আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

রবিবার, ১২ এপ্রিল, ২০১৫

সংক্ষিপ্ত ইছলামী যৌনবিগ্যান

লিখেছেন মুক্তমন-সরিতা

ইছলাম একটি যৌনাঙ্গ পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। এখন ইছলামের আলোকে যৌনতা বিষয়ে কিছু জ্ঞানলাভ করা যাক।

১. 
প্রশ্ন:  কুরআন ও হাদিসের আলোকে ঘরে কেবল স্বামী-স্ত্রী থাকলে শরীরে কোনো কাপড় না রেখে কি ঘুমানো যায়? 

উত্তর: লজ্জাস্থান অপ্রয়োজনে খুলে রাখা বৈধ নয়। পর্দার ভেতরে প্রয়োজনে তা খুলে রাখায় দোষ নেই। যেমন মিলনের সময়, গোসলের সময় বা প্রস্রাব-পায়খানা করার সময়। অপ্রয়োজনের সময় লজ্জাস্থান আবৃত রাখা ওয়াজেব।

নবী (সঃ) বলেছেন, “তুমি তোমার স্ত্রী ও ক্রীতদাসী ছাড়া অন্যের নিকট লজ্জাস্থানের হেফাজত কর।”

সাহাবী বললেন, "হে আল্লাহর রাসুল! লোকেরা আপসে এক জায়গায় থাকলে?"

তিনি বললেন, “যথাসাধ্য চেষ্টা করবে, কেউ যেন তা মোটেই দেখতে না পায়।”

সাহাবী বললেন, "হে আল্লহর রাসুল! কেউ যদি নির্জনে থাকে?"

তিনি বললেন, “মানুষ অপেক্ষা আল্লাহর বেশি হকদার যে, তাকে লজ্জা করা হবে।” ৬১৪ (আবূ দাউদ, তিরমিযী, ইবনে মাজাহ, মিশকাত ৩১১৭ নং)

২. 
প্রশ্ন: শুনেছি, সহবাসের সময় সম্পূর্ণ উলঙ্গ হতে নেই, ঘর অন্ধকার রাখতে হয়, একে অপরের লজ্জাস্থান দেখতে নেই ইত্যাদি। তা কি ঠিক?

উত্তর: এ হল লজ্জাশীলতার পরিচয়। উপরন্তু শরীয়তে তা হারাম নয়। অর্থাৎ ঘর সম্পূর্ণ বন্ধ থাকলে এবং সেখানে স্বামী-স্ত্রী ছাড়া অন্য কেউ না থাকলে আর পর্দার প্রয়োজন নেই। স্বামী-স্ত্রী একে অন্যের লেবাস। উভয়ে উভয়ের সব কিছু দেখতে পারে।

মহান আল্লাহ বলেছেন, “সফল মুমিন তারা, যারা নিজেদের যৌনাঙ্গকে সংযত রাখে। নিজেদের পত্নী অথবা অধিকারভুক্ত দাসী ব্যতিত।

সুতরাং কেউ এদেরকে ছাড়া অন্যকে কামনা করলে, তারা হবে সীমালংঘনকারী। (মু’মিনূনঃ ৫-৬, মাআরিজঃ ২৯-৩১)

৩.
প্রশ্ন: কোন কোন সময় স্ত্রী-সহবাস নিষিদ্ধ? শুনেছি অমাবস্যা ও পূর্ণিমার রাত্রিতে সহবাস করতে হয় না? এ কথা কি ঠিক?

উত্তর: দিবারাত্রে স্বামী-স্ত্রীর যখন সুযোগ হয়, তখনই সহবাস বৈধ। তবে শরীয়ত কর্তৃক নির্ধারিত কয়েকটি নিষিদ্ধ সময় আছে, যখন স্ত্রী সম্ভোগ বৈধ নয়।
১. স্ত্রীর মাসিক অথবা প্রসবোত্তর অবস্থায়। মহান আল্লাহ বলেছেন, “লোকে রাজঃস্রাব সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে। তুমি বল, তা অশুচি। সুতরাং তোমরা রাজঃস্রাবকালে স্ত্রীসঙ্গ বর্জন কর এবং যতদিন না তারা পবিত্র হয়, (সহবাসের জন্য) তাদের নিকটবর্তী হয়ো না। অতঃপর যখন তারা পবিত্র হয়, তখন তাদের নিকট ঠিক সেইভাবে গমন কর, যেভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে আদেশ দিয়েছেন। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাপ্রার্থীগণকে এবং যারা পবিত্র থাকে, তাঁদেরকে পছন্দ করেন।” (বাকারাহঃ ২২২)
রাসুল (সঃ) বলেন, “যে ব্যক্তি তার ঋতুমতী স্ত্রী (মাসিক অবস্থায়) সঙ্গম করে, অথবা কোন স্ত্রীর গুহ্যদ্বারে সহবাস করে, অথবা কোন গনকের নিকট উপস্থিত হয়ে (সে যা বলে তা) বিশ্বাস করে, সে ব্যক্তি মুহাম্মাদ (সঃ) এর অবতীর্ণ কুরআনের সাথে কুফরী করে।” (অর্থাৎ কুরআনকে সে অবিশ্বাস ও অমান্য করে। কারণ, কুরআনে এ সব কুকর্মকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।) (আহমাদ ২/৪০৮, ৪৭৬, তিরমিযী, সহীহ ইবনে মাজাহ ৫২২ নং)
২. রমজানের দিনের বেলায় রোজা অবস্থায়। মহান আল্লাহ বলেছেন, “রোজার রাতে তোমাদের জন্য স্ত্রী-সম্ভোগ বৈধ করা হয়েছে। তারা তোমাদের পোশাক এবং তোমরা তাদের পোশাক।” (বাকারাহঃ ১৮৭) আর বিদিত যে, রমজানের রোযা অবস্থায় সঙ্গম করলে যথারীতি তার কাফফারা আছে। একটানা দুইমাস রোজা রাখতে হবে, নচেৎ অক্ষম হলে ষাট জন মিসকিন খাওয়াতে হবে।
৩. হজ্জ বা উমরার ইহরাম অবস্থায়। মহান আল্লাহ বলেন, “সুবিদিত মাসে (যথাঃ শাওয়াল, যিলক্বদ ও যিলহজ্জে) হজ্জ হয়। যে কেউ এই মাস গুলোতে হজ্জ করার সংকল্প করে, সে যেন হজ্জ এর সময় স্ত্রী সহবাস (কোন প্রকার যৌনাচার), পাপ কাজ এবং ঝগড়া বিবাদ না করে।” (বাকারাহঃ ১৯৭)
এ ছাড়া অন্য সময়ে দিবারাত্রির যে কোন অংশে সহবাস বৈধ। (মুহাম্মাদ স্বালেহ আল-মুনাজ্জিদ) হাদিসে এসেছে, “যদি তোমদের কেউ স্ত্রী-সহবাসের ইচ্ছা করে, তখন দুআ পড়ে, তাহলে তাঁদের ভাগ্যে সন্তান এলে, শয়তান তার কোন ক্ষতি করতে পারে না।” (বুখারী-মুসলিম)

৪.
প্রশ্ন: শরীয়তে সমমৈথুন প্রসঙ্গে বিধান কী?

উত্তর: সমমৈথুন - পুরুষ-সঙ্গম বা পুরুষ-পুরুষে পায়ুপথে কুকর্ম করাকে বলে। আর এরই অনুরূপ স্ত্রীর মলদ্বারে সঙ্গম করাও। মহান আল্লাহ বলেন, “মানুষের মধ্যে তোমরা তো কেবল পুরুষদের সাথেই উপগত হও।” (সূরা শূআরা ১৬৫ আয়াত) তিনি আরও বলেন, “তোমরা তো কামতৃপ্তির জন্য নারী ত্যাগ করে পুরুষদের নিকট গমন কর!” (সূরা আ’রাফ ৮১ আয়াত) আল্লাহ তাঁদেরকে এই কুকাজের শাস্তি স্বরূপ তাঁদের ঘরবাড়ি উল্টে দিয়েছিলেন এবং আকাশ থেকে তাঁদের ওপর বর্ষণ করেছিলেন পাথর। তিনি বলেন, “(অতঃপর যখন আমার আদেশ এলো) তখন আমি (তাঁদের নগরগুলোকে) ঊর্ধ্বভাগকে নিম্নভাগে পরিণত করেছিলাম এবং আমি তাঁদের উপর ক্রমগত কঙ্কর বর্ষণ করেছিলাম।” (সূরা হিজর ৭৪ )

৫.
প্রশ্ন: হস্তমৈথুন যুবক-যুবতী কারোর জন্যও বৈধ নয়। কিন্তু যদি স্বামী-স্ত্রী একে অপরের হস্ত দ্বারা মৈথুন করে, তাহলেও কি তা অবৈধ হবে?

উত্তর: স্বামী-স্ত্রীর ক্ষেত্রে এমন মৈথুন অবৈধ নয়। যেহেতু মহান আল্লাহ বলেছেন, “সফল মু’মিন তারা, যারা নিজেদের যৌনাঙ্গকে সংযত রাখে। নিজেদের পত্নি অথবা অধিকারভুক্ত দাসী ব্যাতীত; এতে তারা নিন্দনীয় হবে না। সুতরাং কেউ এদেরকে ছাড়া অন্যকে কামনা করলে, তারা হবে সীমালঙ্ঘকারী।” (মু’মিনূনঃ ৫-৭, মাআরিজঃ ২৯-৩১)

সুতরাং অবৈধ হল নিজের হাতে নিজের বীর্যপাত। স্বামী স্ত্রীর একে অন্যের হাত দ্বারা বীর্যপাত অবৈধ নয়।

মহানবী (সঃ) ঋতুমতী স্ত্রীর সাথে যৌনাচার করার ব্যপারে বলেছেন, “সঙ্গম ছাড়া সব কিছু কর।” (মুসলিম ৩০২ নং)

৬.
ইসলামে যৌন-চাহিদা পূরণের জন্য বিবাহের প্রতি ব্যাপকভাবে উৎসাহিত করা হয়েছে।

হাদীসে আছে, "যে যুব সম্প্রদায়, তোমাদের মধ্যে যাদের বিয়ে করার সামর্থ্য আছে তাদের উচিত বিয়ে করা, এটি দৃষ্টিকে নত রাখে এবং যৌনাঙ্গের হেফাযত করে । (বুখারী, মুসলিম)

৭.
হস্তমৈথুন প্রসঙ্গে হাদিস বলছে:

ইসলাম কেবল স্বামী এবং স্ত্রীর মধ্যে যৌনসঙ্গম অনুমোদন করে। হস্তমৈথুন বা স্বকাম তাই ইসলামে অনুমোদিত নয়। ইবনে কাসীর সহ বেশ কিছু হাদিসগ্রন্থের হাদিসে হস্তমৈথুনকারীকে অভিশপ্ত এবং হস্তমৈথূনকে স্বীয় হস্তের সাথে ব্যভিচার বলা হয়েছে।

এছাড়াও হাদিসে বলা হয়েছে, হস্তমৈথুনকারীকে আল্লাহ জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন, কিন্তু যারা অনুশোচনা ও তওবা করবে, আল্লাহ শুধু তাদেরকেই ক্ষমা করবেন। 

৮.
ব্লোজব বা মুখমৈথুন প্রসঙ্গে

ইসলামে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মুখমৈথুনের ব্যপারে স্পষ্টভাবে কিছু বলা হয়নি। সে কারণে অনেক আলেমই এটির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ কিংবা বৈধতা প্রদান করা থেকে বিরত থেকেছেন। আবার অনেক আলেম এটিকে মাকরুহ বলে সাব্যস্ত করেছেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন