আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

শুক্রবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

ওরে ও বন্ধু আজল ভ্রম-রা রে...

লিখেছেন শান্তনু আদিব

জন্মনিয়ন্ত্রণের উপকারিতা সম্পর্কে ধীরে ধীরে হলেও কিছু মানুষ বুঝতে পারছে এবং এক শ্রেণীর মডারেট এটাকে ইসলাম অনুমোদিত বা হালাল বানানোর প্রাণপণ চেষ্টা করছে। যেভাবেই হোক স্থূলবুদ্ধির সেই মানুষগুলো যদি জন্মনিয়ন্ত্রণকে হালাল মনে করে, তাই বা খারাপ কী!

তাই এই পোস্টটি স্থূলবুদ্ধির মুসলিমদের জন্য নয়। নিরপেক্ষভাবে জন্মনিয়ন্ত্রণ তথা আজল*-এর ব্যাপারে ইসলাম কী বলে, তা সমালোচনার জন্য।

সেজন্য প্রথমেই প্রাসঙ্গিক দু'টি হাদিস দেখব:
আল খাদরি হতে বর্ণিত: কিছু যুদ্ধবন্দিনী আমাদের করায়ত্ত হলে আমরা তাদের সাথে আজল পদ্ধতিতে ছহবত করতে চাইলাম। আমরা এ প্রসঙ্গে মুহাম্মাদের কাছে জানতে চাইলে তিনি আমাদের বললেন - নিশ্চয়ই তোমরা তা করতে পার, নিশ্চয়ই তোমরা তা করতে পার, নিশ্চয়ই তোমরা তা করতে পার।
(সহি মুসলিম ৮:৩৩৭৩)
আবু সাইদ আল খাদরিকে বলেন: হে আবু সাইদ, তুমি কি মুহাম্মাদকে আজল সম্পর্কে বলতে শুনেছ? তিনি বললেন- হ্যাঁ, শুনেছি। আমরা মুহাম্মাদের সাথে বানু মুস্তালিকের বিরুদ্ধে অভিযানে গিয়েছিলাম। সেই অভিযানে কিছু অপূর্ব আরব রমণী আমাদের হস্তগত হয়। বহুদিন যাবৎ স্ত্রীসঙ্গ হতে বঞ্চিত ছিলাম বিধায় আমরা গভীরভাবে তাদের কামনা করছিলাম, সেইসঙ্গে তাদের বিনিময়ে মুক্তিপণ পাওয়ার লোভও ছিল আমাদের। সুতরাং আমরা তাদের সাথে আজল পদ্ধতির মাধ্যমে ছহবত করার সিদ্ধান্ত নিই, কিন্তু আমাদের মনে হলো - আমরা একটি কাজ করতে যাচ্ছি; আল্লাহর রাসুল মুহাম্মাদ যখন আমাদের মাঝে আছেন, তখন তার কাছে জিজ্ঞেস করে নিই না কেন? সুতরাং আমরা আল্লাহর রাসুলকে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেন - তোমরা এরূপ কর আর না কর, কিছুই এসে যায় না। যে আত্মা জন্মানোর তা জন্মাবেই, পুনরুত্থানের দিন পর্য্যন্ত।
(সহি মুসলিম ৮:৩৩৭১)
উপরের প্রথম আয়াতটি শুনলে মনে হয় মুহাম্মাদ আজল করাকে সমর্থন করছে, আবার দ্বিতীয়টিতে মনে হচ্ছে আজল করা নিষেধ। বোঝাই যাচ্ছে, একই সাথে এ দুটি হাদিস সঠিক হতে পারে না। সমস্যা হচ্ছে দুটো হাদিসকেই সমর্থন করার জন্য আরও বেশ কিছু হাদিস আছে।

আরেক হাদিসে আছে:
জাবির বর্ণিত, একজন মানুষ মুহাম্মাদের কাছে এসে বলে: আমার একটি ক্রীতদাসী আছে যে আমাদের (পরিবারের) জন্য পানি বহন করে নিয়ে আসে এবং আমি তার সাথে ছহবত করি, কিন্তু আমি চাই না সে পেট বাধাক। মুহাম্মাদ বললেন, তুমি যদি চাও তাহলে আজল কর। (সহীহ মুসলিম ৮:৩৩৮৩)
ওপরের হাদিসগুলোর মত প্রচুর হাদিস বুখারি, মুসলিম, সুনানে আবু দাউদে। সব ক্ষেত্রেই বলা হয়েছে যুদ্ধবন্দিনী অথবা ক্রীতদাসীদের কথা। কোথাও বলা হয়নি তাদের স্ত্রীদের কথা। যদিও আল মুয়াত্তার একটি হাদিসে স্বাধীন মহিলাদের অনুমতি ছাড়া আজল করা যাবে না, যদিও ক্রীতদাসীদের সাথে করতে মানা নেই।

আল মুয়াত্তার আরেকটি হাদিসে অবশ্য বলা আছে, যেহেতু নারীরা পুরুষদের শস্যক্ষেত্র, সেহেতু একজন পুরুষ ঠিক করবে সে তার ক্ষেতে পানি দেবে নাকি দেবে না। এই রূপকের মাধ্যমে আবার বোঝা যাচ্ছে জন্মনিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা পুরুষের হাতে। উল্লেখ্য, আল-মুয়াত্তা সংকলনটি সিয়াহ সিত্তাহ-এর অংশ অনেকেই মনে করে না।

আজল-এর সপক্ষে থাকা অতিবিজ্ঞানী কিছু ইসলামি পণ্ডিত অবশ্য মনে করে, মুহাম্মাদ নিজেও আজল করত আয়শার সাথে। না হলে আয়শা কাপড় থেকে খুঁটে খুঁটে কার বীর্য তুলত। আমি অবশ্য তা মনে করি না।

মুহাম্মাদ যেহেতু খুব ভালো ছহবত করতে পারত না এবং তার ছেলে সন্তান জন্ম দেবার খুব খায়েস ছিল, সেক্ষেত্রে জান থাকতে এক ফোটা বীর্য কাপড়ে ফেলার তার কথা না। খুব সম্ভবত আয়শাকে দেখলেই তার বীর্যস্খলন হয়ে যেত, আর না হলে ঘুমের মধ্যে স্বপ্নদোষ অথবা অটো-বীর্যস্খলন হত। আর পেটপাতলা আয়শা সেটা আবার পরপুরুষদের বলেও বেড়াতো।

* আজল - যোনীর বাইরে বীর্যপাত।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন