আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

বুধবার, ১৭ জুন, ২০১৫

লাইলাতুল মেরাজ – বিজ্ঞান, নাকি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ গাঁজাখুরি গল্প?

লিখেছেন হযরত ঠাকুর

নবী মুহাম্মদ প্রথমে কাবা শরীফ থেকে জেরুজালেমে যান , নবীদের জামায়াতে ইমামতি করেন। অতঃপর তিনি বোরাক নামক বিশেষ বাহনে আসীন হয়ে ঊর্ধ্বলোকে গমন করেন, বেহেস্ত-দোজখ পরিভ্রমণ করেন ও আল্লাহ'র সাক্ষাৎ লাভ করেন। আসুন, দেখি, এই মহাসত্য সম্পর্কে কিছু পরস্পরবিরোধিতা আলোচনা করা যাক:

১. মিরাজের ঘটনা ঘটে নবুয়াতের ১১ সনে। তখন মুসলমানের সংখ্যা ছিল মাত্র ১২০, মতান্তরে ১৩০ জন। এদের বেশিরভাগই নবীর স্ত্রী খাতিজার অধীনস্থ কর্মচারী ও নিম্নবিত্ত লোক ছিল। একমাত্র আবু বকর ও খাতিজাই ছিল মুসলমানদের মধ্যে সম্ভ্রান্ত লোক। মক্কাবাসীরা নবীকে তার নবুয়াতের সাক্ষী হিসাবে অলৌকিকতা দেখাতে বলেছিল। কিন্তু তিনি তা পারেননি। কীভাবে বুঝলাম? প্রথমত, কুরআন–হাদিস কোথাও এই সময়টায় কোনো অলৌকিকতার দাবি করা হয়নি। দ্বিতীয়ত, ঠাকুরীও যুক্তি: যুক্তি বলে - অলৌকিকতা দেখাতে পারলে ১১ বছরে নিশ্চয়ই মাত্র ১২০-১৩০ জন মুসলিম থাকতো না। চিন্তা করুন, দীর্ঘ ১১ বছর সাধনা করে আল্লাহর নবী কত ব্যর্থ ছিলেন। এই সময় তিনারা কোনো যুদ্ধ বা লুটপাট করার সুযোগ পাননি। আল্লাহর নবী মানুষের গলায় যতক্ষণ পর্যন্ত তরবারি রাখেননি, ততক্ষণ কেন ইসলামের বিজয় আসেনি? হোয়াই সো মাচ ব্যর্থতা?

২. মিরাজের ঘটনা ঘটে প্রথম উম্মে হানির ঘর থেকে, যেখানে জিব্রাইল এসে তাঁকে মিরাজের সুসংবাদ শোনান। তারপর তাঁকে জমজম কুপের পানি দ্বারা ধৌত করা হয়। এই হাদিসটা ভালভাবে পড়ুন:
কাতাদা রহ. বলেন, আমি আনাস রা-কে এ-ও বলতে শুনেছি বুকের উপরিভাগ থেকে নাভির নীচ পর্যন্ত। তারপর রাসূলুল্লাহ বলেন আগন্তুক আমার হৃদপিন্ড বের করলেন। তারপর আমার নিকট একটি স্বর্ণের পাত্র আনা হল যা ঈমানে পরিপূর্ণ ছিল। তারপর আমার হৃদপিন্ডটি ধৌত করা হল এবং ঈমান দ্বারা পরিপূর্ণ করে যথাস্থানে পুনরায় রেখে দেয়া হল।
(বুখারি, হাদীস নং ৩৬০৮)
মুহাম্মদের বুক চিরে হৃৎপিণ্ড বের করে তা ঈমান দ্বারা পূর্ণ করে বুকে লাগিয়ে দেয়া হয় – খুবই সহজ কথা। কিন্তু মানুষের চিন্তাভাবনা করার ক্ষমতা তথা ঈমান বিষয়টি কোথায় থাকে? হৃৎপিণ্ডে, নাকি মস্তিষ্কে? আমরা তো জানি, মস্তিষ্কে, কিন্তু মুহাম্মদ বলছেন, হৃৎপিণ্ডে। কোনটা সত্য? এ বিষয়ে কিছুদিন আগে জাকির নায়েককে প্রশ্ন করা হয়, তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। এটা এমন একটা প্রশ্ন, যেটা নিয়ে মুসলিম স্কলাররা সদুত্তর দিতে পারেন না। আসলে সেই ১৪০০ বছর আগে আরবের মানুষসহ দুনিয়ার সর্বত্র মানুষের ধারণা ছিল, মানুষের চিন্তাভাবনা করার ক্ষমতা থাকে হৃৎপিণ্ডে। আল্লাহ-নবীর ধারণাও তার ব্যতিক্রম ছিলো না। বোঝা যাচ্ছে, আল্লাহ ও নবী কতটা মূর্খ!

৩. নবীর মতে, বোরাকের পিঠে চড়ে তিনি প্রথম জেরুজালেমে অবস্থিত বেথেলহাম বা বাইতুল মুকাদ্দাসে যান। সেখানে সকল পূর্ববর্তী নবী রাসুলদের নিয়ে নামাজ আদায় করেন। পরে সাহাবীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বেথেলহামের বর্ণনাও দেন, সেখানকার মিনারের সংখ্যা তাদের অবহিত করেন। কিন্তু বেথেলহাম-এর ইতিহাস তো বলে ভিন্ন কথা। Medieval Jerusalem and Islamic Worship Holy Places (page 29–43) ও Palestine under the Moslems (page 80–98)-এ থেকে দেখা যায়, নবীর মিরাজের সময় ওটা ধ্বংস ছিল। ওখানে কোনো স্থাপনাই ছিল না ।

৪. মিরাজের ঘটনা থেকে জানা যায়, নবীর দাবী - বোরাক নাকি বেথেলহামে বাঁধা অবস্থায় ছিল, যেন ওটা ভেগে না যায়। তার মানে, ওই প্রাণীটির বোঝার ক্ষমতা নেই। এমন একটা নির্বোধ প্রাণী কীভাবে লক্ষ-কোটি আলোকবর্ষ দূরে নবীকে নির্ভুলভাবে উড়িয়ে নিয়ে গেল? মহাশূন্যে কোনো বাতাস নেই, ওখানে পাখা ঝাপ্টিয়ে কোনো লাভ নেই। এই পাখাওয়ালা বোরাকের পাখার কাজ কী? জিব্রাইল, আজরাইল এদেরও নাকি লক্ষ-লক্ষ পাখা। এত পাখা দিয়ে এরা কী করে? আবার প্রতি পাখায় নাকি চোখ! খাইছে রে!

৫. নবী যখন আসমানসমূহ পরিভ্রমণ করছিলেন, তখন জিব্রাইলের নির্দেশে ফেরেস্তারা আসমানের দরজা খুলে দিচ্ছিলো। এই সব আসমানের দরজা কার ভয়ে বন্ধ রাখা হয়? আসমানে কি চুরি-ডাকাতির সম্ভাবনা আছে? নাকি এক আসমানের ফেরেস্তা অন্য আসমানে গিয়ে ডাকাতি করেন?

৬. দোজখে নবী কিছু হৃদয়বিদারক দৃশ্য দেখেন। যেমন, জেনাকারীরা পচা মাংস খাচ্ছে, বিধর্মীদের সেদ্ধ করা হচ্ছে ইত্যাদি ইত্যাদি। প্রশ্ন – হাশর-কিয়ামতের আগে তারা কীভাবে ওখানে পৌঁছল? মুসলিম স্কলারদের উত্তর – মুমিন ব্যক্তির রুহ মৃত্যুর পর জান্নাতে চলে যায়, আর বদকার ব্যক্তির রুহ যায় জাহান্নামে। নবী তাদের রুহ দেখেছেন। ভাল, খুব ভাল। এখন কথা হচ্ছে, কোনো হাদিসে আছে - মৃত্যুর পর রুহ জান্নাতে যায়, কোথাও বলা আছে - মৃত্যুর পর আল্লাহ কবরকে জান্নাতের টুকরা বানিয়ে দেন, আবার কোথাও বলে - মৃত্যুর পর প্রথম আসমানে রুহদের সাথে দেখা করতে যায়, আবার নবী বলেন – মৃত্যুর পর রুহ ৪০ দিন বাড়ির আশেপাশে ঘরাফেরা করে, আবার কয়, মুনকার-নাকির আইসা নাকি কী কী করে। মৃত্যুর পর আসলে কী কী হয়? মুসলমানেরা কি তা ভাল করে জানে? আল্লাহ কি জানেন? নবী কি জানতেন? এত পরস্পরবিরোধি, বিপরীতধর্মী ও অসামঞ্জস্যপূর্ণ বক্তব্য কেন? এই ধরনের পরস্পরবিরোধি ও বিপরীতধর্মী কথাবার্তা কি গ্রহণযোগ্যতা কমিয়ে দেয় না ?

৭. স্বর্গে নবী কি হুরদের সাথে সেক্স করেছেন? এ ব্যাপারে আমি কোথাও কিছু পাইনি। না করলে তো আল্লাহ এটা নবীর প্রতি অবিচার করলেন, একজন মানুষকে যৌনতা থেকে দূরে রাখলেন এতগুলো বছর। আবার করলে তো পুরো মানবজাতির প্রতি অবিচার করা হল। আমরা এখানে একটা বউ পাই না, আর আল্লাহ নবীরে জান্নাতে নিয়ে গিয়ে হুর ঢেলে দিবেন!

৮. আল্লাহর সাথে নবীর দেখা করতে গেলে ৭০ হাজার নূরের পর্দা পাড়ি দিতে হয়। আল্লাহ এত লাজুক কেন? আল্লাহরে কি কেউ গোপনে দেখে ফেলার ভয় আছে? হুজুররা বলেন, নবী নাকি জুতা খুলতে চাইসিলেন, আল্লাহ নাকি নবীরে বলছেন – আপনার পায়ের ধুলা নিয়ে আসুন। লক্ষ কোটি আলোকবর্ষ দূরে যাইতে আলোর গতিতে চললে যেখানে অণু-পরমাণুও খণ্ড-বিখন্ড হয়ে যাবার কথা, নবীর পায়ের ধুলা কেমনে রয়ে গেল? আরবের ধুলা নিয়ে গবেষণা হওয়া উচিত। তাছাড়া নবীরে না এর আগে ওয়াশ করা হইছে?

৯. আল্লাহ ৫০ ওয়াক্ত নামাজ চাপাইয়া দেন, কিন্তু নবী চিন্তিত হয়ে পড়েন, মুসার পরামর্শে তিনি ৫ ওয়াক্ত নামাজের বিধান আনেন। হুজুররা এইভাবে বলেন – নবী নাকি আল্লার কাছে কাকুতি-মিনতি করেছেন – হে আল্লাহ, আমার উম্মতের হাগা-মুতা আছে... এই হল মুসলমানদের জন্য নবীর সবচেয়ে বড় অবদান, নাইলে তাদের ৫০ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে হইত। জঙ্গিবাদ করার সময় পাইত না। কিন্তু মুসলিমদের হাগা-মুতা আছে, এইটা আল্লাহ জানতো না? নবী কি আল্লাত্তে বেশি বুঝে?

মিরাজের কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তির প্রশ্নই আসে না। যাঁরা এটাকে আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতার সাথে মেলান, তাঁরা জানেন না, তাঁরা কত বড় চুতিয়া। আমি নিজেই পদার্থবিজ্ঞানের একজন ছাত্র হিসেবে বলতে পারি, আপনি যে কোনোভাবেই একে বিজ্ঞানের সাথে তুলনা করার আগে বিজ্ঞানের অস্তিত্ব অস্বীকার করতে হবে। পদার্থবিজ্ঞানীদের যদি আপনি এই ঘটনা শুনতে বাধ্য করেন, তাহলে তাঁরা নিশ্চিত আত্মহত্যা করবেন। তবে যাঁরা সাহিত্য ভালবাসেন, তারা পড়তে পারেন। যদি এমন হত যে, নবী এক মাস বা কিছুদিন বা কয়েক বছর লাপাত্তা থাকতেন এবং হঠাৎ তাঁর আবির্ভাব ঘটত, তাহলে মিরাজের অন্তত একটা ভিত্তি থাকতো। কিন্তু এটা করাও নবীর পক্ষে সম্ভব ছিল না। মানুষের চোখকে ফাঁকি দেয়া কখনোই এত সহজ ছিল না। তাই নবী অন্য কাহিনী বানালেন, উনি যখন আল্লাহর কাছে মজা লুটতে ছিলেন, দুনিয়াতে নাকি তখন এক সেকেন্ডও অতিবাহিত হয়নি!

ভাল... নবী আসলেই একটা মাল!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন