আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

বুধবার, ১২ নভেম্বর, ২০১৪

নবী ৭০০ মানুষকে হত্যা করেছেন, তিনিই আমাদের নবী, আমাদের ধর্ম

লিখেছেন নিলয় নীল

অবশেষে ইসলামিক স্টেটের যোদ্ধা আবু মোহাম্মদ আর রুসি (Abu Muhammad Ar-Rusi) খোলামেলাভাবেই অকপটে কিছু কথা বলেছেন, যা আমাদের নিরেট বাস্তবতাকে মনে করিয়ে দেয়। রাশিয়ান ভাষায় দেয়া সাক্ষাৎকারের ভিডিও (ইংরেজি সাবটাইটেলসহ) দেখে নিতে পারেন এখানে। 

রুসি বলেছেন, আজ ইসলামিক স্টেটকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করার মার্কিন ষড়যন্ত্রে সামিল হচ্ছে কিছু নামেমাত্র ইসলামিক দেশ। আজকে যারা মুসলমান হয়েও আইএস-কে সন্ত্রাসী বলে মনে করে, সেই সব মডারেট নামধারী মুসলমানদের উদ্দেশে তিনি যা বলেন, তা হুবহু আমি ইংরেজি সাবটাইটেল অনুসারে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করছি:
You accuse us of the mass killing of Muslims, saying that we are blood-shedding murderers. Didn’t the Prophet Muhammad and his companions shed blood? Haven’t you read his biography, written by Ibn Hisham, which says that the Messenger of Allah killed 700 people in a single battle? He slaughtered 700 people—that is our Prophet and our religion.

মোহাম্মদের জীবনী পড়লে জানা যায়, মুহাম্মদের নির্দেশে বানু কুরাইজা নামক এক ইহুদী উপজাতির ৬০০-৯০০ জন নিরপরাধী ইহুদিকে জবাই করে হত্যা করা হয়। এর মধ্যে পুরুষদের প্রকাশ্যে জবাই করা হয়, আর নারী ও শিশুদেরকে দাস বানানো হয়। নবী মুহাম্মদ নিজে এই জবাই কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করে জবাই করেছেন বলে দাবি করেন রুসি। 

রুসি বলেন, নবী তাদেরকে হত্যা করেছিলেন কারণ তারা নবীর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলেন এবং নবীর শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিলেন। আইএস নবীর দৃষ্টান্তকেই অনুসরণ করে। (Prophet Muhammad beheaded the Qurayzah men because he considered them to have betrayed him and effectively revolted against his rule. So the Islamic State here is following Muhammad’s example quite closely.) 

নবীকে অনুসরণ করা প্রত্যেকটি খাটি মুসলমানের একান্ত কর্তব্য, যা আল্লাহ্‌ আমাদের নির্দেশ দেয় এবং কোরআন আমাদের শেখায়। Qur’an Sura 33:21, “Indeed in Allah’s Messenger (Mohammad) you have an excellent example to follow for him who hopes in (meeting with) Allah and the Last Day …” আইএস প্রকৃতভাবে নবীকে অনুসরণ করছে, কোনো সন্ত্রাস করছে না। 

রুসি নবীর এই উদাহরণ টেনে বলেন যে, ইসলামে মধ্যপন্থার কোন সুযোগ নেই। দারুল হারবকে দারুল ইসলাম করতে হলে হয় মুসলমান হতে বাধ্য করতে হবে না হলে হত্যা করতে হবে। তিনি বিশ্বের সমস্ত মুসলমানদের আইএস-এ যোগদান করতে আহ্বান জানিয়ে বলেন, “I say to all our Muslim brothers and sisters: Join the Islamic State. Join your brothers. Do not wait until death comes to you. Do not wait until the path is blocked.” 

আমাদের মনে রাখতে হবে আল্লাহ্‌র সেই নির্দেশ, যা তিনি কোরআনে বলেছেন। কোরআনে স্পষ্ট বলা আছে:
বিশ্বাসীদের মধ্যে যারা অক্ষম নয় অথচ ঘরে বসে থাকে এবং যারা আল্লাহ্‌র পথে স্বীয় ধনপ্রাণ দ্বারা জেহাদ করে তারা সমান নয়। যারা স্বীয় ধনপ্রাণ দ্বারা জিহাদ করে আল্লাহ্‌ তাদের যারা ঘরে বসে থাকে তাদের উপর মর্যাদা দিয়েছেন। যারা ঘরে বসে থাকে তাদের থেকে যারা জেহাদ করে তাদের আল্লাহ্‌ মহাপুরুস্কারের ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন।
(সূরা নিসার ১৩ নং রুকূর ৯৫ নম্বর আয়াত)
তাই আইএস যা করছে, তা পুরোপুরিই ইসলামিক এবং আল্লাহ্‌ তার পুরস্কার অবশ্যই দিবেন। যারা ইসলাম সম্পর্কে সঠিকভাবে জানে না, তারাই বরং আইএস-কে সন্ত্রাসী সংগঠন বলে অভিহিত করে।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন