যাদা, সাহায্য, অমুকের বরকত, তমুকের জীবন, নবীর মর্যাদা, অলীর মর্যাদা, পীরের মর্যাদা, নেতা-নেত্রী, পিতা-মাতা ও সন্তানের মাথা-মুণ্ডু ইত্যাদি দিয়ে কসম খাওয়া হারাম, মহাপাপ ও শিরক!"

এবার আমার পালা: "বন্ধু, তুমি হাদীস দিয়া কইলা আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে কসম করা মহাপাপ ও শিরক! বুঝলাম, কিন্তু হাদীসের কথা মানবো নাকি আল্লাহ কোরআনে যা করেছেন, তা মানবো? যদি কও হাদীস মানো, তবে কি কোরআন থেকে হাদীস বড়? আর আমরা কসম করলে হবে হারাম, আর আল্লাহ নিজে কসম করলে হবে আরাম! এ কেমন বিচার তোমাদের?" দাওরা হাদিস পাশের মাষ্টার্স আলেম হুজুর রীতিমত ভ্যাবাচেকা খেয়ে বলে উঠলো: "যেমন?"
আমি শুরু করলাম আবার: "কোরআনের আল্লাহ বহুবার ধুলো, মেঘ, নৌকা, পর্বত, আকাশ, বাতাস, সমুদ্র, সময়, ফেরেশতা, কলম, সকাল, বিকাল, রাত, চাঁদ, তারা, সূর্য, নক্ষত্র, ঘোড়া, ডুমুর, জয়তুন, শহরসহ ইত্যাদি ইত্যাদি নিয়ে কসম করেছেন! কসম করা যদি শিরক হয়, তবে তো বড় শিরককারী আল্লাহ নিজেই! আর যদি আল্লাহ করলে শিরক না হয়, তবে আমরা করলে কসম হারাম, মহাপাপ, শিরক হবে কোন ‍যুক্তিতে! পারলে বোঝাও! উদাহরণ যদি দিতে চাই তবে আল্লার কসমের বিশাল তালিকা দিতে পারি, কিন্তু আপাতত দশটা কসমের লিষ্ট দিচ্ছি! সময় নিয়ে একদিন দেখা কইরো, বুঝাইয়া দিতে পারবো - আল্লাহ কতবড় কসমবাজ!
(আয-যারিয়াত ৫১:১-৪) কসম ধূলিঝড়ের, অতঃপর, পানির বোঝা বহনকারী মেঘমালার, অতঃপর মৃদুগতিতে চলমান নৌযানসমূহের, অতঃপর নির্দেশ বণ্টনকারী ফেরেশতাগণের
(আত্ব তূর ৫২: ১-৬) কসম তূর পর্বতের, আর কসম কিতাবের যা লিপিবদ্ধ আছে, উন্মুক্ত পাতায়। কসম বায়তুল-মামুর তথা আবাদ গৃহের, এবং সমুন্নত ছাদের, কসম তরঙ্গ-বিক্ষুব্ধ সাগরের,
(আন-নাজম ৫৩: ১) কসম নক্ষত্রের, যখন তা অস্ত যায়।"
প্রিয় মুমিন ভাই-বোনেরা, কসম করা হয় দুই শ্রেণীর মনোবৃত্তি থেকে, দুর্বল/সরল অথবা ধুর্ত/ক্রিমিনাল; আমার পানের দোকানদার বন্ধুটি প্রথম শ্রেণীর, সে বিষয়ে, আশা করি, আপনাদেরও সন্দেহ নে,ই কিন্তু আপনাদের আল্লাহ কোন শ্রেণীর কসমবাজ? আর আপনি যদি দাওরা হাদিস পাশের মাষ্টার্স আলেম হুজুর-এর মত হাদীসের বাণীতে বিশ্বাস রাখেন, তবে আমাকে আবার বলতেই হবে, "তবে কি মানুষ কসম করলে হারাম! আল্লাহ করলে আরাম!"
তথ্যসূত্র

[1]. আবুদাঊদ, তিরমিযী, মিশকাত হা/৩৪১৯।

[2]. বুখারী, মুসলিম; মিশকাত হা/৩৪০৭।

[3]. আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৩৪২০।

(চলবে)