আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

বৃহস্পতিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৫

লুকোচুরীশ্বর

লিখেছেন মহিন উদ্দীন আহামেদ

আস্তিক: আপনি কি বিজ্ঞানে বিশ্বাস করেন?

আমি: না।

আস্তিক: কেন?

আমি: বিজ্ঞান বিশ্বাসের জিনিস নয়, মানার জিনিস, কারণ বিজ্ঞান প্রমাণ দেয়, তাই আমাকে মানতে হয়।

আস্তিক: বিজ্ঞান যদি কোনোদিন প্রমাণ দিতে পারে যে, ঈশ্বর আছেন এবং ঈশ্বরই এই মহাবিশ্ব নিয়ন্ত্রণ করছেন, তখন আপনি কী করবেন?

আমি: বিজ্ঞান যদি কোনোদিন যুক্তি-প্রমাণসহ আমাকে বুঝিয়ে দিতে পারে যে, পৃথিবীর প্রচলিত ধারণা এবং ধর্ম মতে ঈশ্বর নামে কেউ আছেন, এবং তার একটি নির্দিষ্ট ধর্ম আছে, যা তিনি মানুষকে পালন করতে নির্দেশ দিয়েছেন, তাহলে ঈশ্বরকে এবং ঈশ্বরের ধর্মকে আমি অনিচ্ছা সত্ত্বেও মানতে বাধ্য হবো।

আস্তিক: প্রমাণ হওয়ার পরেও আপনার অনিচ্ছা থাকার কারণ কী?

আমি: কারণ অনেক। যে-ঈশ্বর নরকেরও ঈশ্বর, যে-ঈশ্বর তার প্রিয় সৃষ্টিকে নরকের আগুনে জ্বালাতে মহাপরিকল্পনা করে রেখেছে, তাকে মানা যায় না। যে-ঈশ্বর ক্ষুধার্তের অন্ন যোগান না দিয়ে পরপারে স্বর্গসুখের লোভ দেখায়, তাকে মানা যায় না। এবার হোক সে আমার সৃষ্টিকর্তা, হোক সে আমার পালনকর্তা, আমি সাম্যবাদী, তবে ঈশ্বর কেন বৈষম্যকারী। আমি মুখে তখন স্বীকার করবো যে, ঈশ্বর আছে, কিন্তু আমার অন্তর কখনোই এই বৈষম্যের ঈশ্বরের প্রতি শ্রদ্ধা দেখাবে না।

আস্তিক: কিন্তু তার জন্য যে আপনাকে অনন্তকাল জাহান্নামে জ্বলতে হবে। আর ঈশ্বর যে আছেন, সেটা যদি আপনার মৃত্যুর পর প্রমাণিত হয়, তখন তো আপনার নিজেকে শোধরানোর সুযোগই থাকবে না।

আমি: ঈশ্বর যদি তার অনৈতিক নির্দেশ না মানার অপরাধে আমাকে শাস্তিদান করে, তাহলে সেই শাস্তি ভোগ করতে আমার আপত্তি নেই। আর আমি মারা যাওয়ার পর যদি কোনোদিন ঈশ্বরের অস্তিত্ব প্রমাণিত হয়, তাহলে তো তাকে না মানার কারনে সে আমায় শাস্তি দিতে পারে না। ঈশ্বর তাহলে এতো জনম কোথায় ছিলো? কেন নিজের অস্তিত্ব জানান দিলো না? তাকে কেন বিজ্ঞানীদের খুঁজে বের করতে হলো? ঈশ্বর যদি নিজে থেকে তার অস্তিত্ব জানান না দিয়ে লুকায়িত থাকে, তাহলে ঈশ্বরকে না জানার, না মানার কারণে আমি দোষী হবো কোন যুক্তিতে? যেমন ধরুন, কেউ একজন এসে বললো, আপনি যাকে বাবা বলে ডাকেন, তিনি আপনার প্রকৃত বাবা নন। তাহলে কি আপনি মেনে নেবেন? আপনি নিশ্চয় প্রমাণ চাইবেন। আর যদি প্রমাণিত হয়, আসলেই তিনি আপনার বাবা নন, তাহলে এতোদিন যাকে বাবা বলে জানতেন, আর এতোদিন যাকে বাবা ডাক শোনা থেকে বঞ্চিত করেছেন, তার দোষ কি আপনার? আপনি নিশ্চয় প্রশ্ন করবেন, এতোদিন আমার আসল বাবা কেন আমার খোঁজ নেয়নি? আমার বর্তমান বাবা কেন আমায় আসল সত্যি বলেনি? তাহলে ঈশ্বরের লুকিয়ে থাকার জন্য বা প্রমাণ না হওয়ার জন্য আমি কেন দোষী হবো। দোষ তো ঈশ্বরের।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন