আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

বুধবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

অভিরুচি-নির্ভর মানবতা

লিখেছেন জুলিয়াস সিজার

লেবাননের শিক্ষামন্ত্রী ইলিয়াস বোসাব ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরনকে সতর্ক করে দিয়েছেন: "প্রতি ১০০ জন সিরিয়ান শরণার্থীদের মধ্যে ২ জন করে আইএস জঙ্গি ঢুকে পড়েছে।"

সম্প্রতি ব্রিটেন ঘোষণা দিয়েছে, তারা ২০ হাজার শরণার্থী নেবে। তাহলে সেই অনুপাতটি হিসেব করলে পাওয়া যায়, ব্রিটেনে ৪০০ জন আইএস জঙ্গি ঢুকে পড়েছে। কিছুদিন আগে জঙ্গি সংগঠন আইএসের প্রধানও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ইয়োরোপে চার হাজার আইএস সদস্য ঢুকে পড়েছে।

নিশ্চিত থাকুন, আগামীতে ইয়োরোপের কোনো শপিং মল, স্কুল কিংবা কোনো ব্যস্ত জায়গায় বোমা হামলা হবে। শান্তির গ্রেনেড ফুটবে। তখন আয়লান কুর্দির মতো অনেক ফুটফুটে নিষ্পাপ শিশুর রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকবে। তবে সমুদ্রতীরে শিশু আয়লানের লাশ দেখে মানবতা যেভাবে জেগে উঠেছে, তখন কিন্তু সেভাবে জাগবে না। আসলে মানবতার "ম" পর্যন্ত দেখা যাবে না সেদিন।

একদল সরাসরি সব দোষ ইহুদি-নাসারাদের ওপর চাপিয়ে দেবে: "সব ইহুদি-নাসারাদের ষড়যন্ত্র। ইসলামকে ছোট করতেই ইসলামের নামে এইসব জঙ্গী হামলা করা হচ্ছে।"

অন্যদল পুঁজিবাদ, বৈশ্বিক রাজনীতি, পেট্রোডলার নিয়ে নানা ঠাসা থিয়োরি দেবে, যা পড়ে আপনার চোখ কান দিয়ে ধোঁয়া বের হবে: "সব পুঁজিবাদ, সাম্রাজ্যবাদ আর বাজার দখলের প্রতিযোগিতা। বৈশ্বিক রাজনীতি, ভাই। পলিটিক্স, পলিটিক্স!"

আয়লানের লাশের আগে ধর্ম আসে না। রাজনীতি আসে না। শুধু মানবতা আসে। কিন্তু মুসলিম সন্ত্রাসীদের হামলায় মারা যাওয়া শিশুগুলোর জন্য কোনো মানবতা হবে না। তারা হয়ে যাবে স্রেফ একটা একটা সংখ্যা। ৫০ জন নিহত, নয়তো ৫০০ নিহত!

অথচ এই হামলা ঠেকানোর জন্য ইয়োরোপ যদি বেছে বেছে শরণার্থী নিত, সেটাও আবার হয়ে যেত অমানবিকতা আর ইয়োরোপিয়ানদের বৈষম্য! চরম অমানবিক!

আবার যাচাই করবেই বা কীভাবে? অঘটন ঘটানোর আগ পর্যন্ত বোঝার উপায়ই বা কী যে, কে ভালো মুসলমান আর কে জঙ্গি মুসলমান? বোমা মারার আগ পর্যন্ত সবাই মুসলমান। আর বোমা মেরে দিলে তারপর অসহী মুসলমান! মুসলমানদের কোনো দোষই থাকতে পারে না।

এইতো কিছুদিন আগে লন্ডনে তারা ভার্সিটিতে ছেলেমেয়ে আলাদা হয়ে বসে ক্লাস করার আন্দোলন করল। লন্ডনের মত জায়গায় এরা অ্যাডাল্ট মুভির পোস্টারগুলোতে কালি মেরে দেয়। আর একটা পশ্চিমা দেশে ছেলেমেয়ে আলাদা ক্লাস করবে কিংবা অ্যাডাল্ট মুভির পোস্টার ছিঁড়ে ফেলবে - এমন গোঁড়ামি দেখানো তাঁদের ধর্মীয় অধিকার!

আর আপনি এটার বিরুদ্ধে লিখলেই সেটা হবে ইসলামবিদ্বেষ!

তারও আগে ইংল্যান্ডে নির্বাচনের আগের দিন মুসলমানেরা লিফলেট বিলি করেছে: "ভোট দেওয়া শিরক", "ভোট দেওয়া হারাম"।

এবার একটু বেশি হয়ে গেল! এটাকে কোনোভাবেই যেহেতু সমর্থন দেওয়া যাবে না, তখন সরাসরি বলে দেবে সেই মহান বাণী চিরন্তনী: "তারা সহী মুসলমান নহে!"

যাই হোক, আবার শরণার্থী প্রসঙ্গে আসি। শরণার্থীদের মধ্যে ঢুকে পড়া আইএস জঙ্গিরা যখন বোমা হামলা করবে, তখন স্বাভাবিকভাবেই ইয়োরোপিয়ানরা বোরকা, হিজাব দেখলে কিংবা পাসপোর্টে নামের আগে মোহাম্মদ দেখলে চেক বেশি করবে। নিরাপত্তার খাতিরে কোনো ইয়োরোপিয়ান দেশ হয়তো মুখ ঢেকে চলাফেরা করা কিংবা নেকাব পরা নিষিদ্ধ করবে।

তখন সেটা আবার হয়ে যাবে রেসিজম কিংবা মুসলমানবিদ্বেষ! বোমা মারবে, মানুষ খুন করতে পারবে, কিন্তু চেক করা যাবে না। তখন আবার মানবতা জেগে উঠবে। এই বৈষম্য মেনে নেওয়া যায় না। আবার প্রতিবাদ হবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন