আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

বুধবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১২

কুইঞ্চেন দেহি


ধর্মাতুল কৌতুকিম – ৫০

১৪২.
ধর্মশিক্ষার ক্লাস। শিক্ষক বলছেন:
- যিশুকে ক্রুশে বিদ্ধ করা হয়েছিল পেরেক দিয়ে। কিন্তু তিনি কিছু প্রার্থনাবাণী আউড়ে ক্রুশ ছেড়ে স্বর্গে পৌঁছে যান। 
এক বালক উঠে দাঁড়িয়ে বললো:
- আমার মনে হয়, স্যার, পেরেকের বদলে স্ক্রু ব্যবহার করার প্রয়োজন ছিলো। 

১৪৩.
ক্যাথলিক ধর্মযাজক যাচ্ছিলো গাড়ি চালিয়ে। ট্র্যাফিক পুলিশ থামালো তাকে। জানালার কাচ নামাতেই অ্যালকোহলের গন্ধ পেলো সে। 
- মদ খেয়েছেন? 
- অসম্ভব! - সকাল থেকে পানি ছাড়া আর কিছুই খাইনি। এই দেখুন বোতল। 
সে একটি বোতল বাড়িয়ে দিলে ট্র্যাফিক পুলিশের দিকে। 
- এটা তো মতের বোতল!
দু'হাত ওপরে তুলে ধর্মযাজক বললো:
- ঈশ্বর, তুমি আবার অলৌকিক ঘটনা ঘটালে, পানিকে বানালে মদ! 

১৪৪.
পুলিশে অফিসে ফোন।
- হ্যালো, জলদি মহিলামঠে (Women's Monastery) আসুন! রেইপ কেইস!
- সব্বোনাশ! - পুলিশ অফিসার বললো। - কে রেইপড হয়েছে?
- ডাকপিওন।

চিত্রপঞ্চক - ২৪

'মার ঝাড়ু মার ঝাড়ু মেরে ঝেঁটিয়ে বিদেয় কর...' 

'বিশ্বাসে মিলায় বস্তু...' - কী বস্তু এদের মিলেছে, জানতে সাধ হয়। (পাঠিয়েছেন: RTPICCHI)
Religion sucks 

 'ফ্লাইং স্প্যাগেটি মনস্টার' নামের ঈশ্বরের আশীর্বাদ। 'ফ্লাইং স্প্যাগেটি মনস্টার' সম্পর্কে জানা না থাকলে (বা থাকলেও) দু'টি মজাদার পোস্ট পড়ে নিন: এক, দুই

নাকি কইতে চাইসিল, Jesus walking on water?

নিঃসীম নূরানী অন্ধকারে - ৪২

লিখেছেন কবীর উদ্দীন

২০৬.
আল্লা বলেছেন, প্রিয়তম প্রাণ তাঁর উদ্দেশ্যে খুন করতে। তাহলে তিনি খুব খুশি হবেন। হাট থেকে কিনে আনা অপরিচিত একটি পশু কেমন করে কারো প্রিয়তম হতে পারে, বুঝি না!

২০৭.
আমি অনেক স্বঘোষিত নাস্তিক, অজ্ঞেয়বাদী ও সংশয়বাদীকে দেখেছি জুম্মার নামাজ পড়তে, পূজা করতে, ঈদের নামাজ পড়তে এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদি পালন করতে। তারা বলে থাকে, এসব তারা সামাজিকতা হিসেবে করে; ধর্ম পালন হিসেবে নয়। আমি বুঝি না, প্রার্থনার অভিনয় কীভাবে সামাজিকতার অংশ হয়! এটা তো ধর্মের সাথেও প্রতারণা, আবার নিজের সাথেও। তেমনি অনেক নাস্তিকই ধুমধাম করে পশু জবাই করে উল্লাস করে। জানি না, হত্যাকাণ্ডে তাদের এত আনন্দ আসে কীভাবে। 

২০৮.
আল্লাহ ওদের হৃদয় ও কর্ণে মোহর মেরে দিয়েছেন এবং ওদের রয়েছে চক্ষু পরিপর্দা, ওদের জন্য আছে শক্ত শাস্তি। (কুরান ২:৭)
যাদেরকে মোহর মেরে শ্রবণ-প্রতিবন্ধী করে রাখা হয়েছে, দোষ কি তাদের? নাকি যে এই জঘন্য অপরাধ করেছে, তার? শক্ত শাস্তি কার প্রাপ্য, অপরাধকারীর নাকি ভিকটিমের?

২০৯.
অবশ্যই স্রষ্টা আছেন। নাহলে সৃষ্টি এলো কোত্থেকে? সেই স্রষ্টার স্রষ্টার স্রষ্টার স্রষ্টার ... ... ... স্রষ্টারও স্রষ্টা আছেন। না হলে তাঁরা এলেন কোত্থেকে?

২১০,
খাদিজা যদি মুহাম্মদের পরে মারা যেত, তবে ইসলামের ইতিহাস অন্যরকম হত।

ভূত-কিম্ভুত


ইসলামে কাম ও কামকেলি - ৪৪ (শেষ পর্ব)

মূল রচনা: আবুল কাশেম (সেক্স এন্ড সেক্সুয়ালিটি ইন ইসলাম)
অনুবাদ: খেলারাম পাঠক

(সতর্কতা: নরনারীর যৌনাচার নিয়ে এই প্রবন্ধ। স্বাভাবিকভাবেই কামসম্পর্কিত নানাবিধ টার্ম ব্যবহার করতে হয়েছে প্রবন্ধে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যবহৃত ভাষার মধ্যেও তাই অশালীনতার গন্ধ পাওয়া যেতে পারে। কাম সম্পর্কে যাদের শুচিবাই আছে, এই প্রবন্ধ পাঠে আহত হতে পারেন তারা। এই শ্রেনীর পাঠকদের তাই প্রবন্ধটি পাঠ করা থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করা যাচ্ছে। পূর্ব সতর্কতা সত্বেও যদি কেউ এটি পাঠ করে আহত বোধ করেন, সেজন্যে কোনভাবেই লেখককে দায়ী করা চলবে না।)

পর্ব ০১ > পর্ব ০২ > পর্ব ০৩ > পর্ব ০৪ > পর্ব ০৫ > পর্ব ০৬ > পর্ব ০৭ > পর্ব ০৮ > পর্ব ০৯ > পর্ব ১০ > পর্ব ১১ > পর্ব ১২ > পর্ব ১৩ > পর্ব ১৪ > পর্ব ১৫ > পর্ব ১৬ > পর্ব ১৭ > পর্ব ১৮ > পর্ব ১৯ > পর্ব ২০ > পর্ব ২১ > পর্ব ২২ > পর্ব ২৩ > পর্ব ২৪ > পর্ব ২৫ > পর্ব ২৬ > পর্ব ২৭ > পর্ব ২৮ > পর্ব ২৯ > পর্ব ৩০ > পর্ব ৩১ > পর্ব ৩২ > পর্ব ৩৩ > পর্ব ৩৪ > পর্ব ৩৫ > পর্ব ৩৬ > পর্ব ৩৭ > পর্ব ৩৮ > পর্ব ৩৯ > পর্ব ৪০ > পর্ব ৪১ > পর্ব ৪২ > পর্ব ৪৩

ইসলামপূর্ব এবং ইসলাম-পরবর্তী আমলে অমানবিক যৌনদাসত্ব প্রথা প্রচলিত ছিল। এই প্রথাকে ইসলাম সমর্থন করে এবং ইসলামের মহামনীষীরা তাদের জীবনে তা নিষ্ঠার সাথে পালন করে গেছেন। কিন্তু মুশকিল হলো এই যে, আধুনিক ইসলামপন্থীরা এই সত্যটা স্বীকার করতে চান না। তারা খোঁড়া যুক্তি দেখিয়ে প্রমাণ করতে চান যে, ইসলাম দাসীদের সাথে সহবাসের অনুমতি দিয়েছে ঠিকই, তবে সহবাসের আগে দাসীটিকে বিয়ে করে নিতে হবে। তাদের এই যুক্তি যে নেহায়েতই খোঁড়া যুক্তি এবং আসল সত্যকে আড়াল করার অপপ্রয়াস, আশা করি ইসলামী শাস্ত্র ঘেটে আমি এতক্ষণে তা প্রমাণ করতে পেরেছি। 

ক্রীতদাসী এবং স্ত্রী যে সম্পুর্ণ ভিন্ন ভিন্ন দুটি প্রজাতি, আশা করি পাঠক-পাঠিকরা তা ভালভাবেই অনুধাবন করতে পেরেছেন। আমি এখন শেষ তথ্যটি পেশ করে প্রসঙ্গটির এখানেই ইতি টানতে চাই। আসল সত্য এই যে, একজন মুসলমান বাজার থেকে ক্রীতদাসী ক্রয় করে তার সাথে যৌনমিলন ঘটাতে পারে, তবে তাকে বিয়ে করতে পারে না! নিজের ক্রীতদাসীকে বিয়ে করা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ! বিশ্বাস হচ্ছে না তো? তাহলে হেদাইয়া বর্ণিত নীচের আইনটি পড়ে নিন।

নিজের ক্রীতদাসীর সাথে বিবাহ নিষিদ্ধ, তবে সেক্স করা জায়েজ---(প্রাগুক্ত-পৃ-৩১৭)।
আইনের দৃষ্টিতে বিবাহের অযোগ্যতা:
বিবাহের ক্ষেত্রে নয়টি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, যথা:-
...
(৮) এমন স্ত্রীলোক যে সম্পত্তি হিসেবে বিবেচিত (prohibited by reason property), তার সাথে বিবাহ নিষিদ্ধ। যথা - নিজের ক্রীতদাসীর সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়া অবৈধ (অপরের মালিকানাধীন দাসীকে বিবাহ করা বৈধ)।

রেফারেন্সসমুহ:

১. দ্য হলি কোরান; অনুবাদ- আঃ ইউসুফ আলী, পিক্থল, শাকির।
২. সহি বুখারি; অনুবাদ- ডঃ মোহম্মদ মহসিন খান।
৩. সহি মুসলিম; অনুবাদ- আব্দুর রহমান সিদ্দিকী।
৪. সুনান আবু দাউদ; অনুবাদ- প্রফেসর আহম্মদ হাসান।
৫. ইমাম মালিক রচিত মুয়াত্তা; অনুবাদ- আ’শা আব্দুর রহমান এবং ইয়াকুব জনসন।
৬. ডিকসনারি অব ইসলাম-১৯৯৪, গ্রন্থকার- টি.পি.হাফস।
৭. ইমাম গাজ্জালির ইয়াহ্ আল উলুমেদ্দিন (আব্দেল সালাম হারুন কর্তৃক সংক্ষেপিত-১৯৯৭); ডঃ আহম্মদ এ. জিদান কর্তৃক সংশোধিত এবং অনুদিত।
৮. রিলাইয়ান্স অব দ্য ট্র্যাভেলার (সংক্ষিপ্ত সংস্করণ)-১৯৯৯, গ্রন্থকার- আহম্মদ ইবনে নাগিব আল মিসরি, সংকলক- নুহ হা মিম কেলার।
৯. শারিয়া দ্য ইসলামিক ল’-১৯৯৮, গ্রন্থকার-আব্দুর রহমান ই. ডই।
১০. ইবনে ইসহাকের সিরাত রাসুলুল্লাহ, অনুবাদ- এ. গুইলম, ১৫তম সংস্করণ।
১১. দ্য হেদাইয়া কমেন্টারি অন দ্য ইসলামিক ল’স-(পুণর্মুদ্রন-১৯৯৪); অনুবাদ- চার্লস হ্যামিল্টন।

(শেষ)

মঙ্গলবার, ৩০ অক্টোবর, ২০১২

কুরানে বিগ্যান (পঞ্চদশ পর্ব): কুরানের ফজিলত!

লিখেছেন গোলাপ


আখেরি নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) তাঁর আল্লাহর উদ্ধৃতি দিয়ে ঘোষণা করেছেন যে, তাঁকে বিশ্বাস ও মান্য করে তাঁর বাণীকে (কুরান) অনুসরণের ফজিলত (উপকারিতা) বহুবিধ! অল্প কিছু উদাহরণ: 

২:২ - এ সেই কিতাব যাতে কোনই সন্দেহ নেই। পথ প্রদর্শনকারী পরহেযগারদের জন্য 

১৬:৬৪ - আমি আপনার প্রতি এ জন্যেই গ্রন্থ নাযিল করেছি, যাতে আপনি সরল পথ প্রদর্শনের জন্যে তাদের কে পরিষ্কার বর্ণনা করে দেন, যে বিষয়ে তারা মতবিরোধ করছে এবং ঈমানদারকে ক্ষমা করার জন্যে। 

১৮:২ - একে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছেন যা আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি ভীষণ বিপদের ভয় প্রদর্শন করে এবং মুমিনদেরকে যারা সৎকর্ম সম্পাদন করে-তাদেরকে সুসংবাদ দান করে যে, তাদের জন্যে উত্তম প্রতিদান রয়েছে। 

>>> অর্থাৎ, যারা মুহাম্মদকে (আল্লাহ) বিশ্বাস করে তার হুকুম তামিল করবে, শুধু তারাই হবে, "(সত্য) পথ-প্রাপ্ত, ক্ষমা-প্রাপ্ত, উত্তম প্রতিদান-প্রাপ্ত এবং রহমত-প্রাপ্ত (১৭:৮২)"; কিন্তু যারা মুহাম্মদ ও তার কথাকে বিশ্বাস করবে না, তার কথামত চলবে না, তাদের কী হবে? তাদের জন্য শুধু ক্ষতি আর ক্ষতি! তাদের ক্ষতি বাড়তেই থাকবে! মুহাম্মদের ভাষায়: 

১৭:৮২ - আমি কোরআনে এমন বিষয় নাযিল করি যা রোগের সুচিকিৎসা এবং মুমিনের জন্য রহমত। গোনাহগারদের তো এতে শুধু ক্ষতিই বৃদ্ধি পায়। 

১৭:৮২ এর “গোনাহগার" শব্দটি দেখে বিভ্রান্ত হবার কোনো অবকাশ নেই। ইসলামের প্রাথমিক শর্ত হলো "ইমান"; মুহাম্মদের (আল্লাহর) প্রতি বিশ্বাস। এই শর্ত অনুযায়ী মুহাম্মদকে (আল্লাহ) অবিশ্বাসকারী প্রতিটি মানুষই গোনাহগার। একই ভাবে ইসলামে বর্ণিত "সৎকাজ" শব্দটি নিয়েও বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়! এখানেও ইসলামের প্রাথমিক শর্ত অনুযায়ী মুহাম্মদ (আল্লাহ) যে কাজের আদেশ করেছেন, সেই কাজটিই হলো "সৎকাজ।" হোক না সেটা মানুষ খুন, লুটের মাল ভোগ (গনিমত), দাস-দাসীকরণ বা দাসী সম্ভোগ! যে কাজটি তিনি নিষেধ করেছেন তা "অসৎ-কাজ"। Straight and Simple! 

২০১০ সালের এক সমীক্ষায় দেখানো হয়েছে যে, বর্তমান বিশ্বে মোট জনসংখ্যা ৬৯০ কোটি। মুসলিম জনসংখ্যার পরিমাণ আনুমানিক ১৬০ কোটি। আর অমুসলিমদের পরিমাণ আনুমানিক ৫৩০ কোটি। অর্থাৎ, বর্তমান বিশ্ব জনসংখ্যার সিংহভাগই (৭৬ শতাংশ) অমুসলিম। ২০১০ সালের সমীক্ষায় আরও দেখানো হয়েছে যে, অমুসলিমদের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে অতীতে আরও অনেক বেশী ছিল। ১৯৯০ সালে তা ছিল ৮০ শতাংশ। অমুসলিমরা কুরানকে সৃষ্টিকর্তার বাণী এবং মুহাম্মদকে সেই স্রষ্টার প্রেরিত বিশেষ মহামানব (নবী) হিসাবে কখনোই স্বীকার করেন না। তাই প্রবক্তা মুহাম্মদের ওপরোক্ত ১৭:৮২ দাবি মুতাবেক কুরানের বাণী এবং তার শিক্ষা সর্বদায় পৃথিবীর সিংহভাগ মানুষের শুধু ক্ষতিই বৃদ্ধি করে এসেছে, সেই শুরু থেকে! 

দাবি করা হয় যে, সৃষ্টির সবচেয়ে সেরা জীব হলো মানব জাতি! "আশরাফুল মখলুকাত"! যে সৃষ্টির আগমনের জন্য স্রষ্টা ১৩৫০ কোটি বছর অপেক্ষায় ছিলেন! এই অত্যন্ত সুদীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর সেই বিশেষ সৃষ্টির মধ্য থেকে স্রষ্টা আরবের মরু-প্রান্তরে একেশ্বরবাদী নবীদের ধারাবাহিকতার সর্বশেষ নবীকুল শিরোমণি হযরত মুহাম্মদ (সা:) কে সৃষ্টি করেন! তাঁর মারফত স্রষ্টা সর্বকালের সকল মানুষের পথ প্রদর্শনকারী (হেদায়েত) যে একমাত্র জীবন বিধানটি পাঠালেন, তা নাযিলের শুরু থেকে গত ১৪০০ বছর ব্যাপী পৃথিবীর সিংহভাগ মানুষের শুধু ক্ষতিই বৃদ্ধি করে চলেছে! কী উদ্ভট দাবী! বিশ্বাসী পাঠকদের আমি বিভ্রান্ত না হবার অনুরোধ করছি। ওপরোক্ত দাবি স্বঘোষিত নবী মুহাম্মদের (আল্লাহ)! সৃষ্টিকর্তার সাথে মুহাম্মদের এ দাবির যে কোনই সম্পৃক্ততা থাকতে পারে না, তা যে কোনো স্বল্প বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষও সহজেই অনুধাবন করতে পারেন! বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টিকর্তাকে (যদি থাকে) এতটা অবিবেচক ভাবার কোনোই কারণ নেই। মুহাম্মদ তার দলকে ভারী করার জন্য সৃষ্টিকর্তার নামে কত যে প্রলাপ বকেছেন তার নমুনা ইতিহাস হয়ে আছে কুরানের পাতায় পাতায়! পৃথিবীর কোনো মানুষই ভুলের ঊর্ধ্বে নয়। তা সে মুসা, ঈসা, মুহাম্মদ যে-ই হোন না কেন। সুতরাং যুক্তি-তথ্য-বাস্তবতা ও জ্ঞানের কষ্টি-পাথরে অনুত্তীর্ণ তাদের যে কোনো একজন বা সবার দাবিকে নির্দ্বিধায় বাতিল করেও মানুষ সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী হতে পারেন। বিশ্বাস কোনো প্রমাণ নয়। এটা বিশ্বাসীর একান্ত ব্যক্তিগত অনুভূতি। তার সেই অপ্রমাণিত বিশ্বাসকে অন্যের ওপর চাপিয়ে দেয়ার কোন অধিকারই তার নেই। 

প্রবক্তা মুহাম্মদ আরও দাবি করেছেন: 

১৬:১০২ - বলুন, একে পবিত্র ফেরেশতা পালনকর্তার পক্ষ থেকে নিশ্চিত সত্যসহ নাযিল করেছেন, যাতে মুমিনদেরকে প্রতিষ্ঠিত করেন এবং এটা মুসলমানদের জন্যে পথ নির্দেশ ও সু-সংবাদ স্বরূপ। 

>>> মুহাম্মদের এই দাবিটির মধ্যে আদৌ কি কোনো সত্যতা আছে? বাস্তবতা কী বলে? অমুসলিমরাই আজ বিশ্বে সুপ্রতিষ্ঠিত। মুমিনরা নয়। জীবনের সর্বক্ষেত্রে অমুসলিমরাই আজ বিশ্বকে নিয়ন্ত্রণ করছেন। আজকের বিশ্বে জ্ঞানে-বিজ্ঞানে, চিন্তা-ভাবনায়, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, শিক্ষা-মর্যাদায় ইসলাম অনুসারীরাই পৃথিবীর সর্বনিম্ন, যা মুহাম্মদের ওপরোক্ত ১৬:১০২ দাবীর পরিপন্থী। মুসলমানেরা যত তাড়াতাড়ি এই সত্য উপলব্ধি করতে পারবেন, তত দ্রুত তাদের মুক্তি মিলবে! কিন্তু বর্তমান বাস্তবতা হলো, অধিকাংশ মুসলমানই এই সত্য উপলব্ধি করা তো দূরের কথা, স্বীকার করতেও রাজি নয়! অনেকে এটাও বলেন যে, মুসলমানদের আসল সাফল্য হলো মৃত্যুর পর বেহেশতে প্রবেশ। তাই তারা সর্বদাই সাফল্যমণ্ডিত। আর অমুসলিম কাফেররা সর্বদাই অসফল! কারণ তারা কখনই বেহেশতে প্রবেশ করবে না। 

মৃত মানুষ কথা বলতে পারে না। মৃত্যুর ওপার থেকে কেউ সংবাদও পাঠাতে পারে না। তার পরেও এ সকল মুসলমান নিশ্চিত! ক্যামনে? কারণ তা কুরানেই লেখা আছে। কুরানের কথা যে সত্য, তার প্রমাণ কী? কারণ মুহাম্মদ বলেছেন কুরান বিশ্বস্রষ্টার (আল্লাহ) বাণী। মুহাম্মদ যে মিথ্যা বলেননি, তার কী প্রমাণ? প্রমাণ, মুহাম্মদ বলেছেন (কুরানে), “মুহাম্মদ সত্যবাদী।" বক্তা নিজেই নিজের প্রশংসাপত্র বিলিয়েছেন! কোনো অবস্থাতেই কোনো ব্যক্তির নিজের দেয়া সনদপত্র তার সত্যবাদিতার মাপকাঠি হতে পারে না। এই সহজ সত্যটি ধর্মান্ধরা যখন বুঝতে পারেন না, তখন অবাক না হয়ে উপায় থাকে না! 

আমি আমার চারপাশের বহু উচ্চশিক্ষিত মুসলমানদের সাথে প্রাসঙ্গিক আলোচনা কালে যখন জানতে চাই যে, হাজার বছরেরও বেশি শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থাকা সত্ত্বেও কেন মুসলমানরা আজ জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে অমুসলিমদের তুলনায় পশ্চাৎপদ। প্রায় সবাই যে জবাবটি দেন, তা হলো, “মুসলিম শাসকরা তাদের ক্ষমতার জন্য সবকিছু করেছেন। ইসলামের জন্য কিছুই করেননি। তাই আজকের এই দুরবস্থা!” দাবি করেন, “যদি তাঁরা সঠিক ইসলাম পালন করতেন, তবে মুসলমানেরাই হতো বিশ্বে সর্ব উন্নত জাতি!” তাঁরা ইসলামের শিক্ষার কোনোই দোষ দেখতে পান না! যখন তাঁদেরকে স্মরণ করিয়ে দিই, মুসলিম শাসক ও তাদের পৃষ্ঠপোষকরা ইসলামের শিক্ষার প্রচার ও প্রসারের নিমিত্তে পৃথিবীর সর্বত্র লক্ষ-লক্ষ মসজিদ-মক্তব-মাদ্রাসা তৈরি করেছেন। সেই আদিকাল থেকে ইদানীং কালের সৌদি আরব সহ মধ্যপ্রাচ্যের অনেক মুসলমান শাসক এখনও তা করে চলেছেন আমাদের দেশসহ পৃথিবীর অন্যত্র পরম একাগ্রতায়। কিন্তু তারা আধুনিক শিক্ষা বিস্তারের জন্য কোনো কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেছেন বা অনুদান দিয়ে সাহায্য বা উৎসাহিত করেছেন, এমন নজির আমার জানা নেই। থাকলেও তাকে ব্যতিক্রমই বলতে হবে। শত শত বছর যাবত আমাদের পূর্বপুরুষরা সে সব মসজিদ-মক্তব-মাদ্রাসা থেকে ইসলামিক জ্ঞান আহরণ করেছেন। পালন করেছেন তা নিষ্ঠা ভরে। আজকের মুসলমানেরাও তার ব্যতিক্রম নয়। সেই কুরান! সেই হাদিস! সেই সিরাতের (মুহাম্মদের জীবনী) শিক্ষা! 

‘বিদ্যা শিক্ষার জন্য প্রয়োজনে সুদূর চীন দেশে যাও’-এ দুর্বল (Da’if) হাদিসটি বিশ্বের প্রতিটি মুসলমানের মুখে মুখে! ‘নবীর চলার পথে যে ইহুদি বুড়ি কাঁটা দিতো / আবর্জনা ফেলতো, সে পথ একদিন কাঁটা-হীন /আবর্জনা-মুক্ত দেখে নবী সেই বুড়ীর বাড়িতে গিয়ে খোঁজ নিয়ে যখন জানলেন যে সে অসুস্থ; তখন নবী সেই বুড়ির সেবা-যত্ন করে তাকে সুস্থ করে তুললেন’ - এ সকল মহান গল্প শোনেননি, এমন মুসলমান পৃথিবীতে একজনও খুঁজে পাওয়া যাবে কি না সন্দেহ! কিন্তু ক'জন মুসলমান জানেন যে, এ মহান গল্পের আদৌ কোনো আদি ভিত্তি নেই! ক'জন মুসলমান জানেন যে, এই কিচ্ছা ইসলামী সহি মিথ্যাচারের ফসল, জাল হাদিস! এমনতর ভিত্তিহীন ও জাল গল্পের উদ্ভাবক ও প্রচারক কারা? নিশ্চয়ই ইহুদী-নাসারারা নয়! নিবেদিতপ্রাণ ইসলামী সৈনিকরাই যুগে যুগে পরিকল্পিতভাবে সমগ্র পৃথিবীতে এরূপ মিথ্যাচার করে আসছেন! মিথ্যার বেসাতী এ নির্লজ্জ প্রচার ও প্রসারে তারা এতটাই সিদ্ধহস্ত যে, এ সমস্ত দুর্বল/জাল হাদিস (Fabricated Hadits) এখন বিশ্বের প্রতিটি মুসলমানের মুখে মুখে। 

কিন্তু সাধারণ মুসলমানেরা জানেন না, মুহাম্মদের আদেশে বনি-কুরাইজা, আবু-রাফি, ক্বাব বিন আশরাফ কিংবা আসমা বিনতে মারওয়ান সহ অসংখ্য অমানবিক হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা সম্বলিত সিরাত (নবী জীবনী) ও সহি হাদিসের সামান্যতম আভাস! আদি উৎসে এ ঘটনাগুলোর বর্ণনা অত্যন্ত স্পষ্ট ও প্রাণবন্ত! সাধারণ মুসলমানেরা আরও জানেন না, অমুসলিমদের উদ্দেশ্যে কুরানে বর্ণিত মুহাম্মদের অসংখ্য অমানবিক আদেশ ও নিষেধ। তাদের জানানো হয় না! পরিকল্পিত ভাবে তা গোপন করা হয়! কিংবা বৈধতা দেয়া হয় বিভিন্ন উদ্ভট কসরতের মাধ্যমে। সেই আদিকাল থেকে এখন পর্যন্ত মুসলিম শাসক-যাজক চক্র সাধারণ মানুষের জ্ঞান অর্জনের জন্য যা কিছু করেছেন এবং করছেন তার উদ্দেশ্য ইসলামের প্রচার ও প্রসার। সুতরাং তারা ইসলামের জন্য কিছুই করেননি, এ তথ্য ডাহা মিথ্যা। 

যখন আমি উচ্চ শিক্ষিত বন্ধুদের একটা অতি সাধারণ প্রশ্ন করি, “শুধু কুরান-হাদিসের শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে এবং পুরোপুরি সহি ইসলামের আদেশ ও অনুশাসন (পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, বছরে ৩০ টি রোজা, হজ্ব, যাকাত ইত্যাদি) একান্ত একাগ্রতায় পালন করে কীভাবে একজন মুসলমান ডাক্তার-প্রকৌশলী-বিজ্ঞানী-বুদ্ধিজীবী হতে পারেন?” জবাব আসে, "ইসলাম তো আধুনিক শিক্ষা গ্রহণ নিষেধ করে নাই।" উৎসাহিত কি করেছে? সমগ্র কুরানে অবিশ্বাসীদেরকে অভিশাপ, অসম্মান, হুমকি, শাসানী, ভীতি প্রদর্শন ও হত্যার উৎসাহ দিয়ে শত শত স্পষ্ট আয়াত আছে। কিন্তু আধুনিক যুগোপযোগী শিক্ষার আবেদন কিংবা উৎসাহ দিয়ে সমগ্র কুরানে স্পষ্ট একটি বাক্যও নাই। সুতরাং ইসলামী শিক্ষার আদর্শের অনুসারী একজন নিবেদিতপ্রাণ বিশ্বাসী মুসলমান আধুনিক শিক্ষায় কেন আগ্রহী হবেন? তারা আগ্রহী এবং উদ্বুদ্ধ হবেন কুরান-হাদিস যে বিষয়টিকে বেশী গুরুত্ব দিয়েছে, তার প্রতি। বাস্তবে হয়েছেও তাই। সুতরাং ইসলামী শিক্ষার কোনো দোষ নেই, সব দোষ মানুষের; এ দাবিটি যাঁরা করেন, তাঁরা মূলত: মসজিদ-মৌলভী-হিপোক্রাইট চক্রের প্রোপাগান্ডার শিকার। গত ১৪০০ বছর ধরে ইসলাম বিশ্বাসীদেরকে এটাই বারংবার বোঝানো হয়েছে যে, দোষ ইসলামের নয়। দোষ "শুধু ইসলাম" ছাড়া আর সবখানেই! ইসলাম সর্বদাই শুদ্ধ! Islam is always right. ইসলামকে সর্বদাই আড়াল করে রাখা হয়েছে মিথ্যার বেড়াজালে। 

এর পরেও যদি ধরে নিই বাস্তবতার নিরিখে (ইসলামের কোনো কৃতিত্ব নয়) নিবেদিতপ্রাণ কোনো মুসলমান আধুনিক শিক্ষায় উৎসাহিত হয়ে কোনো আবিষ্কারে (উদাহরণ) ব্রতী হলেন। তিনি তাঁর সমস্ত ধ্যান-মন-প্রাণ সেই আবিষ্কারের পিছনে নিয়োগ করলেন। সময় সর্বদাই সবার জন্য ২৪ ঘণ্টায় দিন-রাত্রি। একজন মানুষের দেহ-মন সুস্থির রাখার জন্য প্রতিদিনে কমপক্ষে ছয় থেকে আট ঘণ্টা ঘুম আবশ্যক। আর প্রতিদিনে আরও কমপক্ষে দুই ঘণ্টা দরকার জীবনের অন্যান্য অত্যাবশ্যকীয় কাজে (প্রাতঃক্রিয়াদি, খাওয়া, গোসল, ব্রাশ ইত্যাদি) অর্থাৎ নিবেদিতপ্রাণ মুসলিম-অমুসলিম সবাই প্রতি দিন সর্বোচ্চ ১৬ ঘণ্টা সময় পাবেন তাদের ব্যবহারিক কাজে (উদাহরণ-এ ক্ষেত্রে আবিষ্কার)।

নিবেদিতপ্রাণ ইসলাম বিশ্বাসীকে তার সবচেয়ে প্রাথমিক ও অত্যাবশ্যকীয় (ফরজ) প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায, প্রতি বছরে এক মাস রোজা এবং তার সাথে আরও আনুষঙ্গিক অনুশাসন (তারাবী নামাজ, ইফতার, ইত্যাদি) পালন করতে হবে। তবেই না তাঁকে বলা যাবে সত্যিকারের ইসলাম অনুসারী! প্রতি ওয়াক্ত নামাজে গড়ে কমপক্ষে যদি সে ৩০ মিনিট সময়ও ব্যয় করেন, তবে প্রতিদিনে শুধুমাত্র নামাজের জন্যই তাঁকে আরও অতিরিক্ত আড়াই ঘণ্টা সময় ব্যয় করতে হবে। ভুললে চলবে না যে, তাঁকে তাঁর সফলতার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে পৃথিবীর অন্যান্য অনুরূপ নিবেদিতপ্রাণ ব্যক্তি বর্গের সাথে। যাঁদের ৭৬ শতাংশই অমুসলিম। যাঁরা তাদের ১৬ ঘণ্টা লভ্য সময়ের আরও অতিরিক্ত আড়াই ঘণ্টা ‘নামাজে’ ব্যয় করেন না। এ পরিস্থিতিতে অমুসলিম নিবেদিতপ্রাণ কোনো ব্যক্তির মেধা-মনন-একাগ্রতা-নিষ্ঠা ইত্যাদি সমস্ত বিষয় (Variable) যদি বিশ্বাসী নিবেদিতপ্রাণ মুসলিম ব্যক্তিটির সমানও হয়, তথাপি ঐ অমুসলিম ব্যক্তিটি তার ব্যবহারিক কাজে মুসলিম ব্যক্তিটির চেয়ে ‘শুধু নামাজের জন্যই’ প্রতি দিন অতিরিক্ত আড়াই ঘণ্টা বেশি সময়-সুবিধা পাবেন। অর্থাৎ, অমুসলিমরা মুসলিমদের চেয়ে ১৬ শতাংশ অতিরিক্ত সময় সুবিধা তাঁর কর্মক্ষেত্রে ব্যবহারের সুযোগ পাবেন। এমতাবস্থায় ফলাফলে কে বিজয়ী হবেন, তা যে কোনো চিন্তাশীল মানুষ অতি সহজেই বুঝতে পারেন। সুতরাং যাঁরা দাবি করেন যে, মুসলিমদের আজকের দুর্গতির কারণ ইসলামের অনুশাসন ঠিক মত পালন না করা, তাঁরা মতিবিভ্রমের (Delusion) স্বীকার। বাস্তবতাবিবর্জিত 'কল্পনার' জগতে তাদের বাস। সত্য হলো মুসলমানদের আজকের এ দুরবস্থার জন্য দায়ী কারণগুলোর অন্যতম হলো ইসলামের শিক্ষা। যাকে সর্বদাই বাতিল করা হয় আদি কারণ (Primary reason) থেকে। ইসলামের বাধ্যতামূলক প্রাত্যহিক ধর্মীয় অনুশাসন পূর্ণভাবে পালন করে একজন মুসলমানের পক্ষে একজন অমুসলিমের সাথে প্রতিযোগিতায় জয়ী হবার সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ। 

২০০৬ সালে ডাঃ ফারুক সেলিম এক নিবন্ধে মুসলিম ও অমুসলিম দেশের এক তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরেছেন। নিবন্ধটি একটু পুরানো হলেও গত ছয় বছরে মুসলিম জাহানের আর্থ-সামাজিক অবস্থার যে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি, তা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়। ডাঃ ফারুক তাঁর সেই নিবন্ধে দেখিয়েছেন যে, ৫৭ টি মুসলিম দেশের মিলিত সর্বমোট জিডিপি দুই ট্রিলিয়ন আমেরিকান ডলার। যেখানে আমেরিকা একাই ১২ ট্রিলিয়ন, চায়না ৮ ট্রিলিয়ন, জাপান ৩.৮ ট্রিলিয়ন, জার্মানি ২.৪ ট্রিলিয়ন আমেরিকান ডলার (purchasing power parity basis)। প্রায় অর্ধেক আরব মহিলা অক্ষরজ্ঞানহীন। ৫৭ টি মুসলিম দেশের ১৬০ কোটি জনগণের জন্য ৬০০ টির ও কম বিশ্ববিদ্যালয়। যেখানে ভারতে আছে ৮৪০৭ টি এবং আমেরিকায় ৫৭৫৮ টি । ১৬০ কোটি মুসলমান জনগোষ্ঠীর মধ্যে গত ১১০ বছরে মাত্র ১০ জন মুসলমান নোবেল বিজয়ীর তালিকায় (২০১১ সাল পর্যন্ত) স্থান পেয়েছেন। এই দশ জনের ৬ জনই পেয়েছেন নোবেল পুরষ্কারের সবচেয়ে বেশী বিতর্কিত বিষয় - শান্তিতে। মাত্র দু'জন বিজ্ঞানে। ১৯৭৯ সালে পদার্থ বিজ্ঞানে প্রফেসার আবদুস সালাম (যাকে তাঁর দেশ পাকিস্তানে মুসলমান বলেই স্বীকার করা হয় না) এবং ১৯৯৯ সালে রসায়নে আহমেদ জেওয়াল। তাদের দুজনই গবেষণা চালিয়েছেন অমুসলিম দেশে। অন্যদিকে, এক কোটি ৪০ লাখ ইহুদী জনগোষ্ঠীর ১৮৫ জন নোবেল বিজয়ী। অর্থাৎ বিশ্বের এক-চতুর্থাংশ জনগোষ্ঠীর (মুসলমান) আহরণ মোট নোবেলের মাত্র এক শতাংশ। আর ইহুদীরা বিশ্বজনগোষ্ঠীর মাত্র ০.২৩ শতাংশ; কিন্তু তারা মোট নোবেলের ২২ শতাংশের অধিকারী। মুসলমান জনগোষ্ঠীর গড়ে প্রতি ১০ লাখে ২৩০ জন বিজ্ঞানী। যেখানে আমেরিকায় প্রতি ১০ লাখে ৪,০০০, জাপানে প্রতি ১০ লাখে ৫,০০০ জন। মুসলমান জনগোষ্ঠীর গড় শিক্ষিতের হার ৪০ শতাংশ। যেখানে খ্রিষ্টান জন গুষ্টির গড় শিক্ষিতের হার ৯০ শতাংশ। সংক্ষেপে, মুসলিম জনগোষ্ঠী আজ জ্ঞান-বিজ্ঞান-শিক্ষা-অর্থনীতিসহ জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে বিশ্বে সর্বনিম্ন। 

আজকে বিজ্ঞানের অবদানের কাছে আমরা প্রতি মুহূর্তে নির্ভরশীল। অথচ বর্তমান বিশ্বে সাধারণ মানুষের প্রাত্যহিক প্রয়োজনীয় এমন একটি বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারও নেই, যার মুখ্য আবিষ্কর্তা একজন মুসলমান। পাঠক, আপনার চারপাশে একটু মনোযোগের সাথে খেয়াল করুন! বেডরুম-রান্নাঘর থকে শুরু করে স্থলে, জলে ও আকাশে! বিদ্যুৎ, মোবাইল ফোন, টেলিফোন, ফ্যাক্স, টেলিভিশন, ভিসিপি, ভিসিআর, কম্পিউটার- প্রিন্টার-স্ক্যানার, ইন্টারনেট, ফ্রিজ, মাইক্রোওয়েভ, রাইস-কুকার, মটর সাইকেল, গাড়ী, রেলগাড়ি, ট্রাক-বাস-মিনিবাস, লঞ্চ-স্টিমার, উড়োজাহাজ, স্যাটেলাইট যন্ত্র, GPS, চিকিৎসা ও রোগ নির্ণয় সামগ্রী (স্টেথোস্কোপ, এক্স-রে মেশিন, CT Scan, MRI ইত্যাদি), জীবনরক্ষাকারী ঔষধ, ক্যামেরা, ঘড়ি, চশমা ইত্যাদি-ইত্যাদি-ইত্যাদি - এমন কিছু কি আপনি দেখতে পান, যার মূল আবিষ্কর্তা হলেন একজন মুসলমান? এটি যে একটি অত্যন্ত লজ্জাকর অবস্থান, এ বোধও অধিকাংশ ইসলাম বিশ্বাসীর আছে বলে পরিলক্ষিত হয় না! অল্পশিক্ষিত বা অশিক্ষিত সাধারণ মুসলমানদের এ বোধ না থাকলে আশ্চর্য হবার কোনো হেতু নেই। কিন্তু, যখন উচ্চশিক্ষিত তথাকথিত বুদ্ধিজীবী ইসলাম-বিশ্বাসীরা প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে, আকারে-ইঙ্গিতে, বক্তৃতা-বিবৃতিতে, খবরের কাগজের আর্টিকেলে ও ব্লগ-জগতে বিতর্ক-বিতণ্ডায় দাবী করেন যে, তারাই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জাতি, তখন বুঝতে অসুবিধা হয় না যে, তারা মানসিক বিভ্রমের (Delusion) স্বীকার। এই মানসিক বৈকল্যের কারণে তাঁরা বুঝতেও পারেন না যে, তাদের কার্যকলাপ ও বাস্তবতাবিবর্জিত অন্তঃসারশূন্য ফাঁকা বুলিকে অমুসলিমরা কীভাবে মূল্যায়ন করছেন! 

এমন কি হতে পারে যে, সৃষ্টিকর্তা পরিকল্পিতভাবে ইসলাম-বিশ্বাসীদের মেধা-মনন ও উদ্ভাবনী শক্তিকে খর্ব করেই তাদেরকে সৃষ্টি করেছেন? অসম্ভব প্রস্তাবনা! অবশ্যই না! একজন ইসলাম বিশ্বাসীর গড় মেধা অমুসলিমদের সমতুল্য। একই পৃথিবীর পানি-হাওয়া-বাতাস ও অন্ন-বস্ত্রে মুসলিম এবং অমুসলিমরা বেড়ে উঠছেন প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মে। অমুসলিমরা কোনো ভিনগ্রহ থেকে আবির্ভূত হয়নি! যে সমস্ত মুসলমান ভাই তাদের অনুন্নত জন্ম-ভূমি ছেড়ে ইউরোপ-আমেরিকা-অস্ট্রেলিয়া-কানাডা-জাপান-নিউজিল্যান্ড সহ পৃথিবীর বিভিন্ন উন্নত (Developed) কাফেরের দেশে ভাগ্য উন্নয়নে পাড়ি দিয়েছেন, তাদের পরিমান মোট বিশ্ব-মুসলিম জনসংখ্যার প্রায় তিন শতাংশ (৫ কোটি); এ ছাড়াও মোট মুসলিম জনসংখ্যার ২৩.৩ শতাংশেরও বেশী মুসলমানদের নিবাস উন্নয়নশীল (Developing) অমুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে। অর্থাৎ মোট মুসলিম জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশেরও বেশি বসবাস করছেন এবং বেড়ে উঠছেন সংখ্যাগরিষ্ঠ অমুসলিম দেশগুলোর নাগরিকদের সাথে। একই কাতারে। একই পানি-হাওয়া-বাতাস ও সরকারী সুযোগ সুবিধা নিয়ে। তথাপি, বিশ্ব জনগোষ্ঠীর এক-চতুর্থাংশ প্রতিনিধিত্বকারীর পক্ষ থেকে যখন একটি আবিষ্কারও বর্তমান বিশ্বের আপামর জনসাধারণের উপকারার্থে দেখা যায় না, তখন বুঝতে অসুবিধা হয় না যে এই সম্প্রদায়ের চিন্তা-চেতনা-ভাবাদর্শে একটি মৌলিক গলদ আছে! কী সে গলদ? 

মুসলিম সম্প্রদায়ের সাথে বিশ্বের অন্যান্য সম্প্রদায়ের একটি মৌলিক ও সাধারণ পার্থক্য হলো - ধর্ম। আর সকল ধর্মেরই এক বিশেষ সাধারণ বৈশিষ্ট্য এই যে, একান্ত শিশু-অবস্থার কোমল মস্তিষ্কে "ধর্ম-বীজ" রোপণ করা! ধর্মের যাবতীয় আদেশ-নিষেধ, শাসন-অনুশাসন, ভাল-মন্দ ইত্যাদি যাবতীয় বোধ শিশু মস্তিষ্কে ঢুকিয়ে দেয়া! এর প্রভাব হয় সুদূরপ্রসারী। জীবনের পরবর্তী সময়ে চিন্তা-ভাবনা-মন-মানসিকতায় এর প্রভাব নিশ্চিতরূপেই পরিলক্ষিত হয়। তাই একজন মুসলমানের মেধার সাথে একজন অমুসলমানের মেধার তেমন কোন পার্থক্য না থাকলেও তাদের চিন্তা-ভাবনা-চেতনা-মন-মানসিকতার পার্থক্য অনেক! মুসলমানদের অবক্ষয়ের পেছনে ধর্মশিক্ষার কোনো যোগ নেই, এ ধারনা নিঃসন্দেহে ভ্রান্ত! সুতরাং আমরা নির্দ্বিধায় বলতে পারি যে, মুহাম্মদের বাণী (কুরান-হাদিস) ও শিক্ষা গত ১৪০০ বছর ধরে শুধু অবিশ্বাসীদেরই নয় (১৭:৮২); বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী নির্বিশেষে পৃথিবীর সকল মানুষেরই শুধু ক্ষতিই বৃদ্ধি করে চলেছে! পরিসংখনে এ সত্যও স্পষ্ট যে, সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠী হচ্ছে তারাই যারা মুহাম্মদের বাণী ও শিক্ষায় আস্থাবান। 

কোনো বিখ্যাত বিজ্ঞানী-বুদ্ধিজীবী-মনীষীর অবদান তাঁর জন্মসূত্রে প্রাপ্ত ধর্মের সাথে সম্পর্কিত নয়! শ্রদ্ধেয় ও বরেণ্য এ সকল বিজ্ঞানী-মনীষী-বুদ্ধিজীবীদের অর্জন তাঁদের জন্ম-সূত্রে প্রাপ্ত ধর্ম-অনুশীলনের মাধ্যমে অর্জিত হয়নি। ধর্মের কোনো কৃতিত্বই এখানে নেই। উদাহরণ, আলবার্ট আইনস্টাইনের যুগান্তকারী আবিষ্কারের পিছনে ইহুদী ধর্মের কোনো কৃতিত্ব নেই। কোপারনিকাস, ব্রুনো, গালিলিও, নিউটন অথবা চার্লস ডারউইনের যুগান্তকারী আবিষ্কারের সঙ্গে খ্রিষ্টান ধর্মের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। ইবনে সিনা, ওমর খৈয়াম, মুহাম্মদ বিন জাকারিয়া আল-রাজীর আবিষ্কারের সঙ্গে ইসলাম ধর্মের কোনো ভূমিকা নেই। এ সকল বিজ্ঞানী/মনীষীদের অনেকেই বিশ্বাসীদের দ্বারা মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের স্বীকার হয়েছেন, যখন তাদের পরীক্ষালব্ধ জ্ঞান বা বিবৃতি ছিল প্রচলিত ধর্ম-বিশ্বাসের বিপরীতে। আজও তা অব্যাহত আছে বহাল তবিয়তে! তথাপি বিশ্বাসীরা এ সকল বরেণ্য মনীষীদের নাম ব্যবহার করে তাদের ধর্মের মহাত্ব প্রচারে পিছপা হন না। ইসলাম বিশ্বাসীরা এ ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি সোচ্চার! তাঁরা কারণে-অকারণে মধ্যযুগের আরব-পারস্যের মুসলিম বিজ্ঞানী/মনীষীদের উদাহরণ টেনে ইসলামের স্বর্ণযুগ-এর মহাত্ব বয়ান করেন। এ সকল মুসলিম মনীষীদের আবিষ্কারের পিছনে "ইসলামের" কোনোই ভূমিকা নেই। 

পৃথিবীর অন্য কোনো ধর্মের সাধারণ ধর্মাম্বলীরা ইসলামের মত এত বেশি সময়সাপেক্ষ অত্যাবশ্যকীয় ধর্মীয় অনুশাসনের যাঁতাকলে পিষ্ট নয়। একজন নিবেদিত প্রাণ সাধারণ মুসলমান তা২র প্রাত্যহিক ১৬ ঘণ্টা লভ্য সময়ের ২-৩ ঘন্টা ব্যয় করেন শুধুমাত্র নামাজেই। এ ছাড়াও আছে অত্যাবশ্যকীয় ধর্মীয় আরও অন্যান্য অনুশাসন। প্রত্যুষে ঘুম ঠেকে ওঠার সময় থেকে (ফজর নামাজ) শুরু করে রাতে ঘুমোতে যাবার পূর্ব পর্যন্ত (এশার নামাজ) প্রতিদিন বাধ্যতামূলকভাবে কমপক্ষে ৫ বার ইসলাম বিশ্বাসীর মস্তিষ্কে মুহাম্মদের গুণকীর্তন-আদেশ নিষেধের বাণী স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয় উচ্চকণ্ঠ আজানের মাধ্যমে। পরিবার সদস্যদের মাধ্যমে। পরিপার্শ্বের অন্যান্য মুসলমানদের মাধ্যমে। ১৬ ঘণ্টায় ৫ বার! অর্থাৎ, গড়ে প্রতি ৩ ঘণ্টায় একবার! জন্ম থকে মৃত্যু পর্যন্ত! সুস্থ চিন্তা ও মুক্ত বুদ্ধিবৃত্তিচর্চার সময় কোথায়? ফলশ্রুতিতে ইসলাম বিশ্বাসীদের ধ্যান-মন-প্রাণের সবটা জুড়েই থাকে মুহাম্মদের বাণী (কুরান-হাদিসের) ও অনুশাসন চিন্তা! মুহাম্মদ (আল্লাহ), মুহাম্মদ আর মুহাম্মদ! ফলে তাঁদের মগজ ধোলাই অন্যান্য ধর্মের মানুষের তুলনায় হয় অধিকতর নিশ্চিত (Guaranteed), তীব্রতর ও সুদূরপ্রসারী! মুক্তচিন্তার পথ চিরতরে হয় রুদ্ধ! মুহাম্মদের জালে তাঁরা হয়ে পড়েন আষ্টেপৃষ্টে বন্দী! তাঁদের চেতন-অবচেতন মস্তিষ্কের সবটা জুড়েই বাসা বাঁধে বেহেস্তের প্রলোভন ও দোযখের অসীম শাস্তির ভয় এবং কবর আযাবের বিভীষিকাময় চিত্র! তিনি মুক্ত মানুষ থেকে পরিণত হন দাসে! পরম তৃপ্তিতে! একান্ত আজ্ঞাবহ মুহাম্মদের দাস! আবদ-মুহাম্মদ! 

[কুরানের উদ্ধৃতিগুলো সৌদি আরবের বাদশাহ ফাহাদ বিন আবদুল আজিজ (হেরেম শরীফের খাদেম) কর্তৃক বিতরণকৃত বাংলা তরজমা থেকে নেয়া; অনুবাদে ত্রুটি-বিচ্যুতির দায় অনুবাদকারীর। কুরানের ছয়জন বিশিষ্ট অনুবাদকারীর পাশাপাশি অনুবাদ এখানে।]

(চলবে)

আমাদের আত্মীয়েরা – ৫৪



হরর হাদিস - ০২

নবীজি ছিলো দয়ার আধার। মাঝেমধ্যে তাকে কঠিন হতে হতো, কিন্তু তখনও মানবতাবোধ তাকে ছেড়ে যেতো না।

মানবতার দুষ্টান্ত নম্বর এক: 
একদিন এক মহিলা নবীজির কাছে এসে বললো, আমি পাপ করেছি। আমি পরপুরুষ গমন করেছি। আমাকে পাপমুক্ত করুন। পরনারীগমন ও বিবাহবহির্ভুত সম্পর্কস্থাপনপটু নবীজি তাকে ক্ষমা করলো না। পরদিন মহিলা এসে জানালো, আমি গর্ভধারণ করেছি। নবী তখন বললো, তাহলে তুমি সন্তানজন্মদান পর্যন্ত অপেক্ষা করো। 

মানবতার দৃষ্টান্ত নম্বর দুই:
সন্তানের জন্ম হবার পর তাকে পুরনো ছিন্ন কাপড়ে জড়িয়ে মহিলা এলো নবীজির কাছে। নবীজি তাকে বললো, এখন চলে যাও, তাকে বুকের দুধ খাওয়াতে থাকো। বুকের দুধ খাওয়ার অভ্যাস যখন তার থাকবে না, তখন আমার কাছে এসো। 

মানবতার দৃষ্টান্ত নম্বর তিন:
সন্তান মাতৃদুগ্ধের অভ্যেস ত্যাগ করলে মহিলাটি আবার দেখা করলো নবীজির সঙ্গে। সন্তানের হাতে ছিলো তখন এক টুকরো রুটি। সেটি দেখিয়ে মহিলা জানালো, শিশুটি বুকের দুধ খাবার অভ্যেস ত্যাগ করেছে। এখন সে খাদ্য থেকে পারে। নবীজি তখন শিশুটির দায়িত্ব দিলো বিশ্বস্ত এক ব্যক্তিকে। 

মানবতার দৃষ্টান্ত নম্বর চার:
এর পর নবীজি মহিলাটির শাস্তি ঘোষণা করলো। তাকে বুক পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে তার প্রতি পাথর নিক্ষেপ করে হত্যার হুকুম দিলো নবীজি। খালিদ নামের এক ব্যক্তি মহিলাটিকে লক্ষ্য করে এক খণ্ড পাথর সবেগে ছুঁড়ে মারলে রক্ত ছিটকে এসে পড়লো তার নিজের মুখে। তখন সে মহিলাকে গালিগালাজ করতে শুরু করলো। সেটা শুনে মানবতাবাদী নবী বললো, খালেদ, তার সঙ্গে ভদ্র ব্যবহার করো। 

মানবতার দৃষ্টান্ত নম্বর পাঁচ:
পাথর ছুঁড়ে মহিলাটিকে হত্যা করার পর নবীজি তার জন্য প্রার্থনা করলো আল্লাহপাকের কাছে ও তাকে সমাধিস্থ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করলো। 

ওপরোক্ত ঘটনা থেকে প্রমাণিত হয়, নবী মোর দয়ার খনি। 

সূত্র: Sahih Muslim Book 017, Hadith Number 4206

নির্ধার্মিক মনীষীরা – ৭৫


ও পাড়ার মন্তব্যগুলো


ধর্মকারী ডট নেট-এর অধিকাংশ পাঠক ধর্মকারী ডট কম-এ ঢুকতে পারেন না। যদিও এই দুই ব্লগের সমস্ত পোস্ট অবিকল, মন্তব্যগুলো কিন্তু আলাদা আলাদা। 

তাই ভাবলাম, ধর্মকারীর তিন বছর পূর্তি বিষয়ক পোস্টে ওই সাইটে যে মন্তব্যগুলো পড়েছিল, সেগুলো এখানকার পাঠকদের সঙ্গে শেয়ার করা যাক। ওখানে পাঠকসংখ্যা গড়পড়তাভাবে এখানকার চেয়ে আড়াইগুণ বেশি বলে ওখানে সঙ্গত কারণেই মন্তব্যাধিক্য।  

মন্তব্যগুলো একটি ইমেজ ফাইলে রেখেছি। মাত্র এক মেগাবাইট ওজনের সেই ফাইলটি এখান থেকে ডাউনলোড করে নিন। 

আমার বোরখা-ফেটিশ – ৫৯



কীভাবে বুঝিবো তারে

এক ক্যান্সারাক্রান্ত মহিলার স্বামী মাসের পর মাস নিয়মিতভাবে যিশুর আকৃতি সম্বলিত এক ক্রুশের সামনে দাঁড়িয়ে তার স্ত্রীর রোগমুক্তি কামনা করে প্রার্থনা করতো। এক সময় তার স্ত্রী সত্যিই সুস্থ হয়ে উঠলে সে নিশ্চিত হয়, আরোগ্যলাভের জন্য সমস্ত প্রশংসা প্রাপ্য এই ক্রুশের। কৃতজ্ঞতার ঋণ শোধ করতে সে সেই ক্রুশ ধোয়ামোছার দায়িত্ব নিতে চার্চের কাছে আবেদন করে। এক সময় চার্চ তাকে অনুমতি দেয়। একদিন সেই ক্রুশ ভেঙে পড়ে তাকে আহত করে প্রচণ্ডভাবে এবং তার পা কেটে ফেলতে হয়ে অপারেশনের মাধ্যমে। 

বিস্তারিত খবর এখানে। উৎসাহীরা দেখে নিতে পারেন পোনে দু'মিনিটের ভিডিও-রিপোর্ট। 

লক্ষ্য করুন:
ইউটিউব ব্লকড থাকলে:
১. http://www.youtube.com/...-এর বদলে https://www.youtube.com/... ব্যবহার করলে কাজ হচ্ছে বলে অনেকে জানিয়েছেন।
২. কাজ না হলে নিচে দেয়া ভিডিও লিংকটি (অথবা ইউটিউবের যে কোনও লিংক) এই ঠিকানায় গিয়ে তালার ছবির ডানপাশের বক্সে বসিয়ে সরকারী সিদ্ধান্তকে কাঁচকলা দেখিয়ে অবলীলায় ভিডিও দেখতে থাকুন।

ভিডিও লিংক: http://youtu.be/vDL_1a8DjpQ

সোমবার, ২৯ অক্টোবর, ২০১২

ধর্মঘাতক জীবাশ্ম


লুক্স লিখিত সুসমাচার - ০৭

লিখেছেন লুক্স

৫৬.
ধর্ম আর ধর্মগ্রন্থগুলো যে মধ্যযুগীও, বর্বর আর হিংস্র মানুষের তৈরি, ধার্মিকরা তা প্রতি পদে পদে প্রমাণ করে। তালেবানরা একটু বেশিই করে। কারণ তালেবানরাই সবচেয়ে খাঁটি মুসলমান, তারাই সবচেয়ে বেশি কোরান আর সুন্নাহ অনুসরণ করে।

৫৭.
যে জাতি যত বেশি অশিক্ষিত, অনুন্নত ও দুর্নীতিবাজ, সে জাতির ধর্মানুভূতি ততো বেশি।

৫৮.
ধর্মে বিশ্বাসীরা অনেক সময় প্রশ্ন করেন, ধর্মে বিশ্বাস রেখেও কি মুক্তমনা হওয়া যায় না? সোজা এবং সরাসরি উত্তর হলো, হওয়া যায় না। মুক্তমন বলতে চিন্তার স্বাধীনতা বোঝায়, আর ধর্ম হলো চিন্তার পরাধীনতা - চিন্তার দাসত্ব। দুটোর সহাবস্থান কোনোভাবেই সম্ভব নয়। ধার্মিকের দেহ-মন, আশা-আকাংখা, ইচ্ছা-অনিচ্ছা, সুখ-দুঃখ, অর্থবিত্ত, মান-সম্মান, বর্তমান ও ভবিষ্যতের নিয়ন্ত্রক ও মালিক একমাত্র ঈশ্বর। দু'জন মুক্তমনা নর-নারী বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ না হয়েও ঘর-সংসার করতে পারে, দু'জন ধর্মবিশ্বাসী নর-নারীর মনে চাইলেও তা করতে পারবে না। জীবদ্দশায় ইচ্ছা থাকলেও তাদের দেহের কোনো অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ মৃত্যুর পরে কাউকে দিতে পারবে না। এসব করতে চাইলে তাদের রেশম কোমল ‘ঈমান’ নষ্ট হয়ে যেতে পারে!

৫৯.
চুরি করার আগে বিসমিল্লাহ, পাবলিকরে ভোদাই বানাইতে ইনশাল্লাহ, ফটোশপ দেইখ্যা সুবাহানাল্লাহ আর কাউরে কাইট্যা ফালাইবার সময় আল্লাহু আকবার পড়া মুসলমানের জন্য উত্তম। 

৬০. 
Facebook-এ সুন্দর সুন্দর মসজিদের ছবি share করে কি আর আল্লার অস্তিত্ব প্রমাণ করা যায়?

৬১. 
বিজ্ঞানের সব গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারই প্রথমে ইসলামে হারাম থাকে। পরে তা হালাল হয়ে যায়। চলচ্চিত্রও ইসলামে একসময় হারাম ছিল, এখন তা হালাল। সৌদি আরবও তাদের প্রথম চলচ্চিত্রটি বানিয়ে ফেলেছে কিছুদিন আগেই। আমি বলতে চাচ্ছি, মুসলমানরা চলচ্চিত্র দ্যাখে। খুব দ্যাখে। যে চলচ্চিত্রটি যত বেশি নিষিদ্ধ বা বিতর্কিত, সেটা আরো বেশি করে দ্যাখে। যেহেতু তারা মাতৃভাষায় কোরান পড়ার চেয়ে চলচ্চিত্র দেখতে বেশী আগ্রহী, তাই ইসলামের ইতিহাস নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণে তাদের এতো আপত্তি কেন? ইসলামের ইতিহাস নিয়ে ভালো ও সিরিয়াস চলচ্চিত্র নির্মান খুবই সময়োপযোগী ও প্রয়োজনীয়। ১৪০০ বছর পরও মুসলমানরা ইসলামের সঠিক ইতিহাস জানবে না, এটা হতে পারে না।

৬২. 
যে ধর্মগ্রন্থ পুরুষের জন্য যুদ্ধ ফরজ করে; বহু বিবাহ, শিশু বিবাহ, বউ পিটানো, দাসী ভোগ, যুন্ধবন্দী নারী ভোগ, ইসলাম ত্যাগীকে হত্যায় উৎসাহিত করে, সে গ্রন্থ সমস্ত মানব জাতির জন্য হয় কীভাবে?

৬৩.
যখন আপনি আপনার যুক্তিকে শিকেয় তুলে অযৌক্তিক জিনিসে বিশ্বাস করা শুরু করেন, তখন আপনি যে কোনো কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারেন। একবার যখন আপনি নিজেকে বোকা বানিয়েছেন, তখন সারাজীবন বোকা হবার জন্য আপনাকে প্রস্তুত থাকতে হবে, কারণ বোকামির শেষ নেই। এমন ক’জন আছেন যারা ৫৪ বছরের এক বুড়োর সাথে ৯ বছরের একটা বাচ্চা মেয়েকে শুতে দেবে? এর জন্য দরকার চুড়ান্ত গাধামী। আর এই গাধামী শুধুমাত্র অন্ধ বিশ্বাসের মাধ্যমেই সম্ভব হতে পারে।

৬৪.
পৃথিবীতে ১০,০০০ এর ও বেশি ধর্ম আছে। প্রতিটা ধর্ম সম্পর্কে বিশদভাবে জানা আর তার ভুল ধরে সমালোচনা করা আমার একার পক্ষে সম্ভব নয়। যে ধর্মগুলো সমাজে বা রাষ্ট্রে বেশি সমস্যা আর অশান্তি সৃষ্টি করে, আগে সেই ধর্মের সমালোচনা করাই জরুরি। অসুখ যেখানে বেশি, ওষুধও সেখানে বেশী দিতে হয়।

৬৫.
ছাগলরে সাবান দিয়া গোসল করাইলে ছাগলের চামড়ার ক্ষতি হয় আর সাবানেরও অপচয় হয়।

সৌদি নারীদের ভোটাধিকার


* ২০১৫ সালের নির্বাচনে সৌদি নারীরা প্রথমবারের মতো ভোট দিতে পারবেন।

এক জোড়া পোস্টার

Ricky Gervais - খ্যাতনামা ব্রিটিশ স্ট্যান্ড-আপ কমেডিয়ান। নাস্তিক।


মহাজাগতিক ধূলিকণা - ০১

লিখেছেন কজমিক ডাস্ট 

০১.
মোহাম্মাদ আরবে না এসে ভারতবর্ষে এলে বলতো, সব দেবদেবী ভুয়া আর কৃষ্ণই একমাত্র ভগবান আর সে তার নতুন অবতার। তারপর শিবলিঙ্গ নিয়ে তার চারপাশে চক্কর দিত। ইসলাম যেমন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তৎকালীন আরবের ইহুদী ও পৌত্তলিকদের ধর্মবিশ্বাস থেকে চোথা মেরে, তেমনি ভারতবর্ষেও ইসলাম তৈরি হত বৈদিক ধর্ম, জৈন ধর্ম আর বৌদ্ধ ধর্ম থেকে চোথা মেরে।

০২.
ইসলাম আসার আগের যুগটিকে মুসলমানেরা বলে জাহেলিয়াতের যুগ। ইসলাম এসে নাকি মানুষকে সভ্য করে তুলেছে। নামাজের সময় পেছন দিক ওপরে তুলে মাটিতে মাথা ঠেকানোর সাথে হাজার হাজার বছর আগেকার মানুষদের একই কায়দায় উপাসনা করার সাথে কী পার্থক্য আছে? গহীন বনের উপজাতিরা তাদের দেবতার সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে বলি দেয়, আর মুসলমানেরাও আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টির আশায় দেয় কোরবানি। শামানরা মন্ত্র বিড়বিড় করে চিকিৎসা করে, তো মুমিনরাও ঝাড়ফুঁক করে চিকিৎসা করে। নেটিভ অ্যামেরিকানরা আগুনের চারপাশে চক্কর দেয়, তো মুসলমানেরাও কাবার চারপাশে চক্কর দেয়। হজে সাফা মারওয়া পাহাড়ে দৌড়াদৌড়ি আর একটা পিলারে শয়তান বাঁধা আছে মনে করে তাতে পাথর নিক্ষেপ করা আফ্রিকান উপজাতিগুলির ধর্মীয় প্রথাগুলির চেয়ে কতটা সভ্য?

০৩.
মুমিনরা তাদের সকল দুর্দশার জন্যে দায়ী করে ইসলামী খিলাফত না থাকাকে। তাদের ধারণা, একবার ইসলামী খিলাফত প্রতিষ্ঠা হয়ে গেলেই তারা বিশ্ব জয় করে ফেলবে এবং তাদেরকে আর কেউ হারাতে পারবে না। আচ্ছা, খিলাফত যদি মুসলমানদেরকে এতটাই শক্তিশালী করে ফেলে, তাহলে ইসলামের শেষ খিলাফত অটোম্যান সাম্রাজ্যের পতন হল কীভাবে ৮০ বছর আগে? প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অটোম্যান সাম্রাজ্য গোহারা হেরেছিল নাছারা ইউরোপিয়ানদের কাছে।

রবিবার, ২৮ অক্টোবর, ২০১২

ধর্মপোন্দনের তিনটি বছর

সুদূরপ্রসারী বিশেষ পরিকল্পনা ছিলো না, ছিলো না সাইট বানানো বা চালানোর কোনও অভিজ্ঞতাও। তবে একটি লক্ষ্য ছিলো নিশ্চিতভাবেই - ধর্মপোন্দন। এবং তা রঙ্গ-ব্যঙ্গ-কৌতুক-বিদ্রূপের মাধ্যমে। ঠিক তিন বছর আগে অক্টোবরের চব্বিশ তারিখে অনেকটা খেলার ছলেই গুগলের ব্লগস্পটে জন্ম হয়েছিল ধর্মকারী নামের ব্লগটির।

কয়েকদিন আগে শুভজিৎ ভৌমিক ওরফে ভৌমিকদা' এই দিনটির কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বিশেষ একটা কিছু করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। আমি তখন সম্মতি দিইনি। কারণ জন্মদিন ও নানাবিধ বার্ষিকী উদযাপন আমার একেবারেই পছন্দের ব্যাপার নয়। আর এসবে লৌকিকতামণ্ডিত অভিনন্দনবাণী অধিকাংশ ক্ষেত্রে শূন্যগর্ভই হয়ে থাকে। আমি এসব এড়িয়ে চলি ব্যক্তিগত জীবনেও। 

কিন্তু আমার এক নাছোড়বান্দা বান্ধবীর বিরামহীন তাগাদা ও উপর্যুপরি উপরোধ উপেক্ষা করা গেল না। শেষে অনেক ভেবেচিন্তে স্থির করলাম, এ উপলক্ষে পাঠকদের কাছ থেকে জানতে চাইবো গত তিন বছরে ধর্মকারীর কর্মফলের কথা। তবে শুভেচ্ছা, অভিনন্দন বা প্রশংসার বাণী শুনতে আমি সত্যিই চাই না। 

পাঠকদের কয়েকটি প্রশ্ন করি: বিনোদনী ব্লগ হলেও ধর্মকারী আপনাদের কারুর চিন্তাজগতে কোনওভাবে প্রভাব ফেলতে পেরেছে কি? দিয়েছে কি নতুন কোনও উপলব্ধি? দূর করতে পেরেছে কোনও অস্পষ্টতা? কাটাতে পেরেছে ব্যক্তিগত ধর্মান্ধকার? এমন ধর্মকারী-আসক্তি কারুর হয়েছে কি যে, একদিন ঢুঁ না দিলে প্রাণ আঁইঢাঁই করে? 

ধর্মকারীর পাঠকেরা মন্তব্যবিমুখ, তবু আশা করবো, তাঁরা স্বল্প পরিসরে বা বিশদভাবে মন্তব্য-আকারে বা পোস্টের মাধ্যমে ওপরের প্রশ্নগুলোর আন্তরিক উত্তর দেবেন। পোস্ট হিসেবে প্রকাশ করতে চাইলে তা dhormockeryঅ্যাটgmailডটcom ঠিকানায় পাঠিয়ে দিন। 

পরিশেষে একটি ঘোষণা: আল্যার রহমতে ধর্মপোন্দন বহাল থাকবে ইনশাল্যাহ। আপনারা দোয়া রাখবেন।

ভবদীয়, 
ধর্মপচারক

নিত্য নবীরে স্মরি – ৯৩

পাঠিয়েছেন কজমিক ডাস্ট


মহাউন্মাদ নামের পেইজ থেকে

উৎকট উৎসর্গ

নাস্তিকদের কাছে সব ধর্মই রঙ্গরসের অসীম আধার। উদ্ভটতম বল্দার্গুও বিশ্বাসীরা সত্য বলে মেনে নেয়। নাস্তিকেরা এ নিয়ে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ করলে তারা দিলে চোট পায়। এই যেমন, খ্রিষ্টধর্মে বলা হয়: যিশু নিজের জীবন উৎসর্গ করেছে তোমার জন্যে, তোমার পাপের জন্য। আপাদমস্তক অযৌক্তিক এই দাবিই খ্রিষ্টধর্মের ভিত্তি। তবে নিজ মস্তিষ্ক ব্যবহারে অনীহ ও অক্ষম খ্রিষ্টানেরা এই বাণীকেই করেছে জীবনের ধ্রুবতারা।

খ্যাপা ইউটিউবার ডাস্টি স্মিথের চার মিনিট দীর্ঘ বিশ্লেষণ। একই সঙ্গে যুক্তিনিষ্ঠ ও উপভোগ্য। 

লক্ষ্য করুন:
ইউটিউব ব্লকড থাকলে:
১. http://www.youtube.com/...-এর বদলে https://www.youtube.com/... ব্যবহার করলে কাজ হচ্ছে বলে অনেকে জানিয়েছেন।
২. কাজ না হলে নিচে দেয়া ভিডিও লিংকটি (অথবা ইউটিউবের যে কোনও লিংক) এই ঠিকানায় গিয়ে তালার ছবির ডানপাশের বক্সে বসিয়ে সরকারী সিদ্ধান্তকে কাঁচকলা দেখিয়ে অবলীলায় ভিডিও দেখতে থাকুন।

ভিডিও লিংক: http://youtu.be/Rh-d-IEPGfo

'মুহাম্মদ' নাম জপিলে


সহজ প্রশ্নের ছহি ধর্মীয় সমাধান - ০১

লিখেছেন দ্রাক্ষা রস

- জীবন দুঃখময়। দুঃখমুক্তির উপায় কী? 
- ঘর-সংসার ত্যাগ করে বনে চলে যান। 

- যৌনশক্তিতে ভাটা পড়লে কী কর্তব্য? 
- পরিধান করুন গেরুয়া বস্ত্র। ভাব নিন মহান সাধকের। 

- মেয়েদের দেখলে ভয় হয়; অতি সংবেদনশীল - কী করি, বলুন তো? 
- দয়া করে মাথা মুড়িয়ে মন্দিরে জায়গা করে নিন। সেখানে প্রচুর অভাগা পুরুষ আছে। 

- পিতা-মাতা-পরিবার-পরিজন খুব ইরিটেটিং। কী উপায়? 
- সব কিছু ছেড়ে রাতের আঁধারে চোরের মত পালান। মহাপুরুষ হোন। 

- নারীরা কেমন - বুঝতে হলে কী করতে হবে? 
- বৌদ্ধ ধর্মীয় জাতক পড়ুন নিশ্চিন্তে। 

- অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে চাইলে কীভাবে করা উচিত? 
- মার খেলেও চুপ করে থাকবেন। ধর্মে বলা আছে।

- সকল নৈরাজ্য আর হতাশা থেকে মুক্তি পথ কী? 
- ভরা যৌবন জলাঞ্জলি দিয়ে নির্বাণ-এর পথ খুঁজুন।

গরুপূজারি গাধাগুলো - ২৬



Astrology is Still Bullshit নামের ফেসবুক পেজ থেকে।

মুসলমানচিত্তে মনুষ্যত্ববোধ ও ইমোশোনাল সেন্সিটিভিটি

লিখেছেন অর্ণব

যদিও আমি গ্রামের ছেলে নই, তথাপিও গ্রাম সম্পর্কে আমার রয়েছে একটি বিশেষ ফ্যাসিনেশন। বাংলাদেশে থাকাকালীন বছরের অন্তত চার-পাঁচদিন গ্রামে থাকা হতো আমার, বিশেষত স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা শেষে। ষষ্ঠ কিংবা সপ্তম শ্রেণীতে পড়াকালীন গ্রামে পার করা কয়েকটি দিনের ছুটি আমার জীবনে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। গ্রামের সকল ঘরেই মুরগী-গরু-ছাগল থেকে থাকে, আমাদেরও ছিল। সেইসময় একটি গাভী বাচ্চা দেয়। বাচ্চাটির বয়স একমাসও হয়নি সম্ভবত। সকল ম্যামাল শিশুই খুবই খুবই সুন্দর; নির্দোষ অভিব্যক্তি, কৌতূহলী চোখ আর অপেক্ষাকৃত বৃহৎ হেড টু বডি রেইশিয়ো প্রায় প্রত্যেকটি ম্যামাল শিশুকেই মানুষের কাছে করেছে মোটামুটি আদরণীয়। 

সেই বাছুরটিও এর ব্যতিক্রম ছিলো না, ধবধবে সাদা শরীর আর কুচকুচে কালো ক্ষুর, আর ইভেন টোঅড ওঙ্গুলেটসদের চোখ হয় খুবই মায়াকাড়া, এটা কে না জানে! ইন ফ্যাক্ট কবি সাহিত্যিকেরা সুন্দর চোখকে নাকি হরিণের চোখের সাথেই তুলনা করে! বাছুরটির বেশিরভাগ সময়ই কাটতো দৌড়াদৌড়ি লাফালাফি করে, মায়ের কাছেই থাকতো বেশি; আর মা-টিও ছিলো খুবই ডিফেন্সিভ ও অ্যাগ্রেসিভ - অন্যান্য আর সকল গর্ভবতী বা সদ্য সন্তান জন্মদানকারী ম্যামাল মায়ের মতোই। আমি বাছুরটিকে একদিন অ্যাপ্রোচ করি, তাকে দেখে আমার ইচ্ছা করেছিলো শরীরে হাত বোলাতে। দিন দুয়েকের মধ্যেই সেটা আমার বেশ পোষ মানে, আমাকে দেখে আর আগেরমতো দৌড়ে পালিয়ে যেতো না, বরং কাছাকাছি আসতো। শরীরে হাত বোলালে চোখ বন্ধ করে দিতো। প্যাটিং ক্রেইভও করতো গলা উঁচু করে। তার মুখাবয়বে ছিলো সুস্পষ্ট প্রকাশ যে, সে এইটা এনজয় করছে। সকল ম্যামালই সঙ্গ এনজয় করে রিলায়েবল কোম্পানী হতে। বাছুরের মা-টিও কিছুদিন পর আমি তাদের অ্যাপ্রোচ করলে আর আমার দিকে তেড়ে আসতো না; আমি সমর্থ হয়েছিলাম তাদের ট্রাস্ট অর্জন করতে।

আমার খুবই ভালো লাগতো বাছুরটির সাথে সময় কাটাতে, আমিও তার সঙ্গ উপভোগ করতাম, আমাদের মধ্যে স্থাপিত হয়েছিলো একটি সত্যিকারের বন্ধুত্বপূর্ণ-সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক। তার মনোভাব আমি স্পষ্টতই বুঝতে পারতাম, হয়তো সেও পারতো আমার মনোভাব। আমার জানতে ইচ্ছে হয়েছিলো, কেন আমরা দুটি প্রজাতি এতো একইরকম, কতোটা সিমিলার আমাদের আবেগ, আমাদের অ্যাপ্রোচ, আমাদের আচরণ, অনুভূতি? তখনও আমি জানতাম না যে, এই সাদৃশ্য বাস্তবতা লিখে দিয়েছে আমাদের কোষে কোষে ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিয়োটাইডের অক্ষরে, বেঁধে দিয়েছে আমাদের অলঙ্ঘণীয় আত্নীয়তার সূত্রে।

ছুটি শেষ হলে আমি চলে আসি, বাছুরটির কথাও ভুলে যাই। আরও পরে আবার গ্রামে গিয়ে দেখি, সেটি অনেক বড়ো হয়ে গিয়েছে, আগের মতো অ্যাডোরেবল শিশু আর নেই, ফলশ্রুতিতে তার প্রতি ইন্টারেস্টও আমার হারিয়ে যায়। কী পরিণতি হয়েছিলো তার? হয়তোবা জবাই হয়ে গিয়েছিলো কোনো এক কোরবানী ঈদে, শ্বাসনালী আর খাদ্যনালী কেটে হত্যা করা হয় তাকে রান্না করা হয়েছিল। আফটার অল কেটল তো আমরা রেইস করি মাংসের জন্যই, নারী হলে যতোদিন পারা যায় দুধ আদায় করি, অতঃপর জবাই করে পরিণত করি মাংসে। যদিও কোনো প্রকার রিসার্ভেশন ছাড়াই আমি কাটাচামচে কেটে মুখে পুড়েছি রম্প স্টেইক বহুবার, তথাপিও বড় হয়ে এই অনুধাবনটা কেন যেন আমাকে হতাশ বোধ করাতো, হেল্পলেস বোধ করাতো। তবে এটা মেনে নিয়েছি যে, এটাই বাস্তবতা, আমাদের বেঁচে থাকার জন্য বধ করতে হবে অন্য প্রজাতি, যে প্রজাতি কিনা আমাদের খুবই খুবই নিকটাত্মীয়, কতোটা নিকটাত্মীয় যে, এরা এটা অনুধাবন করলে অন্তত এক নিমিষের জন্য হলেও শিউরে ওঠাটা আমাদের পক্ষে অলঙ্ঘণীয়।

কোরবানীর বিরোধিতা আমি করি এই কারণেই যে, অত্যাবশ্যকীয় হত্যাকে একটি উৎসবে রূপদান করে এই শিউরে উঠাটার গলাই চেপে ধরে প্রস্তরযুগীয় নিম্নজীবী মানুষের রিটার্ডেড মূল্যবোধ। আমি কি এই আচারটির বিরোধিতা করি যে, খাদ্যের জন্য আমাদের হত্যা করতে হচ্ছে? উত্তর হচ্ছে - না, আমি বরং বিরোধিতা করি এই প্র্যাকটিসটার কথা চিন্তা করে শিউরে ওঠা ও উৎকন্ঠিত হয়ে ওঠার অতি স্বাভাবিক একটি মানবিক রেসপন্সকে ধ্বংস করার আচারটির। 

কী হয় কোরবানীর ইদে? বিজাতীয় ভাষায় মন্ত্র পাঠ করতে মানুষ মানুষ নামায পড়তে যায়, নামায পড়ে এসে হাসিমুখে হাতে ছুরি তুলে নিয়ে প্রবৃত্ত হয় হত্যার উৎসবে। একটি ফেলো ম্যামালের সামনে হত্যা করা হয় আরেকটিকে, দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখে একটি গরু আরেকটি গরুর মৃত্যু ও অপেক্ষা করে নিজের টার্নের জন্য। আর বাচ্চারা গোল হয়ে দাঁড়িয়ে হাততালি দেয়, প্রেমিক-প্রেমিকা সাজগোজ করে যায় প্রমোদভ্রমনে যখন কিনা শহরের রাস্তা রঞ্জিত রক্তে, মানুষের রক্তের মতোই লাল যেই রক্তের রঙ; বাতাস ভরে ওঠে যন্ত্রনা আর আর্তনাদে, আর্ত মানুষের চিৎকারের সাথে যার কিনা ভয়াবহ ও ভীতিকর সাদৃশ্য। আমি পরাজিত বোধ করি, যখন কিনা দেখি যে, এই দৃশ্য যারা দেখে তাদের কারোরই মুখে অভিব্যক্তিতে আসছে না কোনো পরিবর্তন, মিইয়ে যাচ্ছে না তাদের মুখের হাসি একফোঁটাও। এটাই কি কারণ যে, মুসলমানচিত্তে মনুষ্যত্ববোধ ও ইমোশোনাল সেন্সিটিভিটি সাধারণত হয়ে থাকে প্রায় অনুপস্থিতই? কে জানে? এটাই কি কারণ যে, চোর ধরা পড়লে তাদের পিটিয়ে মেরে ফেলতে কোন সমস্যাই হয় না? সমস্যা হয় না আরেকজনের গলায়ও ছুরি চালাতে?

মানুষের মনকে করাপ্ট করা খুবই সোজা, মনকে ডিসেন্সিটাইজ করার মাধ্যমে। এবং মনকে করাপ্ট করতে পারলে করাপ্ট করা সম্ভব সকলকিছুই। এবং করাপ্ট জাতি কখনই কিছু করতে পারে নাই। মুসলমানরাও এ পর্যন্ত খুব বেশি একটা কিছু করতে সমর্থ হয়নি, সুপিরিয়র জাতির লাথি-গুঁতো খেয়ে সেগুলো হজম করতেই ব্যয় হয়েছে তাদের পাকস্থলীর সকল পাকশক্তি। বাচ্চারদের প্রত্যক্ষ করতে দিলে জীবন্তের আর্তনাদ, এটার ওপর আরোপ করলে একটি সুপারফিশিয়াল মহত্ববোধ, এটাকে ত্যাগ উৎসর্গ প্রভৃতি হাস্যকর জাইঙ্গা-ফোলানো নাম দিলে এবং দাবী করলে যে, এ কাজটি করলে পরে মহাকাশে একজন সর্বশক্তিমান স্কাইড্যাডি আছে, সে খুব খুশি হতে যাচ্ছে - অনেক বড়ো পরাজয় মেনে নেওয়া হয়।

গতবছর সংবাদে দেখেছিলাম কোরবানী দেখে এক শিশু আত্মহত্যা করেছিলো। আমি শিশুবয়সে কোরবানী দেখে বমি করেছিলাম একবার। বস্তুত সেই সময় থেকেই আমি সর্বপ্রথম ভাবতে শুরু করি যে, হাও এবাউট মানুষের ধর্ম, ধার্মিকতা, ভূত-ফেরেস্তা-পরজীবন-হাশর-নশর ইত্যাদি কমপ্লিট বুলশীট? পরবর্তী কোরবানী আমি ক্লাস টেনে ওঠার আগে দেখিনি। 

যাই হোক, ভালো লাগল দেখে যে, বাংলা ইন্টারনেটে এই প্রস্তরযুগীর কুসংস্কারাচ্ছন্ন লোকাচারের বিরুদ্ধে স্ট্রং ভয়েস আবির্ভূত হয়েছে। এই ভয়েস ছড়িয়ে দিতে পারলে আমি নিশ্চিত আমাদের জীবদ্দশাতেই আমাদেরকে আর বছরের একটি দিনে রক্তাক্ত রাস্তা, রক্তাক্ত শহর দেখতে হবে না। আফটার অল নিম্নজীবী মূল্যবোধকে আমরা যদি আস্তাকুঁড়ে ছুঁড়ে ফেলতে না জানি, কীভাবে আমরা সামনে এগুনোর স্বপ্ন দেখতে পারি, প্রভাইডেড দ্যাট সামনে এগুতে হলে অনেক কিছুই ছুঁড়ে ফেলতে জানতে হয়??

শনিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১২

বিশ্বাসের যুক্তিভীতি


ধর্ম থাকতে বিজ্ঞান কেনু?

পিচ্চি পোলাপানগোরে ইংরাজি শিখাইয়া কুনো লাভ নাই! দরকার নাই বিজ্ঞান সম্পর্কে ধারণা দেওয়ারও। ধর্মশিক্ষাই আসল। তাই ইংরাজি-বিজ্ঞান প্রাইমারি স্কুল থিকা বাদ দিয়া ধর্মশিক্ষা আর জাতীয়তাবাদ বিষয়ক ক্লাস চালু করা হবে। এইটা হইলো ইন্দোনেশিয়ার সরকারের চিন্তা। মারহাবা! আলহামদুলিল্লাহ! আরও ভালো হয় স্কুলগুলারে মাদ্রাসা বানাইয়া ফালাইলে। আল-জাজিরার সোয়া দুই মিনিটের রিপোর্ট। 

লক্ষ্য করুন:
ইউটিউব ব্লকড থাকলে:
১. http://www.youtube.com/...-এর বদলে https://www.youtube.com/... ব্যবহার করলে কাজ হচ্ছে বলে অনেকে জানিয়েছেন।
২. কাজ না হলে নিচে দেয়া ভিডিও লিংকটি (অথবা ইউটিউবের যে কোনও লিংক) এই ঠিকানায় গিয়ে তালার ছবির ডানপাশের বক্সে বসিয়ে সরকারী সিদ্ধান্তকে কাঁচকলা দেখিয়ে অবলীলায় ভিডিও দেখতে থাকুন।

ভিডিও লিংক: http://youtu.be/EkveK3nYU7E

শরিয়াসম্মত হ্যালোউইন পোশাক


MEAT মোবারক

রিপোস্ট

লিখেছেন থাবা বাবা

১.
আল্লার নামে জান কুরবান
আল্লাই নেকি করবেন দান,
এটাই খোদার ধর্ম!

গরুর চক্ষু জল টলমল
মানুষের তাই খুশি ঝলমল,
ছিলিবে গরুর চর্ম!

উল্লাস করে বকরি জবাই
রক্তে দু'হাত রাঙাবে সবাই,
এটাই ঈদের মর্ম!

২.
ভোরের রোদে
ঊর্ধ্ব পোঁদে
নামাজ পরে বান্দা!

ছুরির ধারে
বকরি মারে
মাংস হবে রান্ধা!

৩.
ভোর হলো দোর খোল
মুমিনেরা ওঠো রে,
দল বেঁধে একসাথে
ঈদগাহে ছোটো রে!

কষে দড়ি হাতে ছুরি
মোল্লা যে চলল,
গরুটাকে চেপে ধরে
খোদা নাম বললো!

মেখে খুন ওরে শোন
খোদা ওই চাইল,
ঘরে গিয়ে দেখ ত্বরা
মাংস কে খাইল!!!


একটি কৌতুক:

- মনের পশুবৃত্তি ত্যাগ করার উপায় কী? 
- একটি ছহীহ তরিকা: কোরবানির নামে নিরীহ পশুহত্যার মাধ্যমে সহর্ষ উৎসব করতে হবে ও খেতে হবে নিহত পশুর লাশের মাংস।

(* জাকির হোসেনের একটি স্ট্যাটাস অনুসরণে)

ত্যাগের শিক্ষা বীভৎসতায়?

লিখেছেন সোহেল চৌধুরী

কোরবানী যে আমাদের ত্যাগের শিক্ষা দেয়, এই কথাটা ধর্মের আরো দশটা কথার মত ১০০% ফাঁকা বুলি। একটু ধৈর্য নিয়ে আমার যুক্তিগুলো দেখুন।

প্রথমতঃ ত্যাগের অনুভুতি কী রকম? ত্যাগের অনুভুতি কারো অজানা থাকার কথা না। নিজের খুব পছন্দের একটা জিনিস অন্য কাউকে দিয়ে দেয়ার অনুভূতি, নিজের পোষা কোনো প্রাণী থাকলে সেটাকে বাধ্য হয়ে অন্য কাউকে দিয়ে দেয়ার অনুভুতি, সদ্য বিবাহিত স্বামী-স্ত্রীর একে অন্যকে দীর্ঘ দিনের জন্য অনিচ্ছায় ছেড়ে যাওয়ার অনুভূতি, কিংবা কোনো বিশেষ অপারগতার জন্য বাধ্য হয়ে প্রেমিক বা প্রেমিকার বিয়ে সহ্য করার অনুভূতি ইত্যাদির অধিকাংশের সাথে আমাদের পরিচয় আছে। সুতরাং, ত্যাগের অনুভূতি কী, সেটা নতুন করে বলার প্রয়োজন নেই। ত্যাগের অনুভূতি অনেকটা বিরহের অনুভূতির সমতুল্য।

এখন প্রশ্ন করেন নিজেকে, কোরবানী ঈদের দিন এরকম কোন অনুভূতি বা এর ধারেকাছের কোনু অনুভূতি কি মনে তৈরি হয়? যদি উত্তর হয় 'হ্যাঁ', তবে আমি বলব, মনোরোগ চিকিৎসক দেখান। আর যদি উত্তর হয় 'না', তবে আরেকটা প্রশ্ন, কোরবানীর ঈদের দিন আসলে কী রকম অনুভূতি হয় আমাদের? আমি আমারটা বলি।

ছোটবেলায় যখন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তাম, তাবলিগ জামাতের বয়ান শুনতাম, তখনকার যে কোনো কোরবানী ঈদের দিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর মনে হত, আজ একটা বিশেষ দিন। ঠিক যে রকম মনে হয় ভোটের দিন, কিংবা পরীক্ষার রেজাল্ট বের হওয়ার দিন। অর্থাৎ একটা উৎসবের অনুভূতি হত। তারপর সবার সাথে ঈদের নামাজে যাওয়া, নামাজ পড়া, নামাজ শেষে কোলাকুলি এসবই সে উৎসবের অনুভূতিকে রিইনফোর্স করত। আর যখন কোরবানী দেয়া হত, তখন আমার মনে আসলে যে অনুভুতিগুলো তৈরী হত, সেগুলো হচ্ছে ঐ নিরীহ প্রাণীটির প্রতি করুণা, তার অবধারিত বিভীষিকাকে অনুভব করে ভয়, আর সর্বোপরি প্রাণীটিকে কোরবানী দেয়ার একটা বীভৎস দায়িত্ববোধ। কখনোই আমার মনে ঐ প্রাণীর জন্য ত্যাগ বা বিরহের অনুভূতি তৈরি হয়নি। কোরবানীর পর প্রাণীটা যখন একটা পরিচিত জীবের আদল থেকে আস্তে আস্তে বাজার থেকে কিনে আনা মাংসের আদল নিত, তখন সেসব অনুভুতি আর থাকত না, জন্ম নিত সুস্বাদু মাংস খাওয়া সংক্রান্ত কিছু অনুভূতি। ব্যস, এই আমার অনুভূতির তালিকা। এখন আপনার নিজের প্রতি সৎ হয়ে নিজের অনুভূতিগুলোকে বিচার করার পালা। ধার্মিকদের জন্য ধর্মের প্রতি বায়াস এড়িয়ে নিজের প্রতি সৎ হয়ে নিজের অনুভূতি বিচার করা খুবই কঠিন।

ছবি সৌজন্য: লুক্স

মোট কথা, কোরবানী কখনই আমাদের ত্যাগের শিক্ষা দেয় না। আমার প্রেক্ষিত বিচারে রেখে বলা যায়, কোরবানী আমাদের করুণা, বীভৎসতা, ভয়, আর বীভৎস একটা কাজ করার দায়িত্ববোধ এর সাথে পরিচয় করায় এবং সেগুলোকে সহ্য করা শেখায়। একটা বাচ্চার সুস্থ ভবিষ্যৎ মানসিক অবস্থার জন্য এসব অত্যন্ত ভয়ানক বলে আমি মনে করি। একবার ভাবুন, একজন কসাই আর একজন কবির মধ্যে কে সহজে একটা খুন করতে পারবে? তাই শিশুদের মানসিক ভাবে কসাই হওয়া থেকে বাঁচান। কোরবানীর আয়োজন থেকে তাদের দূরে রাখুন।

আল্লাহর নিদ্রাহীনতা ও কোরবানি

পাঠিয়েছেন কজমিক ডাস্ট


শুক্রবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১২

হা-হা-হাদিস – ৬৩

হে ঈমান্দার বান্দাসকল, তোমাদের জন্য অজস্র রসময় কথা গুপ্ত রহিয়াছে হাদিস শরিফে।
- সহীহ আল-ধর্মকারী
তিরিশ পুরুষের যৌনশক্তিসম্পন্ন নবীজির বীর্যমাখা কাপড় আয়েশা নিজ হাতে ধুতো। সেই কাপড় পরে নবীজি যখন নামাজে যেতো, তখনও পানির দাগ লেগে থাকতো কাপড়ে।

Narated By 'Aisha : 
I used to wash the traces of Janaba (semen) from the clothes of the Prophet and he used to go for prayers while traces of water were still on it (water spots were still visible).

স্বর্গে নরকের চেয়ে বেশি গরম

নিচের পোস্টারে বাইবেলের বাণীকে সম্পূর্ণ বৈজ্ঞানিক (বৈগ্যানিক নয়) পদ্ধতিতে বিশ্লেষণ করে দেখানো হয়েছে, স্বর্গে গড় তাপমাত্রা ৫২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আর নরকে - ৪৪৫


সাপ-কুকুরও হালাল

কোরবানির ঝড়টা পুরোপুরিইা যায় গরু-ছাগল-ভেড়া-উট-দুম্বার ওপর দিয়ে। এই তালিকায় কি কুকুর যোগ হতে পারতো? অবাক হবেন না। এক সুন্নী ইছলামবাজ বলেছে, ইছলামে সাপ-কুকুরসহ আরও অনেক প্রাণীই হালাল। দুই মিনিটের ভিডিও দেখে নিশ্চিত হোন। 

লক্ষ্য করুন:
ইউটিউব ব্লকড থাকলে:
১. http://www.youtube.com/...-এর বদলে https://www.youtube.com/... ব্যবহার করলে কাজ হচ্ছে বলে অনেকে জানিয়েছেন।
২. কাজ না হলে নিচে দেয়া ভিডিও লিংকটি (অথবা ইউটিউবের যে কোনও লিংক) এই ঠিকানায় গিয়ে তালার ছবির ডানপাশের বক্সে বসিয়ে সরকারী সিদ্ধান্তকে কাঁচকলা দেখিয়ে অবলীলায় ভিডিও দেখতে থাকুন।

ভিডিও লিংক: http://youtu.be/oZBmnmyeuZQ

ছহীহ মমিনীয় যুক্তিবিদ্যা

পাঠিয়েছেন সাব্বির শওকত শাওন


- কোরআন যে সঠিক, জানলি কীভাবে? 

- মুহাম্মদ বলসে। 

- মুহাম্মাদ যে সত্যি বলসে, বুঝলি কীভাবে? 

- কোরানে লিখা আছে, আল্লাহ বলসে। 

- আল্লাহ যে আছে, বুঝলি কীভাবে?

- মুহাম্মাদ বলসে। আল্লাহ কোরানে লিখসে, যে উনি আছেন।