আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

বৃহস্পতিবার, ৩০ আগস্ট, ২০১২

নূরানী চাপা শরীফ - ১১

লিখেছেন থাবা বাবা

চাপা - ০১৭

"বাবা মোহাম্মক তোমাকে যুদ্ধে যাইতে হইপে।"
"কেনু কাক্কু?"
"যুদ্ধে না যাইলে যে আমাগের না খাইয়ে মরিতে হইপে, বাবা!"
"আচ্ছা, তবে যাইব। কিন্তুক আমাকে কোথায় খাড়াইয়া যুদ্ধ করিতে হইপে? সামনে খাড়ায় নাকি পিছনে?"
"মনে করো, সামনেই খাড়াইতে হইপে।"
"আমারে কি উষ্ট্রী দেওয়া হইপে নাকি খাড়ার ওপরে পলাইতে হইপে? উষ্ট্রী দিলে কোন কথা নাই, কিন্তু খাড়ার ওপরে পলাইতে হইলে দুইখান কথা আছে।"
"তোমাকে খাড়ার ওপরেই পলাইতে হইপে।"
"আমি যদি পলাইয়া মক্কা চলিয়া আসিতে পারি, তাহা হইলে কুনু কতা নাই, কিন্তু কাফেররা ধরিয়া ফেলিলে দুইখান কতা আছে।"
"মনে করো, তাহারা তোমাকে ধরিয়া ফেলাইপে।"
"কাফের রমণীগণ আমাকে তাহাদের গনিমতের মাল বলিয়া ব্যবহার করিপে নাকি আমার কল্লা কাটিয়া ফেলাইপে?"
"কল্লাই কাটিল না হয়, তুমার যা সাইজ... ইউজ কেউ করিপে না"!
"আমাকে কাটিয়া শকুন দিয়া খাওয়াইপে নাকি কব্বর দিপে?"
"তোকে কব্বরেই পাঠাবে রে বাবা!"
"আমার কবর কি মরূদ্যানে দেবে নাকি মরুতে? মরুতে দিলে কতা নাই, কিন্তু মরূদ্যানে দিলে দুইখান কতা আছে!"
"দরকার হইলে আমি তুমাকে মরুত্থে তুলে নিয়ে মরুদ্যানে লইয়া আসিপ!"
"কাক্কু, কব্বরে কি খাইজুর গাছ লাগাইপে নাকি বাবলা বেরেক্ষ?"
"বাবলা বেরেক্ষ হইপে, বাবা!"
"সেই বাবলা গাছে কি জ্বালানী কাষ্ঠ হইপে নাকি কাগজ?"
"কাগজই হইপে।"
"কী কাগজ, কাক্কু? লিখিপার জইন্য বেদাতী কাগজ নাকি টিস্যু?"
"টিস্যুই না হয় হইপে!"
"সুরত মুছিপার টিস্যু কাক্কু, নাকি এস্তেঞ্জা করিপার?"
প্রশ্নবানে জর্জরিত কাক্কু আপদুল্লা বুঝিয়াছে বাস্তে মোহাম্মক ভাগার তাল করিতেছে, তাই ক্ষেপেছে বে, "এস্তেঞ্জা করিপারই হইপে... তোর মতো চুরাকে কি কেউ মাথায় করিয়া রাখিপে?"
"তাহা হইলে কাক্কু সে টিস্যু কি পুরুষে ব্যাবহার করিপে নাকি নারীতে?"
"তুই কি তছলিমা নাছরীন যে নারী পুরুষে ভেদাভেদ করিয়া দিলি?"

তরুণ মোহাম্মক তাহার প্রশ্নবাণ শেষ করিবার আগেই কাক্কু তাহাকে চাক্কু দেখাইয়া যুদ্ধে পাঠাইয়া দিলো। কেই বা এমন প্যাচাল শুনিতে চায়! মোহাম্মকের সম্যক প্রশ্ন সত্ত্বেও তাহাকে যুদ্ধে যাইতে হইলো... জীবনের শেষ পর্যন্ত তাহার যুদ্ধে মরিয়া নারীকূলের ব্যবহার্য টিস্যু হইবার ভয়ে কাটিয়াছে। তাই শেষ পর্যন্ত টিস্যু, মায় জলগ্রহণ পর্যন্ত নিষিদ্ধ করিয়া ঢিলা-কুলুখ ও পাত্থর ব্যবহারের রীতি প্রদান করিয়া তবে শান্তি পাইলো! সেই থেকে লিকুইড এস্তেঞ্জার পরে ঢিলা-কুলুখ (ক্ষেত্রে নারীকূলের কথা ভাবা হয় নাই) ও সলিড এস্তেঞ্জার পরে ৫,৭,৯,১১,১৩ ইত্যাদি সংখ্যক পাত্থর ব্যবহার মুসলমানদিগের জন্য ফরজ হইয়া গেল!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন