আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

শনিবার, ১৩ জুন, ২০১৫

ভালবাসা, নাকি ভয়?

লিখেছেন নাস্তিক দস্যু

ইসলাম গ্রহণ করার তথা মুসলমান হওয়ার একটা বড় শর্ত হল - নবীজিকে নিজের প্রাণের চেয়ে বেশি ভালবাসতে হবে। প্রকৃত মুমিন হতে হলে নবীজিকে পিতা, মাতা, ভাই, বোন, স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে, আত্মীয়স্বজন সর্বোপরি সব কিছু হতে অধিক মুহব্বত করতে হবে। ইসলামিক বিভিন্ন কাহিনীতে বলা হয়, ইসলাম বিকাশের শুরুর দিকে যে সব যুদ্ধ হয়েছিল, সেখানে নবী-প্রেমিকরা নবীজির প্রতি অত্যন্ত মহব্বতের পরিচয় দিয়েছিল। এমনকি তারা নবীজির প্রাণ রক্ষার্থে নিজেদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছিল! এসব নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ করার কারণ রয়েছে।

এই ঘটনাটা আপনারা অনেকেই জানেন। হযরত ইব্রাহিম আল্লাহর নির্দেশে তার শিশু পুত্র ইসমাইলকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। শিশু ইসমাইল যখন জানতে পারে, তখন নাকি সেও খুন হয়ে বেহেস্তে চলে যেতে রাজি হয়েছিল। এমনকি তার মাতাও নাকি আল্লাহর এ আদেশ শুনে বেশ খুশি হয়েছিল!!!

একটা হাদিছ বলি। 
মহানবী একবার সাহাবিদের বললেন, প্রকৃত মুমিন হওয়ার জন্য তোমাদের সকলকে নিজের জীবনের চেয়েও বেশি ভালবাসতে হবে তোমাদের নবীকে। তবেই তোমরা পরিপূর্ণ মুমিন হতে পারবে।
তখন হযরত উমার বললেন, ইয়া নবী! আমি আপনাকে আমার পরিবার থেকে বেশি ভালবাসি, কিন্তু আমার জীবনের চেয়ে কম। আমি সব চেয়ে বেশি আগে আমার জীবনকে ভালবাসি, তারপর আপনাকে ভালবাসি।
উমারের কথা শোনে নবী করীম বললেন, হে উমার, তোমার ঈমান এখনো পরিপূর্ণ হয়নি।
এ কথা শুনে হযরত উমার বললেন, ইয়া নবী! আমি আপনাকে আমার জীবনের চেয়ে বেশি ভালবাসি।
এখানে দেখা যায় যে উমার প্রথমে নবীকে নিজের জীবনের চেয়ে বেশি মায়া করতে অস্বীকার করেন। পরে নবীই তাকে ঈমানদার না হওয়ার ভয় দেখিয়ে নবীকে নিজের জীবনের চেয়ে বেশি ভালবাসার স্বীকারোক্তি দিতে বাধ্য করে। এখানে উমার কি আদৌ ভালবেসেছে? নাকি ভয় পেয়েছে? কেউ যদি কাউকে ভয়ে ভালবাসে, সেটাকে কি ভালবাসা বলা যায়? তাছাড়া কোনো মানুষকে (যে তাদের আত্মীয়ও নয়) শুধুমাত্র তার কিছু প্রমাণহীন অলৌকিক কথাবার্তা শুনে তাকে বাঁচানোর জন্য নিজের জীবন বলিদানের প্রশ্নই ওঠে না।

আরেকটি কাহিনী বলি। ইসলামিক কাহিনী। 
একদা নবীজি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলন। তিনি মুসলমানদের কাছ থেকে যুদ্ধের সরঞ্জামাদি, সাহায্য আহবান করলেন। অনেকেই অনেক কিছু নিয়ে এলো। কেউ উট, কেউ খাবার এবং আরো আরো কিছু নিয়ে এলো। শেষে এলো একজন মহিলা। তার কোলে একটা ছোট দুধের বাচ্চা। নবীজি তাকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কিজন্য এসেছ?
মহিলাটি বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমার স্বামী গত যুদ্ধে মারা গেছে। রেখে গেছে এই ছোট বাচ্চাটি। আমার সম্বল বলতে এই সন্তান ছাড়া আর কিছুই নেই। আমি একে ইসলামের খেদমতে দান করতে চাই।
নবীজি বললেন, এই বাচ্চাটি আমাদের কোন কাজে আসবে?
মহিলাটি বলল, যখন আপনাকে শত্রু পক্ষ হতে তীর নিক্ষেপ করবে, আপনি এই সন্তানকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করবেন।
নবীজি বাচ্চাটিকে ইসলামের খেদমতে নিয়ে নিলেন।
এখানে দেখা যাচ্ছে, একজন মা তার সন্তানকে নবীজিকে বাঁচাতে ঢাল হিসেবে ব্যবহারের জন্য দিয়ে দিচ্ছে। এটা কি আপনার বিশ্বাস হচ্ছে? উপরে বর্ণিত কাহিনীটা যদি সত্যিও হয়, তবে আমি বলব ওই বাচ্চাটিকে মেরে ফেলার ইচ্ছে ওই মায়ের যারপরনাই রয়েছে। যে মা তার সন্তানকে মেরে ফেলতে চায়, সে কি সৎ? মা-টি বাচ্চাটিকে মেরে ফেলতে চান কেন? তিনি তো নবীজির ঢাল হিসেবে নিজেকে নির্বাচিত করতে পারতেন! ওই বাচ্চাটিকে কেন? ওই বাচ্চাটির বাবা নবীজি নয় তো? নবীজির ঈমানদণ্ডের পাওয়ার খুব বেশি ছিল। কে জানে, হয়তো ওই মহিলার বাড়িতে ইসলাম প্রচার করতে গিয়ে...

এই কাহিনীগুলো কতটুকু সত্য, তা জানি না। তবে এগুলো সত্য হলেও হতে পারে। সম্প্রতি আমাদের দেশেও মুহাব্বতের কারিশমা দেখেছি। বিশ্বাসে আক্রান্ত হয়ে মানুষ যে জীবনও দিয়ে দিতে পারে, তা আমি দেখেছি।

ভয় আর ভালবাসা এক জিনিস নয়। ভালবাসা আসে মন থেকে, হুমকি থেকে নয়। কাউকে ভাল না বাসলে যদি দোজখে যেতে হয়, তবে তার প্রতি আমার ভালবাসা আসে না, আসে ঘৃণা।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন