আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

বুধবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

মিতকথন


লিখেছেন মাওলানা দুরের পাখি

একটি দম্ভপূর্ণ, রুঢ় এবং হামবড়া বিবৃতি: এই সুবিশাল মহাবিশ্বের একটি অত্যন্ত সাধারণ কোণায় একটা সাদামাটা সৌরজগতে কোন এক চান্সে কাদাপানি থেকে পাওয়া জীবনের অতিধীর অতি অগোছালো কিছু উন্নয়নের মধ্য দিয়ে স্রেফ ভাগ্যের জোরে এই জীবন। আমাদের জ্ঞান আর সামর্থ্যের সীমা এত ছোট যে, এখনো জানি না আমরা কেন এইখানে, কীভাবে এলাম, এই ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন মাইলব্যাপী মহাবিশ্বই বা কীভাবে এলো। আমাদের ছাড়াও এই সবকিছু কোটি কোটি বছর ধরে ছিলো। আমাদের তুচ্ছ জীবন শেষ হওয়ারও কোটি কোটি বছর পর পর্যন্ত সব এইভাবেই থাকবে।

একটি বিনয়পূর্ণ, নিরহংকার এবং মাটির মানুষীয় বিবৃতি: এই ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন মাইলব্যাপী মহাবিশ্ব আর তার ভিতরের ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন নক্ষত্র, গ্রহ , গ্যাস যা কিছু আছে, তার সবই আমাদের জন্য তৈরী। এই সুবিশাল মহাবিশ্ব এবং আরো অনেক কিছু যিনি কেবল উচ্চারণের মাধ্যমে নিমিষেই তৈরী করে ফেলতে পারেন, সেই অকল্পনীয় শক্তিশালী সৃষ্টিকর্তা ব্যক্তিগতভাবে আমাদের একেকজনের প্রাত্যাহিক কার্যাবলীর হিসাব রাখেন। পেটের কষা থেকে শুরু করে বিবাহ, সন্তান এই সমস্ত যাবতীয় ঘটনায় তিনি ব্যক্তিগতভাবে আমাদের প্রত্যেকের বরাদ্দ পর্যালোচনা করেন। এমনকি তিনি আমার আবেদনের প্রেক্ষিতে তার নিজস্ব মতামত পরিবর্তন পরিমার্জন করে আমার চাওয়া অনুযায়ী জিনিস আমাকে দান করেন। এই পৃথিবী , গ্রহ-নক্ষত্র সব ধ্বংস হয়ে যাবে, কিন্তু আমি আমার শরীর সহ অনন্তকাল ধরে থাকবো, খাবো দাবো, অসংখ্য অনিন্দ্য সুন্দরীর সাথে লাগাবো আর লাগাবো। যারা আমার মতের বিরুদ্ধে বলে, তাদেরকে সৃষ্টিকর্তা ব্যক্তিউদ্যোগে অনন্তকাল ধরে আগুনে পোড়াবেন, ছুরিতে কাটবেন আর আমি স্বর্গ থেকে সেসব দেখে দেখে হাসবো।


লিখেছেন শুভজিৎ ভৌমিক (ভৌমিক দা)

ঘটনা ১: হারিকেন-কুপিবাত্তি দিয়া গানের শিল্পী খোঁজার প্রতিভা অন্বেষণ অনুষ্ঠান। গান গাওয়া শেষে প্রতিযোগী বলছেন, "প্লিজ প্লিজ প্লিজ আমার জন্য ভোট করুন।" গান কেমন লাগলো সেটা ফ্যাক্টর না, ভোট দেয়াটাই ফ্যাক্টর। এই ভোটের চোটে অতি অখাদ্য শিল্পীও এক পর্যায়ে হয়ে ওঠে জনপ্রিয় শিল্পী। আর শিল্প পচতে থাকতে ভাগাড়ে, অন্ধকার ঘরের কোণায়। 

ঘটনা ২: ফেসবুকের জনপ্রিয় একটি পেইজ। পেইজ অ্যাডমিন পোস্ট দেয়া শেষে নিচে লিখে দেন, "আপনারা লাইক বাটনে কোপ দেন। মজা লাগলে লাইক দিতে ভুলবেন না, শেয়ার করুন যতখুশি।" ফেসবুক জুড়ে শুরু হয়েছে লাইকের ব্যবসা। গুণগত মান কার কেমন, সেটা ফ্যাক্টর না, যে পোস্টে যত বেশি লাইক, সেই পোস্ট তত হিট পোস্ট। লাইকের চোটে আগু, মাগু, কাগু, ছাগু জাতীয় ফালতু পেইজও হয়ে ওঠে জনপ্রিয়। আর ভালো পেইজগুলোর অ্যাডমিন হতাশায় অ্যাকটিভিটি কমিয়ে দেন, বা বন্ধ করে দেন তার পেইজ। 

ঘটনা ৩: গায়িকা ইভা রহমান গান গাইতে উঠেছেন স্টেজে। উঠেই সবাইকে বলছেন, "হাত তালি দেন, নাহলে গান গাইবো না।" পাবলিকের করতালিতে মুখর হয়ে ওঠে স্টেডিয়াম। তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে বেসুরো গলায় গাইতে থাকেন টাকার কুমিরের প্রাক্তন শালী, বর্তমান স্ত্রী। 

ঘটনা ৪: আস্তিক-নাস্তিক ক্যাচাল। আস্তিক চিল্লাইতে চিল্লাতে গলা ফাটায়ে ফেলছে যে, তার পালিত ধর্মকে নাস্তিকের সম্মান দিতেই হবে, সকলের চিন্তাধারার প্রতি নাকি সম্মান রাখাটা কর্তব্য। সকল ধর্মকে সম্মান দিতে গিয়ে আমরা "সম্মান" নামক শব্দটারই অসম্মান করতে থাকি, আর ধার্মিকেরা কুড়িয়ে পাওয়া সম্মান পকেটে ভরতে ভরতে আলহামদুলিল্লাহ বলেন। . . . হে মহান ঈশ্বর! এরা জানে না যে, এরা কী করছে। এরা জানে না যে, হাততালি, লাইক, সম্মান... এগুলো চেয়ে চেয়ে পাওয়া যায় না, নিজগুণে অর্জন করে নিতে হয়। হে মহান ঈশ্বর! এদের ক্ষমা করো, এদের জ্ঞান দাও !

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন