আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

শনিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

ঈশ্বরের অনৈশ্বরিক কর্মকাণ্ড - ২

লিখেছেন সমকোণী বৃত্ত

কেউ কোনো অপরাধ করলে তাকে সেই অপরাধের জন্য শাস্তি দেওয়া হয়, যেন সে আর অপরাধ না করে। আর এটাই সর্বজনস্বীকৃত। এটা কখনই যুক্তিগত বা উচিত হবে না সেই অপরাধীকে আরো অপরাধের সুযোগ করে দেওয়া।

যেমন, কেউ আপনার বাড়িতে চুরি করলো, সেই চোরকে ধরে আপনি বিচারের আওতায় আনবেন আর এমন ব্যবস্থা করবেন, যাতে ভবিষ্যতে আর সে চুরি না করে।আপনি কিন্তু তাকে আরো অপরাধ করার জন্য বা আবার অন্যের বাড়িতে চুরি করতে পারে এমন সুযোগ করে দেবেন না, এটাই স্বাভাবিক।

তাহলে আসুন, এবার ইসলাম ধর্ম মতে সৃষ্টিকর্তা আল্লার সম্পর্কে বলি।

আল্লাহ আযাযিল/ইবলিশকে বলেন আদমকে সেজদা করতে, ইবলিশ তা করেনি, তাই সে আল্লার মতে অন্যায় করেছে। এর জন্য আল্লাহ তাকে তৎক্ষণাৎ শাস্তি দিলেন না, শুধু অভিশপ্ত করলেন, আর এর পাশাপাশি তাকে আরো ক্ষমতা দিয়ে ছেড়ে দিলেন। ইবলিশ আল্লাহর সামনেই বললো, সে মানুষের ক্ষতি করবে, তারপরও আল্লাহ তাকে আটকালেন না।

আল্লাহ তাকে তার শাস্তিস্বরূপ জাহান্নামে দিতে পারতেন বা আটকে রাখতে পারতেন। তা না করে ইবলিশকে আরো ক্ষমতা দিলেন, যেন সে আরো কিছু মানুষকে অপরাধী বানাতে পারে। যেমন, আপনি ঐ চোরটিকে ছেড়ে দিলেন যাতে সে আরো কয়েকজনকে চোর বানাতে পারে। এবং এই ব্যবস্থাও করে দিলেন, তারপর সেই চোরসহ অন্যান্য চোরদেরও (যাদের সে চুরি শিখিয়েছিল) সবাইকে শাস্তি দেবেন, এটা কোনো যুক্তিযুক্ত কথা?

আপনি প্রথমেই যদি সে-চোরটিকে শাস্তি দিতেন বা অন্যভাবে সঠিকপথে আনতেন ,তাহলে পরের মানুষগুলো হয়ত চোর না-ও হতে পারতো। আপনি অপরাধীর শাস্তিদানে বিলম্ব করে আরো অপরাধী তৈরি করতে পারেন না। ছোট ক্ষতি এড়াতে গিয়ে বড় ক্ষতি করতে পারেন না। তাই আল্লাহ যদি ইবলিশকে রুখতে পারত, তাহলে কোটি কোটি মানুষ বিপথে যেত না আর তথাকথিত পরীক্ষাও (বিস্তারিত পরের পর্বে) সুষ্ঠ হত।

ইবলিশ নাকি এত ক্ষমতা পেয়েছে আল্লাহর অনেক ইবাদত করার বিনিময়ে! আর আল্লাহও ইবলিশ তাঁর ইবাদত করেছে বলে আবেগে আপ্লুত হয়ে অন্যায় আবদারও মেনে নিলেন?

যেমন ধরুন, ঐ চোরটি আপনার বাড়িতে চুরি করেছে ঠিকই, আবার কিছু ছাড়ও দিয়েছে। যেমন, আপনার ঘুমের ডিস্টার্ব করেনি,তালা না ভেঙে খুলে নিয়েছে ইত্যাদি। তাই আপনি আবেগাপ্লুত হয়ে কি চোরের আর্জি মানবেন, তাকে আরো চুরি করার জন্য ছেড়ে দেবেন? সে চুরি করে ভুল করেছে, আপনিও কি ভুল করে তাকে অসৎ পথে ছেড়ে দেবেন? না।

তাহলে ইবলিশের ভুল হয়েছে বলে আল্লাহও তাকে সুপথে না এনে বিপথে যেতে দিলেন কেন? পথের মাঝে একটা গাছ পড়ে আছে, এখন সবাইকে অন্যদিকে ঘুরে যেতে না বলে গাছটকেই সরিয়ে ফেললেই ভাল। তেমনি কোটি মানুষকে সচেতন করার চেয়ে ইবলিশ শয়তানকে সরিয়ে ফেলাই ভাল। আল্লাহ কী জানেন না "Prevention is better than cure"?

এখানে ত্যানা প্যাচাতে পারেন এই বলে যে, আল্লাই ইবলিশকে পাঠিয়েছে মানুষের ঈমানের পরীক্ষা করার জন্য। তিনি দেখতে চান, মানুষ আল্লকে ভুলে শয়তানকে অনুসরণ করে কি না?

এর জবাব পরের পর্বে পাবেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন