আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

সোমবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

মুসলমানিত্ব যখন শুধু লুঙ্গির তলে

লিখেছেন শহীদুজ্জামান সরকার

বাংলাদেশের হাজার হাজার মানুষ নিজেদের ধার্মিক মুসলমান দাবি করে। আসলে কি এরা ধার্মিক মুসলমান? মুসলামান হতে গেলে শুধু এক আল্লার ওপর বিশ্বাস স্থাপন করলে হয় না। নবীর ওপর বিশ্বাস ও নবীর জীবনদর্শন মেনেও চলতে হবে। নবীর মত ১৪ টা বিয়ে করতে হবে। ৬ বছর বয়সী আয়েশার মত কোনো কন্যাকে বিয়ে করতে হবে, আবার ৪০ বছরের খাদিজার মতো কাউকেও বিয়ে করতে হবে। তারপর অসংখ্য দাসী বাদী তো রাখতেই হবে। ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য হাজার হাজার মানুষ মারতে হবে। শত শত যুদ্ধ করতে হবে। জিহাদের নামে মানুষ খুন করতে হবে। হিন্দু অথবা ভিন্ন ধর্মের মানুষ তথা কাফেরদের গলা কাঁটতে হবে। হিন্দুদের বাড়িঘর সম্পদ লুট করতে হবে, যেটা আসলে গনিমতের মাল ভোগ।

ইসলামে এই কথাটা স্পষ্ট উল্লেখ আছে - নারী নেতৃত্ব হারাম। কিন্তু বাংলাদেশে আমরা কী দেখছি? এখানে নারী নেতৃত্ব আরাম। আর এই নারীকে আসনে বসিয়ে রেখেছে কে? এই যে আপনাদের মত নিজেকে মুসলমান দাবি করা মানুষগুলোই। আর এই নারী ক্ষমতায় এসে ইসলামের বারোটা বাজাচ্ছে। নারীদের চাকুরি করা, ব্যবসা করা, রাস্তায় বোরখা ছাড়া ঘোরাফেরা করা, পরপুরুষের সাথে সাক্ষাৎ তো দুরে থাক, কথা বলাও হারাম। ইসলামে আরও একটি কথা স্পষ্ট বলা আছে: নামাজ, রোজা, হজ্জ, যাকাত, এগুলো ঠিকমতো আদায় করতে হবে। কিন্তু বাংলাদেশের নিজেকে ধার্মিক মুসলমান দাবি করা কত জন লোক এই কাজগুলো করে?

ছোটকাল থেকে একটি কথা শুনে আসছি - কোনো ব্যক্তি যদি পরপর তিন জুম্মার নামাজ মিস করে, তাহলে সে আর মুসলিম থাকলো না। শুধু নুনু কেটে মিলাদ পড়ালেই মুসলিম হওয়া যায় না। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ যে শুধই নুনু-কাটা মুসলমান, তার জন্য একটা ঘটনার কথা বলি: একবার এক লোক অপরিচিত জায়গায় মারা যায়, স্থানীয় লোকজন লাশের কোনো কুল-কিনারা মানে কোন ধর্মের এটা না বুঝতে পেরে শেষ অবধি লুঙ্গি উচিয়ে দেখে নিল নুনু কাটা আছে কি না। যখন তারা নিশ্চিত হলো, তখন তাকে মুসলমানী কায়দায় দাফন করা হলো।

যদি লোকটার মুখে দাড়ি থাকতো, তাহলে আর এই ন্যাক্কারজনক কাজটা করতে হতো না। বাংলাদেশে মুসলিম দাবিকারীদের মুখে দাড়ি কই? কিন্তু এরা আবার বুড়াকালে ঠিকই দাড়ি রাখে। আবার ইসলামে এই কথাটাও স্পষ্ট বলা আছে, যুবক বয়সের একদিনের এবাদত ৭০ বছরের এবাদতের সমান। কিন্তু কোথায়? কে এই নিয়মগুলো ঠিকঠাকভাবে পালন করছে? কাফেরদের গলা কাটা হচ্ছে, আর আপনি, নিজেকে মুসলমান দাবিকারী ব্যক্তি, ওপরের একটা নিয়মকানুনও মানেন না, অথচ চিৎকার করে বলছেন, ওরা সহি মুসলিম না! উহা সহি ইসলাম নয়।

ইট'স টুউ ফানি, ম্যান! আপনার ধর্ম সম্পর্কে একটু খোঁজ নিন। বুঝতে পারবেন, আইসিস ও অন্য ইসলামী জঙ্গি সংগঠনগুলোই খাঁটি ইসলাম মানে। আর আপনি রাস্তায় দাঁড়িয়ে মুততে মুততে বলছেন, "এরা জঙ্গি, মুসলমান নয়। আইসিস আমেরিকার তৈরি" ও ইত্যাদি বালছাল। নিজেকে শুধু হাওয়ার পোলা দাবি করেছেন, কিন্তু কোনো নিয়মনীতিই মানছেন না। তাহলে কিসের বালের মুসলমান আপনি?

অনেক ইসলামী ব্লগার আর ইসলামী ছাত্র শিবিরদের দেখছি, যারা ক্লিন শেভ করে, জিন্স টি-শার্ট পরে। জুব্বা-পাঞ্জাবী যে কী জিনিস, বোঝেই না। এরা আবার গলা ফুলিয়ে বলে, তুমি ইসলামের কী বালটা জানো? এরকম মডারেট মুসলিমদের কথা শুনলেই আমার হাসি পায়। আর যারা ইসলামের নিয়মনীতি মেনে চলে ইসলাম কায়েম করার জন্য কাফের হত্যা, হিন্দুদের সম্পত্তি লুট, ইহুদি নাছারাদের ধ্বংস করা ও নারীদের বস্তাবন্দীর কাজ করে যাচ্ছে, জিহাদ করছে, তাদের আপনারা বলছেন - সহি মুসলিম না। হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা...

না, আপনাদের কথা শুনে হাসি আটকাতে পারছি না। আসলে আপনি বছরে দু'বার ঈদের নামাজ পড়া আর নুনু-কাটা মুসলমান ছাড়া কিছুই না। যাদেরকে জঙ্গি বলে আখ্যা দিচ্ছি, তারাই আসল মুসলিম। তারাই রিয়েল। তারা প্রমাণ করছে, ইসলাম কতটা শান্তির বর্বরতা। কে যেন বলেছিল, বাংলাদেশে শরিয়া আইন পাস করলে দেখা যেত, ক'জন মুসলিম বাংলাদেশে থাকতো। আমিও চাই বাংলাদেশে শরীয়া আইন হোক। মডারেট হাওয়ার পোলারা তখন লুঙ্গি খুলে প্রমাণ করতে ব্যস্ত হয়ে পড়বে: "এই যে, আমি মুসলিম! আমার গলা কাটবেন না, প্লিজ।"

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন