আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

সোমবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৫

নবীজির তেরো বিয়ে ও পুলকিত পুরুষেরা

লিখেছেন সুবহ মহাপাতক

ইসলামের নবী বিয়ে করেছেন ১৩টা (মতান্তরে ১১টা), তন্মধ্যে ৬ বছর বয়সের শিশুও রয়েছে। কিন্তু ইসলামী আইন অনুযায়ী - একজন পুরুষ একসাথে চারটা পর্যন্ত বিয়ে করতে পারে, যেখানে একজন নারীর একসাথে একাধিক বিয়ে করার কোনো অধিকার নেই। যা-ই হোক, ইসলামের ইতিহাস অনুযায়ী, নবী মুহাম্মদ একজন সু(!)পুরুষ ছিলেন। তাঁরই রচিত আইন অনুসারে তিনি বিয়ে করতে পারতেন সর্বোচ্চ চারটি। অথচ তিনি তেরোটা বিয়ে করে স্বরচিত আইন ভঙ্গ করেছেন। এখন ইসলামের খাদেমরা অর্থাৎ আল্লামারা এই কাটা-কান চুল দিয়ে ঢাকার জন্য অনেক মেহনত করে চলেছে।

মৌলানা সাবরা হুজুরের তেরোখানা বিয়েকে বৈধতা দিতে যুক্তি হিসেবে যা-যা বলে, তার সারকথা হলো: হুজুরের পজিশন সাধারণের চেয়ে অনেক উঁচুতে। সাধারণ মানুষের থেকে হুজুরের বৈশিষ্ট্য আলাদা। কীভাবে? ইসলামী বক্তারা যুক্তি দেন:
  • নবীজির শরীরে শক্তি ছিল ৪০০০ মানুষের। তাই তাঁর ৪০০০ বিয়ে করার প্রয়োজন ছিল। তেরোজন বিয়ে করে বরং কমই করেছেন।
  • মানুষের মল থেকে গন্ধ বের হয়। কিন্তু রাসুলের মল থেকে মেশকে আম্বরের খুশবু উঠত।
  • মানুষ ঘুমালে দেখে না। কিন্তু হযরত ঘুমালেও সব দেখতে পেতেন।
  • রাসুলে পাক একসাথে সামনে-পেছনে দেখতে পেতেন; যেখানে মানুষরা চোখ দিয়ে শুধুমাত্র সামনের দিকে দেখতে পারে।
  • নবী যখন হাগু করতেন, তখন তার মলকে জমিন খেয়ে নিত।
  • নবীজির গু খেয়ে অনেক সাহাবীর রোগমুক্তি ঘটেছিল।
  • ইসলামের নিয়ম অনুযায়ী, ঘুমালে অযু ভেঙে যায়। মুহাম্মদ ঘুমালে অযু ভাঙত না। কেননা তিনি ঘুমালেও পাদ বের হবার সুযোগ নেই।
  • মুহাম্মদের শরীরের ছায়া কোথাও পড়ত না, পাছে ছায়াটা কারো পায়ের তলায় পড়ে বেয়াদবি হয়।
তাই যেহেতু রাসুলের বৈশিষ্ট্য সাধারণের চেয়ে আলাদা, তাই তাঁর তেরোটা বিয়ে করা যুক্তিযুক্ত।

একটু লক্ষ্য করুন, মুহাম্মদের বৈশিষ্ট্য সাধারণের চেয়ে নয়, বরং মানুষ থেকে অনেক আলাদা। চার হাজার মানুষের শক্তিসম্পন্ন, ঘুমের মধ্যে দেখতে পাওয়া, সুগন্ধিযুক্ত মল; সেই মলে আবার প্রতিষেধক থাকা, পেছন দিকে চোখ না থেকেও দেখতে পাওয়া, ছায়াবিহীন জীবটি কী করে মানুষ হতে পারে? অতএব মুহাম্মদ মানুষ নয়, এলিয়েন? নাকি অদ্ভুত কোনো প্রাণী? আসলে মুহাম্মদের চ্যালারা মুহাম্মদকে সাধারণের চেয়ে আলাদা বানাতে গিয়ে হাস্যকর বানিয়েই ছাড়ল।

এখন যদি যুক্তির খাতিরে ধরেও নিই যে, মুহাম্মদ মানুষ নয়, বরং এলিয়েন, তবে মুহাম্মদের উচিত ছিল আলাদা বৈশিষ্ট্যের জীব অর্থাৎ এলিয়েনকেই বিয়ে করা। তিনি বিয়ে করেছেন মানুষকে। তাঁর এলিয়েনীয় ঈমানদণ্ড ব্যবহার করেছেন তেরোজন স্ত্রী ও আরও অনেক নারীর সঙ্গে। একেবারেই উচিত হয়নি। তবে মুসলমান পুরুষরা চারটা বিয়ের অনুমতি পেয়েই খুশিতে বাগবাগ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন