আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

শুক্রবার, ১৩ মার্চ, ২০১৫

অভিজিৎ হত্যা ও মুছলিম ভণ্ডামি

লিখেছেন পুতুল হক

অভিজিৎ রায়ের হত্যা প্রসঙ্গে নানান মুমিনের নানান মন্তব্যে এতো দুঃখের মধ্যেও বিনোদিত হই। যেমন:

- ইসলাম ধর্মের সাথে অভিজিৎ রায়কে হত্যার কোনো সম্পৃক্ততা নেই,

- ইসলাম নাস্তিকের তথা অভিজিৎ রায়ের খুনকে সমর্থন করে না,

- তাঁকে মুসলমানরা খুন করেছে, তার প্রমাণ এখনো হয়নি। কাজেই রায় না হওয়া পর্যন্ত মুসলমানদের দায়ী করা যাবে না,

- তার হত্যায় মুমিন যার পর নাই দুঃখিত, তবে অভিজিৎ রায় ইসলামের বিরুদ্ধে না লিখলেই পারতেন,

- মুসলমান ছাড়া আর কোনো ধর্মে কি কোপাকুপি নেই নাকি?

- এফবিআই এসে াল ছিঁড়বে,

- অভিজিৎ রায়কে যারা বিজ্ঞানমনস্ক বলে, তারা মানসিকভাবে অসুস্থ (মহাবিজ্ঞান কোরআনকে যে সমালোচনা করে, সে কীভাবে বিজ্ঞানমনস্ক লেখক হয়),

- তিনি নাস্তিকতা নিজের মনে রাখলেই পারতেন, প্রচার করার কী দরকার!

.... ইত্যাদি।

আরো নানান মন্তব্য পেলাম। এমনও শোনা যাচ্ছে, ইহুদি-নাসারাদের ষড়যন্ত্রে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে! তবে সবচেয়ে মজার যে-মন্তব্য আসে, সেটি হচ্ছে 'ইসলাম শান্তির ধর্ম'। 

ইসলামী মনীষীদের লেখা ইতিহাস বলে, মোহাম্মদ তার সমালোচনাকারীদের হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন। তার উম্মতরা হুমায়ুন আজাদ, অভিজিৎদের হত্যা করে শুধুমাত্র সে নির্দেশের বাস্তবায়ন করে। যে মুখে ইসলামকে স্বীকার করা হয়, সে মুখে অভিজিৎ হত্যার বিচার চাওয়া একেবারেই অসম্ভব। 

একজন মুসলমান, যে এক আল্লাহ আর মোহাম্মদকে আল্লাহ্‌র প্রেরিত পুরুষ বলে বিশ্বাস করে, তার মহানবীকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব মনে করে, যাকে নির্ভুল, নিষ্পাপ, নিখুঁত মনে করে, নবীপ্রেম যার অন্তরে সদাসর্বদা ১০০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেডে টগবগ করে, সে কীভাবে অভিজিৎ হত্যার বিপক্ষে অবস্থান নেয়? 

আল্লাহ এবং রাসুলে বিশ্বাস স্থাপনের সাথে সাথে মুসলমান আরও বিশ্বাস করে, সমগ্র পৃথিবীর মালিক আল্লাহ, তাই এক আল্লাহ্‌র আইন ছাড়া অন্য কোনো আইন মেনে নেয়া যাবে না। আল্লাহ্‌র আইন প্রতিষ্ঠার জন্য কাফেরদের বিরুদ্ধে কেয়ামত পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া মুসলমানদের ঈমানী দায়িত্ব। কোরআন বা হাদিসে কাফের হত্যার নির্দেশ আছে, কোনো কাফের হত্যার জন্য বিচার চাওয়ার নির্দেশ নেই।

কোনো মুসলমান কতটুকু ধর্মকর্ম পালন করে, ফরজ-সুন্নত কতটুকু আদায় করে, হারাম-হালাল কতটুকু মানে, তা দেখে তার বিশ্বাসের গভীরতা মাপা যায় না। কোরআন-হাদিস না মানা এক কথা, আর কোরআন-হাদিস অস্বীকার করা বা এসবকে ভুল/মানার অযোগ্য বলা সম্পূর্ণ ভিন্ন কথা। মুসলমান কট্টর হোক বা মডারেট হোক, কোরআনের যে সমস্ত আয়াতে বা যে সমস্ত হাদিসে কাফের হত্যার নির্দেশ আছে সেসবকে ভুল বলতে পারবে না। ধর্মকে গুটি কয়েক পুস্তকের মধ্যে আবদ্ধ করে নিজেদের ভিন্ন পথে এগিয়ে নেবার সুযোগ মুসলমানদের নেই। কারণ ইসলাম তাঁদের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত প্রতিটি জীবনাচারে প্রতিটি ক্ষেত্রে বিস্তৃত। 

ইসলাম থেকে বের হয়ে যখনই কেউ শ্বাস নেবার চেষ্টা করবে, সেই কতলযোগ্য। আর ইসলামের মধ্যে থাকলে অভিজিৎ হত্যার বিচার চাওয়া যায় না। অভিজিৎকে যে হত্যা করেছে, মুসলমানের কাছে তার বেহেস্তপ্রাপ্তি হয়ে গেছে। মহান আল্লাহ তাঁকে পুরস্কৃত করার জন্য শেষ বিচার পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন না। অভিজিতের খুনির জন্য তার কবর আলোকিত সুরভিত আর হুরদের দ্বারা সুসজ্জিত হয়ে গেছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন