আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

সোমবার, ৩১ জুলাই, ২০১৭

বিশ্বাসের ভাইরাস মগজে পচন ধরায়!

একটি ছবি শেয়ার করেছেন জনৈক মুমিন, যাতে প্রায় বারো হাজার লাইক আর সাড়ে চৌদ্দ হাজার শেয়ার হয়েছে। লোকটি নাকি হজ্জে গিয়ে পাথর চাপা পড়ে মারা গেছে, অথচ দেহ পঁচেনি। আপনার একটু লক্ষ করেন- লিংক



লোকটির বাম হাতের দিকে তাকান। পায়ের দিকে তাকান। পুরো শুটকি হয়ে গেছে। ছবিটা কতটা নির্ভরযোগ্য সে দিকে যাচ্ছি না। আমরা দেখতে চাচ্ছি মুমিন হলে যুক্তিবোধ কোথায় গিয়ে ঠেকে।  লোকটি হজে গিয়ে পাথর চাপা পড়ে মারা যাচ্ছে, পরে শুকিয়ে শুটকি হয়ে যাচ্ছে - যে ছবি দেখলে বরং হজপ্রথা সম্পর্কে মনে চিন্তা আসা উচিত সেখানে মুমিনরা এর মধ্যেই মিরাকল খুঁজে বের করেছে! হায়, এরা কি মানুষ হবেনা বলেই পণ করেছে?

লোকটি পাথর চাপা পড়ে মারা গেল আল্লা বাচাতে পারল না।  তার দেহ মরুভূমির গরমে শুটকি করে সংরক্ষণে কোন কুদরতি প্রকাশ পায়? আল্লা পাকের ফাজলামির কি সীমা নেই?


রবিবার, ৩০ জুলাই, ২০১৭

আল্যাপাক কতটা অথর্ব? ১৯৭৯ সালের কাবা দখলের কাহিনী


আপনারা কি জানেন ১৯৭৯ সালে এক লোক নিজেকে ইমাম মাহদি ঘোষণা দিয়ে তার অনুসারীদের নিয়ে দুই সপ্তাহ কাবা দখল করে রেখেছিল?

জুহায়মান নামক এক লোক ১৯৭৯ সালে হঠাৎ করে কাবা দখল করে ফেলে তার সশস্ত্র অনুসারীদের নিয়ে। তারপরের ঘটনা নিম্নরূপ - 

যদিও ঐতিহাসিক কারণে কাবা এলাকায় রক্তারক্তি নিষিদ্ধ তারপরও এক ব্যাপক রক্তপাতের ঘটনা ঘটায় সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন বাহিনী। যে নাসারাদের দিনরাত অভিসম্পাত করা হয় সেই নাসারারা, ফ্রান্সের পাঠানো সৈন্যদলও এ কাবা উদ্ধার অভিযানে সৌদিদের সাথে যোগ দেয়, আরো যোগ দেয় পাকিস্তানিরা। (নিম্নোক্ত ভিডিওতে দাবি করা হচ্ছে ফরাসি সৈন্যরা ইসলাম গ্রহণ করেছিল, এ দাবি সত্য নয়)।

প্রায় দুই সপ্তাহ পরে কাবা উদ্ধার করা হয়। এতে উভয় পক্ষে অন্তত ২৫০ জন্য মৃত্যুবরণ করে ও অন্তত ৪৫০ জন আহত হয়।

এই কাবা দখলের ঘটনা প্রমাণ করে আল্যাপাক পুরাই অথর্ব। কাবা আক্রান্ত হলেও তিনি সাহায্য পাঠান না যদিও মুহাম্মদের জন্মের আগে যখন ৩৬০ টি মূর্তি কাবার ভেতর ছিল তখন তিনি নাকি আবাবিল পাঠিয়ে কাবা রক্ষা করেছিলেন। এসব রসালো কাহিনী জানিয়ে কোরানের পুরো একটা সুরা নাজিল করে ফেলেন(সুরা ফিল)। হাহ হাহ হা!

দেখেন  বাংলা ভাষায় করা এই ভিডিও


এবার দেখেন ১৯৪১ সালের বন্যায় কাবা কিভাবে ভেসে যায় 


কাবা নিয়ে এই পোস্ট পড়তে পারেন। 

ঘটনাগুলো বিস্তারিত ঘেঁটে দেখতে পারেন ইন্টারনেটে। উইকিপিডিয়া

বুধবার, ২৬ জুলাই, ২০১৭

ভারতের ফতেপুরে ২১১ গরুকে ভগবদ গীতা পড়ে শোনানো হচ্ছে!

লেখক: দাঁড়িপাল্লা ধমাধম

নকুল কুমার বিশ্বাসের গানে একটা প্রশ্ন ছিল হিন্দুদের প্রতি--'পূজা করো যজ্ঞ করো/ মালা জপো টিকি ধরো/ একদিন ঘরের খবর লইছোনি/ ভাগবত পড়ে ভগবানকে পাইছোনি...'

বলা বাহুল্য, হিন্দুরা এর কোনো উত্তর দিতে পারে নি। উলটা হিন্দুরা দিন দিন হিন্দু থেকে গরুতে পরিণত হয়েছে, তাই তারা আর ভাগবত পড়তে পারে না, তাদেরকে এভাবে ভাগবত পড়ে শোনাতে হচ্ছে...

এবার নতুন প্রশ্ন--ভাগবত পাঠ শুনে এবার গরুগুলা কি 'মানুষ' হতে পারবে, নাকি সেই গরুই থুক্কু হিন্দুই রয়ে যাবে?
 

 

মঙ্গলবার, ২৫ জুলাই, ২০১৭

হাদীসের প্রথম পাঠ: শেষ পর্ব


লিখেছেন নরসুন্দর মানুষ
 


চারুকলা

        সংস্কৃতি মানুষের মানবীয় গুনকে বিকশিত করে, একজন মরুদস্যুর পক্ষে কখনো তা বোঝা সম্ভব নয়! আমরা তার এই ঘৃণার আর অমানবিকতার আভাস দিয়ে শেষ করছি এই মহা-মানবের (!) জীবন-চরিতের প্রথম পাঠ! আশাকরছি পরের খণ্ডে থাকবে আরও অনেক অনেক চমক!

বুখারী-৭-৭২-৮৪৩:  জিব্রাঈল (একবার) মুহাম্মদের-এর নিকট (আগমনের) ওয়াদা করেন। কিন্তু তিনি আসতে দেরী করেন। এতে নবী-এর খুবই কষ্ট হচ্ছিল। এরপর নবী বের হয়ে পড়লেন। তখন জিব্রাঈলের সাথে তাঁর সাক্ষাত হলো। তিনি যে মানসিক কষ্ট পেয়েছিলেন সে বিষয়ে তাঁর কাছে বর্ণনা করলেন। তখন জিব্রাঈল বললেন: যে ঘরে ছবি বা কুকুর থাকে সে ঘরে আমরা কখনো প্রবেশ করি না।

বুখারী-৮-৭৩-১৩০:   আয়েশা থেকে বর্ণিত: একবার নবী আমার নিকট আসলেন। তখন ঘরে একখানা পর্দা ঝুলানো ছিল। যাতে ছবি ছিলো। তা দেখে নবী-এর চেহারার রং বদলিয়ে গেল। এরপর তিনি পর্দাখানা হাতে নিয়ে ছিড়ে ফেললেন। আয়েশা বলেন, নবী লোকদের মধ্যে বললেন: কিয়ামতের দিন সবচেয়ে কঠিন আযাব হবে ঐসব লোকদের যারা এ সকল ছবি আঁকে।

বুখারী-৪-৫৪-৪৪৭:  আয়েশা থেকে বর্ণিত: আমি নবী-এর জন্য প্রাণীর ছবিযুক্ত একটি বালিশ তৈরি করেছিলাম। যেন তা একটি ছোট গদী। এরপর তিনি এসে দু'দরজার মাঝখানে দাঁড়ালেন এবং তাঁর চেহারা বিবর্ণ হয়ে গেল। তখন আমি বললাম, ‘ইয়া রাসুলুল্লাহ আমার কি অপরাধ হয়েছে? তিনি বললেন: এ বালিশটি কেন? আমি বললাম, এ বালিশটি আপনার, এর উপর ঠেস দিয়ে বসতে পারেন আমি সে জন্য তৈরি করেছি। নবী বললেন, (হে আয়িশা, তুমি কি জান না?) যে ঘরে প্রাণীর ছবি থাকে, সেখানে (রহমতের) ফিরিশতা প্রবেশ করেন না? আর যে ব্যক্তি প্রাণীর ছবি আঁকে তাকে কিয়ামতের দিন শাস্তি দেওয়া হবে? তাকে (আল্লাহ) বলবেন, ‘তুমি যে প্রাণীর ছবি বানিয়েছো, এখন তাকে প্রাণ দান কর।’

বুখারী-৩-৩৪-৪২৮:  সাঈদ ইবনে আবুল হাসান সূত্রে বর্নিত: আমি ইবনে আব্বাস এর নিকট উপস্থিত ছিলাম। এমন সময়ে তাঁর কাছে এক ব্যক্তি এসে বলল, হে আবু আব্বাস, আমি এমন ব্যক্তি যে, আমার জীবিকা হস্তশিল্পে। আমি এ সব ছবি তৈরি করি। ইবনে আব্বাস তাকে বলেন, (এ বিষয়ে) রাসুলূল্লাহ-কে আমি যা বলতে শুনেছি, তাই তোমাকে শোনাবো। তাঁকে আমি বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি কোন ছবি তৈরি করে মহান আল্লাহ্ তাআলা তাকে শাস্তি দিবেন, যতক্ষন না সে তাতে প্রান সঞ্চার করে। আর সে তাতে কখনো প্রান সঞ্চার করতে পারবেনা। (একথা শুনে) লোকটি ভীষনভাবে ভয় পেয়ে গেল এবং তার চেহারা ফ্যাকাসে হয়ে গেল। এতে ইবনে আব্বাস বললেন, আক্ষেপ তোমার জন্য, তুমি যদি এ কাজ না-ই ছাড়তে পারো, তবে এ গাছ-পালা এবং যে সকল জিনিসে প্রাণ নেই, তা তৈরি করতে পারো।

সোমবার, ২৪ জুলাই, ২০১৭

চিঠি হুমকি -১০: হিরাক্লিয়াসের প্রতিক্রিয়া বিশ্লেষণ! কুরানে বিগ্যান (পর্ব-১৭১): ত্রাস, হত্যা ও হামলার আদেশ –একশত পঁয়তাল্লিশ

লিখেছেন গোলাপ

(আগের পর্বগুলোর সূচী এখানে) (ইন্টারন্যাল লিংকে যাতায়াতে কিছুটা সমস্যা হতে পারে: সমাধানের চেষ্টা চলছে; আপাতত প্রক্সি ব্যবহারে লিংকে গমন সহজ হবে)

 
"যে মুহাম্মদ (সাঃ) কে জানে সে ইসলাম জানে, যে তাঁকে জানে না সে ইসলাম জানে না।"
ইসলামের ইতিহাসের আদি উৎসের বিশিষ্ট মুসলিম ঐতিহাসিকরা মিশরের সম্রাট আল-মুকাওকিস, পারস্য সম্রাট খসরু পারভেজ ও আবিসিনিয়ার শাসক আল-নাদজাসির কাছে মুহাম্মদের চিঠির যে সময়কাল উদ্ধৃত করেছেন, তা কী কারণে অসঙ্গতিপূর্ণ; এই চিঠিগুলোর সম্ভাব্য সময়কাল কী ছিলো; কী কারণে মুহাম্মদের এই চিঠিগুলো কখন কোন শাসকের কাছে গিয়ে পৌঁছেছিল তার ইতিবৃত্তের ধারণা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ; কী কারণে তাদের পক্ষে ‘বনি-কুরাইজা গণহত্যার' পরে সংঘটিত মুহাম্মদের আগ্রাসন ও নৃশংসতার ইতিবৃত্ত জানার সুযোগ ছিলো না - ইত্যাদি বিষয়ের বিস্তারিত আলোচনা গত দু'টি পর্বে করা হয়েছে। আদি উৎসে বর্ণিত তথ্য-উপাত্ত ও ঘটনার গভীর বিশ্লেষণে যা স্পষ্ট তা হলো তাদের কাছে প্রেরিত মুহাম্মদের চিঠি-হুমকির সময়কাল ছিল বানু কুরাইজা গণহত্যার পরে বানু আল-মুসতালিক আগ্রাসনের পূর্বে। অন্যদিকে, সম্রাট হিরাক্লিয়াসের কাছে মুহাম্মদের চিঠি হুমকি ও তার প্রতিক্রিয়ার সময়কাল ছিলো অনেক পরে।

হিরাক্লিয়াসের কাছে মুহাম্মদের চিঠি-হুমকি ও তার প্রতিক্রিয়ার সময়কাল:
সম্রাট খসরু পারভেজ ও হিরাক্লিয়াসের আঠার বছর ব্যাপী রক্তক্ষয়ী হানাহানির ৬২৭ সাল - ৬২৮ সালের শেষ দৃশ্যপটের কালানুক্রমিক পর্যালোচনায় আমরা জানতে পারি:

“সম্রাট হিরাক্লিয়াস কর্তৃক দাস্তাগার্ড দখল হওয়ার পর, ৬২৮ সালের ২৫ শে ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় খসরু পুত্র দ্বিতীয় কাবাদ তার পিতাকে বন্দী করেন ও নিজেকে সাসানিদ সাম্রাজ্যের পরবর্তী শাসক হিসাবে ঘোষণা দেন। --অতঃপর কাবাদ পারস্যের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সহায়তায় বাইজেনটাইন সম্রাট হিরাক্লিয়াসের সঙ্গে শান্তিচুক্তি সম্পন্ন করেন, যার পরিপ্রেক্ষিতে বাইজেনটাইনরা পুনরুদ্ধার করে তাদের সকল অঞ্চল, মুক্ত করে তাদের সকল বন্দী সেনাদের, আদায় করে যুদ্ধের ক্ষতিপূরণ ও পুনরুদ্ধার করে তাদের ধর্মীয় 'বিশুদ্ধ ক্রস'। ----পরাজিত সাসানিদরা ৬২৮ সালের শেষ দিকে এনাটোলিয়া থেকে তাদের সৈন্যবাহিনী ফিরিয়ে নেন (পর্ব-১৬৪)।"

অন্যদিকে, আদি উৎসের মুসলিম ঐতিহাসিকদের বর্ণনায় আমরা জানতে পারি:

“হুদাইবিয়া সন্ধি-চুক্তির পর হিজরি ৬ সালের জিলহজ মাসে (যার শুরু হয়েছিল ১২ই এপ্রিল, ৬২৮ সাল) আল্লাহর নবী ছয়জন লোককে পত্রবাহক-রূপে প্রেরণ করেন। তিনি দিহায়া বিন খালিফা আল-কালবি কে প্রেরণ করেন সিজারের কাছে (পর্ব-১৬১)। ---পারস্যের বিরুদ্ধে এই বিজয় অর্জন ও তাদের কাছ থেকে 'বিশুদ্ধ ক্রস' পুনরুদ্ধার সম্পন্ন করার পর হিরাক্লিয়াস ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন ও তাকে প্রার্থনা করার নিমিত্তে জেরুজালেমের ('বায়তুল মুকাদ্দাস') উদ্দেশে পদব্রজে রওনা হোন; সেখানে পৌঁছা ও তার প্রার্থনা কর্ম সম্পন্ন করার পর একদা প্রত্যূষে তিনি অস্থির অবস্থায় ঘুম থেকে জেগে ওঠে ঘোষণা দেন যে তিনি গত রাতে এক স্বপ্ন দেখে জানতে পেরেছেন, লিঙ্গাগ্রচর্মছেদন প্রথা পালনকারী রাজ্য হবে বিজয়ী (পর্ব-১৬৫)! প্রত্যুষে যখন তিনি তার পরিষদবর্গের সাথে এ বিষয়ে আলাপ আলোচনা করছিলেন, তখন তার কাছে পাঠানো মুহাম্মদের চিঠি-টি মদিনা থেকে বসরার শাসনকর্তার হাত ঘুরে জেরুজালেমে তার কাছে এসে পৌঁছে। অতঃপর তিনি আবু-সুফিয়ান-কে তার দরবারে তলব করেন ও অল্প কিছু প্রশ্ন-উত্তরের মাধ্যমে নিশ্চিত হোন যে 'এই মুহাম্মদই হলো তাদের গ্রন্থে বর্ণিত নবী’; তিনি তার সেই অভিমত দরবারে উপস্থিত লোকদের মেনে নেয়ার আহ্বান জানান। কিন্তু তারা তার প্রস্তাবে ভীষণ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন (পর্ব: ১৬৬)।

অতঃপর তিনি তার সেই অভিমত জানিয়ে সিরিয়া থেকে রোমে তার এক বন্ধুর কাছে চিঠি লিখেন! বন্ধুটি তার চিঠি পাওয়ার পর তাকে লিখে জানান যে 'কথা সত্য!'; অতঃপর তিনি ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায় তার সকল উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের তার দরবারে ডেকে নিয়ে এসে যখন তার সেই অভিমত আবারও ব্যক্ত করেন, তখন তাদের প্রত্যেকে আবারও ভীষণ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন (পর্ব-১৬৭)! ----"

রবিবার, ২৩ জুলাই, ২০১৭

সৌদি আরব কি ইসলামী সন্ত্রাসীদের পক্ষে না বিপক্ষে? - ৫ (আমি কেন ইসলাম ছেড়েছি: প্রাসঙ্গিক বিবৃতি)

মূল: খালেদ ওলীদ
অনুবাদ: আবুল কাশেম



 
ভূমিকা
[প্রিয় তিন বছর আগে সৌদি আরবের এক পাঠক আমাকে একটি ই-মেইল লেখেন। এটা আমার জন্য ছিল নিতান্তই অপ্রত্যাশিত ও গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যারা ইসলামের সমালোচনা করি, তারা চিন্তাই করতে পারি না যে, ইসলামের জন্মভূমি সৌদি আরবে কিছু লোকজন আছে, যারা ইসলাম ত্যাগ করতে একপায়ে দাঁড়া, যদিও তাদের সংখ্যা নিতান্তই নগণ্য। আমার সাথে খালেদের প্রচুর ই-মেইল আদান-প্রদান হয়েছে—যদিও আজ আমার সাথে তেমন যোগাযোগ নেই। আমি খালেদের একটি ই-মেইল বাংলায় অনুবাদ করলাম। ভবিষ্যতে ইচ্ছা থাকল খালেদের আরো কিছু খুবই গুরুত্বপূর্ণ লেখা বালায় অনুবাদ করে মুক্তমনায় প্রকাশ করবো। এখানে উল্লেখযোগ্য যে, খালেদের ঐ লেখাগুলি একটা বইতে প্রকাশ হয়েছে। বইটার টাইটেল হলো: Why We Left Islam.

সম্মানিত পাঠকবৃন্দ: এই বাংলা লেখা এবং বাংলা টাইপ আমার হাতেখড়ি। আশা করি, ভুলভ্রান্তি ক্ষমা করে দেবেন।

আবুল কাশেম
[ডিসেম্বর ১৩, ২০০৯]

আমি যখন ছোট ছিলাম, তখন প্রতিদিন মসজিদে যেতাম। সেখানে আমি ইসলামি প্রার্থনা-শিক্ষা ছাড়াও কোরান আবৃত্তি, হাদিস এবং তফসির শিখতাম।

আমাদের মসজিদের শিক্ষক এবং অন্যান্য ইসলামি পণ্ডিতেরা আমাদের বলতেন যে, যেহেতু আমরা মুসলমান, সেহেতু আমরা হচ্ছি বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ। তাঁরা আরো বলতেন যে, সৌদি আরবের মুসলমানেরা হচ্ছে একমাত্র প্রকৃত মুসলিম। সেই জন্য বিশ্বের তাবত মুসলিমরা একমাত্র সৌদি মুসলিমদের অনুসরণ করবে, অন্য কাউকে নয়। বলা বাহুল্য, আমরা একবাক্যে, কোনো প্রশ্ন ছাড়াই, দৃঢ়ভাবে ঐ সব মেনে নিতাম। কিন্তু আমরা একটুকু আশ্চর্য হতাম যে, এত বাগাড়ম্বর সত্ত্বেও বিশ্বের কেউ আমাদেরকে তাদের সমকক্ষ মনে করে না।

এই ভাবে আমরা নিজেরা মুসলমান হিসাবে খুবই গর্ব বোধ কোরতাম।

কিন্তু এখন আমি মনে করি, এসব ছিল একেবারেই মিথ্যা।
পাঠকবৃন্দ, আমি হলফ্‌ সহ বলতে পারি যে, আমি সৌদি আরবের মসজিদে যা পড়েছি এবং শিখেছি, ওসামা বিন লাদেন হুবহু তা-ই পালন করে। এতে কারো মনে কোনো সন্দেহ থাকা উচিত নয়। আমরা নিঃসন্দেহে বলতে পারি, সে একেবারে পাক্কা মুসলমান। অনুগ্রহপূর্বক আপনারা বিশ্বাস করুন যে, সৌদি আরবের প্রায় সবাই বিন লাদেনের সমর্থক এবং তাকে দারুণভাবে ভালবাসে তার কার্যকলাপের জন্য।

বিন লাদেনের ক্রিয়াকলাপের জন্য আমরা কি তাকে দোষী করতে পারি? কক্ষনো না। তার পরিবর্তে আমাদের ইঙ্গিত করতে হবে ইলামের প্রতি। বিন লাদেন তো অক্ষরে অক্ষরে ইসলাম পালন করছে। সে নিঃসন্দেহে ইসলামের নির্ভীক সেনানি, একেবারে খাঁটি মুসলমান।
এখন আমার কথায় আসা যাক। আমার ইসলাম ছাড়ার ঘটনা শুরু হয় আমি যখন পঞ্চম গ্রেডের ছাত্র। আমি কোরানের সুরা আল-কাহফ্‌ আয়াত ৮৬ (১৮:৮৬) পড়লাম। এখানে লেখা আছে, যখন জুলকারনাইন সুর্যাস্তের প্রান্তে পৌছাল, তখন সে দেখল, অনেক লোক সূর্যের প্রচণ্ড তাপে অসহনীয়ভাবে পীড়িত। এর কারণ হল - সূর্য‌টা তখন ঐ লোকদের খুব কাছাকাছি ছিল। ঐ একই ঘটনা ঘটল যখন সে সূর্যোদয়ের প্রান্তে পৌঁছাল।

আমি ভাবলাম: এটা কীভাবে সম্ভব! পৃথিবী তো একটা বলের মত গোলাকার। তাহলে জুলকারনাইন কেমনভাবে পৃথিবীর প্রান্তে প্রান্তে পৌঁছাল? আমি আমার শিক্ষককে এ বিষয়ে জিজ্জাসা করলাম। আমার শিক্ষক একেবারে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে গেলেন। তিনি কোনো উত্তর দিতে পারলেন না, শুধু বললেন, কোরানে যা লেখা আছে, তাতেই বিশ্বাস করতে হবে - কোনো প্রশ্ন করা চলবে না।

এই ভাবে কোরানের প্রতি আমার সংশয় শুরু হয়।
এরপর একটা বিশাল বিস্ময় আমার মনকে পীড়িত করলো। আমি জানলাম যে, আমি যদি ভাল মুসলিম হতে চাই, তবে আমাকে অবশ্যই অমুসলিমদের থেকে দূরে থাকতে হবে। আরো বিস্মিত হলাম এই জেনে যে, আমি যদি অমুসলিমদের সাথে বন্ধুত্ব করি, তা হলে আমি কাফের হয়ে যাব।

বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই, ২০১৭

আল্লার অস্তিত্বের অখণ্ডনীয় প্রমাণ!




কৈশোরে একদিন বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছি।  এমন সময় এক বয়স্ক ও বিশাল পণ্ডিত লোকের আবির্ভাব ঘটল। আমাকে বেশ তুচ্ছ করে জিজ্ঞেস করলেন, শোনলাম তুমি নাকি নাস্তিকতা করে বেড়াচ্ছ?



আমি বললাম, ঠিক তা না, কিছু প্রশ্নের উত্তর খুঁজছি। সেটা যার সাথেই আলোচনা করি সে-ই বলে নাস্তিক।


-          তুমি বাচ্চা ছেলে। আল্লাহকে তো বড় বড় জ্ঞানী-গুণীরাই বুঝে না। জ্ঞান কম থাকলে ইমান চলে যায় আর জ্ঞানের গভীরতা বাড়লে ইমানে বল আসে। তুমি মরিস বুকাইলির বই পড়েছ?

-          বইটি পড়েছি, আমার জ্ঞান বাড়াতে আর কী করা দরকার?


-          বেশি কিছু না। তোমার দেহের দিকে তাকাও। আল্লাহকে দেখতে পাবে। 


-          সেটা কী রকম


-          সুরা ত্বীনে আল্লাহ বলেছেন, লাক্বাদ খালাক্বনাল ইনসানা আহসানি তাক্বওয়িম। অর্থাৎ আল্লাহ মানুষকে সর্বোত্তমে অবয়বে সৃষ্টি করেছেন। দেখো আমাদের কী সুন্দর চোখ, কী সুন্দর চেহারা!


-          কিন্তু সংজ্ঞামতে আল্লাহ পার্ফেক্ট। আল্লাহর সৃষ্টিতে কোনো খুঁত নাই। দেখেন আমাদের দেহের প্রতিটি অঙ্গে সমস্যা রয়েছে, আপনি চোখে চশমা পরে রয়েছেন। এছাড়া চোখ ঠ্যারা হয়ে যায়, অন্ধ হয়ে যায়।  এত প্রয়োজনীয় একটা অঙ্গ এত স্পর্শকাতর করে সৃষ্টি করতে হয়আমাদের দেহে এমন কোনো অঙ্গ কি আছে যেখানে সমস্যা হয় না? আমার লিগাম্যান্ট হয়ে গেছে ঢিলা, এখন হাটতে হয় সমস্যা। পাকস্থলিতে হয়ে যায় গ্যাস্ট্রিক আলসার, লিভার ড্যামেজ হয়ে যায়, কিডনি অকেজো হয়ে যায়, হার্ট এটাক হয়ে যায়। বিকলাঙ্গ, বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী শিশুর জন্ম হয়। এই গাছটার দিকে তাকিয়ে দেখেন, সোজা উপরের দিকে না বেড়ে হেলে গেছে, কখন জানি বাতাসে ভেঙ্গে পড়ে। তাহলে আল্লার সৃষ্টি কিভাবে পার্ফেক্ট হল


-          শোনো, তুমি আমার ছেলের চেয়েও কম বয়সী। এগুলোর মাধ্যমেও আল্লার প্রকাশ ঘটে, এগুলো তারই পরীক্ষা!

মঙ্গলবার, ১৮ জুলাই, ২০১৭

কোরানে ডাইনোসর...!

লিখেছেন নরমপন্থী

কিছুদিন আগে এক জাহান্নামী নাস্তিক আমাদের ইসলাম ধর্মকে কটাক্ষ করে পোস্ট দিল যে কোরানে নাকি ডাইনোসরের কথা বলা নাই। আমার তো মেজাজ খারাপ হইয়া গেল। আমি তাই কোরান শরিফে ডাইনোসর খোঁজে বের করলাম। সুরা বাকারার প্রথম তিনটি রহস্যময় অক্ষর দিয়ে আল্লাহ ডাইনোসর বুঝিয়েছেন। সুবহানআল্লাহ!  সবাইকে জানিয়ে দিন। কেউ আমিন না লিখে যাবেন না।