আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

সোমবার, ৩০ নভেম্বর, ২০১৫

যুগে যুগে দেশে দেশে নরবলি - ০২

লিখেছেন নাস্তিক ফিনিক্স

প্রাচীন চীন সভ্যতার রক্তে-মজ্জায় মিশে আছে ধর্মীয় কুসংস্কারের নানা কাহিনী। ঐতিহাসিকরা বলেন, চীনা ঘটনায় অনেক কিছুই রটনা হলেও সত্যতা প্রচুর। 

জানা গেছে, চীনের রাজা চিন-শি-হুয়াং-তি পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের অন্যতম চীনের প্রাচীর (Great Wall of China) তৈরি করেছিলেন।| এই প্রাচীর তৈরির সময় রাজা অনেক নরবলি করেছিলেন দু'টি কারণে: ১. প্রাচীরটি মজবুত হবে এবং ২. এই প্রাচীর টপকে বিদেশি আক্রমণকারীরা চীন আক্রমণ করতে ভয় পাবে।

চীনে নরবলির আরও অনেক দৃষ্টান্ত পাওয়া যার। সভ্য জগতে চীনের অনেক অবদান রয়েছে, তথাপি দেখা গেছে, স্বামীর মৃত্যুর পর কোথাও তার স্ত্রী, দাস-দাসী ও রক্ষিতাদের একই কবরে জীবন্ত সমাধিস্থ করা হয়েছে। চীনে যুদ্ধবন্দীদের ধরে যত্ন করে রাখা হত। দেবতা-পূজা দেবার সময় ঐ সব বন্দীদের হৃৎপিণ্ড কেটে বের করে নিয়ে নিবেদন করা হত দেবার্ঘের থালাতে। চীনের প্রত্যন্ত অঞ্চলের আদিম জাতি এখনও প্রতি বছর একটি কুকুরের মূর্তির সামনে নরবলি দিয়ে দেবতার আর্শীবাদ চায়। তবে সাম্প্রতিককালে এসব হলেও প্রকাশ্যে নয়, লুকিয়ে চুরিয়ে হয়ে থাকে।

চীনে আর একটি জঘন্য প্রথা বহুদিন ধরে চালু ছিল। কোনো ব্যক্তি অন্য কাউকে হত্যা (Murder) করলে হত্যাকারীর শরীরের কিছু অংশ কেটে নিয়ে অথবা সরাসরি দেবস্থানে বলি দিয়ে নিহত মানুষটির আত্মার শান্তি কামনা করা হতো।

চীনে যেমন 'জীবন্ত কবরস্থ প্রথা' চালু ছিল, মিশরেও (Ancient Egypt) তেমনটাই ছিল। প্রাচীন মিশরে ফ্যারাও বা আভিজাত ধনী ব্যক্তির মৃত্যু হলে তার পিরামিডের মধ্যে তার স্ত্রী আত্মীয়-পরিজন, কর্মচারী, সৈনিক সবাইকে ঢুকিয়ে দিয়ে এক প্রকার কবরস্থ করা হত।


পণ্ডিত ডায়োডরাস লিখেছেন, প্রাচীন মিশরীয় দেবতা ওসিরিসের (Osiris) উদ্দেশে এক রাজা আরক্ত রঙের একজন মানুষকে বলি দিত। মিশরীয়রা একে কুপ্রথা না বলে 'একটি স্বাভাবিক সামাজিক বিধান' বলে মনে করতো।

প্রতি বছর নীলনদের জলে একজন করে যুবতীকে ডুবিয়ে মারা তথা উৎসর্গ করা হত।| এভাবে ডুবিয়ে মারলে নদীর দেবতা নাকি খুশি হয়ে সারা বছর নদীকে স্রোতস্বিনী ও সমৃদ্ধ রাখবে।

(চলবে)

চিত্রপঞ্চক - ১৩৮

সর্বমোট পাঁচটি ছবি। নিচের খুদে ছবিগুলোয় একের পর এক ক্লিক করুন।

প্রক্সি ব্যবহারকারীদের জন্য সরাসরি লিংক: http://imgur.com/a/W3fos

ভণ্ড জাকির নায়েকের ভণ্ডামি: পর্ব দুই (প্রথম অংশ)

লিখেছেন ডঃ চ্যালেঞ্জ নায়েক


জাকির নায়েক তার 'কুরআন এবং আধুনিক বিজ্ঞান - বিরোধ নাকি সাদৃশ্য' শীর্ষক বক্তৃতায় সূর্যের এবং চাঁদের পরিভ্রমণ বা গতিশীলতা সম্পর্কে নিম্নোক্ত কথাগুলো বলেছে:
আগেকার দিনে ইউরোপীয়রা মনে করতো যে, পৃথিবী এই বিশ্বজগতের কেন্দ্রে একেবারে স্থির হয়ে বসে আছে, আর সূর্যসহ অন্য সব গ্রহ-নক্ষত্র পৃথিবীর চারপাশে প্রদক্ষিণ করছে। এই মতবাদকে বলা হতো থিওরী অফ জিওসেন্ট্রিজম। এই মতবাদে বিশ্বাস করতেন টলেমী খ্রিষ্টপূর্ব দ্বিতীয় শতকে এবং তার পরবর্তীতে এই মতবাদ টিকে ছিল ১৬০০ শতাব্দী পর্যন্ত। যতদিন না কোপারনিকাস বললেন যে, পৃথিবীসহ অন্যান্য গ্রহ সূর্যের চারপাশে প্রদক্ষিণ করছে। আর পরবর্তীতে ১৬০৯ খ্রিষ্টাব্দে ইউহান্নেস কেপলাম, তিনি তার বই এস্টোনবিয়া নবিয়াতে লিখেছেন যে, এই সৌরজগতে পৃথিবী আর অন্যান্য গ্রহ শুধু সূর্যের চারপাশে প্রদক্ষিণ করে না, তারা নিজ অক্ষের চারপাশেও প্রদক্ষিণ করে।
আমি যখন স্কুলে ছিলাম, তখন পড়েছিলাম যে, পৃথিবী আর অন্যান্য গ্রহ নিজ অক্ষের চারপাশে প্রদক্ষিণ করে। তখন আমি পড়েছিলাম যে, সূর্য স্থির থাকে, সূর্য তার নিজ অক্ষের চারপাশে প্রদক্ষিণ করে না। কিন্তু পবিত্র কুরআনে সুরা আল আম্বিয়ার ৩৩ নাম্বার আয়াতে উল্লেখ করা আছে, "হুয়াল্লাজি খালাকা লাইলা ওয়া নাহারা"; "আর আল্লাহ তাআলাই সৃষ্টি করিয়াছেন রাত্রি এবং দিবস", "ওয়া সামসু ওয়া কামার"; "আর সূর্য এবং চন্দ্র", "কুল্লুনফি ফালাকী ইয়াজবাহুন", "প্রত্যেকেই নিজ নিজ কক্ষপথে বিচরণ করিতেছে তাহাদের নিজস্ব গতিতে।" এখানে আরবি শব্দটি 'ইয়াজবাহুন', এটা এসেছে মূল শব্দ সাবাহা থেকে; যেটা দিয়ে চলন্ত কোনোকিছুর গতিকে বোঝানো হয়।
যদি আমি বলি, একজন মানুষ মাটির ওপরে সাবাহা করছে, তার মানে এই নয় যে, সে মাটিতে গড়াগড়ি করছে। এর অর্থ সে হাটছে অথবা দৌড়াচ্ছে। যদি আমি বলি, একজন মানুষ পানিতে সাবাহা করছে; তার মানে এই নয় যে, সে ভেসে আছে। এটার অর্থ - সে সাঁতার কাটছে। একইভাবে পবিত্র কুরআনে যখন বলা হচ্ছে 'ইয়াজবাহুন' যার মূল শব্দ ‘সাবাহা’, গ্রহ-নক্ষত্র সম্পর্কে তখন সেটা উড়ে যাওয়া বোঝায় না, নিজ অক্ষের চারদিকে প্রদক্ষিণ করা বোঝায়।
আর এখন বিজ্ঞানের কল্যাণে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে সূর্যের ইমেজ ঘরে বসেই পরীক্ষা করা যায়। দেখা যাবে বেশ কিছু কালো রঙের বিন্দু আছে। আর এই কালো বিন্দুগুলো আনুমানিক ২৫ দিনের মধ্যে একবার নিজ অক্ষকে প্রদক্ষিন করবে। যার অর্থ - সূর্য আনুমানিক ২৫ দিনের মধ্যে নিজ অক্ষের চারপাশে প্রদক্ষিণ করে। একবার চিন্তা করুন, পবিত্র কুরআন সূর্যের গতি আর নিজের অক্ষের চারপাশে প্রদক্ষিণের কথা বলেছে আজ থেকে ১৪০০ বছর আগে, যেটা বিজ্ঞান আবিষ্কার করেছে কিছু দিন আগে!
পবিত্র কুরআনের সূরা ইয়াসিনের ৪০ নাম্বার আয়াতে উল্লেখ করা আছে যে, "সূর্যের পক্ষে সম্ভব নয় চন্দ্রের নাগাল পাওয়া এবং রজনীর দিবসকে অতিক্রম করা।" "কুল্লুনফি ফালাকী ইয়াজবাহুন", "এবং প্রত্যেকে নিজ নিজ কক্ষপথে সন্তরণ করে তাহাদের নিজস্ব গতিতে।" পবিত্র কুরআনে এই কথাটা দিয়ে কি বোঝানো হয়েছে যে, "সূর্যের পক্ষে সম্ভব নয় চন্দ্রের নাগাল পাওয়া"? আগেকার দিনের মানুষ মনে করতো যে, সূর্য আর চাঁদের কক্ষপথ একটাই। কিন্তু পবিত্র কুরআন বলছে, না, সূর্য আর চাঁদের কক্ষপথ দুটোই আলাদা। তাই একটার পক্ষে আরেকটার নাগাল পাওয়া সম্ভব নয়। আর এরা দুটোই সূর্য এবং চাঁদ, গতিশীল আর নিজ অক্ষকে প্রদক্ষিণ করে।
পবিত্র কুরআনের সূরা ইয়াসিনের ৩৮ নাম্বার আয়াতে উল্লেখ করা আছে, "ওয়া সামসু তাজি লিমুসতাকারিল্লাহা" যে, সূর্য ভ্রমণ করে ওহার নির্দিষ্ট পথে নির্দিষ্ট গন্তব্যের দিকে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে। এখানে আরবি শব্দ মুসতাকার অর্থ একটি নির্দিষ্ট গন্তব্য, অথবা একটা নির্দিষ্ট সময়। আজকের দিনে বিজ্ঞান জানতে পেরেছে যে, সূর্য এই সৌরজগতকে নিয়ে বিশ্বজগতের দিকে একটি নির্দিষ্ট পয়েন্টের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, যে পয়েন্টাকে বিজ্ঞানীরা বলে থাকেন সোলার এপেক্স। এই পয়েন্টের দিকে সূর্য যাচ্ছে প্রতি সেকেন্ডে ১২ মাইল গতিতে। আর এভাবেই সূর্য যে-পয়েন্টের দিকে এগোচ্ছে, সেটার নাম কন্সোলেশন অফ হারকিউলিস। এই একই কথা বলা হয়েছে পবিত্র কুরআনের সূরা রাদের ০২ নাম্বার আয়াতে। আর এছাড়াও সূরা ফাতির ১৩ নাম্বার আয়াতে। সূরা লোকমানের ২৯ নাম্বার আয়াতে উল্লেখ করা আছে। আর এছাড়াও সূরা আল জুমার ০৫ নাম্বার আয়াতে উল্লেখ করা আছে যে, "সূর্য এবং চন্দ্র ওহারা প্রত্যেকে পরিভ্রমন করে এক নির্দিষ্টকাল পর্যন্ত।"
এটাই ছিল জাকির নায়েক কর্তৃক 'কুরআন এবং আধুনিক বিজ্ঞান - বিরোধ নাকি সাদৃশ্য'-এ বলা কথাগুলো। এখন আমরা দেখবো, জাকির নায়েক তার এই বক্তৃতায় কী কী মিথ্যে কথা বলেছে এবং কী কী প্রতারণা করেছে এবং সেগুলো কীভাবে করেছে।

প্রথমেই জাকির নায়েক কর্তৃক উল্লেখিত আয়াতগুলোকে পর্যায়ক্রমে পর্যালোচনা করে দেখি, সেখানে আসলে কী বলা হয়েছে। জাকির নায়েক প্রথমে সূরা আম্বিয়া’র ৩৩ নাম্বার আয়াতের কথা উল্লেখ করে বলেছে, সূর্য ও চন্দ্র যে নিজ নিজ অক্ষকে প্রদক্ষিণ করে, সেটা এই আয়াতে বলা হয়েছে। প্রকৃত আয়াতটি হলো, "আল্লাহই সৃষ্টি করেছেন রাত্রি ও দিবস এবং সূর্য ও চন্দ্র; প্রত্যেকেই নিজ নিজ কক্ষপথে বিচরণ করে।" এই আয়াতে সূর্য ও চন্দ্রের নিজ নিজ কক্ষপথে বিচরণ করার পাশাপাশি রাত ও দিনের নিজ নিজ কক্ষপথে বিচরণের কথাও বলা হয়েছে। বলা হয়েছে, রাত ও দিন এবং সূর্য ও চন্দ্র প্রত্যেকে নিজ নিজ কক্ষপথে বিচরণ করে। অর্থাৎ রাত-দিন ও চন্দ্র-সূর্য সবগুলোই নিজ নিজ কক্ষপথে বিচরণ করে।

এই আয়াতের অন্যান্য অনুবাদগুলো লক্ষ্য করি, "আল্লাহই সৃষ্টি করেছেন রাত্রি ও দিবস এবং সূর্য ও চন্দ্র; প্রত্যেকেই নিজ নিজ কক্ষপথে বিচরণ করে।" (অনুবাদ- প্রফেসর ডঃ মুহাম্মদ মুজীবুর রহমান) "আল্লাহ তায়ালাই রাত, দিন, সুরুজ ও চাঁদকে পয়দা করেছেন; (এদের) প্রত্যেকেই (মহাকাশের) কক্ষপথে সাঁতার কেটে যাচ্ছে।" (অনুবাদ- হাফেজ মুনির উদ্দীন আহমদ) "আর তিনিই সেই জন যিনি রাত ও দিনকে এবং সূর্য ও চন্দ্রকে সৃষ্টি করেছেন। সব কটি কক্ষপথে ভেসে চলেছে।" (অনুবাদ- ডঃ জহুরুল হক) "It is He Who created the Night and the Day, and the sun and the moon: all [the celestial bodies] swim along, each in its rounded course." (অনুবাদ- Abdullah Yusuf Ali) "And He it is Who created the night and the day, and the sun and the moon. They float, each in an orbit." (অনুবাদ- Mohammad Marmaduke Pickthal)

প্রত্যেকটি অনুবাদ বলছে, সূর্য ও চন্দ্রের মত রাত ও দিনও নিজ নিজ কক্ষপথে বিচরণ করে। এর অর্থ রাত, দিন, সূর্য ও চন্দ্র প্রত্যেকটি একই রকম কক্ষপথে বিচরণ করে বা ভেসে বেড়ায়।

এই আয়াতটিতে কখনই সূর্য ও চন্দ্রের নিজ নিজ অক্ষের চারদিকে প্রদক্ষিণের কথা বলা হয়নি, যেমনটা জাকির নায়েক বলেছে। বোঝা যাচ্ছে, জাকির নায়েক সব সময়ের মতই মিথ্যে কথা বলছে। এবং উল্টাপাল্টা কথা বলে তার মতকে প্রমাণ করার চেষ্টা করছে। এ জন্য সে মিথ্যের আশ্রয়ও নিচ্ছে, যেমনটা সে সব সময়ই করে থাকে।

(চলবে)

আল্যা এতো সেক্সি কেন


রবিবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৫

বিন্দু বিন্দু হিন্দু আসুরিকতা - ০২

১. কর্নাটকের এক বিজেপি নেতা গোমাংস খাওয়ার ‘অপরাধে’ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার মুণ্ডচ্ছেদ করার হুমকি দিলেন প্রকাশ্যে।

২. হিন্দুধর্মও নারীকে দিয়েছে সর্বোচ্চ সম্মান। রজঃস্বলা নারী মন্দিরে ঢুকে মন্দিরকে অপবিত্র যাতে না করতে পারে, তাই ঋতুস্রাব-সনাক্তকারী স্ক্যানার আবিস্কৃত হলেই মন্দির-কর্তৃপক্ষ সেটি স্থাপন করবে।

৩. স্টেম সেল থেরাপির সূত্রপাত হয়েছে ১০০ কৌরবের জন্মের সময় এবং মোটরগাড়ি ছিলো বৈদিক যুগেও - গুজরাটে স্কুলের পাঠ্যপুস্তকে এমন তথ্য দেয়া আছে।

৪. হিন্দু জঙ্গি দল 'হনুমান সেনা' (নাম বটে!) হুমকি দিয়েছে এক নাট্যকারকে।

৫. আরেক হিন্দু জঙ্গি দল শিব সেনা ঘোষণা দিয়েছে, ভারতে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা ক্রমবর্ধমান বলে মন্তব্য করা চিত্রাভিনেতা আমির খানকে কেউ চড় মারতে পারলে তাকে এক লক্ষ রুপি পুরস্কার দেয়া হবে।

৬. শিব সেনার এক নেতা আরও এক কাঠি সরেস। ভারতে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের নিরাপত্তা ও সহিষ্ণুতা বিষয়ে অভিযোগ করবে যে-ব্যক্তি, তাকে হত্যা করে হবে, হোক সে শাহরুখ, সালমান বা আমির খান।

৭. উত্তরাখণ্ডের (আগের নাম উত্তরাঞ্চল) মুখ্যমন্ত্রী বলেছে, যে গরু হত্যা করে, সে ভারতের শত্রু ও তার অধিকার নেই ভারতে বাস করার।

৮. নরবলি। নয় বছরের বালককে তান্ত্রিকরা হত্যা করেছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

৯. নোবেল পুরস্কার কৃষ্ণাঙ্গদের দেয়া হয় না! আর তাই গায়ের রং কালো বলেই নোবেল পুরস্কার থেকে বঞ্চিত হয়েছে বলে দাবি করেছে বাবা রামদেব।

১০. "স্যার বলেছে, আমি দলিত সম্প্রদায়ের, তাই পুজোয় অংশ নিতে পারবো না", বলেছে এক দলিত স্কুলবালিকা।

ইছলামী কল্পকাহিনী

ইছলাম ত্যাগের কারণসমূহ - ০৩

ব্রিটেনের কাউন্সিল অভ এক্স-মুসলিম নামের সংগঠনের উদ্যোগে #ExMuslimBecause নামে টুইটারে একটি প্রচারণা শুরু করার অফিসিয়াল তারিখ ছিলো ১০ ডিসেম্বর। কিন্তু তার আগেই এই আন্দোলন অনেক জনপ্রিয় হয়ে গেছে। প্রাক্তন মুছলিমরা উপস্থাপন করছে ইছলাম ত্যাগের বিবিধ কারণ। অতি দীর্ঘ ও ক্রমবর্ধমান এই কারণ-তালিকা থেকে কিছু সরস ও সিরিয়াস কারণ অনুবাদ করে প্রকাশ করা হবে ধারাবাহিকভাবে। 

পর্ব ১ > পর্ব ২

MeadowsTheOwl: আমি প্রাক্তন মুছলিম, কারণ শিয়া মুছলিমের সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব সুন্নী ইছলামের জন্য লজ্জাজনক।

Ahura Mazda: আমি প্রাক্তন মুছলিম, কারণ নামাজরত মুছলিম পুরুষের সামনে দিয়ে নারী হেঁটে গেলে পুরুষটির নামাজ বাতিল হয়ে যায়।

Reema: আমি প্রাক্তন মুছলিম, কারণ আমি বছরের পর বছর প্রার্থনা করেছি, কেঁদেছি, অনুনয়-বিনয় করেছি আল্যার কাছে আমার সন্দেহ দূর করার জন্য একটি সংকেত দিতে। কিন্তু আমি যতো বেশি পড়েছি, ততো বেশি দূরে সরে গেছি ধর্ম থেকে।

Ali Utlu: আমি প্রাক্তন মুছলিম তথাকথিত খাছ মুছলিমদের কারণে।

টোস্টার: আমি প্রাক্তন মুছলিম, কারণ ভোর রাত থেকে শুরু করে দিনে পাঁচ-পাঁচবার উচ্চৈঃস্বরে মাইকে শব্দদূষণ করা হয়।

Musa Aziz: আমি প্রাক্তন মুছলিম, কারণ পৌরাণিক রূপকথার চেয়ে বাস্তবতা ও অজ্ঞতার চেয়ে যুক্তির প্রতি আমার পক্ষপাতিত্ব।

Aisha Akbar: আমি প্রাক্তন মুছলিম, কারণ আমার জীবনে পড়া সবচেয়ে সহিংস বইয়ের নাম কোরান। http://quran.com ২:১৯১, ২:২১৬, ৩:১৫১, ৪:৮৯, ৫:৩৩, ৮:১২, ৯:৫, ৪৭:৪...

শ্রাবণ রাসেল: আমি প্রাক্তন মুছলিম, কারণ কলেজে পড়ার সময় শিবিরের মেসে থাকতাম। ২০০৬ এর ১লা জানুয়ারী রাতে Thirty 1st Night উপলক্ষে কনসার্টে গেলে আমার মেসের সিট বাতিল করে দেয়। নামাজ না পড়ার জন্য আমাকে আর্থিক জরিমানা করা হয়।

Ogo Mmuo: আমি প্রাক্তন মুছলিম, কারণ আমি শান্তিবাদী।

Ibrahim Abdallah: আমি প্রাক্তন মুছলিম, কারণ হাইড পার্কের স্পিকার'স কর্নারেও আমি আমার মতামত খোলাখুলি প্রকাশ করতে পারি না মুছলিমদের কারণে।

litridito: আমি প্রাক্তন মুছলিম, কারণ শিশুরা মারা যাচ্ছে, তবু আপনাদের আল্লাহ ফাতিমা ও জয়নাবের চুল দেখানোর বিষয় নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন।

mustafa: আমি প্রাক্তন মুছলিম, কারণ আমি ১৪ বছর ধরে দোয়া-মোনাজাত করেছি এবং তারপরে অনুধাবন করেছি, এতোদিন আমি স্রেফ নিজের সঙ্গে কথা বলছিলাম।

আমার বোরখা-ফেটিশ – ১৬২

নাজনীন আক্তার হ্যাপীর ফেসবুক ওয়াল-এর স্ক্রিনশট

একটি দুঃসংবাদ: সুইজারল্যান্ডের দোকানপাট, রেস্টুরেন্ট ও সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর ভবনে বোরখা নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়েছে। আইন অমান্য করলে জরিমানা - সাড়ে ছয় হাজার পাউন্ড মাত্র!

শনিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০১৫

আয়েশার প্রতি অপবাদ - ২: মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীদের প্রতিক্রিয়া!: কুরানে বিগ্যান (পর্ব-১০৩): ত্রাস, হত্যা ও হামলার আদেশ – সাতাত্তর

লিখেছেন গোলাপ

পর্ব ১ > পর্ব ২ > পর্ব ৩ > পর্ব ৪ > পর্ব ৫ > পর্ব ৬ > পর্ব ৭ > পর্ব ৮ > পর্ব ৯ > পর্ব ১০ > পর্ব ১১ > পর্ব ১২ > পর্ব ১৩ > পর্ব ১৪ > পর্ব ১৫ > পর্ব ১৬ > পর্ব ১৭ > পর্ব ১৮ > পর্ব ১৯ > পর্ব ২০ > পর্ব ২১ > পর্ব ২২ > পর্ব ২৩ > পর্ব ২৪ > পর্ব ২৫ > পর্ব ২৬ > পর্ব ২৭ > পর্ব ২৮ > পর্ব ২৯ > পর্ব ৩০ > পর্ব ৩১ > পর্ব ৩২ > পর্ব ৩৩ > পর্ব ৩৪ > পর্ব ৩৫ > পর্ব ৩৬ > পর্ব ৩৭ > পর্ব ৩৮ > পর্ব ৩৯ পর্ব ৪০ > পর্ব ৪১ > পর্ব ৪২ > পর্ব ৪৩ > পর্ব ৪৪ > পর্ব ৪৫ > পর্ব ৪৬ > পর্ব ৪৭ > পর্ব ৪৮ > পর্ব ৪৯ > পর্ব ৫০ > পর্ব ৫১ > পর্ব ৫২ > পর্ব ৫৩ > পর্ব ৫৪ > পর্ব ৫৫ > পর্ব ৫৬ > পর্ব ৫৭ > পর্ব ৫৮ > পর্ব ৫৯ > পর্ব ৬০ > পর্ব ৬১ > পর্ব ৬২ > পর্ব ৬৩ > পর্ব ৬৪ > পর্ব ৬৫ > পর্ব ৬৬ > পর্ব ৬৭ > পর্ব ৬৮ > পর্ব ৬৯ > পর্ব ৭০ > পর্ব ৭১ > পর্ব ৭২ > পর্ব ৭৩ > পর্ব ৭৪ > পর্ব ৭৫ > পর্ব ৭৬ > পর্ব ৭৭ > পর্ব ৭৮ > পর্ব ৭৯ > পর্ব ৮০ > পর্ব ৮১ > পর্ব ৮২ > পর্ব ৮৩ > পর্ব ৮৪ > পর্ব ৮৫ > পর্ব ৮৬ > পর্ব ৮৭ > পর্ব ৮৮ > পর্ব ৮৯ > পর্ব ৯০ > পর্ব ৯১ > পর্ব ৯২ > পর্ব ৯৩ > পর্ব ৯৪ > পর্ব ৯৫ > পর্ব ৯৬ > পর্ব ৯৭ > পর্ব ৯৮ > পর্ব ৯৯ > পর্ব ১০০ > পর্ব ১০১ > পর্ব ১০২

স্বঘোষিত আখেরি নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ও তাঁর অনুসারীরা বানু আল-মুসতালিক গোত্রের ওপর সফল হামলাটি (পর্ব: ৯৭-১০১) সম্পন্ন করার পর মদিনায় প্রত্যাবর্তনকালে পথিমধ্যে তাদের অজ্ঞাতেই নবীপত্নী আয়েশা বিনতে আবু বকর কীভাবে একটি রাতের কিয়দংশ থেকে পর দিন দুপুর নাগাদ পর্যন্ত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলেন; অতঃপর সেই নিশুতি রাতে আরবের ধু-ধু মরুপ্রান্তর থেকে সাফওয়ান বিন আল-মুয়াত্তাল বিন আল-সুলামি (Safwan b. al-Mu'attal al-Sulami) নামের এক মুহাম্মদ-অনুসারী কী অবস্থায় ১৩-১৪ বছর বয়সী কিশোরী আয়েশাকে উদ্ধার করেছিলেন; রাত্রিশেষে পরদিন দুপুর নাগাদ সাফওয়ান বিন আল-মুয়াত্তাল-এর উটের পিঠের ওপর সওয়ার হয়ে আয়েশা যখন মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীদের পরবর্তী বিশ্রামস্থলে এসে পৌঁছেন, তখন মুহাম্মদ-অনুসারীদের অনেকে আয়েশা সম্পর্কে কীরূপ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছিলেন - ইত্যাদি বিষয়ের আলোচনা আগের পর্বে করা হয়েছে। ইসলামের ইতিহাসের "আয়েশার প্রতি অপবাদ" উপাখ্যানের সম্পূর্ণই অভিযুক্ত আয়েশার নিজস্ব বর্ণনা।

মুহাম্মদ ইবনে ইশাকের (৭০৪-৭৬৮ সাল) বর্ণনা:  [1] [2] [3]

পূর্ব প্রকাশিতের (পর্ব: ১০২) পর:

'তারপর আমরা মদিনায় প্রত্যাবর্তন করি ও অবিলম্বেই আমি (আয়েশা) খুবই অসুস্থ হয়ে পড়ি, তাই এ বিষয়ের কিছুই আমার কর্ণগোচর হয় না। এই রটনাটি আল্লাহর নবী ও আমার পিতা-মাতার কাছে পৌঁছে, কিন্তু তাঁরা আমাকে তার কিছুই জানায় না, যদিও আমি আমার প্রতি আল্লাহর নবীর অভ্যস্ত উদারতার অভাব বুঝতে পারি। আগে যখন আমি অসুস্থ হতাম, তখন তিনি আমার প্রতি সমবেদনা ও উদারতা প্রদর্শন করতেন। কিন্তু আমার এবারের অসুস্থতায় তিনি তা করেননি এবং আমি তাঁর মনোযোগের অভাব বোধ করি।

আমার মা (উম্মে রুমান) যখন আমার সেবা-শুশ্রূষা করছিলেন, তখন তিনি আমাকে দেখতে আসেন ও একমাত্র যে কথাটি তিনি বলেন, তা হলো, "সে কেমন আছে?, যা আমাকে ব্যথিত করে [4]। তাই আমি তাঁকে অনুরোধ করি যে, তিনি যেন আমাকে আমার মা-এর কাছে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন, যাতে মা আমার শুশ্রূষা করতে পারে।

তিনি বলেন, "তোমার যা ইচ্ছা হয় তাই করো"। অতঃপর আমাকে আমার মায়ের কাছে পাঠানো হয় ও প্রায় বিশ দিন পরআমার সুস্থ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত আমি এই ঘটনার কিছুই জানতে পারি না। 

আরবের জনগণ আমরা: বিদেশীদের বাড়ি-ঘরের মত আমাদের বাড়িতে তখন কোনো পায়খানা (টয়লেট) ছিল না; আমরা তাদের দারুণ অপছন্দ ও ঘৃণা করতাম। আমাদের অভ্যাস ছিল বাইরের মদিনার খোলা মাঠে যাওয়ার। মহিলারা প্রত্যেক রাতেই বাহিরে যেত ও আমি এক রাতে উম্মে মিসতাহ বিনতে আবু রুহম (Umm Mistah d. Abu Ruhm) বিন আল-মুত্তালিব বিন আবদ মানাফ (তার মা ছিলেন আবু বকরের আন্টি, সাখর বিন আমির বিন কা'ব বিন সা'দ বিন তায়েম-এর কন্যা) এর সঙ্গে বাইরে যাই। আমার সঙ্গে হাঁটার সময় হোঁচট খেয়ে তিনি তার গাউনের ওপর পড়ে যান ও চিৎকার করে বলেন, "হোঁচট খাক মিসতাহ"; মিসতাহ ছিল আউফ (Auf) এর ডাক-নাম।

আমি বলি, "বদর যুদ্ধে [পর্ব: ৩০-৪৩] অংশগ্রহণকারী এমন একজন মুহাজির সম্বন্ধে এমন মন্তব্য করা খারাপ।"

জবাবে তিনি বলেন, "এই আবু বকর পুত্রী, তুমি কি খবরটি শোনোনি?" যখন আমি বলি যে, আমি তা শুনিনি, তিনি আমাকে মিথ্যাবাদীরা কী বলেছে, তা বলতে থাকেন। যখন আমি আমার বিস্ময় প্রকাশ করি, তিনি আমাকে যা যা ঘটেছে, তার সমস্তই খুলে বলেন। আল্লাহর কসম, যে কাজটি আমার করার দরকার ছিল, তা আমি করতে পারি না; আমি ফিরে আসি।

আমি আমার কান্না বন্ধ করতে পারি না, মনে হয় কান্নায় আমার কলিজা ফেটে যাবে। আমি আমার মাকে বলি, "আল্লাহ তোমাকে ক্ষমা করুক! লোকেরা আমার সম্বন্ধে খারাপ কথা বলছে (তাবারী: 'এবং তুমি তা জানতে') কিন্তু তুমি আমাকে কিছুই বলোনি।"

সে জবাবে বলে, "আমার ছোট্ট মামণি, এ নিয়ে বেশী দুশ্চিন্তা করো না। কদাচিৎ কোনো সুন্দরী মহিলা যখন কোনো লোককে বিবাহ করে ও লোকটি তাকে ভালবাসে, তখন তার প্রতিদ্বন্দ্বী পত্নীরা যেমন সেই মহিলা সম্পর্কে পরচর্চা করে, পুরুষরাও ঠিক তাই করে।"

'আল্লাহর নবী উঠে যান ও তাঁর লোকদের উদ্দেশে ভাষণ দেন, যদিও আমি এর কিছুই জানতাম না। আল্লাহর প্রশংসা করার পর তিনি বলেন, "কিছু লোক আমার পরিবারের লোকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে ও আমাকে চিন্তায় ফেলে কী বোঝাতে চায়? আল্লাহর কসম, আমি তাদেরকে শুধু ভাল বলেই জানি ও তারা এমন একজন পুরুষ সম্বন্ধে অপবাদ দেয়, যাকে আমি জানি একজন ভাল মানুষ হিসাবে, যে মানুষটি আমার সঙ্গ ছাড়া কখনোই আমার বাড়িতে প্রবেশ করে না।"

'সর্বশ্রেষ্ঠ অপরাধীরা ছিল খাযরাজ গোত্রের আবদুল্লাহ বিন উবাই, মিসতাহ ও হামনা বিনতে জাহাশ (Hamna d. Jahsh), কারণটি হলো তার বোন যয়নাব বিনতে জাহাশ ছিল আল্লাহর নবীর পত্নীদের একজন এবং একমাত্র সেই তার পক্ষে আমার বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে। আর যয়নাব, আল্লাহ তাকে তার ধর্ম দ্বারা রক্ষা করেছে ও সে আমার ভাল ছাড়া অন্য কিছুই বলেনি। কিন্তু হামনা তার বোনের পক্ষে দিগদিগন্তে আমার বিরুদ্ধে অপবাদ ছড়ায় এবং সে জন্য আমি খুবই কষ্ট পাই (অথবা 'সে (যয়নাব) খুবই কষ্ট পায়')।

'যখন আল্লাহর নবী এই ভাষণটি দেন তখন উসায়েদ বিন হুদায়ের (Usayd b. Hudayr) বলে, "তারা যদি আল-আউস গোত্রের লোক হয়, তবে আমরা তাদের কাছ থেকে আপনাকে পরিত্রাণ দেব; আর যদি তারা খাযরাজ গোত্রের লোক হয়, তবে আপনি আমাদের হুকুম করুন, যেন তারা তাদের কল্লা কাটতে পারে।"

সা'দ বিন উবাদা (Sa'd b. 'Ubada) উঠে দাঁড়ায় - এর আগে যাকে ধার্মিক বলে মনে করা হতো, বলে, "আল্লাহর কসম, তুই মিথ্যা বলছিস। অবশ্যই তাদের কল্লা কাটা হবে না। তুই যদি না জানতিস যে, তারা খাযরাজ গোত্রের লোক, তবে তুই এই কথাটি বলতি না। যদি তারা তোদের নিজেদের লোক হতো, তবে তুই এই কথাটি বলতি না।"

উসায়েদ জবাবে বলে, "মিথ্যুক তুই নিজে! তুই একটা মুনাফিক (disaffected), যে একজন মুনাফিকের সমর্থনে মুনাফিকদের পক্ষে ঝগড়া করে।"

অবস্থা এমন ভীষণ আকার ধারণ করে যে, আউস ও খাযরাজ এই দুই গোত্রের মধ্যে প্রায় যুদ্ধের উপক্রম হয়।

আল্লাহর নবী সেই স্থান ত্যাগ করেন ও আমাকে দেখতে আসেন। তিনি আলী ও উসামা বিন যায়েদ (Usama b. Zayd)-কে তলব করেন ও তাদের পরামর্শ চান। উসামা আমার উচ্চ প্রশংসা করে ও বলে, "তারা হলো আপনার পরিবার (আয়েশার নাম ব্যবহার যত্নের সাথে এড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে) ও আপনি এবং আমরা তাদের সম্বন্ধে ভাল ছাড়া আর কিছু জানি না, এটি একটি মিথ্যা প্রচারণা ও অপবাদ।"

আর আলী বলে,
"অঢেল মহিলা আছে, আপনি সহজেই একজনের পরিবর্তে অন্য একজনকে গ্রহণ করতে পারেন। একজন ক্রীতদাসীকে জিজ্ঞাসা করুন, সে আপনাকে সত্য বলবে।"

('---- When the apostle made this speech Usayd b. Hudayr said: "If they are of Aus let us rid you of them; and if they are of the Khazraj give us your orders, for they ought to have their heads cut off." Sa'd b. 'Ubada got up - before that he had been thought a pious man and said, "By Allah, you lie. They shall not be beheaded. You would not have said this had you not known that they were of Khazraj. Had they been your own people you would not have said it." Usayd answered, "Liar yourself! You are a disaffected person arguing on behalf of the disaffectedperson arguing on behalf of the disaffected."

Feeling ran so high that they were almost fighting between these two clans of Aus and Khazraj. The apostle left and came in to see me. He called 'Ali and Usama b. Zayd and asked their advice. Usama spoke highly of me and said "They are your family (Care is taken to avoid the use of 'A'isha's name.) and we and you know only good of them, and this is a lie and a falsehood. 'As for 'Ali he said: "Women are plentiful, and you can easily change one for another. Ask the slave girl, for she will tell you the truth.")

তাই আল্লাহর নবী বুরায়েরা (Burayra)-কে জিজ্ঞাসা করার জন্য ডাকেন। আলী উঠে দাঁড়ায় ও তাকে প্রচণ্ড মারধর করে ও বলে, "আল্লাহর নবীকে যা সত্যি তা জানা।" জবাবে সে বলে, "আমি তার সম্বন্ধে ভাল ছাড়া অন্য কিছু জানি না। আয়েশার একমাত্র দোষ, যা আমি জানি, তা হলো - মাখা ময়দার তাল (dough) দলাইমলাই করার পর আমি যখন তাকে তা দেখে রাখতে বলি, তখন সে তা অবহেলা করে এবং ভেড়ারা (তাবারী: 'ভেড়ায় বাচ্চারা') এসে তা খেয়ে ফেলে!"

'অতঃপর আল্লাহর নবী আমার কাছে আসেন। আমার সঙ্গে ছিল আমার পিতা-মাতা ও এক আনসারী মহিলা, আমরা দুজনই কাঁদছিলাম। তিনি বসে পড়েন ও আল্লাহর প্রশংসা আদায় করার পর বলেন, "আয়েশা, তুমি জানো, লোকেরা তোমার সম্বন্ধে কী বলাবলি করছে। আল্লাহকে ভয় করো ও লোকেরা যা বলছে, তেমন অপকর্ম যদি তুমি করে থাকো, তবে আল্লাহর কাছে তওবা ও অনুশোচনা করো; কারণ সে তার বান্দাদের তওবা কবুল করে।"

যখন তিনি এই কথাগুলো বলেন, আমার কান্না থেমে যায় ও আমি তার কিছুই অনুভব করি না। আমি আমার বাবা ও মায়ের কাছ থেকে আল্লাহর নবীর এই উক্তির জবাবের জন্য অপেক্ষা করি, কিন্তু তারা কোনো কথাই বলে না। আল্লাহর কসম, আমার মনে হয়, আল্লাহর কাছে আমি এতই তুচ্ছ যে, সে আমার ব্যাপারে কোনো কুরানের আয়াত নাজিল করবে না, যা মসজিদে পড়া হবে ও নামাজে ব্যবহৃত হবে। কিন্তু আমি আশা করছিলাম যে, আল্লাহ তার নবীকে স্বপ্নে এমন কিছু দেখাবে, যার মাধ্যমে আল্লাহ আমার ওপর আরোপিত অপবাদের সুরাহা করবে, কারণ আল্লাহ জানে, আমি নির্দোষ; অথবা অন্য কোনো মাধ্যমে তাদের যোগাযোগ হবে।

যখন আমি দেখি যে, আমার পিতা-মাতা আমার ব্যাপারে কিছুই বলছে না, তখন আমি তাদের জিজ্ঞাসা করি, কেন তারা এমনটি করছে। তারা জবাবে বলে যে, তারা জানে না, তাদের কী বলা উচিত। আল্লাহর কসম, আমি এমন কোনো পরিবারের কথা জানি না, যারা ঐ দিনগুলোতে আবু-বকরের পরিবারের চেয়ে বেশী কষ্টভোগ করেছে।

যখন তারা চুপ করে থাকে, আমি আবার কান্নায় ভেঙে পড়ি ও বলি, "আমি কখনোই আল্লাহর কাছে তওবা করবো না, যা আপনি আমাকে করতে বলছেন। আল্লাহর কসম, আল্লাহ জানে, আমি এই ব্যাপারে নির্দোষ। আমি জানি, লোকেরা যা বলাবলি করছে, তা যদি আমি কবুল করি, তবে যা আমি করিনি, সেটাকেই স্বীকার করে নেয়ার সামিল হবে; আর তারা যা বলছে, তা যদি আমি অস্বীকার করি, তবে আপনি তা বিশ্বাস করবেন না।"

তারপর আমি বিধ্বস্ত মস্তিষ্কে ইয়াকুব (Jacob)-এর নামটি স্মরণ করার চেষ্টা করি, কিন্তু তা মনে করতে পারি না। তাই আমি বলি, "ইউসুফ (Joseph)-এর পিতা যা বলেছেন, তা-ই আমি বলবো: 'আপনি যা আমাকে করতে বলছেন, তার জবাবে আমার কর্তব্য হলো ধৈর্য ধারণ করা ও আল্লাহর সাহায্য কামনা করা।"’ (সুরা-১২:১৮) [5]

- অনুবাদ, টাইটেল, ও [**] যোগ - লেখক।]

>>> আরবের মরু প্রান্তরে সেদিনের সেই নিশুতি রাতে সত্যিই কী ঘটেছিল, তা নিশ্চিতভাবে জানা সম্ভব নয়, কারণ এই ঘটনার কোনো প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী নেই। কিন্তু অভিযুক্ত আয়েশার ওপরে বর্ণিত জবানবন্দিতে যে বিষয়টি অত্যন্ত স্পষ্ট, তা হলো - এই ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে মুহাম্মদ ও তাঁর বহু অনুসারীদের মনে "আয়েশার চরিত্র"নিয়ে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছিল। মুহাম্মদের এই অনুসারীদের অনেকেই ছিলেন তাঁর প্রতি একান্ত বিশ্বস্ত, যাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন হাসান বিন থাবিত (Hassan b. Thabit) ও তার সহকারীরা এবং আলী ইবনে আবু-তালিব।

এই ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে মুহাম্মদ অনুসারীরা ছিলেন দ্বিধাবিভক্ত: একদল আয়েশার পক্ষে, আর এক দল আয়েশার চরিত্রে সন্দিহান। এই ব্যাপারে তাঁরা এতটায় দ্বিধাবিভক্ত ছিলেন যে, তাঁরা মুহাম্মদের উপস্থিতিতেই নিজেদের মধ্যে তীব্র কোন্দলে লিপ্ত হয়ে প্রায় রক্তারক্তি অবস্থায় পৌঁছেছিলেন।

ওপরে বর্ণিত বর্ণনায় আমরা আরও জানতে পারি যে, এই ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে মুহাম্মদ ছিলেন বিমর্ষ, দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ও তাঁর এই প্রিয় পত্নী আয়েশার প্রতি বীতশ্রদ্ধ। তিনি নিজেও আয়েশার বর্ণিত আত্মপক্ষ সমর্থনের কাহিনী যে বহুদিন যাবত (প্রায় এক মাস) বিশ্বাস করেননি, তা ওপরে বর্ণিত বর্ণনায় অত্যন্ত স্পষ্ট! এই ঘটনার এমন কোনো প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী ছিল না, যার সাক্ষ্যের ওপর ভিত্তি করে মুহাম্মদ আয়েশার এই আত্মপক্ষ সমর্থনের বিবৃতির (Testimony) সত্য-মিথ্যা নির্ধারণ করতে পারেন। যে কারণেই সুদীর্ঘ প্রায় এক মাস যাবত মুহাম্মদ "তাঁর সৃষ্ট আল্লাহ-র" নামে কোনোরূপ ঐশী বাণীর অবতারণা করতে পারেননি (পর্ব: ৭০); মুহাম্মদ এ ব্যাপারে ছিলেন সম্পূর্ণ অসহায়! তাঁর পরিবার সম্বন্ধে তাঁর নিজেরই অনুসারীদের এই অপবাদ ও কোন্দল সহ্য করা ছাড়া তাঁর গত্যন্তর ছিল না।

তাঁর একমাত্র ভরসা ছিল "আয়েশা"!আয়েশাই ছিলেন একমাত্র ব্যক্তি, যে তাঁকে জানাতে পারে, সেই নিশুতি রাতে সত্যিই কী ঘটেছিল। যে কারণে মুহাম্মদ আয়েশাকে পরামর্শ দিয়েছিলেন, "লোকেরা যা বলছে তেমন অপকর্ম যদি তুমি করে থাকো, তবে আল্লাহর কাছে তওবা করো...।"

মুহাম্মদের সময়কালে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের জনপদবাসীদের তুলনায় আরব জনপদবাসীর প্রাত্যহিক জীবনযাত্রার মান কেমন ছিল, তার কিছুটা ধারণা পাওয়া যায় মুহাম্মদ ইবনে ইশাকের এই বর্ণনায়। ওপরে বর্ণিত বর্ণনায় আমরা জানতে পারি যে, বিদেশীদের বাড়ি-ঘরের মত তাদের বাড়িতে তখন কোন টয়লেট ছিল না। তারা তাদের প্রস্রাব-পায়খানা সম্পন্ন করতো খোলা ময়দানে। নবী-পত্নীরাও এর ব্যতিক্রম ছিলেন না। 

(চলবে)

তথ্যসূত্র ও পাদটীকা:

[1] “সিরাত রসুল আল্লাহ”- লেখক: মুহাম্মদ ইবনে ইশাক (৭০৪-৭৬৮ খৃষ্টাব্দ), সম্পাদনা: ইবনে হিশাম (মৃত্যু ৮৩৩ খৃষ্টাব্দ), ইংরেজি অনুবাদ:  A. GUILLAUME, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস, করাচী, ১৯৫৫, ISBN 0-19-636033-1, পৃষ্ঠা ৪৯৫-৪৯৬

[2] “তারিক আল রসুল ওয়াল মুলুক”- লেখক: আল-তাবারী (৮৩৮-৯২৩ খৃষ্টাব্দ), ভলুউম ৮, ইংরেজী অনুবাদ: Michael Fishbein, University of California, Los Angeles, নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি প্রেস, ১৯৮৭, ISBN 0-7914-3150—9 (pbk), পৃষ্ঠা (Leiden) ১৫২১-১৫২৫ http://books.google.com/books?id=sD8_ePcl1UoC&printsec=frontcover&source=gbs_ge_summary_r&cad=0#v=onepage&q&f=false

[3] অনুরূপ বর্ণনা (Parallal):  কিতাব আল-মাগাজি”- লেখক:  আল-ওয়াকিদি (৭৪৮-৮২২), ed. Marsden Jones, লন্ডন ১৯৬৬; ভলুম ২, পৃষ্ঠা ৪২৯-৪৩৩

ইংরেজি অনুবাদ: Rizwi Faizer, Amal Ismail and Abdul Kader Tayob;
ISBN: 978-0-415-86485-5 (pbk); পৃষ্ঠা ২১০-২১২

[4] Ibid “সিরাত রসুল আল্লাহ", ইবনে হিশামের নোট- নম্বর ৭৪০, পৃষ্ঠা ৭৬৮
“তিনি ছিলেন উম্মে রুমান, যয়নাব বিনতে আবদু দুহমান, বানু ফিরাস বিন ঘানাম বিন মালিক বিন কিনানা গোত্রের।”

[5] সুরা ইউসুফ (১২:১৮) - এবং তারা তার জামায় কৃত্রিম রক্ত লাগিয়ে আনল। বললেন: এটা কখনই নয়; বরং তোমাদের মন তোমাদেরকে একটা কথা সাজিয়ে দিয়েছে। সুতরাং এখন ছবর করাই শ্রেয়। তোমরা যা বর্ণনা করছ, সে বিষয়ে একমাত্র আল্লাহই আমার সাহায্য স্থল।

নিজেরে যখনই আবাল মনে হবে - ০৬

মাদ্রাসায় বিজ্ঞানশিক্ষা

লিখেছেন ধর্মব্যবসায়ী

১.
বায়োলজি শিক্ষক জৈবরসায়ন পড়িয়ে বুঝিয়ে দিলেন:
- প্রাণের প্রথম অণু ‘অ্যামাইনো অ্যাসিড’।

ক্লাস শেষ করে তিনি জিজ্ঞেস করলেন:
- বলো তো, প্রাণের প্রথম অণু কি ?

ছাত্ররা সমস্বরে ফরমাইল:
- অ্যাডামাইনো অ্যাসিড।

২.
রাজশাহীর এক মাদ্রাসায় শিক্ষক ক্লাসে ঢুকে বললেন:
- আজ আমরা জানবো, কীভাবে ক্যালকুলাশ করতে হয়।

সমস্ত ছাত্র সমস্বরে ফরমাইল:
- স্যার, ‘লাশ’ কীভাবে করতে হয়, সেটা আমরা জানি। ‘ক্যালকু’ কীভাবে করতে হয়, সেটা সেখান।

গরুপূজারি গাধাগুলো - ১৩২


শুক্রবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৫

ধর্মবিশ্বাসের গাণিতিক সমষ্টি, পারস্পরিক অবিশ্বাসী দৃষ্টি

লিখেছেন ভবঘুরে বিদ্রোহী

মুসলিম + বৌদ্ধ + ইহুদি + খ্রিষ্টানের বিশ্বাস = হিন্দুধর্ম সম্পূর্ণ ভুয়া ও ফাউল।

হিন্দু + বৌদ্ধ + ইহুদি + খ্রিষ্টানের বিশ্বাস = মুসলিম ধর্ম সম্পূর্ণ ভুয়া ও ফাউল।

হিন্দু + মুসলিম + ইহুদি + খ্রিষ্টানের বিশ্বাস = বৌদ্ধধর্ম সম্পূর্ণ ভুয়া ও ফাউল।

হিন্দু + মুসলিম + বৌদ্ধ + খ্রিষ্টানের বিশ্বাস = ইহুদি ধর্ম সম্পূর্ণ ভুয়া ও ফাউল

হিন্দু + মুসলিম + বৌদ্ধ + ইহুদির বিশ্বাস = খ্রিষ্টান ধর্ম সম্পূর্ণ ভুয়া ও ফাউল।

অর্থাৎ (হিন্দু + মুসলিম + বৌদ্ধ + ইহুদি + খ্রিষ্টান)-এর যুগপৎ ৪ গুণ বিশ্বাস = হিন্দু + মুসলিম + বৌদ্ধ + ইহুদি + খ্রিষ্টান  অর্থাৎ সকল ধর্ম-ই সম্পূর্ণ ভুয়া ও ফাউল।

সংখ্যাগরিষ্ঠ ধার্মিকের পারস্পরিক বিশ্বাস-অবিশ্বাসের সর্বোচ্চ দর্শনে শ্রদ্ধাশীল হয়েই আমি প্রচলিত সকল ধর্মকে ভুয়া ও ফাউল হিসাবেই জানি। সেই ভুয়া ও ফাউল দর্শনে গৎবাঁধা অগাধ পাণ্ডিত্যে দাবি রেখে ধাম্মিক তুমি নিজের আহাম্মুকিকেই ভাবছো বসে, আহা! কত্তো বড় মস্ত জ্ঞানী?!

#

নিচের পোস্টারটির আইডিয়া - ধর্মব্যবসায়ী


হা-হা-হাদিস – ১৫৭

কতো রসময় কথা গুপ্ত আছে হাদিসে!

Narated By Abu Huraira : The Prophet said, 'The (people of) Bani Israel used to take bath naked (all together) looking at each other. The Prophet Moses used to take a bath alone. They said, 'By Allah! Nothing prevents Moses from taking a bath with us except that he has a scrotal hernia.' So once Moses went out to take a bath and put his clothes over a stone and then that stone ran away with his clothes. Moses followed that stone saying, "My clothes, O stone! My clothes, O stone! till the people of Bani Israel saw him and said, 'By Allah, Moses has got no defect in his body. Moses took his clothes and began to beat the stone." Abu Huraira added, "By Allah! There are still six or seven marks present on the stone from that excessive beating."

সারমেয়-লাঙ্গুলের সহজাত স্বভাব

লিখেছেন জুলিয়াস সিজার

মনে করুন, পৃথিবীর কোনো এক উন্নত দেশে আত্মঘাতী বোমা হামলা হলো। এখনও কেউ দায় স্বীকার করেনি এই হামলার। কিন্তু বাংলাদেশে বসবাসরত আপনার বাঙালি মুসলমান বন্ধুটি কেউ দায় স্বীকার করার আগেই "ঠাকুর ঘরে কে রে আমি কলা খাই নি" এই প্রবাদ বাক্যের মতো অটোমেটিক বলা শুরু করবে, "হামলা যারা করেছে, তারা মুসলমান নয়। ইসলাম এটা সমর্থন করে না। ইসলামে কোন সন্ত্রাসবাদ নেই..."

আরে ভাই, কেউ তো এখনও বলেনি - হামলা যারা করেছে, তারা মুসলমান। তার আগেই এই বয়ান দেওয়া শুরু কেন? কারণ ঐ যে চোরের মন পুলিশ পুলিশ! পৃথিবীর যে কোনো আনাচে কানাচে, শপিং মলে, স্কুলে, উপাসনালয়ে, কবরস্থানে কিংবা টয়লেটে যেখানেই বোমা হামলা হোক, আপনি চোখ বন্ধ করে বলে দিতে পারবেন, এটা কোন ধর্মের অনুসারীদের কাজ। 

হামলাকারী জঙ্গি মুসলমানেরা তাদের কাজ করে ফেলেছে মানুষ খুন করে। তারপরের দায়িত্ব কাদের? নিশ্চয়ই মডরেট মুসলমানদের। তারা বলতে থাকবে: সন্ত্রাসীরা মুসলমান নয়, খুনিরা মুসলমান নয়, ইসলাম শান্তির ধর্ম।

সবই বুঝলাম, কিন্তু নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর কি জানা আছে আপনাদের?

- সন্ত্রাসীরা মুসলমান নয়। তারা ইসলামের নাম দিয়ে এই হত্যা করছে। তো মুসলমানদের কখনও দেখেছেন আইএস কিংবা তালেবান জঙ্গিদের বিরুদ্ধে মিছিল বের করতে? তারা যেহেতু ইসলামের নামে এসব করছে, তাহলে প্রতিবাদের দায়িত্ব কাদের?

- সন্ত্রাসীরা মুসলমান নয়, নিহত/মৃত জঙ্গিদের কবরে মুসলমানেরা ফুল দিতে যায় কেন?

- সন্ত্রাসীরা মুসলমান নয়, তো বাংলাদেশে লাদেনের ছবি বিক্রি হয় কেন? পোস্টার বিক্রি হয় কেন?

- আমরা হবো তালেবান > বাংলা হবে আফগান - এই শ্লোগানে মুসলমানেরা মিছিল করে কেন?

- ভারতের মুম্বাই বোমা হামলায় জড়িত সন্ত্রাসীর জানাজায় হাজার হাজার মুসলমান জড়ো হয় কেন?

অসহী মুসলমান এই নীতি আর কতদিন?

ভারতে সংখ্যালঘু নির্যাতন কারা করে?
- উগ্র হিন্দুরা।

মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নির্যাতন কারা করে?
- উগ্র বৌদ্ধরা।

ফিলিস্তিনিদের উপরে বোমা হামলা কারা করে?
- উগ্র ইহুদিরা।

কিন্তু বাংলাদেশে যারা সংখ্যালঘু নির্যাতন করে, আনসারুল্লাহ বাংলা টিম "নারায়ে তাকবীর আল্লাহু আকবর" স্লোগান দিয়ে কোপায়, আইএস আল্লাহু আকবর বলে বলে ফ্রান্সে এত খুন করলো, তারা কারা?

- পেইজ ৪০৪ নট ফাউন্ড। নেটওয়ার্ক এরর! কবি এখন নীরব।

মুমিনাবান্ধব পত্রিকার প্রচ্ছদ

বৃহস্পতিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৫

লুকোচুরীশ্বর

লিখেছেন মহিন উদ্দীন আহামেদ

আস্তিক: আপনি কি বিজ্ঞানে বিশ্বাস করেন?

আমি: না।

আস্তিক: কেন?

আমি: বিজ্ঞান বিশ্বাসের জিনিস নয়, মানার জিনিস, কারণ বিজ্ঞান প্রমাণ দেয়, তাই আমাকে মানতে হয়।

আস্তিক: বিজ্ঞান যদি কোনোদিন প্রমাণ দিতে পারে যে, ঈশ্বর আছেন এবং ঈশ্বরই এই মহাবিশ্ব নিয়ন্ত্রণ করছেন, তখন আপনি কী করবেন?

আমি: বিজ্ঞান যদি কোনোদিন যুক্তি-প্রমাণসহ আমাকে বুঝিয়ে দিতে পারে যে, পৃথিবীর প্রচলিত ধারণা এবং ধর্ম মতে ঈশ্বর নামে কেউ আছেন, এবং তার একটি নির্দিষ্ট ধর্ম আছে, যা তিনি মানুষকে পালন করতে নির্দেশ দিয়েছেন, তাহলে ঈশ্বরকে এবং ঈশ্বরের ধর্মকে আমি অনিচ্ছা সত্ত্বেও মানতে বাধ্য হবো।

আস্তিক: প্রমাণ হওয়ার পরেও আপনার অনিচ্ছা থাকার কারণ কী?

আমি: কারণ অনেক। যে-ঈশ্বর নরকেরও ঈশ্বর, যে-ঈশ্বর তার প্রিয় সৃষ্টিকে নরকের আগুনে জ্বালাতে মহাপরিকল্পনা করে রেখেছে, তাকে মানা যায় না। যে-ঈশ্বর ক্ষুধার্তের অন্ন যোগান না দিয়ে পরপারে স্বর্গসুখের লোভ দেখায়, তাকে মানা যায় না। এবার হোক সে আমার সৃষ্টিকর্তা, হোক সে আমার পালনকর্তা, আমি সাম্যবাদী, তবে ঈশ্বর কেন বৈষম্যকারী। আমি মুখে তখন স্বীকার করবো যে, ঈশ্বর আছে, কিন্তু আমার অন্তর কখনোই এই বৈষম্যের ঈশ্বরের প্রতি শ্রদ্ধা দেখাবে না।

আস্তিক: কিন্তু তার জন্য যে আপনাকে অনন্তকাল জাহান্নামে জ্বলতে হবে। আর ঈশ্বর যে আছেন, সেটা যদি আপনার মৃত্যুর পর প্রমাণিত হয়, তখন তো আপনার নিজেকে শোধরানোর সুযোগই থাকবে না।

আমি: ঈশ্বর যদি তার অনৈতিক নির্দেশ না মানার অপরাধে আমাকে শাস্তিদান করে, তাহলে সেই শাস্তি ভোগ করতে আমার আপত্তি নেই। আর আমি মারা যাওয়ার পর যদি কোনোদিন ঈশ্বরের অস্তিত্ব প্রমাণিত হয়, তাহলে তো তাকে না মানার কারনে সে আমায় শাস্তি দিতে পারে না। ঈশ্বর তাহলে এতো জনম কোথায় ছিলো? কেন নিজের অস্তিত্ব জানান দিলো না? তাকে কেন বিজ্ঞানীদের খুঁজে বের করতে হলো? ঈশ্বর যদি নিজে থেকে তার অস্তিত্ব জানান না দিয়ে লুকায়িত থাকে, তাহলে ঈশ্বরকে না জানার, না মানার কারণে আমি দোষী হবো কোন যুক্তিতে? যেমন ধরুন, কেউ একজন এসে বললো, আপনি যাকে বাবা বলে ডাকেন, তিনি আপনার প্রকৃত বাবা নন। তাহলে কি আপনি মেনে নেবেন? আপনি নিশ্চয় প্রমাণ চাইবেন। আর যদি প্রমাণিত হয়, আসলেই তিনি আপনার বাবা নন, তাহলে এতোদিন যাকে বাবা বলে জানতেন, আর এতোদিন যাকে বাবা ডাক শোনা থেকে বঞ্চিত করেছেন, তার দোষ কি আপনার? আপনি নিশ্চয় প্রশ্ন করবেন, এতোদিন আমার আসল বাবা কেন আমার খোঁজ নেয়নি? আমার বর্তমান বাবা কেন আমায় আসল সত্যি বলেনি? তাহলে ঈশ্বরের লুকিয়ে থাকার জন্য বা প্রমাণ না হওয়ার জন্য আমি কেন দোষী হবো। দোষ তো ঈশ্বরের।

পষ্ট কইরা লেখা - ২০

নিরাপত্তার বজ্র আঁটুনি ও ফস্কা গেরো

লিখেছেন জর্জ মিয়া

ফেসবুক বন্ধ রাখায় মানুষজন খুব  বিরক্ত হয়নি, কথাটা ঠিক। এর কারণ কী, সেটা আমরা সবাই জানি। সাকা আর মুজাহিদের মত পশুদের ফাঁসি কার্যকর করায় শুধু ফেসবুক কেন, সমগ্র ইন্টারনেট গেটওয়ে বন্ধ রাখলেও মানুষ বিরক্ত হতো না। কিন্তু কথা হচ্ছে, ফাঁসির রায় কার্যকর হয়ে গেছে। দুটোকেই হুরের কাছে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। এখনো কেন তবে ফেসবুক বন্ধ? নিউজে পড়লাম, তারানা হালিম বলছেন, যতদিন পর্যন্ত দেশের একজন মানুষও নিরাপদ না, ততদিন ফেসবুক বন্ধ রাখা হবে। দেশের মানুষ অনিরাপদ কী কারণে, সেটা সম্ভবত তাঁর জানা নেই। অবশ্য আশাও করি না যে, তিনি জানবেন। কেননা, যেখানে সেন্টিমেন্ট থিওরি কাজ করে, সেখানে এসব জানার কথা নয়। 

আর এ ব্যাপারে মিডিয়াও এখন নিশ্চুপ। বর্তমানে মিডিয়া জোর ইজতেমা, বিপিএল নিয়ে হেব্বি ব্যস্ত। এরকম অনলাইন মাধ্যম বন্ধ করে কোনো দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়, এমন নজির আমি কোথাও দেখিনি। অন্তত কোনো প্রগতিশীল দাবিদার সরকার-মিডিয়া এমন কাণ্ড করেননি। রাজাকারের ফাঁসি নিশ্চিত করতে ফেসবুক, ভাইবারসহ অন্য আরও কিছু সোস্যাল মিডিয়া বন্ধ করে দেয়ার পরে সাধারণ জনতা এটাই ভেবেছিলো; ফাঁসি হয়ে গেলে সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু যখনই প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমের মুখে নিরাপত্তার কথাটা উঠেছে, সেখানে এও পরিষ্কার বলা দরকার ছিলো যে, কারা ফেসবুকের মাধ্যমে নিরাপত্তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে? দেশের প্রায় ৯৭% মানুষ মুছলিম। তাদের ধর্ম ইছলাম। এখানের সবাই ইজতেমায় যাবে, লক্ষ-লক্ষ মুছলিম জুম্মাবারে নামাজ পড়বে। পাকিস্তান, (পড়ুন জঙ্গিস্তান), মিয়ানমারসহ বিশ্বের প্রায় সব মুছলিম দেশ থেকে মুছলিমরা আসবে। দেশের মানুষ উর্দুতে বয়ান শুনবে। আল্লা-নবীর গুণগান হবে।

এদিকে খবরে প্রকাশ ‘বাংলাদেশে নেতা পেয়েছে আইএস’ আইএস এর জঙ্গিরা বাংলাদেশে একজন ‘আঞ্চলিক নেতার অধীনে’ নতুন হামলার জন্য সংগঠিত হচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে এই দলের মাসিক পত্রিকা ‘দাবিক’-এর সর্বশেষ সংখ্যায়। আর এই আইএস-এর জিহাদিরাই ঢুকে পড়বে দেশে এই মহাপুণ্যের বিশ্ব ইজতেমায়।

ছোটবেলায় আমরা অনেকেই বনভোজন করেছি। ইজতেমা, তাবলীগ - এগুলেকে বনভোজনের সাথে তুলনা করা যায়। আমি জানি না,  নবী মোহাম্মদ কোনোদিন এমন বনভোজন করেছেন কি না। তিনি যেটা করেছেন, সেটা হচ্ছে - হিজরত (পলায়ন), যার সাথে আমি প্যারিসে হামলাকারী ঐ মুছলিমটির বেশ মিল দেখতে পাই। হামলা করে সেও পালাবার ধান্দায় ব্যস্ত। নিরাপত্তার প্রশ্নে এখানে দেখা দরকার ছিলো আসলে, কোন সমস্যার কারণে নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ? কারাই বা এসব করে থাকে? সারা বিশ্বে এখন রক্তের হলি খেলছে কারা? 

ইজতেমা মুলত তাবলিগারদের মিলনমেলা। এখান থেকেই শুরু হয় ১ চিল্লা থেকে ৩ চিল্লা পর্যন্ত। জোর ইজতেমার পরে শুরু হবে ১ম এবং ২য় পর্ব। এই মিলন মেলায় যারা আসে, তারা সবাই এখান থেকে দলে দলে ভাগ হয়ে যায়, যাকে কাফেলা বলা হয়। এই এক-একটা কাফেলা পৃথিবীর নানা দেশের দুর্গম অঞ্চলে গিয়েও ইছলাম প্রচার করার দায়িত্ব পালন করে, যাকে তাবলীগ বলে। 

এই তাবলিগের শিক্ষাটা কী, আমাদের অনেকেরই জানা নেই। এখানে কয়েকটা ধাপে তালিম (জ্ঞান) দেয়া হয়ে থাকে। যেখানে জিহাদের ব্যাপারটাও উল্লেখযোগ্য। এখানে স্পষ্টভাবেই শিক্ষা দেয়া হয়ে থাকে - যখন দলের লোকবল, অর্থবল, সামর্থ্যবল কম, তখন ইছলামের দাওয়াত এইভাবে দুর্গম অঞ্চল অব্দি পৌছে দাও। আর যখন দলের সামর্থ্য বাড়তে থাকবে, ঝাঁপিয়ে পড়ো অমুছলিমদের ওপরে। কতল করো অবশ্বাসীদেরকে, লুট করে নাও তাদের সম্পদ ও নারীদেরকে। যাকে মালে গণিমত বলা হয়ে থাকে। 

বোঝাই যাচ্ছে তাবলীগ হচ্ছে ইছলামী খেলাফতের মোহাম্মদ ও খোলাফায়ে রাশিদিন পরবর্তী নয়া তরিকা। আওয়ামীলিগের প্রভাবশালী মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকি ব্যক্তিগতভাবে তাবলীগবিরোধী মত প্রকাশ করায় তাকে মন্ত্রীত্ব হারাতে হয়েছে। আমরা নবীর জীবনীর দিকে তাকালেই দেখতে পাই, তিনি মক্কায় থাকাকালীন তার ধর্মে অনুসারী কম থাকায় প্রচলিত নির্যাতনের বিরুদ্ধে কথা বলে নির্যাতিত ও সুবিধাবঞ্চিতদের কিয়দংশ তার মতবাদে ভেড়াতে সক্ষম হয়েছিলেন। তিনি যেসব কথাবার্তা সেই সময়ে বলেছিলেন, সেসবই কোরানে ঠাই পেয়েছে মক্কী সুরা হিসেবে। আবার যখন তার এই শ’খানেক ইছলামী মতের লোক ফুলে-ফেঁপে কয়েকগুন বেড়ে গেল, ঠিক সে সময়েই তিনি হামলা করেন কাবায়। ভেঙে ফেলতে সচেষ্ট হন প্যাগানদের ধর্মীয় দেবতাদের মুর্তি। মালে গনিমত ও নারীসম্পদের লোভে (ইয়াসরিব) মদিনায় অবস্থান করলেন, তখন প্রতিটা যুদ্ধ কেমন হয়েছে, তার বিশদ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে মাদানি সুরাগুলোতে। মাদানি সুরাতে আমরা আরও দেখতে পাই দেশের শাসন থেকে শুরু করে প্রত্যেকটা বিধিকে ইছলাম তার সুবিধেমত করে পরিবর্তন, পরিবর্ধন, পরিমার্জন করেছে। সুস্পষ্ট ভাবে দেখতে পারি, সেখান ভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষদেরকে কী নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে বা সাজা পেতে হয়েছে। ঘরবাড়ি, সম্পদ ও নারীদের ইছলামী সাহাবীদের ভোগের বস্তুতে পরিণত হওয়াই অন্য মতের মানুষদের নিয়তি ছিলো। এরপরেও আরও ছিলো ‘যিযিয়া কর’।

লক্ষ্য করলে নবীজির মক্কা এবং মদিনা অবস্থান; তাবলীগ-জামায়াত ও আইএস-এর সাথে নিবিড় মিল সাদা চোখেই ধরা পড়বে। দেশের ইজতেমার পরে বাংলাদেশে যারা থেকে যায়, তারা সবাই এখন ঢাকায় কাকরাইলে অবস্থিত মার্কাস মসজিদে। কোন দল কোথায় যাবে, সেটা এখানে বসে ঠিক করা হয়ে থাকে। এই ইজতেমায় অংশ নেবে আইএস, বোকো হারামসহ প্রায় সব জঙ্গি গোষ্ঠী। ভাগ হয়ে যাবে একাধিক কাফেলায়। উদ্দেশ্য তাদের শুধুই ইছলাম প্রচার করা ও কোরান-হাদিস অনুযায়ী পরবর্তী দিকনির্দেশনা দেয়া। সেখান থেকেই দেশে বসে সারাজীবনে অন্যায় পথে উপার্জন করা অর্থের ভারে ন্যুব্জ হয়ে গেছেন এমন কোনো ব্যক্তি এই তাবলীগারদের খেদমতে (সেবায়) অর্থ দান করতে থাকবেন পুণ্যের আশায়, টাকাকে হালাল করার নেশায়। এই অর্থই হবে পরবর্তীতে জিহাদী কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য তাদের মুলধন। দেশী-বিদেশী অগণিত এমন দাতা আছে, যারা তাবলিগ জামায়তে দু'হাত ঢেলে টাকা দিয়ে যাচ্ছে। এখানে চলে মুলত ব্রেইনওয়াশ করার কাজ। কীভাবে একজন সাহাবীর ন্যায় সহি জিহাদি হতে পারে কোনো মুমিন, তার আদ্যোপান্ত দীক্ষা এখান থেকেই দেয়া হয়। এই তাবলীগ জামাতে যারা আসে, তারা যে কোনো ধরনের মুমিনই হতে পারে। তবে বেশির ভাগই আসে মহল্লার ছিঁচকে সন্ত্রাসী, ঘুষখোর সরকারী কর্মকর্তা, ধর্ষক, নেশাসক্ত। এদেরকে প্রথমেই ১ চিল্লায় যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয় না। এরা প্রথমে ৩ দিন, এরপরে এক সপ্তাহ - এভাবে ধীরে ধীরে দিন বাড়াতে থাকে। যে মসজিদে এই তাবলীগওলারা অবস্থান নেয়, তাদের বিশেষ সেবার নিয়োজিত করা হয় মাদ্রাসা ছাত্রদেরকে। এই ছাত্রদের মধ্যে যারা ক্বারী কিংবা এমন টাইটেলপ্রাপ্ত, তাদেরকে দেয়া হয় বিদেশী তাবলীগ করতে আসা লোকদের খেদমতের ভার। সেখান থেকেই এই ক্বারী কিংবা মাওলানাকে পাঠানো হয় প্রশিক্ষণ মিশনে। এসব ক্বারী ও মাওলানাদের দেখাদেখি অন্যরাও যোগ দেয়। কার্যক্রমটা এভাবেই এগোয়। 

প্রতিদিন বিকালে ও সকালে নিয়ম করে মানুষদেরকে দাওয়াত দিয়ে আনা হয় মসজিদে। আসলে এটাকে দাওয়াত বলে কীভাবে, আমি জানি না। আপনি যদি যেতে ইচ্ছুক না হন, তবে আপনাকে দেখানো হবে দোযখের, কবরের শাস্তির ভয়। এরপরে যদি যেতে না চান, তাহলে আপনার মুছলিমত্ব নিয়েই এরা টান দেবে। যদি মুছলিম হয়েই থাকেন, তবে কেন আল্লার রাস্তায় সময় দেবেন না? 

আমার একটা অভিজ্ঞতা এখানে বললে ব্যাপারটা পরিষ্কার হবে, বোধহয়। অফিস থেকে সন্ধ্যার দিকে বাসায় ফিরছি হেঁটেই। পথিমধ্যে মসজিদের সামনে ৩ জন ব্যক্তি পথ আগলে দাঁড়ালো আমার। কান থেকে হেডফোন খুলতে বলে সালাম দিলো। কতক্ষণ গ্যাঁজাইল। আমার ব্যস্ততার কথা তাদেরকে বললাম। সেই একই কথা তাদের, আল্যার রাস্তায় একটু সময় দিলে তেমন বেশি সমস্যা হবে না। আমি তাদেরকে আমার কোনো এক কলিগ অসুস্থ, এটা জানানোর পরেও তাদের ঐ একই কথা। আল্লা ভালো করে দেবেন। মেজাজ এমন চড়ে গিয়েছিলো, বলার বাইরে! আমি বললাম, "ভাই, এভাবে মানুষকে কেন হয়রানি করছেন? আমি ব্যস্ত আছি, ওখানে যাওয়ার মত সময় আমার হাতে নেই। আমার কলিগ অসুস্থ তাকেও দেখতে যেতে হবে। আপনি বললেন, আল্লা ভালো করে দেবেন। আমার কলিগ খ্রিষ্টান। কোনো খৃষ্টানকে আল্লা ভালো করেছেন, এমন কথা আমি কোথাও শুনিনি। পথ ছাড়েন, যাইতে দেন। ডাঃ ছাড়া আল্লা ওনারে ভালো করতে পারবে না।" এক প্রকার জোর করেই সেদিন আমি চলে এসেছিলাম বাসায়। 

সরকারের নীতি-নির্ধারকদের তাই বলছি, এখনো সময় আছে, ফেসবুক নয়, ইজতেমায় নজর দিন, মাদ্রাসাশিক্ষাকে নিষিদ্ধ করুন। ধর্মকে তোষামোদ করা বাদ দিন। নাহলে শুধু ফেসবুক নয়, সাবমেরিন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে সমগ্র ইন্টারনেট গেটওয়ে বিকল করে দিলেও দেশের নিরাপত্তাটা দিতে সফল কোনোভাবেই হবেন না। কারণ সমস্যাটা ফেসবুকে নয়, সমস্যাটা সেন্টিমেন্টে।

আবালআকীর্ণ এ ধরাধাম

বুধবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৫

চ্যারিটি: ইসলামী স্টাইল

লিখেছেন পুতুল হক

মুসলমানদের চ্যারিটি মানে দ্বীন শিক্ষার জন্য মাদ্রাসা-মক্তব প্রতিষ্ঠা বা তাতে দান করা, মসজিদ বানানো। মাঝে মাঝে কোনো মুসলিম ছাত্রকে বিদ্যার্জনে সাহায্য করা, মুসল্লিদের জন্য প্রস্রাবখানা, পায়খানা তৈরি করা। 

মোটকথা দ্বীনের পথের বাইরে মুসলমান একটা ফুটো পয়সাও খরচ করার কথা ভাবতে পারে না। এর ব্যতিক্রম কিছু যদি থাকে, তা সঙ্গদোষ, কাফের-নাস্তিকের সাথে মেশামেশির ফল। 

মাদ্রাসা ও এতিমখানাগুলো জঙ্গি তৎপরতার সাথে জড়িত জেনেও আমাদের দান কিন্তু থেমে নেই। আর থামবেই বা কেনো? এতিমখানার দরিদ্র শিক্ষার্থীরা জঙ্গি নয়। তারা তৈরি হচ্ছে সারাবিশ্বে আল্লার আইন চালু করার জন্য জিহাদিরূপে। সাধারণ মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব এই সমস্ত জিহাদিকে সাহায্য করা। আল্লার রাস্তায় খরচ করার জন্য মোহাম্মদ তাঁর অনুসারীদের উৎসাহ দিয়েছে, লোভ দেখিয়েছে। আর তাতেও যখন আশানুরূপ ফল পায়নি তখন হুমকি দিয়েছে। 

নবীকে তো পরবর্তীতে ইহুদি-নাসারারাও চটাতে সাহস পেত না, আর মুসলমান কীভাবে নবীকে অমান্য করবে! মদিনার বাইরে কীভাবে ইসলাম তার জাল বিস্তার করেছে? নবী ভালবেসে কতজন পৌত্তলিককে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করেছে? কতজন ইহুদি আর খ্রিষ্টানকে মুসলমান করেছে? পেশাদার লুটেরা, ডাকাত যেভাবে ভয় দেখিয়ে লুট করে, ডাকাতি করে, মোহাম্মদ ঠিক একইভাবে তার ইসলামকে প্রতিষ্ঠা করে। 

মোহাম্মদ মদিনায় যেয়ে প্রথমেই লুট আর খুনের মাধ্যমে বিধর্মীদের মনে এক ত্রাসের সৃষ্টি করে। এই ত্রাসকে বাড়িয়ে মোহাম্মদ এমন আতংকে পরিণত করে যে, বিধর্মীরা যে কোনোভাবে হোক মোহাম্মদের সাথে সংঘর্ষ এড়ানোর চেষ্টা করতো। মোহাম্মদকে নিয়ে স্যাটায়ার লেখার কারণে সে ১২০ বছর বয়স্ক কবিকে হত্যার নির্দেশ দেয়। যতরকমের মিথ্যা, কূটকৌশল আর ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নেয়া যায়, মোহাম্মদ তাঁর সবই করেছে। 

আজও মোহাম্মদের অনুসারীরা মোহাম্মদের দেখিয়ে যাওয়া পথেই হাঁটে। খুন, ধর্ষণ, বোমাবাজি আর অপহরণের মাধ্যমে প্রথমেই একটা ত্রাসের সৃষ্টি করা। এমন প্রচণ্ড ভয় তৈরি করে মানুষের মনে, যাতে করে কেউ সেসব ইসলামী জঙ্গিদের প্রতিরোধ/প্রতিবাদ করার কথা না ভাবতে পারে। শিরশ্ছেদের ফুটেজগুলো তারা ইন্টারনেটে প্রচার করে ভয়কে ছড়িয়ে দেবার জন্য। কিন্তু এখনকার পৃথিবী আর ১৪০০ বছর আগের পৃথিবী এক নয়। এখন ইহুদিরা শুধু কর্মী নয়, পৃথিবীর অন্যতম সেরা যোদ্ধা। এখনকার পৌত্তলিকেরা তাদের দেবতার মূর্তি রক্ষা করতে পারে। 

সব ধর্ম মানব সমাজকে বিভক্ত করে। নিজেকে শ্রেষ্ঠ দাবি করার মাধ্যমে অন্যকে হেয় করে। ধর্মকে নির্বাসনে যেতে হবে। কিন্তু এক ধর্ম আর এক ধর্মের বল প্রয়োগের দারা প্রতিস্থাপিত হবে - সেটা কাম্য নয়। ধর্মের নির্বাসন হবে বিজ্ঞানের দ্বারা।

সহাবস্থান-অসাধ্য ইছলাম

ইছলাম ত্যাগের কারণসমূহ - ০২

ব্রিটেনের কাউন্সিল অভ এক্স-মুসলিম নামের সংগঠনের উদ্যোগে #ExMuslimBecause নামে টুইটারে একটি প্রচারণা শুরু করার অফিসিয়াল তারিখ ছিলো ১০ ডিসেম্বর। কিন্তু তার আগেই এই আন্দোলন অনেক জনপ্রিয় হয়ে গেছে। প্রাক্তন মুছলিমরা উপস্থাপন করছে ইছলাম ত্যাগের বিবিধ কারণ। অতি দীর্ঘ ও ক্রমবর্ধমান এই কারণ-তালিকা থেকে কিছু সরস ও সিরিয়াস কারণ অনুবাদ করে প্রকাশ করা হবে ধারাবাহিকভাবে। 

পর্ব ১

সাখাওয়াত সজল: আমি প্রাক্তন মুছলিম, কারণ নাস্তিক ব্লগারদের হত্যা করা হচ্ছে আমার দেশ বাংলাদেশে, কিন্তু আমার মুছলিম বন্ধুরা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এটা সমর্থন করছে।

রায়হানা সুলতান: আমি প্রাক্তন মুছলিম, কারণ আমার জন্য ৭২ ভার্জিন নেই।

Sarah: আমি প্রাক্তন মুছলিম, কারণ বাবা-মা'র সঙ্গে বিতর্ক করলে বা ইছলামের সমালোচনা করলে তারা অবধারিতভাবে আমার ওপরে চিৎকার করে ও হুমকি দেয়।

Lalo Dagach: আমি প্রাক্তন মুছলিমদের পাশে আছি, কারণ আহমেদ একটা ঘড়ি বানিয়ে দেখা করেছে ওবামার সঙ্গে। অথচ একটি ব্লগ লিখে Raif Badawi-কে এক হাজার বেত্রাঘাত পেতে হয়েছে।

Sam Sedaei: আমাকে বলা হয়েছিল, আমি মুছলিম। কিন্তু পরে আমি জানতে পারি, ধর্ম জিন (gene) নয়। ধর্মবিশ্বাসীদের ঘরে জন্ম নিলেই ধর্মবিশ্বাসী হতে হবে, এমন কোনও কথা নেই।

ibrahimsapien: আমি প্রাক্তন মুছলিম, কারণ ধর্মত্যাগীদের জন্য মৃত্যুদণ্ডের বিধি আছে। সত্যিকারের ঈশ্বর এতোটা কাপুরুষ হতে পারে না যে, সে তার সৃষ্টিদের হুকুম করবে অন্যদের হত্যা করতে।

Maryam Namazie: আমি প্রাক্তন মুছলিম, কারণ আমি ইরান ইছলামী প্রজাতন্ত্রে বাস করেছি। এর চেয়ে খারাপ কিছু হতে পারে না।

Dr Muayad S.Rahma: আমি প্রাক্তন মুছলিম, কারণ ভালো মানুষ হতে গেলে ধর্মের প্রয়োজন নেই।

Pasha Khan: যারা আমাদের বলছে, আমরা ইছলাম ঠিকমতো বুঝিনি, তাদের উচিত এই প্রশ্নটা নিজেদেরকে করা।

Parisa: আমি প্রাক্তন মুছলিম, কারণ আমার ১৩ বছর বয়সে ইরানে রমজান মাসে কী একটা পাতা চিবোচ্ছিলাম বলে আমাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ও ৭০ বেত্রাঘাতের হুমকি দেয়া হয়েছিল।

হিজাব পর্নের পরে হিজাব রক?

ইছলামি ভণ্ডামির আরেকটি নিদর্শন: হিজাব-পরা মমিনা ইহুদি-নাছারাদের আবিষ্কৃত গিটার হাতে নিয়ে ইছলামে হারাম গান গাইছে। তো এমন একটি সঙ্গীতদলের নাম কী হতে পারে? বেশ কিছু নেটিজেন (netizen - ইন্টারনেট ব্যবহারকারী) বিখ্যাত গায়ক-গায়িকা ও গ্রুপের নামের প্যারোডি করে চমৎকার কিছু ক্রিয়েটিভ ও জুতসই নাম প্রস্তাব করেছে। নামগুলো কমলা রঙের আয়তক্ষেত্রাবদ্ধ।

যেসব গায়ক-গায়িকা ও গ্রুপের নামের প্যারোডি করা হয়েছে: Guns n' Roses, Megadeath, Rock and roll, Shania Twain, Duran Duran, Rage against the machine, Bon Jovi, Vanilla Ice, The Rolling Stones, Sonny and Cher.

মঙ্গলবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১৫

আজ কল্লা কাটার উল্লাসে

কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা আজ সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে-র প্যারোডি করেছেন নাস্তিকথন

আজ কল্লা কাটার উল্লাসে
মোর মুখ হাসে মোর চোখ হাসে মোর ভেঙ্গে যাওয়া দাঁত হাসে
আজ কল্লা কাটার উল্লাসে

আজকে আমার সজাগ ঈমান পল্ললে -
তাকবীরেতে জাগল জোয়ার মূর্তি ভাঙা কল্লোলে
নাস্তি ধরো, পাকড়ো কাফির
করব কতল সব্বারই শির
মিষ্টি হুরের সুখ আসে মোর জিভ ফেটে মোর জল আসে
ঐ জিভ ফেটে মোর জল আসে-
আজ কল্লা কাটার উল্লাসে

আসলো জেহেল আসলো লাহাব
শিরশ্ছেদে অসীম সোয়াব
তাকবীরেতে দুলবে আকাশ ছুটবে বাতাস
গগন ফেটে পাখায় হেঁটে ফেরেস্তাদের দল আসে

এর বদলা পাবি বাসরে
বেশ্যা-বোঝাই হাশরে
আজ তাই তো ঈমানদণ্ডে আমার সাদা গোলাপজল হাসে
আজ কল্লা কাটার উল্লাসে

নিত্য নবীরে স্মরি – ২১৪