আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

বৃহস্পতিবার, ১৮ জুন, ২০১৫

ঈমান নির্ণয়ের ছহিহ বিজ্ঞানসম্মত ইসলামি পদ্ধতি

লিখেছেন ক্যাটম্যান

প্রাচীন গ্রীক বিজ্ঞানী আর্কিমিডিস চৌবাচ্চায় স্নান করতে নেমে উপলব্ধি করেন, সম-আয়তনের বস্তুর উপস্থিতিতে সম-আয়তনের জল স্থানচ্যুত হয়। এর মাধ্যমে তিনি সিরাকুজের রাজা হায়েরোর মুকুটে ব্যবহৃত স্বর্ণের বিশুদ্ধতা নির্ণয় করতে সক্ষম হন। বিজ্ঞানের এমন নতুন বিষয় আবিষ্কারের আনন্দে তিনি ইউরেকা-ইউরেকা বলে চিৎকার করে সিরাকুজের রাস্তায় নগ্ন হয়ে দৌড়েছিলেন। ইউরেকা অর্থ ‘আমি খুঁজে পেয়েছি।’ তাঁর ওই চিৎকার করে ইউরেকা বলার প্রায় দু'হাজার দুশো বছর পর আমিও এক গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারের আনন্দে ইউরেকা বলেছিলাম। 

তবে চিৎকার না করে মনে মনে বলেছিলাম। কারণ আমার আবিষ্কারটি আর্কিমিডিসের আবিষ্কারের ন্যায় জাহিরি প্রকৃতির নয়, এটি ছিল মূলত বাতিনি প্রকৃতির আবিষ্কার। তাই আবিষ্কারানন্দে চিৎকার করে ইউরেকা না বলে মনে মনে বলেছিলাম। এটি বিজ্ঞানের ইতিহাসে এমন এক আবিষ্কার, যা আবিষ্কারের আনন্দে বেতমিজের ন্যায় চিৎকার করা যায় না, বরং গজ-গম্ভীর ভাবে মুচকি হাসতে হয়। 

বিজ্ঞানসম্মতভাবে ঈমান নির্ণয়ের পদ্ধতি হলো আমার সেই গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার, যা স্বয়ং মহাবিজ্ঞানী মুহম্মদও আবিষ্কার করতে সক্ষম হননি। কারণ মহাবিজ্ঞানী হওয়া সত্ত্বেত্ত তিনি ছিলেন আল্লাহ কর্তৃক সার্টিফিকেট প্রাপ্ত উম্মি নবী। অর্থাৎ নিরক্ষর বা মূর্খ নবী। তাই একজন মহামূর্খ মহাবিজ্ঞানী নবী মুমিনদের ঈমান নির্ণয়ের বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি আবিষ্কারে ব্যর্থ হবেন, এটাই স্বাভাবিক। তাছাড়া তার নবুয়তি জিন্দিগির অধিকাংশ সময় ব্যয়িত হয়েছে সহিহ ইসলামি কায়দায় লুটতরাজ, মানুষ হত্যা ও নারী ধর্ষণে। যে কারণে অতি ব্যস্ত লুটেরা, খুনি ও ধর্ষক নবী মুহম্মদের পক্ষে মুমিনদের ঈমান নির্ণয়ের বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি আবিষ্কারে মনোনিবেশ করা সম্ভবপর হয় নি। অগত্যা বাধ্য হয়ে আমাকেই তা আবিষ্কার করতে হলো। 

তবে এই গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারে আমার ব্যক্তিগত কৃতিত্বের চেয়ে মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহর অসীম কৃপা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। মহান আল্লাহর অসীম কৃপা না থাকলে আমার মতো ক্ষীণকায় এক ব্যক্তির পক্ষে এমন এক গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার কিছুতেই সম্ভব হতো না। কীভাবে আমি আমার অমূল্য ঈমান নির্ণয় করলাম, সেই ঘটনা এখন সকলের উদ্দেশে বলছি। 

অনেকদিন আগের কথা। তখন আলিয়া মাদ্রাসায় দাখিল পরীক্ষা চলছিল। যোহর নামাজের ওয়াক্তে আযান শুনে আলিয়া মাদ্রাসা মসজিদে গেলাম নামাজ আদায় করতে। নামাজের প্রাক-প্রস্তুতি হিসেবে প্রস্রাব ও ওজু করতে মসজিদের ওজুখানা সংলগ্ন প্রস্রাবখানায় গেলাম প্রথমে। প্রস্রাবখানায় দাঁড়িয়ে প্যান্টের জিপার খুলে যেইমাত্র মূত্রত্যাগের সূচনা করেছি, অমনি ওহি নাজিলের শব্দের ন্যায় এক প্রকার রহস্যময় শব্দ কানে ভেসে এল। শব্দের উৎস সন্ধানে উৎসুক হয়ে মূত্রপ্রপাতের দিকে তাকালাম। তাকিয়ে দেখলাম, প্রস্রাবখানার যে গর্তে আমি মূত্রত্যাগ করছি, সেখানে কুরআন-হাদিসের বাণী সম্বলিত কিতাবের অজস্র ছেঁড়াপাতা পড়ে আছে। সেগুলো যে আলিয়া মাদ্রাসায় দাখিল শ্রেণীর পাঠ্য কুরআন-হাদিস বিষয়ক কিতাবের ছেঁড়াপাতা, আরবি ও বাংলা ভাষায় ছাপা হওয়ায় তা বুঝতে আমার কোনোরকম অসুবিধা হয় নি। 

মাদ্রাসার সম্মানিত তালবে এলেমগণ দাখিল পরীক্ষায় কৃতকার্য হওয়ার আশায় নিজেদের শ্রেণীপাঠ্য কুরআন-হাদিস বিষয়ক পুস্তকের পাতা ছিঁড়ে এনেছেন নকলের মূল উপাত্ত হিসেবে। উদ্দেশ্য - উত্তমভাবে নকল করে দাখিল পরীক্ষায় কৃতকার্য হওয়া ও একইসাথে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা। যেন দাখিল পরীক্ষায় কৃতকার্য হয়ে অজস্র হূরভোগের স্বপ্নজগত জান্নাতে দাখিল হওয়ার সুযোগ মেলে। 

তাছাড়া নকলকরণ একপ্রকার সুন্নত বা ছহিহ ইসলামি সংস্কৃতি। কারণ স্বয়ং নবী মুহম্মদ ফেরেস্তা জিব্রাইলকে নকল করতেন। মুহম্মদের সাহাবিরা সরাসরি মুহম্মদকে নকল করতেন। মুহম্মদের আনীত কুরআন তার সাহাবিগণ নকলকরণের মাধ্যমে মুখস্থ করতেন ও বিভিন্ন মাধ্যমে লিখে সংরক্ষণ করতেন। এমনকি যথাযথভাবে নকল সম্পন্ন হলে মূল সংস্করণটি বর্জন করতেন বা আগুনে পুড়িয়ে ফেলতেন। যেভাবে হযরত ওসমান কুরআনের নকল সম্পন্ন করে মূল সংস্করণসমূহ আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করেছিলেন। 

একইভাবে আলিয়া মাদ্রাসার সম্মানিত তালবে এলেম দাখিল পরীক্ষার্থীগণও কুরআন-হাদিসের বাণী সম্বলিত কিতাবের পাতা ছিঁড়ে এনে পরীক্ষার খাতায় নকল করেন এবং যথাযথভাবে নকল সম্পন্ন হলে তা ধ্বংস করতে প্রস্রাবখানায় ফেলে দেন। দাখিল পরীক্ষার্থীগণ তাদের ঈমানি জজবায় এতটাই উজ্জীবিত থাকেন যে, পরীক্ষার হলে অবৈধ নকলসহ প্রবেশ করতে নানারকম কৌশলের আশ্রয় নিয়ে থাকেন। কুরআন-হাদিসের বাণী সম্বলিত কিতাবের ছেঁড়াপাতা নিজেদের অন্তর্বাসের নিচে পুরুষাঙ্গের সাথে লেপটে রেখে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করেন।

এদিক থেকে মাদ্রাসার ছাত্রীগণ ছাত্রদের তুলনায় বেশি সুবিধা ভোগ করে থাকেন। তারা কুরআন-হাদিসের বাণী সম্বলিত কিতাবের ছেঁড়াপাতা নিজেদের অন্তর্বাসের নিচে রেখে অথবা নিজেদের যোনিগহ্বরে পুরে অথবা নিজেদের স্তনে লেপটে রেখে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশের সুযোগ পান। নকল বহনের ক্ষেত্রে মহান আল্লাহ কর্তৃক নারীকে এমন নেয়ামতপূর্ণ দেহদান প্রমাণ করে, ইসলাম নারীকে দিয়েছে সর্বোচ্চ সম্মান ও মর্যাদা। যদিও নকল করে হলেও মাদ্রাসা ছাত্রীদের দাখিল পরীক্ষায় কৃতকার্য হওয়ার উদ্দেশ্য মূলত পুরুষতান্ত্রিক জান্নাতে দাখিল হয়ে কোনো একজন ধর্ষকামী জান্নাতি পুরুষের যৌনদাসী হওয়ার মর্যাদা লাভ।

যাহোক, আমি সেদিন প্রস্রাবখানায় মাদ্রাসা ছাত্রদের পরিত্যক্ত কুরআন-হাদিসের বাণী সম্বলিত ছেঁড়াপাতায় মূত্রস্খলন করে চরম প্রশান্তি লাভ করলাম। কুরআন-হাদিসের বাণীর ফজিলতে প্রস্রাবকালে কোনোপ্রকার জ্বালা-যন্ত্রণা অনুভব করলাম না। যা পূর্বে কোনো সাধারণ প্রস্রাবখানায় প্রস্রাব করলে অনুভূত হত। মূত্রত্যাগ শেষে দেহ ও মনে চাঙাভাব অনুভূত হল। আমি যথারীতি ওজু করে জামায়াতের সাথে নামাজ আদায় করলাম। অন্যান্য দিনের চাইতে সেদিনের নামাজে অধিক প্রশান্তি লাভ করলাম। নিজের ঈমানি আত্মবিশ্বাস আরও বেড়ে গেল। কারণ কুরআন-হাদিস অতি পবিত্র বিষয়। আর সেই পবিত্র বিষয় সম্বলিত কিতাবের উপরে অপবিত্র মূত্রস্খলনের মাধ্যমে আমার ঈমান সঙ্গে-সঙ্গে বিলীন হয়ে যাওয়ার যেখানে সমূহ সম্ভাবনা ছিল, সেখানে তা না হয়ে বরং আমার ঈমান আরও কয়েক শত গুণে বেড়ে গেল। আমি অন্যান্য দিনের চাইতে অতি মাত্রায় উদ্দীপিত ঈমানে নামাজ আদায় করলাম। 

এভাবে আমি কুরআন-হাদিসে মূত্রত্যাগ করে নিজের জবরদস্ত ঈমানের প্রমাণ পেলাম। বিষয়টি যেন ‘কুরআনে মুতিয়া মর্দ ঈমান নির্ণয় করিল।’ আর এটাই হলো মুমিনদের জন্য ঈমান নির্ণয়ের ছহিহ বিজ্ঞানসম্মত ইসলামি পদ্ধতি । অর্থাৎ কেউ যদি কুরআন-হাদিসে মূত্রত্যাগ করার পর আল্লাহ ও কুরআন-হাদিসের প্রতি অবিশ্বাস ও অশ্রদ্ধা অনুভব করেন, তবে বুঝতে হবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি দুর্বল ঈমানের অধিকারী অথবা পুরোপুরি ঈমানহীন নাস্তিক। অপরপক্ষে কুরআন-হাদিসের ওপরে নির্দ্ধিধায় মূত্রত্যাগ করার পরও যদি আল্লাহ, আসমানি কিতাব কুরআন ও জমিনি কিতাব হাদিসের প্রতি অবিশ্বাস ও অশ্রদ্ধা না জাগে, তাহলে বুঝতে হবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি নিঃসন্দেহে খাঁটি ঈমানদার আস্তিক।

তাই মুমিনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান রইল, যখনই আপনারা নিজেদের ঈমানের অস্তিত্ব নিয়ে সন্দিহান হয়ে পড়বেন, কালক্ষেপণ না করে অতি সত্বর কুরআন-হাদিসের ওপরে মূত্রত্যাগ করে ঈমান নির্ণয়ের কার্যকরী পরীক্ষায় অবতীর্ণ হবেন। ইনশাআল্লাহ নির্ভুল ফলাফল পাবেন।

তাছাড়া আর একটি বিষয় হলো, আধুনিক যামানার সেরা বিজ্ঞানসম্মত আবিষ্কার হিসেবে মুমিনদের ঈমান নির্ণয়ের যে বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি আবিষ্কৃত হয়েছে, তা গ্রীক বিজ্ঞানী আর্কিমিডিসের আবিষ্কারের তুলনায় যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। মজার বিষয় হলো, উক্ত বিজ্ঞানসম্মত আবিষ্কার দু'টির একটিও পৃথিবীর প্রতিষ্ঠিত কোনও গবেষণাগারে আবিষ্কৃত হয় নি। যেমন - মুকুটে ব্যবহৃত স্বর্ণের বিশুদ্ধতা নির্ণয়ের পদ্ধতি বিজ্ঞানী আর্কিমিডিস আবিষ্কার করেছিলেন গোসলখানায়। আর মুমিনদের ঈমান নির্ণয়ের বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি আবিষ্কার করেছি আমি প্রস্রাবখানায়। সেই বিবেচনায় উভয় আবিষ্কারের মাঝে কিছুটা মিল লক্ষণীয়।

সবশেষে মানবজাতিকে ঈমান নির্ণয়ের বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি বাতলে দেয়ায় পরম করুণাময় আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে সবাই সমস্বরে বলি ‘শুয়োর আলহামদুলিল্লাহ’ বা ‘শূকর আলহামদুলিল্লাহ।’

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন