আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

রবিবার, ১৪ মে, ২০১৭

নিমো হুজুরের খুতবা - ৪৬

 লিখেছেন নীল নিমো

১. 
বিসমিল্লাহির রাহমানের রাহিম।
আজকে মাগরিবের নামাজের পর মসজিদের দানবাক্স খুলে, দানের টাকা হিসাব করা হচ্ছিল। টাকা হিসাবের পর আমি দানের সব টাকা, নিজের পাঞ্জাবির পকেটে ঢুকিয়ে নিলাম। মসজিদের দুইজন ময়াজ্জিন সাহেবকে কোনো ভাগ দিলাম না। মুয়াজ্জিন সাহেবরা তব্দা খেয়ে আমার দিকে হাঁ করে তাকিয়ে রইল। পাশে থাকা একজন মুরিদ বলিল:
- নীল নিমো হুজুর, আপনি একলাই সব টাকা নিয়ে নিলেন, মুয়াজ্জিনদেরকে কিছুই দিলেন না?
আমি উত্তর দিলাম:
- টাকা-পয়সা খারাপ জিনিস। টাকা পয়সার লোভ করে অনেকে ধ্বংস হয়ে গেছে। এই ব্যাপারে রাসুল্লাহর সুন্দর একটি ঘটনা আছে। আমি মুয়াজ্জিন ভাইদেরকে রক্ষা করার জন্য হাদিসটি ফলো করে পুরা টাকা একাই নিয়ে নিলাম। ঘটনাটা নিম্নরূপ:
এক গরীব লোক আঙ্গুর নিয়ে হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর কাছে উপহার দিলো। পাশেই বিভিন্ন সাহাবীরা উপস্থিত ছিলেন। রাসুল (সঃ) আঙ্গুরের থোকা থেকে একটা আঙ্গুর ছিড়ে মুখে দিলেন, তারপর এক এক করে সবগুলো আঙ্গুর খেয়ে ফেললেন কিন্তু পাশে বসে থাকা সাহাবীদের কাউকেই আঙ্গুর খেতে সাধলেন না। চোখের সামনে প্রিয় নবীর এভাবে আঙ্গুর খাওয়া দেখে গরীব লোকটি অনেক খুশী হলো, তারপর রাসুলের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে গেলো। লোকটি চলে যাবার পর এক সাহাবী রাসুল (সঃ) কে জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ (সঃ) আপনি কিভাবে একাই সব আঙ্গুর খেয়ে ফেললেন, আমাদের কাউকে একটু ভাগ দিলেন না! সাহাবীর প্রশ্ন শুনে রাসুল (সঃ) মুচকি হেসে উত্তর দিলেন,
"আমি একাই সব আঙ্গুর খেয়ে ফেলেছি কারন আঙ্গুরগুলো টক ছিলো। যদি আমি তোমাদের কে আঙ্গুর খেতে সাধতাম, তোমাদের মুখভঙ্গি দেখেই হয়তো লোকটি বুঝে ফেলতো এবং কষ্ট পেতো। তাই আমি চিন্তা করে দেখলাম, যদি আঙ্গুরগুলো আমি একাই আনন্দের সাথে খেয়ে ফেলি লোকটি খুশি হবে এবং এটাই সবদিক দিয়ে ভাল।'"
আমার কথা শুনে দুই মুয়াজ্জিন বলে উঠিল:
- আল্লাহু আকবর... আমাদের কথা চিন্তা করে নীল নিমো হুজুর এতবড একটা রিস্ক নিচ্ছেন... নীল নিমোর মত মহান মানুষ এই দুনিয়াতে দ্বিতীয়টি নাই।
২.
আমার কিছু নোয়াখাইল্লা মুরিদ আছে। খালি উল্টাপাল্টা প্রশ্ন করে। যেমন, আজকে এক মুরিদ প্রশ্ন করে বসল:
- হুজুর খ্রিষ্টান ধর্মের নবী জিসাস কেন বিবাহ করেননি?
আমি মনে মনে চিন্তা করে দেখলাম, আমার এই নোয়াখাইল্লা মুরিদ আগে খ্রিষ্টান ছিল, তারপর কিছুদিন মুসলমানও ছিল। তারপর এখন সে আমার মুরিদ হইছে। তাই আমি বেশ সতর্কতার সহিত উত্তর দিলাম:
- দেখুন, মুরিদ ভাই আমার, দুইটি ভিন্ন প্রজাতির ভিতরে ক্রস ঘটালে একটি অনুর্বর প্রজাতির সৃষ্টি হয়। যে অনুর্বর প্রজাতি পরবর্তিতে বংশ বিস্তারে অক্ষম হয়ে থাকে। যেমন বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় যে:
বাঘ + সিংহ = অনুর্বর লাইগার।
ঘোড়া + গাধা = অনুর্বর খচ্চর।
মানুষ + ঈশ্বর = অনুর্বর জিসাস।
জিসাসের ক্রোমজম ডিপ্লেয়েড (2n) ছিল না। তার ক্রোমজম ছিল হাপ্লয়েড (n)। তাই জিসাস বন্ধা ছিল বা তার ক্রমোজমে XY পেয়ারটা ছিল না। তাই জিসাস বিবাহ করার রিস্ক নিতে চাননি। কিন্তু জিসাসের পরম পিতা ঈশ্বর, এক ভুল দুইবার কখনো করেন না। তাই পরবর্তীতে ঈশ্বরের নির্দেশে মুহাম্মদ (স:) দুনিয়াতে এসে ১৪ টা বিবাহ করে জিসাসের অক্ষমতাকে পুষিয়ে দেন।

আমার উত্তর শুনে নোয়াখাইল্লা মুরিদ সন্তুষ্ট হল। সে আনন্দে গদগদ হয়ে গেল। এই প্রথম কোন এক নোয়াখাইল্লা মুরিদকে সন্তুষ্ট করতে পরে আমিও আনন্দিত হলাম।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন