আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

সোমবার, ৯ মার্চ, ২০১৫

বৌদ্ধশাস্ত্রে পিতৃতন্ত্র: নারীরা হল উন্মুক্ত মলের মতো দুর্গন্ধযুক্ত - ১৯

লিখেছেন নিলয় নীল


বৌদ্ধ সাহিত্যে নারী প্রধানত সাধনার প্রতিবন্ধক, পুরুষ জীবনের সামগ্রিক সংকটের উৎস, কামস্বরূপা ও অরক্ষণীয়া। তবে সংসার জীবনে নারীর অনিবার্যতা সর্বাংশে অস্বীকার করতে পারেনি পুরুষ মনস্তত্ত্ব। অবশ্য ক্ষমতার সূত্র নিজের অনুকূলে রেখেই সুবিধামত নারীকে কামনা করেছে পুরুষ। তাই সংসার ও পুরুষের শান্তি অনেকাংশে নির্ভর করেছে নারীর শুদ্ধতার ওপরে। এই শুদ্ধতা মূলত যৌনতার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। 

এ বিষয়ে আমরা আলোচনা করবো ত্রিপিটকের সূত্রপিটকের খুদ্দক নিকয়ের অন্তর্গত জাতক কাহিনীর ৫৩৩ নম্বর জাতক নিয়ে। এই জাতকের নাম খুল্লহংস জাতক। এই জাতকের অতীতবস্তুতে বোধিসত্ত্ব এক রাজার জীবনের সুখ-শান্তি নিয়ে গল্প করছিলেন। এই গল্পের মধ্যেই প্রাসাঙ্গিকভাবে নারী চলে আসে। কী রকম স্ত্রী কাম্য হওয়া উচিত - তা বোধিসত্ত্বের বর্ণনায় আমরা ইঙ্গিত পেয়ে থাকি: 

- অবশ্যই স্বামীর সমান বংশমর্যাদার স্ত্রী হতে হবে, 

- গুণবতী স্ত্রী হতে হবে,

- সব সময় আজ্ঞা পালন করবে এমন স্ত্রী হওয়া চাই,

- সব সময় স্বামীর অনুবর্তী থাকবে, 

- মুখে সর্বদা মধুর ভাষা থাকবে,

- বিশুদ্ধ চরিত্রের হতে হবে, 

- অবশ্যই পুত্রবতী হতে হবে এবং 

- অতি অবশ্যই রূপবতী হতে হবে। 

এগুলোই হচ্ছে কাম্য স্ত্রীর গুণাবলী। একজন স্ত্রীর অবশ্যই এসব গুণ থাকতে হবে বলে বোধিসত্ত্ব আমাদের জানান। যদিও বোধিসত্ত্ব সব সময়ই জগতের কল্যাণের কথা ভেবে গৃহী না হয়ে ভিক্ষু হবার পরামর্শ দেন, কিন্তু তারপরও যেসব বৌদ্ধর পক্ষে ভিক্ষু হওয়া সম্ভব নয়, তাদের বিয়ের ক্ষেত্রে ওপরোক্ত গুণাবলীর নারী অন্বেষণ করতে বলা হয়েছে। বোধিসত্ত্বের নীতিগাথার সেই অংশটুকু তুলে দেওয়া হলো, যেখানে কেমন স্ত্রী একজন পুরুষের কাম্য হওয়া উচিত, তা ফুটে উঠেছে:
ভার্যা ত সদৃশী তব বংশে আর গুণে
প্রফুল্ল অন্তরে আজ্ঞাবহনতৎপরা,
ছন্দানুবর্তিনী সদা, মধুরভাষিণী
চরিত্রে বিশুদ্ধা, পুত্রবতী, রূপবতী।
বৌদ্ধ ভিক্ষুদের জীবনে নারীদের অস্বীকার করা হলেও গৃহী বৌদ্ধদের জীবনে নারীকে অস্বীকার করা একেবারেই অসম্ভব। তাই গৃহে একজন নারী কেমন হবে, সেই দিকনির্দেশনা আমরা পাই বোধিসত্ত্বের কাছ থেকে। উল্লেখ না করে পারছি না, বৌদ্ধধর্ম মতে - বোধিসত্ত্ব হলেন তিনিই, যিনি জগতের কল্যাণের জন্য স্বয়ং নির্বাণলাভ থেকে বিরত থাকেন এবং বিশ্বের সকল জীবের মুক্তিলাভের উপায় করেন।

* খুল্লহংস জাতক সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।

(চলবে)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন