আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

শুক্রবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

analysis of কোরআন, looking for বিজ্ঞান - ৩

লিখেছেন শ্মশানবাসী

এখন কোনো মুমিন ভাই যদি দাবি করেন যে, এর সংশ্লিষ্ট হাদিসখানা পড়ুন, তবেই বুঝতে পারবেন এর মর্মার্থ, তবেই পরিষ্কার হয়ে যাবে যে, কোরআন আল্লাহর বানী। তাহলে তো আমাকে বলতেই হবে যে কোরআন কোন ভাবেই স্বয়ংসম্পূর্ণ ধর্মগ্রন্থ নয়। যদি হাদিসের সহায়তায় কোরআনের মর্মার্থ বুঝতে হয়, তবে বরং হাদিসই স্বয়ংসম্পূর্ণ।

এখন আলোচ্য বিষয় কোরআনের একটি বিশেষ আয়াত নিয়ে, "আলিফ লাম মিম" এই আয়াতটি কোরআনের ২৯ বার এসেছে। মুমিনের দাবি, কোরআনের সবচেয়ে রহস্যময় বাক্য এটি, যার পাঠোদ্ধার করা এখনো সম্ভব হয়নি। এই আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ সমগ্র মানুষ ও জ্বিনজাতির প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন - পারলে তারা এর অর্থ খুঁজে বের করুক বা এর সমকক্ষ আরেকটি বাক্য সৃষ্টি করে দেখাক। (কী হাস্যকর সৃষ্টা! তাঁর সৃষ্টির সাথে টম অ্যান্ড জেরি খেলছেন!) গত ১৪০০ বছরে কোনো আলেম উলামায়ে ক্বেরামগণ যার পাঠোদ্ধার করতে পারেনি, অজ্ঞানী বিজ্ঞানীরা কীভাবে তার পাঠোদ্ধার করতে পারবে? সুতরাং ধরেই নেওয়া যায়, এই ২৯ টি আয়াতে বিজ্ঞানের কোনো অস্তিত্ব নেই। এমনি আরো কিছু রহস্যময় শব্দ দ্বারা আল্লাহ কোরআনকে করেছে পৃথিবীর সবচেয়ে রহস্যময় গ্রন্থ।

আমাদের এলাকার রাস্তার মোড়ের কালু পাগলা সারাদিন বাজে বকে। মাঝে মাঝে বেশি ক্ষেপে গেলে এমন কিছু দুর্বোধ্য ভাষায় গালাগালি শুরু করে, যা সত্যিই রহস্য। কারণ এর অর্থ আবিষ্কার করা আমাদের পক্ষে সম্ভব হয় নয়।

তাই বলে ভাববেন না, আমি আল্লাহ ও তার কোরআনের বাণীকে কালু পাগলার প্রলাপের সাথে তুলনা করছি। এটা শুধু একটা উদাহরণ মাত্র।

হ্যাঁ, যা বলছিলাম, হাদিসে উল্লেখ আছে, মানুষ সৃষ্টির পরে পৃথিবীতে ২ লক্ষ ২৪ হাজার (মতান্তরে ১ লক্ষ ২৪ হাজার) নবী-পয়গম্বরের আবির্ভাব হয়েছে।

কিন্তু কোরআনে এর সংখ্যা মাত্র ২৫ জন। বাকিগুলোকে কোথা হতে আমদানি করলো, তা আমাদের মহাজ্ঞানী নবীই বলতে পারবেন। সেই ১ লক্ষ ২৪ হাজার নবী পয়গম্বর দ্বারা মোট ১০৪টি আসমানী কিতাব নাজিল হয়েছে, তার মধ্যে ১০০টি কালের গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বাকি আছে চারটি। যবুর, তাওরাত, ইঞ্জিল ও কোরআন। পূর্বের তিনটি এখানে আলোচ্য বিষয় নয়, যেহেতু কোরআন নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। বাকি তিনটি নিয়ে আলোচনা হলে কোরআনকে মনে হতে পারে কপি করা।

কোরআনে ২৫ জন নবীর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে তাদের জন্ম, জীবনধারা, তাদের একেশ্বরবাদ প্রচারের পদ্ধতি বা দাওয়াতের বিষয়বস্তু, তাদের সফলতা, তাদের ব্যর্থতা ও তার পরবর্তীতে তাদের মতবাদ গ্রহণ না করায় কাফের জনপদের ওপর আল্লাহর গজবের নমুনাসমুহ।

এর পরে পর্যায়ক্রমে ২৫ জন নবী সম্পর্কিত আয়াতের সংখ্যা ও তাতে বিজ্ঞান খোঁজা হবে ইনশাল্লাহ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন