আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

শুক্রবার, ৩ জুলাই, ২০১৫

খন্দক যুদ্ধ - ৭: সাদ বিন মুয়াদ গুরুতর আহত!: কুরানে বিগ্যান (পর্ব- ৮৩): ত্রাস, হত্যা ও হামলার আদেশ – সাতান্ন

লিখেছেন গোলাপ

পর্ব ১ > পর্ব ২ > পর্ব ৩ > পর্ব ৪ > পর্ব ৫ > পর্ব ৬ > পর্ব ৭ > পর্ব ৮ > পর্ব ৯ > পর্ব ১০ > পর্ব ১১ > পর্ব ১২ > পর্ব ১৩ > পর্ব ১৪ > পর্ব ১৫ > পর্ব ১৬ > পর্ব ১৭ > পর্ব ১৮ > পর্ব ১৯ > পর্ব ২০ > পর্ব ২১ > পর্ব ২২ > পর্ব ২৩ > পর্ব ২৪ > পর্ব ২৫ > পর্ব ২৬ > পর্ব ২৭ > পর্ব ২৮ > পর্ব ২৯ > পর্ব ৩০ > পর্ব ৩১ > পর্ব ৩২ > পর্ব ৩৩ > পর্ব ৩৪ > পর্ব ৩৫ > পর্ব ৩৬ > পর্ব ৩৭ > পর্ব ৩৮ > পর্ব ৩৯পর্ব ৪০ > পর্ব ৪১ > পর্ব ৪২ > পর্ব ৪৩ > পর্ব ৪৪ > পর্ব ৪৫ > পর্ব ৪৬ > পর্ব ৪৭ > পর্ব ৪৮ > পর্ব ৪৯ > পর্ব ৫০ > পর্ব ৫১ > পর্ব ৫২ > পর্ব ৫৩ > পর্ব ৫৪ > পর্ব ৫৫ > পর্ব ৫৬ > পর্ব ৫৭ > পর্ব ৫৮ > পর্ব ৫৯ > পর্ব ৬০ > পর্ব ৬১ > পর্ব ৬২ > পর্ব ৬৩ > পর্ব ৬৪ > পর্ব ৬৫ > পর্ব ৬৬ > পর্ব ৬৭ > পর্ব ৬৮ > পর্ব ৬৯ > পর্ব ৭০ > পর্ব ৭১ > পর্ব ৭২ > পর্ব ৭৩ > পর্ব ৭৪ > পর্ব ৭৫ > পর্ব ৭৬ > পর্ব ৭৭ > পর্ব ৭৮ > পর্ব ৭৯ > পর্ব ৮০ > পর্ব ৮১ > পর্ব ৮২

আদি উৎসে ইসলামে নিবেদিতপ্রাণ বিশিষ্ট মুসলিম ঐতিহাসিকদেরই লেখনীতে খন্দক যুদ্ধে আলী ইবনে আবু তালিবের নৃশংসতা ও তার পিতার বন্ধু আমর বিন আবদু উদ্দ বিন আবু কায়েস নামের এক কুরাইশের সংবেদনশীলতারযে-উপাখ্যান বর্ণিত হয়েছে, তার বিস্তারিত আলোচনা আগের পর্বে করা হয়েছে।

কুরানে বর্ণিত অবিশ্বাসী কাফেরদের বিরুদ্ধে স্বঘোষিত আখেরি নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর শত শত হিংস্র, অমানবিক ও নৃশংস নির্দেশ এবং সিরাত ও হাদিস গ্রন্থেবর্ণিত মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীদের সংঘটিত সন্ত্রাস, খুন, জখম, নৃশংসতা ইত্যাদি কর্মকাণ্ড "শুধু মাত্র যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে প্রযোজ্য ও এটিই ছিল তৎকালীন সমাজে প্রচলিত রীতি" দাবিটি কেন অসত্য, তার আলোচনাও আগের পর্বে করা হয়েছে।

খন্দক যুদ্ধের বর্ণনায় আমরা জানতে পারি যে, এই যুদ্ধে সাদ বিন মুয়াদ (মুয়াধ) নামের মুহাম্মদের এক নিবেদিতপ্রাণ অনুসারী তীরবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছিলেন।

মুহাম্মদ ইবনে ইশাকের (৭০৪-৭৬৮ সাল) বর্ণনার পুনরারম্ভ: [1] [2]

পূর্ব প্রকাশিতের (পর্ব: ৮২) পর:

বানু হারিথা গোত্রের আবু লায়লা আবদুল্লাহ বিন সাহল বিন আবদুল-রাহমান বিন সাহল আল-আনসারী আমাকে [মুহাম্মদ ইবনে ইশাক] বলেছেন:

খন্দক যুদ্ধের দিন আয়েশা, বানু হারিথা গোত্রের দুর্গে অবস্থান করছিলেন। এই দুর্গটি ছিল মদিনার শক্তিশালী দুর্গের একটি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সাদ বিন মুয়াদের মা।

‘আয়েশা বলেন,"আমাদের ওপর বোরখা আরোপ[৩৩:৫৩] হওয়ার পূর্বে এই ঘটনাটি ঘটেছিল। [3]। সাদ আমাদের পাশ দিয়ে এত ছোট এক বর্ম-আবরণ পরিধান করে যাচ্ছিল যে, তার কব্জি থেকে কনুই পর্যন্ত পুরো হাতাটাই ছিল উন্মুক্ত। সে এক বর্শা হাতে নিয়ে তাড়াহুড়া করে যাচ্ছিল ও বলছিল, “অপেক্ষা কর! হামাল দেখুক যুদ্ধ (এটি একটি প্রবাদ বাক্য); মোক্ষম সময়ে মৃত্যুর পরোয়া করে কে?”

তার মা বলে, “এই ছেলে, তাড়াতাড়ি কর্। আল্লাহর কসম, তুই দেরি করে ফেলেছিস।”

আমি তাকে বলি, "আমার আশা ছিল এই যে, সাদের বর্ম-আবরণটি হবে এর চেয়ে আরও বেশি লম্বা", কারণ আমি দুঃশ্চিন্তাগ্রস্ত ছিলাম তার শরীরের ঐ স্থানটির ব্যাপারে, যেখানে সে তীরবিদ্ধ হয়েছিল। সাদ তীরবিদ্ধ হয়েছিল বাহুতে ও তীরটি তার ধমনি (Vein) ছিন্ন করেছিল।

যে-লোকটি তাকে তীরবিদ্ধ করেছিল, সে ছিল বানু আমির বিন লুয়াভি গোত্রের হিববান বিন কায়েস বিন আল-আরিকা, যা আসিম বিন ‌উমর বিন কাতাদা আমাকে জানিয়েছেন।

যখন সে তাকে তীর-বিদ্ধ করে, তখন বলে: "এটা হলো আমার, আল-আরিকার পুত্রের।"

সাদ তাকে বলে, "জাহান্নামে আল্লাহ তোর মুখ করুক ঘর্মাক্ত। হে মাবুদ! যদি কুরাইশদের সাথে যুদ্ধ প্রলম্বিত হয়, তবে সে সময় পর্যন্ত আমাকে বাঁচিয়ে রেখো। কারণ যে-লোকেরা তোমার নবীকে করেছে অপমান, বলেছে মিথ্যুক ও করেছে বিতাড়িত; অন্য যে কোনো লোকের চেয়ে তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করা আমার বেশি পছন্দ। হে মাবুদ, তুমি আমাদের ও তাদের মধ্যে যুদ্ধ নির্ধারণ করেছ, আমাকে শহীদে পরিণত করো এবংবনি কুরাইজার ওপর আমার আকাঙ্ক্ষা প্রত্যক্ষ করার পূর্ব পর্যন্ত আমাকে মৃত্যুবরণ করতে দিয়ো না।"'

- অনুবাদ, টাইটেল, ও [**] যোগ - লেখক।]

(Abu Layla 'Abdullah b. Sahl b. 'Abdu'l -Rahman b. Sahl al-Ansari, brother of B.

Haritha, told me that 'A'isha was in the fort of B. Haritha on that day. It was one of the strongest forts of Medina. The mother of Sa'd b. Mu'adh was with her.

'A'isha said: 'This was before the veil had been imposed upon us. Sa'd went by wearing a coat of mail so short that the whole of his forearm was exposed. He hurried along carrying a lance, saying the while, Wait a little! Let Hamal (The saying is proverbial) see the fight. What matters death when the time is right?

His mother said, "Hurry up, my boy, for by God you are late".

I said to her, "I wish that Sa'd's coat of mail were longer than it is", for I was afraid for him where the arrow actually hit him. Sa'd was shot by an arrow which severed the vein of his arm.

The man who shot him, according to what 'Asim b. 'Umar b. Qatada told me, was Hibban b. Qays b. al-'Ariqa, (She was Khadija's grandmother according to some) one of B. 'Amir b. Lu'ayy. When he hit him he said, "Take that from me, the son of al- 'Ariqa."

Sa'd said to him, "May God make your face sweat (arraq) in hell. O God, if the war with Quraysh is to be prolonged spare me for it, for there is no people whom I want to fight more than those who insulted your apostle, called him a liar, and drove him out. O God, seeing that you have appointed war between us and them grant me martyrdom anddo not let me die until I have seen my desire upon B. Qurayza."') [1] [2]

ইমাম বুখারীর (৮১০-৮৭০ সাল) বর্ণনা: (১:৮:৪৫২)

আয়েশা হইতে বর্ণিত:
খন্দক যুদ্ধের দিন সাদ বিন মুয়াদ তার বাহুর ভিতরের শিরায় তীরবিদ্ধ হয় ও আল্লাহর নবী তার দেখাশোনা করার জন্য মসজিদে এক তাঁবু খাটান। মসজিদে বনি গাফফার গোত্রের জন্যও একটি তাঁবু ছিল ও সাদের বাহুর রক্তক্ষরণের রক্ত সাদের তাঁবু থেকে বনি গাফফারের তাঁবুর দিকে বইতে থাকে। তারা চিৎকার করে বলে, "এই যে তাঁবুর বাসিন্দারা! তোমাদের ওখান থেকে আমাদের এখানে এটি কী আসছে?" তারা দেখে যে, সাদের ক্ষত থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে ও সাদ তার তাঁবুতে মৃত্যুবরণ করেছে।' [4]  

[অনুরূপ বর্ণনা: সহি মুসলিম- বই ১৯, হাদিস নম্বর ৪৩৭০] [5]  

(অনুবাদ – লেখক)

>>> সাদ বিন মুয়াদ ছিলেন মুহাম্মদের অন্যতম প্রধান অনুসারীদের একজন। তিনি ছিলেন মদিনার আল-আউস গোত্রের প্রধান। আমরা ইতিমধ্যেই জেনেছি যে, তিনি ছিলেন হঠকারী মেজাজের লোক ও খন্দক যুদ্ধের প্রাক্কালে চুক্তি ভঙ্গের অজুহাতে তিনি বনি কুরাইজার লোকদের গালাগালি ও অপমান করেন! (পর্ব: ৮০)। 

মুহাম্মদ ইবনে ইশাক, ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিমের ওপরে বর্ণিত বর্ণনায় যে-বিষয়টি অত্যন্ত স্পষ্ট, তা হলো: খন্দক যুদ্ধের প্রাক্কালে সাদ বিন মুয়াদ, মক্কার বানু আমির বিন লুয়াভি গোত্রের হিববান বিন কায়েস নামের এক কুরাইশের নিক্ষিপ্ত তীরের আঘাতে গুরুতর আহত হন। তীরটি তাঁর কব্জি ও কনুইয়ের মাঝখানে বিদ্ধ হয় ও সেখানকার এক ধমনী ছিঁড়ে ফেলে। সেই ক্ষতস্থান থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণের কারণে তিনি হন মৃত্যুপথ যাত্রী।

সাদ বিন মুয়াদের এই আহত হওয়ার ঘটনায় বনি কুরাইজা গোত্রের কোনো লোক কোনভাবে দায়ী ছিলেন, এমন ইঙ্গিত উক্ত বর্ণনার কোথাও নেই। তাঁরা মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীদের কোনোরূপ আক্রমণ বা হত্যা চেষ্টা করেছেন, কিংবা তাঁরা মিত্রবাহিনীকে কোনোরূপ সাহায্য-চেষ্টা করেছেন, কিংবা ন্যূনতম পক্ষে তাঁরা মিত্রবাহিনীর কোনো সদস্যের সাথে কোনরূপ সক্রিয় যোগাযোগ চেষ্টা করেছেন - এমন দৃষ্টান্তের সামান্যতম ইঙ্গিত খন্দক যুদ্ধ উপাখ্যানের গত ছয়টি পর্বের কোথাও নেই। 

তা সত্ত্বেও,
সাদ বিন মুয়াদ "বনি কুরাইজার উপর তার আকাঙ্ক্ষা প্রত্যক্ষ করার পূর্ব পর্যন্ত” তাকে মৃত্যুবরণ করতে না দেয়ার জন্য আল্লাহর দরবারে আবেদন করেন। বদর যুদ্ধ উপাখ্যানের বর্ণনায় আমরা ইতিমধ্যেই জেনেছি যে, মুহাম্মদের এই অনুসারী কতটা হিংস্র, নৃশংস ও প্রতিহিংসাপরায়ণ: (পর্ব: ৩৬)। 

'বদর যুদ্ধে ধৃত সত্তর জন কুরাইশ বন্দিদের সবাইকেই প্রচণ্ড নৃশংসতায় খুন না করে মদিনায় ধরে নিয়ে আসা ও মুক্তিপণের মাধ্যমে তাঁদেরকে জীবিত ছেড়ে দেয়ার অনুশোচনায় মুহাম্মদের ক্রন্দন ও ঐশী বাণীর অবতারণা:

৮:৬৭-৬৮-"নবীর পক্ষে উচিত নয় বন্দীদিগকে নিজের কাছে রাখা, যতক্ষণ না দেশময় প্রচুর রক্তপাত ঘটাবে। তোমরা পার্থিব সম্পদ কামনা কর, অথচ আল্লাহ্ চান আখেরাত। আর আল্লাহ্ হচ্ছেন পরাক্রমশালী হেকমতওয়ালা| যদি একটি বিষয় না হত যা পূর্ব থেকেই আল্লাহ লিখে রেখেছেন, তাহলে তোমরা যা গ্রহণ করছ সেজন্য বিরাট আযাব এসে পৌঁছাত।"

অত:পর, সা'দ বিন মুয়াদের প্রশংসায় মুহাম্মদের ঘোষণা:

"যদি আল্লাহর আরশ থেকে গজব অবতীর্ণ হতো তবে একমাত্র সা'দ বিন মুয়াদ ছাড়া কেহই রক্ষা পেত না, কারণ সেই শুধু বলেছিল, 'হে আল্লাহর নবী, লোকদের জীবিত ছেড়ে দেয়ার চেয়ে ব্যাপক হত্যাকাণ্ডই আমার বেশি প্রিয়” [6]

>>> মুহাম্মদের সেদিনের সেই ভুল সিদ্ধান্তের কারণে সা’দ বিন মুয়াদ বদর যুদ্ধ-বন্দীদের ওপর তার জিঘাংসা চরিতার্থ করতে পারেননি! কিন্তু, খন্দক যুদ্ধের পর মুহাম্মদ ইবনে আবদুল্লাহ তাঁর এই প্রিয় অনুসারীর আকাঙ্ক্ষা অপূর্ণ রাখেননি!

“বনি কুরাইজা গোত্রের লোকেরা চুক্তি ভঙ্গ করে মিত্র বাহিনীকে সাহায্য করেছে" - এই অজুহাতে তাঁদেরকে অভিযুক্ত ও দোষী সাব্যস্ত করার পর তাঁদের কী শাস্তি দেওয়া হবে, তা নির্ধারণের জন্য মুহাম্মদ সা'দকে বিচারক হিসাবে নিযুক্ত করেন! এই ভয়ঙ্কর প্রতিহিংসাপরায়ণ বিচারকের রায়টি ছিল:

"তাদের সমস্ত প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষকে হত্যা করো, সম্পত্তি দখল করো ও তাদের মহিলা ও শিশুদের বন্দী করো।" ('The men should be killed, the property divided, and the women and children taken as captives')।

সাদের এই ঘোষণার পরে পরেই মুহাম্মদ সা'দকে জানিয়ে দেন যে, যে-রায়টি সে দিয়েছে, সেটিই ছিল আল্লাহর রায় ('You have given the judgement of Allah above the seven heavens')।

উল্লেখ্য, কোনোরূপ ঐশী বাণীর আগমনের কিচ্ছা ছাড়াই মুহাম্মদ "আল্লাহর নামে" সাদের এই রায়ের সাথে তাঁর একাত্মতার ঘোষণা দেন। অতঃপর, মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীরা বনি কুরাইজা গোত্রের উপর পাশবিক গণহত্যা চালান। (বিস্তারিত আলোচনা 'বনি কুরাইজা গণহত্যা' পর্বে করা হবে)

খন্দক যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে সাদ বিন মুয়াদের ভূমিকা ও অবস্থান কী ছিল, তা বিশদভাবে পর্যবেক্ষণ না করে খন্দক যুদ্ধ পরবর্তী ঘটনা প্রবাহের বিশ্লেষণ সম্ভব নয়। আদি উৎসের সকল বিশিষ্ট মুসলিম ঐতিহাসিকরা খন্দক যুদ্ধ ও তার অব্যবহিত পরে মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীদের দ্বারা সংঘটিত বনি কুরাইজার নৃশংস গণহত্যার” যে-ইতিহাস লিপিবদ্ধ করেছেন, সেই ইতিহাসের এক অতি গুরুত্বপূর্ণ ও বিশেষ চরিত্র হলো সাদ বিন মুয়াদ।

(চলবে)

[কুরানের উদ্ধৃতিগুলো সৌদি আরবের বাদশাহ ফাহাদ বিন আবদুল আজিজ (হেরেম শরীফের খাদেম) কর্তৃক বিতরণকৃত বাংলা তরজমা থেকে নেয়া, অনুবাদে ত্রুটি-বিচ্যুতির দায় অনুবাদকারীর। কুরানের ছয়জন বিশিষ্ট অনুবাদকারীর পাশাপাশি অনুবাদ এখানে।] 

তথ্যসূত্র ও পাদটীকা:

[1] “সিরাত রসুল আল্লাহ”- লেখক: মুহাম্মদ ইবনে ইশাক (৭০৪-৭৬৮ খৃষ্টাব্দ), সম্পাদনা: ইবনে হিশাম (মৃত্যু ৮৩৩ খৃষ্টাব্দ), ইংরেজি অনুবাদ:  A. GUILLAUME, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস, করাচী, ১৯৫৫, ISBN 0-19-636033-1, পৃষ্ঠা ৪৫৭-৪৫৮

[2] “তারিক আল রসুল ওয়াল মুলুক”- লেখক: আল-তাবারী (৮৩৮-৯২৩ খৃষ্টাব্দ), ভলুউম ৮, ইংরেজী অনুবাদ: Michael Fishbein, University of California, Los Angeles, নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি প্রেস, ১৯৮৭, ISBN 0-7914-3150—9 (pbk), পৃষ্ঠা (Leiden) ১৪৭৬-১৪৮০

[3] বলা হয়, হিজরি ৫ সালে মুহাম্মদের পালিত পুত্র যায়েদ বিন হারিথার তালাক প্রাপ্তা স্ত্রী যয়নাব বিনতে জাহাশ (Zaynab bint Jahsh) এর সাথে মুহাম্মদের বিয়ের সময় কিছু অতিথির আচরণের পরিপ্রেক্ষিতে ৩৩:৫৩ অবতীর্ণ হয়। হিজরি ৬ সালে সাফওয়ান ও আয়েশার সম্পর্কে রটনার পর নবী পত্নীদের প্রতি তা বাধ্যতামূলক করা হয়। (পর্ব: ৩৯)

৩৩:৫৩ – ‘হে মুমিনগণ! তোমাদেরকে অনুমতি দেয়া না হলে তোমরা খাওয়ার জন্য আহার্য রন্ধনের অপেক্ষা না করে নবীর গৃহে প্রবেশ করো না। তবে তোমরা আহুত হলে প্রবেশ করো, তবে অতঃপর খাওয়া শেষে আপনা আপনি চলে যেয়ো, কথাবার্তায় মশগুল হয়ে যেয়ো না। নিশ্চয় এটা নবীর জন্য কষ্টদায়ক। তিনি তোমাদের কাছে সংকোচ বোধ করেন; কিন্তু আল্লাহ সত্যকথা বলতে সংকোচ করেন না। তোমরা তাঁর পত্নীগণের কাছে কিছু চাইলে পর্দার আড়াল থেকে চাইবে। এটা তোমাদের অন্তরের জন্যে এবং তাঁদের অন্তরের জন্যে অধিকতর পবিত্রতার কারণ। আল্লাহর রাসূলকে কষ্ট দেয়া এবং তাঁর ওফাতের পর তাঁর পত্নীগণকে বিবাহ করা তোমাদের জন্য বৈধ নয়। আল্লাহর কাছে এটা গুরুতর অপরাধ’।          

[4] সহি বুখারী: ভলুম ১, বই নম্বর ৮, হাদিস নম্বর ৪৫২: 
Narated By 'Aisha : On the day of Al-Khandaq (battle of the Trench') the medial arm vein of Sa'd bin Mu'ad was injured and the Prophet pitched a tent in the mosque to look after him. There was another tent for Banu Ghaffar in the mosque and the blood started flowing from Sa'd's tent to the tent of Bani Ghaffar. They shouted, "O occupants of the tent! What is coming from you to us?" They found that Sa'd' wound was bleeding profusely and Sa'd died in his tent.

[5] অনুরূপ বর্ণনা: সহি মুসলিম- বই ১৯, হাদিস নম্বর ৪৩৭০

[6] “তারিক আল রসুল ওয়াল মুলুক”- লেখক: আল-তাবারী (৮৩৮-৯২৩ খৃষ্টাব্দ), ভলুউম ৭, ইংরেজী অনুবাদ: W. Montogomery Watt and M.V. McDonald, নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি প্রেস, ১৯৮৭, ISBN 0-88706-345-4 (pbk), পৃষ্ঠা (Leiden) ১৩৫৬-১৩৫৯

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন