আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

শুক্রবার, ১৩ জুলাই, ২০১২

ইসলামে কাম ও কামকেলি - ২২

মূল রচনা: আবুল কাশেম (সেক্স এন্ড সেক্সুয়ালিটি ইন ইসলাম)
অনুবাদ: খেলারাম পাঠক

(সতর্কতা: নরনারীর যৌনাচার নিয়ে এই প্রবন্ধ। স্বাভাবিকভাবেই কামসম্পর্কিত নানাবিধ টার্ম ব্যবহার করতে হয়েছে প্রবন্ধে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যবহৃত ভাষার মধ্যেও তাই অশালীনতার গন্ধ পাওয়া যেতে পারে। কাম সম্পর্কে যাদের শুচিবাই আছে, এই প্রবন্ধ পাঠে আহত হতে পারেন তারা। এই শ্রেনীর পাঠকদের তাই প্রবন্ধটি পাঠ করা থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করা যাচ্ছে। পূর্ব সতর্কতা সত্বেও যদি কেউ এটি পাঠ করে আহত বোধ করেন, সেজন্যে কোনভাবেই লেখককে দায়ী করা চলবে না।)

পর্ব ০১ > পর্ব ০২ > পর্ব ০৩ > পর্ব ০৪ > পর্ব ০৫ > পর্ব ০৬ > পর্ব ০৭ > পর্ব ০৮ > পর্ব ০৯ > পর্ব ১০ > পর্ব ১১ > পর্ব ১২ > পর্ব ১৩ > পর্ব ১৪ > পর্ব ১৫ > পর্ব ১৬ > পর্ব ১৭ > পর্ব ১৮ > পর্ব ১৯ > পর্ব ২০ > পর্ব ২১

পেছন হতে / পায়ুপথে সেক্স

আমি একথা গোপন করব না যে, হাদিস পাঠ করা ছিল আমার সময় কাটানোর সবচেয়ে প্রিয় উপায়। হাদিস পড়তে আমি ভালবাসতাম, যেখানে যত হাদিস আছে। আমি যত বেশী হাদিস পড়তে থাকলাম, তত বেশী করে ইসলাম ও তার নবী মহম্মদকে (দঃ) বুঝতে পারলাম। আমি মনে করি, হাদিসগুলিতে একজন ভাল ও খাটি মুসলমানের চিত্র সংরক্ষিত আছে।

শুরুতে ভেবেছিলাম, হাদিসে বোধ হয় শুধুমাত্র ধর্মীয় নিয়মকানুন, আধ্যাত্মিক নিয়মকানুন কিংবা ধর্মযুদ্ধ (জিহাদ) সংক্রান্ত বিষয়াদিই আছে। কিন্তু ইসলামের মূল লিপিগুলিতে যৌনকামনা উদ্রেককারী এতসব বর্ণনা পেয়ে আমি যেন বোবা হয়ে গেলাম। এরূপ মন্তব্য করা বোধ হয় অসমীচীন হবে না যে, কোনো কোনো হাদিসকে যৌনাচারের সারগ্রন্থ (ম্যানুয়াল অব সেক্স) বলে অভিহিত করা যায়। সেক্স করতে গেলে কী কী করতে হবে এবং কী কী করা যাবে না, তার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ রয়েছে সেখানে। কোনো কোনো হাদিস এমনকি বিশ্বের প্রাচীনতম পর্নোগ্রন্থ কামসুত্রকেও লজ্জা দিতে পারে। এগুলিকে “সহি পর্ণোগ্রাফি - লা বেদুঈন স্টাইল” কিংবা "লা ইসলামিক স্টাইল" বলে অভিহিত করলে অন্যায় হবে না। এখানে আমি মাত্র গোটাকয়েক নমুনা পেশ করছি। পাঠক-পাঠিকাদেরকে অনুরোধ করব: দয়া করে সিহা সিত্তা গ্রন্থ ছয়টি ভালভাবে পাঠ করুন। আমি আপনাদের নিশ্চয়তা দিচ্ছি, ঠকবেন না। এত নুতন নুতন জিনিস আবিষ্কার করতে পারবেন যে, আপনাদেরকে মোটেই আফসোস করতে হবে না।

সে যুগের আরব বেদুঈনরা কী ধরণের সেক্সুয়াল প্র্যাক্টিস অনুসরণ করতো, হাদিসগুলিতে তার বিশ্বস্ত বর্ণনা রয়েছে। আমরা দেখতে পাই যে বিভিন্ন গোত্রগুলি সহবাসের সময় যে-পদ্ধতি বা স্টাইল অনুসরণ করতো, তার মধ্যে বিস্তর ফারাক ছিল।

একজন ইহুদি তার স্ত্রীর সাথে যে-স্টাইলে সেক্স করতো, তা তার বেদুঈন প্রতিবেশীর চেয়ে ভিন্নতর ছিল। শহরে এবং মরুভুমিতে প্রচলিত পদ্ধতিগুলিও ছিল ভিন্ন ভিন্ন। আমরা আরও দেখতে পাই যে, সেক্সের ব্যাপারে মরুচারী বেদুঈনরা বেশ এগিয়ে ছিল। সেক্সের আসন, সেক্সের ষ্টাইল ইত্যাদি কেলিগুলিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছিল তারা। আনসার এবং মোহাজেরদের মধ্যেও এই স্টাইলের বিস্তর পার্থক্য ছিল। ইহুদিরা সাধারণত শাস্ত্রীয় আসন অনুসরণ করতো। পক্ষান্তরে মক্কা হতে আগত মোহাজেররা স্ত্রীদের সাথে বিভিন্ন আসনে সেক্স করতে অভ্যস্ত ছিল। এইসব আসনের মধ্যে তাদের সবচেয়ে প্রিয় ছিল পেছন দিক হতে সঙ্গম করা।

আনসার কিংবা ইহুদি রমণীরা এই ষ্টাইলে অভ্যস্ত ছিল না। মোহাজেরগণ এই স্টাইল আনসার রমণীদের ওপর প্রয়োগ করতে শুরু করলে রমণীরা অসন্তুষ্টি ও বিরক্তি প্রকাশ করে। কারণ কোনো কোনো মোহাজের ষণ্ড এই সুযোগে মেয়েদের পায়ুপথে লিঙ্গ প্রবিষ্ট করাতেও দ্বিধাবোধ করত না। এইসব মোহজেররা ছিল যৌন দুর্ভিক্ষের শিকার, নবীর সাথে মদীনায় হিজরতের কারণে অধিকাংশ মোহাজেরই তাদের বউ মক্কায় ফেলে এসেছিল। সুতরাং মেয়ে দেখলেই ক্ষুধার্ত নেকড়ের মতো হয়ে যেতো তারা। কোন মেয়ের সাথে ঘুমানোর সুযোগ পেলে এমন আচরণ করতো যে, অনেক ক্ষেত্রেই মেয়েটির কাছে তা বলাৎকার এবং গর্হিত বলে মনে হতো। মোহজেরদের এই অনাকাঙ্খিত আচরণের কথা আনসারি মেয়েরা রাসুলের কানে তোলে।

(চলবে) 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন