আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

বৃহস্পতিবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০১৩

যুক্তির কাঠগড়ায় কুরান-হাদিস - ০৩

লিখেছেন রাইট হার্ট

যুক্তি - ৭

ধরুন, আপনার কোনো এক সন্তান আপনাকে বাবা বলে স্বীকার করে না অর্থাৎ তার পিতৃপরিচয় সে দেয় না। এখন আপনি কী করবেন? 

- আপনি কি অন্য সন্তানদের নির্দেশ দেবেন তাকে হত্যা করতে? 
- অতঃপর তার সম্পত্তি আর স্ত্রী-কন্যা নিজেদের মাঝে ভাগ করে নিতে? 
- কিংবা মেয়ে হলে দাসী বানিয়ে ধর্ষণ করতে আর ছেলে হলে দাস বানিয়ে ব্যবহার করতে?

'আল্লাহ' নামক সৃষ্টিকর্তা মুসলিমদের নির্দেশ দিয়েছেন যারা অবিশ্বাসী অর্থাৎ যারা তার অস্তিত্বে বিশ্বাস আনবে না, তাদের 
- হত্যা করতে (কোরান ২:১৯১, ৪:৮৯, ৯:৫, ৪৭.৪), 
- তার সম্পত্তি আর স্ত্রী-কন্যাদের গনিমতের মাল হিসেবে নিজেদের মাঝ ভাগ করে নিতে (কোরান ৪৮:২০, ৮:৪১, ৪:২৪), 
- মেয়েদের দাসী বানিয়ে ধর্ষন করতে (কোরান ৪:৩, ২৩:৫-৬, ৭০:২৯-৩০), 
- ছেলেদের দাস বানিয়ে ব্যাবহার করতে (কোরান ১৬:৭১, ১৬:৭৫) !

এখন বলুন, কে বেশি স্নেহশীল এবং নীতিবান? - আপনি নাকি আপনার আল্লাহ? 

যুক্তি - ৮

ধরুন, আপনার জানা মতে আমি একজন দয়ালু, নীতিসম্পন্ন এবং জ্ঞানী ব্যক্তি! কিন্তু আমি আপনাকে জানালাম যে, কিছু মূহুর্ত আগে আমি আমার মামার সদ্য জন্ম নেওয়া বাচ্চাটিকে মেরে ফেলেছি! এখন কি আর আমাকে আপনার দয়ালু মনে হচ্ছে? কিংবা নীতি বোধ সম্পন্ন জ্ঞানী কেউ ? উত্তরটা সম্ভবত 'না'।

এবার আসল আলোচনায় আসা যাক । কুরান অনুসারে:

১. আল্লাহ দয়াবানদের চাইতেও সর্বশ্রেষ্ট দয়াবান ~ ২১:৮৩
২. তার ইচ্ছেয় এই দুনিয়ার যাবতিয় কিছু ঘটে থাকে ~ ৭৬:৩০-৩১
৩. তার ইচ্ছে ব্যাতিত কেউ মরতে পারে না ~ ৩:১৪৫
৪. তার কাছে কোন বিষয়ে প্রার্থনা করলে তা তিনি কবুল করে নেন ~ ২:১৮৬

এবার ধরা যাক, কোনো এক টেররিস্ট অ্যাটাকে বহু লোক মারা গেল। এখন আপনার মতে কি তারা সবাই গুনাহগার ছিল? কেউই কি সৎ, নীতিবান বা নিরীহ ছিল না? যেসব শিশুরা মারা গেল তারা? মনে রাখতে হবে, ইসলাম পুনর্জন্মের পাপ জাতীয় ধারনায় বিশ্বাস করে না যে,এটা মানতে হবে আল্লাহ পূর্ব-পাপে তাদের এমন সাজা দিলেন। যেহেতু তার ইচ্ছে ব্যতিত কিছু ঘটে না এবং তার ইচ্ছে ব্যতিত কেউ মরতেও পারে না, তাই এটা ধারণা করা যায় সহজেই যে, টেররিস্ট অ্যাটাক ঘটানো এবং নিরপরাধ মানুষ মারা দুটোই তার কর্ম। এছাড়া, মৃত্যু মুহুর্তে সবারই বেঁচে থাকার প্রতি আকুতি থাকার কারণেই আল্লাহর প্রতি সে ভক্তিভরে প্রার্থনা জানাবেই। কিন্তু যেহেতু তার মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে হলই, সেক্ষেত্রে বলা যায়, প্রার্থনা করলেই আল্লাহ তা পূরণ করেন না ।

সুতরাং ওপরোক্ত বক্তব্য অনুসারে, (২+৩) is not equal to ১ or ৪ ~~ সিম্পুল ম্যাথ! 

বিঃ দ্রঃ কোনো মুমিন যদি এই বলিয়া নিজের অজ্ঞতা ঢাকতে বা আবালতা প্রকাশ করতে চান যে, আল্লাহ আমাদের পরীক্ষা করার জন্যেই এমন অনেককিছু করেন, যা আমাদের বোধগম্য নয়, তাহলে আমি বলবো ~ আপনার আল্লাহ সর্বশক্তিমান বা সর্বদ্রষ্টা নন, যেহেতু পরীক্ষার ফল কী হবে, তা তাঁর জানা নেই। 

এক জোড়া পোস্টার - ৩৪

(ছবি দেখা না গেলে বিকল্প লিংক) 

(ছবি দেখা না গেলে বিকল্প লিংক)

ধর্মাতুল কৌতুকিম – ৫৫

পাঠিয়েছেন সায়ন

১৫৭.
বাসর রাতে ৯ বছর বয়সী বিবি আয়েসা নবী করিম মোহাম্মদ (সঃ) কে জিজ্ঞেস করল,”শয়তান, দোজখ আর বেহেস্তের সুখ কোথায় পাওয়া যায়, আর কীভাবে পাওয়া যায়?”
মোহাম্মদ (সঃ) উত্তর দিলেন, “আমার দুই পায়ের মাঝে তুমি শয়তানকে পাবে। তোমার দুই পায়ের মাঝে পাবে দোজখ। আর যদি তুমি দোজখে শয়তানকে বন্দি করতে পার, তবেই তুমি পাবে বেহেস্তের সুখের অনুভূতি।" 

১৫৮.
রাস্তার মধ্যে এক লোকের হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক হলো। চোখ মেলে দেখলো, সে এক হাসপাতালের বেডে শুয়ে আছে। জানতে পারলো, কিছুক্ষণ আগেই তার বড়সড় এক বাইপাস সার্জারি হয়েছে। কিছুক্ষণ পর লোকটার কাছে এক যাজিকা এলেন হাতে একটা লম্বাটে কাগজ নিয়ে।
“এটা একটা মিশনারী হাসপাতাল, জনাব।” বললেন যাজিকা। “যদিও এটা চালাতে রোগীদের কাছ থেকেও কিছু টাকা নেয়া হয়। আপনার কাছে কি এই অপারেশনের ব্যয়ভার বহন করার মত যথেষ্ট পরিমাণ টাকা আছে?”
লোকটা অসহায়ের মত তাকিয়ে মাথা ঝাঁকিয়ে জবাব দিল, "নেই।"
“এখানে হয়তো নেই, কিন্তু ব্যাঙ্কে তো আছে?”
এবারও লোকটার একই উত্তর: "নেই।"
“হুম,” বললেন যাজিকা। “তবে আপনার কি কোনো স্বাস্থ্যবীমা করা আছে?”
লোকটা আবারও না-বোধক মাথা নাড়লো।
“বড়ই সমস্যা দেখছি। তো এই অপারেশনের বিল শোধ করার মত কোনো সামর্থ্যবান আত্মীয় কি আপনার আছে?”
লোকটা এবার ক্ষীণকণ্ঠে বললো, “আত্মীয় বলতে আছে শুধুমাত্র আমার এক বোন।”
“তার কি আপনার অপারেশনের খরচ বহন করার টাকা আছে? সে কী করে?”
“কী আর করবে! সে দেখতে এতই বিশ্রী যে, কোনো ছেলে তাকে বিয়েই করছিল না। তাই সে হয়ে গেল এক ক্যাথলিক চার্চের যাজিকা।”
ইজ্জতে লাগলো উপস্থিত যাজিকাটার। “আপনি কি জানেন, একেকটা যাজিকার পতিভাগ্য কীরূপ? প্রত্যেকটা যাজিকা হলেন স্বয়ং ঈশ্বরের স্ত্রী।”
লোকটা চটপট বললো, “ঠিকাছে। অপারেশনের বিলটা তাহলে আমার দুলাভাইয়ের কাছে পাঠিয়ে দিন।”
© ঐশ

১৫৯.
একদা রাতে নবীজী হযরত মুহাম্মদ হেরা গুহায় বসে ধ্যান করছিলেন। হঠাত তিনি দেখলেন এক পেষল, ইয়া বড় ষণ্ডামার্কা সুদর্শন যুবাপুরুষ তার সামনে দাঁড়িয়ে। নবীজী যুবককে বললেন, "হে মহামহিম, নিশ্চয়ই আপনি ফেরেস্তা জিব্রাইল হবেন।" 
যুবক উত্তর করলো- "না, আমি জিব্রাইল না।" 
নবীজী বললেন, "কিন্তু এই গুহায় তো কেউ ছিলো না আর আমি ছাড়া। কীভাবে আপনি এখানে আসলেন? অবশ্যই আপনি অশরীরী কেউ। আমার ধ্যানে তুষ্ট হয়ে আমার মনোবাঞ্ছা পুরণের লক্ষ্যে আপনি এই গুহায় এসেছেন। অবশ্যই আপনি ফেরেস্তা জিব্রাইল। নিজেকে আর লুকিয়ে রাখবেন না। এইবার দয়া করে আমার মনোবাঞ্ছা পুরণ করুন।" 
যুবক বললো তখন, "আচ্ছা, ঠিকাছে। আমিই ফেরেস্তা জিব্রাইল। এইবার বলো, কী তোমার মনোবাঞ্ছা।" হযরত বললেন, "আমার মনোবাঞ্ছা হচ্ছে, আমি পৃথিবীর তামাম সুদর্শন নারী-পুরুষ-শিশু-বৃদ্ধের সঙ্গে যৌনসঙ্গম করতে চাই; পৃথিবীতে যতো টাকা-পয়সা-ধন-দৌলত আছে এর সব চাই; এবং চাই সর্বোপরি ক্ষমতা যাতে আমি যা খুশি তাই-ই করতে পারি।" 
জিব্রাইল বললেন, "আচ্ছা ঠিকাছে তোমার মনোবাঞ্ছা পুরণ করা হলো। তোমার মনোবাঞ্ছাগুলো কাল সকালে বাস্তবায়িত হবে। কিন্তু এক শর্তে। শর্তটা হচ্ছে - সারারাত আমাকে তোমার পু* মারতে দিতে হবে।" 
প্রথমে একটু ঘাবড়ে গেলেন নবীজি কিন্তু পরিশেষে ভেবেচিন্তে দেখলেন, ফেরেস্তা মানুষ, তারপর আবার সুদর্শনও বটে; ক্ষতি নেই কোনো একে একরাত আমার পু* মারতে দিলে। রাজি হলেন আমাদের নবীজি এবং তেল-টেল মেরে একদম রেডি হয়ে বসলেন। সারারাত তুমুল পু* মারামারি করে ক্লান্ত হয়ে গুহাতেই ঘুমিয়ে পড়লেন তাঁরা। 
সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে হযরত বললো, 'সকাল তো হয়েছে, এইবার আমার মনোবাঞ্ছা বাস্তবায়িত করুন।"
জিব্রাইল আড়মোরা ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে বললো, "বয়স কতো হইছে তোমার?" 
নবীজী বললেন, "আজ্ঞে হুজুর চল্লিশ বছর।" 
হাসতে হাসতে বললো তখন জিব্রাইল, "চল্লিশ বছর বয়স হইছে তোমার, এখনও তুমি মিয়া ফেরেস্তায় বিশ্বাস করো?" 
[বি.দ্র.- ঐতিহাসিকদের ধারণা এই যুবকটির নাম আবু জেহেল।] 

* সবগুলোই বড়বাবুদের কৌতুক: ছোটবাবুরা খেলতে যাও নামের ফেসবুক পেজ থেকে। 

চিত্রপঞ্চক - ৪৪

শেষের ছবিটা একটু ইয়ে-টাইপ। অতএব ইমোটা খিয়াল কৈরা! 

(পূর্ণাকারে দেখতে বা ছবি দেখা না গেলে বিকল্প লিংক

(পূর্ণাকারে দেখতে বা ছবি দেখা না গেলে বিকল্প লিংক
(ছবি দেখা না গেলে বিকল্প লিংক

(ছবি দেখা না গেলে বিকল্প লিংক

(ছবি দেখা না গেলে বিকল্প লিংক)

হ্রস্বরসবাক্যবাণ – ৭২

১.
সংশয়বাদী তাকেই বলে, ঈশ্বরের আইডি কার্ড দেখতে চায় যে।
(সংগৃহীত ও অনূদিত)

২.
অসংখ্য প্রহরীর পরিবর্তে মাত্র কয়েকটি সিকিউরিটি ক্যামেরা স্থাপন করে বিশাল সুপারমার্কেটের সমস্ত কর্মকাণ্ড রেকর্ড করে রাখা যায়, অথচ সর্বশক্তিমান আল্যাফাক তার সৃষ্ট মানুষদের ওপর নজর রাখতে নিয়োগ করেছে কেরামান-কাতেবীন নামের তেরো-চোদ্দ বিলিয়ন ফেরেশতা।

৩.
ধর্মবিশ্বাসীদের অতীত- ও বর্তমান আচরণ দেখে এ কথাই মনে হয়: ধর্মবিশ্বাসীদের কাছে ধর্মীয় স্বাধীনতার মানে - ধর্মের নামে যা ইচ্ছে তা-ই করার স্বাধীনতা।

আমার বোরখা-ফেটিশ – ৭৬

(ছবি দেখা না গেলে বিকল্প লিংক

(পূর্ণাকারে দেখতে বা ছবি দেখা না গেলে বিকল্প লিংক)

বুধবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০১৩

ধর্মগ্রস্তরা

অনেক সময়ই ধর্মবিশ্বাসের সঙ্গে অপ্রকৃতিস্থতা বা বিকারগ্রস্ততার পার্থক্য খুঁজে পাওয়া যায় না। দক্ষিণ ভারতে হিন্দুদের এই রিচ্যুয়ালটি দেখে সেই ধারণাটিই জোরদার হলো। 

তেত্রিশ সেকেন্ডের অ-ইউটিউব ভিডিও। 


গরুপূজারি গাধাগুলো - ৪৬

(পূর্ণাকারে দেখতে বা ছবি দেখা না গেলে বিকল্প লিংক

(পূর্ণাকারে দেখতে বা ছবি দেখা না গেলে বিকল্প লিংক)

Astrology is Still Bullshit নামের ফেসবুক পেজ থেকে।

ইসলামোরফোসিস - ০৬

লিখেছেন কৌশিক

৭.
সাতদিন পরপর নখ ও অবাঞ্ছিত লোম পরিষ্কার করা সুন্নত বলে আমি এখন অনেক ফুরফুরে। হাদিসে আছে, চল্লিশ দিন অতিক্রম হওয়া হারাম। বৃহস্পতিবার নখ কাটলে বেশী মর্তবা। কারণ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত মানে হচ্ছে শুক্রবারের রাত। সোবহানাল্লাহ! দিনের আগে রাত চলে আসার বিধান রেখেছে মহান পাক পরওয়ারদেগার। এই রাতে ফেরেশতারা খোদার সমীপে সেজদায় অবনত হয়। তবে অবশ্যই দিবাভাগে এসব কর্তন সমাপ্ত করা উচিত। 

কিউ টিভিতে কোরানিক মতে নখ কর্তন দেখে এক অমুসলিম ইমান এনেছে বলে বয়ান শুনেছিলাম রাস্তায় লাগানো মাইকে। হুজুর বলছিল, দ্যাখ বেদ্বীন, ইসলাম হচ্ছে কমপ্লিট কোড অফ লাইফ! কেমনে নখ কাটতে হবে, তাও শিখিয়ে দিয়েছেন আমাদের নবীয়ে কারীম! শুনে রাস্তায় হাঁটতে গিয়ে গর্বে আবার বুক ভরে ওঠে। দুই কিলোমিটারব্যাপী রাস্তায় পঞ্চাশ মিটার পরপর মাইক ফিট করা। কোথায় ওয়াজ হয় জানি না। কিন্তু পুরো এলাকাবাসী, মুসলমান, কাফের, কীটপতঙ্গ, স্কুল-কলেজের ছেলেমেয়ারা, হাসপাতালের রোগীরা সবাই মাশাল্লা সে দ্বীনি কথা শুনতে পাচ্ছিল। এটা অমুসলমান কাফেরদের হেদায়েতের পথ সুগম করে। তারপরে তারা যখন জানবে ইসলামের কী ফজিলত, ডান হাতের তর্জনী থেকে থেকে নখ কেটে ক্রমশ বাম হাতের তর্জনী পর্যন্ত কাটার নিয়ম - তারা বিমুগ্ধ হয়ে যাবে। হুজুর বলছিলো, এসবই সায়েন্টিফিক, আল্লাহর নবী হচ্ছে সাইন্টিস্টদের সাইন্টিন্স্ট! সোবহানুতায়ালা আজিজ! 

আমাদের কিউ টিভির একজন বুর্জুগানে দ্বীন বলেছেন, ইসলামের এসব নানা সায়েন্সের কথা মানুষজনকে বেশী বেশী বলতে হবে। কারণ শয়তান কাফেরদের দিলে একটা সিল লাগিয়ে দেয়। হেদায়েত আসে কান, চোখ দিয়ে। হযরত মুসা আঃ এর উম্মতেরা ছিল সবচেয়ে ভয়ংকর। তারা যখন কান চোখ বন্ধ করে রাখতো নবীর কথা শোনা থেকে তখন তারা গোমরাহ হয়ে গেল। এজন্য মাইক লাগিয়ে পুরো এলাকায় শোনাতে হবে কমপ্লিট কোড অব লাইফের কথা। 

আল্লাহ জাল্লা শানুহ এভাবে আমাদের মধ্যে দ্বীনের প্রতি জজবাত তৈরী করে দেবে এবং একসময় সমস্ত মানুষ দ্বীন কবুল করে দুনিয়া ও আখেরাতের শান্তি অর্জন করবে।

স্ক্রিনশট সংকলন - ০৬

ব্রিটেনের অন্যতম প্রভাবশালী ইছলামবাজ 'আম-জাম চোদরী'-র টুইটার থেকে:
(ছবি দেখা না গেলে বিকল্প লিংক

ভ্যাটিকানের পোপের টুইটার থেকে:
(ছবি দেখা না গেলে বিকল্প লিংক)

লুলপুরুষ আদম

(ছবি দেখা না গেলে বিকল্প লিংক)

মঙ্গলবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০১৩

ইসলামে বর্বরতা: নারী-অধ্যায় - ২০

লিখেছেন আবুল কাশেম


যুদ্ধবন্দিনীদের কী অবস্থা?

ইসলামী আইন অনুযায়ী, যে সব কাফের যুদ্ধবন্দিনী ইসলামী সৈন্যদের হাতে বাধা পড়বে, তাদের সাথে ইসলামী সৈন্যরা অবাধ যৌনসঙ্গম করতে পারবে। নবীজির সময় থেকেই এই ব্যবস্থা চলে আসছে। নবীজি নিজেও এই কর্ম করেছেন এবং তাঁর সেনাবাহিনীর সদস্যদেরকেও এই কর্ম করতে আদেশ দিয়েছেন। উদাহরণ দেওয়া যাক এক সুন্দরী ইহুদি তরুণী রিহানার। সে অন্য এক ইহুদি ছেলের সাথে বিবাহিতা ছিল। রসুলুল্লাহ বনি কুরায়যা ইহুদিদের আবাসস্থল আক্রমণ করে তাদের ওপর লুটতরাজ চালান এবং তাদেরকে আত্মসমর্পণে বাধ্য করেন। এই আত্মসমর্পিত ইহুদিদের প্রতি তিনি তাঁর সুহৃদ সা’দ বিন মুয়াযের বিচারের রায় অনুযায়ী আদেশ দেন সমস্ত প্রাপ্ত বয়স্ক ইহুদি পুরুষদের গলা কেটে হত্যা করার আর ইহুদি মহিলা ও শিশুদের ক্রীতদাসের বাজারে বিক্রি করার। নবীজির আদেশ যথাযথ পালন করা হল কিন্তু এই বন্দিনীদের মাঝে তিনি অপূর্ব সুন্দরী যৌনাবেদনময়ী তরুণী রিহানাকে দেখে তার সাথে সহবাস করার জন্যে ব্যাকুল হয়ে উঠেন। তাই রিহানাকে ক্রীতদাসের বাজারে না পাঠিয়ে নবীজি তাকে তুলে নেন আপন বিছানায়। পরে নবীজি রিহানাকে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হয়ে তাকে বিবাহের পরামর্শ দিলে রিহানা তা করতে অস্বীকার করে। তাই রিহানা তার জীবন কাটায় রসুলুল্লাহর বিছানায় তাঁর যৌনদাসী হিসেবে। এছাড়াও ইসলামের ইতিহাস থেকে আমরা জানতে পারি যে, নবীজি নিজে তাঁর দুই জামাতা আলী ও উসমানকে উপহার দিয়েছেন সুন্দরী যুদ্ধবন্দিনীদের, যেন তারা ঐ বন্দিনীদেরকে অতিরিক্ত যৌনদাসী হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। এই হল নবীজির নৈতিক চরিত্রের উদাহরণ—যার উদাহরণ ইসলামী চিন্তাবিদরা আমাদেরকে বলেন অনুসরণ করতে।

এরপরেও জুয়েইরার কথা এসে যায়। নবীজি এই অপূর্ব সুন্দরী, বিবাহিতা, অল্প বয়স্কা ইহুদি মেয়েটিকে বনী মুস্তালিকের যুদ্ধে পেয়ে যান যুদ্ধবন্দিনী হিসেবে। আরও পেয়েছেন সফিয়াকে খাইবারের যুদ্ধবন্দিনী হিসেবে। এইসব বিষয়ে বেশ কিছু লেখা পড়া যেতে পারে বিভিন্ন জায়গায়। ইসলামী পণ্ডিতেরা এই সব ঘটনায় শুধু দেখেন নবীজির মাহাত্ম্য। তাঁরা বলেন, দেখুন রসুলুল্লাহ কত মহান, উদার, এবং করুণাময় ছিলেন। তিনি ঐ সব অসহায় যুদ্ধবন্দিনীদের বিবাহ করে তাদেরকে যথাযথ মর্যাদা দিয়েছেন। অনেক ইসলামী বিশারদ এই বলেন যে, ঐ সব মহিলারা, যাদের স্বামী, ভ্রাতা ও পিতাদের নবীজি হত্যা করেছেন, তারা নাকি নবীজিকে দেখা মাত্র তাঁর প্রেমে পড়ে হাবুডুবু খেতে থাকে। তাই ঐ যুদ্ধ-বন্দিনীদের অনুরোধেই রসুলুল্লাহ তাদেরকে বিবাহ করেন।

কী অপূর্ব কথা আমার শুনছি এই সব ইসলামী মিথ্যাচারীদের কাছ থেকে।

নবীজির এহেন আচরণকে অনৈতিক, নোংরা, জঘন্য ও বর্বরোচিত বলা ছাড়া আর কোনো ভাষা আমরা পাই না।

এই যুগে অনেক উচ্চশিক্ষিত মুসলিম পণ্ডিতেরা বলেন যে, যুদ্ধবন্দিনীদের সাথে সহবাসের নিয়ম নবীজির সময় ছিল—এখন তা করা যাবে না। কী মিথ্যা কথা-ই না তাঁরা বলে যাচ্ছেন। কারণ কোরান, হাদিস মুসলিমদেরকে পরিষ্কার বলে দিচ্ছে যে, মোহাম্মদের উদাহরণ প্রত্যেক মুসলিমের অনুসরণ করা বাধ্যবাধকতামূলক। তিনি যেমনভাবে গোসল করেছেন, যেমনভাবে পানি পান করেছেন, যেমনভাবে মলমূত্র ত্যাগ করেছেন, যেমনভাবে নারীদেহ উপভোগ করেছেন—এই সব কিছুই মুসলিমদের অনুকরণ করতে হবে। তাই নবীজি যেমনভাবে যুদ্ধবন্দিনীদের সাথে সহবাস করেছেন, আজকের সমস্ত মুসলিমদের জন্যও তা অবশ্য করণীয়।

রসুলুল্লাহর উদাহরণ থেকে যুদ্ধবন্দিনীদের সাথে যৌনসম্পর্ক স্থাপন করা যে আজও ফরজ, তার সব চাইতে প্রকৃষ্ট প্রমাণ পাই আমরা বাংলাদেশেই। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানী ইসলামী সৈন্যরা বাংলাদেশে গণহত্যা চালায়। এই গণহত্যায় প্রায় তিরিশ লাখ নিরীহ বাঙালি প্রাণ হারায়। এছাড়াও পাকিস্তানী জাওয়ান আমাদের দেশের অগণিত মহিলাদের (তার সংখ্যা হবে আড়াই লক্ষের মত) যুদ্ধবন্দিনী হিসাবে (গনিমতের মাল) ধরে নিয়ে যায়, যৌনউৎপীড়ন চালায় এবং অনেককে যৌনসঙ্গমের পর হত্যা করে। আন্তর্জাতিক যুদ্ধঅপরাধ বিধি অনুযায়ী এ এক বিশাল অপরাধ এবং এর বিচারে দোষীরা মৃত্যুদণ্ড পেতে পারে। কিন্তু হায়! ইসলামী আইন কী বলছে? ঐ সব ইসলামী সৈন্যরা কোনো অপরাধই করেনি। ওরা যে নবিজীর উদাহরণ পালন করেছে মাত্র।

এখন দেখুন, হাদিস কী বলেছে এ ব্যাপারে।
সুনান আবু দাউদ, বই ১১ হাদিস ২১৫০:
আবু সাইদ আল খুদরি বর্ণনা করলেন: হুনাইন যুদ্ধের সময় আল্লাহ্‌র রসুল আওতাসে এক অভিযান চালালেন। মুসলিম সৈন্যরা তাদের শত্রুকে মোকাবেলা করল এবং তাদেরকে পরাজিত করল। তারা অনেক যুদ্ধবন্দিনী পেল। যুদ্ধবন্দিনীদের কাফের স্বামীরা একই স্থানে থাকার দরুন রসুলুল্লাহর অনেক সাহাবি তাদের হাতে গচ্ছিত বন্দিনী কাফের স্ত্রীদের সাথে সহবাস করতে বিব্রত বোধ করলেন। 
এই সময় আল্লাহ্‌ নাজেল করলেন কোরানের আয়াত ৪:২৪:
এবং নারীদের মধ্যে তাদের ছাড়া সকল সধবা স্ত্রীলোক তোমাদের জন্যে নিষিদ্ধ; তোমাদের দক্ষিণ হস্ত যাদের মালিক হয়ে যায়—এটা তোমাদের জন্য আল্লাহ্‌র হুকুম। এদেরকে ছাড়া তোমাদের জন্যে সব নারী হালাল করা হয়েছে, শর্ত এই যে, তাদের স্বীয় অর্থের বিনিময়ে তলব করবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করার জন্য—ব্যভিচারের জন্যে নয়। অনন্তর তাদের মধ্যে যাকে তোমরা ভোগ করবে, তাকে তার নির্ধারিত হক দান কর। তোমাদের কোন গোনাহ্‌ হবে না। যদি নির্ধারণের পর তোমরা পরস্পরে সম্মত হও। নিশ্চয় আল্লাহ্‌ সু-বিজ্ঞ, রহস্য-বিদ।
এই আয়াতের মানে পরিষ্কার—মুসলিম সৈন্যরা তাদের হাতে পাওয়া গনিমতের মাল, তথা যুদ্ধবন্দিনীদের সাথে অবাধ সহবাস করতে পারবে—এমনকি যখন ঐ সব ‘মালের’ কাফের স্বামীরাও আশেপাশে থাকবে।

দেখা যাক এই হাদিসটা।
সহিহ মুসলিম বই ৮, হাদিস ৩৪৩২
আবু সাইদ আল খুদরি বর্ণনা করলেন:
হুনায়েন যুদ্ধের সময় আল্লাহ্‌র রসুল আওতাসে এক সৈন্যদল পাঠালেন। তারা শত্রুর সাথে যুদ্ধ করে তাদের পরাজিত করল। এরপর মুসলিম সৈন্যরা যুদ্ধবন্দি নিলো। মহিলা বন্দিদের সাথে তাদের পৌত্তলিক স্বামীরাও ছিল। নবীজির সাহাবিরা ঐ মহিলাদের সাথে তাদের স্বামীর সামনে সহবাস করতে নারাজ থাকলেন। 
এই সময় আল্লাহ পাঠিয়ে দিলেন এই আয়াত: 
এবং নারীদের মধ্যে তাদের ছাড়া সকল সধবা স্ত্রীলোক তোমাদের জন্যে নিষিদ্ধ; তোমাদের দক্ষিণ হস্ত যাদের মালিক হয়ে যায়—এটা তোমাদের জন্য আল্লাহ্‌র হুকুম। (৪:২৪)
অনেকেই হয়ত ভাববেন, এই ধরনের যৌনক্রিয়া হয়ত শুধুমাত্র সাধারণ ইসলামী সৈনিকদের মাঝেই সীমিত ছিল। কেননা এরা অনেক দিন যুদ্ধে থাকার কারণে সহবাসের জন্য অধীর হয়ে উঠেছিল। ইসলামের যেসব বড় বড় রত্ন আছেন, তাঁরা কোনোভাবেই এই ধরনের বর্বরোচিত কর্ম করতে পারেন না। কিন্তু দেখুন নিচের হাদিসটা। এই হাদিসে আমরা জানতে পারছি যে, রসুলুল্লাহ তাঁর জামাতা আলীকে যুদ্ধবন্দিনী উপহার দিলেন যৌনউপভোগ করার জন্যে। এই সময় আলী রসুলুল্লাহর কন্যা ফাতেমার সাথে বিবাহিত ছিলেন। কিন্তু তাতে কী আসে যায়? কেউ যখন এই নোংরা ব্যাপারটি নিয়ে প্রশ্ন তুলল, তখন নবীজি এমনও বললেন যে, আলী এর চাইতেও বেশী (অর্থাৎ যৌনসম্ভোগ) পাবার অধিকার রাখে। এই হচ্ছে রসুলুল্লাহর নৈতিক চরিত্রের উদাহরণ।
সহিহ বোখারি, ভলুম ৫ বই ৫৯ হাদিস ৬৩৭:
বুরায়দা বর্ণনা করলেন:
রসুলুল্লাহ আলীকে খালেদের কাছে পাঠালেন খুমুস (যুদ্ধে লব্ধ মাল) নিয়ে আসার জন্যে। আমি আলীকে ঘৃণা করতাম। সে সময় আলী গোসলে ছিলেন (এক যুদ্ধ বন্দিনীর সাথে সহবাস করার পর); আমি খালেদকে বললাম: আপনি কি তাকে দেখলেন (অর্থাৎ আলীকে)? আমরা নবীজির কাছে পৌঁছিলে তাঁকে এ ব্যাপারে অবহিত করলাম। তিনি বললেন: “হে বুরায়দা, তুমি কি আলীকে ঘৃণা কর?” আমি বললাম: “জী হ্যাঁ”; তিনি বললেন: “তুমি তাকে ঘৃণা করছ, তবে সে তো ঐ খুমুস থেকে আরও বেশী পাবার যোগ্য।”
এখানে প্রশ্ন উঠতে পারে, কোনো যুদ্ধবন্দিনী যদি গর্ভবতী থাকে কিংবা জিহাদিদের সাথে সহবাস করার ফলে গর্ভবতী হয়ে পড়ে, তবে তার কী হবে? এ ব্যাপারে ইসলামের উত্তর আছে। নবীজি যুদ্ধ বন্দিনী ধরার পর সেগুলো তাঁর সাঙ্গপাঙ্গদের মাঝে বিতরণ করে দিতেন—নিজের জন্যে খাসা ‘মাল’টি রেখে। জিহাদিরা সাধারণতঃ তাদের স্ব স্ব ভাগে পড়া ‘মালের’ সাথে সহবাস করে ঐ ‘মাল’টি মদিনার অথবা নিকটবর্তী ক্রীতদাসের বাজারে বিক্রি করে নগদ টাকা নিয়ে নিত। ‘মাল’ কুৎসিত, বৃদ্ধা, মোটা, রুগ্‌ণা থাকলে অনেক কম দাম পেত। আর ‘মাল’ যদি গর্ভবতী হত তো সেই মালের প্রায় কোন মূল্যই থাকত না। তাই জিহাদিরা এমনভাবে তাদের স্ব স্ব ‘মালের’ সাথে যৌনসংযোগ করতো, যেন ‘মাল’ গর্ভবতী না হয়ে যায়। সেই যুগে তো আধুনিক জন্ম নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ছিল না। তাই জিহাদিদের জন্যে একটি পথই খোলা ছিল—তা ছিল ‘আজল’; এই আরবি শব্দের সঠিক বাংলা কি জানা নাই। তবে এর সরাসরি মানে হচ্ছে যোনির বাইরে বীর্যপাত করা। অর্থাৎ চরম পুলকের (orgasm) মুহূর্তে পুংলিঙ্গ যোনির বাইরে এনে বীর্যপাত ঘটান। অনেক জিহাদি আবার এইভাবে অতীব যৌন সুখ উপভোগ করতে পছন্দ করত। কেননা তারা সহজে তাদের স্ত্রীর সাথে এইভাবে যৌন উপভোগ করতে পারত না—ইসলামী আইন বলে যে, স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া ‘আ্জল’ করা যাবেনা। শুধুমাত্র ক্রীতদাসী অথবা যুদ্ধ বন্দিনীর সাথে ‘আজল’ করা যাবে কোনো অনুমতি ছাড়াই। আজকের দিনেও এই ইসলামী আইন বলবত থাকছে।

এ ব্যাপারে দেখা যাক কিছু হাদিস।
সহিহ্‌ বোখারী ভলুম ৫ বই ৫৯ হাদিস ৪৫৯:
ইবনে মুহাইরিয বর্ণনা করেছেন:
আমি মসজিদে প্রবেশ করলাম এবং আবু সাইদ আল খুদরিকে দেখলাম। আমি তাঁর পাশে বসে পড়লাম। তাঁকে আজল সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। আবু সাইদ বললেন: “আমরা আল্লাহ্‌র রসুলের সাথে বনি মুস্তালিকের যুদ্ধে গেলাম। আমরা আরব যুদ্ধবন্দিনী পেলাম। আমাদের জন্যে কৌমার্য (celibacy) পালন করা অসাধ্য হয়ে উঠেছিল। তাই আমরা চাইলাম সহবাস করতে। সত্যিই আমরা আজল করতে ভালবাসতাম। তাই আমরা যখন আজল করার সিদ্ধান্ত নিলাম তখন চিন্তা করলাম: “রসুলুল্লাহ আমাদের সাথে আছেন, এমতাবস্থায় আমরা তাঁকে জিজ্ঞাসা না করে কি ভাবে আজল করি?” আমরা তাঁকে আজলের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি উত্তর দিলেন: “তোমাদের জন্যে উত্তম হবে এটা না করা কেননা যা জন্ম হবার তা হবেই।"
সহিহ্‌ বোখারি ভলুম ৭ বই ৬২ হাদিস ১৩৭:
আবু সাইদ আল খুদরি বর্ণনা করলেন:
এক জিহাদে আমরা শত্রুপক্ষের নারী বন্দি পেলাম। তারা আমাদের হাতে আসলে আমরা তাদের সাথে আজল করে সহবাস করলাম। এরপর আমরা রসুলুল্লাহকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন: “তাই নাকি! তোমরা কি এরূপ করে থাক?” রসুলুল্লাহ তিনবার এই প্রশ্ন করলেন, এবং বললেন: “আখেরাত পর্যন্ত যত লোক সৃষ্টি হবে তাদের প্রত্যেকটি অবশ্য জন্মলাভ করবে।”
বলা বাহুল্য, ইসলামের এহেন নৈতিক নিম্নতায় অনেক শিক্ষিত ইসলামী বিশারদরা লজ্জিত হয়ে থাকেন। তাই ইসলামের লজ্জা চাপা দেবার জন্যে অনেক কিছুও বলে থাকেন—যেমন: আমাদের এসব দেখতে হবে স্থান, কাল, ও প্রসঙ্গ ভেদে। অনেকেই বলেন ইসলামকে ভুল বোঝা হচ্ছে, ইসলাম বুঝতে হলে প্রচুর পড়াশোনা করা দরকার, এই ব্যাপারে ইসলামের পণ্ডিতদের সাথে আলোচনা করা দরকার…এই সব কত বিচিত্র যুক্তি। অনেকে এমনও যুক্তি দেখান যে, ঐ সব বন্দিনীদেরও যৌনক্ষুধার নিবৃত্তি হচ্ছে—তাই মন্দ কী! যখন প্রশ্ন করা হয়—আজকের দিনেও কি ঐ ইসলামী প্রথা মানা যাবে কি না, তখন তাঁরা প্রশ্নটা এড়িয়ে যেতে পছন্দ করেন—হয়ত বা বলবেন: “দেখুন, এ ব্যাপারে ইসলামে ন্যায়সঙ্গত নিয়ম কানুন আছে। তাই ইসলাম যা করবে, তা ভালোর জন্যেই করবে।”

এ ব্যাপারে এক ইসলামী মওলানাকে প্রশ্ন করা হলে তাঁর পরিষ্কার উত্তর হল, আজকের দিনেও ঐ ইসলামী নিয়ম প্রযোজ্য এবং আজকেও যদি ইসলামী জিহাদিরা কাফের রমণী লাভ করে যুদ্ধবন্দিনী হিসাবে তবে তারা বিনা বাধায় ঐ রমণীদের সাথে সহবাস করতে পারবে।

এই প্রশ্নের উত্তর এই ওয়েব সাইটের  দেওয়া হয়েছিল এই পাতায়। ওয়েব সাইটটি সচল থাকলেও সেই পাতাটি, বোধ করি, এখন অচল। 

এখন আমাদের কাছে এটা পরিষ্কার হয়ে গেল, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সৈন্যেরা কেন তাদের বাঙালি নারী যুদ্ধবন্দীদের সাথে যৌনসম্পর্ক স্থাপন করতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করেনি, বিন্দুমাত্র তাদের বিবেক বিচলিত হয়নি—এ সব তো ইসলামে সিদ্ধ। আর তা ছাড়াও বেশীরভাগ বাঙালিরা তো আসল মুসলমান নয়। তাই তাদের রমণীদের সাথে যদি পাকিস্তানি ইসলামী সৈন্যরা সহবাস করে, তবে তো ঐ সৈন্যরা এক বিশেষ অনুগ্রহ করছে। আর এর ফলে যদি কোন বাচ্চা পয়দা হয় তা তো আল্লাহ্‌ পাকের অশেষ অবদান। সেই শিশু হবে খাঁটি মুসলিম।

(চলবে)

তুলনীয় ধর্ম - ০১

(ছবি দেখা না গেলে বিকল্প লিংক) 

(ছবি দেখা না গেলে বিকল্প লিংক)

আল-কুরান পড়ুন, নিজে হাসুন, অন্যদেরও হাসান - ০৬

লিখেছেন সাদিয়া সুমি
আল কোরআন ৩৯:৬
এবং তোমাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন ৮ প্রকার চতুষ্পদ জন্তু।
পৃথিবীতে প্রকৃতপক্ষে ৫৪১৬ প্রকারের চতুষ্পদী প্রাণী রয়েছে। অথচ আল্লা বলছেন মাত্র ৮টি। অতএব পাঠককুল সহজেই আন্দাজ করতে পারছেন আল্লার জ্ঞানের গভীর স্বল্পতা।
এমন মজার চুটকি আল কুরান ছাড়া আর কৈ পাইবেন? 
আল কুরান পড়ুন, নিজে হাসুন, অন্যদেরও হাসান।

আল কোরআন ২৯:১৪
আর আমি তো নূহকে তার কওমের প্রতি প্রেরণ করেছিলাম। তিনি তাদের মধ্যে পঞ্চাশ কম হাজার বছর অবস্থান করেছিলেন।
মানুষের সর্বোচ্চ আয়ু রেকর্ড করা আছে প্রায় ১২৩ বছর। আগেকার দিনে মানুষের গড় আয়ু এখনকার চেয়ে বেশ কম ছিল। সেখানে নূহ নবী ৯৫০ বছর বেঁচেছিলেন - এ তথ্য কি স্থুল আহাম্মকি নয়?
এমন মজার চুটকি আল কুরান ছাড়া আর কৈ পাইবেন? 
আলকুরান পড়ুন, নিজে হাসুন, অন্যদেরও হাসান।

আল কোরআন ২১:৩০,৩১,৩২
যারা কুফরী করে তারা কি ভেবে দেখে না যে, আসমান ও জমিন একসাথে মিশে ছিল, তারপর আমি উভয়কে আলাদা করে দিলাম; এবং প্রাণবান সবকিছু সৃষ্টি করলাম পানি থেকে। তবুও কি তারা ঈমান আনবে না? আর আমি জমিনের উপর সুদৃড় পর্বতমালা সৃষ্টি করেছি যাতে তাদেরকে নিয়ে জমিন ঝুঁকে না পড়ে; এবং আমি সেখানে প্রশস্ত রাস্তা সৃষ্টি করেছি যেন তারা গন্তব্যস্থলে পৌঁছুতে পারে। আর আমৈ আসমানকে সৃষ্টি করেছি সুরক্ষিত ছাদরূপে, কিন্তু তারা তার নির্দেশনাবলী থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখে।
লক্ষ্য করুন আলকুরানীয় বিজ্ঞানের হাস্যকর সব তত্ত্ব ও তথ্য। আসমান বলে তো কিছুই নেই, যেটা আছে সেটা মহাশূন্য। পর্বত কি কখনো পৃথিবীর ঝুঁকে পড়া ঠেকাতে পারে? আর রাস্তা তো চলার তাগিদে মানুষ নিজেই তৈরি করে, কখনই অন্য কেউ নয়।
এমন মজার চুটকি আল কুরান ছাড়া আর কৈ পাইবেন? 
আল কুরান পড়ুন, নিজে হাসুন, অন্যদেরও হাসান।

আল কোরআন ২৫:৪৫
তুমি কি তোমার প্রভূর প্রতি লক্ষ্য কর না যে, তিনি কেমন করে ছায়াকে বহুদূর বিস্তৃত করেন? আর যদি তিনি ইচ্ছে করতেন তবে তাকে একই অবস্থায় রাখতে পারতেন।
অতএব জেনে রাখুন, আপনারও যে একটি ছায়া আছে, যা কিনা আলোর প্রাবল্য এবং দুরত্বের বর্গানুপাতে হ্রাসবৃদ্ধি পায়, তা সরাসরি আল্লাপাক নিয়ন্ত্রন করেন!
এমন মজার চুটকি আল কুরান ছাড়া আর কৈ পাইবেন? 
আল কুরান পড়ুন, নিজে হাসুন, অন্যদেরও হাসান।

আল কোরআন ১৭:৭৮

সূর্য ঢলে পড়ার পর থেকে রাতের অন্ধকার পর্যন্ত নামাজ কায়েম কর এবং ফজরের নামাজও কায়েম কর।
সারারাত যদি একটা মানুষ নামাজ পড়ে, তবে সে ঘুমাবে কখন, নাকি তার ঘুমানোর প্রয়োজন নেই? তার খাবারদাবার কি আসমান থেকে আসবে?
এমন মজার চুটকি আল কুরান ছাড়া আর কৈ পাইবেন? 
আল কুরান পড়ুন, নিজে হাসুন, অন্যদেরও হাসান।

নির্ধার্মিক মনীষীরা – ৮৫

(ছবি দেখা না গেলে বিকল্প লিংক)

নিত্য নবীরে স্মরি – ১১২

(ছবি দেখা না গেলে বিকল্প লিংক

(ছবি দেখা না গেলে বিকল্প লিংক)

সোমবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০১৩

ধর্মবিদ্রূপানন্দ - ০৬

লিখেছেন Mosammot Rinee Khatun

১৬.
সৈয়দ মুজতবা আলীর প্রসঙ্গ মনে পড়ে গেল।

এক পাগল নিজ মাথায় ছোট একখানা লাটি দিয়ে সব সময় আঘাত করে। তা দেখে জনৈক ব্যক্তি শুধোয়, "সবসময় মাথায় আঘাত করে কী মজা পাও, বাপু?"
পাগলের উত্তর, "ইশ! যখন মাথায় মারা বন্ধ করি, কী যে শান্তি লাগে! এই শান্তি পরিপূর্ণভাবে পাবার জন্যই সবসময় মাথায় আঘাত করি।"

ইসলাম মানে এই রকম শান্তি।

১৭.
বড় জানতে ইচ্ছে হয়, ইসলাম মানে শান্তি - কথাটি কোনো অমুসলিম ভাষাভাষীর ডিকশনারিতে আছে কি?

১৮.
আদম সৃষ্টির রূপকথায় মুহাম্মদ দেখালেন, আল্লা বৃক্ষাদি সৃষ্টি করলেন সোমবার, আর আলো মানে চন্দ্র, সূর্য, নক্ষত্র ইত্যাদি তৈরি করলেন বুধবার। আল্লা বৃক্ষাদি তৈরি করেই ওদের তিন উপবাসে রাখলেন। কারণ আলো ছাড়া সালোক সংশ্লেষণ প্রক্রিয়া হতে পারে না। ফলে গাছ খাদ্য উৎপাদন করতে পারেনি। আমরা জানি, সূর্যকে কেন্দ্র করে পৃথিবীর আহ্নিক গতির ফলে দিন-রাত হয়। যেখানে সূর্য নেই, সেখানে দিন এলো কেমন করে? মনে হয়, আল্লাহ রেডিয়াম যুক্ত টাইটান হাতঘড়ি দিয়ে সময় মেপেছিলেন।

ওপর তলায় ফিটফাট

Hijab Islam নামের একটি ব্লগে বড়োই দুঃখ নিয়ে বলা হয়েছে: কিছু বোনের কাছে হিজাব মানে মাথা আবৃত করার জন্য এক টুকরো কাপড়বিশেষ। তারা টাইট পোশাক পরিধান করে শরীরের অন্যান্য অঙ্গ প্রকটভাবে দৃশ্যমান করে রাখে। বোনদের মনে রাখা উচিত, হিজাব শুধু মাথার জন্য নয়, পুরো শরীরের জন্য।

এর নিচে তারা এই ছবিটি প্রকাশ করেছে:
(ছবি দেখা না গেলে বিকল্প লিংক) 

তো 'কেটে দেয়া' অংশটুকু দেখতে কৌতূহল হলো বড়ো। তারপর গুগল ইমেজে খোঁজ লাগিয়ে যেটা পাওয়া গেল:
 (ছবি দেখা না গেলে বিকল্প লিংক)

হা-হা-হাদিস – ৭৯

হে ঈমান্দার বান্দাসকল, তোমাদের জন্য অজস্র রসময় কথা গুপ্ত রহিয়াছে হাদিস শরিফে।
- সহীহ আল-ধর্মকারী
কল্পনা করুন: ছহীহ ইছলামী কায়দায় অনুষ্ঠিত বিয়ে। ইছলামের সমস্ত কায়দা-কানুন মেনে চলা হয়েছে বিয়ের সময়। বিয়ের সমস্ত উপকরণই আছে - বর-কনের ঐতিহ্যবাহী পোশাক, অলঙ্কারমণ্ডিত কনে, বর-কনের অনামিকায় আংটি... কিন্তু এ কী! আংটি দুটো সোনার নয় কেন? আপনি অবাক হচ্ছেন? উপস্থিত মমিন মুছলিম অতিথিরা কিন্তু অবাক হবে না। কারণ তারা জানে, সোনার আংটি পরা নিষিদ্ধ - সে কথা  নবীজি স্পষ্টভাবে বলে গেছে। 
Narrated By Abu Huraira:
The Prophet forbade the wearing of a gold ring.
Sahih Bukhari Volume 007, Book 072, Hadith Number 754

দুষ্টু যাজিকারা - ০৪

(ছবি দেখা না গেলে বিকল্প লিংক)

(ছবি দেখা না গেলে বিকল্প লিংক)

লুক্স লিখিত সুসমাচার - ২৬

লিখেছেন লুক্স

২৪৬.
মসজিদে জুতা নিয়ে ঢোকা নিষেধ, বোমা নিয়ে ঢোকা নিষেধ না।
(সংবাদ: ইরাকে শিয়া মসজিদে বোমা হামলা করে সুন্নীরা শিয়াদের ৪০ জনকে হত্যা করেছে)

২৪৭.
ছোট বেলায় সিরাজ-উজ-দৌলা ছবিতে মীর জাফরকে কোরান ছুঁয়ে শপথ করতে দেখেছিলাম। বড় হয়ে কোরান ছুঁয়ে শপথ করতে দেখলাম সাইদীকে। মাঝখানে সারা জীবন কোরান ছুঁয়ে শপথ করতে দেখেছি অসংখ্য মুসলমানকে।

২৪৮.
চরমোনাই পীরের মুরিদরা তার ওয়াজ শুইন্যা গাছে ওঠে। আর নাস্তিকগো ওয়াজ শুইন্যা মুমিনরা গাছ থেইক্যা পড়ে।

২৪৯.
ধর্মান্ধতামুক্ত সমাজ গড়তে শিক্ষিত লোকেরাই সবচেয়ে বড় বাধা। অশিক্ষিত লোকেরা তেমন বড় বাধা নয়। রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন, ব্যাপক দুর্নীতি মহামারি আকারে বৃদ্ধি পেয়েছে শিক্ষিত লোকদের কারণেই। ধর্মীয় গোঁড়ামী ছড়ানোর জন্যও দায়ী এরাই। গ্রামের মাঠে-ঘাটের কঠিন পরিশ্রম করা চাষী, শহরের রাজমিস্ত্রী বা রিক্সাচালক এরা কেউ ধর্ম নিয়ে তেমন মাথা ঘামায় না। বড়জোর হয়ত নামাজ-রোজা করে, ওই পর্যন্তই। কোরান-হাদিসের কোন আয়াতে কী আছে, কোন আলেমের কী তফসীর, এসবে তাদের কিছু যায় আসে না। তাদের মাথা ওয়াশ করে সেসব তথাকথিত শিক্ষিত লোকে, যারা এসব নিয়ে গবেষণা করে।

২৫০.
ধর্মবিশ্বাসীরা নাস্তিকের মতো জীবন যাপন করতে ভয় পায় না, কিন্তু নিজেকে নাস্তিক ঘোষণা করতে ভয় পায়।

২৫১.
তর্ক করতে গিয়ে জীবনে অসংখ্য বার মুমিনরা আমাকে ভয় দেখিয়েছে, ''তোর অবস্হাও হুমায়ুন আজাদের মতো হবে।'' আমরা এক একজন যেন হুমায়ুন আজাদ স্যারের মতো বড় লেখক হতে পারি - এরকম দোয়া বা উৎসাহ দেবার মতো জ্ঞান, শিক্ষা বা সাহস মুমিনদের নেই। খুবই দুঃখজনক।

২৫২.
শরিয়া আইন কোনো আইন নয়। এটি মানবতাবিরোধী অপরাধ।

২৫৩.
কোরানের কিছু আয়াত সহজ সরল আর কিছু আয়াত আছে রূপক। যেমন: ''প্রত্যেক মুসলমান পুরুষের জন্য যুদ্ধ আর জিহাদ ফরজ করা হয়েছে।'' এখানে ''মুসলমান'' বলতে জামাত-শিবির, ''যুদ্ধ''-কে রিমান্ড আর ''জিহাদ'- কে সেদ্ধ ডিম রূপক আকারে বোঝানো হয়েছে।

২৫৪.
আল্লাহ (?) বলেছেন, 'আল্লাহ কোনো জাতির ভাগ্য পরিবর্তন করেন না যতক্ষণ পর্যন্ত নিজেরা নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন না করে।' তাইলে সেই ১৯২৬ সাল থেইক্যা তাবলীগ জামাতের লোকেরা কী বুইঝ্যা কাম-কাইজ ফালাইয়া মোনাজাত করতেই আছে আর করতেই আছে?

২৫৫.
প্রকাশ্যে ধর্মপালন ও প্রচার থেকে বিরত থাকুন। আপনার ব্যক্তিগত ধর্মকে রাষ্ট্র ও সমাজের ওপর চাপিয়ে দেয়া বন্ধ করুন। নাস্তিকতা প্রচারও বন্ধ হয়ে যাবে।

যেমনে নাচাও, তেমনে নাচি

(ছবি দেখা না গেলে বিকল্প লিংক)

রবিবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০১৩

নির্ধর্মীয় সঙ্গীত: God was never on your Side

দেশে ইউটিউব খুলে দিয়েছে। সে উপলক্ষে একটা নির্ধর্মীয় সঙ্গীত দেখা-শোনা করা যাক। 

ব্রিটিশ হেভি মেটাল গ্রুপ Motörhead-এর God was never on your Side নামের গানটি পছন্দ হলো খুব। ঠিক হেভি মেটাল ধাঁচের নয়। যথেষ্ট সুরসমৃদ্ধ এবং লিরিকস মারদাঙ্গা (ভিডিওতে এমবেড করা আছে)।

কিছু উদ্ধৃতি:

Let the voice of reason shine,
Let the PIOUS vanish for all time,
...
See ten thousand ministries
See the holy rightous dogs,
They claim to heal, but all they do is steal,
ABUSE YOUR faith, cheat, and ROB,
If God is wise, why is he still,
When these false prophets, call him friend,
...
Let the sword of reason shine,
Let us be free of prayer and shrine
God's face is hidden, turned away,
He never has a word to say...



তাকিয়া (Taqiya) - ইছলাম অনুমোদিত শঠতা

ইছলামে তাকিয়া হচ্ছে মিথ্যে বলার অনুমতি। বিশদ জেনে নিন।

(ছবি দেখা না গেলে বিকল্প লিংক)

নিঃসীম নূরানী অন্ধকারে - ৫৯

লিখেছেন কবীর উদ্দীন

২৯১.
- প্রমাণ করো যে, ১+১=১।
- সাত আসমানের আরশের উপর আসীন আছেন ১ আল্লাহ। আবার কাবাঘরের অভ্যন্তরে বন্দী আছেন ১ আল্লাহ। ১ আল্লাহ +১ আল্লাহ = ১ আল্লাহ। অতএব ১+১=১।
প্রমাণিত।

২৯২.
আল্লাহর কোনো খিদা নেই, পিপাসা নেই, নিদ্রা নেই, আকার নেই, গোসল নেই।
তিনি একটি উপবাসী, অতৃষ্ণ, অনিদ্র, অ-কার, অপরিচ্ছন্ন জীব।
এমন কি তার কোনো লিঙ্গও নেই!
তিনি একটি ক্লীব।

২৯৩.
আল্লাহর আধেক আরশের উপরে, বাকি আধেক কাবাঘরের অন্ধকারে প'ড়ে ছটপট ছটপট করে।

২৯৪.
- প্রমাণ করো যে, আল্লাহ একটি দুইকথার জীব।
- রাছূলগণের কাউকে কারুর উপরে মর্যাদা দিয়েছি। (কোরান ২:২৫৩)
  আমরা রাছূলগণের মধ্যে পার্থক্য করি না। (কোরান ২:২৮৫)
আল্লাহপাক তার নিজের বিরচিত কোরানের ছূরা বাকারার দুটি ভিন্ন আয়াতে দুই রকম কথা বলেছেন। এক আয়াতে বলেছেন, রাছূলগণে কোনো পার্থক্য নেই। আরেক আয়াতে বলেছেন, পার্থক্য আছে। অতএব তিনি একটি দুই কথার জীব। প্রমাণিত।

২৯৫.
আকাশ-পৃথিবীতে যা কিছু আছে সমস্তই আল্লার। (কোরান ২:২৮৪)
পৃথিবীতে যত ডাস্টবিন আছে, যত ময়লা-আবর্জনা আছে, বাংলাদেশে যত খোলা নালা-নর্দমা আছে, যেখানেই যত পাপ-পঙ্কিলতা আছে, সমস্তই আল্লাহর।

এক জোড়া পোস্টার - ৩৩

(ছবি দেখা না গেলে বিকল্প লিংক) 

(ছবি দেখা না গেলে বিকল্প লিংক)

নূরের পথ ছেড়ে আলোর পথে – ২৫

১. 
ওয়েলসের প্রতি তিনজনের একজন সম্পূর্ণভাবে ধর্মসংশ্লেষহীন। খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা কমেছে শতকরা চোদ্দভাগ। 

২.
টেক্সাসের মতো প্রবল ধর্মদুর্গত এলাকাতেও নাস্তিক্যবাদের উত্থান ও বিস্তার ঘটছে। 

৩.

৪. 
এ বছরের শেষে নিউ ইয়র্কের দুই ডজন ক্যাথলিক স্কুল বন্ধ হয়ে যাবে।

৫. 
ইয়োরোপের অন্যতম ধর্মকবলিত দেশ আয়ারল্যান্ডে নির্ধার্মিকদের সংখ্যা ১৯৯১ সালের তুলনায় বেড়েছে চারগুণ। রাজধানী ডাবলিনে পিতা-মাতারা তাদের সন্তানদের জন্য ধর্মনিরপেক্ষ স্কুলের দাবি তুলেছে। 

মোল্লাতন্ত্র

(ছবি দেখা না গেলে বিকল্প লিংক)

শনিবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০১৩

হ্রস্বরসবাক্যবাণ – ৭১

 ১. 
প্রার্থনা হচ্ছে স্বমেহনের মতো: যে করে, সে তৃপ্তি পায়; কিন্তু যার কথা ভেবে করা হয়, তার কোনও কাজেই লাগে না। 

২. 
সন্তানকে ধর্মগুলো সম্পর্কে বিশদ ধারণা দিন, যাতে বড়ো হয়ে সে ব্যঙ্গ করতে পারে সব ধর্মকেই।  

৩. 
ঈশ্বরহীন সৎ মানুষ দেখে অবাক হবার কিছু নেই, বরং যারা ঈশ্বর ছাড়া সৎ হতে পারে না, তাদেরকে করুণা করা উচিত। 

(সবগুলোই সংগৃহীত ও অনূদিত)

চিত্রপঞ্চক - ৪৩

শেষের ছবিটা একটু ইয়ে-টাইপ। অতএব ইমোটা খিয়াল কৈরা! 

(ছবি দেখা না গেলে বিকল্প লিংক) 

(ছবি দেখা না গেলে বিকল্প লিংক)
(ছবি দেখা না গেলে বিকল্প লিংক) 

(ছবি দেখা না গেলে বিকল্প লিংক) 

(ছবি দেখা না গেলে বিকল্প লিংক)

ইছলামকবলিত এলাকায় যৌনাপরাধ

অনেক মুছলিম দাবি করেন, ইছলামী আইন নারীদের জন্য অনেক বেশি নিরাপদ এবং ইছলামী দেশগুলোয় যৌনাপরাধ প্রায় শূন্যের কোঠায়। দাবিটা যে শূন্যগর্ভ, সেটা বুঝতে রকেটবিজ্ঞানী হবার প্রয়োজন নেই। যে আইনে ধর্ষিতাকে শাস্তি পেতে হয় এবং ধর্ষণ প্রমাণ করতে চারজন পুরুষের সাক্ষ্য প্রয়োজন (এমন বিধানের চিন্তা আসতে পারে শুধু নির্মগজ মস্তিষ্কেই), সেখানে অসংখ্য ধর্ষণ ও অন্যান্য যৌনাপরাধ অন্যদের অগোচরেই থেকে যাবে, এতে অবাক হবার কিছুই নেই। 

চলুন, তার পরেও দেখা যাক শুধু গত ডিসেম্বর মাসে ইছলামকবলিত দেশগুলোয় ঘটা কিছু যৌনাপরাধমূলক ঘটনার ছোট একটি সংকলন।

১. 
বিরাশি বছরের এক বৃদ্ধ মেয়েদের ওপরে উপর্যুপরি যৌননির্যাতন চালিয়েছে। মেয়েদের কাছ থেকে 'মাত্র' পনেরোবার অভিযোগ পাবার পরে উপায়ন্তর না দেখেই, বোধহয়, পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে। 

২. 
এক বেকার ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ:  এক বালিকাসহ পাঁচজন শিশু তার যৌননির্যাতনের শিকার হয়েছে। শিশুকামী নবীর প্রকৃত শিষ্য!

৩.

৪. 
এক সেলসম্যান তেরো বছর বয়সী তরুণীকে জোর করে আলিঙ্গন করে চুমু খেতে চেষ্টা করে। আরও দুঃখের কথা এই যে, সেলসম্যানটা বাংলাদেশী।

৫. 

৬.
দুবাইয়ে এক শপিং মলের নিরাপত্তা কর্মীকে আটক করা হয়েছে মোবাইলে মেয়েদের গোপনাঙ্গের ভিডিও ও ছবি (আপস্কার্ট ধাঁচে) তোলার দায়ে।

৭.

৮.
ড্রাইভিং শেখানোর ছুতোয় চোদ্দ বছর বয়সী এক বালককে ধর্ষণ করেছে এক পুরুষ। 

৯.
মুদির দোকানের ধর্ষণের শিকার বারো বছর বয়সী এক মেয়ে সন্তানপ্রসব করেছে।

১০.
তেরো বছর বয়সী বালককে যৌনকর্মে বাধ্য করতে চেয়েছিল এক ট্যাক্সি ড্রাইভার। 

১১. 
এক ড্রাইভার তার চাকরিদাতার স্ত্রীকে যৌনলাঞ্ছিত করেছে। 

১২. 
বন্ধুকে দিয়ে নিজের ষোলো বছর বয়সী স্ত্রীকে ধর্ষণ করিয়ে এক ব্যক্তি সেই বন্ধুর সহায়তায় মেয়েটিকে হত্যা করে। 

১৩.
স্কুলবাসের ভেতরে এক বালিকাকে একাকী পেয়ে তাকে যৌননির্যাতন করেছে বাসচালক। 

১৪.

গরুপূজারি গাধাগুলো - ৪৫

(পূর্ণাকারে দেখতে বা ছবি দেখা না গেলে বিকল্প লিংক

(পূর্ণাকারে দেখতে বা ছবি দেখা না গেলে বিকল্প লিংক)

Astrology is Still Bullshit নামের ফেসবুক পেজ থেকে।

কুফরী কিতাব: The Skeptic'e Dictionary

নাস্তিকতার প্রধান ভিত্তি সংশয়বাদ। সংশয়বাদী না হয়ে নাস্তিক হওয়া সম্ভব নয়। তবে ব্যক্তিগত সংশয়বাদ শুধু নাস্তিকতায় সীমাবদ্ধ না রেখে প্রয়োগ করা উচিত সর্বক্ষেত্রে। 

বইয়ের নাম: The Skeptic's Dictionary. ২৪১৮ পৃষ্ঠার এই বইয়ে সংশয়বাদী দৃষ্টিকোণ থেকে বর্ণানুক্রমিকভাবে (বলা হচ্ছে A to Z - from Abracadabra to Zombis) বিশ্লেষণ করা হয়েছে প্রচলিত অগণ্য মিথ্যা ধারণা, অলীক বিশ্বাস, কুসংস্কার ও ভুয়া অলৌকিকতা।


ফরম্যাট: পিডিএফ
সাইজ: ১৪.৫৭ মেগাবাইট
(লিংকের পাতায় গিয়ে ওপরে বামদিকে নিম্নমুখী তীরচিহ্নে ক্লিক করে ফাইলটি ডাউনলোড করুন)

ধর্মবিরোধী অস্ত্র

(ছবি দেখা না গেলে বিকল্প লিংক)

শুক্রবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০১৩

ভিডিও লিংকিন পার্ক - ১৪

১.
গত এক মাসে বিশ্বে ধর্মগুলোর অবদানের অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত একটি সংকলন। 
৫.২৬ মিনিট

২.
কোনও ঐশী কিতাবেই তৃতীয় লিঙ্গ বা উভলিঙ্গ (Hermaphrodite) সম্পর্কে কিছুই বলা হয়নি। তারা কি তবে ভগবানেশ্বরাল্লাহর সৃষ্টি নয়? কোনও বিশেষ একটি যৌনাঙ্গের বিচারেই কি কাউকে নারী বা পুরুষ বলা যায়? কেউ কেউ কেন সমলিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বোধ করে? এসব প্রশ্নের বৈজ্ঞানিক জবাব অত্যন্ত সরলভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে এই ভিডিওতে। অতি অবশ্যদ্রষ্টব্য। 
৭.৫৭ মিনিট

৩.
আমেরিকার নিউটাউন-এর একটি স্কুলে গুলিতে শিশুদের নিহত হবার ঘটনার পরে ধর্মবাজদের দেয়া কিছু বাণী (আসলে প্রলাপ) ব্যবচ্ছেদ করেছেন ইউটিউবার TheAmazingAtheist. এঁর যুক্তিবোধ প্রখর (যদিও তাঁর সমস্ত ভিডিওর বক্তব্যের সঙ্গে একমত হওয়া কঠিন), উপস্থাপনা অত্যন্ত আকর্ষণীয়। এই ভিডিও দেখে মুগ্ধ হয়েছি খুব। 
১৩.০৩ মিনিট

৪.
দুই তরুণীর গাওয়ার গানের নাম: Fuck Me In The Ass Because I Love Jesus. গানটা শুনে (লিরিকস দেয়া আছে ভিডিওর ডেসক্রিপশনে) খুবই মজা পেয়েছি। ধর্মীয় বিধিনিষেধের কারণে যৌনঅবদমন অবধারিত হলেও ঐশী কিতাবের লুপহোল ব্যবহার করে যৌনতা উপভোগের কথা বর্ণনা করা হয়েছে এতে। বেছে বেছে ধর্মীয় কানুন মেনে চলার আস্তিকীয় ভণ্ডামিকেও তীব্রভাবে ব্যঙ্গ করা হয়েছে এই গানে। 
৪.২৪ মিনিট

৫.
সুপারমার্কেটে এক ধর্মকবলিত মহিলার কাণ্ড
১.৪১ মিনিট

৬.
বিবর্তনের সপক্ষে প্রমাণাদি এখন এতো প্রকট, এতো বিতর্কাতীত যে, বিবিসি-র একটি টক শোতে আলোচ্য বিষয় ছিলো: Is it time for all religions to accept evolution? সত্যিই সময় এসেছে, ধর্মগুলোর উচিত বিবর্তনবাদ মেনে নেয়া। কিন্তু উচিত কাজ ধর্মগুলো কখনওই করে না। একদল মানুষ পৃথিবীকে এগিয়ে নিতে প্রাণান্তকর চেষ্টা করছে, কিন্তু ধর্মগুলো পৃথিবী ও সভ্যতাকে পেছনে টেনে ধরে রাখতে, আরও পিছিয়ে নিতে উৎসাহী। কারণ এতে তাদের ব্যবসা সচল থাকে, লাভজনক হয়। এইা টক শোতে ধর্মপক্ষীয়দের বক্তব্য ও যুক্তি যে কী পরিমাণ শোচনীয়, নিজ কর্ণে শ্রবণ করুন। সময় ও সুযোগ থাকলে অবশ্যই দেখিতব্য ভিডিও। 
৫৮.৪৬ মিনিট

৭.
দাম্পত্যজীবনে সংকট দেখা দিয়েছে, সেটার দায়ভার কার? স্বামীর আচরণে পরিবর্তন এসেছে, দোষ কার? অবশ্যই স্ত্রীর। কারণ সে হয়তো দেখতে আগের মতো সুন্দর নয় এবং নিজেকে যথেষ্ট আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করতেও ব্যর্থ। এমন ধারণা পোষণ করে আমেরিকার অন্যতম প্রভাবশালী ধর্মবাজ। কথাপ্রসঙ্গে একটি কুৎসিত সেক্সিস্ট কৌতুকও বলে সে! 
২.১৫ মিনিট

৮. 
ইহুদিধর্ম, খ্রিষ্টধর্ম ও ইছলামকে আব্রাহাম্মক (Abrahamic) ধর্ম বলা হয়ে থাকে। সেই আব্রাহাম (ইছলামী ধাঁচে - ইব্রাহিম) যে আদতেই আহাম্মক ছিলো, তা নিয়ে কোনও সন্দেহের অবকাশ তো নেইই, এমনকি তার নামের ধর্মগুলোও তার আহাম্মকির জ্বলন্ত নিদর্শন। তো এই নবীকে নিয়ে বানানো আরও একটি অতীব মজাদার অ-ইউটিউব ভিডিও। 
৪.৫১ মিনিট

৯. 
ধর্মবিশ্বাসীর মগজ বড়োই রহস্যাবৃত। আব্রাহাম নবীর এক আহাম্মক অনুসারী স্পষ্টভাবেই বললো, ঈশ্বর যদি তাকে তার তার সন্তান হত্যার আদেশ দেয়, সে সেটা পালন করবে। 
১০.৫৯ মিনিট

১০.
5secondfilms নামের ইউটিউবার বানিয়ে থাকেন পাঁচ সেকেন্ড দীর্ঘ ভিডিও। বিষয় - নানাবিধ। তো ক্রিসমাস নিয়ে তারঁ বানানো 'ফিল্ম' দেখুন।
০.০৮ মিনিট

১১. 
৪.১৬ মিনিট

আমাদের আত্মীয়েরা – ৫৬

(ছবি দেখা না গেলে বিকল্প লিংক) 

(ছবি দেখা না গেলে বিকল্প লিংক)

ইসলামোরফোসিস - ০৫

লিখেছেন কৌশিক

৬.
রাস্তায় বেগানা আওরাত দেখে আমার মনে হয়, শয়তান ইচ্ছে করে এদেরকে এই পোষাক পরাচ্ছে। মহিলাদের দেহ কোমল, তারা ঘরের মধ্যে থাকবে বলেই এত কমনীয় করা হয়েছে। যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে বোরখা পরবে, রোদ বৃষ্টির উপযোগী করে তাদের বদনমোবারক তৈরি করা হয়নি। আমাদের মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী বলেন, ছিলা কলা নিয়ে কেউ যদি বাজারে বিক্রি করতে বসে, তাহলে কেউ কি কিনবে! এছাড়া পুরুষ জাতি হচ্ছে বদবখত, তাদেরকে উত্তেজিত করা মোহতারিমাদের উচিত হবে না। কথিত আছে, শয়তান যতভাবে মানুষকে ধোকা দেয় তার সিংহভাগ আসে মহিলাদের দ্বারা। ফেতনায়ে আওরাত শেষ জামানার মানুষকে ধ্বংস করে দেবে। 

আমাদের মসজিদের ইমাম সাহেব লম্বা পাগড়ী, পাগড়ীর নিচে একটা রুমাল পরে একরকম বোরখাওয়ালী সেজেই চলাফেরা করেন। তিনি বলেন, যে জামানা পড়েছে এখন, পুরুষদের পর্দা করা ফরজ হয়েছে। এই যে আরবী রুমাল, এর মহাত্ম হচ্ছে এটা পরিধান করলে আশেপাশের এসমস্ত কোনো ফেতনা চোখে পড়বে না। 

আমাদের সমাজে এত যে পারিবারিক অশান্তি, এটা হচ্ছে মেয়েদের অধীনে চলার কারণে। আমরা নিজেদের ইমান-আক্বীদা নষ্ট করেছি বলে একজন মহিলা এখন বাজারের আওরাত হয়ে গেছে। আমাদের ইসলামিক টিভির আবুল কালাম হুজুর বলেছেন, হাদিসে নাকি আছে, একজন জাহান্নামী আওরাত তার সাথে চারজন পুরুষকেও জাহান্নামে নিয়ে যাবে। এরা হচ্ছে, ঐ মহিলার বাবা, স্বামী, ভাই ও পুত্র সন্তান। আসতাগফিরুল্লাহ। আওরাতকে যে ছহি-কামেলী জিন্দেগীর স্বাদ দিতে পারবে কাল হাশরের ময়দানে তার জন্য থাকবে উত্তম পুরুস্কার। 

রাস্তাঘাটে বেগানা আওরাত দেখে আমার কষ্ট হয়। আমি চোখের পর্দা, মনের পর্দা করি। আজকে অফিসে এসে দেখলাম রেশমা বিশাল বুক ফাড়া এক জামা পড়ে আছে। দেখে আমি তাকে হাদিসের তালিম দিলাম। মহিলাদের হতে হবে কর্কষ কন্ঠধারী কারণ তাদের মিউজিক্যাল সুমিষ্ঠ আওয়াজ শুনে পুরুষ বিগলিত হতে পারে। এজন্য সাবধনতাবশত নারীদেরকে পরপুরুষের সাথে কথা বলার সময় অহেতুক সুমিষ্ঠ স্বর প্রদর্শন থেকে পরহেজ হতে বলা হয়েছে। রেশমা আমার কথা শুনে রিনরিনিয়ে হাসে। আমি তাকে হাদিসের এই বানী শোনাই। সে ভয়ংকরভাবে হেসে ওঠে। আমি বুঝতে পারি, কেন শেষ জামানায় আওরাতকে ফেৎনা বলা হয়েছে। আল্লাহ আমাদেরকে ফেৎতনায়ে আওরাত হইতে সাবধনতা অবলম্বন করার তৌফিক দান করুন।

পরিবর্তিত পুনম পান্ডে

টিপিক্যাল মমিনীয় চরিত্রের অন্তর্গত বৈপরীত্য ও পরস্পরবিরোধিতা আমার কাছে বড়োই উপভোগ্য ও বিনোদনী বিষয়। পার্থিব হারাম আনন্দ-সুখের পেছনেও এরা ছোটে, তবে পারলৌকিক হাওয়াই মিঠাইটা যেন মিস হয়ে না যায়, সে ব্যাপারেও সতর্ক থাকার টানাপোড়েনে ভোগে। একটি ছোট্ট উদাহরণ: অনেক মমিন মুসলিম মদ্যপানের মওকা যেমন ছাড়ে না, আবার জমজমের পানিও তাদের চাই। 

তো যে-প্রসঙ্গে এই ভূমিকার অবতারণা। পুনম পান্ডের কথা আপনাদের মনে আছে? ওই যে সাড়া জাগানো ভারতীয় মডেলকন্যা, বিশ্বকাপ ক্রিকেটে ভারত চ্যাম্পিয়ন হলে যে তার উদোম শরীর দেখাবে বলে ভুয়া 'হুমকি' দিয়েছিল? এছাড়া মাঝেমধ্যেই নানান ইঙ্গিতময় বক্তব্য ও পুরুষমহলে আলোড়ন জাগানো পোশাক পরিধান করে নিজেকে আলোচনায় রাখতে পছন্দ করে সে। 

তবে আমার ধারণা ছিলো না, এই মেয়ে এতোটা ধর্মবতী। সে এ বছরের কুম্ভমেলায় গেছে, নিবেদিতপ্রাণ ভঙ্গিতে প্রার্থনা করেছে...

... তারপর নাঙ্গা হবার প্রতিশ্রুতি নিজে না রাখলেও মেলায় গিয়ে সে দেখা করেছে নাঙ্গা বাবাদের সঙ্গে:

খবরের লিংক পাঠিয়েছেন দীপঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়

দুর্বচন - ০৫

লিখেছেন সাদিয়া সুমি

২১.
আজ পর্যন্ত আমি বুঝতে পারলাম না, কেন আমাকে কাজ ফেলে স্রষ্টার গুনকীর্তন গাইতে হবে! আর স্রষ্টাই বা কেমন যে, নিজের গুনকীর্তন নিজে শুনতে যার আগ্রহের কোন শেষ নেই! সত্যিকারের জ্ঞানী লোকেরা কি কখনো তোষামোদ পছন্দ করতে পারেন?

২২.
আধুনিক মানুষের যাত্রা শুরু হয়েছিল মোটামুটি ৫০ হাজার বছর আগে। আর আল্লার নবীরা দুনিয়াতে আসতে শুরু করলেন মোটামুটি ৫ হাজার বছর আগ থেকে। সভ্যতার ঊষালগ্নে, যখন মানুষ সবচেয়ে বেশী অসহায় এবং সমস্যাগ্রস্থ ছিল, তখন আল্লা কি শীতনিদ্রায় মগ্ন ছিলেন?

২৩.
ঈশ্বর-আল্লা-ভগবানেরা শুধুমাত্র অনুন্নত ভারতবর্ষ আর মধ্যপ্রাচ্যে জন্ম নেন কেন, আমি বুঝি না। উন্নত বিশ্ব তথা ইউরোপ-আমেরিকায় কি তারা যেতে ভয় পান?

২৪.
মানুষ একক কোনো প্রাণী নয়, বরং ৫ ট্রিলিয়ন কোষের ৫ ট্রিলিয়ন life-এর একটি সমষ্টি। এই ৫ ট্রিলিয়ন কোষ মানব দেহ থেকে আলাদা হয়ে ৫ ট্রিলিয়ন জীব হিসেবে বেঁচে থাকতে সক্ষম। এই কোষগুলো বংশবৃদ্ধি করতে পারবে কিন্তু মৃত্যুর পর আর পুনর্জন্ম নিতে পারবে না। কারণ কোষের নিউক্লিয়াস মৃত্যুকালে সম্পূর্ণ lysis হয়ে যায় যা irreversible. ক্লোনিং করে ঐ কোষটি যদিওবা copy করা হয়, তবুও সেটি original কোষ কখনই আর হবে না। আমার প্রশ্ন: তাহলে মৃত্যুর পর মানুষের পুনর্জন্ম কেমন করে সম্ভব হবে?

২৫.
৫০ বছর আগেও মানুষের গড় আয়ু ছিল মাত্র ৫০ বছর, যা এখন ৭০ এর উপরে। ১০০ বছর আগে মানুষ বেশি মারা যেত সংক্রামক ব্যাধিতে, আর এখন মারা যায় হৃদরোগে। প্রসবকালীন মাতৃমৃত্যু এবং নবজাতক মৃত্যুর হার প্রায় ৮০ শতাংশ কমে এসেছে। পাশাপাশি জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারও উল্লখযোগ্য হারে কমে এসেছে। এসব ইতিবাচক পরিবর্তনগুলো কি আল্লার ইশারায় সম্ভব হয়েছে, নাকি অ্যান্টিবায়োটিক ও আধুনিক চিকিত্‍সা ব্যবস্থাপনার সুফল? এ ব্যাপারে পবিত্র ধর্মগ্রন্থগুলোতে কী লেখা আছে?

খ্রিষ্টীয় ঈমানদণ্ড

(ছবি দেখা না গেলে বিকল্প লিংক)

ইসলামে বর্বরতা: নারী-অধ্যায় - ১৯

লিখেছেন আবুল কাশেম

পর্ব ১ > পর্ব ২ > পর্ব ৩ > পর্ব ৪ > পর্ব ৫ > পর্ব ৬ > পর্ব ৭ > পর্ব ৮ > পর্ব ৯ > পর্ব ১০ > পর্ব ১১ > পর্ব ১২ > পর্ব ১৩ > পর্ব ১৪ > পর্ব ১৫ > পর্ব ১৬ > পর্ব ১৭ > পর্ব ১৮

মহিলাদের জিহাদে যোগদান

ইসলাম বিশারদরা প্রায়শঃ বলেন যে, মহিলাদের জন্য প্রধান জিহাদ হচ্ছে হজ্জ। এটা সত্যি যে, এ ব্যাপারে কিছু হাদিস আছে (যেমন সাহিহ বোখারী ভলুম ২, বই ২৬, হাদিস ৫৯৫), কিন্তু যে বিষয়টা ইসলামী বিশারদরা চেপে যান তা হচ্ছে ঐ হাদিস অর্ধ সত্য। এই হাদিসের প্রসঙ্গ হচ্ছে এই যে, যখন বিবি আয়েশা জিহাদে যোগদানের ইচ্ছা প্রকাশ করলেন তখন নবীজি আয়েশাকে বলেছিলেন যে, তাঁর (আয়েশার) জন্যে সবচাইতে ভাল জিহাদ হবে হজ্জ মাবরুর (সিদ্ধ হজ্জ)।

এখন দেখা যায়, অনুবাদকরা তাঁদের ইচ্ছামত ব্রাকেটে (নারীদের জন্যে) জুড়ে দিয়েছেন। বিবি আয়েশা যখন জিহাদে যাবার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন তখন তিনি নিতান্তই নাবালিকা ছিলেন - তাই নবীজি হয়ত চাননি ঐ অল্প বয়সী মেয়েটা জিহাদে যোগদান করে বেঘোরে প্রাণ হারায়।

আমরা আরও দেখি, কেমন করে এইসব ইসলামী পণ্ডিতেরা, যাঁরা বেশীরভাগই পাশ্চাত্যের দেশে বাস করেন, তাঁদের দ্বৈত ভূমিকা দেখান - অর্থাৎ দুই মুখে কথা বলেন। যখন পাশ্চাত্যে থাকেন, তখন বলেন জিহাদ মানে মানসিক যুদ্ধ করা, নিজেকে উন্নত করার জন্যে, নিজের বিরুদ্ধে নিজেই যুদ্ধ করা। কী সুন্দর কথা! এ কথায় কার না মন ভিজবে! কিন্তু এই ইসলামী পণ্ডিতেরাই যখন ইসলামী স্বর্গে যাবেন, তখন বলবেন জিহাদ মানে ইসলাম প্রচারের জন্য সশস্ত্র সংগ্রাম করা - কাফেরদের হত্যা করে বিশ্বব্যাপী ইসলাম কায়েম করা।

এই ব্যাপারেও আমরা লক্ষ্য করি ইসলামের অন্যায় আচরণ - মহিলাদের ওপর। শারিয়া আইন বলে মহিলাদের জন্যে জিহাদে যোগদান করা বাধ্যতামূলক। কিন্তু যখন জিহাদে-লব্ধ লুটের মাল ভাগ হবে তখন মহিলা জিহাদিরা কোন নির্দিষ্ট ভাগ পাবে না। তারা শুধু পাবে একটুমাত্র পুরস্কার - এই আর কি।

দেখা যাক শারিয়া আইন এ ব্যাপারে কী বলে।
শারিয়া আইন ও ৯.৩ (ঐ বই পৃঃ ৬০১)
জিহাদ বাধ্যতামূলক (O.ব্যক্তিগতভাবে) সবার জন্য (O.যারা সমর্থ, পুরুষ এবং মহিলা, বৃদ্ধ ও তরুণ) যখন শত্রু মুসলিমদেরকে চতুর্দিক থেকে ঘিরে ফেলবে।
….একজন মহিলা যে জিহাদে যোগদান করবে, যখন শত্রু চারিদিকে ঘিরে ফেলবে তখন তার কাছে দু’টি সিদ্ধান্ত থাকবে যুদ্ধ করে মৃত্যুবরণ করা অথবা শত্রুর কাছে আত্মসমর্পণ করা, যদি মহিলা মনে করে যে আত্মসমর্পণ করলে তার প্রতি কোন অসদাচরণ করা হবে না। কিন্তু যদি মহিলা মনে করে যে আত্মসমর্পণের পরেও সে নিরাপদে থাকবে না, তখন তাকে লড়াই করতেই হবে, সে মহিলা কোনক্রমেই শত্রুর কাছে আত্মসমর্পণ করবে না।
তাহলে আমরা দেখছি যে,মহিলারা জিহাদে যোগদান করতে বাধ্য, এমনকি জিহাদে তারা মৃত্যুবরণও করে নিতে পারে। লক্ষ্য করবেন, আজকাল বেশ কিছু ইসলামী আত্মঘাতী বোমারুরা হচ্ছে মহিলা। এই সকল মহিলারা যে অক্ষরে অক্ষরে শারিয়া আইন মেনে চলেছে, তাতে আমাদের কোন সন্দেহ থাকা উচিত নয়।

এখন আমরা পড়ব নিচের হাদিস, যেখানে মহিলা জিহাদিদের পুরস্কারের কথা বলা হয়েছে। এই হাদিস বেশ লম্বা, তাই প্রাসঙ্গিক অংশটুকুই উদ্ধৃত করা হবে।
সহিহ মুসলিম বই ১৯, হাদিস ৪৪৫৬
ইয়াজিদ বিন হুরমু্য বর্ণনা করলেন যে নাজদা একটা পত্র লিখলেন আব্বাসকে পাঁচটা ব্যাপারে।
… আমাকে বলুন আল্লাহ্‌র রসুল (সাঃ) যখন মহিলাদেরকে জিহাদে নিলেন তখন কি রসুলুল্লাহ মহিলাদের জন্য যুদ্ধে-লব্ধ মালের (খুমুস) জন্যে কোন নিয়মিত অংশীদার করেছিলেন? … ইবনে আব্বাস উত্তরে লিখলেন: …কখনও কখনও রসুলুল্লাহ মহিলা জিহাদিদের সাথে মিলে যুদ্ধ করেছেন। এছাড়া মহিলা জিহাদিরা আহত যোদ্ধাদের সেবা করত। জিহাদে লব্ধ মালের কিছু পুরষ্কার মহিলারা পেত। কিন্তু রসুলুল্লাহ মহিলাদের জন্য কোন নিয়মিত অংশভাগ রাখেননি।…
(চলবে)

বৃহস্পতিবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০১৩

কুরানে বিগ্যান (পর্ব-২৪): মুহাম্মদের মোজেজা তত্ত্ব - দুই

লিখেছেন গোলাপ

পর্ব ১ > পর্ব ২ > পর্ব ৩ > পর্ব ৪ > পর্ব ৫ > পর্ব ৬ > পর্ব ৭ > পর্ব ৮ > পর্ব ৯ > পর্ব ১০ > পর্ব ১১ > পর্ব ১২ > পর্ব ১৩ > পর্ব ১৪ > পর্ব ১৫ > পর্ব ১৬ > পর্ব ১৭ > পর্ব ১৮ > পর্ব ১৯ > পর্ব ২০ > পর্ব ২১ > পর্ব ২২ > পর্ব ২৩

স্বঘোষিত আখেরি নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) তাঁর প্রচারণায় সুদীর্ঘ ২৩ বছর (৬১০-৬৩২) পৌরাণিক নবীদের অলৌকিক মোজেজার কাহিনী অবিশ্বাসীদের শুনিয়েছেন। এমতাবস্থায় অত্যন্ত স্বাভাবিকভাবেই অবিশ্বাসীরা মুহাম্মদের কাছেও তার "নবুয়তের প্রমাণ" হাজির করতে বলেছিলেন। বিনা প্রমাণে কোনো সুস্থ বিবেকবান মুক্ত-বুদ্ধির মানুষই কাউকে নবী হিসাবে মেনে নিতে পারেন না। অবিশ্বাসীরাও তার ব্যতিক্রম ছিলেন না। অবিশ্বাসীরা মুহাম্মদের কাছে তার নবুয়তের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য কী প্রমাণ দাবী করেছিলেন এবং প্রতি-উত্তরে মুহাম্মদ (আল্লাহ) তাঁদের কী জবাব দিয়েছিলেন, কীরূপ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছিলেন, সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনার আগে একটি বিষয় পাঠকদের অবহিত করতে চাই। আর তা হলো: 

কুরাইশরা ছিলেন “আল্লাহ বিশ্বাসী”! 

কুরাইশরা যে বংশ পরম্পরায় “আল্লাহ"-কে দেবতাজ্ঞানে বিশ্বাস করতেন, তার জাজ্জ্বল্য প্রমাণ হলো মুহাম্মদের পিতার নাম! আবদ-আল্লাহ (আবদুল্লাহ)! অর্থাৎ আল্লাহর দাস। ইসলামের জন্মের বহু আগে থেকেই আবদ মানাফ, আবদ উজ্জাহ, আবদ আল্লাহ (দেবতা মানাফ, উজ্জাহ ও আল্লাহর দাস) ইত্যাদি নামগুলো আরবে বেশ জনপ্রিয়। এ ছাড়াও, মুহাম্মদ তার নিজেরই জবানবন্দিতে অত্যন্ত সুনির্দিষ্টভাবে ঘোষণা দিয়েছেন যে, তৎকালীন কুরাইশরা ছিলেন আল্লাহ বিশ্বাসী! মুহাম্মদের ভাষায়: 

২৩:৮৪-৮৯ - বলুন পৃথিবী এবং পৃথিবীতে যারা আছে, তারা কার? যদি তোমরা জান, তবে বল। 
এখন তারা বলবে: সবই আল্লাহর।
বলুন: সপ্তাকাশ ও মহা-আরশের মালিক কে? 
এখন তারা বলবে: আল্লাহ।
বলুন: তোমাদের জানা থাকলে বল, কার হাতে সব বস্তুর কর্তৃত্ব যিনি রক্ষা করেন এবং যার কবল থেকে কেউ রক্ষা করতে পারে না ? 
এখন তারা বলবে: আল্লাহর।

৩১:২৫ - আপনি যদি তাদেরকে জিজ্ঞেস করেন, নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডল কে সৃষ্টি করেছে? 
তারা অবশ্যই বলবে, আল্লাহ।

৩৪:৭-৮ - কাফেররা বলে, আমরা কি তোমাদেরকে এমন ব্যক্তির সন্ধান দেব, যে তোমাদেরকে খবর দেয় যে; তোমরা সম্পুর্ণ ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলেও তোমরা নতুন সৃজিত হবে। সে আল্লাহ সম্পর্কে মিথ্যা বলে, না হয় সে উম্মাদ এবং যারা পরকালে অবিশ্বাসী, তারা আযাবে ও ঘোর পথভ্রষ্টতায় পতিত আছে। 

৩৯:৩৮ - যদি আপনি তাদেরকে জিজ্ঞেস করেন, আসমান ও যমীন কে সৃষ্টি করেছে? 
তারা অবশ্যই বলবে - আল্লাহ।

৪৩:৯ - আপনি যদি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করেন কে নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডল সৃষ্টি করেছে? 
তারা অবশ্যই বলবে, এগুলো সৃষ্টি করেছেন পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞ আল্লাহ।

৪৩:৮৭ - যদি আপনি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করেন, কে তাদেরকে সৃষ্টি করেছেন, 
তবে অবশ্যই তারা বলবে, আল্লাহ।

>>> ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে, কুরাইশরা মুহাম্মদের বিরুদ্ধে তখনই প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন, যখন মুহাম্মদ তাঁদের পূজনীয় পিতৃপুরুষ ও উপাস্য দেবতাদের অসম্মান-তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা শুরু করেছিলেন! তাঁরা অভিযোগ করেছেন যে, “মুহাম্মদ তাদের দেবতা ‘আল্লাহর’ নামে মিথ্যা অপবাদ ছড়াচ্ছেন, তাঁদের আল্লাহকে কলঙ্কিত করছেন।” তার আগে কুরাইশরা কখনোই মুহাম্মদের প্রচারণায় কোনরূপ বাধা-প্রদান করেননি (বিস্তারিত আলোচনা করবো আইয়ামে জাহিলিয়াত তত্ত্বে)। 

মুহাম্মদ তাঁর প্রচারণায় শুরু থেকেই পূর্ব-বর্তী নবীদের অলৌকিক শক্তির (মোজেজা) বর্ণনা অবিশ্বাসীদের বারংবার স্মরণ করিয়ে হুমকি ও হুশিয়ারি দিয়ে আসছিলেন। তাই, মুহাম্মদ যখন নিজেকে পূর্ববর্তী নবীদের ধারাবাহিকতার শেষ নবী বলে ঘোষণা দিয়ে তাঁকে নবী হিসাবে স্বীকার করে নেয়ার আহ্বান জানালেন, তখন অত্যন্ত স্বাভাবিকভাবেই অবিশ্বাসীরাও মুহাম্মদের কাছে তাঁর নবুয়তের যথার্থতার প্রমাণস্বরূপ তাঁরই উদ্ধৃত “পূর্ববর্তী নবীদের অনুরূপ কোন অলৌকিক নিদর্শন (মোজেজা)” বহুবার বিভিন্নভাবে হাজির করার আহ্বান জানিয়েছিলেন! যা দেখে তাঁরা নিশ্চিত হবে যে, মুহাম্মদ সত্যিই একজন নবী, ভণ্ড নন! খুবই যুক্তিসম্মত দাবি। প্রতি-উত্তরে মুহাম্মদ (আল্লাহ) তাঁদেরকে কী জবাব দিয়েছিলেন এবং কীরূপ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছিলেন, তা মুহাম্মদের ব্যক্তি-মানস-জীবনীগ্রন্থে অত্যন্ত স্পষ্টভাবে বর্ণিত আছে। কিছু উদাহরণ: 

১) পূর্ববর্তী নবীগনের অনুরূপ কোন নিদর্শন আনয়নের দাবী

১৭:৯০- ৯৭ 
অবিশ্বাসীদের দাবী: 
“এবং তারা বলেঃ আমরা কখনও আপনাকে বিশ্বাস করব না, যে পর্যন্ত না আপনি ভূপৃষ্ঠ থেকে আমাদের জন্যে একটি ঝরণা প্রবাহিত করে দিন। অথবা আপনার জন্যে খেজুরের ও আঙ্গুরের একটি বাগান হবে, অতঃপর আপনি তার মধ্যে নির্ঝরিনীসমূহ প্রবাহিত করে দেবেন। আপনি যেমন বলে থাকেন, তেমনিভাবে আমাদের উপর আসমানকে খন্ড-বিখন্ড করে ফেলে দেবেন অথবা আল্লাহ ও ফেরেশতাদেরকে আমাদের সামনে নিয়ে আসবেন। অথবা আপনার কোন সোনার তৈরী গৃহ হবে অথবা আপনি আকাশে আরোহণ করবেন এবং আমরা আপনার আকাশে আরোহণকে কখনও বিশ্বাস করব না, যে পর্যন্ত না আপনি অবতীর্ণ করেন আমাদের প্রতি এক গ্রন্থ, যা আমরা পাঠ করব।”

মুহাম্মদের জবাব: 
“বলুনঃ পবিত্র মহান আমার পালনকর্তা, একজন মানব, একজন রসূল বৈ আমি কে? আল্লাহ কি মানুষকে পয়গম্বর করে পাঠিয়েছেন? তাদের এই উক্তিই মানুষকে ঈমান আনয়ন থেকে বিরত রাখে, যখন তাদের নিকট আসে হেদায়েত। বলুনঃ যদি পৃথিবীতে ফেরেশতারা স্বচ্ছন্দে বিচরণ করত, তবে আমি আকাশ থেকে কোন ফেরেশতাকেই তাদের নিকট পয়গাম্বর করে প্রেরণ করতাম। বলুনঃ আমার ও তোমাদের মধ্যে সত্য প্রতিষ্ঠাকারী হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ট। তিনি তো স্বীয় বান্দাদের বিষয়ে খবর রাখেন ও দেখেন।”

তারপর হুমকি -শাসানী ও ভীতি প্রদর্শন! 
“আল্লাহ যাকে পথ প্রদর্শন করেন, সেই তো সঠিক পথ প্রাপ্ত এবং যাকে পথ ভ্রষ্ট করেন, তাদের জন্যে আপনি আল্লাহ ছাড়া কোন সাহায্যকারী পাবেন না। আমি কেয়ামতের দিন তাদের সমবেত করব তাদের মুখে ভর দিয়ে চলা অবস্থায়, অন্ধ অবস্থায়, মুক অবস্থায় এবং বধির অবস্থায়। তাদের আবাসস্থল জাহান্নাম। যখনই নির্বাপিত হওয়ার উপক্রম হবে আমি তখন তাদের জন্যে অগ্নি আরও বৃদ্ধি করে দিব।” 

>>> অবিশ্বাসীদের প্রশ্ন ও দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মুহাম্মদের জবাব কি আদৌ প্রাসঙ্গিক? মুহাম্মদ নিজেই অসংখ্যবার দাবি করেছেন যে, পূর্ববর্তী নবীরা তাঁদের নবুয়তের 'প্রমাণ' এনেছিলেন। সে কারণে কুরাইশরাও মুহাম্মদের কাছে সুনির্দিষ্টভাবে ("আপনি যেমন বলে থাকেন -") সে সকল নবীদের অনুরূপ মোজেজা হাজির করে তাঁর দাবির যথার্থতা প্রমাণের দাবী জানিয়েছিলেন। জবাবে আল্লাহর "লেবাসে" মুহাম্মদের সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক জবাব! মুহাম্মদ নিজেই দাবি করেছেন যে, তাঁর কাছে ফেরেশতারা আগমন করে। অবিশ্বাসীরা মুহাম্মদকে তাঁর সেই ফেরেশতাদেরকেই দেখানোর আহ্বান জানাচ্ছেন! এটা কি কোন অযৌক্তিক দাবি? আর, “আল্লাহ কি মানুষকে পয়গম্বর করে পাঠিয়েছেন?' এই উক্তিটির মধ্যে কী এমন গর্হিত অন্যায় আছে, যা অবিশ্বাসীদের ঈমান আনয়ন থেকে বিরত রাখে? 

২১:৫-৬ 
অবিশ্বাসীদের দাবী: 
“এছাড়া তারা আরও বলেঃ অলীক স্বপ্ন; না সে মিথ্যা উদ্ভাবন করেছে, না সে একজন কবি। অতএব সে আমাদের কাছে কোন নিদর্শন আনয়ন করুক, যেমন নিদর্শন সহ আগমন করেছিলেন পূর্ববর্তীগন।” 

জবাবে মুহাম্মদের হুমকি:
তাদের পূর্বে যেসব জনপদ আমি ধবংস করে দিয়েছি, তারা বিশ্বাস স্থাপন করেনি; এখন এরা কি বিশ্বাস স্থাপন করবে?” 

২০: ১৩৩- ১৩৪ 
অবিশ্বাসীদের দাবী: 
“এরা বলেঃ সে আমাদের কাছে তার পালনকর্তার কাছ থেকে কোন নিদর্শন আনয়ন করে না কেন?” 

মুহাম্মদের অপ্রাসঙ্গিক জবাব ও হুমকি/ ভীতি প্রদর্শন: 
তাদের কাছে কি প্রমাণ আসেনি, যা পূর্ববর্তী গ্রন্থসমূহে আছে? যদি আমি এদেরকে ইতিপূর্বে কোন শাস্তি দ্বারা ধ্বংস করতাম, তবে এরা বলতঃ হে আমাদের পালনকর্তা, আপনি আমাদের কাছে একজন রসূল প্রেরণ করলেন না কেন? তাহলে তো আমরা অপমানিত ও হেয় হওয়ার পূর্বেই আপনার নিদর্শন সমূহ মেনে চলতাম। বলুন, প্রত্যেকেই পথপানে চেয়ে আছে, সুতরাং তোমরাও পথপানে চেয়ে থাক। অদূর ভবিষ্যতে তোমরা জানতে পারবে কে সরল পথের পথিক এবং কে সৎপথ প্রাপ্ত হয়েছে।” 

>>> মুহাম্মদের প্রচারণার শুরু থেকেই তার চারপাশের প্রায় সমস্ত জনগণ মুহাম্মদের যাবতীয় গল্প-কাহিনীকে পুরাকালের উপকথা বলে অভিযোগ করে এসেছেন। পূর্ববর্তী নবীরা যে 'মোজেজা' দেখিয়েছিলেন, এরূপ পৌরাণিক উপকথা ও কিচ্ছা-কাহিনী তাঁরা মুহাম্মদের জন্মের বহু আগে থেকেই বংশপরম্পরায় শুনে এসেছেন। কুরাইশদের কাছে এ তথ্যগুলো নতুন নয় (বিস্তারিত সপ্তদশ পর্বে)। 

মুহাম্মদ দাবী করেছেন যে, তিনি পূর্ববর্তী নবীদের অনুরূপ একজন নবী। সে কারণেই কুরাইশরা মুহাম্মদের কাছেও অনুরূপ প্রমাণ হাজির করার দাবি জানাচ্ছেন, "দেখাও অনুরূপ একটি মোজেজা এবং প্রমাণ করো তুমি তাদের মতই একজন!" জবাবে, "তাদের কাছে কি প্রমাণ আসেনি, যা পূর্ববর্তী গ্রন্থসমূহে আছে?" জবাবটি কি আদৌ কোনো অর্থ বহন করে? জবাবটি কি আদৌ প্রাসঙ্গিক? অবশ্যই নয়! অত্যন্ত অপ্রাসঙ্গিকভাবে মুহাম্মদ পৌরাণিক কিচ্ছা-কাহিনীরই পুনরুল্লেখ করে 'প্রমাণের পরিবর্তে দিচ্ছেন হুমকি'! 

৬:৩৭ 
অবিশ্বাসীদের প্রশ্ন: 
“তারা বলে: তার প্রতি তার পালনকর্তার পক্ষ থেকে কোন নিদর্শন অবতীর্ণ হয়নি কেন?” 

মুহাম্মদের অপ্রাসঙ্গিক জবাব: 
বলে দিন: আল্লাহ নিদর্শন অবতরণ করতে পূর্ন সক্ষম; কিন্তু তাদের অধিকাংশই জানে না।

১০:২০ 
অবিশ্বাসীদের প্রশ্ন: 
‘বস্তুতঃ তারা বলে, তাঁর কাছে তাঁর পরওয়ারদেগারের পক্ষ থেকে কোন নির্দেশ এল না কেন? 

অপ্রাসঙ্গিক জবাব: 
‘বলে দাও গায়েবের কথা আল্লাহই জানেন। আমি ও তোমাদের সাথে অপেক্ষায় রইলাম”। 

১৩:৭ 
অবিশ্বাসীদের প্রশ্ন: 
‘কাফেররা বলেঃ তাঁর প্রতি তাঁর পালনকর্তার পক্ষ থেকে কোন নিদর্শন অবতীর্ণ হল না কেন’? 

মুহাম্মদের অপ্রাসঙ্গিক জবাব: 
আপনার কাজ তো ভয় প্রদর্শন করাই এবং প্রত্যেক সম্প্রদায়ের জন্যে পথপ্রদর্শক হয়েছে। 

২৯:৫০ 
অবিশ্বাসীদের প্রশ্ন: 
‘তারা বলে, তার পালনকর্তার পক্ষ থেকে তার প্রতি কিছু নিদর্শন অবতীর্ণ হল না কেন? 

অপ্রাসঙ্গিক জবাব: 
‘বলুন, নিদর্শন তো আল্লাহর ইচ্ছাধীন।’ 

>>> পাঠক, একটু মনোযোগের সাথে খেয়াল করুন। কুরাইশরা মুহাম্মদের কাছে বারংবার তাঁর “নবুয়তের প্রমাণ" হাজির করতে বলেছেন। মুহাম্মদের ঘোষিত পালনকর্তা যে অলৌকিক নিদর্শন অবতীর্ণ করতে সক্ষম, সবজান্তা (গায়বের কথা জানেন), অসীম ক্ষমতাধর (যা ইচ্ছা তাইই করতে পারেন) - এ দাবিগুলো স্বয়ং মুহাম্মদের, কুরাইশদের নয়। 

তথাপি মুহাম্মদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে তাঁর কাছে কোনো নিদর্শন (মোজেজা) কেন অবতীর্ণ হয়নি, সেটাই ছিল কুরাইশদের প্রশ্ন! কুরাইশরা মুহাম্মদকে তাঁর সেই দাবিরই যথার্থতা প্রমাণের চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন! আর মুহাম্মদ প্রতিবারই প্রমাণের পরিবর্তে সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক জবাব দিয়ে চলেছেন! 

৬:১০৯-১১১ 
অবিশ্বাসীদের প্রশ্ন: 
তারা জোর দিয়ে আল্লাহর কসম খায় যে, যদি তাদের কাছে কোন নিদর্শন আসে, তবে অবশ্যই তারা বিশ্বাস স্থাপন করবে।’ 

মুহাম্মদের অপ্রাসঙ্গিক জবাব ও হুমকি: 
‘আপনি বলে দিন: নিদর্শনাবলী তো আল্লাহর কাছেই আছে। হে মুসলমানগণ, তোমাদেরকে কে বলল যে, যখন তাদের কাছে নিদর্শনাবলী আসবে, তখন তারা বিশ্বাস স্থাপন করবেই? আমি ঘুরিয়ে দিব তাদের অন্তর ও দৃষ্টিকে, যেমন-তারা এর প্রতি প্রথমবার বিশ্বাস স্খাপন করেনি এবং আমি তাদেরকে তাদের অবাধ্যতায় উদভ্রান্ত ছেড়ে দিব।’ 

>>> কুরাইশরা তাদের দেবতা "আল্লাহর কসম” খেয়ে বলছেন যে, যদি মুহাম্মদ কোনো 'অলৌকিকত্ব' দেখাতে পারেন, তবে তাঁরা মুহাম্মদকে বিশ্বাস করবেন। মুহাম্মদ তা দেখাতে সক্ষম তো হনই নাই, উল্টা অভিযোগ করছেন, "কে বলল যে তারা বিশ্বাস স্থাপন করবেই?" বড়ই অদ্ভুত! আবারও সেই অত্যন্ত অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্য, "নিদর্শনাবলী তো আল্লাহর কাছেই আছে" - হ্যাঁ, এ দাবিটি মুহাম্মদের। কুরাইশরা মুহাম্মদের এই দাবিটিরই “প্রমাণ” দাবী করেছেন! তারপরের অংশটি (হুমকি) আরও অপ্রাসঙ্গিক! অপারগ অক্ষম মুহাম্মদ প্রমাণের পরিবর্তে দিচ্ছেন হুমকি, "আমি ঘুরিয়ে দিব তাদের অন্তর ও দৃষ্টিকে -- আমি তাদেরকে তাদের অবাধ্যতায় উদভ্রান্ত ছেড়ে দিব।" 

মুহাম্মদ নিজেই নিজেকে পূর্ববর্তী নবীদেরই অনুরূপ একজন নবী হিসাবে আখ্যায়িত করেছিলেন। আর সেই দাবির সপক্ষে অবিশ্বাসীরা স্বাভাবিকভাবেই তাঁর নবুয়তের প্রমাণ দাবি করেছিলেন। এটা কি কোনো অপরাধ? কুরাইশ/অবিশ্বাসীদের এহেন যৌক্তিক দাবির প্রেক্ষিতে উল্টাপাল্টা অপ্রাসঙ্গিক জবাব ও হুমকি প্রদর্শনকারীকে কি বিবেকবান, নীতিপরায়ণ, যুক্তিবাদী, সভ্য বা উদার বলা যায়? ভুললে চলবে না যে,  মুহাম্মদ এবং তাঁর অনুসারীরা অবিশ্বাসীদেরকে অন্ধকারের অধিবাসী (আইয়ামে জাহিলিয়াত) বলে অনবরত তাচ্ছিল্য করেন। 

১১:১২ 
অবিশ্বাসীদের প্রশ্ন: 
“ ---তাদের এ কথায় যে, তাঁর উপর কোন ধন-ভান্ডার কেন অবতীর্ণ হয়নি? অথবা তাঁর সাথে কোন ফেরেশতা আসেনি কেন”? 

মুহাম্মদের অপ্রাসঙ্গিক জবাব: 
তুমি তো শুধু সতর্ককারী মাত্র; আর সব কিছুরই দায়িত্বভার তো আল্লাহই নিয়েছেন”। 

২৮:৪৮-৪৯ 
অবিশ্বাসীদের প্রশ্ন: 
“অতঃপর আমার কাছ থেকে যখন তাদের কাছে সত্য আগমন করল, তখন তারা বলল, মূসাকে যেরূপ দেয়া হয়েছিল, এই রসূলকে সেরূপ দেয়া হল না কেন”? 

মুহাম্মদের অপ্রাসঙ্গিক জবাব: 
“পূর্বে মূসাকে যা দেয়া হয়েছিল, তারা কি তা অস্বীকার করেনি? তারা বলেছিল, উভয়ই জাদু, পরস্পরে একাত্ম। তারা আরও বলেছিল, আমরা উভয়কে মানি না। বলুন, তোমরা সত্যবাদী হলে এখন আল্লাহর কাছ থেকে কোন কিতাব আন, যা এতদুভয় থেকে উত্তম পথপ্রদর্শক হয়। আমি সেই কিতাব অনুসরণ করব।” 

>> কী অদ্ভুত! নবুয়তের দাবিদার হলেন মুহাম্মদ, কুরাইশরা নয়। দাবীদার তার দাবির যথার্থতার প্রমাণ হাজির করার পরিবর্তে অস্বীকারকারীদের কাছেই "প্রমাণ দাবি" করছেন! 

পাঠক, মনোযোগের সাথে খেয়াল করুন! “বলুনঃ --একজন মানব, একজন রসূল বৈ আমি কে? (১৭: ৯৬), আমি ও তোমাদের সাথে অপেক্ষায় রইলাম (১০:২০), তুমিতো শুধু সতর্ককারী মাত্র (১১:১২)”—ইত্যাদি আপাত সহনশীল বাণী মুহাম্মদের মক্কা জীবনের। যখন তিনি ছিলেন অক্ষম, অপারগ ও দুর্বল! মদিনায় শক্তিমান মুহাম্মদের বাণী সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রকৃতির। কুরান পাঠের সময় আয়াতের জন্মস্থানের বিষয়টি খেয়াল না রাখলে বিভ্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ষোল আনা। 

২) সমগ্র কোরআন একদফায় অবতীর্ণ করানোর দাবি 

অবিশ্বাসীদের অভিযোগ: 
২৫:৪ - “কাফেররা বলে, এটা মিথ্যা বৈ নয়, যা তিনি উদ্ভাবন করেছেন এবং অন্য লোকেরা তাঁকে সাহায্য করেছে। অবশ্যই তারা অবিচার ও মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে।” 
২৫:৬৭-৬৮ - “কাফেররা বলে, যখন আমরা ও আমাদের বাপ-দাদারা মৃত্তিকা হয়ে যাব, তখনও কি আমাদেরকে পুনরুত্থিত করা হবে? এই ওয়াদাপ্রাপ্ত হয়েছি আমরা এবং পূর্ব থেকেই আমাদের বাপ-দাদারা। এটা তো পূর্ববর্তীদের উপকথা বৈ কিছু নয়।” 

৪:১৫৩ 
অবিশ্বাসীদের দাবী: 
“আপনার নিকট আহলে-কিতাবরা আবেদন জানায় যে, আপনি তাদের উপর আসমান থেকে লিখিত কিতাব অবতীর্ণ করিয়ে নিয়ে আসুন।

মুহাম্মদের অপ্রাসঙ্গিক জবাব ও হুমকি: 
“বস্তুত: এরা মূসার কাছে এর চেয়েও বড় জিনিস চেয়েছে| বলেছে, একেবারে সামনাসামনিভাবে আমাদের আল্লাহ্কে দেখিয়ে দাও| অতএব, তাদের উপর বজ্রপাত হয়েছে তাদের পাপের দরুন; অত:পর তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ-নিদর্শন প্রকাশিত হবার পরেও তারা গো-বৎসকে উপাস্যরূপে গ্রহণ করেছিল; তাও আমি ক্ষমা করে দিয়েছিলাম এবং আমি মূসাকে প্রকৃষ্ট প্রভাব দান করেছিলাম”। 

২৫:৩২ 
অবিশ্বাসীদের দাবী: 
“সত্য প্রত্যাখানকারীরা বলে, তাঁর প্রতি সমগ্র কোরআন একদফায় অবতীর্ণ হল না কেন?” 

মুহাম্মদের অপ্রাসঙ্গিক জবাব: 
“আমি এমনিভাবে অবতীর্ণ করেছি এবং ক্রমে ক্রমে আবৃত্তি করেছি আপনার অন্তকরণকে মজবুত করার জন্যে।

>>> অবিশ্বাসীরা সর্বদাই অভিযোগ করতেন যে, মুহাম্মদ যা কিছু প্রচার করতেন, তা পূর্ববর্তীদের উপকথা বৈ আর কিছুই নয় - যা তাঁরা বহু আগে থেকেই শুনে আসছেন। তাঁরা অভিযোগ করতেন যে, মুহাম্মদ 'নিজেই কুরান রচনা করেছেন এবং অন্যেরাও তাঁকে এ ব্যাপারে সাহায্যে করেছে।' মুহাম্মদ আরও দাবি করেছেন যে, সমগ্র কুরান বহু আগেই থেকেই লিপিবদ্ধ অবস্থায় আল্লাহর কাছে গচ্ছিত আছে। মুহাম্মদের এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কুরাইশদের দাবি, "যদি তাইই হয় তবে সমগ্র কুরান একসঙ্গে হাজির করো না কেন?" মুহাম্মদ তা হাজির করতে ব্যর্থ হয়েছেন। 

২৯:৫০-৫৩ 
অবিশ্বাসীদের প্রশ্ন: 
“তারা বলে, তার পালনকর্তার পক্ষ থেকে তার প্রতি কিছু নিদর্শন অবতীর্ণ হল না কেন?” 

মুহাম্মদের অপ্রাসঙ্গিক জবাব ও হুমকি/ ভীতি প্রদর্শন: 
“বলুন, নিদর্শন তো আল্লাহর ইচ্ছাধীন। আমি তো একজন সুস্পষ্ট সতর্ককারী মাত্র। এটা কি তাদের জন্যে যথেষ্ট নয় যে, আমি আপনার প্রতি কিতাব নাযিল করেছি, যা তাদের কাছে পাঠ করা হয়। এতে অবশ্যই বিশ্বাসী লোকদের জন্যে রহমত ও উপদেশ আছে। বলুন, আমার মধ্যে ও তোমাদের মধ্যে আল্লাহই সাক্ষীরূপে যথেষ্ট। তিনি জানেন যা কিছু নভোমন্ডলে ও ভূ-মন্ডলে আছে। আর যারা মিথ্যায় বিশ্বাস করে ও আল্লাহকে অস্বীকার করে, তারাই ক্ষতিগ্রস্ত। তারা আপনাকে আযাব ত্বরান্বিত করতে বলে। যদি আযাবের সময় নির্ধারিত না থাকত, তবে আযাব তাদের উপর এসে যেত। নিশ্চয়ই আকস্মিকভাবে তাদের কাছে আযাব এসে যাবে, তাদের খবরও থাকবে না।

>>> অবিশ্বাসীরা বারংবার অভিযোগ করে আসছেন যে, মুহাম্মদ নিজেই কুরান রচনা করেছেন এবং অন্যেরাও তাকে এ ব্যাপারে সাহায্য করেছেন। সেই অভিযোগের প্রশ্নে মুহাম্মদের জবাব, "এটাকি তাদের জন্যে যথেষ্ট নয় যে, আমি আপনার প্রতি কিতাব নাযিল করেছি-”! অর্থাৎ, মুহাম্মদের 'কিসসা-কাহিনী-হুমকি-শাসানি- তাচ্ছিল্য-ভীতি প্রদর্শন' সম্বলিত পুস্তকটিই মুহাম্মদের নবুয়তের সাক্ষী! তার আর কোন প্রমাণ দেখানোর প্রয়োজন নেই। কী অদ্ভুত যুক্তি! 

৩) কেয়ামত কখন অনুষ্ঠিত হবে? 

৭:১৮৭-১৮৮ 
অবিশ্বাসীদের প্রশ্ন: 
“আপনাকে জিজ্ঞেস করে, কেয়ামত কখন অনুষ্ঠিত হবে?

অপ্রাসঙ্গিক জবাব ও হুমকি/ ভীতি প্রদর্শন: 
“বলে দিন এর খবর তো আমার পালনকর্তার কাছেই রয়েছে। তিনিই তা অনাবৃত করে দেখাবেন নির্ধারিত সময়ে। আসমান ও যমীনের জন্য সেটি অতি কঠিন বিষয়। যখন তা তোমাদের উপর আসবে অজান্তেই এসে যাবে। আপনাকে জিজ্ঞেস করতে থাকে, যেন আপনি তার অনুসন্ধানে লেগে আছেন। বলে দিন, এর সংবাদ বিশেষ করে আল্লাহর নিকটই রয়েছে। কিন্তু তা অধিকাংশ লোকই উপলব্ধি করে না। 

৬৭:২৫-২৯ 
প্রশ্ন
‘কাফেররা বলেঃ এই প্রতিশ্রুতি কবে হবে, যদি তোমরা সত্যবাদী হও?’ 

মুহাম্মদের জবাব ও হুমকি/ ভীতি প্রদর্শন: 
‘বলুন, এর জ্ঞান আল্লাহ তা’আলার কাছেই আছে। আমি তো কেবল প্রকাশ্য সতর্ককারী। যখন তারা সেই প্রতিশ্রুতিকে আসন্ন দেখবে তখন কাফেরদের মুখমন্ডল মলিন হয়ে পড়বে এবং বলা হবেঃ এটাই তো তোমরা চাইতে।’

৭৯:৪২-৪৪ 
প্রশ্ন: 
‘তারা আপনাকে জিজ্ঞাসা করে, কেয়ামত কখন হবে?’ 

অপ্রাসঙ্গিক জবাব: 
‘এর বর্ণনার সাথে আপনার কি সম্পর্ক? এর চরম জ্ঞান আপনার পালনকর্তার কাছে। যে একে ভয় করে, আপনি তো কেবল তাকেই সতর্ক করবেন।’ 

১০:৪৮-৫০ 
অবিশ্বাসীদের প্রশ্ন: 
‘তারা আরো বলে, এ ওয়াদা কবে আসবে, যদি তোমরা সত্যবাদী হয়ে থাক? 

অপ্রাসঙ্গিক জবাব হুমকি/ ভীতি প্রদর্শন: 
তুমি বল, আমি আমার নিজের ক্ষতি কিংবা লাভেরও মালিক নই, কিন্তু আল্লাহ যা ইচ্ছা করেন। প্রত্যেক সম্প্রদায়ের জন্যই একেকটি ওয়াদা রয়েছে, যখন তাদের সে ওয়াদা এসে পৌঁছে যাবে, তখন না একদন্ড পেছনে সরতে পারবে, না সামনে ফসকাতে পারবে। - তুমি বল, আচ্ছা দেখ তো দেখি, যদি তোমাদের উপর তার আযাব রাতারাতি অথবা দিনের বেলায় এসে পৌঁছে যায়, তবে এর আগে পাপীরা কি করবে’? 

২১:৩৮-৪৬ 
অবিশ্বাসীদের প্রশ্ন: 
‘এবং তারা বলেঃ যদি তোমরা সত্যবাদী হও তবে এই ওয়াদা কবে পুর্ণ হবে? 

মুহাম্মদের অত্যন্ত অপ্রাসঙ্গিক জবাব, তাচ্ছিল্য ও হুমকি/ ভীতি প্রদর্শন: 
‘যদি কাফেররা ঐ সময়টি জানত, যখন তারা তাদের সম্মুখ ও পৃষ্ঠদেশ থেকে অগ্নি প্রতিরোধ করতে পারবে না এবং তারা সাহায্য প্রাপ্ত হবে না। বরং তা আসবে তাদের উপর অতর্কিত ভাবে, অতঃপর তাদেরকে তা হতবুদ্ধি করে দেবে, তখন তারা তা রোধ করতেও পারবে না এবং তাদেরকে অবকাশও দেয়া হবে না। আপনার পূর্বেও অনেক রাসূলের সাথে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করা হয়েছে। অতঃপর যে বিষয়ে তারা ঠাট্টা করত তা উল্টো ঠাট্টাকারীদের উপরই আপতিত হয়েছে। বলুনঃ ‘রহমান’ থেকে কে তোমাদেরকে হেফাযত করবে রাত্রে ও দিনে। বরং তারা তাদের পালনকর্তার স্মরণ থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখে। তবে কি আমি ব্যতীত তাদের এমন দেব-দেবী আছে যারা তাদেরকে রক্ষা করবে? তারা তো নিজেদেরই সাহায্য করতে সক্ষম নয় এবং তারা আমার মোকাবেলায় সাহায্যকারীও পাবে না। বরং আমি তাদেরকে এবং তাদের বাপ-দাদাকে ভোগসম্বার দিয়েছিলাম, এমনকি তাদের আয়ুস্কালও দীর্ঘ হয়েছিল। তারা কি দেখে না যে, আমি তাদের দেশকে চতুর্দিক থেকে হ্রাস করে আনছি। এরপরও কি তারা বিজয়ী হবে? বলুনঃ আমি তো কেবল ওহীর মাধ্যমেই তোমাদেরকে সতর্ক করি, কিন্তু বধিরদেরকে যখন সতর্ক করা হয়, তখন তারা সে সতর্কবাণী শোনে না। আপনার পালনকর্তার আযাবের কিছুমাত্রও তাদেরকে স্পর্শ করলে তারা বলতে থাকবে, হায় আমাদের দুর্ভাগ্য, আমরা অবশ্যই পাপী ছিলাম। 

২৭:৭১-৭২ 
অবিশ্বাসীদের প্রশ্ন: 
‘তারা বলে, তোমরা যদি সত্যবাদী হও তবে বল, এই ওয়াদা কখন পূর্ণ হবে? 

মুহাম্মদের জবাব: 
বলুন, অসম্ভব কি, তোমরা যত দ্রুত কামনা করছ তাদের কিয়দংশ তোমাদের পিঠের উপর এসে গেছে। 

৩২:২৮-২৯ 
অবিশ্বাসীদের প্রশ্ন: 
‘তারা বলে তোমরা সত্যবাদী হলে বল; কবে হবে এই ফয়সালা? 

মুহাম্মদের হুমকি/ ভীতি প্রদর্শন: 
‘বলুন, ফয়সালার দিনে কাফেরদের ঈমান তাদের কোন কাজে আসবে না এবং তাদেরকে অবকাশ ও দেয়া হবে না।’ 

৩৪:২৯-৩০ 
অবিশ্বাসীদের প্রশ্ন: 
‘তারা বলে, তোমরা যদি সত্যবাদী হও, তবে বল, এ ওয়াদা কখন বাস্তবায়িত হবে?’ 

অপ্রাসঙ্গিক জবাব: 
“বলুন, তোমাদের জন্যে একটি দিনের ওয়াদা রয়েছে যাকে তোমরা এক মহূর্তও বিলম্বিত করতে পারবে না এবং ত্বরান্বিত ও করতে পারবে না।” 

৩৬:৪৮-৫০ 
অবিশ্বাসীদের প্রশ্ন: 
‘তারা বলে, তোমরা সত্যবাদী হলে বল এই ওয়াদা কবে পূর্ণ হবে’? 

মুহাম্মদের হুমকি: 
‘তারা কেবল একটা ভয়াবহ শব্দের অপেক্ষা করছে, যা তাদেরকে আঘাত করবে তাদের পারস্পরিক বাকবিতন্ডাকালে। তখন তারা ওছিয়ত করতেও সক্ষম হবে না। এবং তাদের পরিবার-পরিজনের কাছেও ফিরে যেতে পারবে না।’ 

৫১:১২-১৪
প্রশ্ন: 
‘তারা জিজ্ঞাসা করে, কেয়ামত কবে হবে’? 

মুহাম্মদের হুমকি/ ভীতি প্রদর্শন: 
যেদিন তারা অগ্নিতে পতিত হবে, তোমরা তোমাদের শাস্তি আস্বাদন কর। তোমরা একেই ত্বরান্বিত করতে চেয়েছিল।’ 

৩৩:৬৩-৬৮ 
অবিশ্বাসীদের প্রশ্ন: 
‘লোকেরা আপনাকে কেয়ামত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে।’ 

অপ্রাসঙ্গিক জবাব ও হুমকি: 
বলুন, এর জ্ঞান আল্লাহর কাছেই। আপনি কি করে জানবেন যে সম্ভবতঃ কেয়ামত নিকটেই। নিশ্চয় আল্লাহ কাফেরদেরকে অভিসম্পাত করেছেন এবং তাদের জন্যে জ্বলন্ত অগ্নি প্রস্তুত রেখেছেন। তথায় তারা অনন্তকাল থাকবে এবং কোন অভিভাবক ও সাহায্যকারী পাবে না। যেদিন অগ্নিতে তাদের মুখমন্ডল ওলট পালট করা হবে; সেদিন তারা বলবে, হায়। আমরা যদি আল্লাহর আনুগত্য করতাম ও রসূলের আনুগত্য করতাম। তারা আরও বলবে, হে আমাদের পালনকর্তা, আমরা আমাদের নেতা ও বড়দের কথা মেনেছিলাম, অতঃপর তারা আমাদের পথভ্রষ্ট করেছিল। হে আমাদের পালনকর্তা! তাদেরকে দ্বিগুণ শাস্তি দিন এবং তাদেরকে মহা অভিসম্পাত করুন।’

>>> কিয়ামতের হুমকি/দাবি মুহাম্মদের। কুরাইশরা মুহাম্মদের সে দাবীরই যথার্থতার প্রমাণ জানতে চাইছেন, "কেয়ামত কখন অনুষ্ঠিত হবে?" বরাবরের মতই উল্টা-পাল্টা অপ্রাসঙ্গিক জবাব, হুমকি-শাসানী ও ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে মুহাম্মদ তার "অক্ষমতা ও অপারগতার প্রমাণ" হাজির করেছিলেন। সে কারণেই অত্যন্ত স্বাভাবিকভাবেই কুরাইশরা মুহাম্মদকে প্রতারক, জালিয়াত, ভণ্ড ও মিথ্যাবাদী রূপে আখ্যায়িত (বিস্তারিত সপ্তদশ, অষ্টাদশ এবং বাইশতম পর্বে) করেছিলেন। তাঁরা কি কোনো গর্হিত অপরাধ করেছিলেন? 

পাঠক, বাস্তব ব্যক্তি জীবনের অনুরূপ পরিস্থিতিতে (কল্পনা করুন) এহেন স্পেশাল দাবিদার কোনো ‘স্বঘোষিত নবী-আউলিয়া-পীর-কামেল-সাধুবাবার’ দাবিকে আপনারা কুরানে বর্ণিত ওপরোক্ত সওয়াল-জবাবের মাপকাঠিতে কীভাবে মূল্যায়ন করতেন? অকাট্য সত্যবাদী রূপে? নাকি ভণ্ড-প্রতারক রূপে? 

[কুরানের উদ্ধৃতিগুলো সৌদি আরবের বাদশাহ ফাহাদ বিন আবদুল আজিজ (হেরেম শরীফের খাদেম) কর্তৃক বিতরণকৃত বাংলা তরজমা থেকে নেয়া; অনুবাদে ত্রুটি-বিচ্যুতির দায় অনুবাদকারীর। কুরানের ছয়জন বিশিষ্ট অনুবাদকারীর পাশাপাশি অনুবাদ এখানে।]

(চলবে)