আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

রবিবার, ১৭ মে, ২০১৫

মূত্রভাষা আরবি চাই - ২

পথপাশে, দেয়ালে বা যত্রতত্র নির্লজ্জের মতো ছ্যাচ্ছেড়ে মূত্রত্যাগ করার সৌরভময় ঐতিহ্যটি অনেক বাঙালি পুরুষের সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। এই অভ্যেসটা তাদের এতোটাই প্রবল যে, জলবিয়োগের ওপর নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত কোনও নোটিস কোথাও থাকলেও কেউ তা নোটিসও করে না, বা করলেও পাত্তা না দিয়ে নির্বিকার চিত্তে বহুশাখাধারী মূত্রধারা সৃষ্টি করে চলে ঠিক সেখানেই। 

বাঙালির এহেন মূত্রত্যাগাভ্যাস পরিবর্তনের লক্ষ্যে সরকার একটা উদ্যোগ নিয়েছে। বাংলায় লেখা 'এখানে প্রস্রাব করা নিষেধ' বাণীটি প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে আরবি ভাষা দিয়ে। 

গড়পড়তা বাঙালি আরবি পড়তে পারে না, বা পড়তে পারলেও বুঝতে পারে না। এদেরকে আলিফ-অক্ষর উটমাংস বলা যায়, বোধহয়। তবে যেহেতু আরবিকে পবিত্র ভাষা জ্ঞান করা হ্যাংলা বাঙালি আরবি-চটিকেও চুমু খেতে পারে, তাই আরবিতে লেখা নোটিস দেখে অন্তত আরও কিছুক্ষণ মূত্রনিয়ন্ত্রণবিড়ম্বনা সইতে হবে মুছলিম পুরুষদের আলিফ বেচারাকে। 

উদ্যোগটি ফলপ্রসূ হচ্ছে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হচ্ছে প্রাসঙ্গিক ভিডিও-তে। 

সরকারের এই মহৎ উদ্যোগকে পরিপূর্ণভাবে সফল করে তুলতে দলে দলে উচ্চকণ্ঠে স্লোগান তুলুন:

মূত্রভাষা আরবি চাই!


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজনের আইডিয়া থেকে ওপরের ছবিদুটোয় ফটোমাস্তানি করেছেন দাঁড়িপাল্লা ধমাধম



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন